• ঢাকা মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
‘পেশাগত নৈতিকতা ও মূল্যবোধের অনুশীলন আইন পেশার মূল ভিত্তি’
পেশাগত নৈতিকতা ও মূল্যবোধের যথাযথ অনুশীলন আইন পেশার মূল ভিত্তি বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। তিনি বলেন, পেশাগত মূল্যবোধের অনুশীলন ছাড়া আইন চর্চা করা হলে বিচারাঙ্গন নিছক কাঠপাথরের কিছু স্থাপনায় পরিণত হবে। এ জন্য দায়িত্ব পালনে আমাদের সবাইকে মানবিক হতে হবে। সোমবার (৬ মে) সন্ধ্যায় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি আয়োজিত ‘আইন পেশার আদর্শ ও নৈতিকতা এবং বিচারিক পর্যালোচনা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান বিচারপতি এসব কথা বলেন। প্রধান বিচারপতি বলেন, আইনজীবীরা পেশা পরিচালনায় নৈতিক মানদণ্ড রক্ষায় যদি যথাযথ গুরুত্ব না দেন, তাহলে মানুষের অধিকার রক্ষার মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হবে না। যে মহান উদ্দেশ্য নিয়ে বিচারালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, সেই উদ্দেশ্য সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হয়ে যাবে। তিনি বলেন, একজন আইনজীবীর অন্যতম প্রধান দায়িত্ব মক্কেলের গোপনীয়তা রক্ষা করা। উন্নত রাষ্ট্রগুলোর মতো এ বিষয়টা আমরা ততটা গুরুত্ব দেই না। এ ব্যাপারে সচেতন হতে হবে। তিনি আরও বলেন, আইনজীবীরা নির্দিষ্ট একটি পরিসরে পেশাগত কাজ করেন বিধায় এখানে প্রতিযোগিতা থাকা স্বাভাবিক। কিন্তু এই প্রতিযোগিতা যেন হয় সুস্থ আইনি প্রতিযোগিতা। আইন অঙ্গনে কেউ কদর্য প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হবেন না। সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকনের সভাপতিত্বে এবং সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহ মঞ্জুরুল হকের সঞ্চালনায় সেমিনারে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি নাইমা হায়দার। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।
১৩ ঘণ্টা আগে

বাস মালিকদের সুবিধায় রেলের ভাড়া বৃদ্ধি: যাত্রী কল্যাণ সমিতি
ট্রেনে ভ্রমণের ক্ষেত্রে রেয়াত সুবিধা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। বাস মালিকদের বিশেষ সুবিধা দিতে রেলে ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।  মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন সংগঠনটির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী। যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, রেলের কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দুর্নীতি বন্ধ না করে ভাড়া বৃদ্ধির মাধ্যমে রেলের লোকসান কমানো সম্ভব নয়। এমন সিদ্ধান্ত আকাশ কুসুম কল্পনা বলেও মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, এর আগেও কয়েক দফা ভাড়া বাড়িয়ে লোকসান লাঘব করতে ব্যর্থ হয়েছে। রেল বড় বড় প্রকল্প নিয়ে ব্যস্ত, যাত্রীসেবার দিকে তাদের কোনো মনোযোগ নেই বলেও অভিযোগ করেন তিনি। যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিবের অভিযোগ, রেল কর্তৃপক্ষ রেয়াতি সুবিধা প্রত্যাহারের নামে ভাড়া বৃদ্ধি করে দূরপাল্লার যাত্রাপথে রেলের ভাড়া বাসের ভাড়ার চেয়ে বেশি নির্ধারণ করে বাস মালিকদের বিশেষ সুবিধা দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।  রেলের রেয়াতি সুবিধা প্রত্যাহার করে সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ পর্যন্ত ভাড়া বৃদ্ধির এমন গণবিরোধী সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে রেলপথকে অতীতের মতো নিরাপদ ও সাশ্রয়ী রাখারও দাবি জানায় সংগঠনটি। যাত্রী কল্যাণ সমিতি জানায়, রেলখাতকে লাভজনক করার ঘোষণা দিয়ে ২০১২ সালে সর্বনিম্ন ৭ থেকে সর্বোচ্চ ১১০ শতাংশ এবং ২০১৬ সালে ৭ শতাংশ রেলের ভাড়া বাড়ানো হয়েছিল। একইসঙ্গে ২০১২ সালের ভাড়া বৃদ্ধির সময় ট্রেনের ওই সময়ে বিদ্যমান সেকশনাল রেয়াতি সুবিধা প্রত্যাহারের পরেও রেল লাভবান হয়নি, উল্টো ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে রেলের লোকসান ছিল ১২২৬ কোটি টাকা। সমিতির দাবি, বর্তমানে রেয়াতি সুবিধা প্রত্যাহার করে যে হারে রেলের ভাড়া বাড়ানো হয়েছে, এতে যাত্রীরা রেল বিমুখ হবে, রেলে টিকিটবিহীন যাত্রী যাতায়াতের সংখ্যা বাড়বে, রাজস্ব আয় কমবে, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের লুটপাটের সুযোগ আরও বাড়বে। রেলের আয়বর্ধক খাত যেমন সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি ও ট্রেনের সংখ্যা বাড়িয়ে পণ্যবাহী ট্রেন থেকে আয় বাড়ানো দিকে না ঝুঁকে রেলওয়ে সাধারণ যাত্রীদের কাছ থেকে বাড়তি ভাড়া নিয়ে আয় বাড়ানোর যে আকাশকুসুম পরিকল্পনা করছে সেটি কার্যত ব্যর্থ বলে অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে প্রমাণিত। যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে সাধারণ মানুষকে রেলমুখী করে নামমাত্র মূল্যে টিকিট বিক্রি করে রেলকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছে। তিনি বলেন, ভারতের শিয়ালদহ রেলস্টেশন থেকে আজমীর জংশন পর্যন্ত এক হাজার ৬৪২ কিলোমিটার দূরত্বে একটি প্রথম শ্রেণির বার্থ সিটের ভাড়া মাত্র ৬৯০ রুপি, সেখানে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম ৩৪৬ কিলোমিটারের (প্রকৃত দূরত্ব ৩০০ কিলোমিটারেরও কম) একটি নন এসি বার্থ সিটের ভাড়া ৮১০ টাকা। শিয়ালদহ থেকে বনগাঁও ৭৭ কিলোমিটার দূরত্বে লোকাল ট্রেনের ভাড়া মাত্র ২০ রুপি। আর বাংলাদেশে একটি টিকিট কাটতে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সহজডটকম’কে কমিশন দিতে হয় ২০ টাকা। ভাড়া না বাড়িয়ে রেলের অনিয়ম-দুর্নীতি, অপ্রয়োজনীয় কেনাকাটা বন্ধ করে, সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার, বেদখলকৃত জমি উদ্ধার করে বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহারের পাশাপাশি নানামুখী লাভজনক কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে রেলকে ধীরে ধীরে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা সম্ভব বলে দাবি করে যাত্রী কল্যাণ সমিতি।
৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৩১

টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শিল্পী সমিতির শ্রদ্ধা
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত কমিটির সদস্যরা। নবনির্বাচিত সভাপতি মিশা সওদাগর ও মনোয়ার হোসেন ডিপজলের নেতৃত্বে শনিবার (২৮ এপ্রিল) বিকেলে জাতির পিতার সমাধিসৌধ বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত সহসভাপতি ডিএ তায়েব, সহ-সাধারণ সম্পাদক আরমান, আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক আলেকজান্ডার বো, দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক জ্যাকি আলমগীর, কোষাধ্যক্ষ কমল, কার্যনির্বাহী সদস্য সুচরিতা, রোজিনা, আলীরাজ, সুব্রত, দিলারা ইয়াসমিন, শাহনূর, নানা শাহ, চুন্নু ও সনি রহমান উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়াও চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির মহাসচিব শাহীন সুমন, চিত্রনায়িকা রুমানা ইসলাম মুক্তি, নাহিদা আশরাফ আন্না, ডি জে সোহেলসহ চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:১৮

জয় চৌধুরীকে আজীবনের জন্য বয়কটের ঘোষণা
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত কমিটির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান ছিল মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল)। এদিন এফডিসিতে অনুষ্ঠানটি সুষ্ঠুভাবে শেষ হওয়ার পরেই সাংবাদিকদের সঙ্গে অপ্রীতিকর ঘটনায় জড়ায় শিল্পীরা। ইতোমধ্যে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় দুজন সদস্যকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে শিল্পী সমিতি।  এ ছাড়া সংগঠনটির সাংগঠনিক সম্পাদক জয় চৌধুরী হামলার নেতৃত্ব দেওয়া ও ঔদ্ধত্বপূর্ণ আচরণ করায় তাকে আজীবনের জন্য বয়কটের ঘোষণা দিয়েছেন সাংবাদিকরা। পাশাপাশি প্রতি বছর ২৩ এপ্রিলকে ‘কালো দিবস’ হিসেবেও ঘোষণা করা হয়েছে।  বুধবার (২৪ এপ্রিল) রাতে এফডিসিতে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে এই ঘোষণা দিয়ে লিমন আহমেদ বলেন, সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় অভিনেতা শিবা শানু ও সুশান্তকে এক মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ন্যক্কারজনক এই ঘটনার দিন ২৩ এপ্রিলকে ‘কালো দিবস’ হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিনোদন সাংবাদিকরা। এর আগে এফডিসির ঘটনার তদন্তের জন্য ২৪ এপ্রিল সন্ধ্যায় ১০ সদস্যের একটি কমিটি বসে। যেখানে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে ছিলেন লিমন আহমেদ, রাহাত সাইফুল, আহমেদ তৌকীর, বুলবুল আহমেদ জয়, আবুল কালাম। অন্যদিকে শিল্পী সমিতির পক্ষ থেকে ছিলেন মিশা সওদাগর, ডি এ তায়েব, নানা-শাহ, রুবেল ও রত্না। তদন্ত কমিটির উপদেষ্টা হিসেবে ছিলেন প্রযোজক আরশাদ আদনান। এছাড়াও সিনিয়র সাংবাদিক রিমন মাহফুজ ও কামরুজ্জামান বাবুসহ বেশ কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন।   বৈঠক শেষে সাংবাদিক লিমন আহমেদ বলেন, আলোচনা শুরুর পরও জয় চৌধুরী তার ঔদ্ধত্বপূর্ণ আচরণ চালিয়ে যান। তিনি কারও কথা মানতে নারাজ। তাই তাকে আজীবনের জন্য বয়কটের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।  তিনি আরও বলেন, শিল্পী সমিতি যদি জয় চৌধুরীকে নিয়ে কোনো কার্যক্রমে অংশ নেন, তাহলে সমিতিকেও বয়কট করা হবে। এমনকি কোনো প্রযোজক বা পরিচালক সিনেমা নির্মাণ করলে তাদের সংবাদ পরিবেশন থেকেও বিরত থাকা হবে।  ২৩ এপ্রিলকে ‘কালো দিবস’ পালন করা হবে জানিয়ে লিমন বলেন, এই তারিখে বিনোদন সাংবাদিকরা কোনো সিনেমার খবর প্রকাশ করবে না। এখন থেকে প্রতি বছর ২৩ এপ্রিল ‘কালো দিবস’ হিসেবে পালন করা হবে।  জানা গেছে, নবনির্বাচিত কমিটির শপথগ্রহণ শেষে শিল্পী সমিতির সদস্য শিবা সানুর সঙ্গে ইউটিউবারদের কথা–কাটাকাটি শুরু হয়। একটাপর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। কথা–কাটাকাটির এক পর্যায়ে সাংবাদিকেরা হাজির হলে তাদের সঙ্গেও বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। সন্ধ্যা সোয়া ছয়টার দিকে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। মূলত চিত্রনায়িকা ময়ূরীর মেয়ের সাক্ষাৎকার চাওয়াতেই মারামারির সূত্রপাত ঘটেছে বলে জানান জয় চৌধুরী। তিনি বলেন, শপথ শেষে ছিল আমরা সবাই তখন কার্যকরী পরিষদের মিটিং করছি। এ মুহূর্তে ময়ূরী আপু তার মেয়েকে নিয়ে এসেছেন। কিন্তু তিনি ভেতরে ঢুকতে পারছিলেন না বাইরে লোকজনের জন্য। এমন সময় দু-তিনজন ইউটিউবার, তারা ময়ূরী আপুর মেয়ের হাত ধরে টান দিয়ে বলছেন, ‘তুমি একটা ইন্টারভিউ দিয়ে যাও।’ বারবার তারা এই আবদার করছিলেন। এতে ময়ূরী আপু রেগে গিয়ে বলেন, ‘ও তো সেলিব্রিটি না, ও ইন্টারভিউ দিয়ে কী করবেন?’ এরপরেই আসলে শুরু হয় মারামারির ঘটনা। প্রত্যক্ষদর্শীদের অনেকেই জানান, এই হামলার মূলহোতা খল অভিনেতা শিবা শানু। এরপর জয় চৌধুরী ও আলেকজান্ডার বো হামলা চালান। হামলার একপর্যায়ে পুরো এফডিসির ফাইট ডিরেক্টররাও হামলায় অংশ নেন।  
২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৫৬

রত্না-আলেকজান্ডারের নতুন রেকর্ড
ঢাকাই চলচ্চিত্রের একসময়ের জনপ্রিয় অভিনেতা আলেকজান্ডার বো। এখন আর চলচ্চিত্রে খুব একটা দেখা যায় না। নির্বাচন ও চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন আয়োজনে মাঝে-মধ্যে তাকে দেখা যায়। সেই আলেকজান্ডার বো এবারের চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়ে চমকে দিলেন। বিজয়ী সব সদস্যের মধ্যে সর্বোচ্চ ২৮৬ ভোট পেয়ে আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। ভোটারদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে আলেকজান্ডার বো বলেন, ভোটাররা আমার প্রতি আস্থা রেখেছেন। তাদের কাছে কৃতজ্ঞ। দীর্ঘ সময় ধরে চলচ্চিত্রে কাজ করে আসছি। সেই জায়গা থেকে ভোটাররা আমাদের মতো শিল্পীদেরকে ভালো করেই চেনেন, জানেন। হয়তো সে কারণেই এত ভোটের ব্যবধানে আমাকে জয়ী করেছেন। এর আগেরবারের নির্বাচনে সাংগঠনিক সম্পাদক পদে চিত্রনায়িকা শাহনূরের কাছে পরাজিত হয়েছিলেন আলেকজান্ডার বো। তবে তারও আগে দুবার সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন এই অভিনেতা। আলেকজান্ডার বো এবার মিশা-ডিপজল প্যানেল থেকে আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক হিসেবে নির্বাচন করেন। তিনি প্রতিদ্বন্দ্বী আরেক নায়ক মারুফ আকিবকে হারিয়েছেন ১৩৭ ভোটে, মারুফ পেয়েছেন ১৪৯ ভোট। অন্যদিকে, নারী শিল্পীদের মধ্যে সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছেন চিত্রনায়িকা রত্না কবির। কার্যনির্বাহী সদস্য পদে তৃতীয়বারের মতো তিনি সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছেন। ২০২৪-২৬ মেয়াদের নির্বাচনে ২৮ জন প্রার্থীর মধ্যে ১১ জন সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তাদের মধ্যে মিশা-ডিপজল পরিষদ থেকে ‘ইতিহাস’খ্যাত এই নায়িকা ২৬৩ ভোট পেয়েছেন। এর আগে দুবার শিল্পী সমিতিতে সর্বোচ্চ ভোটে নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। বর্তমানে চতুর্থবারের মতো বাংলাদেশ ফিল্ম ক্লাবে দায়িত্ব পালন করছেন। চারবারই সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছেন রত্না। প্রতিক্রিয়া জানিয়ে রত্না বলেন, এই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। সবাই আমাকে এত ভালোবাসেন, আমি কৃতজ্ঞ। সবসময় শিল্পীদের পাশে থেকে কাজ করব। ১৯৯৫ সালে শহীদুল ইসলাম খোকন পরিচালিত ‘লম্পট’ সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে যাত্রা করেন আলেকজান্ডার বো। পরিচালক শহীদুল ইসলাম খোকনের ‘ম্যাডাম ফুলি’ সিনেমাতে শিমলার বিপরীতে আলেকজান্ডারের অভিনয় প্রশংসিত হয়। তারপর আর তাকে পিছু ফিরে তাকাতে হয়নি। রত্নার ঢালিউড চলচ্চিত্রে প্রায় দুই দশকের ক্যারিয়ার। ২০০২ সালে প্রথম ‘কেন ভালোবাসলাম’ সিনেমার মধ্য দিয়ে নাম লেখান তিনি। একটা সময়ে নিয়মিত অভিনয় করলেও পরে কমিয়ে দেন। প্রায় অর্ধশত সিনেমার এই নায়িকা ২০০২ সালে স্কুলে পড়া অবস্থায় প্রথম সিনেমাতে অভিনয় করেন। দশম শ্রেণিতে পড়ার সময় তার হাতে আসে কাজী হায়াৎ পরিচালিত ‘ইতিহাস’ সিনেমার কাজ। এই সিনেমাতে কাজী মারুফের বিপরীতে অভিনয় করে জনপ্রিয়তা পান তিনি। এরপর শুধু এগিয়ে যাওয়ার গল্প।
২১ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৪১

‘কাজ করতে পারেনি বলেই ওদের ভরাডুবি হয়েছে’
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২০২৬ মেয়াদের নির্বাচনে তৃতীয়বারের মতো সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন মিশা সওদাগর। নির্বাচনের পর রোববার (২১ এপ্রিল) প্রথমবারের মতো শিল্পী সমিতিতে যান তিনি।   এফডিসিতে গিয়ে সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে কাজ করার প্রতিশ্রতি দেওয়ার পাশাপাশি নিপুণ প্যানেলের ভরাডুবির কারণও উল্লেখ করেন। অন্যদিকে আজ সমিতিতে উপস্থিত হয়ে শিল্পীদের জন্য ফ্রি চিকিৎসার ঘোষণা দেন ডিপজল। মিশা সওদাগর বলেন, আগামী ২৩ তারিখের পর আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবরের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করব। এরপর অপর প্যানেল থেকে বিজয়ী তিনজনকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করব। পাশাপাশি চলচ্চিত্রের অন্যান্য সংগঠনের সঙ্গে বসে পর্যায়ক্রমে কাজগুলোও সম্পন্ন করব ইনশাআল্লাহ। এদিকে নিপুণ প্যানেলের ভরাডুবি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ওরা কাজ করতে পারেনি বলেই ভরাডুবি হয়েছে। শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সহসভাপতি পদে জয়ী হয়েছেন মাসুম পারভেজ রুবেল (২৩১) ও ডি এ তায়েব (২৩৪), সহ-সাধারণ সম্পাদক আরমান (২৩৭), সাংগঠনিক সম্পাদক জয় চৌধুরী (২৫৫), আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক আলেকজান্ডার বো (২৯৬), দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক জ্যাকি আলমগীর (২৪৫), সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক মামনুন হাসান ইমন (২৩৫) এবং কোষাধ্যক্ষ পদে কমল (২৩১)। কার্যনির্বাহী সদস্য পদে মিশা-ডিপজল পরিষদ থেকে নির্বাচিত হয়েছেন ৯ জন। তারা হলেন সুচরিতা (২২৮), রোজিনা (২৪৩), আলীরাজ (২৩৯), সুব্রত, দিলারা ইয়াসমিন (২১৮), শাহনূর (২৪৫), নানা শাহ (২১০), রত্না কবির (২৬৩) ও চুন্নু (২৪৮)। গত ১৯ এপ্রিল কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে সকাল সাড়ে নয়টায় এফডিসির শিল্পী সমিতির কার্যালয়ে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। শেষ হয় সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর শিল্পী সমিতির নির্বাচনে ৫৭০ ভোটের মধ্যে ভোট পড়েছে ৪৭৫টি। এবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরু।  
২১ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৩৭

শিল্পী সমিতির নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন না ফেরদৌস-মৌসুমী
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন আগামীকাল ১৯ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন ঘিরে শিল্পীদের মাঝে বিরাজ করছে চাপা উত্তেজনা। অনেকে এরইমধ্যে বেছে নিয়েছেন পছন্দের প্রার্থী। তবে  নির্বাচনে ভোট দিতে পারছেন না চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ ও চিত্রনায়িকা মৌসুমী। ভোট দিতে না পারার পেছনে বিশেষ কোনো কারণ নেই। দেশের বাইরে অবস্থানের কারণে ভোট দিতে পারছেন না খায়রুন সুন্দরী সিনেমার এই জুটি।  ফেরদৌসের ঘনিষ্ঠ এক সূত্র জানিয়েছে, দুদিন আগে কানাডায় গেছেন ফেরদৌস। সেখান থেকে যাবেন যুক্তরাষ্ট্রে। আগামী ২০-২১ এপ্রিল নিউইয়র্কের জ্যামাইকা পারফর্মিং আর্টস সেন্টারে আয়োজিত ‘সুচিত্রা সেন আন্তর্জাতিক বাংলা চলচ্চিত্র উৎসব’-এ অতিথি হিসেবে থাকবেন তিনি। সেখানে তার সঙ্গে অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন কলকাতা বাংলা সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। ফলে আগামীকাল শিল্পী সমিতির নির্বাচনে ভোট দিতে পারছেন না তিনি। অন্যদিকে মৌসুমীর স্বামী ওমর সানী জানিয়েছেন, মৌসুমী এখন আমেরিকাতে অবস্থান করছে। মেয়ে ফাইজার লেখাপড়ার জন্য এ বছরটা তাকে আমেরিকায় থাকতে হবে। সে তো দেশেই নেই। সুতরাং ভোট দেওয়ার তো প্রশ্নই আসে না।  এই নির্বাচনে ৬ জন স্বতন্ত্রসহ ২টি প্যানেল থেকে ৪৮ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। প্যানেল দুটি হলো মিশা-ডিপজল ও মাহমুদ কলি-নিপুণ।
১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:৩৯

সাম্প্রতিক ঘটনা নিয়ে বুয়েট শিক্ষক সমিতির উদ্বেগ
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সাম্প্রতিক ঘটনাবলি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বুয়েট শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদ। সোমবার (৮ মার্চ) বুয়েট শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. এ কে এম মনজুর মোরশেদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৮ মার্চ থেকে উদ্ভূত ঘটনাবলিতে (রাত্রি দ্বিপ্রহরে একটি ছাত্রসংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতাদের বুয়েট ক্যাম্পাসে অনাহুত আগমন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, ছাত্রকল্যাণ পরিচালকের পদত্যাগ দাবি, সংশ্লিষ্ট কয়েকজন বুয়েটছাত্রের বহিষ্কার দাবি, উপাচার্যসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষকদের সাথে যথাযথ আচরণ না করা, টার্ম-ফাইনাল পরীক্ষা বর্জন, ১ এপ্রিল হাইকোর্ট কর্তৃক বুয়েটে রাজনীতি নিষিদ্ধে জারিকৃত আদেশ স্থগিতকরণ, শিক্ষার্থীদের অব্যাহত আন্দোলন এবং একাডেমিক কার্যক্রমে স্থবিরতা) বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি (প্রবিশিস) উদ্বেগ প্রকাশ করছে। একইসঙ্গে কিছু পর্যবেক্ষণ সন্নিবেশ করছে- প্রথমত, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসসহ শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিরাপত্তার দায়িত্ব রেজিস্ট্রারের। সবার নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার জন্য রেজিস্ট্রারের মাধ্যমে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানানো যাচ্ছে। নিষিদ্ধ-ঘোষিত সংগঠনের ইমেইল প্রেরণ শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়িয়েছে। এ ব্যাপারে জাতীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর দৃষ্টি আকর্ষণের আহ্বান জানাচ্ছি। দ্বিতীয়ত, সাংগঠনিক রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করে দেওয়া জরুরি বিজ্ঞপ্তির কার্যকারিতা স্থগিত করার যে রায় গত ১ এপ্রিল হাইকোর্টে দিয়েছেন তার বিপরীতে আপিল করার বিষয়টিতে প্রশাসন জরুরি ভিত্তিতে উদ্যোগী হবেন এবং এ ব্যাপারে শিক্ষক সমিতি সব ধরনের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত রয়েছে। তৃতীয়ত, ২০১৯ পরবর্তী বছরগুলোতে বুয়েটে শিক্ষা কার্যক্রম অবাধে চলেছে এবং সুষ্ঠু একাডেমিক পরিবেশ বজায় ছিল। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ বজায় রাখা, নিরাপদ রাখা, বিদ্যাচর্চা অক্ষুণ্ণ রাখা ইত্যাদি আমাদের সবার দায়িত্ব। শিক্ষক সমিতি এমন পরিবেশই প্রত্যাশা করে। এমন অবস্থায় বর্তমান অচলাবস্থা নিরসন এবং স্বাভাবিক একাডেমিক কার্যক্রম চালুর দাবি জানাচ্ছে শিক্ষক সমিতি। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, একটি শান্তিপূর্ণ, স্থিতিশীল এবং নিষ্কলুষ ক্যাম্পাস আমাদের সবার কাম্য। সব অংশীজনের সহযোগিতা ও দায়িত্বশীল আচরণের মাধ্যমে অচিরেই সে অবস্থা ফিরে আসবে বলে শিক্ষক সমিতি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে।
০৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৫১

তারা কি শিল্পী সমিতিকে গার্মেন্টস সমিতি বানাতে চায়, প্রশ্ন ডিপজলের
প্রতারণা ও চাঁদাবাজির অভিযোগে জেল ফেরত হেলেনা জাহাঙ্গীরকে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সদস্যপদ দিয়েছে ইলিয়াস কাঞ্চন ও নিপুণের নেতৃত্বাধীন কমিটি। এমনকি সমিতির সদস্য হওয়ার জন্য একজন শিল্পীর যে যোগ্যতা লাগে (ন্যূনতম পাঁচটি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে অবিতর্কিত চরিত্রে অভিনয় করতে হয়) তা তার ছিল না। তারপরও হেলেনা জাহাঙ্গীরকে সমিতির সদস্য পদ দেওয়া হয়েছে। এখন তিনি ১৯ এপ্রিল অনুষ্ঠিতব্য শিল্পী সমিতির নির্মাচনে কলি-নিপুণ পরিষদে কার্যকরী সদস্য পদে নির্বাচন করবেন। সম্প্রতি হেলেনা জাহাঙ্গীর সাংবাদিকদের বলেছেন, আমার গার্মেন্টস কারখানা আছে। সংস্কৃতি অঙ্গনের যাদের চাকরি লাগবে, তাদের আমি চাকরি দিতে পারব। এ জন্য কলি-নিপুণ পরিষদের যে অফার ছিল তা লুফে নিয়েছি। শিল্পীদের গার্মেন্টসে চাকরি দেওয়া হবে তার এ মন্তব্যে চলচ্চিত্রাঙ্গণে সমালোচনা শুরু হয়েছে। এ সমালোচনা যতটা না হেলেনা জাহাঙ্গীরের হচ্ছে, তার চেয়ে বেশি হচ্ছে কলি-নিপুণ পরিষদের। কারণ, হেলেনা জাহাঙ্গীরকে কলি-নিপুণ পরিষদ থেকে শিল্পীদের গার্মেন্টসে চাকরি দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এ ব্যাপারে চলচ্চিত্রের মুভিলর্ডখ্যাত ডিপজল তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, প্রথমত হেলেনা জাহাঙ্গীরকে আমি চিনি না। তিনি সিনেমা করেছেন বলে আমার জানা নেই, চলচ্চিত্রে কোনোদিন দেখিনি। তিনি যদি শিল্পীদের গার্মেন্টসে চাকরি দেওয়ার কথা বলে থাকেন, তা কোনোভাবেই একজন শিল্পীর কথা হতে পারে না। কারণ, যিনি শিল্পী হয়েছেন, তিনি অভিনয়ের জন্যই শিল্পী হয়েছেন। এটা তার পেশা-নেশা। একজন শিল্পী না খেয়ে থাকলেও সে শিল্পী। এখানেই তার রিজিক। আল্লাহ যাকে যেখানে রিজিক দিয়েছেন, সে সেখান থেকেই রিজিক পাবে। যিনি গার্মেন্টসে কাজ করেন, রিকশা চালান, ব্যবসা করেন, চাকরি করেন, তার সেখানেই রিজিক। শিল্পীরও অভিনয়ের মাধ্যমে রিজিক আসে। তবে শিল্পীদের পেশাটা অন্যদের চেয়ে আলাদা। শিল্পী কাজ না করলেও সে শিল্পী। এর বাইরে তার যাওয়ার সুযোগ খুব কম। হেলেনা জাহাঙ্গীর যে কথা বলেছেন, তা শিল্পীদের জন্য অবমাননাকর। আমি বলছি না, গার্মেন্টসে কাজ করা খারাপ। অবশ্যই সেটা ভালো। তবে যার যেটা পেশা নয়, সে অন্য পেশায় গিয়ে তা করতে পারবে না। হেলেনা জাহাঙ্গীর কি অভিনয় করতে পারবে? পারবে না। আর শিল্পী সমিতি তো আর গার্মেন্টস শ্রমিকদের সংগঠন নয় যে, সদস্যদের গার্মেন্টসে চাকরি দেবে। ডিপজল বলেন, এটা কেমন কথা! কোথায় সিনেমা নির্মাণ করে শিল্পীদের কাজে লাগাবে, তা না, অন্য পেশায় শিল্পীদের কাজে লাগাতে চায়। তাহলে, শিল্পী সমিতি ও শিল্পীদের কাজ কি? কলি-নিপুণ পরিষদ এমন অফার হেলেনা জাহাঙ্গীরকে দেয় কী করে! তারা যদি তাকে সিনেমা বানানোর অফার দিয়ে শিল্পীদের কাজের ব্যবস্থার কথা বলত, তাহলে একটা কথা হতো। আমি তাদের অভিনন্দন জানাতাম। যদিও গত বছর ইলিয়াস কাঞ্চন-নিপুণ প্যানেল ছয়টি সিনেমা বানাবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, নির্বাচিত হওয়ার পর সেই প্রতিশ্রুতি তারা পালন করেনি। এবার শিল্পীদের গার্মেন্টসে চাকরি দেয়ার কথা বলছে! হেলেনা জাহাঙ্গীরের কথা শুনে প্রশ্ন জেগেছে, কলি-নিপুণ পরিষদ কি শিল্পী সমিতিকে গার্মেন্টস সমিতি বানাতে চায়? আমি গার্মেন্টস শিল্পের প্রতি সম্মান রেখে বলছি, একজন শিল্পী হিসেবে এমন কথায় আমি লজ্জিত। যারা শিল্পী তারা যদি গার্মেন্টসে চাকরি করতে চাইত, তাহলে সিনেমায় আসত না। গার্মেন্টস বা অন্য পেশায় কাজ করত।
০৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:৪৮

বরগুনা জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আসলাম, সম্পাদক হাবিব
বরগুনা জেলা আইনজীবী সমিতির বার্ষিক সাধারণ নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। মাহবুবুল বারি আসলাম সভাপতি ও মো. হাবিবুর রহমান আকন সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। শুক্রবার (৫ এপ্রিল) আইনজীবী সমিতির প্রধান নির্বাচন কমিশনার অ্যাডভোকেট মো. সোহরাফ হোসেন মামুন সন্ধ্যার পরে আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন। বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে। বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ কার্যনির্বাহী কমিটির ১৫টি পদের মধ্যে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ১২টি পদ পেয়েছে। জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম পেয়েছে সহ-সভাপতিসহ তিনটি পদ। বরগুনা জেলা আইনজীবী সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভা বৃহস্পতিবার সমিতির হল রুমে অনুষ্ঠিত হয়। শুক্রবার সকাল ৯টা হতে বিরতিহীনভাবে দুপুর ১টা পর্যন্ত ভোট নেওয়া হয়। মোট ৩০০ জন ভোটারের মধ্যে ২৮৮ জন আইনজীবী তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট প্রদান করেছেন। সন্ধ্যার পরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার মো. সোহরাফ হোসেন আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন। সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সদস্য মাহবুবুল বারি আসলাম। সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সদস্য মো. হাবিবুর রহমান আকন। সহসভাপতি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় হয়েছেন তিনজন যথাক্রমে মিজানুর রহমান মজনু, জাবির হোসেন ও মো. মোহসিন। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন তিনজন যথাক্রমে আবদুল্লাহ আল মামুন, টিটপ কুমার রায় বিটুল, ইসহাক হোসেন বাচ্চু। মহিলা বিষয়ক সম্পাদক উম্মে সালমা নাতাশা, গ্রন্থাগার সম্পাদক মো. কবির হোসেন, ক্রীড়া ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক জাকির খান বশির, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক আঞ্জুমান আরা লুইস, সদস্য তিনজন যথাক্রমে আক্তারুজ্জামান বাবুল, মাহিন মেহেরাব অনিক ও আহাদ রহমান জিতু।
০৫ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:৩২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়