• ঢাকা শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১
logo

জয় চৌধুরীকে আজীবনের জন্য বয়কটের ঘোষণা

বিনোদন ডেস্ক, আরটিভি

  ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৩৪
জয় চৌধুরী
জয় চৌধুরী

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত কমিটির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান ছিল মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল)। এদিন এফডিসিতে অনুষ্ঠানটি সুষ্ঠুভাবে শেষ হওয়ার পরেই সাংবাদিকদের সঙ্গে অপ্রীতিকর ঘটনায় জড়ায় শিল্পীরা। ইতোমধ্যে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় দুজন সদস্যকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে শিল্পী সমিতি।

এ ছাড়া সংগঠনটির সাংগঠনিক সম্পাদক জয় চৌধুরী হামলার নেতৃত্ব দেওয়া ও ঔদ্ধত্বপূর্ণ আচরণ করায় তাকে আজীবনের জন্য বয়কটের ঘোষণা দিয়েছেন সাংবাদিকরা। পাশাপাশি প্রতি বছর ২৩ এপ্রিলকে ‘কালো দিবস’ হিসেবেও ঘোষণা করা হয়েছে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) রাতে এফডিসিতে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে এই ঘোষণা দিয়ে লিমন আহমেদ বলেন, সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় অভিনেতা শিবা শানু ও সুশান্তকে এক মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ন্যক্কারজনক এই ঘটনার দিন ২৩ এপ্রিলকে ‘কালো দিবস’ হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিনোদন সাংবাদিকরা।

এর আগে এফডিসির ঘটনার তদন্তের জন্য ২৪ এপ্রিল সন্ধ্যায় ১০ সদস্যের একটি কমিটি বসে। যেখানে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে ছিলেন লিমন আহমেদ, রাহাত সাইফুল, আহমেদ তৌকীর, বুলবুল আহমেদ জয়, আবুল কালাম।

অন্যদিকে শিল্পী সমিতির পক্ষ থেকে ছিলেন মিশা সওদাগর, ডি এ তায়েব, নানা-শাহ, রুবেল ও রত্না। তদন্ত কমিটির উপদেষ্টা হিসেবে ছিলেন প্রযোজক আরশাদ আদনান। এছাড়াও সিনিয়র সাংবাদিক রিমন মাহফুজ ও কামরুজ্জামান বাবুসহ বেশ কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক শেষে সাংবাদিক লিমন আহমেদ বলেন, আলোচনা শুরুর পরও জয় চৌধুরী তার ঔদ্ধত্বপূর্ণ আচরণ চালিয়ে যান। তিনি কারও কথা মানতে নারাজ। তাই তাকে আজীবনের জন্য বয়কটের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, শিল্পী সমিতি যদি জয় চৌধুরীকে নিয়ে কোনো কার্যক্রমে অংশ নেন, তাহলে সমিতিকেও বয়কট করা হবে। এমনকি কোনো প্রযোজক বা পরিচালক সিনেমা নির্মাণ করলে তাদের সংবাদ পরিবেশন থেকেও বিরত থাকা হবে।

২৩ এপ্রিলকে ‘কালো দিবস’ পালন করা হবে জানিয়ে লিমন বলেন, এই তারিখে বিনোদন সাংবাদিকরা কোনো সিনেমার খবর প্রকাশ করবে না। এখন থেকে প্রতি বছর ২৩ এপ্রিল ‘কালো দিবস’ হিসেবে পালন করা হবে।

জানা গেছে, নবনির্বাচিত কমিটির শপথগ্রহণ শেষে শিল্পী সমিতির সদস্য শিবা সানুর সঙ্গে ইউটিউবারদের কথা–কাটাকাটি শুরু হয়। একটাপর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। কথা–কাটাকাটির এক পর্যায়ে সাংবাদিকেরা হাজির হলে তাদের সঙ্গেও বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। সন্ধ্যা সোয়া ছয়টার দিকে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে।

মূলত চিত্রনায়িকা ময়ূরীর মেয়ের সাক্ষাৎকার চাওয়াতেই মারামারির সূত্রপাত ঘটেছে বলে জানান জয় চৌধুরী। তিনি বলেন, শপথ শেষে ছিল আমরা সবাই তখন কার্যকরী পরিষদের মিটিং করছি। এ মুহূর্তে ময়ূরী আপু তার মেয়েকে নিয়ে এসেছেন। কিন্তু তিনি ভেতরে ঢুকতে পারছিলেন না বাইরে লোকজনের জন্য।

এমন সময় দু-তিনজন ইউটিউবার, তারা ময়ূরী আপুর মেয়ের হাত ধরে টান দিয়ে বলছেন, ‘তুমি একটা ইন্টারভিউ দিয়ে যাও।’ বারবার তারা এই আবদার করছিলেন। এতে ময়ূরী আপু রেগে গিয়ে বলেন, ‘ও তো সেলিব্রিটি না, ও ইন্টারভিউ দিয়ে কী করবেন?’ এরপরেই আসলে শুরু হয় মারামারির ঘটনা।

প্রত্যক্ষদর্শীদের অনেকেই জানান, এই হামলার মূলহোতা খল অভিনেতা শিবা শানু। এরপর জয় চৌধুরী ও আলেকজান্ডার বো হামলা চালান। হামলার একপর্যায়ে পুরো এফডিসির ফাইট ডিরেক্টররাও হামলায় অংশ নেন।

মন্তব্য করুন

daraz
  • বিনোদন এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
এফডিসিতে মারামারি, যা বললেন অঞ্জনা
২৩ এপ্রিলকে চলচ্চিত্রের কালো দিবস ঘোষণা
এফডিসিতে সাংবাদিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন
শিল্পী সমিতিকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম সাংবাদিকদের
X
Fresh