• ঢাকা রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
logo

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানো নিয়ে যা বললেন মন্ত্রী

আরটিভি নিউজ

  ০৬ মে ২০২৪, ২০:১৭
জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
ফাইল ছবি

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর বিষয়টি সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্তের বিষয় বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আরও আলাপ-আলোচনার প্রয়োজন আছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আপাতত বয়সসীমা বাড়ানোর কোনো সিদ্ধান্ত সরকারের নেই। আগামীতে বাড়াবো কি বাড়াবো না; আর বাড়ালে ভালো হবে কি না- এটা আমাদের নীতিগত সিদ্ধান্তের বিষয়। বিষয়টি আরও আলোচনা-পর্যালোচনা করে ভবিষ্যতে দেখবো- তখন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারবো।

সোমবার (৬ মে) জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে পৃথক দুটি সম্পূরক প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে এসব কথা বলেন ফরহাদ হোসেন।

এর আগে সম্পূরক প্রশ্নে চাঁদপুর-৫ আসনের রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম ও সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য ফরিদা ইয়াসমিন চাকরির বয়সসীমা বাড়ানোর পরিকল্পনা আছে কি না, জানতে চান জনপ্রশাসনমন্ত্রীর কাছে।

রফিকুল ইসলাম তার প্রশ্নে বলেন, সরকারি চাকরিতে যোগদানের যে বয়সসীমা আছে, তা অনেক আগে নির্ধারণ করা হয়েছিল। ইতোমধ্যে আমাদের দেশের মানুষের আয়ুষ্কাল ৬২ বছর থেকে ৭২ বছরে এসে পৌঁছেছে। এ পরিস্থিতিতে সরকারি চাকরিতে যোগদানের বর্তমান বয়সসীমা শিথিল করে অন্তত ৩৫ বছরের কাছে নিয়ে যাওয়া অত্যন্ত যৌক্তিক হবে। এটা হলে কর্মসংস্থানের অভাবে আমাদের হতাশাগ্রস্ত তরুণ ও যুব সমাজ প্রতিযোগিতায় এসে সরকারি চাকরিতে ঢুকতে পারবে। আমি সরকারকে অনুরোধ করবো, বয়সসীমা শিথিল করার সময় এসেছে। আমাদের ‘না’ একটা মনোভাব রয়েছে- এটা থেকে বেরিয়ে ‘হ্যাঁ’-তে চলে আসতে হবে।

জবাবে জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, গত ১৫ বছরে সরকার অনেক যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। চাকরির বয়স ছিল ২৭ বছর, সেখান থেকে বৃদ্ধি করে ৩০ বছরে উন্নীত করা হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য সেটা ৩২ বছর করা হয়েছে। চাকরি থেকে অবসরের বয়স ৫৭ বছর থেকে বাড়িয়ে ৫৯ বছর করা হয়েছে। আমরা সবসময় যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে জনবল কাঠামো ও নিয়োগ প্রক্রিয়া আধুনিকায়ন করে থাকি।

চাকরিতে প্রবেশ ও অবসরের বয়সটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উল্লেখ করে মন্ত্রী এ সময় বলেন, সরকারি চাকরি ঘিরে এখন বেশ আকর্ষণ তৈরি হয়েছে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অত্যন্ত মেধাবীরা ক্যাডার সার্ভিসে যোগদান করছেন। সরকারি চাকরির পরিবেশ থেকে শুরু করে বেতন কাঠামো নতুন প্রজন্মের কাছে বড় আকর্ষণ তৈরি করেছে। সরকারের কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ততা একটি সম্মানের বিষয়। আবার চাকরির নিরাপত্তা থেকে শুরু করে বেতন কাঠামো অত্যন্ত সুন্দর এবং কাজের পরিবেশও সুন্দর হয়েছে।

এরপর সংরক্ষিত আসনের ফরিদা ইয়াসমিন জনপ্রশাসনমন্ত্রীর কাছে প্রশ্ন রাখেন, চাকরির বয়স ৩৫ বছর করার জন্য শিক্ষামন্ত্রী একটি আধাসরকারি পত্র (ডিও লেটার) দিয়েছেন। সরকারের এটা নিয়ে কোনো পরিকল্পনা আছে কি না?

জবাবে মন্ত্রী বলেন, শিক্ষামন্ত্রীর কাছ থেকে এ ধরনের একটি পত্র আমরা ইতোমধ্যে পেয়েছি। আগেই বলেছি এটা আমাদের নীতিগত সিদ্ধান্তের বিষয়। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এ বিষয়ে আরও আলাপ-আলোচনা করবো। তবে আপাতত চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর ক্ষেত্রে আমাদের সিদ্ধান্ত নেই। এটা নিয়ে আরও আলোচনা-পর্যালোচনা করে ভবিষ্যতে দেখবো।

প্রসঙ্গত, সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ থেকে ৩৫ বছরে উন্নীত করতে গত ১৭ এপ্রিল জনপ্রশাসন মন্ত্রী মো. ফরহাদ হোসেনকে একটি চিঠি পাঠান শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। বর্তমানে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ বছর; আর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের ক্ষেত্রে তা ৩২ বছর। এই সীমা বাড়ানোর জন্য বেশ কয়েক বছর ধরেই আন্দোলন করে আসছেন চাকরিপ্রত্যাশীরা। যদিও এখন পর্যন্ত তাতে সাড়া দেয়নি সরকার।

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
মোদি বাংলাদেশ থেকে শিক্ষা নিয়ে ভোট করার চেষ্টা করছেন: কেজরিওয়াল
‘সোনালি আঁশের সুদিন ফিরিয়ে আনতে সব করা হবে’
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক দেখে বিএনপির মাথা খারাপ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকরা কেন ঢুকবে, জানতে চান কাদের
X
Fresh