• ঢাকা সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
মোবাইল ট্র্যাকের মাধ্যমে সন্ধান মিলল ইজিবাইক চালকের মরদেহ
ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার আঞ্জুরুল হক (৪০) নামে এক ইজিবাইক চালকের মরদেহ মোবাইল ট্র্যাকের মাধ্যমে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এর আগে গত দুদিন নিখোঁজ ছিলেন ওই ইজিবাইক চালক।  তিনি উপজেলার মোয়াজ্জেমপুর ইউনিয়নের চান্দুরা গ্রামের বাসিন্দা মো. জসিম উদ্দিনের ছেলে। রোববার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার মুশুলী ইউনিয়নের কাওয়ারগাতি জামতলা নামক স্থানের সড়কের পাশে একটি ডোবা থেকে এই মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ।   ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন নান্দাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল মজিদ আকন্দ। তিনি বলেন, গত ২৬ এপ্রিল (শুক্রবার) বিকেলে নিজের যাত্রীবাহী ইজিবাইক নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন আঞ্জুরুল হক। এরপর ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়ক ছাড়াও স্থানীয় গ্রামীণ সড়কে ভাড়ায় ইজিবাইক চালিয়ে তিনি আর বাড়ি ফিরে আসেননি। এ ঘটনায় ২৭ এপ্রিল সকালে পরিবারের লোকজন তার খোঁজ না পেয়ে নান্দাইল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। পরে পুলিশ তার ব্যবহৃত মোবাইলের সূত্রধরে প্রযুক্তির সহায়তায় জানতে পারেন মোবাইলটি উপজেলার মুশল্লী ইউনিয়নের কোনো এক এলাকায় রয়েছে। কিন্তু অভিযান চালিয়েও আঞ্জুরুল হক বা তার মোবাইল ফোনের সন্ধান পাওয়া যায়নি।  তিনি বলেন, এরপর রোববার সকালে স্থানীয়রা নান্দাইল থানা পুলিশকে জানায় সড়কের পাশের একটি ডোবায় একজনের মরদেহ ভাসছে। পরে পুলিশ সেখান গিয়ে আঞ্জুরুল হকের মরদেহ উদ্ধার করে। এ সময় ঘটনাস্থলের পাশেই একটি স্থান থেকে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটিও উদ্ধার করা হয়।     ওসি আরও বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, এই চালককে হত্যা করে ইজিবাইকটি নিয়ে পালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন, তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।
১০ ঘণ্টা আগে

মোবাইল ভেঙে ফেললেন বাবা, ফাঁস নিল মেয়ে
জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে প্রেমিকের সঙ্গে কথা বলায় মেয়ের মোবাইল ভেঙে দেন বাবা। এতে রাগে-অভিমানে আম গাছে ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বর্ষা আক্তার (১৭) নামে এক কলেজছাত্রী। শনিবার (৬ এপ্রিল) বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার ডোয়াইল ইউনিয়নের লোকনাথপুর এলাকা থেকে তার মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। সে একই এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য মো. রঞ্জু মিয়ার মেয়ে ও ধনবাড়ি উপজেলার মুশুদ্দি রেজিয়া কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী ছিল।  পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, প্রতিবেশী সুরুজ মিয়ার ছেলের সঙ্গে বর্ষার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। প্রেমিকের সঙ্গে মোবাইলের মাধ্যমে কথা বলতো বর্ষা। পরিবারের সদস্যরা তাকে   ওই ছেলের সঙ্গে কথা বলতে নিষেধ করেন বাবা-মা। শুক্রবার (৫ এপ্রিল) রাতে মোবাইলে বর্ষা ওই ছেলের সঙ্গে কথা বলছিল, এটি তার বাবা দেখে ফেলে তাকে বকাবকি করেন। শনিবার সকালে মেয়েকে মারধরের পাশাপাশি মোবাইল ফোন ভেঙে ফেলেন রঞ্জু মিয়া। এতে রাগে-অভিমানে বাড়ির পাশের আমগাছের গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করে বর্ষা। পরে পুলিশ এসে তার মরদেহ উদ্ধার করে। সরিষাবাড়ী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুশফিকুর রহমান বলেন, পরিবারের সঙ্গে অভিমান করে বাড়ির পাশে আম গাছের সঙ্গে ঝুলে বর্ষা আত্মহত্যা করেছে। এ ঘটনায় পরিবারের কোনো অভিযোগ নেই।
০৬ এপ্রিল ২০২৪, ২২:৫২

মোবাইল ব্যবহারে দেশে পুরুষদের পেছনে ফেলেছেন নারীরা
দেশে গত কয়েক দশকে বেড়েছে মোবাইল ও তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার। আর মোবাইল ব্যবহারে দেশে পুরুষদের তুলনায় এগিয়ে আছে নারীরা। দিন দিন পুরুষদের মধ্যে মোবাইল ব্যবহারে আগ্রহ কমছে, অন্যদিকে নারীদের আগ্রহ বাড়ছে।  সম্প্রতি প্রকাশিত বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) এক জরিপ প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। বিবিএস এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২২ সালে পুরুষ মোবাইল ব্যবহারকারী ছিল ৮৬ দশমিক ৯ শতাংশ, যা ২০২৩ সালে কমে হয়েছে ৮৬ দশমিক ৫ শতাংশ। বছরের ব্যবধানে শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ কমেছে মোবাইল ব্যবহারকারী পুরুষ। অন্যদিকে, ২০২২ সালে নারী মোবাইল ব্যবহারকারীর হার ছিল ৬১ দশমিক ৪ শতাংশ, যা ২০২৩ সালে বেড়ে হয়েছে ৬২ দশমিক ৮ শতাংশ। অর্থাৎ বছরের ব্যবধানে নারী ব্যবহারকারী যেখানে বেড়েছে ১ দশমিক ৪ শতাংশ, সেখানে পুরুষ ব্যবহারকারী কমেছে শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ। এদিকে মোবাইল ফোন ব্যবহারের দিক থেকে গ্রাম ও শহরের মধ্যে ছিল বিস্তর বৈষম্য। তবে দিন দিন সেই বৈষম্য দূর হচ্ছে। বর্তমানে শহরের সঙ্গে তাল মিলিয়ে গ্রামেও বাড়ছে মোবাইল-ইন্টারনেটের ব্যবহার। এমনকি বৃদ্ধির হার শহরের তুলনায় এখন গ্রামে অনেক বেশি। শুধু তাই নয়, বর্তমানে শহরে কমছে মোবাইল ফোন ব্যবহারের হার। যদিও এখনো মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী শহরে বেশি। বিবিএসের প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, বর্তমানে দেশে ১৫ বছরের ঊর্ধ্বে মোবাইল ব্যবহারকারীর হার মোট জনসংখ্যার ৭৪ দশমিক ২ শতাংশ। ২০২২ সালে এই হার ছিল ৭৩ দশমিক ৮ শতাংশ। এই হার শহরে ৮২ দশমিক ৭ শতাংশ এবং গ্রামে ৭১ দশমিক ৬ শতাংশ। এই হিসাবে এখনো শহরে মোবাইলের ব্যবহার বেশি। তবে বৃদ্ধির হার শহরের তুলনায় গ্রামে বেশি। ২০২০ সালে গ্রামে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর হার ছিল ৬৯ দশমিক ৭ শতাংশ। ২০২৩ সালে সেটা বেড়ে হয়েছে ৭১ দশমিক ৬ শতাংশ। অর্থাৎ তিন বছরের ব্যবধানে প্রায় দুই শতাংশ বেড়েছে ব্যবহারকারী। আর ২০২২ সালে ছিল ৭১ শতাংশ। বছরের ব্যবধানে বেড়েছে শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ। অন্যদিকে, ২০২২ সালে শহরে মোবাইল ব্যবহারকারীর হার ছিল ৮৩ দশমিক ১ শতাংশ। ২০২৩ সালে কমে হয়েছে ৮২ দশমিক ৭ শতাংশ। বছরের ব্যবধানে কমেছে শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ। আর ২০২০ সালে শহরে ৮২ দশমিক ৫ শতাংশ মোবাইল ব্যবহারকারী ছিল। চার বছরে বেড়েছে মাত্র শূন্য দশমিক ২ শতাংশ। অর্থাৎ চার বছরের ব্যবধানে শহরের চেয়ে গ্রামে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী বেড়েছে ১ দশমিক ৭ শতাংশ। শহরের সঙ্গে গ্রামেও বাড়ছে ইন্টারনেটের ব্যবহার। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২২ সালে গ্রামে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর হার ছিল ৪১ দশমিক ২ শতাংশ, যা ২০২৩ সালে বেড়ে হয়েছে ৪৬ দশমিক ১ শতাংশ। অর্থাৎ বছরের ব্যবধানে গ্রামে ৫ শতাংশ হারে বেড়েছে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী। শহরে এই সময়ে ইন্টারনেটের ব্যবহার বেড়েছে ৩ দশমিক ৫ শতাংশ। অর্থাৎ ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর দিক থেকেও বৃদ্ধির হার শহরের তুলনায় গ্রামে বেশি। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অতিসম্প্রতি মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেটের ব্যবহার বাড়ার পেছনে রয়েছে অনলাইন জুয়া ও পর্নোগ্রাফি। অনলাইনে জুয়া খেলার হার সবচেয়ে বেশি। তথ্যপ্রযুক্তির নেতিবাচক ব্যবহার বন্ধে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তারা। বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, গ্রামের অনেকে প্রবাসে থাকে, তাদের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য মোবাইলের ব্যবহার বাড়ছে। একই সঙ্গে মানুষের সক্ষমতাও আগের থেকে বেড়েছে। তবে গ্রামে মোবাইল ব্যবহারকারী বাড়ার পেছনে বর্তমানে অন্যতম কারণ অনলাইন জুয়া ও পর্নোগ্রাফি। এ কারণে ইন্টারনেটের ব্যবহারও বেড়েছে। তিনি বলেন, গ্রামের কিশোর-তরুণরা অনলাইনে জুয়ায় আসক্ত হচ্ছে। এ ছাড়া পর্নোগ্রাফি দেখার প্রবণতাও রয়েছে। পাশাপাশি অনেকে মোবাইলে গেম খেলে। এসব কারণে মোবাইল ও ইন্টারনেট ব্যবহার বাড়ছে। শহরে কমার বিষয়ে তিনি বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের বিভিন্ন ডিভাইসের সহজলভ্যতা এবং বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকার কারণে শহরে মোবাইলের ব্যবহার কম। মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, শহরের সঙ্গে গ্রামেও ব্যবহারকারী বাড়াটা ভালো খবর। তবে গ্রামপর্যায়ে এটার নেতিবাচক প্রভাব বেশি পড়ছে। এখান থেকে উত্তরণে বিটিআরসিকে আমরা বারবার অনুরোধ জানিয়েছিলাম, কিন্তু তেমন কোনো উদ্যোগ দেখা যায় না।
৩০ মার্চ ২০২৪, ১৩:১৩

ইন্টারনেট গ্রাহক কমেছে ৩৫ লাখ
দেশে মোবাইল ইন্টারনেটের গ্রাহক দিন দিন কমেই চলেছে। পাঁচ মাসের ব্যবধানে ৩৫ লাখ গ্রাহক কমেছে। গ্রাহকরা জানান, প্যাকেজ সমন্বয়ের নামে মোবাইল অপারেটরগুলো ইন্টারনেটের দাম বাড়ানোই তারা ব্যবহার কমিয়ে দিয়েছেন। বিটিআরসির অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্যানুযায়ী—২০২৩ সালের আগস্টে মোবাইল ইন্টারনেটের গ্রাহক বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ১১ কোটি ৯৭ লাখ ৯০ হাজার। এরপর সেপ্টেম্বর থেকে গ্রাহক কমতে শুরু করে। সেপ্টেম্বরে ২০ হাজার গ্রাহক কমে ১১ কোটি ৯৭ লাখ ৭০ হাজারে নেমে যায়। অক্টোবরে এক লাফে ৩ লাখ ৬০ হাজার গ্রাহক কমে দাঁড়ায় ১১ কোটি ৯৪ লাখ ১০ হাজারে। নভেম্বর প্রায় ৫ লাখ গ্রাহক কমে যায়। ওই মাসে গ্রাহক ছিল ১১ কোটি ৮৯ লাখ ৬০ হাজার। এরপর ডিসেম্বর তা কমে ১১ লাখ ৮৪ লাখ ৯০ হাজারে নেমে যায়। সবশেষ জানুয়ারি মাসে মোবাইল ইন্টারনেট গ্রাহক সংখ্যা কমে ১১ কোটি ৬০ লাখ ৩০ হাজারে নামে। ইন্টারনেটের সমস্যা নিয়ে ফেসবুকের একটি গ্রুপে আলোচনা করে থাকেন গ্রাহকরা।  গ্রুপে সাজ্জাদুল ইসলাম নামে একজন লেখেন, ‘ইন্টারনেটের প্যাকেজগুলো এমনভাবে তৈরি করা হচ্ছে, যাতে ন্যূনতম ব্যবহারের জন্য সাতদিনের প্যাকেজ কিনতেও ২০০ টাকা খরচ হচ্ছে। আবার অনেক সিমে ঠিকমতো নেটওয়ার্কও পাওয়া যায় না। এজন্য মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার বন্ধ করে দিয়েছি।’ এ বিষয়ে মোবাইল অপারেটর রবি আজিয়াটা লিমিটেডের চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার সাহেদুল আলম গণমাধ্যমকে জানান, নতুন সিদ্ধান্তে ছোট প্যাকেজ কেনা গ্রাহকরা ডাটা কেনা বন্ধ করে দিয়েছেন। আগে যারা তিনদিনের প্যাকেজ কিনতেন, এখন দাম বেশি বলে কিনছেন না তারা। তাই ইন্টারনেট গ্রাহকও কমছে। বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে বিটিআরসির মহাপরিচালক (এসএস) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খলিলুর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি পর্যালোচনা করা হচ্ছে। পাশাপাশি গণশুনানির আয়োজন করা হচ্ছে। সেখানে গ্রাহকরা কী বলেন, সেটা আমরা শুনবো এবং তা আমলে নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
২৬ মার্চ ২০২৪, ০৮:১৯

মোবাইলে প্রতিদিন ৪ হাজার ১৭৫ কোটি টাকা লেনদেন
মোবাইল ব্যাংকিং সেবায় চলতি বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে ১ লাখ ২৯ হাজার ৪৪৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। এই অঙ্ক এ যাবৎকালের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেকর্ড লেনদেন। বুধবার (২০ মার্চ) মোবাইল আর্থিক সেবার (এমএফএস) হালনাগাদ পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে দেখা গেছে- বিকাশ, রকেট, নগদের মতো মোবাইল ব্যাংকিং সেবায় চলতি বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে ১ লাখ ২৯ হাজার ৪৪৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। এই অঙ্ক এ যাবৎকালের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেকর্ড লেনদেন। এর আগে একক মাসে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছিল গত বছরের জুনে ১ লাখ ৩২ হাজার ১৭৫ কোটি টাকা। মোবাইল ব্যাংকিংয়ে লেনদেলেন পাশাপাশি দিনদিন বাড়ছে গ্রাহক সংখ্যা। বর্তমানে বিকাশ, রকেটের, ইউক্যাশ, মাই ক্যাশ, শিওর ক্যাশসহ নানা নামে ১৩টির মতো ব্যাংক ও প্রতিষ্ঠান এমএফএস সেবা দিচ্ছে। ২০২৪ সালের জুন মাস শেষে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে নিবন্ধিত গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২১ কোটি ৯১ লাখ ৭৩ হাজার জন। নিবন্ধিত এসব হিসাবের মধ্যে পুরুষ গ্রাহক ১২ কোটি ৭১ লাখ ৮১ হাজার ও নারী ৯ কোটি ১৩ লাখ ৭৯ হাজার। এ সময়ে মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্টের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭ লাখ ৩৯ হাজার ৩২১টি। বর্তমানে গ্রাহক ঘরে বসেই ডিজিটাল কেওয়াইসি (গ্রাহকসম্পর্কিত তথ্য) ফরম পূরণ করে সহজেই এমএফএস সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানে হিসাব খুলতে পারছেন। ফলে গ্রাহক ঝামেলামুক্তভাবে হিসাব খুলতে পারছেন।  প্রসঙ্গত, ২০১০ সালে মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ২০১১ সালের ৩১ মার্চ বেসরকারি খাতের ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালুর মধ্য দিয়ে দেশে মোবাইল ফিন্যানসিয়াল সার্ভিসের (এমএফএস) যাত্রা শুরু হয়। এরপর ব্র্যাক ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালু করে বিকাশ। বর্তমানে দেশে মোবাইল ব্যাংকিং সেবার সিংহভাগই বিকাশের দখলে। এরপর ‘নগদ’-এর অবস্থান। শুধু লেনদেন নয়, মোবাইল ব্যাংকিংয়ে যুক্ত হচ্ছে অনেক নতুন নতুন সেবাও। বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানির বিল, কেনাকাটার বিল পরিশোধ, মোবাইল রিচার্জ, বেতন-ভাতা প্রদান, রেমিট্যান্স তথা বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের সেবা দেওয়া হচ্ছে।
২১ মার্চ ২০২৪, ০৮:৪৯

খরচ বেড়েছে মোবাইল ইন্টারনেটের
চলতি বছরে মোবাইল ইন্টারনেটের দাম প্রতি জিবিতে গড়ে বেড়েছে ২০ টাকা। গ্রামীণফোনের ইন্টারনেটের দাম প্রতি জিবিতে বেড়েছে ২১ টাকা। আর রবি ও বাংলালিংকের দাম বেড়েছে জিবিতে ২০ টাকা।   এই তিন কোম্পানির সিম দিয়ে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের খরচ বেড়ে গেছে ৩০ শতাংশ। তবে রাষ্ট্রায়ত্ত মোবাইল অপারেটর কোম্পানি টেলিটকের ইন্টারনেটের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন। জানা গেছে, ২০২৩ সালের ১৫ অক্টোবর থেকে ৩ থেকে ১৫ দিনের ইন্টারনেট প্যাকেজ বন্ধ করে দেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। পাশাপাশি ইন্টারনেট প্যাকেজের সংখ্যা ৯৫ থেকে কমিয়ে ৪০টিতে নামিয়ে আনা হয়। এর ফলে ইন্টারনেট ব্যবহারে গ্রাহকদের খরচ বাড়ে ১০ থেকে ১৫ টাকা। পরবর্তিতে নির্বাচনের আগে ৬৮ টাকায় দেড় জিবি ইন্টারনেট দেয় অপারেটরগুলো। কিন্ত দুই সপ্তাহ আগে ৬৮ টাকায় এক জিবি ইন্টারনেট পাচ্ছেন গ্রাহকরা। তার আগে এক জিবি ইন্টারনেট ব্যবহারে খরচ ছিল ৪৮ টাকায়। এ প্যাকেজের দাম জাতীয় নির্বাচনের আগে বাড়িয়ে ৬৮-৬৯ টাকা করা হয়। এর প্রতিবাদ জানান গ্রাহকরা। সে সময় তৎকালীন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার কমিশনে অপারেটরদেরকে ডেকে আগের দাম বহাল রাখতে নির্দেশনা দেন। বাধ্য হয়ে অপারেটররা এক জিবি সাতদিন মেয়াদে দাম নির্ধারণ করে দেয় ৪৮ টাকায়। কিন্তু নভেম্বরে দেড় জিবি ইন্টারনেটের প্যাকেজ করা হয় ৬৮-৬৯ টাকায়। ২০ জানুয়ারির পর দেড় জিবির স্থলের ইন্টারনেট প্যাকেজ এক জিবির দাম একই রাখে, অর্থাৎ এক জিবি ইন্টারনেটের দাম ৬৮-৬৯ টাকা নেওয়া হয়। বর্তমানেও ৭ দিন মেয়াদের এক জিবি ইন্টারনেট কিনতে গ্রাহককে গুনতে হচ্ছে ৬৮ থেকে ৬৯ টাকা। ফলে সর্বনিম্ন প্যাকেজের প্রতি জিবির ইন্টারনেটের দাম বেড়েছে ২০- ২১ টাকা । বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, এভাবে ইন্টারনেটের দাম বাড়ানোয় গ্রাহকের মধ্যে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। গ্রাহক সংখ্যাও কমে যাচ্ছে। কেন অপারেটররা ইন্টারনেটের দাম বাড়ালো, তার সঠিক ব্যাখ্যা কমিশনের নেওয়া উচিত। বিটিআরসির তথ্যমতে, গত বছরের ডিসেম্বরে দেশে মোবাইল ইন্টারনেট গ্রাহকের সংখ্যা ছিল ১১ কোটি ৮৪ লাখ। চলতি জানুয়ারিতে সেই সংখ্যা কমে হয় ১১ কোটি ৬৩ লাখ। এরপর ফেব্রুয়ারি মাস পার হলেও এখনো এ মাসের ইন্টারনেট গ্রাহক সংখ্যা প্রকাশ করেনি বিটিআরসি।
১৭ মার্চ ২০২৪, ১৯:৪১

সাবেক সচিবের মেয়ে চুরি করেন ৮০০ মোবাইল  
অবসরপ্রাপ্ত এক যুগ্ম সচিবের মেয়ে জুবাইদা সুলতানা (৪৪) পরিবারের পরিচয় ব্যবহার না করে রাজধানীর অভিজাত পাড়ার বিভিন্ন হোটেল, ক্লাবে ভুয়া পরিচয়ে সেমিনার এবং নানা প্রোগ্রামে রেজিস্ট্রেশন ও অংশগ্রহণ করতেন। এর নেপথ্যে মূল উদ্দেশ্য চুরি। অভিজাত পাড়ায় অভিজাত চোরের খ্যাতি পাওয়া এই নারী গত ১২ বছরে প্রায় আট শতাধিক মোবাইল ফোন চুরি করেছেন। শনিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর মিন্টু রোডে নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। তিনি বলেন, গত ৩ মার্চ ঢাকা ক্লাবে গাইনোকোলজিক্যাল অনকোলজীবিষয়ক এক সিমিনারে অংশগ্রহণ করে জুবাইদা চুরি করেন ডা. ফারহানা হকের মোবাইল, ব্যাগ ও গহনা। ডা. ফারহানা হক গাইনোকোলজিক্যাল অনকোলজী বিভাগের চিকিৎসক। চুরির জিনিসপত্র বিক্রি করে দিলেও তার হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরটি নিজের মোবাইলে হস্তান্তর করে নেন জুবাইদা। সেই থেকে ডা. ফারহানা সেজে ব্যবস্থাপত্র দিয়ে যাচ্ছিলেন বিভিন্ন রোগীদের এবং হাতিয়ে নিচ্ছিলেন মোটা অংকের টাকা। এ বিষয়ে গত ১২ মার্চ রমনা মডেল থানায় একটি মামলা হয়। মামলা হওয়ার পর থেকে এ বিষয়ে ছায়াতদন্ত শুরু করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তদন্তের একপর্যায়ে শুক্রবার (১৫ মার্চ) জুবাইদা সুলতানাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের সময় তার কাছ থেকে নারীদের ১৬টি হ্যান্ডব্যাগ, চারটি মোবাইল, পাঁচটি বিভিন্ন ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড, অলংকার, বিভিন্ন সুপারশপের কার্ড, চারটি পেনড্রাইভ জব্দ করা হয়। ডিবি জানায়, জুবাইদা সুলতানা ১২ বছর ধরে রাজধানীর বিভিন্ন অভিজাত ক্লাব ও হোটেলে চুরি করে আসছিলেন। এ পর্যন্ত প্রায় সাত থেকে আটশ মোবাইল, ল্যাপটপ ও দামি ভ্যানিটি ব্যাগ চুরি করেন অভিজাত এলাকা থেকে। হারুন অর রশীদ বলেন, জুবাইদা অভিজাত চোর। তার টার্গেট চাকরিজীবী নারী ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া নারী শিক্ষার্থীরা। তিনি ঢাকা ক্লাব, গুলশান ক্লাব, রেডিসন এবং সোনারগাঁওয়ের মতো অভিজাত হোটেলে বিভিন্ন সভা-সেমিনারে অংশ নিয়ে চুরি করতেন। চোরাই জিনিস ব্যবহার করে অভিলাষী জীবন যাপন করতেন। তিনি বলেন, গ্রেপ্তার জুবাইদা বিভিন্ন পাঁচতারকা হোটেল ও রেস্টুরেন্টে পেশাজীবী সংগঠনের সভা-সিম্পোজিয়াম, সেমিনারে ভুয়া নাম-ঠিকানা ব্যবহার করে অনলাইন রেজিস্ট্রেশন করে অংশগ্রহণ করতেন। সারাদিন গুরুগম্ভীর আলোচনার ফাঁকে চুরি করে সটকে পরতেন এই নারী। ডিবিপ্রধান বলেন, ১২ বছর ধরে জুবাইদা চুরি করে আসছিলেন। নিজেকে রাখতেন পরিমিতভাবে গুছিয়ে। রেজিস্ট্রেশন করে অংশ নিতেন বড় বড় সভা-সেমিনার ও ওয়ার্কশপে। এসব অনুষ্ঠানে গিয়ে সুকৌশলে চুরি করতেন দামি জিনিসপত্র। তার নিয়মিত যাতায়াত ছিল ঢাকা ক্লাব, গুলশান ক্লাব, উত্তরা ক্লাবসহ বিভিন্ন পাঁচতারকা হোটেল ও রেস্টুরেন্টে। জুবাইদা সুলতানা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন এসব তথ্য। তিনি আরও বলেন, জুবাইদার বাবা একজন অবসরপ্রাপ্ত যুগ্ম সচিব। তার বোন গ্রামীণফোনের একজন বড় কর্মকর্তা। তার এসব খারাপ অভ্যাসের জন্য তাকে পরিবার থেকে বিতারিত করা হয়েছে। জুবাইদা বিয়ে করেছেন দুটি। তার বর্তমান স্বামীর চতুর্থ স্ত্রী তিনি। তার স্বামী বর্তমানে সৌদি প্রবাসী। স্বামী সৌদিতে থাকলেও জুবাইদার চুরি করা জিনিসপত্র বিক্রি করে দেওয়ার ব্যবস্থা করে দিতেন।
১৬ মার্চ ২০২৪, ১৬:১৩

রাজধানীতে মোবাইল চোর চক্রে জড়িত ৬ ভারতীয় আটক  
রাজধানীর বাড্ডায় মোবাইল চোর চক্রের সঙ্গে জড়িত ৬ জন ভারতীয় নাগরিককে আটক করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। আটকরা চোরাই মোবাইল ছাড়াও কসমেটিকস, শাড়ি-কাপড় ও থ্রিপিসসহ বিভিন্ন পণ্য চোরাচালানে যুক্ত বলে জানা গেছে।  বুধবার রাতে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে ডিবির লালবাগ বিভাগ। এসময় তাদের কাছ থেকে ভারত থেকে চুরি করে নিয়ে আসা ২১টি মোবাইল, চোরাচালানের মাধ্যমে ভারত থেকে আনা কসমেটিকস, শাড়ি-কাপড় ও থ্রি-পিস জব্দ করা হয়।  বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) দুপুরে এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানাবেন ঢাকা মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার কে এন রায় নিয়তি। তিনি জানান, দীর্ঘদিন ধরে একটা চক্র বাংলাদেশ থেকে স্মার্টফোন চুরি করে ভারতে পাচার করছিল। আবার ভারতে চুরি যাওয়া কিছু মোবাইল বাংলাদেশে এনেও বিক্রি করে তারা।   ডিএমপির এ কর্মকর্তা আরও জানান, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ও গোয়েন্দা তদন্তে এ রকম একটি চক্রের সন্ধান মেলে রাজধানীর বাড্ডায়। সেখানে অভিযান পরিচালনা করে ভারত থেকে আনা চোরাই ২১টি মোবাইলসহ অনেক চোরাচালান পণ্য জব্দ করা হয়। 
০৭ মার্চ ২০২৪, ১১:৩৪

হারানো ১০৯ মোবাইল উদ্ধার করে মালিককে বুঝিয়ে দিলো পুলিশ
রাজবাড়ীর পাঁচটি থানায় করা ডায়েরির ভিত্তিতে বিভিন্ন সময় হারিয়ে যাওয়া ১০৯টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে জেলা পুলিশ। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে মোবাইল ফোনগুলো উদ্ধার করা হয়। সেইসঙ্গে যাচাই-বাছাই করে প্রকৃত মালিকের কাছে ফোনগুলো হস্তান্তর করেন রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার জি এম আবুল কালাম আজাদ। বুধবার (৬ মার্চ) দুপুরে রাজবাড়ীর পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে মোবাইল ফোন হস্তান্তর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ওই সময় জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় পুলিশ সুপার জি এম আবুল কালাম আজাদ বলেন, রাজবাড়ী জেলা একটি ছোট্ট জেলা। এ জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যথেষ্ট ভালো। এ ছাড়াও প্রান্তিক মানুষের মোবাইলগুলো উদ্ধারের যে কাজটি আমরা করি, এটি খুব আবেগ দিয়ে করি। তিনি বলেন, আমরা অনেক কষ্ট করে মোবাইল উদ্ধার করে যখন মালিকের হাতে তুলে দিতে পারি, তখন তার মুখের হাসি ফোটে। সেটি আমাদেরকে সত্যিকার অর্থে কাজে আরও অনুপ্রাণিত করে। আমরা এই কাজটি সবসময় করে যাব।
০৬ মার্চ ২০২৪, ১৯:৪৩

ঢাবি ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষক সেজে ১০ মোবাইল ছিনতাই
শিক্ষক সেজে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার সময় ভর্তিচ্ছুদের ১০টি মোবাইল ছিনতাই করেছে ছিনতাইকারীরা। শুক্রবার (১ মার্চ) সকালে ঢাবির মোকাররম ভবনে এ ঘটনা ঘটে।  ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা হলেন- তোফায়েল আহমেদ তুষার, ইমরুল হাসান, আব্দুল্লা আল মুফিদ, রাফিদ রহমান মাহিন, শেখ জান্নাত, হাসিবুল হাসান। জানা গেছে, এদিন সকাল ১০টায় পরীক্ষা দিতে শিক্ষার্থীরা মোকাররম ভবনে প্রবেশ করে। এ সময় ছিনতাইকারীরা ফরমাল ড্রেসকোডে বিভিন্ন হলে গিয়ে শিক্ষক পরিচয় দেয়। সেই সঙ্গে পরীক্ষা সংক্রান্ত দিকনির্দেশনা দিয়ে কয়েকজনের মোবাইল জমা নেন এবং পরীক্ষা শেষে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেন।  ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ইমরুল হাসান বলেন, পরীক্ষা শুরুর আগে আমাদের রুমে ঢুকে এক ব্যক্তি শিক্ষক পরিচয় দেয়। মোবাইল ফোন নিয়ে পরীক্ষা দেওয়া যাবে না তাই মোবাইল গুলো ওনার কাছে রাখার জন্য বলেন। তিনি আমাদের কাছ থেকে নাম, মোবাইল নাম্বার নিয়ে আমাদের কাছ থেকে মোবাইল নিয়ে যায়। আমরা পরীক্ষা দিয়ে রুম থেকে বের হয়ে দেখি তিনি আর নেই। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী তোফায়েল আহমেদ তুষার বলেন, আমাদের রুমে এসে এক ব্যক্তি ফোন দিতে বললে আমরা ড্রেস দেখে দিয়ে দেই। পরীক্ষা শেষে তাকে খুঁজে পাচ্ছিলাম না। পরে শুনি আমার সাথে আরও কয়েকজনের ফোন চুরি হয়েছে।  হাসিবুল হাসানে মা বলেন, আমি টাঙ্গাইল থেকে আমার ছেলেকে ভর্তি পরীক্ষা দিতে পাঠিয়েছি। এমন ঘটনা আমাদের অভিভাবকদের জন্য দুশ্চিন্তার কারণ। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ব্যর্থ হয়েছে। এ বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. মাকসুদুর রহমান বলেন, আমি বিষয়টি জানতে পেরেছি। আমরা সিসিটিভি ফুটেজ দেখে বের করবো কে এই কাজটা করেছে। এটা বের না করলে আমাদের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে।  
০২ মার্চ ২০২৪, ০১:৪০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়