• ঢাকা সোমবার, ২৭ মে ২০২৪, ১৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
logo
সোশ্যাল মিডিয়ায় যুগলের ‘সুখি ছবি’, যা বলছে ‘পরকীয়া’ আইন
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই যুগল পিকচার অর্থাৎ স্বামী-স্ত্রীর নানা রঙের নানা ঢঙের ছবি আপলোড করে থাকে। এর মাধ্যমে তারা মূলত বোঝাতে চায় যে, ‘দেখো, আমরা কতটা হ্যাপি। কতটা আনন্দের লাইফ লিড করতেছি।’ তারা কি আসলেই সুখি? আনন্দে আছে? এসব প্রশ্নের উত্তর পেতে হলে যেতে হবে ‘গবেষণায়’। সম্প্রতি একটি গবেষণায় দেখা গেছে, যারা স্বামী-স্ত্রীর ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে জানান দিচ্ছে যে তারা খুব সুখে আছে। খুব শান্তিতে আছে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তারা সুখে কিংবা শান্তিতে নেই। তারা মূলত নিজেদের ভেতরে বহন করা চাপা কষ্ট লুকাতে এসব করছে মাত্র। তাদের উদ্দেশ্য মানুষকে ‘দেখানো’ এই দেখো আমরা ‘হ্যাপি’। বাস্তবতা হচ্ছে, যারা প্রকৃত সুখি পরিবার, যারা আসলেই সংসার জীবনে শান্তিতে আছে তারা কখনোই স্বামী-স্ত্রীর ছবি সোশ্যাল মিডিয়াতে ছেড়ে জানান দেয় না। তাদের স্বামী কিংবা বউদের সোশ্যাল মিডিয়াতে ‘যুগল’ ছবি পোস্টাইয়া প্রমাণ দিতে হয় না, ‘এই যে আপনারা সবাই দ্যাখেন, আমরা কত্ত সুখি! আমরা কত্ত আনন্দে আছি।’ আমুদে-আহ্লাদি সব পোচ দিয়ে ‘যুগল’ ছবি তুলে তা ইচ্ছেমতো এডিট করে ফেসবুকে পোস্টানোর সময় দেওয়া হয় বাহারি ক্যাপশনও। তাতে থাকে, জীবন তুমি, মরণ তুমি। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত যেন তোমারই থাকি। কেউ কেউ লিখে- বেঁচে আছি যতদিন তুমি আছো ততদিন। যুগলরা ‘হাত’ ধরে ছবি তুলে ক্যাপশনে বলে, ‘এই হাত ছাড়ব না কভু’। এখন প্রশ্ন হলো। এত এত ভালোবাসা। অনলাইনে আনন্দ-সুখ-শান্তি জানান দেয়ার পরেও কিভাবে দেশে মহামারি আকার ধারণ করলো পরকীয়া? প্রায় প্রতিদিন খবরের শিরোনাম হয় ‘পরকীয়া’ প্রেম। কোথায় ছড়ায়নি এই ভাইরাস। শহর থেকে গ্রামে- সর্বত্র এর সংক্রমণ। চাকরিজীবীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষও আজ পরকীয়ায় লিপ্ত। এই অবৈধ প্রেম রুখবে কে?  কথা প্রসঙ্গে চলে এলো আমার পরিচিত এক সুখি কাপলের কথা। নাম প্রকাশ না করেই বলছি। তারা ফেসবুকে খুব সুখি জানান দিতো। সোশ্যাল মিডিয়াতেও তারা সুখি জীবনের ব্যাপক প্রচারণা চালাতেন। কিন্তু বউ ও জামাই দুজনই খুব অশান্তিতে ছিলো। ঝগড়া ছিলো তাদের নিয়মিত ঘটনা। তবে ফেসবুকে তারা বেজায় ‘সুখি কাপল’! এমন উদাহরণ কম নয়। এবার আসি পরকীয়া নিয়ে দেশের আইন কী বলে। মূলত দেশের প্রচলিত আইনে ‘পরকীয়া’ সম্পর্কে জাড়ানোকে ব্যভিচার হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে। দণ্ডবিধির ৪৯৭ ধারা অনুযায়ী স্ত্রীর পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ার ক্ষেত্রে আইনি প্রতিকার রয়েছে। তবে একইভাবে স্বামী যদি পরকীয়ায় জড়ায় তখন তার বিরুদ্ধে আইনগত প্রতিকার নেওয়ার সুযোগ নেই। ১৮৬০ সালের দণ্ডবিধির ৪৯৭ ধারায় স্ত্রী পরকীয়া করলে আইনগত প্রতিকার রয়েছে। এই ধারায় বলা হয়েছে, ‘কোনো ব্যক্তি যদি অন্যের স্ত্রী’ অথবা ‘যাকে সে অন্য কোনো ব্যক্তির স্ত্রী বলে জানে’ বা তার অনুরূপ বিশ্বাস করার কারণ আছে এমন কোনো ব্যক্তির সম্মতি ছাড়া এরূপ যৌন সঙ্গম করে, যা নারী ধর্ষণের শামিল নয়, তবে সে ব্যক্তি ব্যভিচারের জন্য দোষী হবে। এমন অপরাধে সাত বছর পর্যন্ত যেকোনো মেয়াদের কারাদণ্ড বা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবে। এক্ষেত্রে দুষ্কর্মের সহযোগী হিসেবে স্ত্রী দণ্ডিত হবে না। অর্থাৎ স্ত্রীর বিরুদ্ধে পরকীয়ার জন্য আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ নেই। তবে যার সঙ্গে যৌন সম্পর্কে জড়িয়েছে, সেই ব্যক্তির এমন কাজ শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে গণ্য হবে।  তবে স্ত্রী যার সঙ্গে পরকীয়ায় জড়াচ্ছে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থার সুযোগ থাকলেও স্বামী পরকীয়ায় জড়ালে তার বিরুদ্ধে বা সে যার সঙ্গে সম্পর্কে জড়াচ্ছে তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ বাংলাদেশের প্রচলিত আইনে নেই। পরকীয়ার ক্ষেত্রে আইনি প্রতিকারে এই বৈষম্য নিয়ে উচ্চ আদালতে একটি ‘রিট’ বিচারাধীন আছে। লেখক: গণমাধ্যমকর্মী ও শিক্ষার্থী, ঢাকা ল’ কলেজ।
১৯ মে ২০২৪, ২৩:৪৪

সোশ্যাল মিডিয়ায় স্টান্টবাজি করে পপুলার হলে গজব নাজিল হয়
এক সময় টেলিভিশন নাটকে নিয়মিত অভিনয় করতেন আদনান ফারুক হিল্লোল। এখন করেন ফুল টাইম ফুড ব্লগিং। ঘুরে বেড়ান এক দেশ থেকে আরেক দেশ। সম্প্রতি এই অভিনেতা সোশ্যাল মিডিয়ায় অতিরিক্ত জনপ্রিয়তা পাওয়া নিয়ে মুখ খুলেছেন। সোমবার (১৩ মে) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে বিষয়টি নিয়ে হিল্লোল একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন।   সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘সোস্যাল মিডিয়ায় স্টান্টবাজি করে অতিরিক্ত পপুলার হতে নাই। আমি খেয়াল করে দেখছি, তাতে করে পরবর্তীতে গজব নাজিল হয়! এমন উদাহরণ বাংলাদেশে অনেকগুলো আছে।’ তবে কাকে উদ্দেশ্য করে এই স্ট্যাটাস, তা তিনি খোলাসা করেননি। আর এখানেই ভক্ত-অনুরাগীদের কৌতূহল। কেউ কেউ ধারণা করছেন, হতে পারে স্ট্যাটাসটি তিনি আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর ইফতেখার রাফসানকে (রাফসান দ্য ছোট ভাই) নিয়ে দিয়েছেন।  কারণ, সম্প্রতি এই কনটেন্ট ক্রিয়েটর তার বাবা ও মাকে একটি দামি গাড়ি উপহার দেন। পরে সেই ভিডিওটি তিনি শেয়ার করেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। শুরু হয় তুমুল আলোচনা। বেরিয়ে আসে রাফসানের বাবা-মার বিরুদ্ধে তিন কোটি ১৫ লাখ টাকা ঋণ পরিশোধ না করার অভিযোগ। এরপরই ঘটনা মোড় নেয় অন্যদিকে। সমালোচনার মুখে পরেন রাফসান।
১৪ মে ২০২৪, ১৭:৩৪

অসুস্থ ছেলেকে নিয়ে বাবা রাজের স্ট্যাটাস
কয়েক দিন ধরেই অসুস্থ পরীমণি-রাজ দম্পতির ছেলে রাজ্য। বর্তমানে ছেলের চিকিৎসার জন্য কলকাতায় রয়েছেন তিনি। আগের চেয়ে এখন অনেকটাই সুস্থ রাজ্য। তবে ছেলের অসুস্থতার খবর ছড়িয়ে পড়ার পরও সেভাবে দেখা যায়নি বাবা রাজকে।  বলা যায়, অসুস্থ ছেলেকে একা হাতেই সামলাচ্ছেন পরী।   আরও পড়ুন : বাংলাদেশের প্রতি স্বস্তিকার ভালোবাসা (ভিডিও)   রাজের সঙ্গে ডিভোর্সের পর পরীমণি স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, ছেলের সম্পূর্ণ দায়িত্ব তিনিই নেবেন। আর সেই কথামতোই ছেলেকে দুহাতে আগলে রেখেছেন তিনি। কাজের ফাঁকে পুরো সময়টা রাজ্যকেই দেন এই নায়িকা। এদিকে ছেলের অসুস্থার এতোদিন পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছেলেকে নিয়ে স্ট্যাটাস দিয়েছেন রাজ। সম্প্রতি নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে অভিনেতা লেখেন, ‘শাহীম মুহাম্মদ রাজ্য।’ সঙ্গে জুড়ে দিয়েছেন একটি ভালবাসার ইমোজি। পোস্টটি করার সঙ্গে সঙ্গেই সাত হাজারেরও বেশি প্রতিক্রিয়া পড়েছেন নেটিজেনদের। রীতিমতো মন্তব্যের ঝড় উঠেছে রাজের কমেন্টসবক্সে।  কলকাতায় যাওয়ার পর ভীষণ অসহায় হয়ে পড়েছিলেন পরীমণি। সে কথাও জানিয়েছিলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। তবে ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছে ছোট্ট রাজ্য। আর ছেলে সুস্থ হয়ে ওঠায় মুখে হাসি ফুটেছে মা পরীর।   জানা গেছে, দিন কয়েক আগে ছেলে রাজ্যকে সঙ্গে নিয়ে নানাবাড়ি ঘুরতে গিয়েছিলেন পরীমণি। সেখান থেকে ঢাকায় ফেরার পথে রাস্তায় ফল কিনে খেলে রাজ্য, পরীমণি, পরিবারের সদস্যরা অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে ছেলের চিকিৎসার গত ১৭ জানুয়ারি রাজ্যকে নিয়ে কলকাতায় যান এই নায়িকা।  
২৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:৩৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়