• ঢাকা সোমবার, ২৭ মে ২০২৪, ১৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
logo
ঠাকুরগাঁওয়ে এসএসসিতে ফেল করায় আরেক শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
ঠাকুরগাঁওয়ে এসএসসি পরীক্ষায় এক বিষয়ে ফেল করায় তাপস চন্দ্র সিং (১৭) নামে আরেক শিক্ষার্থী ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। সোমবার (১৩ মে) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে হরিপুর উপজেলার নুকানী গ্রামে অমিন্দ্র চন্দ্র সিংয়ের বাড়িতে ঘটনাটি ঘটে। এ নিয়ে পরীক্ষার ফল প্রকাশের ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে দুই জন শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার ঘটনা ঘটলো। এর আগে রোববার (১২ মে) একই উপজেলায় এসএসসি পরীক্ষায় ফেল করায় মিতু আক্তার (১৫) নামে এক শিক্ষার্থী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। তাপসের বাবা অমিন্দ্র চন্দ্র সিং বলেন, তাপস যাদুরানী উচ্চবিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগ নিয়ে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছিল। পরীক্ষায় বায়োলজি বিষয়ে ফেল করে। বাবা-মা ও পাড়া-প্রতিবেশী এবং সহপাঠীদের মুখ দেখানোর লজ্জায় বাড়ির সকলের অগোচরে তার শয়ন ঘরের আড়ার সঙ্গে মায়ের ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে তাপস। ইউনিয়ন চেয়ারম্যান হবিবর রহমান মৃত্যুর বিষয় নিশ্চিত করে বলেন, পরীক্ষায় ফেল করায় লোক লজ্জায় তাপস আত্মহত্যা করেছে। হরিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ শেখ বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। কোনো অভিযোগ না থাকায় মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
১৩ মে ২০২৪, ১৯:৫৭

১৩ শিক্ষকের ১৪ শিক্ষার্থীর সবাই ফেল, প্রধান শিক্ষককে শোকজ
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় একটি বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় কেউ পাস করেনি। এতে প্রধান শিক্ষককে শোকজ করা হয়েছে। এদিকে এ ফলাফল নিয়ে অভিভাবকদের মধ্যে চরম হতাশা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সোমবার (১৩ মে) শোকজের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গাইবান্ধা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোছা. রোকসানা বেগম। তিনি মুঠোফোনে বলেন, গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর ইউনিয়নের ঘগোয়া বালিকা উচ্চবিদ্যালয় থেকে ১৪ জন শিক্ষার্থী এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন। কিন্তু পরীক্ষায় অংশ নেওয়া কোনো শিক্ষার্থীই পাস করেননি। ৯ জন শিক্ষার্থী গণিতে ও পাঁচ জন শিক্ষার্থী অন্য বিষয়ে ফেল করেছেন। ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষকের সংখ্যা ১৩ জন। কেন এমন ফলাফল হলো, সে বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে এবং ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে কারণ জানাতে বলা হয়েছে। ফেলের কারণ জানার পর শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অভিভাবক বলেন, ‘শিক্ষকরা নিয়মিত স্কুলে যাতায়াত করলে আজ ১৪ শিক্ষার্থীর এমন পরিস্থিতি শিকার হতো না। শিক্ষকরা সঠিকভাবে ক্লাস নিলে সবাই পাস করতো। এ বিষয়ে ঘগোয়া বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল হাকিম মিয়ার সঙ্গে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এ প্রসঙ্গে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) সুশান্ত কুমার মাহাতো বলেন, বিদ্যালয়টি অনেক পুরাতন। ২০০৫ সালের দিকে বিদ্যালয়টি এমপিওভুক্ত হয়। এমন ফলাফলের বিষয়ে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল হাকিম জানিয়েছেন, বিদ্যালয়টি আসলে চরাঞ্চলে ও প্রায় শিক্ষার্থী দরিদ্র পরিবারের। ফলে তারা অনেক সময় বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকতেন না। যদিও এ বছর ফলাফল এমন হওয়ার কথা নয়। বিষয়টি নিয়ে বোর্ডে যোগাযোগ করে ফলাফল পুনঃনিরীক্ষণের জন্য আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান শিক্ষক।  সুশান্ত কুমার মাহাতো আরও বলেন, তবে ওই বিদ্যালয় থেকে গত বছর ১৬ পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১৩ জন পাস করেন। তার আগের বছর ২১ জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেন ১৭ জন। এ রকম ভরাডুবি কখনও হয়নি এ বিদ্যালয়ে। কেন এমন ভরাডুবি ফলাফল হলো সেটির কারণ জানতে প্রধান শিক্ষককে শোকজ করা হয়েছে। এরপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
১৩ মে ২০২৪, ১৬:১২

এসএসসি পরীক্ষা / শুধু গণিতেই ১ লাখ ৬৬ হাজার ফেল
চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় শুধু গণিতেই ১ লাখ ৬৬ হাজার ৬০২ পরীক্ষার্থী ফেল করেছেন।  রোববার (১২ মে) প্রকাশিত ফলাফল বিশ্লেষণ করে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। চলতি বছর ১১টি বোর্ডের ১৮ লাখ ৯১ হাজার ৫৯ পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। ফলাফলে ১৫ লাখ ৭২ হাজার ৪৩২ জন শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়।এর মধ্যে শুধু গণিতেই ফেল করেছে ১ লাখ ৬৬ হাজার ৬০২ জন। বোর্ডভিত্তিক ফলাফলে এ বছর গণিতে সবচেয়ে খারাপ ফল করেছে মাদরাসা বোর্ড। বোর্ডটিতে ১২ দশমিক ৬৪ শতাংশ শিক্ষার্থীই গণিতে ফেল করেছে।  এ ছাড়া ঢাকা বোর্ডে ফেলের হার ১২ দশমিক ২৮ শতাংশ, কুমিল্লায় ১২ দশমিক ০৪ শতাংশ, দিনাজপুরে ১১ দশমিক ৯০ শতাংশ, ময়মনসিংহে ১০ দশমিক ৪৯ শতাংশ, চট্টগ্রামে ৭ দশমিক ৬৩, বরিশালে ৭ দশমিক ৪০ শতাংশ, সিলেট বোর্ডে ৬ দশমিক ৩৯ শতাংশ এবং রাজশাহীতে ৬ দশমিক ২৬ শতাংশ শিক্ষার্থী গণিতে ফেল করেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, গণিতে ফলাফল খারাপ হওয়ায় এবার জিপিএ-৫ কমেছে। গত বছর ১ লাখ ৮৩ হাজার ৫৭৮ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেলেও এবার তা ছিল ১ লাখ ৮২ হাজার ১২৯ জন। এদিকে, প্রকাশিত ফলাফলে সন্তুষ্ট না হলে খাতা চ্যালেঞ্জ বা ফল পুনঃনিরীক্ষার আবেদনের সুযোগ পাবেন শিক্ষার্থীরা। এই কার্যক্রম আজ (সোমবার) থেকেই শুরু হয়েছে। চলবে ১৯ মে পর্যন্ত। অনলাইনে মাধ্যমে ঘরে বসেই এ আবেদন করা যাবে। পরে বোর্ড তার খাতা যাচাই-বাছাই করে দেখে আবেদন নিষ্পত্তি করবেন। যেভাবে আবেদন করতে হবে শুধুমাত্র টেলিটক প্রিপেইড মোবাইল ফোন থেকে পুনর্নিরীক্ষণের জন্য আবেদন করা যাবে। আবেদন করতে মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে RSC বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর রোল নম্বর বিষয় কোড লিখে Send করতে হবে 16222 নম্বরে। ফিরতি এসএমএস-এ আবেদন বাবদ কত টাকা কেটে নেওয়া হবে তা জানিয়ে একটি পিন দেওয়া হবে। এতে সম্মত থাকলে মেসেজ অপশনে গিয়ে RSC Yes PIN Contact Number (যেকোনো অপারেটর) লিখে Send করতে হবে 16222 নম্বরে। ফল পুনর্নিরীক্ষণে ক্ষেত্রে একই এসএমএস-এর মাধ্যমে একাধিক বিষয়ের জন্য আবেদন করা যাবে। সে ক্ষেত্রে কমা (,) দিয়ে বিষয় কোড আলাদা লিখতে হবে। যেমন- ঢাকা বোর্ডের একজন শিক্ষার্থী বাংলা ও ইংরেজি দুটি বিষয়ের জন্য টেলিটক প্রি-পেইড মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে লিখবে RSC Dha Roll Number । ফল পুনর্নিরীক্ষণে প্রতিটি পত্রের জন্য ১২৫ টাকা করে কেটে নেওয়া হবে।
১৩ মে ২০২৪, ১৫:৫১

প্রাথমিকে ফেল ওসির ফাঁদে ৭ শতাধিক নারী
পঞ্চম শ্রেণি ফেল মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন (৩০) ‘প্রিন্টিং প্রেস’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী। সামান্য কর্মচারী হলেও এলাকার বিভিন্ন মানুষের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক আইডি ঠিক করে ‘ফেসবুক মাস্টার’ উপাধি পেয়েছেন তিনি। আর এ দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে শত শত নারীর সঙ্গে অভিনব কায়দায় প্রতারণা করেছেন আনোয়ার।  ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপে পুলিশ কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতা, মন্ত্রীসহ বিভিন্ন জনপ্রিয় ব্যক্তিদের নামে আইডি খুলে বিভিন্ন নারীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়েছেন আনোয়ার। অবশেষে ভুক্তভোগীদের বরাত দিয়ে বিষয়টি পুলিশ জানতে পারায় ধরা পড়েছেন তিনি। জানা গেছে,  রাজধানীর তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীনের নামে ফেসবুক আইডি ও হোয়াটসঅ্যাপ খুলে ৭৭১ নারীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন আনোয়ার। আপত্তিকর ছবি আদান-প্রদানের ঘটনায় বেশ কয়েকজন ভুক্তভোগী নারী থানায় এসে হাজির হলে ওসি মহসীন নিজেই বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করেন। পুলিশ তদন্তে নেমে শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) গাইবান্ধার স্টেশন রোডের দাশ বেকারি মোড়ের ইসলাম প্রিন্টিং প্রেস নামের একটি প্রতিষ্ঠান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। শনিবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (ক্রাইম) লিটন কুমার সাহা ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান । লিটন কুমার সাহা বলেন, পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করা আনোয়ার ইন্টারনেট ঘেঁটে ফেসবুকসহ প্রযুক্তির বিভিন্ন বিষয়ে অভিজ্ঞ হয়ে ওঠেন। তার এ দক্ষতা ব্যবহার করে দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, মন্ত্রী, পুলিশ কর্মকর্তা, জনপ্রিয় ব্যক্তিদের ছবি ব্যবহার করে তাদের নামে ফেসবুক আইডি খুলতো। এসব আইডি ব্যবহার করে বিভিন্ন নারীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তাদের আপত্তিকর ছবিসহ অর্থ হাতিয়ে নিত আনোয়ার। তিনি বলেন, আনোয়ারকে গ্রেপ্তারের পর তার ব্যবহৃত মোবাইল ও কম্পিউটার থেকে রাষ্ট্রপতি, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, তেজগাঁও থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন, চিত্রনায়ক শান্ত খান, অভিনেতা ও মডেল আব্দুন নুর সজলের নামের ফেসবুক আইডি পাওয়া গেছে। কিছু আইডি ডিজেবল অবস্থায় পেলেও বেশিরভাগই সচল ছিল। তিনি আরও বলেন, আনোয়ার কখনো জনপ্রতিনিধি, কখনো অভিনেতা সেজে এ পর্যন্ত তিনি সাত শতাধিক বেশি নারীর সঙ্গে কথা বলেছেন। তার এ তালিকায় শিক্ষার্থী, গৃহিণী, প্রবাসী, মডেল সবাই আছেন। ম্যাসেঞ্জারের পাশাপাশি হোয়াটসঅ্যাপেও তাদের সঙ্গে কথা বলতেন তিনি। তবে কখনো ভিডিও কলে আসেনি তিনি। কেউ তাকে দেখতে চাইলে কিংবা সন্দেহ করলে সঙ্গে সঙ্গে ব্লক দিতেন আনোয়ার। মেয়েদের সঙ্গে আপত্তিকর কথাবার্তা ও আপত্তিকর ছবিও আদান-প্রদান করতেন তিনি। এসব আপত্তিকর ছবির কথা বলে কারো কারো কাছে টাকাও দাবি করেন আনোয়ার। তেজগাঁও থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন বলেন, আমার পরিচয় ব্যবহার করে আনোয়ার ৭৭১ নারীর সঙ্গে চ্যাটিং করেছেন। এটি আমি এবং পুলিশের জন্য খুবই মানহানিকর। ভুক্তভোগী নারীরা আমাকে ভেবে সহযোগিতার জন্য তাকে নক করেছিলেন। প্রথমে ভালোভাবে কথা বললেও ধীরে ধীরে অশ্লীলভাবে চ্যাটিং করেন আনোয়ার। অনেক নারী সন্দেহ হলে লিখেছেন, ‘আপনি ওসি মহসীন তো’। অনেকে তার কথার প্রতিবাদও করেছেন।  
২৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮:০৮

‌‘সবকিছুতেই ফেল করে বিএনপি দ্বারে দ্বারে ঘুরছে’
আন্দোলনসহ সবকিছুতেই ফেল করে বিএনপি এখন বিদেশিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) বিকালে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আন্দোলনসহ সবকিছুতে ফেল করে বিএনপি এখন আবার উল্টো সুরে কথা বলছে। তারা বিদেশিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। আমাদের নিয়ে কত কিছু করার জন্য কত দেশের হাতে-পায়ে ধরলো! ‘অনেকের ধারণা ছিল নির্বাচনের পর বিদেশিদের সঙ্গে সরকারের সম্পর্কে ভাটা পড়বে’- এ প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, আমদের দেশ স্বাধীন এবং জাতির পিতার নীতি ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে শত্রুতা নয়’ আমরা তা অনুসরণ করছি। আমরা মনে করি, সবাই আমাদের বন্ধু, তবে কেউ যদি অন্য কিছু মনে করেন তবে আমাদের কিছু বলার নেই। ‘সরকার কী কোন চাপে আছে, আগামীতে কী কোন চাপ আসতে পারে?’- এর জবাবে তিনি বলেন, সরকার কূটনৈতিকভাবে কোনও চাপে নেই। আশা করি, আগামীতেও কোন চাপ আসবে না। ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মার সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিএসএফ ও বিজিবির সম্পর্ক আরও ভালো করার বিষয়ে আলাপ হয়েছে। আমারা তাদের সাইবার সিকিউরিটি, সাইবার ফরেনসিক নিয়ে আরও ট্রেনিং দেওয়ার জন্য বলেছি। তারা সহযোগিতা করতে রাজি হয়েছেন। তিনি বলেন, বৈঠকে দুদেশের মানুষের মধ্যকার সম্পর্ককে আরও বন্ধুত্বপূর্ণ করার বিষয় ও দুদেশের নিরাপত্তা বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম, বর্ডার ক্রাইম, অরগানাইজড ক্রাইম যত কমানো যায়, যত ইন্টেলিজেন্স শেয়ারিং করা যায়, সেগুলো নিয়ে কথা হয়েছে। এসব বিষয়ে আমরা সবসময়ই ভারতের সাপোর্ট পেয়ে থাকি। ভিসা জটিলতা নিয়ে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, স্টাফ-অফিসার কম থাকায় তারা অ্যাপয়েন্টমেন্টটা একটু দেরিতে দিচ্ছেন।  তিনি জানান, বাংলাদেশের মানুষের বৈষয়িক সামর্থ্য বেড়েছে। সেজন্য তারা অ্যাফোর্ড করতে পারে, বিদেশে যায়। আমাদের দেশের মানুষ ভারতে যায় বেড়াতে, চিকিৎসা নিতে ও পড়াশোনা করতে। গত বছর ১৬ লাখের বেশি লোককে তারা নতুন ভিসা দিয়েছেন। একদিনে সর্বোচ্চ সাত হাজার পর্যন্ত ভিসা দিয়েছে দেশটি। ভবিষ্যতে তারা এটাকে আরও সহজ করার কথা চিন্তাভাবনা করছে বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
১৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:৪৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়