• ঢাকা বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১
logo
বেরোবিতে বিভাগীয় প্রধান নিয়োগের দাবিতে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন
রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী বিভাগীয় প্রধান নিয়োগের দাবিতে দুই দিন আন্দোলনের পর ক্লাস বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন (বেরোবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (৭ মে) দুপুরে শিক্ষার্থীরা এ ঘোষণা দিয়ে বলেন, প্রায় দুই মাস ধরে আমাদের বিভাগে বিভাগীয় প্রধান শূন্য। এতে আমরা ভোগান্তির মধ্যে পড়েছি। আমাদের ক্লাস শেষ হলেও কোনো ব্যাচের পরীক্ষা হচ্ছে না। এতে আমরা সকল দিক থেকে পিছিয়ে যাচ্ছি।  আমাদের দাবি হচ্ছে নিয়ম অনুযায়ী বিভাগীয় প্রধান নিয়োগ দিতে হবে এবং বিভাগের অচলাবস্থা দূর করতে হবে। আমাদের ধারাবাহিক পরীক্ষাগুলো নিতে হবে। আমরা গত দুই দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে আমাদের দাবি নিয়ে আন্দোলন করেছি। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে নানা তালবাহানা করা হয়েছে। এমনকি ভিসি স্যারের সঙ্গে দেখা করতে চাইলেও তিনি দেখা করেননি। পরে প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করলে সোমবার (৬ মে) বিকেল ৫টার পর তিনি রুম থেকে বের হয়ে আমাদের কাছে রোববার (১২ মে) পর্যন্ত সময় চেয়ে নেন। আমরা শিক্ষার্থীরা নিয়ম অনুযায়ী বিভাগীয় প্রধান নিয়োগ না দেওয়া পর্যন্ত ক্লাস বর্জনের ঘোষণা দিয়েছি। জানা যায়, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম গত ১০ মার্চ বিভাগীয় প্রধান হিসেবে তার দায়িত্বের মেয়াদ শেষ করেন। এরপর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর আইন ২০০৯ এর ধারা-২৮(৩) অনুযায়ী জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে বিভাগীয় প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার কথা ছিল বিভাগের অপর সহযোগী অধ্যাপক তাবিউর রহমান প্রধানের। কিন্তু তা না করে গত ১০ মার্চ সহকারী অধ্যাপক নিয়ামুন নাহারকে দায়িত্ব দেওয়া হলে তিনি দায়িত্ব নিতে রাজি হননি। এরপর ১২ মার্চ সহকারী অধ্যাপক সারোয়ার আহমেদ এবং ১৯ মার্চ সহকারী অধ্যাপক মো. রহমতুল্লাহকে দায়িত্ব প্রদান করা হলে তারাও দায়িত্ব নিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। তখন থেকেই বিভাগটি বিভাগীয় প্রধান শূন্য রয়েছে। সাংবাদিকতা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান নিয়োগের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মুহম্মদ আলমগীর চৌধুরী বলেন, আইনগত জটিলতা থাকায় ওই বিভাগে বিভাগীয় প্রধান নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাসিবুর রশীদ জানান, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে শিক্ষক নিয়োগে জটিলতা তৈরি হয়েছে। এ জটিলতা নিরসনে আমরা একটা কমিটি গঠন করেছি। কমিটি রিপোর্ট দিলে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। সাংবাদিকতা বিভাগের প্রধান নিয়োগে সংকট নিরসনে করা কমিটির প্রধান সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক. মোরশেদের কাছে তদন্তের অগ্রগতির বিষয়ে জানতে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
৫ ঘণ্টা আগে

স্বাধীন ফিলিস্তিনের দাবিতে পতাকা হাতে ছাত্রলীগের পদযাত্রা
স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে বিশ্বব্যাপী চলমান ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে দেশটির পতাকা হাতে পদযাত্রা ও ছাত্র সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। সোমবার (৬ মে) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে পতাকা উত্তোলন, পদযাত্রা ও বিক্ষোভ সমাবেশের শুরুতে বাংলাদেশ ও ফিলিস্তিনের পতাকা উত্তোলন করা হয়। এ সময় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন, সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা, ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ, ঢাবির বিভিন্ন হল শাখা ও রাজধানীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ইউনিটের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। সকাল থেকেই ফিলিস্তিন আর বাংলাদেশের পতাকা হাতে মধুর ক্যানটিনে জড়ো হতে থাকেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এর সঙ্গে যোগ হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলের নেতাকর্মীরা। পরে মধুর ক্যানটিনের সামনে থেকে শুরু হয়ে পতাকা হাতে পদযাত্রা করে ক্যাম্পাস এলাকা। রাজু ভাস্কর্যের সামনে এসে শেষ হয় এ পদযাত্রা। এ সময় ফিলিস্তিনের সমর্থনে বিভিন্ন স্লোগানও দেন অংশগ্রহণকারীরা। সংহতি সমাবেশে ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করে বলেছেন, যারা গণতন্ত্রের মোড়ল, যারা বাকস্বাধীনতার সার্টিফিকেট দেয়, যারাই বলে দেয় কোন দেশটি গণতান্ত্রিক আর কোন দেশটি অগণতান্ত্রিক, যারা  ফ্রিডম অব এক্সপ্রেশনের কথা বলে- ফিলিস্তিন ইস্যুতে তাদের মুখোশ আজ উন্মোচিত হয়ে গেছে। সাদ্দাম হোসেন আরও বলেন, আমাদের এই ছাত্র আন্দোলন আর দেশীয় গণ্ডির ভেতর সীমাবদ্ধ নেই। সীমান্ত বেরিকেড, ভাষার ব্যবধান সবকিছু মুছে দিয়ে একাকার হয়ে গেছে যুদ্ধ-মুক্ত, ন্যায় ও শান্তিপূর্ণ বিশ্ব প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে। আমাদের এই ছাত্র আন্দোলনে সমবেত হয়েছেন নির্যাতিত নিষ্পেষিত ফিলিস্তিনের বন্ধুরাও। আমাদের পূর্বপুরুষরা নিজেদের দেশের মুক্তির জন্য বীরত্বের সঙ্গে যেভাবে লড়াই করেছে ঠিক তেমনি আমরাও ফিলিস্তিনি ভাই-বোনদের পাশে দাঁড়াব। এর আগে রোববার (৬ মে) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সারা দেশে একযোগে বাংলাদেশের পতাকার পাশাপাশি ফিলিস্তিনের পতাকা উত্তোলন, পদযাত্রা ও ছাত্র সমাবেশের ঘোষণা দেয় ছাত্রলীগ।  
০৬ মে ২০২৪, ১৭:১৩

স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের বিক্ষোভ
ফিলিস্তিনের পক্ষে বিভিন্ন জায়গায় শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানানো, স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা র‌্যালি করেছেন।  সোমবার (৬ মে) দুপুর ১টার দিকে এ র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়। এতে শাখা ছাত্রলীগের সহস্রাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গেছে।  র‌্যালিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বর থেকে বের হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবার গোলচত্বরে এসে শেষ হয়। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে ফিলিস্তিনের পতাকা উত্তোলন করেন নেতাকর্মীরা।  র‌্যালিতে নেতাকর্মীদের ‘ফ্রি ফ্রি প্যালেস্টাইন, স্ট্যান্ড উইথ প্যালেস্টাইন’ বলে স্লোগান দিতে দেখা যায়।  র‌্যালি পরবর্তী গোলচত্বরে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্য দিয়ে ছাত্রলীগের এ কর্মসূচি শেষ হয়। সমাবেশে শাবি ছাত্রলীগের সভাপতি মো. খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সহ-সভাপতি মামুন শাহ, ফারহান রুবেল ও যুগ্ম সম্পাদক সুমন মিয়া। এ সময় ছাত্রলীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।  সমাবেশে মো. খলিলুর রহমান বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান বলেছিলেন- ‘বিশ্ব আজ শোষক ও শোষিত শ্রেণি এই দুইভাগে বিভক্ত। আমরা শোষিত শ্রেণির পক্ষে আছি।’ এই বক্তব্যকে ধারণ করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সব সময় অত্যাচারিত ও নিপীড়িত মানুষের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছে। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা আন্দোলনকে সমর্থন করে বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র আন্দোলন শুরু হয়েছে। তাদের আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে এবং স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতেই আমাদের আজকের এই কর্মসূচি। আমরা প্রত্যাশা করি, খুব দ্রুতই ফিলিস্তিনিরা তাদের ন্যায্য অধিকার ফিরে পাবে। কারণ মুক্তিকামী মানুষকে কখনও দাবিয়ে রাখা যায় না।
০৬ মে ২০২৪, ১৬:১৯

স্টপেজ দাবিতে ফরিদপুর স্টেশনে ট্রেনের গতিরোধ
রাজবাড়ী থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী ‘চন্দনা কমিউটার ট্রেনের’ ফরিদপুর রেলস্টেশনে স্টপেজ দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। এ সময় রাজবাড়ী থেকে ছেড়ে আসা ট্রেনটির গতিরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়। রোববার (৫ মে) ভোর ৫টা ১৫ মিনিট থেকে ফরিদপুর রেলস্টেশনে এ বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু হয়। ভোর ৫টা ৪০ মিনিটে ফরিদপুর এসে পৌঁছালে বিক্ষুব্ধরা চন্দনা কমিউটার ট্রেনটির সামনে অবস্থান নেন এবং গতিরোধ করেন। এ সময় তারা ফুল দিয়ে ট্রেনের পরিচালকসহ অন্যদের শুভেচ্ছাও জানান। বিক্ষোভের মুখে ট্রেনটি প্রায় ১০ মিনিট সেখানে অবস্থান করে। পরে অবস্থানকারীরা সরে গেলে ট্রেনটি ৫টা ৫০ মিনিটের দিকে ভাঙ্গা হয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ করতে রাজবাড়ী-ভাঙ্গা-ঢাকা পথে রোববার থেকে বাণিজ্যিকভাবে নতুন করে এক জোড়া কমিউটার ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। শনিবার ট্রেনটির উদ্বোধন করা হয়। মাঝপথে ফরিদপুর রেলস্টেশনে যাত্রাবিরতি না থাকায় এ নিয়ে ফরিদপুরের রেলযাত্রীদের মাঝে চরম অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। তারা এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য রেলমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।
০৫ মে ২০২৪, ০৯:২৮

ক্যাম্পাস চালুসহ ৫ দফা দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন 
অনির্দিষ্টকালের জন্য কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) বন্ধের সিদ্ধান্ত বাতিলে ৫ দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। দাবিগুলো পূরণ করতে কুবি প্রশাসন ও শিক্ষক সমিতিকে ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন তারা। শনিবার (৪ মে) অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী নাজমুস সাকিবের সঞ্চালনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গোল চত্বরে সকাল সাড়ে ১১টায় এ মানববন্ধন করেন তারা।  মানববন্ধনে গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী কামরুল ইসলাম রাকিব বলেন, ‘শিক্ষক সমিতি গত ১৯ ফেব্রুয়ারির পর থেকে দফায় দফায় ক্লাস বর্জন করে আসছে। প্রায় ৪ দফায় শিক্ষকরা ক্লাস বর্জন করেছেন। তাদের দাবি এটা ন্যায্য আন্দোলন অথচ ক্ষতির সম্মুখীন আমরা হয়েছি। শিক্ষক সমিতি ক্লাস বর্জন করাটা যেমন অন্যায় তেমনি ভিসি স্যারের ক্যাম্পাস বন্ধ করে দেওয়াটাও অন্যায়। দু’পক্ষের এ আন্দোলনের মধ্যে আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। তাদের সমস্যা অবশ্যই সমাধানের প্রয়োজন রয়েছে।’ মানববন্ধনে সাধারণত শিক্ষার্থীদের পক্ষে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী মারুফ শেখ বলেন, ‘শিক্ষক এবং উপাচার্য নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থে আমাদেরকে ক্ষতির মুখে ফেলে দিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া বেশিরভাগ শিক্ষার্থীই নিম্নবিত্ত পরিবারের। অনেক শিক্ষার্থীরা টিউশন করিয়ে লেখাপড়ার খরচ চালায়। পরিবহন বন্ধ থাকায় টিউশন করানো কষ্টকর হয়ে গেছে। অনতিবিলম্বে ক্লাস-পরীক্ষা চালু করার জোর দাবি জানাচ্ছি।’ এ সময় মানববন্ধনে তারা পাঁচটি দাবি উপস্থাপন করেন। দাবিসমূহ হলো- অবিলম্বে ক্যম্পাস বন্ধের সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে, অবিলম্বে ক্লাস-পরীক্ষাসহ সবকিছু চালু করতে হবে, পরিবহন ব্যবস্থা চালু করতে হবে, শিক্ষকদের ক্লাস বর্জনের সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ইউজিসি/সিন্ডিকেট সভার মাধ্যমে সুষ্ঠু তদন্ত কমিটি গঠন করে সংকট সমাধান করতে হবে।
০৪ মে ২০২৪, ১৪:৪১

ন্যায্য অধিকারের দাবিতে রাজপথে শ্রমিকরা
আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস পালনে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে র‍্যালি ও সমাবেশ করছে শ্রমিকরা। প্রখর রোদ আর গরমকে পাশ কাটিয়ে নিজেদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের দাবিতে যোগ দিয়েছেন বিভিন্ন খাতের শ্রমিকরা। ভরা রাজপথে ন্যায্য অধিকারের পুরনো দাবিগুলো আরো একবার তুলে ধরেছে শ্রমিক সংগঠনগুলো।  বুধবার (১ মে) সকাল থেকেই জাতীয় প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন স্থানে শুরু হয় এসব খণ্ড খণ্ড বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ। সেখানে আইএলও কনভেনশন ৮৭ ও ৯৮ অনুযায়ী অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন অধিকারের দাবি তোলেন শ্রমিকরা। দ্রব্যমূল্য ও জীবন যাপনের ব্যয় বিবেচনা করে জাতীয় মজুরি আইন ঘোষণা ও বাস্তবায়নের পাশাপাশি শ্রমিকদের মতামত উপেক্ষা করে সংসদে উত্থাপিত শ্রম আইন ও অত্যাবশ্যক পরিষেবা বিল প্রত্যাহারসহ জানানো হয় ৯ দফা দাবি। পাশাপাশি বেসরকারি শিল্পের নারী শ্রমিকদের ৬ মাসের মাতৃত্বকালীন ছুটি চালু ছাড়াও মজুরি আন্দোলনে শ্রমিকদের বিরুদ্ধে করা সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার চান শ্রমিকরা। তীব্র তাপদাহ উপেক্ষা করে বুধবার সকাল থেকে মাথায় লাল পট্টি পরে, হাতে বিভিন্ন দাবি সম্বলিত ব্যানার-ফেস্টুন আর পতাকা নিয়ে ও গায়ে নিজ নিজ শ্রমিক সংগঠনের টি-শার্ট জড়িয়ে স্লোগানে স্লোগানে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জড়ো হতে থাকেন বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের কর্মীরা।  সেখানে অবস্থান ও বক্তব্যের পর বেলা ১১টার দিকে মিছিল যায় পল্টন মোড়ে। মিছিলের স্রোত গিয়ে মেলে শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদের (স্কপ) সমাবেশে প্রাঙ্গণে। সেখানে স্লোগান দিতে দিতে নিজেদের কর্মী নিয়ে একে একে যোগ দেন স্কপের ১২টি জাতীয় ট্রেড ইউনিয়ন সংগঠনের শীর্ষ নেতারা। এরপর সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে সব কর্মীদের নিয়ে মিছিল বের করেন স্কপ নেতারা। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে স্কপ সমাবেশে এবারের মে দিবসের ঘোষণাপত্র পাঠ করেন ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের সভাপতি আশিকুল আলম চৌধুরী। সেখানে বলা হয়, ১৩৮ বছর পর এবারের মে দিবস শ্রমজীবীদের সামনে আরও অনেক চ্যালেঞ্জ নিয়ে এসেছে। আশিকুল আলম চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে ৭ কোটি ৩৬ লাখ শ্রমশক্তির ৮৫ শতাংশ অপ্রতিষ্ঠানিক খাতে কাজ করে। তাদের শ্রম ঘণ্টা, ন্যায্য মজুরি, কাজের নিশ্চিয়তা এবং নিরাপত্তা কোনটাই নাই। জাতীয় মজুরি আইন নিয়ে চলছে দীর্ঘসূত্রতা। শ্রমিকদের সংগঠন করার স্বাধীনতাকে বিভিন্নভাবে সঙ্কুচিত করে রাখা হয়েছে। সবশেষ শ্রমিকদের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সর্বোচ্চ উপায় হিসেবে ধর্মঘট করার অধিকারও অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা আইনের খড়গের নিচে। এ অবস্থায় সব শ্রেণির শ্রমিককে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের সভাপতি।  সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জোটের যুগ্ম সমন্বয়কারী মইনুল আহসান জুয়েল। তিনি বলেন, সরকার আসে সরকার যায়, কিন্তু শ্রমিকের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হয় না। আজকে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি চরমে, শ্রমিকরা দুই বেলা ভাত জোটাতে পারছে না। স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও আমরা শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি আদায় করতে পারিনি। আর সরকার বার বার বলছে, উন্নয়নের জোয়ারে বাংলাদেশ ভাসছে।  সমাবেশে উত্থাপিত স্কপের ৯ দফা দাবিগুলো হল- •    ৮ ঘণ্টা কর্ম দিবস বাস্তবায়ন •    আউট সোর্সিং বন্ধ করা •    অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা বিল প্রত্যাহার •    ধর্মঘটের গণতান্ত্রিক অধিকার খর্ব না করা •    আইন করে জাতীয় ন্যূনতম মজুরি ঘোষণা এবং সেক্টার ভিত্তিক মজুরি নির্ধারণ •    শ্রমিকদের রেশন, আবাসন, শ্রম আইনের অগণতান্ত্রিক ধারাসমূহ বাতিল করে গণতান্ত্রিক শ্রম আইন প্রবর্তন •    প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক এবং মালিকানা নির্বিশেষে ইপিজেড, ইডিজেডসহ সকল সেক্টরের শ্রমিকদের অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন করার অধিকার প্রদান করা •    শ্রমিকদের পেশাগত স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা •    কর্মক্ষেত্রে নিহত-আহতদের ন্যায্য ক্ষতিপূরণ দেওয়া। পুরানা পল্টন থেকে জাতীয় প্রেসক্লাব পর্যন্ত সড়কে সমাবেশ ও মিছিল নিয়ে যোগ দেয় জাতীয় শ্রমিক জোট, সম্মিলিত গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন, গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন, জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশন, নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন, বহুমুখী হর্কার্স সমিতি, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট, বাংলাদেশ দর্জি শ্রমিক ফেডারেশন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক জোট, জাতীয় গণতান্ত্রিক শ্রমিক ফেডারেশন, ইমারত শ্রমিক ইউনিয়ন, বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব লেবার স্টাডিজ, বাংলাদেশ টেড ইউনিয়ন সংঘ, কর্মজীবী নারী, বাংলাদেশ হোটেল রেস্টুরেন্ট সুইটমিট শ্রমিক ফেডারেশন, গ্রীন বাংলা গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশন, ঢাকা মহানগরীর প্রাইভেট কার ও ট্যাক্সি ক্যাব ড্রাইভার্স ইউনিয়ন, জাতীয় গার্হস্থ্য নারী শ্রমিক ইউনিয়ন, বাংলাদেশ ট্রাস্ট গার্মেন্টস শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন ফেডারেশন, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ, লেবার পার্টি, গৃহশ্রমিক অধিকার প্রতিষ্ঠা নেটওয়ার্কসহ বিভিন্ন সংগঠন। বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) এদিন ঢাকার পল্টন মোড়ে সমাবেশ ও পরে লাল পতাকা মিছিল করে। এছাড়া জাতীয় শ্রমিক লীগ ও জাতীয়বাদী শ্রমিক দল বিকেলে যথাক্রমে বঙ্গবন্ধু এভিনিউ ও নয়া পল্টনের সড়কে সমাবেশ করবে।
০১ মে ২০২৪, ১৭:৫৯

বিয়ের দাবিতে বাপ্পীর বাসার নিচে ভক্ত, অতঃপর...
ঢাকাই সিনেমার বর্তমান প্রজন্মের নায়ক বাপ্পী চৌধুরী। অনেক দিন কোনো নতুন চলচ্চিত্রে দেখা যায় না তাকে। শোনা যাচ্ছিল, ‘অপারেশন জ্যাকপট’ সিনেমায় দেখা যাবে এ নায়ককে। কিন্তু শেষ মুহূর্তে সিনেমা থেকে বাদ পড়েন তিনি। পাশাপাশি তার শুটিং শেষ হওয়া বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্রের মুক্তি নিয়ে দেখা দিয়েছে ধোঁয়াশা। এতকিছুর মাঝেই ঈদ উপলক্ষে একটি গণমাধ্যমের অনুষ্ঠানে অতিথি হয়েছিলেন বর্তমান প্রজন্মের চিত্রনায়ক বাপ্পী চৌধুরী। সেখানে হাজির হয়ে নিজের ব্যক্তিজীবনের নানা তথ্য জানিয়েছেন তিনি। অনুষ্ঠানে অভিনেতা বাপ্পী চৌধুরীর কাছে জানতে চাওয়া হয় তাকে কখনো কোনো ভক্ত ফোন করে বিয়ে করতে হবে, না হলে মরে যাবে এমন দাবি করেছিলেন কি না। জবাবে এ নায়ক বলেন, অলরেডি একজন পেয়েছি। ক্লাস নাইনে পড়তো মেয়েটি। দু-চার বছর আগের কথা। বাপ্পী চৌধুরী বলেন, একবার ক্যামেরার সামনে বিয়ে নিয়ে কথা বলেছিলাম। তো ওই মেয়েটি ফেসবুকে একটি ভিডিও ছেড়েছিল, আমি মরে যাব তুই যদি বিয়ে করিস। আর পরদিন তো বাসার নিচে চলে আসছিল মেয়েটি। সঙ্গে ওর বাবাও ছিল। কিছুটা ভয়ও পেয়েছিলাম। ওইদিনের ঘটনা কীভাবে সামলেছেন এ অভিনেতা, সেটিও জানিয়েছেন। বাপ্পী চৌধুরী বলেন, ওই মেয়ের সঙ্গে কথা বলেছি আমি। তারা বাবা আমাকে অনুরোধ করে বলেছিলেন, তুমি দু-এক দিন কথা বলো পরে সব ম্যানেজ করে নেবো। এরপর ওই মেয়ের সঙ্গে এক সপ্তাহের মতো কথা বলেছি। তারপর ধীরে ধীরে সামলে নিয়েছি বিষয়টি। বর্তমানে সিঙ্গেল কি না এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বাপ্পী বলেন, অবশ্যই সিঙ্গেল। কারণ, বাপ্পী এখনো বিয়ে করেনি। বিয়ে না করা পর্যন্ত একজন ছেলে সিঙ্গেলই তো থাকে। আর প্রেমের ব্যাপারে এ ঢালিউড শিল্পী বলেন প্রেম করছেন, তবে সিনেমায়।
২৯ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:১৯

শ্রীপুরে সড়ক সংস্কারের দাবিতে ৭ গ্রামবাসীর মানববন্ধন
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার শ্রীপুর-গাজীয়ারন-পেলাইদ কলেজ রোডটি দ্রুত সংস্কারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে সাত গ্রামের শত শত মানুষ।  রোববার (২৮ এপ্রিল) বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত এক ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। শ্রীপুর-গাজীয়ারন-পেলাইদ কলেজ রোডের প্রবেশমুখে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে অংশ নেন গোসিঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহীন মোড়ল, স্থানীয় ইউপি সদস্য এবং এ সড়ক দিয়ে চলাচলকারী সাত গ্রামের বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। অংশগ্রহণকারীরা জানান, শতবর্ষী পুরনো রাস্তাটি প্রথমে মাটি ফেলে ও পরবর্তীতে ‘ইটের সলিং’ করে উন্নয়ন করা হয়েছিল। বর্তমানে এটি কার্পেটিংয়ের জন্য সরকারিভাবে দরপত্র দিয়ে উন্নয়ন সংস্কারকাজ শুরুর আড়াই মাস পর বন বিভাগের লোকজন কিছু অংশে বাধা দিচ্ছে। অথচ রাস্তাটি শতবর্ষী পুরনো। গাজিয়ারন গ্রামের পলাশ মিয়া জানান, এটি আমাদের সাত গ্রামের মানুষের যাতায়াতের একমাত্র রাস্তা। আমাদের পূর্ব পুরুষরা এ রাস্তা দিয়ে চলাফেরা করেছে। আমরাও চলাফেরা করছি। হাজারও দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে গাজীয়ারন, নতুন পটকা, পেলাইদ, পাঁচুলটিয়া, তাঁতীসুতাসহ সাতটি গ্রামের মানুষ কাঁচা সড়ক দিয়ে চলাফেরা করেছে। আগে ইট বিছানো রাস্তাটি ভেঙে যাওয়ার পর সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা এখন চলছে ঢিমেতালে। স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল বিভাগের তত্ত্বাবধানে রাস্তাটি কার্পেটিং করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। দুই মাসের বেশি সময় যাবত সংস্কারকাজ করা হলেও বর্তমানে সকল প্রকার কাজ বন্ধ রয়েছে। এতে সাত গ্রামের মানুষের মধ্যে উদ্বেগ উৎকণ্ঠা ও ক্ষোভ বিরাজ করছে। পেলাইদ গ্রামের কলেজ পড়ুয়া সজীব হাসান বলেন, বর্ষাকালে কাঁধে ব্যাগ ও হাতে জুতো নিয়ে যাতায়াত করতে হয়। সড়কটির কিছু অংশ ইট বিছানো বাকি পথ কাদামাটির। আমার মতো সাত গ্রামের কমপক্ষে ৫’শ শিক্ষার্থী এমন দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে যাতায়াত করে থাকি। পেলাইদ গ্রামের কৃষক অমিনুল ইসলাম বলেন, আমাদের এলাকার সকল কৃষক তাদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য বাজারে নিতে সমস্যা হয়। এ যুগেও উপজেলা শহরের অতি নিকটে থেকেও কাদামাটির পথ পাড়ি দিয়ে উপজেলা সদরে যাতায়াত করতে হয়। এ অবস্থার উত্তরণ না ঘটলে সরকারের কাঙ্খিত সামগ্রিক উন্নয়নের সাথে আমরা একত্রিত হতে বাধাগ্রস্ত হতে হবে। স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল বিভাগসূত্রে জানা গেছে, অতি সম্প্রতি শ্রীপুর-গাজীয়ারন-পেলাইদ নদীর ঘাট পর্যন্ত রাস্তাটি উন্নয়নের জন্য সরকারিভাবে দরপত্র আহ্বান করা হয়। যথারীতি ঠিকাদার নিয়োগ করে কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে। রাস্তাটির ওপর ইতোমধ্যে ৯টি কালভার্ট স্থাপন করা হয়েছে। স্থানীয়রা বলেন, বন বিভাগ রাস্তাটির উন্নয়ন কাজে বাধা সৃষ্টি করছে। সকল উন্নয়নের পূর্বশর্ত হচ্ছে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন। শতবর্ষী রাস্তাটির উন্নয়নে স্থানীয় বন বিভাগের বাধা প্রদানের বিষয়টি আমাদের মর্মাহত করেছে। আমরা উপজেলা পর্যায়ের সরকারি নীতি নীর্ধারণী মহলের দ্বারস্থ হয়েছি। আমরা দ্রুত রাস্তাটির সংস্কার কাজ সম্পন্ন চাই। শ্রীপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শামসুল আলম প্রধান ও নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শোভন রাংসা বলেন, এলাকাবাসীর কাছ থেকে যাতায়াত সমস্যা ও সংস্কার কাজ সংক্রান্ত বিষয়ে একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে স্থানীয় বন বিভাগের কর্মকর্তারা দাবি করেন, রাস্তাটিতে বন বিভাগের বেশ কিছু জমি রয়েছে। এটি রক্ষার দায়িত্ব বন বিভাগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকল মহলের।
২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:৩৩

ক্ষতিপূরণের দাবিতে ৯ বাস আটক করেছেন জাবি শিক্ষার্থীরা
ক্ষতিপূরণের দাবিতে ইতিহাস পরিবহনের ৯টি বাস আটক করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) একদল শিক্ষার্থী।  শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সংলগ্ন এলাকায় বসে বাসগুলো আটক করা হয়। বেলা সোয়া ১১টার দিকে সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক সংলগ্ন সড়কের একপাশে ইতিহাস পরিবহনের ৯টি বাস সারি সারি রাখা হয়েছে।  শিক্ষার্থীরা জানান, শনিবার সকাল সোয়া ৯টার ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে চলাচলকারী ইতিহাস পরিবহনের একটি বাস হঠাৎ ব্রেক (হার্ড ব্রেক) করায় পেছন থেকে ধাক্কা দেয় সাভার পরিবহনের আরেকটি বাস। ঠিক তার পেছনে থাকা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর প্রাইভেট কার সাভার পরিবহনের বাসটিতে ধাক্কা দেয়। এতে জাবি শিক্ষার্থীর প্রাইভেট কারের সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে যায়। পরে ভুক্তভোগী ক্যাম্পাসে তার বন্ধুদের জানালে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের এক পাশে ইতিহাস পরিবহনের ৯টি বাস আটক করেন। ভুক্তভোগী বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৪৭তম ব্যাচের ছাত্রী। ভুক্তভোগী বলেন, ‘এতবড় একটি ঘটনা ঘটার পর পেছনে কেউ মারা গেল নাকি বেঁচে আছে সেটি না দেখে বাসটি দ্রুত টান দিয়ে চলে যায়। এরপর আমার প্রাইভেট কারের চালক ইতিহাস পরিবহনের বাসে উঠে কেন এমন হার্ড ব্রেক করল জানতে চাইলে বাসচালক এবং সহযোগী খারাপ ব্যবহার করেন ও হুমকি দিয়ে বাস থেকে নামিয়ে দেন। আমরা সড়কে চলাচলের নিরাপত্তা চাই।’ ভুক্তভোগী ছাত্রী ও তার বন্ধুদের দাবি, সড়কে চলাচলের নিরাপত্তা এবং প্রাইভেট কারের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে ইতিহাস পরিবহন কর্তৃপক্ষের। তারপর তারা বাসগুলো ছাড়বেন। এ বিষয়ে ইতিহাস পরিবহনের আটককৃত একটি বাসের চালক তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘আমাদের (ইতিহাস) একটি বাস হার্ড ব্রেক করছে, তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর প্রাইভেট কার ধাক্কা খেয়েছে। কিন্তু সেই বাস আটক না করে আমাদের বাসগুলো আটক করে রেখেছে। আমাদের যিনি চেকার আছেন তাকে বিষয়টি জানিয়েছি।’ ইতিহাস পরিবহনের ভিআইপি চেকার মো. জসিম বলেন, ‘যে বাসটি হার্ড ব্রেক করেছে সেটার নাম্বার ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী দিয়েছেন। আমরা ওই নির্দিষ্ট বাসটি শনাক্ত করার জন্য রোডে যারা দায়িত্বে আছেন তাদেরকে বলেছি। ওই বাসের মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি সমাধান করব বলে ক্যাম্পাসে এসেছি। আমাদের একটি বাস আটক রেখে বাকিগুলো ছেড়ে দেওয়ার জন্য ছাত্রদের কাছে অনুরোধ জানিয়েছি।’ এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার মো. জেফরুল হাসান চৌধুরী বলেন, ‘জানতে পেরেছি, ক্ষতিগ্রস্ত গাড়িটি মেরামত করে দেওয়ার জন্য ইতিহাস পরিবহনের মালিকপক্ষ রাজি হয়েছে। গাড়িটি এখন গ্যারেজে আছে। ক্ষতিপূরণ দিলে শিক্ষার্থীরা বাস ছেড়ে দেবে বলে জানিয়েছে। এ ঘটনায় আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেনি।’
২৭ এপ্রিল ২০২৪, ২০:১০

তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন
তিস্তা মহাপরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়নসহ ছয় দফা দাবিতে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় মানববন্ধন স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচি পালিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বেলা ১১টা থেকে ঘণ্টাব্যাপী লালমনিরহাট-বুড়িমারী মহাসড়কে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বক্তব্য রাখেন, তিস্তা বাঁচাও নদী বাঁচাও সংগ্রাম কমিটির সাধারণ সম্পাদক সফিয়ার রহমান, ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মশিউর রহমান, পাটিকাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ওছমান গনি ও প্রমুখ। হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন তিস্তাপাড়ের লোকজন। এ সময় বক্তারা বলেন, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রাক্কালে লালমনিরহাটের কালেক্টরেট মাঠের ভার্চুয়াল সভায় যুক্ত হয়ে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন বিষয়ে একই কথা ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী। জলবায়ু পরিবর্তনের অভিযোজন প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী তিস্তা পাড়ের কোটি মানুষকে তিস্তা মহা পরিকল্পনার স্বপ্ন দেখিয়েছেন। আমরা চাই সেই স্বপ্নের বাস্তবায়ন, তিস্তার বুকে ব্যাপক খনন।
২৫ এপ্রিল ২০২৪, ২১:০৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়