• ঢাকা সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ভোটার ছাড়া ভোট চুন ছাড়া পান খাওয়ার মতো: ইসি রাশেদা 
প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন ভোটার ছাড়া ভোট, চুন ছাড়া পান খাওয়ার মতো বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা। এ সময় তিনি প্রার্থীদের আচরণবিধি মেনে ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আনার পরিবেশ সৃষ্টি করার আহ্বান জানান।  সোমবার (২৯ এপ্রিল) সকালে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন।  নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সকল সদস্যদের প্রার্থীদের সমান চোখে দেখার নির্দেশনা দেন। সেইসঙ্গে সংবাদমাধ্যমকে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের আহ্বান জানান।  এ সময় সভায় জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমানসহ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন। 
৭ ঘণ্টা আগে

সৌদি সরকারের অনুমতি ছাড়া হজ করলে পাপ হবে!
পবিত্র হজ পালন করার ক্ষেত্রে সৌদি সরকারের অনুমতি নেওয়াকে বাধ্যতামূলক হিসেবে ঘোষণা করেছে দেশটির আলেম-ওলামাদের সমন্বয়ে গঠিত সর্বোচ্চ ধর্মীয় সংস্থা ‘সিনিয়র কাউন্সিল অব উলামা’। হজ প্রক্রিয়া আরও গতিশীল এবং পবিত্রস্থানগুলোর পবিত্রতা নিশ্চিতে শরীয়াহ আইনের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সৌদি আরবে।  সৌদির রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা সৌদি প্রেস এজেন্সি জানিয়েছে, বিজ্ঞ আলেমরা মতামত দিয়েছেন, অনুমতি ছাড়া যারা হজ করতে যাবেন তাদেরকে হজের সুযোগ দেওয়া হবে না। তা সত্ত্বেও যারা অনুমতি ছাড়া হজ করবেন তারা এর মাধ্যমে পাপ করবেন। শুক্রবার (২৬ মার্চ) সৌদির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় এবং দুই পবিত্র মসজিদের দায়িত্বে থাকা কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধিরা এ ব্যাপারে আলেমদের কাছে নিজেদের মতামত তুলে ধরেন। এরপর আলেমরা ঘোষণা দেন, হজ করতে হলে অবশ্যই পূর্বে অনুমতি নিতে হবে। ‘সিনিয়র কাউন্সিল অব উলামা’ জানিয়েছে যে হজ আয়োজনের দায়িত্বে থাকা সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো একটি বিস্তৃত পরিকল্পনা সাজিয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য, বাসস্থান, খাবার সরবরাহ এবং অন্যান্য সেবা। যারা সরকারি প্রতিষ্ঠানে নিবন্ধন করে হজ করবেন তারা আরও ভালো ও উন্নত সেবা পাবেন। উল্লেখ্য, ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের অন্যতম একটি হলো হজ। প্রতি বছর জিলহজ মাসে হজ করেন বিশ্বের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। যে মুসল্লিদের আর্থিক ও শারীরিক সক্ষমতা রয়েছে তাদের জন্য জীবনে অন্তত একবার হলেও হজ করা ফরজ। সারাবিশ্ব থেকে মুসল্লিরা যেন নির্বিঘ্নে হজ করতে পারেন সেজন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে সৌদি আরব। এবার হজ করার জন্য অনুমতির বিষয়টি আবশ্যিক করে দিয়েছে দেশটির সরকার। শুধু তাই নয়, অনুমতি ছাড়া হজ পালন করলে পাপ হবে বলেও অভিমত ব্যক্ত করলেন সে দেশের বিজ্ঞ আলেমরা। 
৭ ঘণ্টা আগে

‘এসটিপি প্ল্যান্ট ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না’
সোয়ারেজ (এসটিপি) ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট ছাড়া নতুন কোনো ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে শহরের ছয়বাড়িয়া এলাকায় মডেল মসজিদ মিলনায়তনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী সমবায় সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা জানান তিনি। তিনি বলেন, প্রতিটি নাগরিকের আবাসন ব্যবস্থা তার সাংবিধানিক অধিকার। কেবল সরকারি কর্মচারী কর্মকর্তা নয়। বরং মধ্যবিত্ত ও ছিন্নমূল মানুষের নিজস্ব আবাসনের সুযোগ সৃষ্টি করে দিতে বর্তমান সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ হয়ে কাজ করছে। তিনি বলেন, বর্তমান সময়ে পরিকল্পিত নগরায়ন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে নদী ও খালকে দূষণমুক্ত করতে আমাদের সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। সেজন্য সোয়ারেজ (এসটিপি) ট্রিটমেন্ট প্লান্ট ছাড়া নতুন কোন ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না। ইতিমধ্যে রাজউক, গণপূর্ত ও জাতীয় গৃহায়ন দপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে এই নির্দেশ বাস্তবায়ন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পিআরএল ভোগরত গ্রেড-১ কর্মকর্তা মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জাতীয় উন্নয়ন প্রশাসন একাডেমির রেক্টর (সচিব) মো. সহিদ উল্যাহ, সাবেক সচিব গোলাম রব্বানী, বিয়াম ফাউন্ডেশনের সাবেক মহাপরিচালক এমন মিজানুর রহমান, সমবায় অধিদপ্তরের অতিরিক্ত নিবন্ধক আহসান কবীর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, পৌর মেয়র নায়ার কবির।  অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সমবায় অধিদপ্তরের যুগ্ম নিবন্ধক ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম। 
২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:০৪

সংসদ এলাকায় ড্রোন, মুচলেকায় ছাড়া পেলেন সাবেক এমপি পুত্র
সংসদ ভবন, পুরাতন বিমানবন্দর, চন্দ্রিমা উদ্যান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, গণভবন এবং বঙ্গভবনসহ রাজধানীর ভিভিআইপি ও স্পর্শকাতর এলাকায় ড্রোন ওড়ানো নিষিদ্ধ। নববর্ষ উপলক্ষে মানিক অ্যাভিনিউ সড়কে আঁকা আল্পনার ছবি ও ভিডিও করতে গত ১৫ এপ্রিল স্পর্শকাতর এই এলাকায় ড্রোন উড়িয়ে বিপাকে পড়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য এইচএম গোলাম রেজার ছেলে হোসেন মোহাম্মদ মায়াজ (২৮)। শেরেবাংলা থানা পুলিশ তাকে আটক করে। পরে অবশ্য এ ঘটনায় মুচলেকা দিয়ে  ছাড়া পেয়েছেন তিনি। ড্রোন ওড়ানো প্রসঙ্গে হোসেন মোহাম্মদ মায়াজ বলেন, পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে আঁকা আলপনার একটি ভিডিওগ্রাফি ও ছবি তোলার জন্য তিনি পূর্ব অনুমতি ছাড়া তার ব্যক্তিগত ড্রোন MAVIC AIR-3 ব্যবহার করেন এবং এটি তার অনিচ্ছাকৃত ভুল। এলাকাটি রেস্ট্রিক্টেড এবং নিরাপত্তার স্বার্থে সচেতন থাকা উচিত ছিল জানিয়ে নিজের ভুলের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি। আইনের প্রতি সম্পূর্ণ শ্রদ্ধাশীল থাকবেন জানিয়ে এই ধরনের কর্মকাণ্ড ভবিষ্যতেও আর কখনও করবেন না বলেও অঙ্গীকার করেন মায়াজ। নিরাপত্তার জন্য পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের স্পর্শকাতর ও গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ড্রোন ওড়ানোর ক্ষেত্রে বিধি-নিষেধ রয়েছে। বিশেষ করে রেড জোনে ড্রোন উড্ডয়ন নিষিদ্ধ। আইন অনুযায়ী দেশের আকাশ সীমায় ড্রোন, রিমোটলি পাইলটেড এয়ারক্রাফট সিস্টেম, রিমোট কন্ট্রোলড খেলনা বিমান, ঘুড়ি ও লেজার রশ্মি ব্যবহারে সরকারের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে। এজন্য একটি নির্দিষ্ট সময় আগে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের ওয়েব সাইটে (www.caab.gov.bd) দেওয়া ফরম অনুযায়ী পূর্বানুমতি গ্রহণ করতে হবে। সম্প্রতি আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে অনুমতি ছাড়া ড্রোন না ওড়ানোর আহ্বান জানিয়ে বলা হয়, সম্প্রতি কিছু উৎসাহী ব্যক্তি, বেসামরিক প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, এনজিও এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠান বিনা অনুমতিতে বাংলাদেশের আকাশ সীমায় ড্রোন, রিমোটলি পাইলটেড এয়ারক্রাফট সিস্টেম (ইউএভিআরপিএএস), রিমোট কন্ট্রোলড খেলনা বিমান, ঘুড়ি ও ফানুস ইত্যাদি উড্ডয়ন করছেন। জনগণের জানমাল ও রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার স্বার্থে এ ধরনের অননুমোদিত উড্ডয়ন, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার ঝুঁকি হিসেবে বিবেচিত হয়, যা বাংলাদেশের বিদ্যমান আইনেও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। রেড জোনে ড্রোন উড্ডয়ন বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের তেঁজগাও ডিভিশনের মোহাম্মদপুর জোনের এডিসি মো. রওশানুল হক সৈকত বলেন, নিরাপত্তার জন্য পৃথিবীর সবদেশেই স্পর্শকাতর ও গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ড্রোন ওড়ানোর ক্ষেত্রে কঠোর বিধি-নিষেধ আছে। আমাদের দেশেও স্পর্শকাতর এলাকায় ড্রোন ওড়ানো নিষেধ। এটা রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিদের নিরাপত্তার জন্য জরুরি। তিনি বলেন, বাংলাদেশে ড্রোন নিবন্ধন ও উড্ডয়ন নীতিমালা-২০২০ অনুযায়ী ড্রোন অপারেশন জোন রয়েছে, যেখানে রেড জোনে ড্রোন উড়ানো নিষিদ্ধ। বিমানবন্দর বা বিশেষ কেপিআই রেড জোনের মধ্যে পড়েছে। বিশেষ অনুমতি ছাড়া রেড জোনে ড্রোন উড়ানো যাবে না; এ বিষয়ে সকলেরই সচেতন হওয়া জরুরি। যেকোনো দেশের রাষ্ট্রের নিরাপত্তার সঙ্গে কেপিআইয়ের নিরাপত্তা ওতপ্রোভাবে জড়িত। বঙ্গভবন, গণভবন, সংসদ ভবন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, বিমানবন্দর, চন্দ্রিমা উদ্যানসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে ড্রোন ওড়ানো থেকে সবাইকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে এডিসি সৈকত বলেন, আশা করি সবাই এ বিষয়ে সচেতন ও সতর্ক থাকবেন।
১৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:৪০

টিকিট ছাড়া পার্কে ৫ শিশু, কান ধরে দাঁড় করিয়ে রাখলেন ইউএনও
শরীয়তপুরে জেলা প্রশাসন পরিচালিত একটি পার্কে টিকিট ছাড়া প্রবেশ করায় ৫ শিশুকে কান ধরে দাঁড় করিয়ে রাখার ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগ উঠেছে, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাইনউদ্দিনের নির্দেশে দুজন গ্রাম–পুলিশ ও আনসার সদস্যদের প্রহরায় শিশুদের তিন ঘণ্টা আটকে রাখা হয়। সোমবার (১৫ এপ্রিল) সন্ধ্যার পর পার্ক থেকে তাদের আটক করেন গ্রাম পুলিশ ও আনসার সদস্যরা। পরে তাদের ওই শাস্তি দেওয়া হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শরীয়তপুর পার্কটি ঈদের দিন চালু করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে পার্কের দেখাশোনার দায়িত্বে আছেন ইউএনও মো. মাইনউদ্দিন। সীমানা প্রাচীর দিয়ে পার্কটির চারপাশ আটকে একটি প্রবেশদ্বার রাখা হয়েছে। পার্কের ভেতরে শিশুদের খেলার জন্য বসানো হয়েছে ১৫-১৬টি বিভিন্ন রাইড। এ ছাড়া পার্কে প্রবেশমূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ টাকা। সোমবার সন্ধ্যায় পৌর এলাকার হাতিরকান্দি, তুলাসার ও স্বর্ণঘোষ এলাকার ১০ থেকে ১৩ বছর বয়সী কয়েকজন শিশু পার্কের আশপাশে খেলাধুলা করছিল। এ সময় তারা নিরাপত্তা প্রহরীদের চোখ ফাঁকি দিয়ে সীমানা প্রাচীর টপকে পার্কে প্রবেশ করে। বিষয়টি দেখতে পেয়ে গ্রাম–পুলিশ ও আনসার সদস্যরা তাদের মধ্যে ৫ জনকে আটক করেন। অভিযোগ উঠেছে, পরে সেখানে উপস্থিত হয়ে ইউএনও মো. মাইনউদ্দিন ওই শিশুদের মধ্যে চারজনকে কানে হাত দিয়ে দাঁড় করিয়ে রাখেন। ওই ঘটনার সময় পার্কে উপস্থিত অনেক দর্শনার্থী মোবাইলের ক্যামেরা দিয়ে ছবি তোলেন ও ভিডিও ধারণ করেন।  পার্কে দায়িত্বে থাকা প্রহরী জাহাঙ্গীর হোসেন বেপারী বলেন, দেয়াল টপকে কিছু ছেলে পার্কে প্রবেশ করে। পরে তাদের ধরে শাস্তি দেওয়ার জন্য পানিতে দাঁড় করে রাখা হয়। তবে কানে ধরার বিষয়টি আমি জানি না। ভুক্তভোগী এক শিশু বলে, আমার কাছে কোনো টাকা ছিল না। আমার সাথে থাকা অনেকে ভেতরে ঢুকছে, তাই আমিও ওদের সাথে ঢুকছি। পরে আনসাররা মিলে আমাকে সন্ধ্যা থেকে ৯টা পর্যন্ত আটকে রাখছে। ইউএনও এসে আমাকে কান ধরে রাখতে বলছে আর পার্ক বন্ধ হওয়া পর্যন্ত আটকে রাখতে বলছে। ভুক্তভোগী আরেক শিশু বলে, আমরা বুঝতে পারলে ঢুকতাম না। আমাদের অনেকক্ষণ দাঁড় করাইয়া রাখায় পা ব্যথা হয়ে গিয়েছিল। ওনারা অনেক রাগারাগি করছে। আমরা আর কখনো পার্কে যাব না। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাইনউদ্দিন অভিযোগ অস্বীকার করে গণমাধ্যমকে বলেন, কয়েকজন দেয়াল টপকে ভেতরে ঢুকলে গ্রাম–পুলিশ ও দায়িত্বরত যারা ছিলেন তারা ওদেরকে ধরে আটকে রাখেন। আমি গিয়ে কাউন্সিলিং করে ছেড়ে দিই। ওরা দুয়েকজন হয়তো ভয়ে কানে হাত দিয়েছিল।
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:০৪

‘বাবাকে ছাড়া কেমন যেন শূন্য মনে হয় নিজেকে’
চলছে ঈদ। আর এই উৎসবকে কেন্দ্র করে সবার মাঝেই দেখা যাচ্ছে এক ভিন্ন আমেজ। পরিবারের সাথে ঈদ করতে অনেকেই গিয়েছেন দেশের বাড়ি। পাশাপাশি এই ছুটিতে বাড়তি আনন্দ যোগ করতে টিভি চ্যানেল, ওটিটি, ইউটিউবে আসছে অনেক নতুন নাটক, ওয়েবফিল্ম শুরু করে নানান ধরনের কন্টেন্ট। পাশাপাশি নিজেকে একটু সবার থেকে ভিন্ন করে সাজাতে নিচ্ছেন অনেকেই অনেক প্রস্তুতি। সবকিছু মিলিয়ে পিছিয়ে নেই শোবিজ তারকারাও।  এদিকে একটা সময় উৎসব মানেই অপূর্বর নাটক, কখনো কখনো সে সংখ্যা ছাড়িয়ে যেত চল্লিশেরও বেশি। তবে মানের দিকে গুরুত্ব দিয়ে এখন নাটকের সংখ্যা কমিয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে ব্যস্ততা বাড়িয়েছেন ওটিটিতে। ছিল ঈদুল ফিতর। শিল্পী-কলাকুশলী থেকে শুরু করে সবাই মেতেছিলেন ঈদ আনন্দে। প্রতিবারের মতো এবার ঈদের দিনটিও পরিবারের সঙ্গেই কাটিয়েছেন অপূর্ব। মা ও বড় ভাইদেরকে নিয়ে রাজধানীর উত্তরার নিজ-বাসাতেই দিনটি উদযাপন করেন তিনি। তবে বাবাকে হারিয়ে বিষণ্ণ এই অভিনেতা। জিয়াউল ফারুক অপূর্ব বলেন, বাবাকে ছাড়া কেমন যেন শূন্য মনে হয় নিজেকে। ঈদের দিন বাবার কথা ভীষণ মনে পড়েছে। খুব মিস করেছি, এখনো করছি। সবকিছু থেকেও কি যেন একটা নেই।  তিনি আরও বলেন, ঈদ সব সময়ই আনন্দের। তবে ছোটবেলার ঈদের আনন্দগুলো ছিল অন্যরকম। তখন একদম টেনশন ফ্রি ছিলাম। হাসতাম, ঘুরতাম, আড্ডা দিতাম। ওই সময়ের প্রত্যেকটা দিনই ছিল বেশ আনন্দের। সে সময়ের আনন্দটা এখনকার সময়ের কাছে কিছুই না। সে সময়ের সঙ্গে এখনকার তুলনা করা চলে না। এটা যে শুধু আমার ক্ষেত্রে তা নয়, এটা সব বড়দের ক্ষেত্রেই। বড়রা আসলেই দুর্ভাগা, সেদিক থেকে ছোটরা অনেক সৌভাগ্যবান। 
১২ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৪২

আগুন নেভাতে টোল ছাড়া এক্সপ্রেসওয়েতে উঠতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস
অগ্নিকাণ্ড কিংবা যেকোনো দুর্ঘটনায় আগুন নিয়ন্ত্রণ ও উদ্ধারকাজে দ্রুত পৌঁছাতে হয় ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) বিকেলে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় হঠাৎ আগুন ধরে যায় একটি প্রাইভেটকারে।  ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা আসতে আসতে মাত্র ২৫ মিনিটেই পুড়ে যায় গাড়িটি। আগুন নেভাতে কুর্মিটোলা ফায়ার স্টেশন থেকে ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে সময় লাগার কথা পাঁচ মিনিট। কিন্তু রাস্তায় সময় লেগেছে প্রায় ২০ মিনিট। এর মধ্যে টোল দিতেই সময় লেগেছে ১০ মিনিট। ফায়ার সার্ভিসের এক কর্মকর্তা জানান, টোল ছাড়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে উঠতে দেয়নি সংশ্লিষ্টরা। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে টাকা এনে টোল দিতেই সময় লেগেছে ১০ মিনিট। ফায়ার সার্ভিসের সাবেক মহাপরিচালক মেজর (অব.) এ কে এম শাকিল নেওয়াজ গণমাধ্যমকে বলেন, দ্রুততম সময়ে ফায়ার ফাইটারদের ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি টোলমুক্ত রাখা উচিত। টোল কোনোভাবেই নেয়া উচিত নয়। ইমার্জেন্সি মানে ইমার্জেন্সি। কেউ বাধা দিলে ন্যূনতম এক বছরের জন্য শাস্তির বিধান রয়েছে। উড়ালসড়কের শেষ অংশে বা মাঝামাঝি ফায়ার স্টেশনের জন্য ব্যবস্থা নিলে ভালো হবে। বিভিন্ন দেশে এ ব্যবস্থা রয়েছে। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে কিছু সরকারি গাড়ির বিনামূল্যে পাস থাকলেও নেই জরুরি সেবার প্রতিষ্ঠান ফায়ার সার্ভিসের পাস। তাই উড়ালসড়ক কিংবা সেতুতে ফায়ার সার্ভিসের গাড়িকে টোলমুক্ত রাখার দাবি উঠেছে।
১২ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:০৫

শাকিব ছাড়া দ্বিতীয় কোনো পুরুষকে ভাবতে পারি না : বুবলী
প্রেম বিয়ে সন্তান, এরপর বিচ্ছেদ শাকিব-বুবলী ভক্তদের এ খবর অজানা নয়। দীর্ঘ সময় ধরেই এক ছাদের নিচে থাকছেন না দুজন। এমনকি শাকিব বুবলী সম্পর্কে যেখানে গণমাধ্যমে কথা বলতেই নারাজ, সেখানে বুবলী এ প্রসঙ্গে সরবই বলা চলে। এ কথার প্রমাণ আবারও পাওয়া গেল বেসরকারি টিভি চ্যানেলে প্রচারিত ‘বলা না-বলা’ অনুষ্ঠানে।  অনুষ্ঠানে বুবলী শাকিব ছাড়া তার জীবনে দ্বিতীয় কোনো পুরুষের জায়গা নেই উল্লেখ করে এই নায়িকা বলেন, আমার জীবনের রাজকুমার শাকিব। আমাদের ভবিষ্যত কী হবে সেটা হয়তো ভবিষ্যতই বলে দেবে। কিন্তু তার আগে আমাদের একটা কথা বলার জায়গা আছে। পারিবারিকভাবেও কথা বলার জায়গা আছে। কারণ, সন্তানের জন্য হয়তো অনেক কিছুই মানিয়ে নিচ্ছি। তবে আমার একটা অভিমান-কষ্টের জায়গা তো থাকছে। শাকিবকে বিয়ে করা জীবনের ভুল সিদ্ধান্ত, কখনো এমনটা মনে হয়েছে কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে বুবলী বলেন, হ্যাঁ মনে হয়েছে। কারণ, আমার জীবনে অনেক কঠিন সময়ে যখন তাকে পাশে প্রয়োজন ছিল, তখন আমি তাকে পাশে পাইনি। ওই সময়গুলোতে মনে হয়েছে, তাকে বিয়ের সিদ্ধান্তটা ভুল ছিল। তিনি আরও বলেন, আমি এভাবেই কাটিয়ে দিব। আমার সন্তানই এখন সবকিছু। কোনো প্রেম, সম্পর্ক কিছুই আমার কাছে ঘেষতে পারবে না। আগামীতে চলচ্চিত্র, সন্তান, পরিবার সেসবেই সময় দিব।  
১০ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৩৭

প্যান্ট ছাড়া ইউনিফর্ম পরে জার্মান পুলিশের প্রতিবাদ
জার্মানির দক্ষিণপূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ বাভেরিয়ায় দীর্ঘদিন ধরে ইউনিফর্মের ঘাটতি অব্যাহত থাকায় পুলিশের মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছে। জার্মান পুলিশদের ইউনিয়ন ‘স্টেট চ্যাপ্টার অফ দ্য পুলিশ ইউনিয়ন’ প্রকাশিত একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, প্যান্ট ছাড়া ইউনিফর্ম পরে ঘুরছেন পুলিশ সদস্যরা। দীর্ঘদিন ধরে ইউনিফর্মের স্টক খালি থাকায় পুলিশ সদস্যরা তাদের দাবি আদায়ে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে এই পথ বেছে নিয়েছেন। খবর জার্মানির রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলের। স্টেট চ্যাপ্টার অফ দ্য পুলিশ ইউনিয়ন ইউটিউব চ্যানেল এবং ইনস্টাগ্রাম আইডিতে পোস্ট করা সেই ভিডিওটিতে দেখা গেছে, পুলিশের গাড়িতে বসে দুই পুলিশ কর্মকর্তা একে অন্যকে জিজ্ঞেস করছেন, আর কতদিন অপেক্ষা করতে হবে? উত্তরে চার, ছয় মাস, বলতে বলতে যখন তারা বিএমডাব্লিউ গাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন, তখন তাদের পরনে প্যান্টবিহীন ইউনিফর্ম দেখা যায়। ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইয়র্গ্যেন কোহলাইন ভিডিওটির প্রসঙ্গে জার্মানির রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলেকে বলেন, ভিডিওটি দেখে মনে হতে পারে এটি এপ্রিল ফুলের বাজে কৌতুক। কিন্তু আসলে এখানে হাসির কিছু নেই। ইউনিফর্মের ভয়াবহ অভাব পুলিশ কর্মকর্তাদের জন্য অসম্মানের। তিনি বলেন, বাভেরিয়ার পুলিশরা অর্ধনগ্ন, এমনকি ট্রাউজার ছাড়া থাকতে বাধ্য হচ্ছে৷ ইউনিফর্মের ২১ ধরনের সামগ্রীর ঘাটতি রয়েছে৷ ক্যাপ, জ্যাকেট, প্যান্ট। আমরা অপেক্ষা করছি, কিন্তু জানি না আদৌ এগুলো পাওয়া যাবে কিনা। দ্রুত সমস্যার সমাধান করতে বাভেরিয়া প্রদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে স্টেট চ্যাপ্টার অব পুলিশ ইউনিয়ন। বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, তারা সমস্যা সম্পর্কে জানেন। সরবরাহ খাতে ব্যাঘাতের কারণে এই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান তিনি। মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এখন থেকে তারা নিজেরা এগুলো পৌঁছে দেয়ার দায়দায়িত্ব পালন করবেন৷
০৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:২২

বীমা ছাড়া গাড়ি নিয়ে নামা যাবে না রাস্তায়
সড়কে চলাচলকারী সব ধরনের মোটরযানের জন্য লাইসেন্সের পাশাপাশি বাধ্যতামূলক হতে যাচ্ছে বীমাও। ২০১৮ সালের আগেও এমন আইন অবশ্য ছিল। পাঁচ বছর পর ফের প্রচলিত আইনে যুক্ত হতে যাচ্ছে বীমার ওপর বাধ্যবাধকতার ব্যাপারটি।   জানা গেছে, নতুন নিয়ম অনুযায়ী, বীমা করা না থাকলে প্রতিটি যানবাহনের জন্য তিন হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা গুনতে হবে তার মালিককে। আর আইন না মানলে মামলা করবে পুলিশ। এ ধরনের বিধান করার আবেদন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে একটি সারসংক্ষেপ পাঠাতে যাচ্ছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ। যুক্তি হিসেবে মন্ত্রণালয় বলছে, বিশ্বের কোনো দেশেই বীমা ছাড়া সড়কে কোনো যানবাহন চলাচল করতে পারে না। সারসংক্ষেপে সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮–এর একটি ধারা সংশোধনের প্রস্তাবও থাকছে। গত ১ মার্চ অনুষ্ঠিত জাতীয় বীমা দিবসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বীমা না করা কোনো যানবাহন যাতে চলাচল করতে না পারে, সে রকম একটি নির্দেশনা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও। সেদিন তিনি বলেছিলেন, ‘যথাযথ বীমা ছাড়া সড়কে যেন কোনো যানবাহন না চলে, এ ব্যাপারে আমাদের দৃষ্টি দিতে হবে।’  আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ বলছে, তাদের হিসাব অনুযায়ী চলতি ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দেশের সড়ক ও মহাসড়কগুলোতে চলাচলকারী মোটরসাইকেল, গাড়ি, বাস, ট্রাকসহ বিভিন্ন ধরনের মোট মোটরযানের সংখ্যা ৫৬ লাখ ৬১ হাজার ৪১৮টি। বীমা করা বাধ্যতামূলক না হওয়ায় প্রতিবছর ৮৭৮ কোটি টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত থাকছে সরকার। আইন সংশোধনের পক্ষে যুক্তি হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর কাছে এসব তথ্যও পাঠানো হবে। এদিকে বর্তমানে প্রচলিত দেশের সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮–এ যাত্রী বা মোটরযানের বীমা নিয়ে চারটি উপধারা আছে। এর মধ্যে প্রথম উপধারায় বলা আছে, কোনো মোটরযানের মালিক বা প্রতিষ্ঠান ইচ্ছা করলে তার মালিকানাধীন যেকোনো মোটরযানের জন্য যে সংখ্যক যাত্রী পরিবহনের জন্য নির্দিষ্ট করা, তাদের জীবন ও সম্পদের বীমা করতে পারবে। দ্বিতীয় উপধারায় বলা হয়েছে, মোটরযানের মালিক বা প্রতিষ্ঠান তাদের অধীনে পরিচালিত মোটরযানের জন্য যথানিয়মে বীমা করবেন এবং মোটরযানের ক্ষতি বা নষ্ট হওয়ার বিষয়টি বীমার আওতাভুক্ত থাকবে এবং বীমাকারীর মাধ্যমে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ পাওয়ার অধিকারী হবে। তৃতীয় উপধারা বলছে, মোটরযান দুর্ঘটনায় পড়লে বা ক্ষতিগ্রস্ত হলে বা নষ্ট হলে সেটির জন্য আর্থিক সহায়তা তহবিল থেকে কোনো ক্ষতিপূরণ দাবি করা যাবে না।  আর সবশেষ উপধারাটিতে বলা হয়েছে, বীমার শর্ত, বিমার দায়-দায়িত্বের সীমা, বীমার দেউলিয়াত্ব, বীমা-দাবি পরিশোধ, বিরোধ-নিষ্পত্তি, বীমা সনদের কার্যকারিতা ও তা হস্তান্তর এবং আনুষঙ্গিক অন্যান্য বিষয় বিধির মাধ্যমে নির্ধারিত হবে। আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ বলছে, প্রচলিত সড়ক পরিবহন আইনের ৬০(১) উপধারায় যানবাহনের যাত্রীর জন্য বীমা বাধ্যতামূলক রাখার পরিবর্তে ঐচ্ছিক করা হয়েছে। আর দ্বিতীয় উপধারায় ‘যথানিয়মে বীমা করবেন’ বলে যে নির্দেশনার উল্লেখ আছে, তা লঙ্ঘন করলে কোনো শাস্তির বিধান রাখা হয়নি। আইনের এ সুযোগ নিয়েই মোটরযানের বীমার বিষয়টি এড়িয়ে চলছেন মালিকরা।  আবার আইনের ৯৮ নম্বর ধারায় শাস্তির বিধানের কথা বলা আছে। অর্থাৎ আইনেই বিভ্রান্তির সুযোগ রয়েছে। এই বিভ্রান্তি দূর করতে ২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর একটি পরিপত্র জারি করে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। তাতে বলা হয়েছে, আইনের ৬০(১), (২) ও (৩) উপধারা অনুযায়ী তৃতীয় পক্ষের ঝুঁকি বীমা বাধ্যতামূলক নয় এবং কেউ কোনো ধারা লঙ্ঘন করলে মোটরযান বা মোটরযানের মালিকের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়ার সুযোগ নেই।  এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে কথা বলতে রাজি হননি আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ। তবে বিভাগটির শীর্ষ পর্যায়ের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, ‘কোনো দেশেই বীমা ছাড়া যানবাহন চলতে পারে না, বাংলাদেশেও পারবে না। এ জন্য শিগগিরই আইন সংশোধন করা হবে।’ এদিকে জাতীয় বীমা দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর উক্তির পরই যানবাহনের জন্য বীমা বাধ্যতামূলক করার সুপারিশ প্রণয়নে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব অমল কৃষ্ণ মণ্ডলকে সভাপতি করে ১১ সদস্যের একটি কমিটি গঠিত হয়েছে। ওই কমিটি ইতোমধ্যে দুটি বৈঠকও করেছে। যেখানে বর্তমান সড়ক পরিবহন আইন সংশোধন করে এতে একটি উপধারা সংযোজনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী উপধারাটিতে উল্লেখ থাকবে, ‘যদি কোনো ব্যক্তি ৬০(২) ধারার বিধান লঙ্ঘন করেন, তাহলে তা হবে একটি অপরাধ এবং এই অপরাধের জন্য তিনি অনধিক তিন হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন।’ জানা গেছে, জাতীয় বীমা দিবসের আগেই মোটরযানের জন্য বীমা বাধ্যতামূলক করার প্রস্তাবটি দিয়েছিল বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)। আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিবের কাছে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি সংস্থাটির পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বলা হয়, বিদ্যমান আইনে বীমা করার কথা বলা থাকলেও তা প্রতিপালনের জন্য দণ্ডের ব্যবস্থা নেই। ফলে আইন মেনে বীমা করার ক্ষেত্রে মানুষের আগ্রহ কম।  আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ বলছে, আইডিআরএর প্রস্তাব অনুযায়ীই আইন সংশোধন হবে। তবে এজন্য প্রশাসনিক মন্ত্রণালয় হিসেবে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা দরকার।  
০৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:৩১
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়