• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
logo

টিকাদানের সক্ষমতা আরও বাড়াবে ডিএনসিসি : মেয়র আতিক 

আরটিভি নিউজ

  ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:৩০
ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সবার আগে স্মার্ট নাগরিক প্রয়োজন। আজকে যারা শিশু তারাই আগামী দিনের স্মার্ট নাগরিক। তাই সবাইকে শতভাগ টিকার আওতায় আনা হবে। এ সময় তিনি টিকাদানে ডিএনসিসির সক্ষমতা আরও বৃদ্ধির কথা উল্লেখ করেন।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) ডিএনসিসির প্রধান কার্যালয় নগরভবনে আয়োজিত ই-ট্র্যাকার, জিআইএস-বেসড অনলাইন মাইক্রো প্ল্যানিং অ্যান্ড রিয়েল-টাইম রিপোর্টিং প্রগ্রামে তিনি এসব কথা বলেন।

আতিকুল ইসলাম বলেন, শিশুদের যদি যথাসময় টিকা দেওয়া সম্ভব হয় তাহলে ছোট থেকেই তার সুস্থ সবল থাকবে। এর জন্য যদি সিটি করপোরেশনের আরও ভ্যাকসিনেটর প্রয়োজন হয় সিটি করপোরেশন সেটারও ব্যবস্থা করবে। একসময় এই দেশে টিকাদান কার্যক্রম চালানো অনেক কঠিন ছিল।

‘টিকাদানে বাংলাদেশ আজ সফলতা অর্জন করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অর্জন করেছেন ভ্যাকসিন হিরো পুরষ্কার। এটাই বাংলাদেশ, এটাই বাংলাদেশের সফলতা।’

তিনি আরও বলেন, ই-ট্র্যাকার জিআইসের কল্যাণে সকল শিশুদের তথ্য আমাদের কাছে চলে আসছে। এটা ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার জন্য ভালো একটা উদ্যোগ।

এই ডিজিটাল প্লাটফরমের আওতায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন টিকাদান কর্মসূচিতে ইউনিসেফের সহযোগিতায় ই-ট্র্যাকার কার্যক্রম অক্টোবর ২০২৩ হতে এবং জিআইএস বেইজড অনলাইন মাইক্রোপ্ল্যান ও ডেইলি রিপোর্টিং জানুয়ারি ২০২৪ হতে সফলভাবে চলছে। ইপিআই কর্মসূচিকে অধিকতর সাফল্যমণ্ডিত করার লক্ষ্যে ইউনিসেফের সহযোগিতায়, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ২০১৮ হতে কর্মজীবী মায়ের শিশুদের জন্য সান্ধ্যকালীন টিকাদান কর্মসূচি ও ২০২৩ হতে ফ্রাইডে সেশন পরিচালনা করা হচ্ছে এবং ২০২২ হতে ডিএনসিসিতে ৮৫ জন টিকাদান কর্মী ইপিআই কার্যক্রম পরিচালনা করছে। যাদের মাধ্যমে ১৭০টি টিকাদান কেন্দ্র পরিচালিত হচ্ছে। এর মাধ্যমে এখন পর্যন্ত ২০২৩ সালে ৭৯,৫৩২টি শিশু ও ২০২৪ সালে ৩৯,৫৯১টি শিশু টিকাদান সেবা গ্রহণ করেছেন।

ডিএনসিসি ১,২০,০০০ শিশু লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ই-ট্র্যাকার এ ৮২,০০০ (৭০%) শিশু রেজিস্টার করা হয়েছে। সেই সাথে শতভাগ জিআইএস বেইজড অনলাইন মাইক্রোপ্ল্যানিং সম্পন্ন হয়েছে ও ডেইলি অনলাইন রিপোর্টিং চলমান রয়েছে। এ ছাড়া ২০২৩ সালে ১,৯৩৬ টি জিরো ডোজ ও ১১,১৭০টি আংশিক টিকা প্রাপ্ত এবং ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত ১,০৮১টি জিরো ডোজ ও ৮,৫১১টি আংশিক টিকা প্রাপ্ত শিশু খুঁজে বের করা হয়েছে ও টিকা প্রদান করা হয়েছে। উল্লেখ্য ভাসমান জনগোষ্ঠী ও বেদেসহ ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীকে খুঁজে বের করে টিকা প্রদান করা হয়েছে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের এই বিশাল অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ইপিআই ও এমআইএস বিভাগ, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা এবং এনজিও সমূহ।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের সঙ্গে আরো উপস্থিত ছিলেন ইউনিসেফ বাংলাদেশের ডেপুটি রিপ্রেজেনটেটিভ ইমা ব্রিংহাম, ডব্লিউএইচওর টিমলিডার-আইভিডি ডা. রাজেন্দ্র বহরা, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী প্রমুখ।

মন্তব্য করুন

daraz
  • রাজধানী এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
৪ বছর পূর্তিতে উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরলেন মেয়র আতিক
জলাবদ্ধতা দ্রুত নিরসনে ডিএনসিসির কুইক রেসপন্স টিম গঠন
‘স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে কর্মদক্ষ যুবসমাজের বিকল্প নেই’
খাল থেকে উদ্ধার ‘ডানাকাটা পরী’, আছে খাট-সোফা-লাগেজও
X
Fresh