• ঢাকা রোববার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
গরমে সূর্যের তাপে হতে পারে চোখের বড় ক্ষতি
গরমের কারণে শুধু ত্বক বা চুলের ক্ষতি হয় না, একই সঙ্গে ক্ষতি হতে পারে চোখেরও। সূর্যের কড়া রশ্মির মধ্যে রয়েছে আলট্রাভায়োলেট অর্থাৎ অতিবেগুনি রশ্মি এ ও বি। ইউভিএ ও ইউভিবি-র প্রভাবে চোখের নানা বিপদ হতে পারে। এমনকি চোখ নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কাও থাকে। তাই চোখ বাঁচাতে কিছু কাজ না করলেই নয়। গ্রীষ্মের মৌসুমে চোখ বাঁচাতে যা করণীয়- ইউভি ব্লকিং সানগ্লাস- সাধারণ সানগ্লাস পরলে লাভ হবে না। বরং ইউভি রশ্মি ঠেকাতে পারে এমন সানগ্লাস এই সময় পরতে হবে। ৯৯ থেকে ১০০ শতাংশ ইউভি রশ্মি প্রতিরোধী সানগ্লাস কিনতে হবে। বড় হ্যাট- টুপি নয়, একটি বড় ছায়া দেয় এমন হ্যাট কিনে নিন। এই হ্যাট মাথায় পরলে চোখও রেহাই পায়। এতে চোখের মধ্যে সরাসরি সূর্যের রশ্মি বা তাপ এসে লাগে না। ফলে চোখের সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যায়। বারোটা থেকে তিনটার রোদে কম বেরনো- দুপুর বারোটা থেকে বিকাল তিনটার রোদে কম বের হলে ভালো হয়। একান্ত কাজ থাকলে বেরতো হতেই হয়। সেক্ষেত্রে যতটা কম বের হওয়া যায়, ততটাই ভালো। পানি, বালি ও বরফ থেকে দূরে থাকা- এই তিনটি উপাদান বেশি পরিমাণে ইউভি রশ্মি প্রতিফলিত করে। তাই এর থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখা জরুরি। এই তিনটির মধ্যে থাকলে চোখে সানগ্লাস পরে থাকা ভালো। যতটা সম্ভব ছায়ায় থাকা- রোদের মধ্যে অযথা বেশি সময় না ঘোরাই ভালো। বরং যতটা সম্ভব ছায়ার মধ্যে থাকলে তা চোখের জন্য ভালো। পাশাপাশি শরীরের জন্যও উপকারী এই অভ্যাস। ওষুধের জের- কিছু ওষুধের জেরে চোখ অনেক বেশি সংবেদনশীল হয়ে পড়তে পারে। ফলে ইউভি রশ্মির আক্রমণে সহজেই চোখের নানা রোগের আশঙ্কা থাকে। তা চোখ বাঁচাতে চিকিৎসকের কাছ থেকে ওষুধগুলোর ব্যাপারে পরামর্শ নেওয়া ভালো। নিয়মিত চোখ পরীক্ষা- গরমকালে একটু ঘন ঘন চোখের পরীক্ষা করানো ভালো। এতে চোখের কোনও সমস্যা হলে তা হাতে সময় থাকতেই সারিয়ে ফেলা যায়।
২২ ঘণ্টা আগে

গরমে স্বস্তি দিতে ঠান্ডা শরবত বিতরণ
সারাদেশে চলছে তীব্র তাপদাহ, তেমনি বেড়েছে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি। এই তীব্র দাবদাহের মধ্যে সাধারণ মানুষদের স্বস্তি দিতে পথচারীদের মাঝে ঠান্ডা শরবত বিতরণ করা হয়ছে। বুধবার (১ মে) দুপুরে প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এইচ বি আর টাওয়ারের সামনে প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের টেক্সটাইল ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থী ও প্রাইমএশিয়ানস ফ্যামিলি সংগঠনের উদ্যোগে এ কার্যক্রম কার্যক্রম চালান তারা। এ সময় শহরে চলাচলরত তিন শতাধিক পথচারী ও শ্রমজীবী মানুষের মাঝে এই শরবত বিতরণ করা হয়।  আয়োজকরা জানান, তীব্র তাপ প্রবাহের মধ্যে সাধারণ মানুষদের কিছুটা স্বস্তি দিতে এ ক্ষুদ্র প্রয়াস। এ সংকট মুহূর্তে যাতে সবাই এগিয়ে আসে। পাশাপাশি জনসাধারণকে এই তীব্র দাবদাহে খুব বেশি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের না হওয়ার পরামর্শ ও পরিমিত পরিমাণে বিশুদ্ধ পানি পানের জন্য সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো হয়। বিগত সময়গুলোতেও প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের টেক্সটাইল ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থীরা মানবসেবামূলক কাজ করে এসেছে এবং ভবিষ্যতেও করে যাবে ইনশাআল্লাহ।
০২ মে ২০২৪, ২২:৪২

গরমে বন্ধুদের নিয়ে মধুমতিতে মাশরাফীর জলকেলি
বাংলাদেশের তারকা ক্রিকেটার এবং সংসদ সদস্য হওয়ার পরেও সাদামাটা জীবন-যাপন করেন মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা। সারাদেশ যখন তীব্র তাপদাহের পুড়ছে, তখন নিজে এলাকা নড়াইলে অবস্থান করছেন তিনি। প্রচণ্ড গরম উপেক্ষা করে একের পর এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েও কোনো ক্লান্তি নেই মাশরাফীর। এদিকে নানা ব্যস্তার মাঝেও বন্ধুদের সাথে আড্ডা এবং নদীতে গোসল করে সময় কাটাচ্ছেন জাতীয় সংসদ হুইপ ও নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দুটি মতবিনিময় সভা শেষ করে দুপুরের প্রচণ্ড খরতাপের মাঝেই হুট করে লোহাগড়া যান মাশরাফী। নিজের গোছগাছ সেরে বন্ধুদেরও গাড়িতে উঠতে বললেন। কিছু না বললেই বা কি আসে যায় তার বন্ধুরা ও যে তাকে ঢের চেনে। গাড়ি ছুটে চলল, লোহাগড়া থেকে ডানে গ্রামের পথ বেয়ে ২৪ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে মাশরাফীর গাড়ি বহর থামল উপজেলার ঘাঘা গ্রামের মধুমতি নদীর পাড়ে। ক্যাপ্টেন বরাবরের মতো সবার আগে নদীতে নামলেন, পেছনে বন্ধুর বহর। একে একে ঝাঁপিয়ে পড়লেন মধুমতি নদীর পানিতে। বন্ধু ও পার্সোনাল কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম প্রটোকলের বেড়াজালে পাড়েই দাঁড়িয়ে রইলেন। কি আর করা ডাক এলো, সবাই নদীতে নামবেন। অগত্যা ব্যক্তিগত কর্মকর্তা, দেহরক্ষী সবারই নামতে হলো নদীর পানিতে। পানিতে নেমেই ফুটবল নিয়ে বন্ধুদের উপর হামলে পড়া, সাঁতরে মাঝ নদীতে যাওয়া, বন্ধুদের ঘাড়ে উঠিয়ে চেলে ফেলা এ যেন কৈশরের মাশরাফীর সব ভুলে মেতেছেন ছেলেবেলার দুরন্তপনায়। ঘণ্টাব্যাপী পানির মধ্যে থেকে ও কোথাও একটা কমতি মনে হলো কৌশিকের।  বড় নদী সাঁতরে মাঝ নদীতে গিয়ে বন্ধুদের পার করা মাছ ধরা নৌকার গলুই ধরে ঝুলে বাকিটা নদী পার হয়ে উপরে বসেই একটু পানি পান করলেন। কিন্তু বসে থাকার জো তো আর নেই! বন্ধুরা দলবেঁধে হামলা বলেই কাঁদা ছুড়তে লাগলেন মাশরাফীর দিকে। কিছুটা সামলেই পাল্টা নিজে কাদা হাতে বন্ধুদের উপর পাল্টা আক্রমণ চালান ম্যাশ।  কাঁদা ছোটার প্রতিদানে কাঁদা মাখালেন বন্ধুদের আর সাথে বোনাস হিসাবে কয়েকটা চুবানি ও খেলেন তারা। বন্ধুদের সবাইকে নিজের দেওয়া নাম ধরে ডেকে অন্যরকম তৃপ্তি অনুভব করেন ম্যাশ। এ তালিকায় স্নেহধন্য ছোট ভাই জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক স্বপ্নীল শিকদার নীল ও বাদ পড়লেন না। নিজের দেওয়া নাম ধরে ডেকে অট্ট হাসিতে ফেটে পড়েন নড়াইলে কৌশিক নামে পরিচিত সাবেক এই তারকা ক্রিকেটার। এভাবেই ৩ ঘণ্টাব্যাপী চলে ম্যাশের জলকেলি। নদী পাড়ে ইতোমধ্যেই হাজারো দর্শক জমায়েত হয়েছেন মাশরাফীকে দেখার জন্য। লুঙ্গি পড়ে একটি টি শার্ট গায়ে চেপেই আবার ছুটে চলা পরবর্তী সিডিউলের দিকে। উৎসুক জনতা মাশরাফীকে বিগত ৬ বছর ধরে কাছ থেকে দেখছেন। 
০১ মে ২০২৪, ২০:০৫

তীব্র গরমে গোপনে তৃষ্ণার্তদের পাশে দাঁড়ালেন ইরফানপুত্র
প্রয়াত বলিউড অভিনেতা ইরফান খানের মন ছিল সোনায় মোড়ানো। এমনটাই প্রায় সময় বলেন তার কাছের তার মানুষজন ও অনুরাগীরা। তার ছেলে বাবিলও যেন হয়েছেন বাবার মতোই। তীব্র তাপদাহে নানান জায়গায় পানির কষ্ট। এই সমস্যা সমাধানে কাজ করছেন ইউটিউবার প্রেম কুমার। তাকে ৫০ হাজার টাকা দান করলেন ইরফানপুত্র। ‘ইওর নিক ভাইরাল’ নামের ইনস্টাগ্রাম পেজ রয়েছে প্রেমের। সোশ্যালে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, তাকে মোবাইলের মাধ্যমে টাকা ট্রান্সফার করছেন বাবিল খান। আর সেই সঙ্গে বলছেন, ‘আমার নাম লেখার দরকার নেই, তুই ভালো কাজ করছিস।’ বাবিলের এই ভিডিওতে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। অনেকেই ইরফান পুত্রের এই কাজের প্রশংসা করেছেন। তবে কেউ কেউ আবার প্রশ্ন করছেন, নাম যদি নাই লেখাতে হয় তাহলে ক্যামেরার সামনে টাকা কেন দেওয়া হচ্ছে? যদিও ভিডিওর কমেন্টবক্সে প্রেম বাবিলকে প্রশংসায় ভরিয়ে দেন। এর জন্য ধন্যবাদ দেওয়ার ভাষা তার কাছে নেই বলেও জানান। প্রসঙ্গত,সোমবার (২৯ এপ্রিল)  ছিল ইরফান খানের মৃত্যুবার্ষিকী। নিউরো এন্ডোক্রিন টিউমারে আক্রান্ত ছিলেন তারকা। বিদেশে বেশ কিছুদিন ধরে চিকিৎসা হয়। দেশে ফিরে আসার পর শেষ ছবি ‘আংরেজি মিডিয়াম’ সিনেমার শুটিং শেষ করেন। এরই মাঝে শোনা যায় হাসপাতালে ভর্তি ইরফান। কোলন ইনফেকশনই কাল হল। ২০২০ সালের ২৯ এপ্রিল মুম্বাইয়ের হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন অভিনেতা।
৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৩০

তীব্র গরমে বেঁকে গেছে রেললাইন
গাজীপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলরুটের পূবাইলের আড়িখোলা এলাকায় চলমান দাবদাহে অতিরিক্ত তাপমাত্রায় রেললাইন বেঁকে গেছে।  মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দুপুর ১টার দিকে পুবাইল ও আড়িখোলা স্টেশনের মাঝামাঝি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বিষয়টি টের পেয়ে দ্রুত রেললাইন মেরামত করায় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে ওই রুটে চলাচলকারী ট্রেন। পূবাইল রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার আব্দুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে গণমাধ্যমকে বলেন, চলমান তীব্র দাবদাহে অতিরিক্ত তাপমাত্রায় পূবাইল আড়িখোলা এলাকায় অন্তত ১০ ফুট রেললাইন বেঁকে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। বিষয়টি জানার পর রেলওয়ে কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে কচুরিপানা, কাঁদা মাটি দিয়ে বেঁকে যাওয়া অংশের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। পরে ওই অংশ মেরামতের পর দুটি ট্রেন ঘটনাস্থল দিয়ে গন্তব্যে চলে গেছে। এ ঘটনায় ডাবল লাইনের অন্য একটি লাইন দিয়ে রেল চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে বলেও জানান পূবাইল রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার। 
৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:২১

তীব্র গরমে শ্রেণিকক্ষে ছাত্রী অসুস্থ, হাসপাতালে ভর্তি 
বাগেরহাটে শ্রেণিকক্ষে সায়লা আক্তার সাথী নামের এক শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। সোমবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে বাগেরহাট সদরের উপজেলার মাহাফুজ খানম মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটেছে। পরে অভিভাবক এসে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সায়লা ওই বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী এবং মগরাহাট গ্রামের মোশাররফের মেয়ে। এ বিষয়ে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী আসমানী আক্তার বলেন, আমাদের ক্লাসে ৩০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। তবে এই গরমে মাত্র ৬-৭ জন ক্লাস করছি। ওপরে টিনশেড সঙ্গে লোডশেডিং, খুবই কষ্ট হয়। এই গরমে ছোট বোন অসুস্থ হয়ে পড়েছে। সরকার যদি মর্নিং স্কুল করে দেয় তাহলে সুন্দরভাবে ক্লাস করতে পারব। অসুস্থ সায়লা আক্তার সাথী বলেন, অনেক দিন স্কুল বন্ধ থাকার পর আসছি। ক্লাসের টিনশেড এবং লোডশেডিং হওয়ায় প্রচণ্ড গরমে মাথা ঘুরে পড়ে যাই। এরপর হাসপাতালে নিয়ে আসে। বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক হাসিবুর রহমান বলেন, আমাদের স্কুলে ১৫২ শিক্ষার্থীর মাঝে উপস্থিত ৪৮ জন। তীব্র গরমে অনেক শিক্ষার্থী উপস্থিত হচ্ছে না। ইতোমধ্যে একজন অসুস্থ হয়েছে। তাকে আমরা জেলা হাসপাতালে পাঠিয়েছি। নতুন শিক্ষা কারিকুলাম বাস্তবায়নে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ চাই না। সরকার যদি মর্নিং স্কুলের ব্যবস্থা করে বা অনলাইনে ক্লাস করার মতো ব্যবস্থা করে, তাহলে বাড়িতে থেকে ক্লাস করতে পারবে।
৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:২৫

গরমে বিদ্যুৎ বিল কমানোর সহজ উপায়
সারাদেশে চলছে অতি তাপপ্রবাহ। গরমে ফ্যান চললেও নেই স্বস্তি। এই গরমে ২৪ ঘণ্টাই চলছে ফ্যান। তাই বাড়ছে বিদ্যুৎ খরচ। মাস শেষে বিদ্যুৎ বিলের জন্য বাড়তি খরচে চোখে-মুখে চিন্তার ভাজ। বিল কার্ড দ্রুত ফুরিয়ে যাওয়ায় পড়তে হচ্ছে দুশ্চিন্তায়। কিছু ট্রিকস জানা থাকলে খুব সহজেই কমাতে পারবেন বিদ্যুৎ বিল। বাড়তি বিদ্যুৎ খরচ কমাতে চাইলে প্রথমেই বাড়ির পুরোনো সকল বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি সরিয়ে ফেলতে হবে। কেননা এ ধরনের যন্ত্রপাতিগুলো বৈদ্যুতিক বিল প্রচুর পরিমাণে খরচ করে। এর ফলে বিদ্যুৎ বিল অনেকটা বাড়িয়ে দেয়। এখন বাজারে শক্তি সাশ্রয়ী ৫ স্টার রেটযুক্ত যন্ত্রপাতি পাওয়া যায়। আধুনিক সেই যন্ত্রপাতি ব্যবহার করলে বিদ্যুৎ অনেকটা সাশ্রয় করা যায়। শুধু যেই ইলেকট্রিক যন্ত্রপাতিগুলো ব্যবহার করছেন সেগুলোর সুইচ অন রাখুন। অপ্রয়োজনে ইলেকট্রিক যন্ত্রের সুইচ সব সময় অফ রাখতে ভুলবেন না। এমনকি ফোনের চার্জার বা ল্যাপটপের মতো ছোট ছোট ডিভাইসগুলোর ক্ষেত্রেও একই বিষয় মনে রাখতে হবে। আধুনিক বাল্ব ব্যবহার করুন। বাড়িতে এলইডি বাল্বের পরিবর্তে অন্য কোনো বাল্ব ব্যবহৃত হয়ে থাকে তাহলে আজই তা পরিবর্তন করুন। আধুনিক এলইডি লাইট বিদ্যুৎ সাশ্রয় করে। অন্য বাল্ব তা করে না।  বিদ্যুৎ অপচয় রোধ করতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে যেন বিদ্যুৎ অনর্থক কাজে ব্যয় না হয়। কম্পিউটার ও মোবাইল চার্জারের কাজ হয়ে গেলে তা সব সময় অফ রাখতে হবে। সঙ্গে সঙ্গে ঘরে থাকা টিভিকে স্ট্যান্ডবাই মোডে কখনই রাখা যাবে না। এতে বিদ্যুৎ খরচ হয়। এয়ার কন্ডিশনার মেশিন (এসি) সঠিক তাপমাত্রায় চালাতে হবে। গ্রীষ্মে বেশি এয়ার কন্ডিশনার মেশিন (এসি) ব্যবহার করতে হয়। এসি ব্যবহার করলে বিদ্যুৎ বিল বেশি আসে ব্যাপারটা তেমন নয়। শুধু এর সঠিক ব্যবহার করতে জানতে হবে। এসি থেকে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ অপচয়রোধ করার নিয়ম জানতে হবে। মনে রাখতে হবে এয়ার কন্ডিশনার মেশিন (এসি)যদি ২৪ ডিগ্রি অটোমেটিক সেটিংয়ে চালানো হয় তাহলে বিদ্যুৎ বিল অনেকটা কম আসে। তবে সচেতনতাও এক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা পালন করে।
৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৫০

লোহাগড়ায় গরমে ১২ শিক্ষার্থী অসুস্থ, স্কুল ছুটি ঘোষণা
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় স্কুল খোলার দ্বিতীয় দিনে তীব্র গরমে ১২ জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। এরমধ‍্যে ৬ জন জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। এ ঘটনার পর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ওই স্কুল একদিনের জন্য ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার (২৯ এপ্রিল) বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে উপজেলার ইতনা স্কুল অ্যান্ড কলেজে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন কলেজটির অধ্যক্ষ অনিন্দ্য সরকার।  প্রচণ্ড গরমে অসুস্থ শিক্ষার্থীরা হলো ৭ম শ্রেণির সাহারা, একই শ্রেণির রেজোয়ান, ৮ম শ্রেণির সিহাব, সোহাগ ও বায়োজিদসহ ১২ জন। ওই স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তীব্র গরমের কারণে সকাল ১০টা থেকেই ইতনা স্কুল অ্যান্ড কলেজের অনেক শিক্ষার্থী অসুস্থ বোধ করছিল। দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৭ জন শিক্ষার্থী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে বিদ্যালয়ে চিকিৎসক এনে তাদের চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে তারা সুস্থ হয়ে বাড়ি যায়। স্থানীয় বাসিন্দা অশোক ঘোষ জানান, এক সপ্তাহ বন্ধের পর স্কুল খুলেছে। স্কুল খোলার দ্বিতীয় দিনে অতিরিক্ত গরমে ওই স্কুলের শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়েছে। ছাত্রছাত্রীরা গরমের কারণে লেখাপড়া করতে পারছে না। তিনি স্কুল-কলেজে মর্নিং শিফট চালুর দাবি জানান। ইতনা স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ অনিন্দ্য সরকার বলেন, প্রচণ্ড গরমে শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়লে স্থানীয় ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসক এনে তাদের সুস্থ করে তাদেরকে বাড়ি পাঠানো হয়েছে।  তিনি আরও বলেন, এ ঘটনার পর লোহাগড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এবং জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের সঙ্গে কথা বলে সোমবার একদিনের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে এবং মঙ্গলবার যথারীতি স্কুল খোলা থাকবে।  লোহাগড়া উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. জহুরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।  তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের অসুস্থতার বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত রয়েছি। ইতনা স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি। 
২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৫০

গরমে ফ্রিজের ঠান্ডা পানি ভালো নাকি ক্ষতিকর
দেশজুড়ে তীব্র তাপদাহে অতিষ্ঠ নগরবাসী। একে তাপমাত্রা সহন ক্ষমতার বাইরে, তার সঙ্গে রয়েছে বাতাসের অত্যধিক আর্দ্রতা। এ দুইয়ের আক্রমণে সাধারণ মানুষের অবস্থা খুবই নাজেহাল। এমন তীব্র তাপদাহে একটু প্রশান্তির খোঁজে সকলেই ঠান্ডা পানি পান করে তৃষ্ণা মিটাচ্ছেন। আবার অনেকে গরম থেকে ঘরে ফিরেই হুটহাট করে একেবারে ফ্রিজ থেকে বের করেই বরফজমা ঠান্ডা পানি পান করছেন। তবে ঠান্ডা পানি পান করা নিয়েও নানা সময়ে বারণ শুনতে হয়।  বিশেষজ্ঞদের মতে হুটহাট করে একেবারে ফ্রিজ থেকে বের করেই বরফজমা ঠান্ডা পানি পান করা ঠিক নয়। শুধু গরম বলে নয়, যেকোনো সময় ঠান্ডা পানি পানের বিষয়ে সতর্ক করেছেন চিকিৎসকরা। ঠান্ডা পানি পান কী স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর- গরমে ঠান্ডা পানি পান করা যেতেই পারে। তবে অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি পান করা শরীরের জন্য খারাপ হতে পারে। ঠান্ডা পানি হজমে ব্যাঘাত ঘটায়। গ্রীষ্মের গরমের কথা মাথায় রেখে যতটা সম্ভব ঠান্ডা পানি এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। ঠান্ডা পানি খেলে কি কি হতে পারে তা নিচে দেওয়া হলো- শরীরের তাপমাত্রার ভারসাম্যহীনতা: শরীরের তাপমাত্রা ৯৮ ডিগ্রি ফারেনহাইট। অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি পান করার কারণে দেহের তাপমাত্রা তখন আর ৯৮ ডিগ্রি ফারেনহাইটে থাকে না। তখন শরীরে টনসিলের সমস্যা, মাইগ্রেনের সমস্যা, দাতে ব্যথা, খাদ্যনালির সমস্যা দেখা দিতে পারে। এছাড়া সর্দি, কাশি বা জ্বরের ঝুঁকি বেড়ে যায় অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি পান করলে। গলাব্যথা: গরমে ঠান্ডা পানি পানে গলাব্যথা হতে পারে। এ ছাড়া সর্দি-কাশির অন্যতম কারণ হতে পারে ঠান্ডা পানি। খাবারের পরপর ঠান্ডা পানি পানে অতিরিক্ত মিউকাস (শ্লেষ্মা) তৈরি হয়। এটি শ্বাসপ্রশ্বাসে বাধা তৈরি করে। যখন শ্বাসনালিতে বাধা তৈরি হয়, তখন নানা প্রদাহযুক্ত সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়। হৃদস্পন্দন কমিয়ে দেয়: বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঠান্ডা পানি পান হৃদস্পন্দন কমিয়ে দিতে পারে। তাইওয়ানের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, ঠান্ডা পানি পান করা হার্টের জন্য ক্ষতিকর। তাই বিপদ থেকে বাঁচতে ঠান্ডা পানি পানের পরিমাণ কমিয়ে আনতে হবে। যাদের আগে থেকেই হার্টের সমস্যা রয়েছে, তারা ঠান্ডা পানি পুরোপুরি এড়িয়ে চলবেন। হজমে বাধা: বিশেষজ্ঞদের মতে, ঠান্ডা পানি বা ঠান্ডা কোমল পানীয় রক্তনালির সংস্পর্শে আসে এবং হজমপ্রক্রিয়ায় বাধা দেয়। হজমের সময় যে পুষ্টি শোষিত হয়, সে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় বাধা দেয়। শরীর তখন হজমপ্রক্রিয়ার চেয়ে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়ে। শরীরে বেশি পানিশূন্যতা দেখা যায়। ঈষদুষ্ণ পানি পান করুন: অসহনীয় গরম পড়েছে বলে অনেকেই কুসুম গরম পানি খাওয়া ছেড়ে দিয়েছেন। বরং ফ্রিজের ঠান্ডা পানি খাচ্ছেন। কিন্তু এ ভুল করতে যাবেন না। সকালে ঈষদুষ্ণ পানি পান করলে শরীরের ফ্যাট কমে, হজম প্রক্রিয়া ঠিকমতো কাজ করে, কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে তাও ভালো হয়ে যায়। তাই রোজ সকালে হালকা গরম পানি পান করতে মোটেও ভুল করবেন না। পাশাপাশি বিশেষজ্ঞদের মতে, তীব্র এ গরমে দিনে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি অবশ্যই পান করতে হবে। পাশাপাশি ডাবের পানি, ফলের জুস, ঘোল, লেবুর শরবত খেতে পারেন।
২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:৫০

গরমে ক্লান্তি দূর করে এনার্জি দেবে যেসব খাবার
আবহাওয়ার এই অসহনীয় গরমে শরীরে দেখা দিতে পারে অবসাদ-ক্লান্তি। এ থেকে পরিত্রাণ পেতে বড় ভূমিকা রাখতে পারে খাবার। তবে বেছে নিতে হবে এমন কিছু খাবার, যা শরীরে সর্বাধিক শক্তি সরবরাহ করতে পারে। কোনো কোনো খাবার খেলে গরমের দিনেও আপনার এনার্জি সঠিক মাত্রায় বজায় থাকবে, জেনে নিন তালিকা। শুধু ওজন কমাতে নয়, গরমের সময়ে আপনাকে ভরপুর এনার্জির জোগান দেবে চিয়া সিডস। তাই এই উপকরণ অবশ্যই রাখুন আপনার মেনুতে। প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ফ্যাট, মিনারেলসে ভরপুর চিয়া সিডস আপনার পেট ভরিয়ে রাখবে অনেকক্ষণ। সেই সঙ্গে আপনাকে কাজের শক্তি দেবে, চাঙ্গা রাখবে। অল্প পরিশ্রমেই ক্লান্ত হতে দেবে না। মিষ্টি আলু ওজন কমানোর পাশাপাশি সাহায্য করে এনার্জির জোগান দিতেও। তাই গরমের দিনে এই উপকরণ দিয়ে পদ পাতে রাখুন। মিষ্টি আলুতে কার্বোহাইড্রেট এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্টস প্রচুর পরিমাণে থাকায় আপনি অনেকক্ষণ চাঙ্গা থাকার এনার্জি পাবেন এই খাবার থেকে। সকালের খাবারে অনেকেই কলা খেয়ে থাকেন। কিংবা ধরুন আপনার খিদে পেয়েছে কখনও, বিশেষ করে রাস্তাঘাটে। কলা খেয়ে নিতে পারলে পেট ভরে থাকবে অনেকক্ষণ। আপনি শারীরিক ভাবে চাঙ্গাও থাকবেন দীর্ঘক্ষণ। কলার মধ্যে রয়েছে সুক্রোজ, ফ্রুক্টোজ এবং গ্লুকোজ। এই তিন উপকরণ আপনাকে ইনস্ট্যান্ট এনার্জি প্রদান করতে পারে। তার ফলে চাঙ্গা থাকবে আপনি। ওটস একটি স্বাস্থ্যসম্মত খাবার। ওটস খেলে দীর্ঘক্ষণ পেট ভর্তি থাকে এবং ওজন কমে, একথা ঠিকই। সেই সঙ্গে আপনি প্রচুর এনার্জিও পাবেন এই খাবার থেকে। ওটসের মধ্যে রয়েছে ফাইবার, প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেটস। এই তিন ধরনের নিউট্রিয়েন্টের সাহায্যে আপনার শরীরের এনার্জির মাত্রা বাড়বে। বিভিন্ন ধরনের বাদাম এবং বীজ জাতীয় জিনিস খেতে পারেন যা আপনাকে ভরপুর এনার্জির জোগান দেবে এই তীব্র গরমেও। আমন্ড, আখরোট, চিনাবাদাম, সূর্যমুখী ফুলের বীজ- এইসব উপকরণে থাকে হেলদি ফ্যাট, ফাইবার এবং প্রোটিন, যা আপনাকে ভরপুর এনার্জির জোগান দেবে।
২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:১০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়