• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
রোবটের সাহায্যে সন্দেশখালি থেকে উদ্ধার অস্ত্র, বিস্ফোরক
পশ্চিমবঙ্গে ভোটের দিনে খবরের শিরোনামে সন্দেশখালি। শাহজাহানের ঘনিষ্ঠের বাড়ি থেকে বিস্ফোরক-অস্ত্র উদ্ধার। সন্দেশখালিতে শুক্রবার সিবিআই, সিআরপিএফ ও ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ড বা এনএসজি শাজাহান শেখের ঘনিষ্ঠের বাড়ি থেকে প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র ও বিস্ফোরক উদ্ধার করেছে। এনএসজি রোবট এনে আরও বিস্ফোরক উদ্ধারের চেষ্টা করে যাচ্ছে। গোপন সূত্র থেকে খবর পেয়ে, কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা শাহজাহান শেখের ঘনিষ্ঠ হাফিজুল খাঁর ভগ্নীপতির বাড়ি থেকে অস্ত্র ও বিস্ফোরক উদ্ধার করে। সবচেয়ে বড় কথা, এবার অস্ত্র ও বিস্ফোরক উদ্ধার করার কাজে রোবটের সাহায্য নেওয়া হয়। টিভির পর্দায় দেখা যায়, রোবট কী করে অস্ত্র ও বিস্ফোরকের খোঁজ করছে। হাফিজুলের আত্মীয়ের বাড়ির চারপাশে মাছের ভেড়ি। সেখানে মাটি খুঁড়ে প্রচুর বিদেশি বন্দুক উদ্ধার করা হয়েছে বলে সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে। মেঝে খুঁড়েও অস্ত্রের খোঁজ মিলেছে। ফলে এলাকায় নতুন করে চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে।  ভোটের ছবি শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গের তিনটি কেন্দ্র দার্জিলিং, রায়গঞ্জ ও বালুরঘাটে শুক্রবার হয়েছে। বিকেল ৩টা পর্যন্ত তিনটি কেন্দ্রেই প্রায় ৬০ শতাংশ ভোট পড়েছে। প্রচণ্ড গরমের জন্য মানুষ সকাল সকাল ভোটের লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন। দুপুরের পরে আবার বুথে লম্বা লাইন দেখা গেছে। ফলে দিন শেষে ভোটের হার ৭০ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের তিন কেন্দ্রে বড় কোনো অশান্তির ঘটনা ঘটেনি। বালুরঘাটে বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদারকে লক্ষ্য করে গো ব্যাক স্লোগান দেয় তৃণমূল কর্মীরা। দার্জিলিংয়ে বিজেপি প্রার্থী রাজু বিস্তার সঙ্গে তৃণমূল কর্মীদের বিতণ্ডা হয়েছে। রাজুকে ঘিরে তারা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। সুকান্তকে ঘিরেও বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে। সারা দেশে ভোট দেশের অন্যত্র পশ্চিমবঙ্গের তুলনায় কম ভোট পড়েছে। দেশেভোট পড়ার গড় হার হলো ৫০ শতাংশ। কোথাও কোনো গোলমাল হয়নি।
৩ ঘণ্টা আগে

পাথরঘাটায় নিখোঁজ হওয়া জেলের মরদেহ উদ্ধার 
বরগুনার পাথরঘাটার বিষখালি নদীতে মৎস্য বিভাগের অভিযানে জেলেদের মারধরের সময় নদীতে পরে নিখোঁজ জেলে মোহাম্মদ রিপনের মরদেহ ২২ ঘণ্টা পর উদ্ধার করা হয়েছে।  শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১২টায় বিষখালী নদীর কালমেঘা টুলু পয়েন্টের কাছ থেকে রিপনের মরদেহ উদ্ধার করেন জেলেরা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কালমেঘা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গোলাম নাসির। এর আগে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে বিষখালীর নদীর দক্ষিণ কূপধোন এলাকায় বরগুনা জেলা মৎস্য বিভাগের অভিযানের একপর্যায়ে জেলে রিপন বিষখালী নদীতে পরে নিখোঁজ হন। এ ঘটনায় আরও দুই জেলে আহত হন। নিহত জেলে মো. রিপন (৪১) উপজেলার কালমেঘা ইউনিয়নের দক্ষিণ কূপধোন গ্রামের মো. আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে। আহত জেলেরা হলেন মো. রাসেল একই এলাকার নুরু মোল্লার ছেলে এবং সুলতান হাওলাদারের ছেলে দেলোয়ার হোসেন।  এ দিকে রাত দেড়টার দিকে রিপনের মরদেহ কালমেঘা টুলু পয়েন্টে উদ্ধার করে নিয়ে এলে প্রায় পাঁচ শতাধিক নারী-পুরুষ জড়ো হয়ে এ ঘটনায় জড়িত জেলা মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তাদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেন।  এ সময় উপস্থিত ছিলেন পাথরঘাটা উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা গোলাম কবির, জেলা পরিষদের সদস্য এনামুল হোসাইন, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম নাসিরসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। স্থানীয় সূত্র ও আহত দুই জেলে জানান, প্রতিদিনের মতো রিপন, রাসেল ও দেলোয়ার দুটি ট্রলার নিয়ে বিষখালী নদীতে মাছ ধরার জন্য যান। রাত আড়াইটার দিকে স্পিডবোট নিয়ে বরগুনা সদর উপজেলার মৎস্য বিভাগ অবৈধ খুঁটি অপসারণের জন্য অভিযানে নামে। তখন ওই দুটি ট্রলারকে ধরে সেখানে থাকা জেলেদের মারধর করেন মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তারা। মারধরের একপর্যায়ে রিপন নদীতে ঝাঁপ দিলে পরবর্তী সময়ে তাকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। এরপর রাসেল ও দেলোয়ারকে নিয়েই অভিযান চালায় মৎস্য বিভাগ।  শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকাল ৯টার দিকে অভিযান শেষে রাসেল ও দেলোয়ারকে তীরে ছেড়ে দেয়। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম নাসির জানান, জেলে রিপনের সন্ধান পাওয়ার পর পাথরঘাটা থানা পুলিশকে জানালে রাত দেড়টার দিকে কালমেঘা টুলু পয়েন্টে তার মরদেহ উদ্ধার করেন পুলিশ সদস্যরা। পাথরঘাটা থানার ওসি (তদন্ত) সাইফুজ্জামান জানান, মরদেহ উদ্ধার করে পাথরঘাটা থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। মরদেহের সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য সকালে মর্গে পাঠানো হবে। এ দিকে জেলা মৎস্য বিভাগের অভিযানে জেলে নিহত হওয়ার ঘটনায় বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে কালমেঘার জেলেপল্লী। সেখানে কয়েক শ' জেলে জড়ো হয়ে মাইকে বিক্ষোভ করতে শোনা গেছে।  এ ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়ে বিক্ষুব্ধ জেলেদের সান্ত্বনা দিয়েছেন পাথরঘাটা উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা গোলাম কবির।
৩ ঘণ্টা আগে

পরিত্যক্ত নলকূপে আটকা / সাড়ে ৫ ঘণ্টা চেষ্টা করেও বাঁচানো গেল না যুবককে
চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) পরিত্যক্ত গভীর নলকূপের মধ্যে আটকা পড়া যুবক রনি বর্মণকে (২৩) সাড়ে ৫ ঘণ্টা চেষ্টার পরও জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। আধুনিক প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার করেও রনি বর্মণ নামের ওই যুবককে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বেলা ১১টা থেকে ওই যুবককে উদ্ধার করার জন্য চেষ্টা করছিলেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। বিকেল সোয়া ৪টার দিকে রনির নিথর দেহ উদ্ধার করেন তারা। স্থানীয়রা জানান, বিএমডিএর গভীর নলকূপটির পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় নতুন করে আরেকটি গভীর নলকূপ কিছুদিন আগে বসানো হয়। ফলে আগেরটি পরিত্যক্ত হয়ে পড়েছিল। প্রতিদিনের মতো খেলতে এসে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের গভীর নলকূপের পাইপে আটকা পড়েন রনি। খবর পেয়ে নাচোল ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে যান। পরে তাদের সঙ্গে যোগ দেয় চাঁপাইনবাবগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ইউনিট। বিকেল সোয়া ৪টার দিকে রনির নিথর মরদেহ উদ্ধার করেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। এ বিষয়ে নাচোল ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন ম্যানেজার আব্দুল হক বলেন, প্রযুক্তি যা আছে সব ব্যবহার করেও যুবককে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। পরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও রাজশাহী ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা পর ওই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন নাচোল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তারেকুর রহমান।  ওসি মো. তারেকুর রহমান বলেন, রনি বর্মণ নামের প্রতিবন্ধী ওই যুবক ওই এলাকায় ঘুরাঘুরি করতেন। আজ পরিত্যক্ত গভীর নলকূপের পাইপের কাছে গেলে তিনি পড়ে যান। এ সময় মাঠের কয়েকজন কৃষক ওই নলকূপের কাছে পানি খাওয়ার জন্য আসলে তারা ছেলেটির কান্নার আওয়াজ শুনে সবাইকে জানান। খবর পেয়ে বেলা ১১টা থেকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা প্রায় সাড়ে ৫ ঘণ্টারও বেশি সময় চেষ্টা করার পর বিকেল সোয়া ৪টার দিকে রনি বর্মণকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেন। এখন পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।
২০ ঘণ্টা আগে

খাটের ওপর পড়ে ছিল গৃহবধূ, স্বামী ঝুলছিল ওড়নায় 
গাজীপুরের শ্রীপুরের একটি বহুতল ভবনের ফ্ল্যাট থেকে স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।  শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকালে উপজেলার মুলাইদ গ্রামের মো. ফারুক খানের বহুতল ভবনের নিচ তলার এক কক্ষ থেকে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়। নিহত মো. ইসরাফিল (১৭) শেরপুরের ঝিনাইগাতি থানার হলদি গ্রামের মো. মফিজুল হকের ছেলে ও মোছা. রোকেয়া খাতুন (১৫) ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ থানার পস্তারি গ্রামের আবুল কাশেমের মেয়ে। জানা যায়, প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে গত ৭-৮ মাস আগে তারা পরিবারের অমতে বিয়ে করেন। শ্রীপুরের মুলাইদ গ্রামের মো. ফারুক হোসেনের বহুতল ভবনে ভাড়া থেকে ইসরাফিল স্থানীয় একটি ওয়ার্কশপে ও রোকেয়া স্থানীয় একটি কারখানায় কাজ করতেন। নিহত ইসরাফিলের বাবা মফিজুল হক জানান, পাশাপাশি ফ্লাটে বসবাস করতেন তারা। পরিবারের রান্নার কাজ তারা ইসরাফিলের ফ্লাটে করতেন। শুক্রবার সকালে ইসরাফিলের ফ্লাটের দরজা খোলা দেখতে পেয়ে ভেতরে যান এবং ইসরাফিলকে ওড়নায় পেঁচানো ঝুলন্ত অবস্থায় এবং রোকেয়ার মরদেহ খাটের ওপর বিছানায় দেখতে পান। পরে পাশ থেকে একটি চিরকুট পাওয়া গেছে। চিরকুটে লেখা ছিল, ‘মা-বাবা আমাকে মাফ করে দিও, আমি তোমাদের সঙ্গে থাকতে পারলাম না। আমার জান আমার জন্য ফাঁসিতে ঝুলেছে। তাই আমি থাকতে পারলাম না। আমি কাউকে দোষারোপ করি না। কারও কোনো দোষ নেই। আমার জান আমার জন্য অপেক্ষা করতাছে। সবাই ভালো থাকবা। মো. ইসরাফিল। মা আমার পাশে রোকেয়ার কবর দিও মা। মা আমি জানি না আমার জান কেন ফাঁস দিল। তার জন্য সম্পন্ন আমি দায়ী। এতে কারও কোনো দোষ নাই।’ কালিয়াকৈর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আজমীর হোসেন জানান, খবর পেয়ে স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে স্ত্রী রোকেয়া আত্মহত্যা করার পর তার শোকে স্বামী ইসরাফিল আত্মহত্যা করেছে। আমরা সুইসাইড নোট সংগ্রহ করেছি। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২:১৯

হিলিতে কোটি টাকার কোকেন উদ্ধার
দিনজপুরের হিলি সীমান্তের ডাংগাপাড়া চেকপোস্টে যাত্রীবাহী বাসে তল্লাশি চালিয়ে ২ কেজি কোকেন উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ জয়পুরহাট ২০ ব্যাটালিয়নের বিজিবি সদস্যরা।  শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে পঞ্চগড় থেকে ছেড়ে আসা হিলিগামী বাস শাহী এন্টারপ্রাইজে (বাস নম্বর-ঢাকা-ব-১৪-৯২২৭) তল্লাশি করে মালিকবিহীন এসব কোকেন উদ্ধার করা হয়। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সন্ধ্যায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছেন জয়পুরহাট ২০ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ তানজিলুর রহমান ভূঁইয়া।  অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ তানজিলুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি যে, একটি বাসে কিছু অবৈধ মালামাল আসবে। পরে সেখানে সহকারী পরিচালক মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে ব্যাটালিয়ানের একটি বিশেষ টহল দল ডাংগাপাড়া এলাকায় অবস্থান করেন। এ সময় শাহী নামে একটি যাত্রীবাহী বাসে অভিযান পরিচালনা করেন বিজিবি সদস্যরা। অভিযানে দুই কেজি কোকেন উদ্ধার করা হয়। যার আনুমানিক মূল্য ১ কোটি টাকা। জনস্বার্থে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
২৫ এপ্রিল ২০২৪, ২০:৫৮

সালমানের বাড়িতে হামলার ঘটনায় গুলিসহ অস্ত্র উদ্ধার
বলিউডের ‘ভাইজান’ খ্যাত সুপারস্টার সালমান খানের বাড়ির বাইরে গত ১৪ এপ্রিল চার রাউন্ড গুলি ছুড়ে পালিয়ে যান দুর্বৃত্তরা। এদিন ভোর ৫টার দিকে মুম্বাইয়ের বান্দ্রা এলাকায় গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টের সামনে এ ঘটনা ঘটে। ইতোমধ্যে গুজরাটের ভুজ থেকে দুর্বৃত্তদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তখনই উদ্ধার হয়েছিল হামলায় ব্যবহার করা একটি পিস্তল। এবার তাপি নদী থেকে উদ্ধার হয়েছে আরও একটি পিস্তল; সঙ্গে তিনটি ম্যাগজিন। টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হযেছে, পুলিশের মুম্বাই ক্রাইম ব্রাঞ্চের কর্মকর্তারা অস্ত্রের পাশাপাশি ৩টি ম্যাগাজিন উদ্ধার করেছেন। গত ২২ এপ্রিল থেকেই শুরু হয়েছিল তল্লাশি অভিযান। এখন পর্যন্ত মোট ২টি পিস্তল, ৩টি ম্যাগাজিন এবং ১৩টি বুলেট উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ সালমানের বাড়ি থেকে এক কিলোমিটারেরও বেশি দূর থেকে একটি বাইকও উদ্ধার করেছে। সন্দেহ করা হচ্ছে, হামলাকারী দুজনে ওই বাইকে চেপেই এসেছিল। ১২ জন কর্মকর্তা এবং এনকাউন্টার স্পেশ্যালিস্ট সিনিয়ার পুলিশ ইনস্পেক্টার দয়া নায়ক এ অভিযান পরিচালনা করছেন। স্কুবা ড্রাইভার দিয়ে চলছে তল্লাশি। এ ঘটনায় এরই মধ্যে ভিকি গুপ্ত ও সাগর পালকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বান্দ্রা এলাকায় বলিউড সুপারস্টার সালমান খানের বাড়ির বাইরে কয়েক রাউন্ড গুলি চলানোর পর থেকেই ভারতজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। পুরো ঘটনার ভিডিও সিসিটিভিতে উঠে এসেছে। ফুটেজে দেখা যায়, দুই বন্দুকধারীর মধ্যে একজন অভিনেতার বাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালায়। সন্দেহভাজন দুই ব্যক্তিই বাইকে থাকাকালে ব্যাকপ্যাক নিয়ে ছিলেন এবং পরিচয় গোপনের জন্য টুপি পরা ছিল। গত ১৩ এপ্রিল সাগর নামের এক হামলাকারীর হাতে রাতেই অস্ত্র তুলে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কে তাকে পিস্তুল দিয়েছিল সেটা এখনও অজানা। তবে অভিনেতার বাড়িতে হামলার জন্য তাদের ১ লাখ রুপি অগ্রিম হিসেবে দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি করে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে তদন্ত থেকে পুলিশ জানায়, সালমানকে খুন করার কোনো পরিকল্পনা ছিল না হামলাকারীদের। শুধুমাত্র তাকে ভয় দেখানোই উদ্দেশ্য ছিল দুর্বৃত্তদের। বলিউড ভাইজানের এ প্রাণনাশের হুমকির নেপথ্যে কে? এ প্রশ্নের উত্তরে বারবার গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইর নাম উঠে এসেছে। এর আগেও একাধিকবার এমন হুমকি এসেছে।
২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:৪০

ডাকাতিয়া নদীতে নিখোঁজ শিশুর মরদেহ উদ্ধার 
চাঁদপুরে ডাকাতিয়া নদীতে নিখোঁজ শিশু মো. জুনায়েদ মিয়ার (১০) মরদেহ ২৪ ঘণ্টা পর উদ্ধার করেছে চাঁদপুর নৌ ফয়ার সার্ভিস ডুবুরি দল।  বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে চাঁদপুর নতুন বাজার-পুরান বাজার সেতুর নিচে জুনায়েদের মরদেহ ভেসে উঠলে নৌ ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা মরদেহ উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে। এর আগে মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে জুনায়েদ নদীর পাড়ে বেধে রাখা নৌকা থেকে লাফ দিয়ে গোসল করতে নামলে ডুবে নিখোঁজ হয়।  পুরান বাজার ডিগ্রি কলেজ এলাকার বাসিন্দা মো. নাছির উদ্দিনের ছেলে জুনায়েদ। সে স্থানীয় একটি মাদরাসায় পড়ালেখা করতো।  ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স চাঁদপুর নৌ ইউনিটের ইনচার্জ মো. মুসলিম মিয়াজী বলেন, সংবাদ পেয়ে ঘটনার দিন দুপুর পৌনে ৩টায় নৌ ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন এবং কার্যক্রম শুরু করে। ওই সময় উদ্ধার কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন কোস্টগার্ড চাঁদপুর স্টেশনের ডুবুরি দলও। দুটি ডুবুরি দল সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করে নিখোঁজ শিশুর সন্ধান মেলেনি। বুধবার সকাল ৮টা থেকে উদ্ধার কার্যক্রম চালানো হয়। দুপুর দেড়টার দিকে ব্রিজের নিচে জুনায়েদের মরদেহ ভেসে উঠলে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স চাঁদপুর নৌ ইউনিটের সদস্যরা মরদেহ উদ্ধার করে পরিবাবের কাছে হস্তান্তর করে।
২৪ এপ্রিল ২০২৪, ২২:১০

চাঁদপুরে পৃথক ঘটনায় ২ মরদেহ উদ্ধার
চাঁদপুরে পৃথক স্থান থেকে লিটন গাজী (৩৪) ও আরিফ (২৬) নামের দুই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে ওই দুই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায় পুলিশ।  পরে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে মরদেহ দুটি হস্তান্তর করা হয়। লিটন গাজী সদর উপজেলার শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নের বড় শাহতলী গ্রামের মৃত সিরাজ গাজীর ছেলে। অপরজন আরিফ সদর উপজেলার বাগাদী ইউনিয়নের নুরুল ইসলামের ছেলে। লিটনের শাশুড়ি হাজেরা বেগম বলেন, সদর উপজেলার শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নের বড় শাহতলী গ্রামে নিজ বাড়িতে একা থাকতেন লিটন। রোববার তাকে অনেকবার ফোন করলেও রিসিভ করেননি। এরপর ছোট জামাইকে সঙ্গে নিয়ে লিটনের বাড়িতে গিয়ে দেখতে পাই সে মাটিতে পড়ে আছে। স্থানীয় চিকিৎসককে খবর দিলে তিনি এসে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে চাঁদপুর সদর মডেল থানার এসআই কুদ্দুস ঘটনাস্থল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। চাঁদপুর সদর মডেল থানার এসআই মো. শাহজাহান জানান, আরিফ নামের ওই যুবক মানসিক ভারসাম্যহীন রোগী বলে পরিবারের স্বজনরা জানিয়েছেন। তিনি ঘরের আড়ার সঙ্গে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তার স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা। এ ছাড়াও তার একটি সন্তান রয়েছে। রোববার রাতে মরদেহটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়। চাঁদপুর সদর মডেল থানার ওসি মো. শেখ মুহসীন আলম বলেন, দুটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। দুটিই ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়। এ ছাড়া পৃথক দুটি অপমৃত্যুর মামলা দায়েরের পর পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।
২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৪৬

অপহরণের একদিন পর পল্লী চিকিৎসকসহ দুইজন উদ্ধার
কক্সবাজারের টেকনাফের শিলখালী পাহাড়ি এলাকা থেকে একদিন পর পল্লী চিকিৎসকসহ দুজনকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।  সোমবার (২২ এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে তাদেরকে উদ্ধার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওসমান গণি। তিনি বলেন, পাহাড়ে পুলিশের অভিযানের মুখে পল্লী চিকিৎসকসহ দুজনকে রেখে পালিয়ে যান অপহরণকারীরা। পরে তাদের উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগে রোববার (২১ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে টেকনাফের বাহারছড়া শামলাপুর হোয়াইক্যং সড়ক দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে পল্লী চিকিৎসকসহ ওই দুজনকে অপহরণ করেন দুর্বৃত্তরা। অপহৃত পল্লী চিকিৎসক জহির উদ্দিন (৫২) উখিয়ার থাইংখালী এলাকার মাওলানা জাকের হোসেনের ছেলে। অপরজনের নাম-পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি। অপহরণের শিকার জহির উদ্দিনের ছোট ভাই সাংবাদিক কমরুদ্দিন মুকুল জানান, তার ভাই শাপলাপুর এলাকায় প্রতিদিনের মতো চেম্বার শেষ করে বাড়ি ফিরছিলেন। তার সঙ্গে একজন যাত্রীও ছিলেন। পথিমধ্যে শামলাপুর-হোয়াইক্যং সড়কে আসলে তাদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে পাহাড়ের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে অটোরিকশাচালক বিষয়টি পরিবারকে জানায়। এরপর থেকে ফোনে ৬ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করতে থাকেন অপহরণকারীরা।   প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের মার্চ থেকে ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত টেকনাফের বিভিন্ন এলাকা থেকে ১২০ জনকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ৬২ জন স্থানীয় বাসিন্দা। বাকিরা রোহিঙ্গা নাগরিক।
২৩ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৪৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়