• ঢাকা শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১
logo
২৭ ঘণ্টা পর নিখোঁজ পর্যটকের মরদেহ উদ্ধার
সড়কে ঘুরতে গিয়ে বাইকের ধাক্কায় প্রাণ গেল শিশুর
কিশোরগঞ্জের ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম সড়কে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় প্রাণ গেল মাইষা আক্তার (১০) নামে এক শিশু। নিহত মাইষা আক্তার অষ্টগ্রাম সদর ইউনিয়নের কাটাদিঘীর পাড়ের আশরাফ মিয়ার মেয়ে। শুক্রবার (১২ জুলাই) সন্ধ্যায় অষ্টগ্রাম উপজেলার কাস্তুল ইউনিয়নের ভাতশালা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার বিকেলে মাইষাসহ কয়েকজন ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম সড়কে ঘুরতে যান। সন্ধ্যার দিকে হাঠাৎ একটি মোটরসাইকেলের ধাক্কায় আহত হন মাইষা আক্তার ও মোটরসাইকেল আরোহী দুই যুবক। পরে স্বজনরা তাদের উদ্ধার করে অষ্টগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মাইষাকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত মোটরসাইকেল আরোহী যুবক মো. মোস্তফা মিয়া ও তার বন্ধু ভৈরব উপজেলার পৌরসভার চন্ডিবের মহল্লার বাসিন্দা। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন অষ্টগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) আলী মুহাম্মাদ রাশেদ। তিনি বলেন, ‘অভিযোগ প্রাপ্তি সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
মিঠামইন হাওরে গোসল করতে গিয়ে পর্যটক নিখোঁজ
হাওরে পানিতে নেমে প্রাণ গেল শিক্ষার্থীর
মালচিং পদ্ধতিতে মরিচ চাষে সাফল্য
মিঠামইনে ব্যবসায়ীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
ইটনায় বাড়ির সীমানা নিয়ে সংঘর্ষে নিহত ১
কিশোরগঞ্জের হাওরবেষ্টিত ইটনা উপজেলায় বাড়ির সীমানা নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষে শানু ভূঁইয়া (৬৫) নামে একজন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন নিহতের ছেলে ও ছোট ভাই। শুক্রবার (২৪ মে) ইটনা উপজেলায় বাদলা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শানু ভূঁইয়া উপজেলার বাদলা ইউনিয়নের থানেশ্বর বারোগড়িয়া গ্রামের পাগার আলী ভূঁইয়ার ছেলে।  আহতরা হলেন, নিহত শানু ভূঁইয়ার ছেলে লিটন ভূঁইয়া (৪৫) ও তার ছোট ভাই বাবুল ভূঁইয়া (৫২)। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বাদলা ইউনিয়নের থানেশ্বর বারোগড়িয়া গ্রামের শানু ভূঁইয়া ও প্রতিবেশী মুক্তু মিয়ার মধ্য বাড়ির সীমানা ও টিউবওয়েল স্থাপন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এ ঘটনার জেরে শুক্রবার সকালে উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ইটনা থানা ও বাদলা ফাঁড়ির পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য কিশোরগঞ্জ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শানু ভূঁইয়ার মৃত্যু হয়। ইটনা থানার (ওসি) জাকির রব্বানী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
অষ্টগ্রামে ট্রলিতে খেলাধুলায় প্রাণ গেল শিশুর
কিশোরগঞ্জের হাওরবেষ্টিত অষ্টগ্রামে বাড়ির সামনে রাখা ট্রলিতে খেলা করতে গিয়ে ইমন (৫) নামে এক শিশু নিহত হয়েছে। বুধবার (১৫ মে) সকালে অষ্টগ্রাম উপজেলার কলমা ইউনিয়নের ঢালারকান্দি গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত শিশু ইমন মিয়া (৫) কলমা ইউনিয়নের ঢালারকান্দি গ্রামের খলিল মিয়ার ছেলে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঢালারকন্দি গ্রামে খলিল মিয়ার বাড়ির সামনে, ডিজেল মেশিন ও ট্রাক্টরের সমন্বয়ে স্থানীয়ভাবে তৈরি একটি ট্রলি রাখেন একই গ্রামের সায়েদ মিয়া। সকালে ইমন ও কয়েকজন শিশু একসঙ্গে এই ট্রলিতে খেলাধুলা করছিল। একপর্যায়ে ট্রলির পেছনের ঢালটি লক খোলে পড়ে, এতে ইমন আঘাতপ্রাপ্ত হয়। পরে স্বজনরা তাকে অষ্টগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন অষ্টগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘ঘটনাটি আমি শুনেছি। মরদেহ হাসপাতালে রয়েছে। কেউ অভিযোগ করলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
১৬ বছর ধরে টিনশেড ঘরে প্রাথমিক বিদ্যালয়
কিশোরগঞ্জের মিঠামইনে ১৬ বছর ধরে ছোট্ট একটি টিনশেড ঘরে চলছে প্রাথমিক শিক্ষার পাঠদান। নেই স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট, বৈদ্যুতিক ও সুপেয় পানির সুবিধা। গরমে অসুস্থ হয়ে পড়েন শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা। দ্রুত ভবন নির্মাণের দাবি শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের। কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলার কাটখাল ইউনিয়নের চর কাটখাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ২০০৮ সালে নদী ভাঙনের কারণে পরিত্যক্ত ঘোষণা করে সরকার। তারপর থেকে বিভিন্ন স্থানে অস্থায়ী টিনশেড ঘরে পাঠদান চালিয়ে আসছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ভবন সংকটে মিলছে না ক্ষুদ্র মেরামতের বরাদ্দ। পাঠদানে ব্যবহৃত হয় না শিক্ষা উপকরণ, নেই শিশুদের খেলাধুলার সুবিধা। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ১৯৮৯ সালে কাটখাল ইউনিয়নের কালনী নদীর পূর্ব তীরে চর কাটখাল গ্রামে প্রতিষ্ঠিত হয় ‘চর কাটখাল বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়’। এ বিদ্যালয়ে রয়েছে দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী। ১৯৯৬ সালে নির্মিত হয় ভবনটি। কালনী নদীর ভাঙনের কারণে মাত্র ১২ বছর পর ২০০৮ সালে ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। পরে ২০১৯ সাল পর্যন্ত কাটখাল বাজার জামে মসজিদ এলাকায় একটি অস্থায়ী ঘরে বিদ্যালয়ের পাঠদান কার্যক্রম চালানো হয়। তারপর থেকে পূর্ব চর কাটখাল গ্রামে ২৫ শতাংশ জমিতে ছোট্ট একটি টিনশেড ঘর উঠিয়ে পরিচালিত হচ্ছে শিশুদের পাঠদান। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, টিনশেড ঘরে ছোট্ট তিনটি শ্রেণিকক্ষ ও নামমাত্র একটি অফিস কক্ষ রয়েছে। এক কক্ষের শব্দে অন্য কক্ষে পাঠদান করানো দুষ্কর। বারান্দাহীন টিনশেড এই ঘরে নেই বিদ্যুৎ সংযোগ, টিউবওয়েল ও টয়লেট সুবিধা। আর দশটা বিদ্যালয়ের মতো নেই সাজানো গুছানো দেয়াল। পাঠদানে ব্যবহৃত হয় না শিক্ষাউপকরণ। বিদ্যালয়ের সামনে দৈনিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হলেও নেই খেলাধুলার কোনো উপকরণ। প্রকৃতির ডাক ও পানি খেতে যেতে হয় নিকটতম বাড়িতে। কয়েকজন শিক্ষার্থী মন খারাপ করে বলেন, ‘পাশের স্কুল দেখলে আনন্দ লাগে। কি সুন্দর স্কুলের পরিবেশ আর আমাদের ভাঙাচোরা ঘর। গরমের দিনে পাখা ব্যবহার হয় না, পানিও খেতে পারি না। ঝড়ের দিনে ভয় লাগে। আকাশ খারাপ (মেঘ) করলে দৌড়ে বাড়ি চলে যাই।’ এ বিষয়ে শিক্ষকরা বলেন, প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে আমরা যে প্রশিক্ষণ নেই, তার সঙ্গে এই বিদ্যালয়ে শিশুদের পাঠদানে সমন্বয় করতে পারিনা ভবন, শিক্ষাউপকরণসহ নানা সংকটের কারণে। ২০১৩ সালে জাতীয়করণকৃত এই বিদ্যালয়ে ৬ জন শিক্ষকের বিপরীতে কর্মরত রয়েছেন ৪ জন। শিশু থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত রয়েছেন ১৩০ জন শিক্ষার্থী। ২০১৬ সালে দ্বিতীয় দফায় বিদ্যালয় ভবন নির্মাণের আবেদন করেও কোনো সাড়া পায়নি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এই বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুল হক বলেন, বিদ্যালয়টিতে নানামুখী সংকটের কারণে আমরা যে প্রশিক্ষণ পাই, তা শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রয়োগ করতে পারিনা। সরকার যদি দ্রুত আমাদের ভবনসহ পানি, টয়লেট ও সুন্দর পরিবেশ করে দিতো, আমার ভালোভাবে পাঠদান করাতে পারতাম। কাটখাল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম বলেন, ‘বহুদিন ধরে টিনশেড ঘরে পাঠদান করছেন শিক্ষকরা। উপজেলা সমন্বয় সভায় ভবন নির্মাণ বিষয়ে আলোচনা করেছি। কেন ভবনটি নির্মাণ হচ্ছে না, তা জানিনা। শিক্ষার পরিবেশ তৈরি করতে দ্রুত ভবন নির্মাণের দাবি জানাই।’ মিঠামইন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাদেকুর রহমান বলেন, আমি এই উপজেলায় সদ্য যোগদান করেছি, এ বিদ্যালয়টির বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। আমরা আশা করছি শিগগিরই সরকারের ‘চর ও হাওরাঞ্চল উন্নয়ন’ প্রকল্পের অধীনে বিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত উন্নয়ন শুরু হবে।
অষ্টগ্রামে ইটভাটাকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা
কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রামে ‘ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন নিয়ন্ত্রণ আইন’ লংঘনের অপরাধে মেসার্স তাবিয়া ব্রিকসকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার দেওঘর ইউনিয়নের আলীনগর এলাকায় ‘মেসার্স তাবিয়া ব্রিকস’ নামের ওই ইটভাটায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম মেহেদী হাসান। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মেসার্স তাবিয়া ব্রিকস ইটভাটার বিরুদ্ধে ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন নিয়ন্ত্রণ আইনের একটি ধারা লঙ্ঘন করার অভিযোগ উঠেছে। আইন লঙ্ঘন করে দীর্ঘদিন ধরে ইট তৈরি ও ইটভাটা পরিচালনা করছিল মেসার্স তাবিয়া ব্রিকস। বিষয়টি পরিবেশ অধিদপ্তের নজরে এলে সোমবার ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়।  এ সময় মেসার্স তাবিয়া ব্রিকসকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করে ‘ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রন) আইন’ মেনে ইটভাটা পরিচালনার নির্দেশ দেন আদালত। পরে অষ্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স ইট ভাটার আগুন নিভিয়ে দেয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কিশোরগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তর, সহকারী পরিচালক মো. আবদুল্লাহ আল মতিন, পরিদর্শক রাখিবুল হাসানসহ জেলা পুলিশ লাইন্সের পুলিশ বাহিনীর সদস্য ও ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা। কিশোরগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তর, সহকারী পরিচালক মো. আবদুল্লাহ আল মতিন জানান, আইন লঙ্ঘন করে ইটভাটা পরিচালনা করার অপরাধে জরিমানা করা হয়েছে। আগামীতে এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে। 
অষ্টগ্রাম ট্রাজেডি দিবস আজ
‘কাকা-কাকি, পিসি আর পিসতুতো ভাইদের সাথে হাস্যরসে সময় কাটছিল বর কাজল কাকার, ছিলেন খোশমেজাজে। লঞ্চে ৮৫ জন বরযাত্রী। হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড়ে ডুবতে বসা লঞ্চের কাঁচ ভেঙে বাহিরের রেলিংয়ে আমি আটকে পড়ি; তারপর পানিতে। পরে সাঁতরে তীরে উঠলেও, সেদিনের ঘটনার ভয়াবহতা কাটেনি আজও। পরিবারের ১৭ জনসহ ৫২ জনকে হারিয়েছি সেদিন’। কথাগুলো এভাবেই বলছিলেন অষ্টগ্রাম ট্রাজেডি থেকে বেঁচে যাওয়া আশীষ দেবনাথ। তিনি ২০০৩ সালে ২১ এপ্রিল ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার পানিশ্বর এলাকায় কালবৈশাখী ঝড়ে বরযাত্রীবাহী লঞ্চ ডুবির ঘটনায় ভাগ্যক্রমে বেঁচে আসা রামকৃষ্ণ পরিবারের ছোট সন্তান। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২১ বছর আগে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম উপজেলা সদরের ব্যবসায়ী প্রয়াত রামকৃষ্ণ দেবনাথ তার ছোট ভাই কাজল দেবনাথের বিয়ে ঠিক করেন কুমিল্লায়। কনের বাড়ি যেতে আশুগঞ্জে প্রস্তুত রাখা ছিল বাস। অষ্টগ্রাম থেকে ৮৫ জন বরযাত্রী নিয়ে এমভি মজলিসপুর লঞ্চে রওনা হন তারা। বিকেল ২টা ৩০ মিনিটে মেঘনা নদীর খলাপাড়া ও পানিশ্বর এলাকার মধ্যে কালবৈশাখী ঝড়ের কবলে পড়ে ডুবে যায় বরযাত্রীবাহী লঞ্চটি। এতে বর কাজল দেবনাথ, রামকৃষ্ণ ও তার পরিবারের ১৭ জনসহ ৫২ জন হিন্দু ও মুসলিম বরযাত্রীর মৃত্যু হয়। ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান ৩৩ জন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বর ও তার ভাই-বোন, ভাতিজা, বোন জামাই, ভাগ্নে ও আত্মীয় স্বজনরা ছিলেন সে লঞ্চে। টানা ৫দিন পর মরদেহ উদ্ধার শেষে এমভি মজলিসপুর লঞ্চটি উদ্ধার করে অভিযান সমাপ্তের ঘোষণা দেয় সরকার। এ সময় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন তৎকালীন ভূমি প্রতিমন্ত্রী উকিল আব্দুস সাত্তার, বিরোধী দলীয় উপনেতা অ্যাড. আব্দুল হামিদ এমপি, মুফতি আমিনী এমপিসহ কিশোরগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রশাসনিক কর্মকর্তারা। ভয়াল এ দিন স্মরণে নিহতদের পরিবারে তাদের আত্মার শান্তি কামনায় বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয় প্রতি বছর। এ ঘটনায় স্বজন হারানো অষ্টগ্রাম সদর ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ ফাইয়াজ হাসান বাবু বলেন, অষ্টগ্রামের ইতিহাসে এমন মর্মান্তিক ঘটনা আর ঘটেনি। সেদিন আমার ছোট ভাই সৈয়দ সোহাগকে হারিয়েছি। আমি শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। নিহতদের আত্মার শান্তি কামনা করছি।
অষ্টগ্রামে খালের পানিতে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু
কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রামে বাড়ির সামনে খেলতে গিয়ে খালের পানিতে ডুবে বায়েজিদ (৮) ও জাহিদ (৭) নামে ২ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হলো কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম উপজেলার খয়েরপুর-আব্দুল্লাপুর ইউনিয়নের কদমচাল পশ্চিম পাড়ার মোহন মিয়ার ছেলে জাহিদ মিয়া (৭) ও সাদেক মিয়ার ছেলে বায়েজিদ মিয়া (৮)। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার (২০ এপ্রিল) বেলা ২টার সময় বায়েজিদ ও জাহিদ দু’জন মিলে বাড়ির সামনে খেলতে গিয়ে হঠাৎ সবার অগোচরে খালের পানিতে ডুবে নিখোঁজ হয়। অনেকক্ষণ শিশুদের না দেখতে পেয়ে স্বজনরা খোঁজ করতে গিয়ে দেখেন খালের পানিতে ডুবে রয়েছে দুই শিশু।  পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে কদমচাল বাজারের এক চিকিৎসকের নিকট নিয়ে গেলে তিনি তাদের মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন খয়েরপুর-আব্দুল্লাপুর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দিন এসডো।