• ঢাকা রোববার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২২ আশ্বিন ১৪৩১
logo
অষ্টগ্রামে বাইক দুর্ঘটনায় যুবক নিহত
অষ্টগ্রামে নারী শ্রমিকদের সঞ্চিত অর্থের চেক বিতরণ 
কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রামে পল্লী কর্মসংস্থান ও সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচি-৩ প্রকল্পের ৭৯ শ্রমিকের সঞ্চিত অর্থের চেক ও সনদপত্র বিতরণ করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. দিলশাদ জাহান। সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর আয়োজিত, অষ্টগ্রাম উপজেলা পরিষদ হলরুমে, উপজেলা প্রকৌশলী সৈয়দ রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে, উপস্থিত ছিলেন প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মুহাম্মদ মজনু মিয়া, চিকিৎসক নাফিস হায়াত, উপ-সহকারী প্রকৌশলী ছিবগাত উল্লাহ খন্দকার কমিউনিটি অর্গানাইজার মাহবুবুল হক আশিক প্রমুখ। সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের আওতায়, পল্লী কর্মসংস্থান ও সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচি-৩ শীর্ষক প্রকল্পের অধীনে অষ্টগ্রাম উপজেলার আটটি ইউনিয়নের সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ চার বছর ধরে নিয়োজিত ৭৯ জন নারী শ্রমিকের বেতন থেকে কেটে রাখা সঞ্চিত অর্থের ‘চেক ও সনদপত্র’ বিতরণ করা হয়েছে। অষ্টগ্রাম উপজেলার ৮ ইউনিয়নের ৭৯ জনকে ৯২ হাজার ৪০০ টাকা করে চেক হস্তান্তর করা হয়। আরটিভি/এমএ
কিশোরগঞ্জে পর্যটকবাহী ট্রলারডুবি, নিখোঁজ ১
অষ্টগ্রামে বজ্রপাতে জেলে নিহত
অষ্টগ্রামে বালু উত্তোলন, ড্রেজারসহ গ্রেপ্তার ৫
আব্দুস সালাম পিন্টুর মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন
২৭ ঘণ্টা পর নিখোঁজ পর্যটকের মরদেহ উদ্ধার
কিশোরগঞ্জের মিঠামইন হাওরের পানিতে নিখোঁজের ২৭ ঘণ্টা পর পর্যটক আবীর হোসেনের মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস ডুবরি দল। শনিবার (১৩ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টার দিকে ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম সড়কের মিঠামইন জিরোপয়েন্ট ঘটনাস্থল থেকে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। নিখোঁজ পর্যটক আবীর হোসেন ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার উত্তর মুগদা পাড়ার বাসিন্দা আবদুল আলিম ও আঁখি আক্তার দম্পতির ছেলে। ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার (১২ জুলাই) মা আঁখি আক্তারসহ পরিবার নিয়ে কিশোরগঞ্জ হাওরাঞ্চল ঘুরতে আসেন আবীর। বেলা ৩টার দিকে মিঠামইন জিরোপয়েন্ট এলাকায় হাওরের পানিতে গোসল করতে নামেন তারা। এ সময় একজন পর্যটক স্রোতে ভেসে যাওয়ার সময় তাকে সহায়তা করতে গিয়ে পানিতে তলিয়ে নিখোঁজ হন আবীর। পরে খবর পেয়ে কিশোরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল বিকেল ৬টায় উদ্ধার অভিযান শুরু করে। আলো স্বল্পতার কারণে রাতে বিরতি দিয়ে শনিবার সকাল ৮টায় দ্বিতীয় দফায় উদ্ধার অভিযান শুরু করে ফায়ার সার্ভিস। মিঠামইন ফায়ার সার্ভিস স্টেশন ইনচার্জ মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘শনিবার দিনব্যাপী উদ্ধার অভিযান চালানো হয়। বিকেল ৬টায় মরদেহ উদ্ধার করে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।’
সড়কে ঘুরতে গিয়ে বাইকের ধাক্কায় প্রাণ গেল শিশুর
কিশোরগঞ্জের ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম সড়কে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় প্রাণ গেল মাইষা আক্তার (১০) নামে এক শিশু। নিহত মাইষা আক্তার অষ্টগ্রাম সদর ইউনিয়নের কাটাদিঘীর পাড়ের আশরাফ মিয়ার মেয়ে। শুক্রবার (১২ জুলাই) সন্ধ্যায় অষ্টগ্রাম উপজেলার কাস্তুল ইউনিয়নের ভাতশালা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার বিকেলে মাইষাসহ কয়েকজন ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম সড়কে ঘুরতে যান। সন্ধ্যার দিকে হাঠাৎ একটি মোটরসাইকেলের ধাক্কায় আহত হন মাইষা আক্তার ও মোটরসাইকেল আরোহী দুই যুবক। পরে স্বজনরা তাদের উদ্ধার করে অষ্টগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মাইষাকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত মোটরসাইকেল আরোহী যুবক মো. মোস্তফা মিয়া ও তার বন্ধু ভৈরব উপজেলার পৌরসভার চন্ডিবের মহল্লার বাসিন্দা। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন অষ্টগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) আলী মুহাম্মাদ রাশেদ। তিনি বলেন, ‘অভিযোগ প্রাপ্তি সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
মিঠামইন হাওরে গোসল করতে গিয়ে পর্যটক নিখোঁজ
কিশোরগঞ্জের মিঠামইন হাওরে বন্ধুদের সঙ্গে গোসল করতে গিয়ে নিখোঁজ রয়েছেন আবীর হোসেন (২০) নামে এক পর্যটক। শুক্রবার (১২ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম সড়কের মিঠামইন জিরোপয়েন্টে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিখোঁজ পর্যটক আবীর হোসেন ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার উত্তর মুগদা পাড়ার বাসিন্দা আবদুল আলিম ও আঁখি আক্তার দম্পতির ছেলে। ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার মা আখিঁ আক্তারসহ পরিবার নিয়ে কিশোরগঞ্জ হাওরাঞ্চল ঘুরতে আসেন আবীর। বিকেল ৩টার দিকে মিঠামইন জিরোপয়েন্ট এলাকায় হাওরে গোসল করতে নামেন তারা। এ সময় একজন পর্যটক ভেসে যাচ্ছিল। তাকে সহায়তা করতে গিয়ে তলিয়ে যান আবীর। খবর পেয়ে মিঠামইন থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। প্রত্যক্ষদর্শী পর্যটক সুজন আহমেদ ইমরান বলেন, ‘আমরা বন্ধুরা গোসল করছিলাম, পাশেই গোসল করছিল আবীররা। হঠাৎ আবীরের সঙ্গেই একজন ডুবে যাচ্ছিল, তাকে সহায়তা করতে গিয়ে তলিয়ে যান আবীর। আমরা আবীরকে উদ্ধারের চেষ্টা করি। ততক্ষণে তলিয়ে গেছে। পরে ফায়ার সার্ভিসে খবর দিই।’ মিঠামইন ফায়ার সার্ভিস স্টেশন ইনচার্জ মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে এসেছি। আমাদের ডুবুরি দল কিশোরগঞ্জ থেকে রওনা করেছে। তারা এলে উদ্ধার অভিযান শুরু হবে।’ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন মিঠামইন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবিব।
হাওরে পানিতে নেমে প্রাণ গেল শিক্ষার্থীর
কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলার গোপদিঘী হাওরে বন্ধুদের সঙ্গে গোসল করতে গিয়ে পানিতে ডুবে নিখোঁজ আবিদুর রহমানের (২৩) মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। শনিবার (৬ জুলাই) বেলা ৩টার দিকে আবিদের মরদেহ উদ্ধার করে করিমগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করে করিমগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ডুবুরি দল। ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (৫ জুন) করিমগঞ্জের বালিখলা থেকে নৌকা নিয়ে কিশোরগঞ্জ হাওর বেড়ানো শেষে বিকেলে ৫টার দিকে মিঠামইন উপজেলার গোপদিঘী ইউনিয়নের হাসানপুর সেতু সংযোগ সড়কের পানিতে বন্ধুরা মিলে গোসল করতে নামেন আবিদ। স্রোতের বিপরীতে সাঁতরাতে গিয়ে হঠাৎ পানিতে তলিয়ে যায় আবিদ। এ সময় সাঁতার না জানায় আবিদকে উদ্ধার করতে পারেনি তার বন্ধুরা। পরে ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে কিশোরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল শনিবার সকাল ৭টায় ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার অভিযান শুরু করে। বেলা ৩টার দিকে আবিদের মরদেহ উদ্ধার করে। নিহতের চাচা মোর্শেদ খান বলেন, আবিদ গাজিপুরে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করতো। তারা কয়েক বন্ধু মিলে শুক্রবার হাওর বেড়ানো শেষে হাসানপুর ব্রিজে গোসলের সময় এই দুর্ঘটনা ঘটে। আমরা চাই ময়নাতদন্ত ছাড়া আইনী প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ নিয়ে চট্টগ্রামে যেতে। করিমগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস উপসহকারী পরিচালক এনামুল হক বলেন, খবর পেয়ে ডুবুরি দল করিমগঞ্জে পৌঁছে। সকালে উদ্ধার অভিযান শুরু করে বিকেল ৩টায় মরদেহ উদ্ধার করে থানায় হস্তান্তর করে।
মালচিং পদ্ধতিতে মরিচ চাষে সাফল্য
শহরে করতেন ব্যবসা। বিশাল পুঁজি বিনিয়োগ করেও নেই আশানুরূপ লাভ। তখন ইউটিউব দেখে দেখে শেখেন চাষবাস। পরে ব্যবসা ছেড়ে গ্রামে শুরু করেন সবজি চাষ। জমি লিজ নিয়ে মালচিং ও আধুনিক পদ্ধতিতে সবজি ও মসলা চাষ করে মিলে দ্রুত সাফল্য। কৃষকদের ভালো ফলনের পরামর্শ দিয়ে পান জনপ্রিয়তা। তাই গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কৃষকদের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে মেম্বার নির্বাচিত হন কৃষি উদ্যোক্তা মোহাম্মদ রেখন মিয়া। ইউপি সদস্য নির্বাচিত হলেও সকাল-সন্ধ্যা কাজ করেন জমিতে। জরুরি কাজ ছাড়া যান না পরিষদে, ভোটারদের দরকারি কাজ সারতে সঙ্গে রাখেন কলম ও সিল। জমিতে দাঁড়িয়ে হাসিমুখে স্বাক্ষর ও কৃষিবিষয়ক পরামর্শ দেন। চাষিরা কৃষি পরামর্শ নিতে ভিড় করেন তার বাড়িতে। ডাকে ‘কৃষি ডাক্তার’ বলে। কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম সদর ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য (মেম্বার) নির্বাচিত হওয়া রেখন মিয়া সবজি ও মসলা চাষ করে বছরে আয় করেন কয়েক লাখ টাকা। ইতোমধ্যে ময়মনসিংহ অঞ্চলে ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের অধীনে ‘তৃতীয় সেরা কৃষক’ পুরস্কার ২০২৩ সালে পেয়েছেন। কৃষি উদ্যোক্তা রেখন মিয়ার ভবিষ্যৎ কর্মসংস্থান নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন, তার বাবা প্রয়াত আবদুস সালাম। নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান রেখন সিলেট শহরে করতেন সবজির ব্যবসা, রোদেপুড়ে কৃষি কাজ ছিল তার বিরক্তির কারণ। ২০১০ সালে বাবার মৃত্যুর পর গ্রামে শুরু করেন ডেকোরেশন ব্যবসা। অনেক পুঁজি বিনিয়োগ করেও মেলেনি সাফল্য। ২০১৪ সালে ইউটিউব দেখে আধুনিক পদ্ধতিতে জমি লিজ নিয়ে শুরু করেন সবজি চাষ। শুরু হয় সাফল্যের পথ চলা। ২০২২ সালে ৮৫ শতাংশ জমি লিজ নিয়ে বর্ষাকালীন টমেটো চাষ করেন, খরচ শেষে আয় করে ৬ লাখ টাকা। ময়মনসিংহ অঞ্চলে ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের অধীনে ‘তৃতীয় সেরা কৃষক’ পুরস্কার পান। চলতি বছর ৬মাসের জন্য ৭৫ শতাংশ জমি লিজ নেন ১২ হাজার টাকায়। মালচিং পদ্ধতিতে ৫৫ শতাংশে মরিচ ও ২০ শতাংশে চাষ করেন টমেটো এবং শিংনাথ বেগুন। ইতোমধ্যে ৭৫হাজার টাকার টমেটো ও বেগুন বিক্রি করেন। আর ৫৫ শতাংশ জমির কাঁচা ও শুকনো মরিচ বিক্রি করেন সাড়ে তিন লাখ টাকার। প্রায় সোয়া চার লাখ টাকার সবজি ও মসলা উৎপাদনে খরচ করতে হয়েছে ১ লাখ ৩৮ হাজার টাকা। জমিতে ব্যবহৃত মালচিং পেপার ও বাঁশের খুটি ব্যবহার করতে পারবেন আগামী মৌসুমে। তার এই সাফল্য দেখে তরুণের মধ্যে আগ্রহ বাড়ছে কৃষি উৎপাদনে। কৃষিবিষয়ক বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও ইউটিউব দেখে অর্জিত অভিজ্ঞতা ও কৃষি বিষয়ক পরামর্শ কৃষকের মাঝে ছড়িয়ে দিতে নিজ বাড়িতে খোলেন ‘আধুনিক কৃষি তথ্য ও পরামর্শ কেন্দ্র।’ যেখানে ভিড় করেন এলাকার কৃষকরা। মোহাম্মদ রেখন মিয়া বলেন, আমার নিজস্ব জমি নেই। কম পুঁজিতে বেশি লাভবান করতে কৃষির বিকল্প নেই। সরকারি খাস জমি লীজ পেলে বারোমাস সবজি ও মসলা চাষ করে দেশের চাহিদা পূরণ ও বেকার যুবদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারতাম। এই বিষয়ে সরকারের সহযোগিতা কামনা করি। উপজেলা উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা প্রদীপ চন্দ্র সরকার বলেন, রেখন মিয়া একজন কৃষি উদ্যোক্তা। আমরা তাকে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও প্রদর্শনী প্লট দিয়ে সহযোগিতা করি। তিনি প্রশিক্ষণ ও ইউটিউব দেখে কৃষি উৎপাদনে যে অভিজ্ঞতা ও সাফল্য অর্জন করেছেন তা সত্যি প্রশংসার দাবি রাখে। অষ্টগ্রাম সদর ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ ফাইয়াজ হাসান বাবু বলেন, আমার এ সহকর্মী অত্যন্ত কৃষি বান্ধব একজন মানুষ। তিনি ইউপি সদস্য নির্বাচিত হলেও দিনরাত চাষবাস নিয়ে থাকেন। কৃষকদের কল্যাণে কৃষি পরামর্শ বিলিয়ে বেড়ান। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা অভিজিৎ সরকার বলেন, ফ্লাড রিকনস্ট্রাকশন ইমারজেন্সি এসিস্ট্যান্স প্রজেক্ট (ফ্রিপ) প্রকল্পের আওতায় রেখন মিয়াকে ৩৩ শতাংশ জমির জন্য মালচিং পদ্ধতিতে মরিচ চাষের একটি প্রদর্শনী ও প্রশিক্ষণ দেয় উপজেলা কৃষি অফিস। এতে উদ্বুদ্ধ হয়ে এবার ৫০শতাংশ জমিতে হাইব্রিড ‘বিজলী প্লাস’ জাতের মরিচ চাষ করে লাভবান হন। স্থানীয় ইউপি সদস্য ও একজন অগ্রগামী কৃষক, রেখনকে দেখে উদ্বুদ্ধ হয়ে এলাকায় মরিচ চাষের আবাদ বাড়ছে।
মিঠামইনে ব্যবসায়ীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
কিশোরগঞ্জের মিঠামইনে নিজ ঘর থেকে কামাল হোসেন (৪৬) নামে এক ব্যবসায়ীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (৩১ মে) বিকেলে কিশোরগঞ্জের হাওর বেষ্টিত মিঠামইন উপজেলার কেওয়ারজোড় ইউনিয়নের কেওয়ারজোড় গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে। থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত ব্যবসায়ী কামাল হোসেন কেওয়ারজোড় গ্রামের মৃত হারিছ উদ্দিন ভূঁইয়ার ছেলে। শুক্রবার বিকেলে নিজ ঘর থেকে মিঠামইন থানা পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে। পরে মরদেহ সন্ধ্যায় মিঠামইন থানায় নিয়ে আসা হয়। নিহতের ছোট ভাই জামাল হোসেন বলেন, আমার ভাই কামাল হোসেন ব্যবসায়িক কারণে ভৈরব ও কিশোরগঞ্জে বসবাস করতেন। সদ্য সমাপ্ত মিঠামইন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গত কয়েক দিন ধরে কেওয়ারজোড় গ্রামের বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। জামাল হোসেন আরও বলেন, বুধবার নির্বাচনে পছন্দের প্রার্থী বিজয়ী হওয়ায় আমার ভাই বৃহস্পতিবার রাতে তার সমর্থকদের জন্য স্থানীয় বাজারে খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন করেন। পরে রাতে বাসায় ফিরে মায়ের সঙ্গে কথা বলে নিজ ঘরে ঘুমাতে যান। শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে ঘুম থেকে না ওঠায় অনেক ডাকাডাকি করা হয়। এক পর্যায়ে কোনো সাড়া না পেয়ে দরজা ভেঙে দেখা যায়, আড়ার সঙ্গে গামছা পেঁচিয়ে ঝুলছে। এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন মিঠামইন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবিব। তিনি বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করেছে। ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ হাসাপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। রিপোর্ট আসলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।