কিশোরগঞ্জের ভৈরবে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) করতে এসে নারীসহ দুই রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) দুপুরে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় পুলিশ।
আটকৃকতদের নাম- হামিদা বেগম (২৮ ) ও এরশাদ (২২)।
জানা গেছে, উপজেলা নির্বাচন অফিসে তারা ভুয়া কাগজপত্র নিয়ে উপস্থিত হলে জন্ম সনদ দেখে নির্বাচন অফিসারের সন্দেহ হয়। পরে তাদেরকে আটক করে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। গতকাল বুধবার বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা রোহিঙ্গা বলে স্বীকার করেন বলে জানায় পুলিশ। এ ঘটনায় রাতেই দুইজনের বিরুদ্ধে নির্বাচন অফিসার বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাচন অফিসার প্রলয় কুমার সাহা জানান, গতকাল বিকেলে তারা দুজন আমার অফিসে এসে জাতীয় পরিচয়পত্র করতে চায়। এ সময় তারা জানায়, তাদের বাড়ি পৌর শহরের ভৈরবপুর দক্ষিণপাড়া গ্রামে, অর্থ্যাৎ তারা ২নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা।
এ সময় তাদের কথাবার্তা আমার সন্দেহ হয়। এ ছাড়াও তাদের আবেদনে ৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মমিনুল হক রাজুর স্বাক্ষর দেখতে পায়। আসলে আবেদনে ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. দ্বীন ইসলামের স্বাক্ষর থাকার কথা। পরে পুলিশকে খবর দিলে তারা জানায়, হামিদা বেগমের বাড়ি কক্সবাজার হালদার পাড়া ও এরশাদের বাড়ি কক্সবাজার রামু এলাকায়।
এ বিষয়ে ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সফিকুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাচন অফিস থেকে দুজনকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করে দুজনই রোহিঙ্গা। পরে উপজেলা নির্বাচন অফিসার বাদী হয়ে দুজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করে। আজ দুপুরে দুজনকে কিশোরগঞ্জ আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।