কয়েকদিনের বিরতির পর আবার দেশের ৫৮ জেলায় ছড়িয়েছে তাপপ্রবাহ। এমন পরিস্থিতিতে সতর্ক থাকতে ৪৮ ঘণ্টার সতর্কবার্তা দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি বিরাজ করতে পারে বলে ওই বার্তায় জানানো হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ মল্লিক বলেন, সারাদেশে তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে। তবে ৪০ ডিগ্রিতেই ওঠানামা করবে। সন্ধ্যার বুলেটিনে বলা হয়, পাবনা, দিনাজপুর, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম এবং রাঙ্গামাটি জেলার ওপর দিয়ে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
এর বাইরে চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী এবং বান্দরবান জেলাসহ ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। একই পরিস্থিতি বিরাজ করছে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের বাকি অংশে।
এদিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয় দিনাজপুরে। ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়ার আভাসও এসেছে পূর্বাভাসে।
- সর্বশেষ
- পাঠক প্রিয়
৫৮ জেলায় বইছে তাপপ্রবাহ, আরও বিস্তারের শঙ্কা
১ মিনিট আগে
গাজীপুরে টিনশেড মার্কেট ও বসতবাড়িতে আগুন
৫ মিনিট আগে
তবে কি বিয়ের পিড়িঁতে বসছেন জায়েদ খান
১০ মিনিট আগে
আটকে গেল ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ
১৮ মিনিট আগে
একনজরে কে কবে জিতেছিল বিশ্বকাপ
২৩ মিনিট আগে
ঢাকা ছাড়লেন ডোনাল্ড লু
২৭ মিনিট আগে
নতুন সিনেমার প্রচারে জাহ্নবীর অভিনব পন্থা
১ ঘণ্টা আগে
রানার গ্রুপে চাকরি, কাজ সপ্তাহে ৫ দিন
১ ঘণ্টা আগে
ভূমি দুর্নীতি মামলায় জামিন পেলেন ইমরান
১ ঘণ্টা আগে
অ্যাপেক্সে চাকরির সুযোগ, থাকছে যেসব সুবিধা
২ ঘণ্টা আগে
আরটিভিতে আজ যা দেখবেন
২ ঘণ্টা আগে
২ দিনের হিট অ্যালার্ট জারি
১৪ ঘণ্টা আগে
অবশেষে মুখ খুললেন সাইফউদ্দিন
১৬ ঘণ্টা আগে
শাকিব নেই, নিশো আছে
১৮ ঘণ্টা আগে
বাগেরহাটে ট্রাকের ধাক্কায় ব্যবসায়ী নিহত
২১ ঘণ্টা আগে
‘ডাইনিগুলা তোরা জাহান্নামে যা’
১১ ঘণ্টা আগে
চলতি মাসে তাপপ্রবাহ ও ঝড়-বৃষ্টি নিয়ে যা জানা গেল
১৮ ঘণ্টা আগে
কয়েকদিনের বিরতির পর আবার দেশের ৫৮ জেলায় ছড়িয়েছে তাপপ্রবাহ। এমন পরিস্থিতিতে সতর্ক থাকতে ৪৮ ঘণ্টার সতর্কবার্তা দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি বিরাজ করতে পারে বলে ওই বার্তায় জানানো হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ মল্লিক বলেন, সারাদেশে তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে। তবে ৪০ ডিগ্রিতেই ওঠানামা করবে। সন্ধ্যার বুলেটিনে বলা হয়, পাবনা, দিনাজপুর, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম এবং রাঙ্গামাটি জেলার ওপর দিয়ে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
এর বাইরে চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী এবং বান্দরবান জেলাসহ ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। একই পরিস্থিতি বিরাজ করছে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের বাকি অংশে।
এদিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয় দিনাজপুরে। ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়ার আভাসও এসেছে পূর্বাভাসে।
নতুন সিনেমার প্রচারে জাহ্নবীর অভিনব পন্থা
বলিউডে বর্তমানে যে কয়জন তারকা সন্তান অভিনয় করছেন তাদের মধ্যে অন্যতম জাহ্নবী কাপুর। আগামী ৩০ মে মুক্তি পাবে তার নতুন সিনেমা ‘মিস্টার অ্যান্ড মিসেস মাহি।’ ইতিমধ্যে প্রকাশ্যে এসেছে সিনেমাটির ট্রেলার। আর সেই সিনেমার প্রচারণায় অভিনব পন্থা অবলম্বন করলেন জাহ্নবী।
‘মিস্টার অ্যান্ড মিসেস মাহি’ সিনেমার থিমের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নানা লুকে ক্যামেরার সামনে ধরা দিচ্ছেন তিনি। অভিনেত্রীর বিভিন্ন সময়ের পোশাকে সেই ছোঁয়াই পাওয়া যায়।
লাল-নীলে ঘেরা শাড়ির সঙ্গে ম্যাচিং করা স্লিভলেস ব্লাউজ। আর সেই ব্লাউজের পিছনে লেখা ‘৬ মাহি’। যেহেতু তার নতুন সিনেমার মূল বিষয় ক্রিকেট, তাই তার বডিকন ড্রেসেও দেখা যায় ক্রিকেট বল। লাল বলে সুতার যেমন কাজ থাকে, অবিকল সে রকম সেলাই দেখা যাচ্ছে অভিনেত্রীর পোশাকেও।
শুধু তাই নয়, আইপিএল ম্যাচ দেখতে গিয়েও সিনেমার প্রমোশন থেকে বিরত থাকেননি জাহ্নবী। সেখানে ধরা পড়েছে তার মেথড ড্রেসিং। গাড়িতে বসে হোক বা মাঠে, সব সময়ই তার পরনে ছিল একটি জার্সি। যার সামনে লেখা ‘৬ মাহি’। আর পিছনে ইংরেজিতে লেখা, ‘ক্রিকেট হলো জীবন, আর জীবন হলো ক্রিকেট।’
অন্যদিকে গোলাপি ক্রপ টপে সিনেমার থিম মিলিয়ে বুকের ওপরে লেখা ৬, সঙ্গে মানানসই সাদা-কালো লং স্কার্টে যেন আবেদনময়ী হয়ে উঠেছেন পর্দার এই মাহি।
ধূসর রঙের সিক্যুয়াল বডি হাগিং পোশাকে জাহ্নবীর চোখে-মুখে ব্যক্তিত্বের ছাপ। সঙ্গে থিমের কথা মাথায় রেখে নীলের ছোঁয়ায় ক্রিকেটারের অবয়ব ছড়িয়ে রয়েছে তার পোশাকে।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস
আরটিভিতে আজ যা দেখবেন
বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১। একনজরে জেনে নিন আরটিভির আজকের আয়োজন—
সকাল ৯টায় টকশো ‘আজ পত্রিকায়’।
সকাল ৯টায় ৪৫মিনিটে ‘সকালের সংবাদ’।
সকাল ১০টা ১০মিনিটে বাংলা ছায়াছবি ‘প্রেমের প্রতিদান’। অভিনয় করেছেন- ইলিয়াস কাঞ্চন, দিতি প্রমুখ।
দুপুর ১২টায় ‘মধ্যাহ্নের বুলেটিন’।
বিকেল ৫টায় গানের অনুষ্ঠান ‘আরস্টুডিও’।
বিকেল ৫টা ৩০মিনিটে ‘কৃষি ও কৃষ্টি’। প্রযোজনা- সাঈদ হাসান।
সন্ধ্যা ৬টা ৫মিনিটে ‘চায়না নিউজ’।
সন্ধ্যা ৬টা ৪৫মিনিটে ‘সন্ধ্যার সংবাদ’।
সন্ধ্যা ৭টা ৩০মিনিটে সংগীতানুষ্ঠান ‘এই রাত তোমার আমার’। প্রযোজনা- শাহরিয়ার ইসলাম।
রাত ৮টায় ‘নির্বাচিত নাটক’।
রাত ৯টা ২০মিনিটে প্রতি সোম, মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবার ধারাবাহিক- ‘গোলমাল’।
পরিচালনা- কায়সার আহমেদ ও আল হাজেন।
অভিনয় করেছেন- আনিসুর রহমান মিলন, শ্যামল মাওলা, রওনক হাসান, নাদিয়া আহমেদ, সালহা খানম নাদিয়া, প্রাণ রায়, মুনিরা ইউসুফ মেমী, আজিজুল হাকিম প্রমুখ।
রাত ১০টায় প্রতি মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবার ধারাবাহিক নাটক- ‘বাহানা’।
রচনা- মাসুদ হাসান উজ্জ্বল ও পরিচালনায় ফরিদুল হাসান।
অভিনয় করেছেন- সালাহউদ্দিন লাভলু, নাদিয়া আহমেদ, আখম হাসান, সাজু খাদেম, তাহমিনা সুলতানা মৌ, জামিল হোসেন প্রমুখ।
রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে ‘রাতের সংবাদ’।
রাত ১১টা ২৫মিনিটে লাইভ টকশো ‘এই মুহূর্তের বাংলাদেশ’।
রাত ১২টায় ‘লাইভ মিউজিক স্টেশন’। প্রযোজনা- শিবলী জিয়া।
রাত ১টায় ‘মধ্যরাতের সংবাদ’।
‘ডাইনিগুলা তোরা জাহান্নামে যা’
‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ খ্যাত অভিনেত্রী ফারিয়া শাহরিন। মা দিবসে ভক্তদের দিয়েছিলেন সুখবর। জানিয়েছিলেন, মা হতে যাচ্ছেন তিনি। কিন্তু এর দুদিন পরই দেন দুঃসংবাদ। বলেন, অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এবার সেই সূত্র ধরেই বুধবার (১৫ মে) ফেসবুকে দিলেন আরেকটি স্ট্যাটাস।
ক্ষোভ প্রকাশ করে ফারিয়া লিখেছেন, নিউজটা শেয়ার করার পরই আমি ভয়াবহ অসুস্থ হয়ে গেলাম। মাথার ব্যথায় দুইদিন মনে হচ্ছিল বাঁচব না। তার সাথে আরও অনেক কিছু। এমন কেন হয়? মানুষ অন্যের ভালো সংবাদ শুনলে এমন কালো নজর দিয়ে ধ্বংস করে দিতে চায় কেন সব?
তিনি আরও লিখেছেন, আমি আর কোনো প্রকার নিউজ শেয়ার করবো না। এর আগেও বলেছিলাম। কিন্তু বেহায়ার মতো করে ফেলি। আবার কানে ধরলাম। কবে কি হবে না হবে সেটা জানার অধিকার আর কারো নেই। সব শয়তান চোখের ডাইনিগুলা তোরা জাহান্নামে যা। মানুষকে একটু শান্তিতে থাকতে দে।
প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালে ‘লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার’ প্রতিযোগিতায় প্রথম রানারআপ হন ফারিয়া শাহরিন। এরপর ‘কথা দিলাম’ বিজ্ঞাপনচিত্র করে আসেন আলোচনায়। পরবর্তীতে ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ নাটকে ‘অন্তরা’ চরিত্রে অভিনয় করে সর্বমহলে পরিচিতি পান এ অভিনেত্রী।
সৃজিতের নতুন সিনেমায় তারার মেলা
নতুন সিনেমার খবর দিলেন কলকাতার গুণী নির্মাতা সৃজিত মুখার্জি। নাম ‘সত্যি বলে সত্যি কিছু নেই’। এতে দেখা যাবে এক ডজন তারকাকে।
মঙ্গলবার (১৪ মে) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে একটি ছবি পোস্ট করে তিনি এ তথ্য জানান।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, কে কে থাকছেন এই সিনেমায়?
জানা গেছে, অর্জুন চক্রবর্তী, ফাল্গুনী চট্টোপাধ্যায়, কৌশিক সেন, কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়, ঋত্বিক চক্রবর্তী, অনন্যা চট্টোপাধ্যায়, কাঞ্চন মল্লিক, অনির্বাণ চক্রবর্তী, সৌরসেনী মৈত্র, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, সুহত্র মুখোপাধ্যায় এবং রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো তারকাদের উপস্থিতি থাকছে এই সিনেমায়।
প্রসঙ্গত,‘সত্যি বলে সত্যি কিছু নেই’ সিনেমাটি সৃজিত তার ‘বাইশে শ্রাবণ’ সিনেমার গানের জনপ্রিয় লাইনের নামেই নামকরণ করেছেন। এটি প্রযোজনা করছে এসভিএফ।
রংপুরে তুলা গবেষণা কেন্দ্রে আগুনের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় বেশকিছু তুলার বস্তা পুড়ে গেছে।আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট। বুধবার (১৫ মে) রাত ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
তুলা বোর্ডের সদস্যরা জানান, হঠাৎ গোডাউনে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে থাকে। প্রাথমিকভাবে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করি। কিন্তু না পেরে ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে তারা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন।
ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক শওকত আলী গণমাধ্যমকে জানান, আগুনের খবর পেয়ে আমরা দুটি ইউনিট নিয়ে আসি। পরে আগুন নিভিয়ে ফেলি। তুলা উন্নয়ন বোর্ডের দোতলায় পাকা গোডাউন ঘর ছিল। তুলার বস্তা ছাড়া অন্য কিছু পোড়া যায়নি।
তিনি বলেন, কীভাবে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে তা তদন্ত ছাড়া বলা যাচ্ছে না।
ক্রিকেট বিশ্বকাপের ইতিহাসটা দীর্ঘদিনের হলেও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাস বেশি দিনের নয়। ১৯৭৫ সালে একদিনের ম্যাচের বিশ্বকাপ দিয়ে যাত্রা শুরু হয় ক্রিকেটের বিশ্ব আসরের। যেখানে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম আসর বসে তার ৩২ বছর পর ২০০৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায়। সে আয়োজনের ফাইনালে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানকে হারিয়ে শিরোপা উল্লাসে মেতেছিল ভারত।
অবশ্য এরপরের আসরেই শিরোপা ঘরে তোলে পাকিস্তান। ২০০৯ সালে ইংল্যান্ডের মাটিতে আয়োজিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দ্বিতীয় আসরের ফাইনালে পাকিস্তানের প্রতিপক্ষ ছিল শ্রীলঙ্কা।
পরের বছরই টি-টোয়েন্টির আরেকটি বিশ্ব আসর হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজে। আগের দুই আসরে এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্ব থাকলেও ২০১০ এর সে আসরের ফাইনালেই উঠতে পারেনি এশিয়ার কোন দেশ। সেবার ফাইনালে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে বিজয়ীর হাসি হাসে ইংল্যান্ড।
প্রথম তিন আসর এশিয়ার বাইরে হলেও চতুর্থ আসরে আয়োজক হিসেবে নাম লেখায় ভারতীয় উপমহাদেশের দেশ শ্রীলঙ্কা। ২০১২ সালের সে আসরের ফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হেরে দ্বিতীয়বারের মতো শিরোপা হাতছাড়া করে লঙ্কানরা।
২০১৪ সালে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ ক্রিকেটের এককভাবে আয়োজক হয় বাংলাদেশ। আর সেই আসরেই নিজ দেশে শিরোপা জিততে না পারার জ্বালা মিটিয়ে ফেলে লঙ্কান সিংহরা। ফাইনালে তারা হারায় ভারতকে।
২০১৬ সালের আসর বসেছিল ভারতে। সেই আসরের ফাইনালে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে প্রথম দল হিসেবে একাধিক টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতার গৌরব অর্জন করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
করোনা পরিস্থিতির কারণে পরবর্তী আসর বসে ৫ বছর। প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ ক্রিকেটের আয়োজক হয় মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমান ও আরব আমিরাতে। সপ্তম আসরের ফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো শিরোপা ঘরে তোলে অস্ট্রেলিয়া।
সবশেষ ২০২২ সালে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে আয়োজিত ওয়ার্ল্ড টি-টোয়েন্টির ফাইনালে পাকিস্তানকে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো শিরোপা ঘরে তোলে ইংলিশরা।
ভিক্টিম অ্যান্ড সিটিজেন অ্যাসোসিয়েশন বলছে, সমাজে প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী পুরুষেরা নারীদের চেয়ে নিরাপদ চালক৷ কিন্তু ফরাসি সড়ক দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান দেখাচ্ছে ভিন্ন চিত্র৷ ফ্রান্সে গাড়ি চালানোর বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে একটি প্রচারণা চালানো হচ্ছে৷
ভিকতিম এ সিতোয়ে অ্যাসোসিয়েশন পুরুষদের একজন নারীর মতো গাড়ি চালানোর অনুরোধ করেছে৷
ভিকতিম এ সিতোয়ে সড়ক দুর্ঘটনা কবলিতদের সহায়তা প্রদান করার পাশাপাশি নিরাপদ সড়ক বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানোর কাজও করে থাকে৷
ফ্রান্সে সড়ক দুর্ঘটনার প্রধান কারণ কী?
ফরাসি সড়ক নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, সালে সংঘটিত ৮৪% ভয়াবহ গাড়ি দুর্ঘটনায় চালকের আসনে ছিলেন পুরুষ৷ বার্ষিক প্রতিবেদনটিতে ৯৩% দুর্ঘটনার জন্য পুরুষদের মদ্যপানকে দায়ী করা হয়৷ পুরুষদের নিরাপদ চালক ভাবার যে সেক্সিস্ট ধারণা, সেটিকেও ভিক্টিম অ্যান্ড সিটিজেন অ্যাসোসিয়েশন প্রত্যাখ্যান করছে৷
তাদের মতে, নারীদের গাড়ি চালানোর কৌশল অবলম্বন করলে তা মানুষকে অন্তত বেঁচে থাকতে সাহায্য করবে৷
একজন নারীর মতো গাড়ি চালান! স্লোগানে প্রচারণাটি অনলাইনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পাশাপাশি শহরের পাতাল রেলস্টেশন ও ডিজিটাল বোর্ডেও দেখা যাচ্ছে৷
-
১১ মে ২০২৪, ১৫:৫০
চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবিকে কি সমর্থন করেন?
-
হ্যাঁ৯৩.৮৪%
-
না৫.৬৬%
-
মন্তব্য নেই০.৫০%
মোট ভোটদাতাঃ ৮,৮১৫ জনমোট ভোটারঃ ৮,৮১৫ভোট দিনLink Copied -
অনলাইন জরিপ
-
১১ মে ২০২৪, ১৫:৫০
চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবিকে কি সমর্থন করেন?
-
হ্যাঁ৯৩.৮৪%
-
না৫.৬৬%
-
মন্তব্য নেই০.৫০%
মোট ভোটদাতাঃ ৮,৮১৫ জনডাউনলোডঃ ১৬ মে ২০২৪, ১০:৫৪মোট ভোটারঃ ৮,৮১৫ভোট দিন -
হাইকোর্টে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন বিএনপি নেতা আলাল
বিচার বিভাগ সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্যের ঘটনায় হাইকোর্টে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। একইসঙ্গে ভবিষ্যতে বিচার বিভাগ নিয়ে বক্তব্য দেওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকবেন বলেও লিখিত আবেদনে উল্লেখ করেছেন তিনি।
মঙ্গলবার (১৪ মে) বিচারপতি মো. ইকবাল কবীর ও বিচারপতি মো. আক্তারুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে হাজির হয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করেন বিএনপির এ নেতা। পরে আদালত জানান, এ বিষয়ে এক সপ্তাহ পর আদেশ শোনানো হবে।
আদালতে আলালের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন।
এর আগে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল এক টকশোতে বিচার বিভাগ নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেন, যা ইউটিউবে ছড়িয়ে পড়ে। গত ১৯ এপ্রিল তাকে ব্যাখ্যা দিতে তলব করেন হাইকোর্ট। সেই আদেশের প্রেক্ষিতে আদালতে সশরীরে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দাখিল করেন আলাল।
নাইকো দুর্নীতি মামলায় পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণ ১১ জুন
নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ আটজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ১১ জুন দিন ধার্য করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৪ মে) কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত (অস্থায়ী) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমানের আদালতে মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণ চলে। খালেদা জিয়া অসুস্থ থাকায় এদিন তিনি আদালতে হাজির হতে পারেননি। তার পক্ষে আইনজীবী জিয়া উদ্দিন জিয়া হাজিরা দেন।
এদিন জব্দ তালিকার সাক্ষী আব্দুল বাকী আদালতে সাক্ষ্য দেন। এরপর আসামিপক্ষের আইনজীবীরা জেরা করেন তাকে। তবে আব্দুল বাকীর জেরা শেষ হয়নি। পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ১১ জুন দিন ধার্য করেছেন আদালত।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী হান্নান ভূঁইয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত বছরের ১৯ মার্চ একই আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। ২০০৭ সালে নাইকো দুর্নীতি মামলাটি দায়ের করে দুদক। দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম বাদী হয়ে রাজধানীর তেজগাঁও থানায় মামলাটি করেছিলেন। ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় দুদক।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ছাড়া মামলার বাকি আসামিরা হলেন- দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেল কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান সেলিম ভূঁইয়া ও নাইকোর দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।
এর মধ্যে এ কে এম মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ও বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান মারা যাওয়ায় মামলার দায় থেকে তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
দুদকের অভিযোগপত্রে বলা হয়, ২০০১ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে সরকারে থাকাকালে খালেদা জিয়াসহ বেশ কয়েকজন ক্ষমতার অপব্যবহার করে কানাডিয়ান কোম্পানি নাইকোকে অবৈধভাবে গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনের সুবিধা পাইয়ে দেন। অভিযোগপত্রে আসামিদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা লোকসানের অভিযোগ আনা হয়।
কনডেম সেলে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের রাখা নিয়ে রায়, আপিল করবে সরকার
মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিদের কনডেম সেলে বন্দি রাখা যাবে না বলে হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছেন, তার বিরুদ্ধে আপিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
মঙ্গলবার (১৪ মে) অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করবে।
এর আগে সোমবার (১৩ মে) মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিদের কনডেম সেলে বন্দি রাখা অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও মো. বজলুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চের ওই রায়ে বলা হয়, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির আপিল, রিভিউ, রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনার ধাপগুলো নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আসামিকে কনডেম সেলে রাখা যাবে না।
সেইসঙ্গে বর্তমানে মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে সারা দেশে যত আসামিকে কনডেম সেলে রাখা হয়েছে তাদের দুই বছরের মধ্যে ক্রমান্বয়ে সাধারণ সেলে রাখার কথা বলা হয়েছে রায়ে। তবে বিশেষ কারণে (স্বাস্থ্যগত কারণ, সংক্রামক রোগ) কোনো ব্যক্তিকে নির্জন কক্ষে রাখতে পারবে কারা কর্তৃপক্ষ। সেক্ষেত্রে ওই ব্যক্তির উপস্থিতিতে শুনানি হতে হবে।
হাইকোর্টে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট আসাদ উদ্দিন। আর রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার। সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এমএমজি সারোয়ার পায়েল, নাসিম ইসলাম রাজু।
এর আগে ২০২২ সালের ৩ সেপ্টেম্বর মামলা চূড়ান্তভাবে নিষ্পত্তি হওয়ার আগে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে কনডেম সেলে রাখার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। চট্টগ্রাম কারাগারে কনডেম সেলে থাকা জিল্লুর রহমানসহ মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তিন বন্দির পক্ষে আইনজীবী শিশির মনির এ রিট দায়ের করেন। রিট আবেদনকারীরা হলেন– চট্টগ্রাম কারাগারের কনডেম সেলে থাকা সাতকানিয়ার জিল্লুর রহমান, সিলেট কারাগারে থাকা সুনামগঞ্জের আব্দুল বশির ও কুমিল্লা কারাগারে থাকা খাগড়াছড়ির শাহ আলম। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এই তিন আসামির আপিল বিচারাধীন রয়েছে।
গত বছরের ৫ এপ্রিল এ বিষয়ে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে কনডেম সেলে থাকা বন্দিদের বিষয়ে ছয় মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয় সেদিন। বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই আদেশ দেন।
পরে গত বছরের ১২ ডিসেম্বর মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিদের কনডেম সেলে বন্দি রাখা কেন বেআইনি হবে না এবং কেন জেলকোডের ৯৮০ বিধি অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, এই মর্মে জারি করা রুলের শুনানি শেষ হয়। বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও মো. বজলুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানি শেষে মামলাটি রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমাণ রাখেন।
ধর্ম নিয়ে কটূক্তি : শর্ত মানলে কারাভোগ করতে হবে না তিথির
ধর্ম নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তিথি সরকারকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন আদালত।
সোমবার (১৩ মে) সেই মামলায় রায় ঘোষণা করেন ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল। রায়ে বিচারক জুলফিকার হায়াত জবির সাময়িক বহিষ্কৃত শিক্ষার্থী তিথি সরকারের পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন। একইসঙ্গে তাকে এক বছরের জন্য প্রবেশনে পাঠানো হয়েছে। তবে এরই মধ্যে এ মামলায় আসামি ২১ মাস কারাভোগ করেছেন। রায়ে বিচারক উল্লেখ করেছেন, পাঁচ বছরের সাজা থেকে আসামির ২১ মাসের কারাভোগের সময় বাদ যাবে। অর্থাৎ এই ২১ মাস সময়কে পাঁচ বছরের সাজা আওতায় ধরা হবে।
এদিকে, রায়ের পর আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তিথিকে সংশোধন হতে এবং তার বয়োবৃদ্ধ বাবার নিয়মিত দেখভাল ও সেবাযত্ন করাসহ আট শর্তে তাকে এক বছরের প্রবেশনে মুক্তি দেন আদালত। এ সময়ে তিনি প্রবেশন কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে থাকবেন। আদালত জানিয়েছেন, আসামি তিথি প্রবেশনের শর্তসমূহ যথাযথভাবে পূরণ করলে তাকে আর সাজা না-ও খাটতে হতে পারে।
যেসব শর্তে প্রবেশন পেলেন তিথি :
আসামি তিথি সরকারকে অপরাধী প্রবেশন অধ্যাদেশ, ১৯৬০ (১৯৬০ সালের ৪৫ নম্বর অধ্যাদেশ) এর ৫ ধারা মোতাবেক, আদালত কর্তৃক নির্ধারিত সময়কালের জন্য প্রবেশন আদেশের নিম্নোক্ত শর্তাবলিযুক্ত মুচলেকা সই করার শর্তে প্রবেশনে মুক্তি দেওয়ার আদেশ জারি করা হয়েছে। তিনি আট শর্তে মুচলেকায় সই করে মুক্তি পান।
শর্তসমূহ হলো :
১. আসামি-প্রবেশনার আগামী এক বছর সময়ের জন্য প্রবেশন কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে থাকবেন এবং ওই কর্মকর্তার নিদের্শনাসমূহ মেনে চলবেন।
২. ওই সময়সহ আসামি-প্রবেশনার ভবিষ্যতেও আর কোনো অপরাধে জড়াবেন না, শান্তি বজায় রাখবেন ও সদাচরণ করবেন।
৩. বয়োবৃদ্ধ বাবার নিয়মিত দেখভাল ও সেবাযত্ন করতে হবে।
৪. আদালত, প্রবেশন কর্মকর্তা ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার তলবমতে আসামি-প্রবেশনার যথাসময়ে হাজির হবেন।
৫. শহর এলাকায় বসবাসের ক্ষেত্রে ট্রাফিক আইন মেনে চলাসহ আইনবহির্ভূতভাবে রাস্তা পারাপার করা যাবে না, সামাজিক নিয়ম-কানুন, প্রথা, রীতিনীতি প্রভৃতি মেনে চলবেন, পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কোনো কাজ করবেন না; প্রবেশন কর্মকর্তার অনুমতি ব্যতীত নিজস্ব কর্মস্থল বা বাসস্থান ত্যাগ করবেন না; এবং প্রবেশন কর্মকর্তার যে কোনো সময় আসামির গৃহ পরিদর্শন করতে আসামি-প্রবেশনার বা তার পরিবারের সদস্যদের কোনো আপত্তি থাকবে না।
৬. আসামি-প্রবেশনার অযথা রাতের বেলা ঘরের বাইরে অবস্থান করবেন না; মাদকদ্রব্য গ্রহণ, বিশেষত মাদকদ্রব্য বিক্রি ও সরবরাহ করা হয় এমন স্থানে যাতায়াত করবেন না; ধূমপান থেকে নিজেকে বিরত রাখবেন; এবং জুয়া, অনলাইন জুয়া, তাস, ক্যাসিনো, বাজি ইত্যাদি থেকে নিজেকে দূরে রাখবেন।
৭. আসামি-প্রবেশনার প্রবেশনকালীন কোনো ধরনের স্মার্ট মোবাইল ফোন ব্যবহার করবেন না; প্রয়োজন হলে নন-স্মার্ট মোবাইল ফোন বা বাটন ফোন ব্যবহার করবেন। তবে শিক্ষা কার্যক্রমের ক্ষেত্রে স্মার্ট ফোন ব্যবহারের আবশ্যকতা দেখা দিলে আসামি-প্রবেশনার তার মা-বাবা অথবা অন্য কোনো প্রাপ্তবয়স্ক আত্মীয়, অথবা ক্ষেত্রমতে শিক্ষকের উপস্থিতিতে শুধু স্মার্ট ফোন ব্যবহার করতে পারবেন।
৮. উপর্যুক্ত যে কোনো শর্ত লঙ্ঘন করলে বা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আসামি-প্রবেশনার নিজেকে সংশোধন না করলে আসামির প্রবেশন আদেশ বাতিল হবে এবং প্রমাণিত অপরাধের দায়ে তাকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮ এর ২৮ (২) ধারায় পাঁচ বছর কারাভোগ করতে হবে।
আইন অনুযায়ী, প্রবেশন হলো অপরাধীকে তার প্রাপ্য শাস্তি স্থগিত রেখে এবং কারাগারে না পাঠিয়ে তাকে শুধরানোর সুযোগ দেওয়া। প্রবেশন আইনে প্রথম ও লঘু অপরাধে দণ্ডিত শিশু-কিশোর বা অন্য কোনো প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিকে কারাগারে না পাঠিয়ে আদালতের নির্দেশে শর্তসাপেক্ষে প্রবেশন কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে নিজ বাসায় বা পরিবারের সঙ্গে থাকার সুযোগ দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে সমাজসেবা অধিদপ্তরের একজন প্রবেশন কর্মকর্তা হিসেবে থাকেন।
মূলত প্রবেশন একটি সামাজিক সংশোধনী কার্যক্রম। কোনো অপরাধী যেন ভবিষ্যতে নতুন করে অপরাধকর্মে লিপ্ত না হন এবং আইন মনে চলা ব্যক্তি হিসেবে নিজেকে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করেন, প্রবেশনের মাধ্যমে আদালত দণ্ডিত ব্যক্তিকে সেই সুযোগ দেন।
তবে প্রবেশনের মেয়াদ শেষে প্রবেশন কর্মকর্তা যদি সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তির আচরণ সন্তোষজনক মর্মে প্রতিবেদন দেন, তবে আসামির কারাদণ্ড মওকুফ হবে। আর যদি আসামির আচরণ অসন্তোষজনক মর্মে প্রতিবেদন দেন, তবে প্রবেশন বাতিল ও আদালতের দেওয়া দণ্ড আসামিকে ভোগ করতে হবে।
এ বিষয়ে সাইবার ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) নজরুল ইসলাম শামীম জানান, ধর্মীয় মূল্যবোধ বা অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে পল্টন থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কৃত শিক্ষার্থী তিথি সরকারের পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। তিথির আইনজীবী প্রবেশন চেয়ে আবেদন করলে আদালত এক বছরের জন্য কিছু শর্তে তাকে প্রবেশনে মুক্তির আদেশ দেন। এই এক বছরে তাকে শর্তসমূহ মেনে চলতে হবে। শর্ত মানলে আদালত বিবেচনা করবেন তাকে আর সাজা খাটতে হবে কি না। আর শর্ত না মানলে তাকে সাজা খাটতে হবে।
তিথির আইনজীবী বাবুলুর রহমান জানান, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় তিথি সরকার নিজের ভুল স্বীকার করে আদালতের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। তিনি স্বাভাবিক জীবনে ফেরার জন্য আদালতের কাছে সুযোগ চান। এর আগে তিনি ২১ মাস জেল খেটেছেন। সব কিছু বিবেচনা করে আদালত তাকে সংশোধনের জন্য এক বছরের প্রবেশন দেন। এই এক বছরে যদি তিনি আচরণগত পরিবর্তনসহ শর্তসমূহ মেনে চলেন তাহলে তাকে আর সাজা খাটতে হবে না। আর শর্ত ভঙ্গ হলে পূর্ণ সাজা ভোগ করতে হবে।
ট্রাইব্যুনালের স্টেনোগ্রাফার মোহাম্মদ মামুন সিকদার জানান, প্রবেশনের সময় শেষ হওয়ার পর প্রবেশন কর্মকর্তা আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করবেন। ওই প্রতিবেদনের ওপর নির্ভর করবে তিথি সরকার পুরো পাঁচ বছর সাজা খাটবেন নাকি মুক্তি পাবেন। রিপোর্ট ভালো হলে সাজা না খাটলেও চলতে পারে। আবার রিপোর্ট সন্তোষজনক না হলে সাজা খাটতে হবে।
নামাজের ওয়াক্ত শুরু
তারিখ : ১৬ মে, ২০২৪
আওয়ামী লীগের কারণে বাংলাদেশের মানুষ পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
ফারাক্কা দিবস উপলক্ষে বুধবার (১৫ মে) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বাণীতে এ মন্তব্য করেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, ১৬ মে ‘ফারাক্কা দিবস’ আমাদের জাতীয় আন্দোলনের এক ঐতিহাসিক ও গুরুত্বপূর্ণ দিন। আজ থেকে ৪৮ বছর আগে অবিসাংবাদিত মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ডাকে সারাদেশ থেকে লাখো জনতা ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবাহিত গঙ্গা নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ের সংগ্রামে ফারাক্কা অভিমুখে ঐতিহাসিক লংমার্চে অংশ নেয়। ভারতে গঙ্গা নদীর ফারাক্কা পয়েন্টে বাঁধ নির্মাণ করে অভিন্ন নদীর পানি একতরফা প্রত্যাহার শুরু করা হয়। যার ফলে বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল আজ প্রায় মরুভূমিতে পরিণত হয়েছে। ওই এলাকায় পানি সংকটসহ নানাবিধ প্রাকৃতিক ভারসাম্যহীনতা দেখা দিয়েছে।
তিনি বলেন, জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশগত মানকে বিবেচনা না করে এবং প্রাকৃতিক ও মানবিক বিপর্যয়ের সম্ভাবনাকে উপেক্ষা করে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের মতামতকে অগ্রাহ্য করে ভারতকে কয়েক দিনের জন্য পরীক্ষামূলকভাবে ফারাক্কা বাঁধ চালুর অনুমতি দেয়। কিন্তু সেই বাঁধ অব্যাহতভাবে আজ পর্যন্ত চালু আছে। এই বাঁধ এখন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। তৎকালীন আওয়ামী সরকারের কারণে এ দেশের জনগণ পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত।
ফারাক্কা দিবসের তাৎপর্য অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব এরপর বলেন, আন্তর্জাতিক আইন-কানুন ও কনভেনশনের তোয়াক্কা না করে ৫৪টি অভিন্ন নদীতে একের পর এক বাঁধ নির্মাণের মাধ্যমে নদীর ধারাকে বাধাগ্রস্ত করে ভারত একতরফা নিজেদের অনুকূলে যেভাবে পানি প্রত্যাহার করছে, তাতে বাংলাদেশের অস্তিত্ব আজ সংকটের মুখে। বাংলাদেশ নিষ্ফলা উষর ভূমি হয়ে ওঠার আলামত ইতোমধ্যেই ফুটে উঠেছে। সুতরাং ১৯৭৬ সালের ১৬ মে মওলানা ভাসানীর নেতৃত্বে রাজশাহী থেকে ফারাক্কা অভিমুখে যে ঐতিহাসিক লং মার্চ এগিয়ে গিয়েছিল, তা যেকোনো অধিকার আদায়ে এ দেশের জনগণকে উদ্বুদ্ধ করে।
বাণীতে ফারাক্কা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত বিভিন্ন সংগঠনের সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন বিএনপি মহাসচিব।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য দিনকে দিন সম্প্রসারিত হচ্ছে। ব্যবসায়িক লেনদেন ঠিক রাখার জন্য তাই মুদ্রা বিনিময়ের পরিমাণও বৃদ্ধি পেয়েছে। শুধু তাই নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসরত প্রবাসীরা নিয়মিত পাঠাচ্ছেন বৈদেশিক মুদ্রা। লেনদেনের সুবিধার্থে বিভিন্ন দেশের মুদ্রার সঙ্গে ১৬ মে ২০২৪ তারিখে বাংলাদেশি টাকার বিনিময় হার তুলে ধরা হলো-
বৈদেশিক মুদ্রার নাম
বাংলাদেশি টাকা
ইউএস ডলার
১১৭ টাকা ০১ পয়সা
ইউরোপীয় ইউরো
১২৭ টাকা ১২ পয়সা
ব্রিটেনের পাউন্ড
১৪৭ টাকা ৫১ পয়সা
ভারতীয় রুপি
১ টাকা ৩৭ পয়সা
মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত
২৪ টাকা ৭৪ পয়সা
সিঙ্গাপুরের ডলার
৮৬ টাকা ২৫ পয়সা
সৌদি রিয়াল
৩১ টাকা ২০ পয়সা
কানাডিয়ান ডলার
৮৪ টাকা ৪৫ পয়সা
অস্ট্রেলিয়ান ডলার
৭৭ টাকা ৪০ পয়সা
কুয়েতি দিনার
৩৮৩ টাকা ২৮ পয়সা
** যেকোনো সময় মুদ্রার বিনিময় হার পরিবর্তন হতে পারে।