• ঢাকা রোববার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
জিজ্ঞাসাবাদে ডিবিকে লোমহর্ষক বর্ণনা দিলেন মিল্টন সমাদ্দার
প্রতারণা ও নানা অনিয়মে গ্রেফতার ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার’ আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারকে জিজ্ঞাসাবাদে ভয়ংকর ও লোমহর্ষক কাহিনি উঠে এসেছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। তিনি বলেন, পথে, রাস্তাঘাটে পড়ে থাকা গরিব ও অসহায় মানুষকে তুলে এনে আশ্রয় দেওয়া হতো ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ আশ্রমে। তাদের কারও কারও হাত-পায়ে পচনও ধরেছিল। যখন প্রয়োজন হতো অপারেশন তখন আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দার নিজে ব্লেড ছুরি দিয়ে তাদের হাত, আঙুল কেটে ফেলতেন। রক্ত ঝরিয়ে, অপারেশনের নামে হাত-পা কেটে পৈশাচিক আনন্দ পেতেন মাদকাসক্ত মিল্টন। রোববার (৫ মে) দুপুরে ডিবি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে হারুন অর রশীদ এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, মিল্টন সমাদ্দার ভয়াবহ অপরাধ করেছেন। একটি দুটি অপরাধ করেননি, তার বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ তো ভয়াবহ। তিনি নিজেই স্বীকার করেছেন। তার অ্যাকাউন্টে এখনও ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা আছে। এতগুলো টাকা থাকার পরও তিনি কাউকে চিকিৎসা করাননি। তিনি নিজেই হয়ে গেছেন অপারেশন থিয়েটারের হেড। তার অপারেশন থিয়েটারে থাকতো একটা ছুরি ও কিছু ব্লেড। তিনি এগুলো দিয়েই নিজেই অপারেশন করাতেন। এ রকম ভয়াবহ, অমানবিক ও অসভ্য আচরণ, এটা বাংলাদেশের মানুষের জন্যই তো লজ্জাজনক। যারা তার সঙ্গে জড়িত, যারা পেট্রোনাইজ করেছে, সহযোগিতা করেছে, ফেসবুকে ফলোয়ার বাড়ানোর জন্য যারা পেট্রন করেছে, ফাউন্ডেশনের মেম্বার তাদের প্রত্যেককে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, যে ছেলেটা সেই উজিরপুর থেকে বাবা পিটিয়ে ঢাকায় এসে ওষুধের দোকানে চুরি করেছে, এরপর একটা আশ্রম গড়ে তোলেন। যেখানে তিনি অসহায়, গরিব শিশু, বৃদ্ধ, প্যারালাইজড, বাকপ্রতিবন্ধী, মানসিক ভারসাম্যহীন মানুষকে সংগ্রহ করে আশ্রমে নিতেন। তাদের দেখিয়ে তিনি ফেইবুকে ফলোয়ারের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতেন। সেই টাকা আবার তিনি খরচ করতেন না। তার (মিল্টন সমাদ্দার) আশ্রমে ৯০০ লোক মারা গেছে বলে নিজেই প্রচার করতেন উল্লেখ করে হারুন অর রশীদ বলেন, মানুষগুলো মারা গেছেন। জানাজা হলো না, রাতের অন্ধকারে কবর দেওয়া হলো, আত্মীয়-স্বজনকে জানানো হলো না, মিথ্যাভাবে সিল স্বাক্ষর দিয়ে নিজেই ডেথ সার্টিফিকেট দিলেন, বানিয়েও রেকর্ডে রাখলেন না, পরেও স্বজনদের জানালেন না, এসবই আমাদের তদন্তে আসবে। যেসব শিশু তার আশ্রমে ছিল তাদের খোঁজ পাওয়ার পর দেখা করতে দেওয়া হতো না স্বজনদের। ওই শিশুদের ক্ষেত্রে আসলে কি ঘটেছিল? বিক্রি করতো? কিছু পেয়েছেন আপনারা? এমন প্রশ্নের জবাবে ডিবিপ্রধান বলেন, একটু ধৈর্য ধরেন সবই বেড়িয়ে আসবে। এরকম আরও যেসব মিল্টন সমাদ্দার বাংলাদেশে যদি আরও থেকে থাকে, তথাকথিত মানবতার ফেরিওয়ালা নামে যারা এ ধরণের অপকর্ম করে থাকে তাদের ব্যাপারেও খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে। মিল্টন সমাদ্দার নিজেই বলেছেন, ৯০০ লোকের প্রাণ নিভে গেল! কীভাবে নিভে গেল? তিনি তো তাদের হাসপাতালে নেননি, ডেথ সার্টিফিকেটও নেননি, থানা পুলিশকে অবহিত করেননি। আবার ৯০০ লোকের প্রাণ যাওয়ার যে কথা তিনি বলেছেন, সেটা আদৌ সত্য কিনা, নাকি এটা টাকা ইনকামের একটা কথার কথা! সত্য হলে কি করেছেন। সব তদন্তে নিয়ে আসব। এই আশ্রমের সঙ্গে আরও যারা যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ৯০০ লোকের মৃত্যু সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদে মিল্টন সমাদ্দার ডিবি পুলিশকে জানিয়েছে, আসলে ৯০০ মানুষ মরেনি। তাহলে কতজন মারা গেছে? বলেন ১৩৫ জন মারা গেছে। তাদের দাফন করেছি। সেটারও তিনি রেজিস্টার্ড সংগ্রহে রাখেননি। যারা মারা গেলেন তাদের হাসপাতালে পাঠানো হয়নি। এতোগুলো মৃত্যুর ঘটনা সম্পর্কে অবশ্যই তাকে জবাব দিতে হবে। হারুন বলেন, অটিজম শিশুদের সঙ্গে যা করা হয়েছে তা লজ্জাজনক। কারণ বঙ্গবন্ধুর নাতনি প্রধানমন্ত্রীর কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল অটিজম নিয়ে সারা বিশ্বে প্রশংসিত হয়েছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক অফিসের (ডব্লিউএইচওএসইএআরও) আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন বৈশ্বিক অটিজম বিশেষজ্ঞ সায়মা ওয়াজেদ (পুতুল)। আর সেই দেশে অটিজমের নাম ধারণ করে অসহায়, বাক প্রতিবন্ধী ভারসাম্যহীন মানুষ সংগ্রহ করে ফেইসবুকে প্রচার করে ফলোয়ারদের মাধ্যমে টাকা সংগ্রহ করে আত্মসাৎ করেছেন। অন্যদিকে তিনি সেই টাকা খরচও করেননি। এটা তো লজ্জাজনক। তাকে (মিল্টন সমাদ্দার) জবাবদিহি করতে হবে। তিনি কীভাবে ডেথ সার্টিফিকেট দিতেন। আমরা তো সেখানে যাতায়াত করা ডাক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। তিনি বলেছেন, মিল্টন সমাদ্দার তার সিল স্বাক্ষর জালিয়াতি করে ডেথ সার্টিফিকেট দিতেন। যা তিনি জানতেন না। মিল্টন সমাদ্দার নিজেও তা স্বীকার করেছেন। তিনি নাকি মানবতার ফেরিওয়ালা। এসব অপকর্ম করে কীভাবে একজন মানুষ মানবতার ফেরিওয়ালা হয়? উল্লেখ্য, রাজধানীর মিরপুর থেকে গত বুধবার রাতে মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) মিরপুর জোনাল টিম। 
লাইভ তাসকিনের আঘাতে উড়ন্ত সূচনা টাইগারদের
কালবৈশাখী নিয়ে আবহাওয়ার সতর্কবার্তা
বাংলাদেশে আশ্রয় নিলেন বিজিপির আরও ৮৮ সদস্য
২৪ ঘণ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি সুন্দরবনের আগুন
সারাদেশে গাছ কাটা বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে রিট
মিল্টন সমাদ্দারের অ্যাকাউন্টে কত টাকা, জানাল ডিবি
প্রয়োজনে শুক্রবারও ক্লাস নেওয়া হবে: শিক্ষামন্ত্রী
আইএসও সনদ পেল ২২ প্রতিষ্ঠান
সুন্দরবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে হেলিকপ্টার থেকে ছিটানো হচ্ছে পানি 
৯ মে ঢাকায় আসছেন ভারতীয় পররাষ্ট্রস‌চিব
সরকারের আত্মীয়-স্বজনরা ব্যাংক লুটপাট করেছে : সালাম
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
মিল্টন সমাদ্দারের অ্যাকাউন্টে কত টাকা, জানাল ডিবি
৯ মে ঢাকায় আসছেন ভারতীয় পররাষ্ট্রস‌চিব
ট্রেনে তিন ঘণ্টায় ঢাকা থেকে খুলনা
এ বছরের জুলাই মাসে ভাঙ্গা থেকে যশোর পর্যন্ত সরাসরি ট্রেন চলাচল শুরু করবে। এর ফলে এ রুটের দূরত্ব ৩৬৭ কিলোমিটার থেকে কমছে ১৯৫ কিলোমিটার। নতুন দূরত্ব কমে দাঁড়াবে ১৭২ কিলোমিটারে। ইতোমধ্যে পদ্মা রেল সংযোগ প্রকল্পের প্রথমাংশে সেতু হয়ে ঢাকা থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত ট্রেন চলছে। এখন ঢাকা থেকে যশোর যেতে সময় লাগবে সোয়া ২ ঘণ্টা এবং ঢাকা থেকে খুলনা ও ঢাকা থেকে বেনাপোল পর্যন্ত যেতে লাগবে তিন ঘণ্টা সময়। এর আগে এ রুটে যাতায়াতে কমপক্ষে ১০ ঘণ্টা সময় লাগত।  রেলওয়ে (পশ্চিমাঞ্চল) থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, খুলনা-ঢাকা রুটে প্রথম ট্রেনটি খুলনা থেকে ভোর ৬টায় ছেড়ে ঢাকায় আসবে সকাল ৯টায় এবং ট্রেনটি সকাল সাড়ে ৯টায় ঢাকা থেকে খুলনার উদ্দেশ্যে ছেড়ে গিয়ে পৌঁছবে দুপুর সাড়ে ১২টায়। অন্যদিকে ঢাকা-খুলনা রুটে প্রথম ট্রেনটি ঢাকা থেকে ৬টায় ছেড়ে খুলনায় আসবে সকাল ৯টায় এবং ট্রেনটি সকাল সাড়ে ৯টায় খুলনা থেকে ছেড়ে গিয়ে ঢাকায় পৌঁছবে দুপুর সাড়ে ১২টায়। খুলনা-ঢাকা রুটে তৃতীয় ট্রেনটি ঢাকা থেকে দুপুর ১টায় খুলনার উদ্দেশ্যে ছেড়ে গিয়ে পৌঁছবে বিকেল ৪টায়। আর ফিরতি ট্রেনটি রাত সাড়ে ৭টায় খুলনা থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে গিয়ে পৌঁছবে সকালে সাড়ে ১০টায়।  চতুর্থ ট্রেনটি খুলনা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টায় ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাবে এবং ঢাকায় পৌঁছবে বিকেল সাড়ে ৩টায়। ঢাকা থেকে দুপুর একটায় ছেড়ে গিয়ে খুলনায় পৌঁছবে বিকেল ৪টায়। আর ঢাকা-বেনাপোল রুটে বেনাপোল এক্সপ্রেস সকাল ১০টায় ঢাকা থেকে বেনাপোলের উদ্দেশে ছেড়ে গিয়ে পৌঁছবে দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে এবং বেনাপোল থেকে দুপুর ৩টায় ছেড়ে গিয়ে ঢাকায় পৌঁছবে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়। ঢাকা-খুলনা রুটের মতো ঢাকা-দর্শনা রুটে ট্রেন থাকছে দুইটি। ঢাকা-দর্শনা রুটে প্রথম ট্রেনটি দর্শনা থেকে সকাল সাতটায় ছেড়ে ঢাকা পৌঁছবে দুপুর ১২টায় এবং ঢাকা থেকে দুপুর ১টায় ছেড়ে দর্শনায় পৌঁছবে বিকাল ৪টায়। দ্বিতীয় ট্রেনটি ঢাকা থেকে বিকাল সাড়ে ৪টায় ছেড়ে গিয়ে দর্শনায় পৌঁছবে ৯টা ৪০ মিনিটে এবং দর্শনা থেকে রাত ১১টা ৫৫ মিনিটে ছেড়ে ঢাকায় পৌঁছবে পরদিন সকাল ৫টায়। আর ঢাকা থেকে গোপালগঞ্জের গোবরা রুটের ট্রেনটি সকাল ৬টায় ছেড়ে এসে ঢাকায় পৌঁছবে সকাল সাড়ে আটটায়। আর ঢাকা থেকে সন্ধ্যা ৬টায় ছেড়ে গিয়ে রাত সাড়ে ৮টায় গোপালগঞ্জে পৌঁছবে। ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা স্টেশন পর্যন্ত দূরত্ব ৭৭ কিলোমিটার। এ রেলপথের জন্য ভাড়া নির্ধারণে বাংলাদেশ রেলওয়ে একটি প্রস্তাবনা তৈরি করেছে। প্রস্তাবনায় ঢাকা-ভাঙ্গা রুটে মেইল ট্রেনে ১২০ টাকা, কমিউটার ট্রেনে ১৪৫ টাকা, আন্তনগর ট্রেনের শোভন চেয়ারে ৩৫০ টাকা, এসি চেয়ার ৬৬৭ টাকা, এসি সিট ৮০৫ টাকা ও এসি বার্থ ১২০২ টাকা নির্ধারণ করা হয়। রেল কর্তৃপক্ষের প্রস্তাবনায় ট্রেনের ভাড়া বাড়ার পেছনে প্রধান দুটি কারণ দেখানো হয়েছে। একটি পদ্মা সেতু অপরটি গেন্ডারিয়া-কেরানীগঞ্জ পর্যন্ত উড়ালপথ। এই পথের জন্য অতিরিক্ত পথ যোগ করে ভাড়া বেশি ধরা হচ্ছে। পদ্মা সেতুর প্রতি কিলোমিটারকে ২৫ কিলোমিটার দূরত্ব ধরে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের পদ্মা সেতুকে ১৫৪ কিলোমিটার রেলপথ ধরা হয়েছে। অন্যদিকে গেন্ডারিয়া থেকে কেরানীগঞ্জ পর্যন্ত উড়ালপথের প্রতি কিলোমিটারকে ধরা হয়েছে ৫ কিলোমিটার। প্রায় ২৩ কিলোমিটার উড়ালপথকে ১১৫ কিলোমিটার রেলপথ ধরা হয়েছে। রেলওয়ে সূত্র জানায়, এ জন্যই ঢাকা থেকে ভাঙ্গার দূরত্ব ৭৭ কিলোমিটার হলেও রেলওয়ে পদ্মা সেতু ও কেরানীগঞ্জের উড়ালসেতুর জন্যে দূরত্ব নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৫৩ কিলোমিটার। অন্যদিকে ভাঙ্গা থেকে যশোর পর্যন্ত রেলওয়ের দূরত্ব ৯৪ কিলোমিটার। কিন্তু মধুমতী সেতু থাকায় সেখানে ২৫ কিলোমিটার অতিরিক্ত দূরত্ব ধরা হবে। এজন্য প্রকৃত দূরত্ব ১৭২ কিলোমিটার হলেও রেলওয়ের হিসেবে ঢাকা-যশোর রুটের দূরত্ব ৪৩৫ কিলোমিটার। সে অনুযায়ী ভাড়া হতে যাচ্ছে ৫০০ টাকা। একইসঙ্গে যশোর থেকে খুলনার দূরত্ব ৪৫ কিলোমিটার বেশি হওয়ায় ঢাকা-খুলনা ভাড়া হবে ৫৫০ টাকা। বর্তমানে দেশে লোকাল, মেইল, কমিউটার ও আন্তঃনগর— এই চার ধরনের ট্রেন চলাচল করে। লোকাল ট্রেনের ভাড়া কিলোমিটার প্রতি ৩৯ পয়সা আর আন্তঃনগর ট্রেনের ভাড়া নন-এসি শ্রেণির ভিত্তি ভাড়া ১ টাকা ১৭ পয়সা। আর কিলোমিটার প্রতি এসি শ্রেণির ভিত্তি ভাড়া ১ টাকা ৯৫ পয়সা।
জিজ্ঞাসাবাদে ডিবিকে লোমহর্ষক বর্ণনা দিলেন মিল্টন সমাদ্দার
জিজ্ঞাসাবাদে ডিবিকে লোমহর্ষক বর্ণনা দিলেন মিল্টন সমাদ্দার
ঢাকা সেনানিবাসে এএফআইপি ভবন ও সেনাপ্রাঙ্গণ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
ঢাকা সেনানিবাসে এএফআইপি ভবন ও সেনাপ্রাঙ্গণ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
সেনাবাহিনী মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করেছে: প্রধানমন্ত্রী
সেনাবাহিনী মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করেছে: প্রধানমন্ত্রী
বাণিজ্য সম্প্রসারণে মিশর-বাংলাদেশ বৈঠক 
বাণিজ্য সম্প্রসারণে মিশর-বাংলাদেশ বৈঠক 
বজ্রপাত বাড়বে, বাড়তে পারে প্রাণহানি
বজ্রপাত বাড়বে, বাড়তে পারে প্রাণহানি
কারিনার নতুন অধ্যায় শুরু, কাঁধে এবার বড় দায়িত্ব
মুরাদ নূরের সুরে সামিনা চৌধুরীর নতুন গান ‘মেঘবরষা’
বাংলাদেশের নন্দিত কণ্ঠশিল্পী সামিনা চৌধুরী। বেছে বেছে রুচিশীল কথা-সুরে গান করায় বাংলা গানের ইতিহাসে অনন্য উচ্চতায় আসীন। এবার বৃষ্টি নিয়ে ডা. রুখসানা পারভীন সুরমার কথায়, মুরাদ নূরের সুরে ‘মেঘবরষা’ শিরোনামের গান গাইলেন গুণী এই শিল্পী। নতুন গান প্রসঙ্গে সামিনা চৌধুরী বলেন, মেঘবরষা গানটি অনেক আগেই মুরাদ নূর পাঠিয়েছিলো, দেশের বাইরে থাকার কারণে গাইতে পারিনি। সঙ্গীত ক্যারিয়ারের অল্প সময়েই নূর বেশ পরিণত কাজ করছে। সুরকে ধারণ করতে পারছে নূর। গানটি ভীষণ মনে ধরাতে, কবে গাইবো সে অপেক্ষায় আমিও মুখিয়ে ছিলাম, গাইতে পেরে বেশ আনন্দ লাগছে। চমৎকার কথা সুরের সমন্বয়ে স্যাড-রোমান্টিক ‘মেঘবরষা’ গানে মেধাবী কবি নতুন কিছু শব্দ সৃষ্টি করেছে, যা আমাকে মুগ্ধ করেছে। বিশ্বাস করি, আমার ক্যারিয়ারেও বেঁচে থাকার উল্লেখযোগ্য গান হচ্ছে ‘মেঘবরষা’। সুরকার মুরাদ নূর বলেন, সামিনা আপা আমার ভীষণ পছন্দের শিল্পী। মানুষ হিসেবে আপার শতভাগ শৈল্পিক আচরণ আমাকে মুগ্ধ করে। গানটির ডেমো শোনার পরেই আপা তিনবার বাহ্ বলেছে। যা আমার সৃষ্টিতে স্বস্তি ও সাহস জুগিয়েছে। গীতিকবি রুখসানা পারভীন আপার বেশ কিছু গান সুর করেছি। মেঘবরষা তারমধ্যে অন্যতম। মেঘবরষা আমাদের বাঁচিয়ে রাখার গান হবে। সংশ্লিষ্ট আমরা উচ্ছ্বসিত। গীতিকবি রুখসানা পারভীন সুরমা বলেন, চিকিৎসা পেশায় প্রচুর ব্যস্ত থাকতে হয়। গান-কবিতা লেখার সময় বের করা কষ্টকর। তবুও নেশা থেকেই কলম ধরি। ছোট ভাই মুরাদ নূর অসাধারণ সুর করেছে। কম বয়সে পরিণত সুরজ্ঞান। মুশফিক লিটুর অসাধারণ সঙ্গীতায়োজনে আমরা মুগ্ধ। আমি নিজেই সামিনা আপার বেশ ভক্ত। তার কণ্ঠেই ‘মেঘবরষা’ পূর্ণতা পেলো। আশা করছি সবার ভালো লাগবে।
মুরাদ নূরের সুরে সামিনা চৌধুরীর নতুন গান ‘মেঘবরষা’
হঠাৎ কনসার্টে সুনিধির দিকে ছোড়া হলো পানির বোতল
কনসার্টে সংগীতশিল্পীদের উদ্দেশ্য করে বোতল ছুড়ে মারার ঘটনা নতুন না। বিশ্বের বড় বড় গায়কদের বোতল হজম করতে হয়েছে। এবার ঘটনাটি ঘটল জনপ্রিয় বলিউড গায়িকা সুনিধি চৌহানের সঙ্গে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেরাদুনে শো করছিলেন সুনিধি। তার গানের ছন্দে দুলছিল গোটা কনসার্ট। ভক্তরা ছিলেন মাতোয়ারা। ঠিক এ সময় এক বেরসিক দর্শক গায়িকাকে লক্ষ্য করে ছুড়ে মারেন পানির বোতল। আচমকা এ ব্যবহারে কিছুটা চমকে যান সুনিধি। পরক্ষণেই নিজেকে সামলে নিয়ে দেন জবাব। সুরে সুরে বলেন, এভাবে বোতল ছুড়ে কী হবে তা বলো! তাতে কী হবে বলো তো, শো বন্ধ হয়ে যাবে। তোমরা কী সেটাই চাও? চিৎকার করে না বলেন দর্শকরা। এরইমধ্যে ওই ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক মাধ্যমে। নেটিজেনরা মেতেছেন নিন্দায়। একজন প্রতিবাদ করে লিখেছেন, একজন শিল্পীর দিকে এভাবে পানির বোতল ছোড়ার ঘটনা, এমন ব্যবহার কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এতে শিল্পীর কঠিন পরিশ্রম ও প্রতিভাকে অসম্মান করা হয়। যদি তাদের কাজের প্রশংসা করতেই হয় তাহলে সম্মান দিতে শিখুন। প্রসঙ্গত, সুনিধির বয়স যখন চার তখন থেকে কনসার্ট মাতাচ্ছেন। পরে অসংখ্য জনপ্রিয় গান দিয়ে বুঁদ করেছেন বলিউড। কখনও এ ধরনের অভিজ্ঞতা হয়নি। এবারই প্রথম এমন ঘটনা ঘটল। 
হঠাৎ কনসার্টে সুনিধির দিকে ছোড়া হলো পানির বোতল
প্রেম ও অপরাধের গল্প নিয়ে ‘মেয়ে’
বর্তমান সময়ে দর্শকপ্রিয় মুখ আব্দুল্লাহ আল সেন্টু। পর পর ওটিটিতে বেশ কয়েকটি কাজ দিয়ে বেশ আলোচনায় উঠে এসেছেন। পেয়েছেন দর্শকদের প্রশংসাও। এবার এই অভিনেতা অভিনয়ের পাশাপাশি নতুন এক পরিচয়ে দর্শকদের সামনে হাজির হচ্ছেন। প্রেম ও অপরাধের গল্পে নির্মিত ওয়েব ফিকশন ‘মেয়ে’। এটি নির্মাণ করেছেন সীমান্ত সজল। সত্য ঘটনা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে ফিকশনটির কাহিনি লিখেছেন কাহিনি, সংলাপ ও চিত্রনাট্য লিখেছেন আব্দুল্লাহ আল সেন্টু ও মারশিয়া শাওন।  আব্দুল্লাহ আল সেন্টু বলেন, মেয়ের গল্প দর্শক নিজের জীবনের সঙ্গে রিলেট করতে পারবেন। গল্পটার কিছু অংশ সত্য ঘটনা থেকে নেওয়া। গল্পটা ভালোবাসা ও সমাজের কিছু টানাপোড়েনের কথা বলার মধ্যে দিয়ে এগিয়ে যাবে। দর্শক নিজের জীবনকে দেখতে পাবে এই গল্পে আশা করা যায়। অন্যদিকে, ওয়েব ফিকশনটি নিয়ে মারশিয়া শাওন বলেন, আমার ছোটবেলা থেকে বেড়ে ওঠা শহরে। গ্রাম সম্পর্কে অতটা জানাশোনা ছিল না। মেয়ে ওয়েব ফিল্মে আমার চরিত্রের নাম নীলু। আর এই নীলু চরিত্রটির জন্ম গ্রামে। যার ফলে চরিত্রটিকে ধারণ করার জন্য আমার অনেক পরিশ্রম ও পড়াশোনা করতে হয়েছে। আর যখন শুটে গিয়েছি তখন স্থানীয় মেয়েদের সঙ্গে মিশে কথা বলে নিজের চরিত্রটিকে ধারণ করার চেষ্টা করেছি। কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব ও কুলিয়ারচরের বিভিন্ন লোকেশনে  শুটিং হয়েছে ফিকশনটির । প্রধান তিন চরিত্রে অভিনয় করেছেন ক্রিস্টিয়ানো তন্ময়, আব্দুল্লাহ আল সেন্টু ও মারশিয়া শাওন। আরও অভিনয় করেছেন মতিউর রহমান সাগর, সাইদুর রহমান বাবলু, শিখা কর্মকার, রাশেদা রাখি, সোহান আকরাম, আবুল হায়দার কাঞ্চন প্রমুখ। ইতিমধ্যে প্রকাশ্যে এসেছে ফিকশনটির প্রথম গান ‘ছায়ার মতো’। রবিউল ইসলাম জীবনের লেখা গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন সংগীতশিল্পী অবন্তী সিঁথি ও রাফি তালুকদার। সুর ও সংগীতায়োজন মাহামুদ হায়াৎ অর্পনের। গানটির দৃশ্যায়নে দেখা গেছে সেন্টু ও মারশিয়া শাওনকে। রোমান্টিক ঘরানার এ গানে তাঁদের রসায়ন নজর কেড়েছে। নির্মাতা জানিয়েছেন, ৯ মে অন ফ্রেম ইউটিউব চ্যানেলে মুক্তি পাবে মেয়ে।  
প্রেম ও অপরাধের গল্প নিয়ে ‘মেয়ে’
‘সাবসিন’ বন্ধ, সাবটাইটেল পাবেন যেখানে 
সাবটাইটেল লাগলেই সিনেপ্রেমীরা ঢুঁ মারতো ‘সাবসিন.কম’-এ। সেখানে মিলতো ইংরেজি, বাংলাসহ বিশ্বের সর্বাধিক ভাষার সব সাবটাইটেল। হঠাৎই জনপ্রিয় এই প্ল্যাটফর্মটি বন্ধ হয়ে গেছে। এতে বিপাকে পড়েছেন ব্যবহারকারীরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তারা প্রকাশ করছেন নিজেদের হতাশার কথা। সাবসিনের মতো বিকল্প পাওয়া যদিও মুশকিল, তবুও সাবটাইটেলের জন্য তিনটি প্ল্যাটফর্মের সন্ধান দেওয়া যাচ্ছে। যেগুলোর দ্বারা অনেকটাই মিলবে উপকার।  ওপেনসাবটাইটেল প্ল্যাটফর্মটির যাত্রা শুরু ২০০৬ সালে। এখানে ইংরেজিসহ বিভিন্ন ভাষার সাবটাইটেল মিলবে।  সাবডিএল বাংলা, ইংরেজিসহ বিভিন্ন ভাষার সাবটাইটেল এই প্ল্যাটফর্ম থেকে নামাতে পারবেন। এতে বাংলার জন্য ফিল্টারে বাংলা ভাষা যোগ করারও সুবিধা রয়েছে। বাংলা সাবটাইটেল এই প্ল্যাটফর্মে হলিউড, বলিউডসহ দক্ষিণি সব সিনেমার বাংলা সাবটাইটেল পাওয়া যাবে।
‘সাবসিন’ বন্ধ, সাবটাইটেল পাবেন যেখানে 
৬ মাসব্যাপী ফ্রি ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ উদ্বোধন
২৪ ঘণ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি সুন্দরবনের আগুন
বাংলাদেশে আশ্রয় নিলেন বিজিপির আরও ৮৮ সদস্য
নাতির লাঠির আঘাতে দাদির মৃত্যু
নুরুন্নবী হত্যা মামলায় বাবা-ছেলেসহ ৫ জনের যাবজ্জীবন
জয়পুরহাটে পরকীয়ার জেরে নুরুন্নবী হত্যা মামলায় বাবা-ছেলেসহ ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। রোববার (৫ মে) দুপুরে অতিরিক্ত দায়রা জজ ১-এর আদালতের বিচারক নুরুল ইসলাম এ রায় দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা জজ আদালতের সরকারি কৌশলী অ্যাডভেকেট নৃপেন্দ্রনাথ মণ্ডল। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার বড়াইল শেখপাড়া গ্রামের মৃত ইনারী সর্দারের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক, রাজ্জাকের ছেলে শাহাদুল ও শাহদুলের স্ত্রী মরিয়ম বেগম রেখা, মৃত রইচ উদ্দিনের ছেলে মোজাহার আলী ও সামছুদ্দিনের ছেলে রেজাউল। মামলার বিবরণে জানা গেছে, ক্ষেতলাল উপজেলা বড়াইল শেখপাড়া গ্রামের আলতাফের ছেলে নুরুন্নবীর সঙ্গে মরিয়ম বেগমের পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ২০০৫ সালের ১৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় নুরুন্নবী বাড়ি থেকে বের হয়ে ওই রাতে আর বাড়ি ফেরেননি। পরিবারের লোকজন অনেক খোঁজাখুঁজি করেও কোনো সন্ধান পাননি। পরকীয়ার জেরে আসামীরা তাকে হত্যা করে।  পরে ২০ নভেম্বর উপজেলা দক্ষিণ হাটশহর এলাকার একটি পুরাতন কবরে নুরুরন্নবীর মরদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় নিহতের বাবা পরের দিন বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করলে সাক্ষপ্রমাণ শেষে আদালত আজ এ রায় দেন।
বাইডেনের ‘জেনোফোবিক’ মন্তব্যে জাপান-ভারতের প্রতিবাদ 
জিম্মি চুক্তিতে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা যেকোনো সময়
যে কারণে মক্কায় প্রবেশে সৌদির বাসিন্দাদের অনুমতি লাগবে
ইন্দোনেশিয়ার মধ্যাঞ্চলে বন্যায় ১৫ জনের মৃত্যু
ইন্দোনেশিয়ার মধ্যাঞ্চলে বন্যায় ১৫ জনের মৃত্যু
পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলো ভারত
পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলো ভারত
যে কারণে ইসরায়েলকে আইসিসির সতর্কবার্তা
যে কারণে ইসরায়েলকে আইসিসির সতর্কবার্তা
ব্রাজিলে প্রবল বর্ষণে নিহত ৩৯, নিখোঁজ ৭০
ব্রাজিলে প্রবল বর্ষণে নিহত ৩৯, নিখোঁজ ৭০
তাসকিনের আঘাতে উড়ন্ত সূচনা টাইগারদের
অবসর ভাঙা ও বাবরের সঙ্গে বিরোধ নিয়ে মুখ খুললেন ইমাদ
টসে জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টি জিতে বিশ্বকাপ প্রস্তুতি শুরু করেছে টাইগাররা। দ্বিতীয় ম্যাচেও সেই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে চাই বাংলাদেশ। রোববার (৩ মে) ঘরের মাঠে সিরিজের দ্বিতীয় টিহো টি-টোয়েন্টিটিতে টসে জিতে জিম্বাবুয়েকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন টাইগার দলপতি নাজমুল হোসেন শান্ত।  এই ম্যাচে বাংলাদেশ অপরিবর্তিত একাদশ নিয়ে মাঠে নামলেও, জিম্বাবুয়ে একাদশে তিনটি বদল এনেছে। বাংলাদেশ একাদশ : নাজমুল হোসেন (অধিনায়ক), লিটন দাস, তানজিদ হাসান, তাওহীদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ, জাকের আলী, মাহেদী হাসান, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। জিম্বাবুয়ে একাদশ : সিকান্দার রাজা (অধিনায়ক), ক্রেগ আরভিন, জয়লর্ড গাম্বি, ব্রায়ান বেনেট, আইস্লে এনডলোভু, ক্লাইভ মানদান্দে (উইকেটকিপার), লুক জঙ্গি, তাদিওয়ানসি মারুমানি, জনাথন ক্যামফেল, ব্লেসিং মুজারাবানি, রিচার্ড এনগারাভা।
শিরোপার দিকে ছুটছে ম্যানসিটি
শিরোপার দিকে ছুটছে ম্যানসিটি
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কঠিন গ্রুপে বাংলাদেশ
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কঠিন গ্রুপে বাংলাদেশ
একনজরে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সূচি
একনজরে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সূচি
২০২৪ নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সূচি ঘোষণা
২০২৪ নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সূচি ঘোষণা
৭ ম্যাচে তৃতীয় হ্যাটট্রিক রোনালদোর
৭ ম্যাচে তৃতীয় হ্যাটট্রিক রোনালদোর
নীল রঙের লবণ খেলে কী হয় জানেন
লবণ রান্নার জন্য খুবই দরকারি। লবণ ছাড়া খাবার স্বাদহীন। সাধারণভাবে আমরা সাদা রঙের লবণ দেখে এবং খেয়ে অভ্যস্ত। সাদা লবণই বাড়িতে আনা হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আয়োডাইজড এই লবণই রান্নায় পড়ে। কিন্তু এর বাইরেও রয়েছে লবণ।  যেমন অনেক বাড়িতে সৈন্ধব লবণ এবং বিটনুন খাওয়া হয়। এগুলো গোলাপি লবণ হিসাবেও পরিচিত। কিন্তু যেটা খুব কম মানুষই জানেন, সেটা হলো নীল লবণ। অনেকেতো অবাকও হতে পারেন এটা শুনে যে লবণ নীল রঙেরও হয়।  নীল রঙের লবণ খেলে শরীরে কেমন প্রভাব পড়বে জেনে নিন- নীল রঙের লবণ আসলে রয়েছে। আর তার কদরও সীমাহীন। নামকরা রাঁধুনিদের কাছে নীল লবণ মানে শুধুই লবণ নয়, একটা আভিজাত্য। এবং সমাজের এক শ্রেণীর মানুষের কাছেও তাই। কিন্তু জানেন কি এই লবণ কোথায় পাওয়া যায় এবং এই লবণের বিশেষত্ব? নীল লবণ ভারতে পাওয়া যায় না। তবে এশিয়ারই একটি দেশে পাওয়া যায়। এটি হলো ইরান। এই দেশে এই বিশেষ লবণ পাওয়া যায়। নীল লবণের পোশাকি নাম পারসিয়ান সল্ট। প্রায় ২ হাজার বছর আগে ইরানে এই লবণ আবিষ্কার হয়। তার ব্যবহারও শুরু হয়। তারপর থেকে এই লবণ খনি থেকে তোলা চলছে। খনিতে জমাট বাঁধা এই লবণ তুলে এনে রোদে শুকিয়ে নিয়ে তার পরে এই নীল লবণ তৈরি হয়। এই লবণ নীল রঙের দেখতে হয়, তার কারণ এতে থাকে প্রচুর পরিমাণে খনিজ পদার্থ। এই লবণে ভরা থাকে ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম এবং পটাশিয়াম। এ লবণ দেখতেও খুব সুন্দর বলে মনে করেন অনেকে। ফলে তা খাবার টেবিলে অন্য একটা মাত্রা যোগ করতে পারে। সেই সঙ্গে এর খাদ্যগুণও অনেক। খেতে অবশ্য সাধারণ লবণের মত নয়, একটু অন্যরকম। খেলে খনিজের স্বাদ স্পষ্ট। তবে খেতে ভালো বলেই মত সকলের। জিভে গেলে একটা তাজা অনুভূতি দেয় এই লবণ। 
বজ্রপাত থেকে রক্ষা পাওয়ার ২০ উপায়
বজ্রপাত থেকে রক্ষা পাওয়ার ২০ উপায়
গরমে দই খেলে পাবেন যেসব উপকারিতা
গরমে দই খেলে পাবেন যেসব উপকারিতা
যেসব উপসর্গে বুঝবেন আপনার ক্যালসিয়ামের ঘাটতি রয়েছে
যেসব উপসর্গে বুঝবেন আপনার ক্যালসিয়ামের ঘাটতি রয়েছে
অনলাইন জরিপ
সারাদেশে গাছ কাটা বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে রিট
মানবপাচার মামলায় ৪ দিনের রিমান্ডে মিল্টন সমাদ্দার
মানবপাচার মামলায় ৪ দিনের রিমান্ডে মিল্টন সমাদ্দার
তাপপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণে নতুন পলিসি নির্ধারণে রিট
তাপপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণে নতুন পলিসি নির্ধারণে রিট
মোহাম্মদ আলীর সম্মানে বন্ধ থাকবে সুপ্রিম কোর্টের বিচারকাজ
মোহাম্মদ আলীর সম্মানে বন্ধ থাকবে সুপ্রিম কোর্টের বিচারকাজ
রোববার থেকে আপিল বিভাগে বিচারকাজ চলবে দুই বেঞ্চে 
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে বিচারকাজ পরিচালনার জন্য আরেকটি নতুন বেঞ্চ গঠন করা হয়েছে। শনিবার (৪ মে) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান এ বেঞ্চ গঠন করেন। রোববার (৫ মে) থেকে আপিল বিভাগে দুই বেঞ্চে বিচারকাজ চলবে। ইতোমধ্যে সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে আপিল বিভাগের দুটি বেঞ্চে রোববারের কার্যতালিকা (কজলিস্ট) প্রকাশ করা হয়েছে। জানা গেছে, এক নম্বর বেঞ্চের নেতৃত্বে রয়েছেন প্রধান বিচারপতি নিজে। এ বেঞ্চের অন্য সদস্যরা হলেন বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম, বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি কাশেফা হোসেন। আর নতুন গঠিত বেঞ্চের নেতৃত্বে থাকবেন আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি এম. এনায়েতুর রহিম। এ বেঞ্চের অপর সদস্যরা হলেন বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী, বিচারপতি মুহাম্মদ আবদুল হাফিজ ও বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলাম। প্রসঙ্গত, বিচারক সংকটের কারণে দীর্ঘদিন ধরে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে আপিল বিভাগের একটি বেঞ্চে বিচারকাজ চলছিল। গত ২৪ এপ্রিল আপিল বিভাগে তিনজন বিচারপতি নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি। বর্তমানে প্রধান বিচারপতিসহ ৮ জন বিচারক রয়েছেন আপিল বিভাগে। এরপর নতুন আরেকটি বেঞ্চ গঠনের ঘোষণা দেন প্রধান বিচারপতি।
রোববার থেকে আপিল বিভাগে বিচারকাজ চলবে দুই বেঞ্চে 
ঢাবির প্রশ্নপত্র ফাঁস: ৮৭ শিক্ষার্থীসহ সব আসামি খালাস
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের মামলায় এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৭ শিক্ষার্থীসহ ১২৫ জন আসামি খালাস পেয়েছেন। ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াত সম্প্রতি এ রায় দেন। সাড়ে ছয় বছর আগে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) আইনে মামলাটি করা হয়েছিল।  খালাস পাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে অন্তত ২১ জন ছাত্রলীগের সাবেক নেতাকর্মী। আছেন আটজন চাকরিজীবী-ব্যবসায়ী। বিসিএস নন-ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছিলেন এমন এক ব্যক্তিও রয়েছেন।  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে ২০১৭ সালের ২০ অক্টোবর রাজধানীর শাহবাগ থানায় একটি মামলা করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। মামলায় দুটি আইনে (আইসিটি ও পাবলিক পরীক্ষা) অপরাধের অভিযোগ আনা হয়। মামলাটি তদন্ত করে ২০১৯ সালের ২৪ জুন ১২৫ জনের বিরুদ্ধে পৃথক আইনে দুটি অভিযোগপত্র দেয় সিআইডি। আইসিটি আইনের মামলায় ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে অভিযোগ গঠন করা হয়।  চার্জ গঠনের পর আদালতে সাক্ষীদের হাজির করতে সমন, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ও অজামিনযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। তবে রাষ্ট্রপক্ষ মাত্র একজন সাক্ষীকে আদালতে হাজির করে। একমাত্র যে সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন, তিনিও অভিযোগ সমর্থন করে কোনো সাক্ষ্য দেননি। আইসিটি আইনের যেসব ধারায় (৫৭ ও ৬৩) অপরাধের অভিযোগ মামলায় আনা হয়, তা বিচারে প্রতিষ্ঠিত হয়নি। তাই আসামিদের বেকসুর খালাস দেওয়া হয়। রায়ে আদালত বলেছেন, একই অপরাধের অভিযোগে মামলায় পৃথক অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এক অপরাধের জন্য কোনো ব্যক্তিকে একাধিকবার ফৌজদারি মামলায় বিচারের মুখোমুখি ও দণ্ডিত করা যায় না। গণমাধ্যমকর্মীদের দেওয়া তথ্যের সূত্র ধরে ২০১৭ সালের ১৯ অক্টোবর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ হল থেকে তৎকালীন ছাত্রলীগ নেতা মহিউদ্দিন রানা ও অমর একুশে হল থেকে আবদুল্লাহ আল মামুনকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি। দুজনের তথ্যের ভিত্তিতে পরদিন ২০ অক্টোবর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার হল থেকে ইশরাক হোসেন নামের এক পরীক্ষার্থীকে আটক করা হয়। একই দিন সিআইডি মামলা করে। মামলার আসামিদের মধ্যে ৪৬ জন ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছিলেন। রায়ের তথ্য বলছে, মামলার অভিযোগ, ইলেকট্রনিক বিন্যাসে আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ২০১৫, ২০১৬ ও ২০১৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষাসহ বিভিন্ন ব্যাংক ও সরকারি সংস্থার নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করেন। এ অভিযোগে আসামিদের বিরুদ্ধে আইসিটি আইনের ৫৭ ও ৬৩ ধারায় ২০২২ সালের ১ সেপ্টেম্বর অভিযোগ গঠন করা হয়। অভিযোগ গঠনের দীর্ঘদিন পর ২০২৩ সালের ১১ মে এক সাক্ষীকে আদালতে হাজির করে রাষ্ট্রপক্ষ। বাকি সাক্ষী হাজির না করার তথ্য উল্লেখ করে আসামিপক্ষ আদালতে আবেদন করে বলে, একই ঘটনায় আসামিদের বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা চলমান। এ কারণে আইসিটি আইনের মামলা থেকে আসামিদের অব্যাহতি দেওয়া হোক। রায়ে আদালত বলেছেন, আইসিটি আইনের ৫৭ ধারা অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে ওয়েবসাইট বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক বিন্যাসে মিথ্যা বা অশ্লীল কিছু প্রকাশ বা সম্প্রচার করলে এবং প্রকাশিত বা সম্প্রচারিত আধেয় (কনটেন্ট) কেউ পড়লে বা দেখলে বা শুনলে নীতিভ্রষ্ট বা আইনশৃঙ্খলার অবনতি হওয়ার আশঙ্কা থাকলে তা অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। প্রসিকিউশন মামলাকে শতভাগ সত্য বলে ধরে নিলেও এখানে আইসিটি আইনের ৫৭ ধারার অপরাধের উপাদান নেই। এ ধারায় অপরাধের ক্ষেত্রে তর্কিত কনটেন্ট সর্বসাধারণের জন্য কোনো ওয়েবসাইট বা ইলেকট্রনিক বিন্যাসে প্রচার বা প্রকাশ করতে হবে। ফাঁস করা প্রশ্নপত্র সর্বসাধারণের জন্য ওয়েবসাইট বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক বিন্যাসে প্রচার করার কোনো অভিযোগ মামলায় আনা হয়নি। রায়ে বিচারক বলেন, আইসিটি আইনের ৬৩ ধারার মূল বক্তব্য হলো, কোনো ব্যক্তি যদি এই আইন বা আইনের বিধি বা প্রবিধানের কোনো ইলেকট্রনিক রেকর্ড, বই, রেজিস্ট্রার, তথ্য, দলিল বা অন্য কোনো বিষয়ে প্রবেশাধিকারপ্রাপ্ত হয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তির সম্মতি ছাড়া কোনো বিষয়বস্তু অন্য কোনো ব্যক্তির নিকট প্রচার বা প্রকাশ করেন, তাহলে তা অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। তবে মহিউদ্দিন, মামুনসহ অন্য আসামিদের এ ধরনের কোনো অপরাধ করার সাক্ষ্য-প্রমাণ দেখা যায় না।
ঢাবির প্রশ্নপত্র ফাঁস: ৮৭ শিক্ষার্থীসহ সব আসামি খালাস
কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে বিচারককে যা বললেন মিল্টন সমাদ্দার
চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দার বলেছেন, ডাক্তার পরিচয়ে আমি কোনোদিন কাগজে স্বাক্ষর করিনি। আমাকে একটা সুযোগ দিন যাতে করে চিকিৎসক নিয়োগ দিয়ে আশ্রমটি ভালোভাবে চালাতে পারি। বৃহস্পতিবার (২ মে) শুনানি চলাকালে বিচারকের জেরার মুখে তিনি এ কথা বলেন। ডেথ সার্টিফিকেটের বিষয়ে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের প্রশ্নের জবাবে মিল্টন জানান, যেহেতু তাদের নাম-ঠিকানা পাওয়া যায় না তাই মৃতদের কবরস্থ করার জন্য সার্টিফিকেট ইস্যু করা হয়। এর বাইরে অন্য কোনো উদ্দেশ্য নেই। কোনোটাতেই তার স্বাক্ষর নেই। কর্মকর্তা-কর্মচারীরা স্বাক্ষর করে থাকেন। সার্টিফিকেটে কী লেখা থাকে? -এ প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, কী কারণে লোকটি মারা গেছে সেটাই লেখা থাকে। মৃত্যুর এই কারণ কীভাবে পান এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, আমাদের একজন ডাক্তার আছেন। তিনি যখন তাদের দেখে যান কার কী সমস্যা সেটা উল্লেখ করা থাকে। সার্টিফিকেটও লেখা হয় তার কী কী রোগ ছিল সেটার ওপর ভিত্তি করে। চিকিৎসার জন্য আশ্রমে কী কী ব্যবস্থা আছে বিচারক জানতে চাইলে মিল্টন জানান, চিকিৎসার জন্য আলাদা কোনো ব্যবস্থা নেই।  মিল্টনের আইনজীবীর দাখিল করা ছবির বিষয়ে বিচারক বলেন, এই মানুষগুলোকে সেখানে (আশ্রম) নিয়ে গেলেই ভালো হয়ে যায় কি না। জবাবে তিনি বলেন, একজন ডাক্তার প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ করে থাকেন। মিল্টন সমাদ্দার বলেন, এ পর্যন্ত আশ্রমে ১৩৫ জন মারা গেছেন। তাদেরকে কবরস্থ করার রশিদও আছে। মৃতদের কবরস্থ করার বিষয়ে একাধিক মন্ত্রণালয়ে ও প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও কোনো সহযোগিতা পাননি। এ বিষয়ে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা থাকলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো উদ্যোগ গ্রহণ না করায় আশ্রমের নিজস্ব অর্থায়নে মৃতদের কবরস্থ করা হয়। তিনি বলেন, ২৫৬ জন অসহায় বর্তমানে আশ্রমটিতে আছেন। তাদের সবাই বেওয়ারিশ, এর মধ্যে ৬ জন গর্ভবতী নারীও রয়েছে। তাদেরকে দেখভাল করার জন্য একজন ডাক্তার রয়েছেন। গর্ভবতীদের পাশের একটি বেসরকারি হাসপাতালে আশ্রমের নিজস্ব অর্থায়নে সিজার করানো হয়। আশ্রমটিতে বেওয়ারিশ ছাড়া অন্য কারও থাকার সুযোগও নেই। আশ্রমের আয়-ব্যয়ের বিষয়ে মিল্টন জানান, অডিট ফার্ম ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে অডিট করা হয়। ২০১৭ সাল থেকে আয়-ব্যয়ের হিসাব সংরক্ষণ করা আছে। তিনি জানান, আমি ২০১৪ সালে চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার আশ্রমের কার্যক্রম শুরু করি। ২০১৫ সালে সমাজসেবা অধিদপ্তরে লাইসেন্সের জন্য আবেদন করে ২০১৮ সালে আশ্রমের কার্যক্রম পরিচালনার লাইসেন্স পাই। এরপর আশ্রমটিকে কেন্দ্র করে মোট ২টি লাইসেন্স করি। এর মধ্যে একটি ফাউন্ডেশনের আরেকটি সমাজকল্যাণের লাইসেন্স। সমাজকল্যাণের লাইসেন্সে হতদরিদ্রদের আশ্রয়, সেবা দেওয়া ও চিকিৎসার বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত। এদিন জাল মৃত্যু সনদ তৈরির অভিযোগে মামলায় চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। জাল মৃত্যু সনদ তৈরি, আশ্রমের টর্চার সেলে মারধর ও মানবপাচারে অভিযোগে তার বিরুদ্ধে তিনিটি মামলা হয়েছে। এর আগে, বুধবার (১ মে) রাতে রাজধানীর মিরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। প্রসঙ্গত, মিল্টন সমাদ্দারের বিভিন্ন অপকর্ম নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাকে নিয়ে শুরু হয় সমালোচনার ঝড়। মুখ খুলতে থাকেন ভুক্তভোগীরাও। কয়েকটি গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সব অভিযোগ অস্বীকার করেন মিল্টন সমাদ্দার।  
কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে বিচারককে যা বললেন মিল্টন সমাদ্দার
কোর্টের সব এজলাস কক্ষে এসি স্থাপনে আইনি নোটিশ
তীব্র গরমে পুড়ছে দেশ। বাতাসে যেন আগুনের ফুলকি। গ্রীষ্মের শুরুতেই এমন তীব্র গরমে বিপর্যস্ত জনজীবন। এ অবস্থায় ঢাকা জজ কোর্টের সব এজলাস কক্ষে এসি স্থাপন করতে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। সংবিধানের মৌলিক অধিকার ৩২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ঢাকা জজ কোর্টের আইনজীবী ও বিচারকদের জীবনের সুরক্ষায় বৃহস্পতিবার (২ মে) আইনজীবী মো. মাহমুদুল হাসান এ নোটিশটি পাঠান। নোটিশের অনুলিপি গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব, আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব ও ঢাকার জেলা প্রশাসককে পাঠানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, বর্তমানে বাংলাদেশে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ চলছে। ঢাকা শহরের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস অতিক্রম করছে। বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণে মানুষের শরীরও গরম হয়ে যায়। এর ফলে রক্তনালি খুলে যায়। এর জের ধরে রক্তচাপ কমে যায়, যে কারণে শরীরে রক্ত সঞ্চালন করা হৃদপিণ্ডের জন্য কঠিন হয়ে পড়ে। এসব কারণে মৃদু কিছু উপসর্গ দেখা দিতে পারে। যার মধ্যে রয়েছে ত্বকে ফুসকুড়ি পড়া, চুলকানি এবং পা ফুলে যাওয়া, যা রক্তনালি উন্মুক্ত হয়ে যাওয়ার কারণে হয়। এ ছাড়া প্রচুর ঘাম হওয়ার কারণে শরীরে তরল পদার্থ ও লবণের পরিমাণ কমে যায়। গুরুতর ক্ষেত্রে দেহে এ দুইটি জিনিসের মধ্যে যে ভারসাম্য আছে, তাতেও পরিবর্তন ঘটে। এসব কিছু একসঙ্গে মিলিয়ে গরমে শরীর পরিশ্রান্ত হয়ে যেতে পারে। এর লক্ষণগুলো হচ্ছে, মাথা চক্কর দেওয়া, বমি বমি ভাব, নিস্তেজ হয়ে পড়া, মূর্ছা যাওয়া, কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়া, পেশি সংকুচিত হওয়া, মাথাব্যথা, প্রচণ্ড ঘাম হওয়া ও ক্লান্তি। আর রক্তচাপ খুব বেশি কমে গেলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে। এসব কারণে ‘সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন’ (সিডিসি) মানুষকে বিভিন্ন গাইডলাইন দেওয়ার পাশাপাশি যথাসম্ভব শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।’ নোটিশে আরও বলা হয়, বর্তমানে এই তীব্র তাপপ্রবাহে ঢাকা জজ কোর্টের আইনজীবী ও বিচারকরা চরম স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছেন। ঢাকা জজ কোর্টের কক্ষগুলোর আয়তন খুবই ছোট। বিপুল সংখ্যক বিচারপ্রার্থীর ভিড়ে কোর্টের অধিকাংশ এজলাস কক্ষ গিজগিজ করে। একদিকে তীব্র তাপপ্রবাহ, অপরদিকে ছোট আয়তনের এজলাস কক্ষ্যে বিপুল সংখ্যক বিচার প্রার্থী। সবমিলিয়ে আইনজীবী ও বিচারকরা অত্যন্ত কষ্টে তাদের আইনি দায়িত্ব পালন করেন। এমতাবস্থায় এই তীব্র তাপপ্রবাহে ঢাকা জজকোর্টের আইনজীবী ও বিচারকদের জীবন চরম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এজন্য ঢাকা জজ কোর্টের সব এজলাস কক্ষে এসি স্থাপন করা অত্যাবশ্যক। নোটিশ পাওয়ার তিন কার্যদিবসের মধ্যে ঢাকা জজ কোর্টের সকল আদালতে এসি লাগানোর ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হয়েছে। অন্যথায় এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টে রিট মামলা দায়ের করা হবে বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়।  
কোর্টের সব এজলাস কক্ষে এসি স্থাপনে আইনি নোটিশ

নামাজের ওয়াক্ত শুরু

তারিখ : ০৫ মে, ২০২৪
অনলাইন সংস্করণ
শনি
রোব
সোম
মঙ্গল
বুধ
বৃহ
শুক্র
ট্রান্সজেন্ডার অধ্যায় বাদসহ যা চায় হেফাজতে ইসলাম
ট্রান্সজেন্ডারসহ বেশ কিছু আলোচিত বিষয় নিয়ে হেফাজত ফের দৃশ্যমান। তারা কোরআনবিরোধী বিবর্তনবাদসহ পাঠ্যপুস্তকে বিতর্কিত ও  ইসলামবিরোধী সকল পাঠ্য রচনা সিলেবাস থেকে অপসারণ চাইছে। পাশাপাশি শিক্ষাব্যবস্থা সংস্কারের জন্য সাত দফা দাবি জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। রোববার (৫ মে) হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ কর্তৃক আয়োজিত বর্তমান জাতীয় শিক্ষা কারিকুলাম ও নতুন পাঠ্যপুস্তকের বাস্তবতা ও ভবিষ্যৎ শীর্ষক জাতীয় শিক্ষা সেমিনারের সাত দফা দাবির এ ঘোষণা দেয় দলটি। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- ইসলামী শিক্ষা বিষয় প্রাক-প্রাথমিক থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত সব শাখায় আবশ্যিক বিষয় হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা। দশম, একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির সামষ্টিক মূল্যায়ন তথা বোর্ড পরীক্ষায় ইসলামী শিক্ষা বিষয় পুনর্বহাল করা। বিতর্কিত ও প্রত্যাখ্যাত কোরআন বিরোধী বিবর্তনবাদ ও ট্রান্সজেন্ডারবাদসহ ইসলামবিরোধী সব পাঠ্যরচনা সিলেবাস থেকে অপসারণ করা। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে (এনসিটিবি) ঘাপটি মেরে থাকা ষড়যন্ত্রকারী ও তাদের সহযোগীদের চিহ্নিতকরণ পূর্বক অপসারণ করে দেশপ্রেমিক ও ইসলামী মূল্যবোধসম্পন্ন ব্যক্তিদের দায়িত্ব প্রদান করা। ভবিষ্যতে বিতর্ক এড়াতে দেশের নির্ভরযোগ্য বিজ্ঞ আলেমদের পরামর্শের আলোকে পাঠ্যবইয়ের পুনঃসংস্করণ করা। আরব দেশগুলোর শ্রমবাজারে প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকার জন্য আরবি ভাষার পাঠদান সর্বস্তরে বাধ্যতামূলক করা। তাদের মতে, ভারতের হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকেরাও এ উদ্দেশ্যে আরবি ভাষা শিখে এগিয়ে রয়েছে। ২০১৩ থেকে অদ্যাবধি হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করা।
আইএসও সনদ পেল ২২ প্রতিষ্ঠান
আন্তর্জাতিক মানের ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করায় ২২টি প্রতিষ্ঠানকে ২৮টি আইএসও সনদ প্রদান করা হয়েছে। বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) পক্ষ থেকে রোববার (৫ মে) এসব প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের কাছে সনদ হস্তান্তর করা হয়।  সনদপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলো হলো লোভেন বায়োসায়েন্স বেভারেজ লিমিটেড, সেনা কল্যাণ ইলেকট্রনিক্স; জে. এইচ. এম আগারউড; নাভেদ ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস; আলমগীর কন্সট্রাকশন লিমিটেড; দি রানী রি-রোলিং মিলস লিমিটেড; ফুলকলি ব্রেড অ্যান্ড বিস্কুট ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড; বেসিক পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড; এবিএস ক্যাবলস; লাইফ মেড পলিমার টেকনোলজি লিমিটেড; এন মোহাম্মদ প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড; হার্বস ওয়ার্ল্ড লিমিটেড; এনেক্স লিমিটেড; এপেক্স মেটাল; নিতা কোম্পানি লিমিটেড, এবিসি কন্সট্রাকশন কেমিক্যাল লিমিটেড।  এছাড়া জে. এইচ. এম আগারউড, পিওরিয়া ফুড প্রোডাক্টস লিমিটেড; এবিএস ক্যাবলস, এন মোহাম্মদ প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের অনুকূলে পরিবেশ ব্যবস্থাপনার ওপর আইএসও ১৪০০১:২০১৫ সনদ প্রদান করা হয় এবং ভিটালেক ডেইরি অ্যান্ড ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ; নওরিশ ফুডস লিমিটেড, কেয়ার নিউট্রেশন লিমিটেড, প্রাইম পুষ্টি লিমিটেড; জাভেদ এগ্রো ফুড প্রসেসিং লিমিটেডের অনুকূলে খাদ্য ব্যবস্থাপনার ওপর আইএসও ২২০০০:২০১৮ সনদ প্রদান করা হয়। অকুপেশনাল হেলথ সেফটি ম্যানেজমেন্টের অনুকূলে জে. এইচ. এম আগারউডকে আইএসও ৪৫০০১:২০১৮ প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে বিএসটিআই’র মহাপরিচালক এসএম ফেরদৌস আলম বলেন, বিএসটিআই থেকে আপনাদের আইএসও সনদ গ্রহণ প্রমাণ করে পণ্য মান এবং ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে আমরা আরও উন্নতির দিকে যাচ্ছি। দেশে যত বেশি ভালো প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠবে দেশ তত বেশি উন্নত হবে। অনুষ্ঠানে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এফবিসিসিআই) প্রথম সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালীসহ আইএসও সনদপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি ও বিএসটিআই’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এসএসসি পাসেই ইসলামী ব্যাংকে নিয়োগ
স্কয়ার গ্রুপে নিয়োগ, আবেদন অনলাইনে
প্রাণ গ্রুপে চাকরি, লাগবে কম্পিউটারে দক্ষতা
স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অধীনে বিশাল নিয়োগ, এইচএসসি পাসেও আবেদন 
কালবৈশাখী নিয়ে আবহাওয়ার সতর্কবার্তা
রাতেই যেসব জেলায় প্রবল বেগে ঝড়ের আভাস
ড. জেকিল ও মি. হাইড চরিত্রে অভিনয়, অতঃপর প্রধানমন্ত্রীর ধমক 
গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ফল প্রকাশ
মিল্টন সমাদ্দারের স্ত্রী ডিবি কার্যালয়ে
এপ্রিলে ১৯৩ নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের শিকার
ভিক্ষাবৃত্তির জন্য শিশু নোমানের আঙুল পুড়িয়ে দেওয়া হয়
মিল্টনকে রিমান্ডে নিয়ে সব অপকর্ম বের করা হবে: ডিবিপ্রধান
মোবাইল ডাটা দ্রুত শেষ না হওয়ার উপায়
আইফোনের বিক্রি কমেছে বিশ্বজুড়ে
হোয়াটসঅ্যাপের নতুন ফিচার, নিয়ম না মানলেই অ্যাকাউন্ট ব্যান
গ্রামীণফোন গ্রাহকদের জন্য সুখবর
X
Fresh