• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
মহাখালী টার্মিনালে বাস সংকটে ম্লান বাড়ি ফেরার খুশি
বাস সংকটের কারণে রাজধানীর মহাখালী বাস টার্মিনালে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন ঈদে ঘরমুখো যাত্রীরা। টিকিট কেটেও ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে বাসের অপেক্ষায়। যথাসময়ে টার্মিনালে ঢুকছে না দূরপাল্লার কোনো বাসই। ঈদে বাড়ি ফেরার আনন্দ মিইয়ে যাত্রীদের চোখে-মুখে বিরক্তির ছাপ স্পষ্ট।     মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে মহাখালী বাস টার্মিনালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঈদে বাড়ি ফেরার উদ্দেশে অসংখ্য মানুষ জড়ো হয়েছেন টার্মিনালে। কিন্তু বাস কম থাকায় ভোগান্তির মুখে পড়েছেন তারা।  পরিবহন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, যে গাড়িগুলো ঢাকা ছেড়ে গিয়েছিল মহাসড়কে যানজটের কারণে সেগুলো যথাসময়ে ফিরতে পারছে না। তাই বাস সংকট দেখা দিয়েছে। অনন্যা পরিবহনের কাউন্টার ম্যানেজার সেলিম আহমেদ বলেন, রাতে যে বাসগুলো ছেড়ে গিয়েছিল, সেগুলো জ্যামের কারণে যথাসময়ে ফেরত আসতে পারছে না। তাই বাসের সংকট দেখা দিয়েছে। এছাড়া আজ যাত্রীর চাপও অনেক। তাই বাস ছাড়তে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে।  এ সময় কথা হয় তুহিন নামে অপেক্ষারত এক যাত্রী সঙ্গে। তিনি বলেন, নির্ঝঞ্জাট বাড়ি ফেরার জন্য সকাল সকাল কাউন্টারে এসে টিকিট কেটেছি। কিন্তু এখন দেখছি বাসই নেই। কাউন্টার থেকে বলছে বাস আসতে সময় লাগবে। এভাবে আর কতক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে কে জানে। রেজা নামে আরেক যাত্রী বলেন, সকালে এসে টিকিট কেটেছি কিন্তু বাসের দেখা পাচ্ছি না। কখন বাস ছাড়বে, কখন বাড়ি ফিরব, কিছুই জানি না।  
০৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:১৩

দেশে জ্বালানি ও ডলার সংকটে ব্যবসায়ীরা চাচ্ছে এক্সিট
সুদহার বাড়ছে, ডলার রেটও বাড়ছে। রপ্তানি পণ্যের দর পাচ্ছি না। অপরদিকে চলমান গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংকট। এতে বহু কারখানা বন্ধ হয়ে যাবে। এ জন্য ব্যবসায়ীরা সেফ এক্সিট পলিসি চাইছে সরকারের কাছে। আক্ষেপ করে তারা বলেন, দিনশেষে আমরা ডলার দেশে আনার ব্যবস্থা করি। কিন্তু আমরা যদি এত প্রতিবন্ধকতার জন্য ব্যবসা করতে না পারি, তাহলে সরকারের ডলার আসবে কোত্থেকে? ব্যাংকগুলোর জন্য সরকার সহজ এক্সিট পলিসি করেছে দাবি করে ব্যবসায়ীরা বলেন, কোনো ব্যাংক বন্ধ হয়ে গেলে গ্রাহক সর্বোচ্চ মাত্র ১ লাখ টাকা পাবে। এর বেশি পাবে না। অথচ শিল্পোদ্যোক্তাদের জন্য কোনো সহজ এক্সিট পলিসি নেই। অর্থমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করে তারা বলেন, আপনি আমাদের গ্যাস দেন। গ্যাস-বিদ্যুৎ দিয়ে আমাদের কারখানা চালানোর ব্যবস্থা করেন। এলপিজি দিয়ে এই কারখানা চালানো আর সম্ভব নয়। রেভিনিউ যা চান, আমরা দিতে রাজি আছি। ব্যাংকগুলো ব্যাংকিং ব্যবসা না করে ডলার ব্যবসায় নেমেছে বলে অভিযোগ করে শিল্পোদ্যোক্তারা। বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) রাজধানীর একটি হোটেলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) পরামর্শক কমিটির সভায় এসব সমস্যার কথা তুলে ধরেন শিল্পোদ্যোক্তারা। ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) এবং এনবিআরের যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত এ সভায় এমন নানা সংকটের সমাধান চাওয়া হয়। এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনীমের সভাপতিত্বে সভায় অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী উপস্থিত ছিলেন। সভার শুরুতে বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন বলেন, ডলার সংকট, গ্যাস-বিদ্যুতের সংকটের কারণে ব্যবসা এখন নিভু নিভু হয়ে জ্বলছে। ইন্ডাস্ট্রি বন্ধ হয়ে গেলে আমাদের ব্যবসায়ীদের জন্য এক্সিট পলিসি দিন। দিনশেষে আমরা ডলার দেশে আনার ব্যবস্থা করি। কিন্তু আমরা যদি এত প্রতিবন্ধকতার জন্য ব্যবসা করতে না পারি, তাহলে সরকারের ডলার আসবে কোত্থেকে? সভায় উপস্থিত বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম রপ্তানি খাতের সংকট তুলে ধরে বলেন, সুদহার বাড়ছে, ডলার রেট বাড়ছে। ব্যাংক আমাদের সাথে ব্যবসা না করে ডলার ব্যবসায় নেমেছে। রপ্তানি পণ্যের দর পাচ্ছি না। উৎপাদন খরচের চেয়ে কম দরে অর্ডার নিতে হচ্ছে। এমন অবস্থায় এবার বহু কারখানা বন্ধ হয়ে যাবে। আমাদের যেসব কারখানা বন্ধ হয়ে যাবে, আমাদের জন্য সেফ এক্সিট পলিসি দরকার। ব্যাংকগুলোর জন্য সরকার সহজ এক্সিট পলিসি করেছে দাবি করে তিনি বলেন, কোনো ব্যাংক বন্ধ হয়ে গেলে গ্রাহক সর্বোচ্চ মাত্র ১ লাখ টাকা পাবে। অথচ শিল্পোদ্যোক্তাদের জন্য কোনো সহজ এক্সিট পলিসি নেই। ইস্পাত শিল্পের ব্যবসায়ী মাসুদুল আলম মাসুদ বলেন, ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় এ খাতের উৎপাদন খরচ বেড়েছে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত। গ্যাসের দাম বেড়েছে দফায় দফায়। গ্যাসের দাম এভাবে বাড়তে থাকলে দেশে বিনিয়োগ আসবে না বলে হুঁশিয়ার করেন সরকারকে। দেশের সব শিল্পই গ্যাস ও বিদ্যুতের জন্য ভোগান্তি পোহাচ্ছে। গ্যাস ও বিদ্যুতের জন্য সবার খরচ অনেক বেড়ে যাচ্ছে দাবি করে উত্তরা মোটর্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বাংলাদেশ মোটরসাইকেল অ্যাসেম্বলার্স অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মতিউর রহমান অর্থমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করে বলেন, আপনি আমাদের গ্যাস দেন। রেভিনিউ যা চান, আমরা দিতে রাজি আছি। গ্যাস-বিদ্যুৎ দিয়ে আমাদের কারখানা চালানোর ব্যবস্থা করেন। এলপিজি দিয়ে এই কারখানা চালানো আর সম্ভব নয়। এ সময় কর ব্যবস্থায় হয়রানি ও জটিলতা দূর করে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবি করেন এফবিসিসিআই সভাপতি মো. মাহবুবুল আলম। তিনি বলেন, এ জন্য আগামী বাজেটে বিশেষ অগ্রাধিকার দিতে হবে। একই সঙ্গে বিশেষত ব্যবসার খরচ কমিয়ে আনতে বিনিয়োগ সুরক্ষা, বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি, সুষম বিনিয়োগসহায়ক মুদ্রা ও শুল্ক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা, শিপিং খরচসহ সব ধরনের পরিবহন খরচ কমানো, বিদ্যুৎ ও জ্বালানিসহ প্রতি ক্ষেত্রে স্থায়ী পরিকাঠামো উন্নয়ন, স্বচ্ছতা ও সুশাসন নিশ্চিত করার দাবি জানান তিনি। অপরদিকে বাংলাদেশের কর ব্যবস্থা বিনিয়োগ ও ব্যবসার পরিপন্থী উল্লেখ করে বিকেএমইএর মোহাম্মদ হাতেম বলেন, অস্বাভাবিকভাবে জরিমানা আদায় করা হচ্ছে, যা এখন অসহনীয় হয়ে গেছে। এর মূল কারণ কর্মকর্তাদের প্রণোদনা। এর কারণে তারা অন্যায়ভাবে রপ্তানি আটকে রেখে জরিমানা আদায় করছেন। সবাইকে আশ্বস্ত করে অর্থমন্ত্রী ব্যবসায়ীদের বলেন, সবার সুচিন্তিত মতামত বিবেচনা করা হবে। প্রধানমন্ত্রী সবার ন্যায্য পাওনা নিশ্চিত করতে চান।
০৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:১০

সীমান্তে হতাহতের ঘটনা প্রমাণ করে সার্বভৌমত্ব চরম সংকটে : ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে সীমান্তে দুই জনের হতাহতের ঘটনা প্রমাণ করে বাংলাদেশের নাগরিকদের কোনো নিরাপত্তা নেই এবং স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব এখন চরম সংকটে। বুধবার (২৭ মার্চ) এক বিবৃতিতে সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশি হতাহতের ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি এ কথা বলেন। মির্জা ফখরুল বলেন, মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের দিনেও নওগাঁর পোরশা উপজেলার সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে আল আমিন নামে এক বাংলাদেশিকে হত্যা এবং লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার দুর্গাপুর সীমান্তে গুলি করার পর লিটন মিয়া নামে (১৯) এক বাংলাদেশি যুবককে তুলে নিয়ে গেছে বিএসএফ। এ ঘটনায় আবারও প্রমাণিত হয়েছে বাংলাদেশের নাগরিকদের কোনো নিরাপত্তা নেই এবং স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব এখন চরম সংকটে। তিনি বলেন, মহান স্বাধীনতা দিবসের দিনে এ ধরনের প্রাণ বিনাশি রক্তাক্ত ঘটনা হৃদয় বিদারক ও আত্মমর্যাদাকে ক্ষুণ্ণ করে। সীমান্তে এক বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা ও আর একজনকে গুলি করে ধরে নিয়ে যাওয়ার পরও ডামি সরকার ও তাদের মন্ত্রীরা এখনও নিশ্চুপ। প্রতিবাদ বা কোনো পদক্ষেপ নেওয়া দূরে থাক টু শব্দটিও পর্যন্ত তারা করেনি বরং মন্ত্রীরা নির্বিকারভাবে এ সমস্ত রক্তাক্ত ঘটনা মেনে নিচ্ছে। বিএনপির মহাসচিব বলেন, ডামি সরকারের নতজানু নীতির কারণে বাংলাদেশি নাগরিকদের জীবন নিরাপত্তাহীন। ক্ষমতার জন্য এরা দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব দুর্বল করতেও দ্বিধা করে না। শুধু সীমান্তে পাখির মতো মানুষকে গুলি করে হত্যা নয়, বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঢুকে লুটপাট, হামলা, ভাঙচুর, এমনকি ধর্ষণের ঘটনা ঘটলেও কোনো প্রতিবাদ করে না শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার। তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতার ধরে রাখার জন্য দেশকে জিম্মি করে ফেলেছেন। তারা ক্ষমতা ধরে রাখতে সব কিছু উজাড় করে দিলেও দেশের মানুষ এক বিন্দু ছাড় দেবে না। তাই দলমত নির্বিশেষে সবাইকে সীমান্তে বাংলাদেশি হত্যার বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে। একমাত্র অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনে জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকারই দেশের মানুষের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত করতে পারে।  
২৭ মার্চ ২০২৪, ১৫:১৯

বাংলাদেশি শ্রমিক সংকটে দুশ্চিন্তায় মালয়েশিয়ার চাষিরা
অপ্রত্যাশিত বিদেশি শ্রমিক সংকটে আগামী কয়েক মাসে সবজি চাষ কমিয়ে আনার চিন্তা করছে মালয়েশিয়ার ক্যামেরুন হাইল্যান্ডের সবজি খামারিরা। শুক্রবার (১৫ মার্চ) ক্যামেরুন হাইল্যান্ড মালয় ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি দাতুক সৈয়দ আবদুল রহমানের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে মালয়েশিয়ার নিউ স্ট্রিট টাইমস। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরকারের বিদেশি শ্রমিকদের কোটা বাতিল করার পদক্ষেপ চলতি বছরের মে বা জুন থেকে দেশটির অর্থনীতিতে একটি বড় প্রভাব পড়বে। ক্যামেরুন হাইল্যান্ডসে প্রায় ৬০০০ জন ভাড়া করা বিদেশি শ্রমিক ছিল। এপ্রিল শুরুর আগেই বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়ার বেশির ভাগ শ্রমিক ঈদে তাদের নিজ নিজ দেশে ফিরে যাচ্ছে। যেসব শ্রমিক ১০ বছর খামারে কাজ করছেন তাদের অধিকাংশের ওয়ার্ক পারমিট আর রিনিউ হবে না। যাদের বৈধ পারমিট আছে তারা এখনও ১০ বছর কাজ করতে পারবেন কিন্তু ঈদের পরে মালয়েশিয়ায় না ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা, যা খুবই খুবই হতাশাজনক। এতে বলা হয়েছে, দেশটির পাইকারি বাজারের জন্য দৈনিক ১০০০ টন সবজি উৎপাদন করে ক্যামেরুন হাইল্যান্ড। কিন্তু শ্রমিকের ঘাটতি এ উৎপাদনকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করবে। খামারিরা বলেন, শ্রমিকের অভাবে অল্প জমি চাষ করবেন তারা। যদি একজন খামারির ১.৬ হেক্টর জমি থাকে, তবে তিনি ০.৮ হেক্টর চাষ করবেন। ফেডারেশন অব ভেজিটেবল ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশন অব মালয়েশিয়ার চেয়ারম্যান লিম সের কুই বলেন, বিদেশি শ্রমিক কোটা বাতিল করায় বাজারে সবজির দাম বাড়বে। সৈয়দ আব্দুল রহমান বলেন, বিদেশি শ্রমিকের অভাব এবং পরবর্তীতে উৎপাদনে হ্রাস সরকারকে দাম স্থিতিশীল করতে বাইরে থেকে সবজি আমদানি করতে হবে। কর্মীর অভাব রোধে দেশটির সবজি অ্যাসোসিয়েশন সরকারের কাছে বিদেশি শ্রমিকদের আনার মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে পুনর্বিবেচনা করার চিঠি দিয়েছে।  
১৫ মার্চ ২০২৪, ১৭:০৭

ক্রেতা সংকটে বাণিজ্য মেলার সময় বাড়ানোর দাবি
২৮তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার সময় আরও তিন দিন বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে মেলায় অংশগ্রহণকারী ব্যবসায়ীরা। শনিবার দুপুরে এই দাবিতে মেলার মূল ফটকের সামনে মেলা ব্যবসায়ী সমিতির উদ্যোগে অবস্থান কর্মসূচী পালন করেছেন ব্যবসায়ী ও গেট ইজারাদাররা। ব্যবসায়ীদের দাবি, বিভিন্ন প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে এবারের মেলা শুরু হওয়ায় লোকসানের সম্মুখীন হতে হচ্ছে তাদের। মেলা চলাকালীন বিশ্ব ইজতেমা, ঢাকা ম্যারাথন ও এসএসসি পরীক্ষার কারণে কাঙ্খিত ক্রেতা সমাগম ঘটেনি এবারের মেলাতে।    অবস্থান কর্মসূচীতে ব্যবসায়ী নেতারা বলেন, এবারের মেলা এক জানুয়ারির পরিবর্তে ২১ জানুয়ারি মেলা উদ্বোধন করা হয়েছে। মেলা শুরুর প্রথম শুক্রবারেই (২৬ জানুয়ারি) ধাক্কা খেয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ওইদিন ঢাকা ম্যারাথন থাকার কারণে ৩০০ ফিট রাস্তা বন্ধ রেখে অনুষ্ঠান করায় মেলায় লোকসমাগম কম হয়েছে। দর্শনার্থীদের ভোগান্তির কথা উল্লেখ করে তারা বলেন, দুই দফায় বিশ্ব ইজতেমার কারণে মেলায় আসতে গিয়ে যানজটের সম্মুখীন হতে হয়েছে দর্শনার্থীদের। অনেকে মাঝরাস্তা থেকে ফিরে গেছেন। তাছাড়া উদ্বোধনের দিন থেকে অতিমাত্রায় শৈত্য প্রবাহের কারণে মেলার নির্মাণ কাজ শেষ করতেও দেরি হয়। কর্মসূচি থেকে নেতারা আরও বলেন, ১৫ ফেব্রুয়ারি এসএসসি পরীক্ষা শুরু হওয়ার কারণে লোকসমাগম চাহিদার চেয়ে কম হচ্ছে। ক্রেতা ও দর্শনার্থী কম হওয়ার প্রধান কারণ হিসেবে অব্যবস্থাপনার অভিযোগও তুলেছেন তারা। সেজন্য প্রধানমন্ত্রী, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী, বাণিজ্য সচিব, ইপিবির ভিসি ও সচিবের কাছে আরও তিন দিন বিনা ভাড়ায় মেলার সময় বাড়ানোর জন্য দাবি করেন মেলায় অংশগ্রহণকারী ব্যবসায়ীরা। কিন্তু কর্তৃপক্ষ সে দাবি নাকচ করে দেওয়ায় এই বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু করেছেন তারা।  
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:০৯

বড় ধরনের রিজার্ভ সংকটে ঢাকার পাশে থাকবে চীন
বাংলাদেশে বড় ধরনের রিজার্ভ সংকট হলে অগ্রাধিকারভিত্তিতে চীন পাশে থাকবে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। রোববার (২৮ জানুয়ারি) সচিবালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে তিনি এ কথা বলেন।  চীনা রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, তিস্তা প্রকল্প বাস্তবায়নে চীন অঙ্গীকারবদ্ধ। বাংলাদেশের সম্মতি পেলেই কাজ শুরু হবে। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়ে ইয়াও ওয়েন বলেন, মিয়ানমারের রাখাইনে অস্ত্র বিরতি হলেই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করবে চীন। রাখাইনে চলমান সহিংসতায় অস্ত্র বিরতির জন্য বেইজিং কাজ করছে। মিয়ানমারের পরিস্থিতি জটিল। তিন দেশের ত্রিপক্ষিয় সমঝোতার মাধ্যমে প্রত্যাবাসন শুরু হবে। চীনের রাষ্ট্রদূত ছাড়াও আজ (রোববার) পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস, নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারি দেখা করবেন। এদিকে, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে জান্তা বাহিনী ও আরাকান আর্মির মধ্যে তুমুল লড়াই চলছে। এতে সাধারণ রোহিঙ্গারা জীবন বাঁচাতে রাজ্য ছাড়ার চেষ্টা করছে। ইতোমধ্যে নতুন করে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তে সতর্ক অবস্থান নিয়েছে বিজিবি।  জানা গেছে, রাখাইনে চলমান সংঘাতের পরিপ্রেক্ষিতে রোহিঙ্গারা বিচ্ছিন্নভাবে দু-এক দিন ধরে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেছে। তবে সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার হওয়ায় তারা পুনরায় তাদের আদিনিবাসে ফিরে গেছে।
২৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১৪:৩২

সাভারে তীব্র গ্যাস সংকটে চরম ভোগান্তি
গ্যাস নিয়ে দুশ্চিন্তা যেন কাটছেই না সাভারবাসীর। আবাসিক ও শিল্প গ্রাহক সবাই গ্যাস সংকটে পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে। সারা বছর গ্যাস সংকট থাকলেও গত ১৪ দিনে তা আরও তীব্র থেকে তীব্রতর হয়েছে। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে শিল্প কারখানার উৎপাদনে ও ব্যক্তি জীবনে।  সোমবার (২২ জানুয়ারি) সাভার ও আশুলিয়া ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে। এ বিষয়ে কথা হয় ধামসোনা ইউনিয়ন পরিষদের গাজীরচট এলাকার বাসিন্দা এক সাবেক সেনা কর্মকর্তা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, গ্যাস সংকটের কারণে অনেক মানুষকে রান্না না করে বিভিন্ন হোটেল থেকে খাবার সংগ্রহ করতে হচ্ছে। কেউ কেউ রান্নার জন্য বিকল্প হিসেবে রাইসকুকার, ইন্ডাকশন ও স্টোভ ব্যবহার করছেন। সাভার পৌরসভার সোবাহানবাগ এলাকার বাসিন্দা আহমেদ ফয়সাল বলেন, সারাদিনই বাসা-বাড়িতে গ্যাস থাকে না। সন্ধ্যার পর লাইনে কিছুটা গ্যাস পাওয়া যায় তবে তাতে রান্না সেরে রাখতে কষ্ট হয়। এ দিকে সাভার ও আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে ১৫০০ এর মতো ছোটবড় শিল্প কারখানা রয়েছে। এসব কারখানার জেনারেটর বা বয়লার চালানোর জন্য ১৫ পিএসআই (প্রতি বর্গইঞ্চিতে গ্যাসের চাপের ইউনিট) চাপের গ্যাস প্রয়োজন কিন্তু বর্তমানে তা অর্ধেকের নিচে নেমে এসেছে। কারখানা মালিকরা বলছেন, এ চাপ সংকটের কারণে বিকল্প পদ্ধতিতে চলছে কারখানাগুলোর উৎপাদন কার্যক্রম। এতে তাদের পণ্য উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে সাভারের আল মুসলিম গ্রুপের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মো. আবু রায়হান জানান, প্রায় মাসখানেক ধরে আমাদের গ্যাস সংকট পোহাতে হচ্ছে। এতে করে আমাদের কারখানায় উৎপাদন চালিয়ে যেতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে।  এ ছাড়াও সিএনজি স্টেশনগুলোতেও মিলছে না কাঙ্ক্ষিত গ্যাস। দিনের বেলায় লাইনে গ্যাসের চাপ (প্রেসার) না থাকায় সারাদিনের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে রাত ১১টার পর থেকে সিএনজি ফিলিং স্টেশনগুলোতে ভিড় করছেন চালকরা। এ ব্যাপারে সাভার তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী আবু সালেহ মো. খাদেম উদ্দিন বলেন, শীতের এ সময় গ্যাসের চাহিদা অনেকটাই বেড়ে যায়। চাহিদা অনুপাতে জাতীয় গ্রিডে গ্যাসের সরবরাহ কম থাকায় এ সংকট তৈরি হয়েছে।  তবে দ্রুতই সংকট কেটে যাবে বলেও জানান তিনি। 
২২ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:২৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়