সাভারে তীব্র গ্যাস সংকটে চরম ভোগান্তি
গ্যাস নিয়ে দুশ্চিন্তা যেন কাটছেই না সাভারবাসীর। আবাসিক ও শিল্প গ্রাহক সবাই গ্যাস সংকটে পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে। সারা বছর গ্যাস সংকট থাকলেও গত ১৪ দিনে তা আরও তীব্র থেকে তীব্রতর হয়েছে। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে শিল্প কারখানার উৎপাদনে ও ব্যক্তি জীবনে।
সোমবার (২২ জানুয়ারি) সাভার ও আশুলিয়া ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে।
এ বিষয়ে কথা হয় ধামসোনা ইউনিয়ন পরিষদের গাজীরচট এলাকার বাসিন্দা এক সাবেক সেনা কর্মকর্তা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, গ্যাস সংকটের কারণে অনেক মানুষকে রান্না না করে বিভিন্ন হোটেল থেকে খাবার সংগ্রহ করতে হচ্ছে। কেউ কেউ রান্নার জন্য বিকল্প হিসেবে রাইসকুকার, ইন্ডাকশন ও স্টোভ ব্যবহার করছেন।
সাভার পৌরসভার সোবাহানবাগ এলাকার বাসিন্দা আহমেদ ফয়সাল বলেন, সারাদিনই বাসা-বাড়িতে গ্যাস থাকে না। সন্ধ্যার পর লাইনে কিছুটা গ্যাস পাওয়া যায় তবে তাতে রান্না সেরে রাখতে কষ্ট হয়।
এ দিকে সাভার ও আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে ১৫০০ এর মতো ছোটবড় শিল্প কারখানা রয়েছে। এসব কারখানার জেনারেটর বা বয়লার চালানোর জন্য ১৫ পিএসআই (প্রতি বর্গইঞ্চিতে গ্যাসের চাপের ইউনিট) চাপের গ্যাস প্রয়োজন কিন্তু বর্তমানে তা অর্ধেকের নিচে নেমে এসেছে।
কারখানা মালিকরা বলছেন, এ চাপ সংকটের কারণে বিকল্প পদ্ধতিতে চলছে কারখানাগুলোর উৎপাদন কার্যক্রম। এতে তাদের পণ্য উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে সাভারের আল মুসলিম গ্রুপের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মো. আবু রায়হান জানান, প্রায় মাসখানেক ধরে আমাদের গ্যাস সংকট পোহাতে হচ্ছে। এতে করে আমাদের কারখানায় উৎপাদন চালিয়ে যেতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে।
এ ছাড়াও সিএনজি স্টেশনগুলোতেও মিলছে না কাঙ্ক্ষিত গ্যাস। দিনের বেলায় লাইনে গ্যাসের চাপ (প্রেসার) না থাকায় সারাদিনের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে রাত ১১টার পর থেকে সিএনজি ফিলিং স্টেশনগুলোতে ভিড় করছেন চালকরা।
এ ব্যাপারে সাভার তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী আবু সালেহ মো. খাদেম উদ্দিন বলেন, শীতের এ সময় গ্যাসের চাহিদা অনেকটাই বেড়ে যায়। চাহিদা অনুপাতে জাতীয় গ্রিডে গ্যাসের সরবরাহ কম থাকায় এ সংকট তৈরি হয়েছে।
তবে দ্রুতই সংকট কেটে যাবে বলেও জানান তিনি।
মন্তব্য করুন