• ঢাকা রোববার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে ইলিশ ধরা শুরু
দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) মধ্যরাত থেকে ফের ইলিশ ধরতে নদীতে নেমেছেন জেলেরা। এদিন মধ্যরাতে চাঁদপুরের চরভৈরবী থেকে ষাটনল পর্যন্ত ৭০ কিলোমিটার নদী এলাকায় বিচরণ করছেন প্রায় অর্ধলক্ষাধিক জেলে। যৌথ অভিযানে জাটকা সংরক্ষণ অভিযান সফল হওয়ায় এবার ইলিশ উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছয় লাখ মেট্রিক টন ছাড়িয়ে যাবে বলে জানিয়েছে জেলা মৎস্য অফিস। এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকেই জেলেরা জাল, নৌকা ও ট্রলার নিয়ে ইলিশসহ অন্য মাছ শিকারে প্রস্তুতি নেন।  জেলা মৎস্য অফিস জানিয়েছে, এবার ৫৭৫টি অভিযান, ১২৮টি মোবাইল কোর্ট, ৩৩৪ জন জেলেকে আটক করে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, প্রায় ৫৩ দশমিক ৯১০ লাখ মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়েছে। এদিকে, ৩ দশমিক ৪১৬ মেট্রিক টন জাটকা আটক করে দুস্থ ও এতিমদের মাঝে বিতরণ করে দেওয়া হয়েছে। আর জরিমানা আদায় করা হয়েছে ছয় লাখ ৫০৫ টাকা। নৌ পুলিশ জানিয়েছে, নিষেধাজ্ঞার সময় ১ মার্চ থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত ইলিশ অভয়াশ্রমে অভিযান চালিয়ে ১৯ কোটি ১৩ লাখ মিটার অবৈধ জাল, ১৭ হাজার ৮১৯ কেজি মাছ, ২৪৪টি নৌকাসহ এক হাজার ১১৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে চাঁদপুর জেলার নৌ থানা পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে ১৭০টি নিয়মিত মামলা করা হয়েছে। এছাড়া ২২৬ আসামিকে ৪৮টি মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে। ২১৩ জনকে ছয় লাখ ২৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ১৫২ জন অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় অভিভাবকের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে। জেলা মৎস্য কর্মকর্তা গোলাম মেহেদী হাসান বলেন, জেলেদের খাদ্য সহায়তা হিসেবে জনপ্রতি ৪০ কেজি করে চার কিস্তিতে মোট ১৬০ কেজি চাল সহায়তা দেওয়া হয়েছে। ফলে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, কোস্টগার্ড ও জেলা টাস্কফোর্সের যৌথ অভিযানে জাটকা সংরক্ষণ অভিযান সফল হওয়ায় ইলিশ উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছয় লাখ মেট্রিক টন ছাড়িয়ে যাবে। তাছাড়া অসাধু জেলেদের আটক করে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ও জরিমানা আদায় করা হয়েছে। দেশের ইলিশ সম্পদ রক্ষায় সরকার প্রতি বছর ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল দুই মাসের কর্মসূচি ঘোষণা করে। এই নির্দিষ্ট সময়ে মাছ ধরা, পরিবহন, বিক্রি ও মজুত সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। ২০০৬ সাল থেকে মার্চ-এপ্রিল দুই মাস চাঁদপুরের বিস্তীর্ণ নদী সীমাকে ইলিশের অভয়াশ্রম ঘোষণা করে জাটকা রক্ষা কর্মসূচি পালিত হয়ে আসছে।
০১ মে ২০২৪, ০৯:১২

যেদিন থেকে সমুদ্রে মাছ ধরা নিষিদ্ধ
বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের সামুদ্রিক জলসীমায় মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ এবং টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য প্রতি বছরের মতো চলতি বছরও ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিন সব ধরনের মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বেলা ১১টায় মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আলোচনাসভা শেষে এ তথ্য জানান মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান। তিনি বলেন, সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ ও টেকসই আহরণের স্বার্থে সমুদ্রে মাছ ধরা নিষিদ্ধকালে শুধু আইন প্রয়োগ নয় বরং জেলেদের জীবিকা নির্বাহের জন্য এ সময় ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে সহায়তা করা হবে। এ বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য সামাজিক ক্যাম্পেইন চালানো হবে।  তিনি আর বলেন, সামুদ্রিক মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ এবং টেকসই মৎস্য আহরণ নিশ্চিত করার জন্য বিভাগ, জেলা ও উপজেলা প্রশাসন এবং আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত সব সংস্থা এবং মৎস্য আহরণ, বিপণন ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ত সকল অংশীজনকে ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত মোট ৬৫ দিন সমুদ্রে মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ কার্যক্রম বাস্তবায়নে সহযোগিতার আহ্বান জানাই। আলোচনা সভায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, জননিরাপত্তা বিভাগ, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়, নৌ বাহিনী, কোস্টগার্ড, নৌ পুলিশ, র‌্যাব সদর দপ্তর ও বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা, চট্টগ্রাম, খুলনা ও বরিশালের বিভাগীয় কমিশনারগণ, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক, উপকূলীয় জেলাসমূহের জেলা প্রশাসকগণ, উপপরিচালক, মৎস্য অধিদপ্তর (চট্টগ্রাম, খুলনা ও বরিশাল) ও জেলা মৎস্য কর্মকর্তারাসহ মৎস্য অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ এবং মৎস্য আহরণের সাথে সম্পৃক্ত বাংলাদেশ মেরিন ফিশারিজ এসোসিয়েশন, মেরিন হোয়াইট ফিশ ট্রলার ওনার্স এসোসিয়েশন, সামুদ্রিক মৎস্য আহরণকারী বোট মালিক সমিতির প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।
৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:০৩

জালে ধরা পড়ল ৪০০ কেজি ওজনের ‘তলোয়ার’ মাছ
কক্সবাজারের টেকনাফের বঙ্গোপসাগরে জেলেদের জালে প্রায় ৪০০ কেজি ওজনের বিরল প্রজাতির একটি ‘তলোয়ার মাছ’ ধরা পড়েছে।  বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকালে টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর পুরানপাড়া ঘাট থেকে মাছটি তুলে আনে জেলেরা।  এ সময় মাছটি দেখতে ভিড় করেন স্থানীয়রা। ধলা মিয়া নামে এক আড়তদার মাছটি ৮০ হাজার টাকায় কিনে নেন।  জেলেরা জানায়, বুধবার মাছটির জালে ধরা পড়ে। মাঝে মধ‌্যে এই প্রজাতির মাছ ধরা পড়লেও এত বড় মাছ এই প্রথম তাদের জালে উঠেছে। মাছের ক্রেতা জানান, বুধবার সকালে স্থানীয় জেলে আবু তৈয়বের জালে মাছটি ধরা পড়ে। মাছটি ৮০ হাজার টাকায় ক্রয় করা হয়। এর ওজন প্রায় ৪০০ কেজি, লম্বায় প্রায় ২৫ ফুট। মাছটি কেটে প্যাকেটজাত করে শহরের বাজারে বিক্রি করা হবে। সুস্বাদু মাছ হিসেবে শহরের বাজারে মাছটির সুনাম রয়েছে।
২৪ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:৫৪

সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়ল বুয়েটে হিজবুত তাহরীরের লিফলেট বিতরণ
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) করিডোরে দুই যুবক। বেশ লুকোচুরি করে তারা বুয়েটের সিভিল বিল্ডিংয়ে লিফলেট বিতরণ করছে। ১৯ ফেব্রুয়ারি তাদের বিতরণ করা লিফলেটগুলোতে ছিলো হিযবুত তাহরীরের জিহাদে যোগ দেয়ার আহ্বান। গণমাধ্যমের হাতে এভাবে ধরা পড়ে বুয়েটকে কেন্দ্র করে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হিযবুত তাহরীরের কার্যক্রম। বুয়েটকে ঘিরে নিষিদ্ধ জঙ্গি গোষ্ঠী হিযবুত তাহরীর ও শিবিরের তৎপরতার বিষয়টি নতুন নয়। কিন্তু তারপরও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও পরীক্ষা বর্জনকারীদের একটি অংশ থেকে শুরু করে সাবেক অ্যালামনাইদের একটি অংশ বারবার হিযবুত তাহরীর ও শিবিরের কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়টি অস্বীকার করে এসেছে। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই সরাসরি মিললো হিযবুতের লিফলেট বিতরণের সিসিটিভি ফুটেজ। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, সকালে ক্লাস শুরুর আগে বুয়েটের সিভিল বিল্ডিং এর একটি ফ্লোরে দুই তরুণ উপস্থিত হয়। এ সময় তারা করিডরের শেষ মাথায় পৌছালে বুয়েটের কোন একজন স্টাফকে আসতে দেখে অন্য একটি করিডোরে গিয়ে লুকিয়ে পড়ে। পরবর্তীতে তাদের একজন যখন দেখেন সেই স্টাফ এই করিডোরে নেই তখন দ্রুত তারা সিভিল বিল্ডিংয়ের করিডোরের শেষ মাথায় চলে যায় এবং সেখানর ক্লাস রুম গুলোতে তাদের ব্যাগে থাকা লিফলেট বিতরণ করতে করতে আবারও পূববর্তী করিডোরে ফেরত আসে এবং সেখানে থাকা ক্লাসরুম গুলোতেও লিফলেট বিতরণ করে। এ সময় আশপাশে কেউ দেখছে কিনা, সেটি উকি দিয়ে দেখে নিয়ে দ্রুত করিডোর থেকে চলে যায় তারা। এ সময়ও তাদের ব্যাগে ছিলো আরও লিফলেট। ধারণা করা হচ্ছে এদিন বিল্ডিংয়ের এমন ফাঁকা করিডোরগুলো ব্যবহার করে আরও বেশ কিছু ক্লাসরুমে লিফলেট বিতরণ করে জঙ্গি গোষ্ঠী হিযবুত তাহরীরের সদস্যরা। মার্চ মাসে হিযবুত তাহরীর বুয়েট শিক্ষার্থীদের একাডেমিক মেইল এড্রেসে জঙ্গি মৌলবাদী ও জিহাদি বার্তা প্রেরণ করে। সেখানে বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীদের হিযবুত তাহরীরের সঙ্গে জিহাদে যোগ দেয়ার আহ্বান জানানো হয়। এর কিছুদিন পর বুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ সভাপতি প্রবেশ করে কমিটি ঘোসণা করছে এমন গুজব ছড়িয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের উস্কানি প্রদান করা হয় ফেসবুকে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বুয়েট ক্যাম্পাসে রাজনীতি থাকবে, নাকি থাকবে না প্রশ্নে হাইকোর্ট রুল জারি করে যেখানে বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি থাকবে বলে রুল দেয়া হাইকোর্ট। কিন্তু বুয়েটে ছাত্র রাজনীতির ঘোর বিরোধিতা করে আসছে হিযবুত তাহরীর ও শিবির। শিবির পরিচালিত বাঁশেরকেল্লা পেজ ও ম্যাসেজিং প্লাটফর্মের কার্যক্রমে এ বিষয়টি বেশ স্পষ্ট। সেই সঙ্গে হিযবুত তাহরীর সরাসরি শিক্ষার্থীদের রাজনীতি না ফেরার পক্ষে কঠোর অবস্থান রাখার আহ্বান জানিয়ে আবারও শিক্ষার্থীদের একাডেমিক মেইল এড্রেসে ইমেইল বার্তা পাঠায়। অন্যদিকে বুয়েটে শিবিরের কার্যক্রম চলছে তা স্বীকার করে নিয়েছিলেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি ড. শফিকুল ইসলাম। কিন্তু তারপরও বুয়েটের বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীদের একটি অংশ বিষয়টিকে 'গুজব' বা 'অপপ্রচার' বলে মন্তব্য করতে থাকে। এর পাশাপাশি বুয়েটের শিক্ষক সমিতি থেকে দেয়া এক বার্তায়ও বুয়েটকে কেন্দ্র করে নিষিদ্ধ জঙ্গি গোষ্ঠি হিযবুত তাহরীর ও শিবিরের কার্যক্রম নিয়ে প্রচার হওয়া সংবাদের নিন্দা জানানো হয়। যা প্রকারান্তরে জঙ্গি মৌলবাদী গোষ্ঠীগুলোর বুয়েট কেন্দ্রিক কার্যক্রমকে অস্বীকার করার মতই। তবে সিসিটিভি ফুটেজ থেকে বুয়েট কেন্দ্রিক জঙ্গিগোষ্ঠীটির কার্যক্রম আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে। ২০১৯ সালে বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ হলেও সেখানে কার্যক্রম চালিয়ে গেছে জামায়াতে ইসলামের ছাত্রসংগঠন ছাত্রশিবির ও হিজবুত তাহরীর। পরীক্ষা বর্জনকারীদের পক্ষ থেকে শুরুর দিকে বুয়েটে জামায়াতে ইসলামির ছাত্র সংগঠন শিবির ও নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হিজবুত তাহরীরের কার্যক্রম নিয়ে কোনো আপত্তির কথা জানানো হয়নি। পরে গণমাধ্যমের চাপে পড়ে তারা এই বিষয়টিও নিয়ে মুখ খুলতে বাধ্য হয়। তবে তাদের পক্ষ থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই দুই সংগঠনের কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে তেমন তৎপরতা চোখে পড়েনি। এরইমধ্যে বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীদের ইমেইল দিয়েছে নিষিদ্ধ উগ্রবাদী জঙ্গি সংগঠন হিজবুত তাহরীর। শিক্ষার্থীদের মেইলে একাধিকবার উগ্রবাদী বার্তা ও রাজনীতি বন্ধের বার্তা দিয়ে মেইল করার পর এবার নিজেদের ফেসবুক পেজের একটি ভিডিওর কিউআর কোড স্টিকার আকারে ছাপিয়ে পলাশীর মোড় থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে দিচ্ছে উগ্রবাদী গোষ্ঠীটি।
২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১২:১৩

তিন মাস কাপ্তাই হ্রদে মাছ ধরা বন্ধ
রাঙ্গামাটির কাপ্তাই হ্রদে ২৫ এপ্রিল থেকে তিন মাসের জন্য সকল প্রকার মাছ শিকার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কাপ্তাই হ্রদে কার্প জাতীয় মাছের প্রজনন ও বংশবৃদ্ধির জন্য এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। কাপ্তাই হ্রদে মাছের ডিম ছাড়ার মৌসুমে জেলা প্রশাসন মাছের আহরণ ও বিপণনের ওপর এ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসন। আগামী ২৫ এপ্রিল মধ্যরাত ১২টা থেকে তিন মাস কাপ্তাই হ্রদে মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়েছে। নিষেধাজ্ঞাকালে স্থানীয় বরফ কল বন্ধ থাকবে। পাশাপাশি স্থানীয় বাজার ও কাপ্তাই হ্রদ মনিটরিং করা হবে। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বিকেলে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে কাপ্তাই হ্রদের মাছ শিকারের ওপর এক সভায় রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান এই নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেন। সভায় রাঙ্গামাটি অতিরিক্ত জেলা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জোবাইদা আক্তার, রাঙ্গামাটি জেলা বিএফডিসি ব্যবস্থাপক কমান্ডার মো. আশরাফুল আলম ভূঁইয়া, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা অধীর দাস, নৌ-পুলিশ প্রতিনিধি, মৎস্য ব্যবসায়ীসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। রাঙ্গামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান জানান, কাপ্তাই হ্রদে কার্প জাতীয় মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন ও সুষম বংশবৃদ্ধির লক্ষ্যে তিন মাস মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়ে থাকে। এই নিষেধাজ্ঞাকালে মাছ আহরণের ওপর নির্ভরশীল জেলেদের বিশেষ ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে খাদ্যশস্য সহায়তা দেওয়া হবে। এ ছাড়া অবৈধ উপায়ে মাছ আহরণ, পরিবহন ও বাজারজাতকরণ বন্ধ করতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার পাশাপাশি কাপ্তাই হ্রদের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে নৌ-পুলিশ মোতায়েন করা হবে। হ্রদে অবৈধ উপায়ে মাছ শিকারের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন রাঙ্গামাটির ব্যবস্থাপক কমান্ডার আশরাফুল আলম ভূঁইয়া জানান, প্রতি বছর ১ মে থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। তবে এবার কাপ্তাই হ্রদের পানি দ্রুত কমে যাওয়ায় ৫ দিন আগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। 
১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:২৮

পুকুরের মাছ ধরা নিয়ে ভাইয়ের হাতে ভাই খুন 
গোপালগঞ্জে পুকুরের মাছ ধরা নিয়ে মাহিন মীনা (৪০) নামে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা করেছে আপন চাচাতো ভাইয়েরা। বুধবার (১০ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে সদর উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নের ঘ্যানাশুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।  নিহত মাহিন মীনা ওই গ্রামের মৃত আবুল বাশার ওরফে বাসু মীনার ছেলে।  স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মাহিন ঢাকায় একটি টাইলসের দোকানে কাজ করতেন। ঈদ করতে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে মঙ্গলবার গ্রামের বাড়িতে আসেন। এ দিন সকালে তার আপন চাচাতো ভাই নজরুল ইসলাম মীনা ও নূরুল ইসলাম সৌখিনসহ বেশ কয়েকজন তাদের যৌথ পুকুরে জাল ফেলে মাছ ধরে নিচ্ছিল। মাহিন তাদেরকে নিষেধ করলে কথা কাটাকাটি ও একপর্যায়ে চাচাতো ভাইয়েরা দা দিয়ে কুপিয়ে তার মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারাত্মক জখম করে। পরে পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।  ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি মোহাম্মদ আনিচুর রহমান। তিনি বলেন, ঘটনার পর থেকে মাহিনের চাচাতো ভাইয়েরা বাড়িতে তালা ঝুলিয়ে পালিয়েছে। মাহিনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
১০ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:০৮

জালে ধরা পড়ল ৩ মণ ওজনের চারটি পাখি মাছ
বঙ্গোপসাগরে সূর্য মাঝি (৫৫) নামে এক জেলের জালে ধরা পড়েছে ৩ মণ ওজনের ৪টি পাখি মাছ।  মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) দুপুরে এসব মাছ পটুয়াখালীর আলীপুর বিএফডিসি মার্কেটে বিক্রির জন্য নিয়ে আসা হয়। এ সময় বড় সাইজের এ মাছগুলো একনজর দেখতে ভিড় জমায় উৎসুক জনতা।  উপকূলে এসব মাছের চাহিদা না থাকায় নিলামের মাধ্যমে সুমন মৃধা নামের এক মাছ ব্যবসায়ী মাছগুলো সাড়ে ৭ হাজার টাকা কিনে নেন। গত শনিবার সূর্য মাঝি ১৯ জেলেসহ আল্লাহর দোয়া-১ নামের একটি ট্রলার নিয়ে চট্রগ্রাম সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে গিয়ে জাল ফেললে এ মাছ চারটি ধরা পড়ে। আল্লাহর দোয়া-১ ট্রলারের মাঝি সূর্য মিয়া বলেন, আমরা মূলত এ গোলপাতা মাছ (পাখি মাছ) ধরার জন্য সমুদ্রে জাল ফেলি না। এ মাছগুলো ইলিশ মাছের জালে জড়িয়ে ধরা পড়ে। দেশে এ মাছের চাহিদা কম থাকায় ভালো দাম পাওয়া যায় না। কলাপাড়া সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা জানান, আগের চেয়ে বঙ্গোপসাগরে এসব মাছ বেড়েছে। তবে এর প্রাচুর্যতা বেশি নয়। আশা করছি আরও বড় বড় সাইজের মাছ জেলেরা শিকার করতে পারবে। 
০২ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:০২

এক ট্রলারে ধরা পড়ল ৫২ লাক্ষা মাছ, ১১ লাখ টাকায় বিক্রি
বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার এক ট্রলারের জেলেদের জালে ৫২টি বড় আকারের লাক্ষা মাছ ধরা পড়েছে। গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়া এফবি সাইফ-৪ নামে একটি ট্রলারের জেলেদের জালে মাছগুলো ধরা পড়ে। শনিবার (৩০ মার্চ) দুপুরে পাথরঘাটা বিএফডিসি ঘাটে মাছগুলো বিক্রি করতে নিয়ে আসেন জেলেরা। পরে প্রতিমণ ৮০ হাজার টাকা করে মোট ১১ লাখ ৮ হাজার টাকায় মাছগুলো বিক্রি করা হয়। সরেজমিনে পাথরঘাটা বিএফডিসি ঘাট ঘুরে দেখা যায়, প্রতিদিন সমুদ্রে মাছ ধরা শেষে ছোট বড় অসংখ্য ট্রলারে জেলেরা মাছ বিক্রি করতে ঘাটে আসেন। বর্তমানে সমুদ্রে আশানুরূপ মাছ ধরা পড়ছে না। তবে এক সপ্তাহ আগে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়ে যেন লটারির টিকিট পেয়েছেন এফবি সাইফ-৪ ট্রলারের জেলেরা। বিভিন্ন মাছের সঙ্গে তাদের জালে ধরা পড়েছে ৫২টি লাক্ষা মাছ। বিদেশে রপ্তানি হওয়ায় বড় সাইজের এসব লাক্ষা মাছ বেশি দামে বিক্রি হয়। এতে খুশি ওই ট্রলারের জেলেরা। এফবি সাইফ-৪ ট্রলারের জেলে ফারুক হাওলাদার বলেন, ঈদের আগে সমুদ্রে ধরতে গিয়ে বড় সাইজের লাক্ষা মাছ পেয়ে আমরা খুশি। ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা মণ বিক্রি করতে পেরেছি। এখন একটু হলেও আমরা আমাদের দেনা পরিশোধ করতে পারব। এফবি সাইফ-৪ ট্রলারের মাঝি মো. বেল্লাল বলেন, এক সপ্তাহ আগে আমরা মাছ ধরতে গভীর সমুদ্রে যাই। পরে সমুদ্রের বিভিন্ন এলাকায় জাল ফেলে সাত দিনে মোট ৫২টি লাক্ষা মাছ পেয়েছি। এখন ঘাটে মাছগুলো বিক্রি করা হবে। এরপর আবার চট্টগ্রাম পাঠানো হবে সেখান থেকে মাছগুলো বিদেশে পাঠানো হবে। ঈদের আগে সমুদ্রে এই মাছ পাওয়ায় আমরা জেলেরা আনন্দিত। এ বিষেয়ে পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের সহকারী মার্কেটিং অফিসার বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, লাক্ষা মাছ গভীর সমুদ্রের মাছ হলেও এগুলো আমাদের সুন্দরবন এলাকায় বেড়ে ওঠে। বিশেষ করে প্রজনন মৌসুমে বন থেকে খাবার খায় এরা। এ কারণে আমাদের এ অঞ্চলে লাক্ষা মাছ পাওয়া যায়। এ ছাড়া বিদেশে এ মাছের পেটের মধ্যে থাকা বালিশের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এ কারণে বালিশ ছাড়া আমাদের দেশে এ মাছ ৬০০ থকে ৭০০ টাকা কেজি এবং বালিশসহ ২ হাজার থেকে ৩ হাজার টাকা কেজি দামে বিক্রি হয়।
৩১ মার্চ ২০২৪, ২০:০৭

জন্মদিনে ‘জংলি’ হয়ে ধরা দিলেন সিয়াম
ঢাকাই চলচ্চিত্রের বর্তমান প্রজন্মের নায়ক সিয়াম আহমেদ। শুক্রবার (২৯ মার্চ) তার জন্মদিন। আর এই বিশেষ দিনেই চমক নিয়ে দর্শকদের সামনে হাজির হলেন তিনি। মুখ ভর্তি কাঁচাপাকা দাড়ি, পরনে লুঙ্গি, ঠোঁটে সিগার, বাঁ হাতে দিয়াশলাই কাঠি, কাঁধে লাল চোখের কাক, পেছনে আগুনের লেলিহান শিখা। পুড়ছে দোকান, পায়ের নিচে তুমুল আক্রোশের শিকার হওয়া কারো দেহ, চোখেমুখে প্রতিশোধের স্পৃহা। ডান হাতে রক্তাক্ত মঙ্গুজ ব্যাট। এ যেন এক ভিন্ন সিয়াম।  শুক্রবার (২৯ মার্চ) জন্মদিনে পোস্টার প্রকাশ করেছেন নায়ক সিয়াম আহমেদ। এটা তার নতুন চলচ্চিত্র। নাম ‘জংলি’; যা আসছে আগামী কোরবানির ঈদে। এ প্রসঙ্গে সিয়াম বলেন, প্রায় তিন বছর আগে দেশীয় নতুন ছবি হিসেবে ‘অন্তর্জাল’ ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলাম। এরপর আর নতুন ছবির কাজ হয়নি। ভক্তদের সেই প্রত্যাশা পূরণের জন্যই এত সময় নেওয়া আমার। অপেক্ষায় ছিলাম ভালো কিছুর আশায়, ভিন্ন কিছুর আশায়। দীর্ঘদিন প্রস্তুতি নিয়ে সেই ধরনের একটি কাজ হাতে নিলাম। এমন আনন্দের সংবাদটি আমার জন্মদিনে সবার সঙ্গে ভাগাভাগি করলাম। ছবিটি কোরবানির ঈদেই আসবে। ছবিটি পরিচালনা করছেন এম. রাহিম। এর আগে একই পরিচালকের ‘শান’–এরও নায়ক ছিলেন সিয়াম। দ্বিতীয় ছবিও সিয়ামকে নিয়ে করা প্রসঙ্গে রাহিম বলেন,গল্পের প্রয়োজনেই সিয়ামের সঙ্গে পরপর কাজ হয়ে যাচ্ছে। আমার কাছে মনে হয়েছে এই ছবির গল্প সিয়ামকে ভালো ডিমান্ড করে। পরিচালক জানান, আগামী ১৫ এপ্রিল থেকে ‘জংলি’র শুটিং শুরুর কথা আছে। একটানা শুটিং শেষ হবে ছবির। 
২৯ মার্চ ২০২৪, ২০:৩২

ফেক আইডিতে প্রেম, দেখা করতে গিয়ে যুবক ধরা
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক আইডি থেকে প্রেমের টানে প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ার তুলাই শিমুল এলাকা থেকে বরগুনার তালতলী উপজেলায় ছুটে আসেন আলআবি মৃধা নামের এক যুবক। এসে জানতে পারেন তিনি প্রতারণার শিকার হয়েছেন।  ফেসবুকে যে নামের আইডির সঙ্গে কথা বলছেন তিনি, সেই নামের নারী বিবাহিত এবং এ বিষয়ে ওই গৃহবধূ কিছুই জানে না। পরে পুলিশ তাকে থানায় নিয়ে আসে।  তালতলী উপজেলার নয়াপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল‌্যের সৃষ্টি হয়েছে। বুধবার দুপুরে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পুলিশ আলআবি মৃধাকে তার মা খোরশেদা বেগমের জিম্মায় দিয়ে দেয়।  জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলার আখাউড়া উপজেলার কলেজ পড়ুয়া এক যুবকের সঙ্গে বরগুনার তালতলী উপজেলার নায়াপাড়া এলাকার এক কিশোরীর সঙ্গে ফেসবুকে পরিচয় হয়। আলাপের মাধ্যমে দুজনের মধ্যে প্রেম হয়। প্রেমের টানে ওই কিশোর বান্ধবীকে একনজর দেখতে ছুটে আসেন তালতলীতে। ভুক্তভোগী আলআবি মৃধা বলেন, ফেসবুকের একটি গ্রুপ থেকে আরিফা ইসলামের সাথে পরিচয় হয়। এরপর ফেসবুকের মেসেঞ্জারের মাধ্যমে তার সাথে মেসেজে সবসময় কথা হয়েছে। তার ফেসবুক আইডির নাম ছিল আরিফা ইসলাম। সে আমাকে আসতে বলেছে আমি এই এলাকায় এসেছি তার সাথে দেখা করতে। আমি এসে জানতে পারি ওটা একটি ফেক আইডি ছিলো। রাতে আমাকে আশ্রয় দিয়েছিলো স্থানীয়রা। পরের দিন সকালে পুলিশ আমাকে আটক করে। ওই গৃহবধুর শ্বশুর আবুল মিয়া বলেন, কে বা কারা ফেসবুকে আমার ছেলের স্ত্রীর ছবি নাম ব্যবহার করে ওই ছেলের সাথে কথা বলেছে। আমার ছেলের বউ এ ব্যাপারে কিছুই জানে না। তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের বলেন, ঘটনাটি জানার পর এবং এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হওয়ায় আলআবি মৃধাকে পুলিশের হেফাজতে নিয়ে আসা হয়। পরে তার পরিবারকে খবর দিয়ে আসতে বলা হয়। এ ঘটনায় কোনো অভিযোগ না থাকায় আলআবিকে তার মা ও বোনের জিম্মায় দিয়ে দেওয়া হয়েছে।
২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫:১৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়