• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
৪৬ কিমি খালি পায়ে হেঁটে ঋষভের জন্য পূজা দিলেন উর্বশী!
২০২২ সালের শেষ দিন ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হন ভারতীয় ক্রিকেটার ঋষভ পান্থ। এতে ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ খেলা হয়নি তার। ১৫ মাস পর আইপিএল দিয়ে মাঠে ফিরেছেন তিনি। এর মধ্যেই জানা গেছে, ঋষভের জন্য ৪৬ কিমি খালি পায়ে হেঁটে পূজা দিয়েছেন প্রেমিকা উর্বশী। এই তথ্য দিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ভারতের জনপ্রিয় গণমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস। তাদের তথ্য অনুসারে, ঋষভের জন্য ব্রত করেছিলেন উর্বশী রাউতেলা। ঋষভ সুস্থ হয়ে মাঠে ফেরার পরই এই তীব্র গরমের মধ্যে খালি পায়ে ৪৬ কিলোমিটার পথ হেঁটে ‘তারা বাবা কুটিয়া’ দর্শনে গিয়েছিলেন উর্বশী।  হরিয়ানার সিরসায় অবস্থিত ‘তারা বাবা কুটিয়া’ মন্দির। বহু তীর্থযাত্রী সেখানে দর্শনে যান। এই তীর্থস্থানের মূল আকর্ষণ বিশাল শিবমূর্তি। সেই মূর্তিই ‘তারা বাবা’ নামে পরিচিত। শিব মন্দির দর্শন উর্বশী ঋষভের জন্যই করেছেন নাকি অন্য কারণ রয়েছে, তা স্পষ্ট নয়। এ বিষয়ে উর্বশীর কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে ভারতের একাধিক সংবাদমাধ্যমের দাবি, ঋষভের জন্য প্রার্থনা করতে ‘তারা বাবা কুটিয়া’তে পূজা দিতে গিয়েছিলেন উর্বশী! এদিকে অনেক দিন ধরেই গুঞ্জন উড়ছে, ঋষভের সঙ্গে প্রেম করছেন উর্বশী। যদিও বিষয়টি স্বীকার করেননি তারা। তবে কিছু দিন আগে ঠান্ডা লড়াই হয়েছে উর্বশী-ঋষভের। কেউ কারও নাম না নিয়ে পরস্পরকে কটাক্ষ করতেও ছাড়েননি। উর্বশীকে মিথ্যাবাদী বলেও মন্তব্য করেন ঋষভ।  এর পাল্টা জবাবও দেন উর্বশী। ছোট ভাইয়া বলেও ভারতের এই উইকেট কিপারকে কটাক্ষ করেন উর্বশী। যদিও পরে পুরো বিষয়টি নিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে ক্ষমা চান বলিউডের এ অভিনেত্রী। দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে ব্যাট হাতে আলো ছড়ালেও অধিনায়ক হিসেবে বারবার ব্যর্থ হচ্ছেন পান্থ। পাঁচ ম্যাচ খেলে মাত্র একটিতে জয় পেয়েছে দিল্লি।
০৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:৪৩

এক পায়ে ৩ কিলোমিটার হেঁটে কলেজে যায় ইয়াছমিন  
এক পায়ে ক্র্যাচে ভর দিয়ে প্রতিদিন ৩ কিলোমিটার পথ হেঁটে নিয়মিত কলেজে যায় ইয়াছমিন আক্তার (২০)। তার এক পা নেই, আরেক পা থাকলেও তা প্রায় শীর্ণ। এ গল্প নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরএলাহী ইউনিয়নের ৯নম্বর ওয়ার্ডের গাংচিল গ্রামের দিনমজুর নুরনবীর মেয়ে ইয়াছমিন আক্তারের।  দেড় বছর বয়সে এক পা হারিয়ে এমন বাস্তবতা নিয়ে পাড়ি দিয়েছেন জীবনের ১৯টি বছর। তবু কঠিন জীবন সংগ্রামে দমে যাননি। দারিদ্রতা আর শারীরিক অক্ষমতাকে জয় করে সে এখন জেলার সদর উপজেলার ড.বশির আহমদ কলেজে দ্বাদশ শ্রেণির দ্বিতীয় বর্ষের মানবিক বিভাগে পড়ছেন।  ২০০৫ সালের ঘটনা। মা শিশু ইয়াছমিনকে বিছানায় রেখে পাশের বাড়ি থেকে পানিতে আনতে যায়। তখন চৌকির পাশে থাকা চেরাগ থেকে মশারিতে আগুন ধরে যায়। ওই আগুনে ইয়াছমিনের দুই পা দগ্ধ হয়ে যায়। পরে ডাক্তারের পরামর্শে তার বাম পা কেটে ফেলতে হয়। পায়ের রগ পুড়ে অপর পাও অনেকটা শীর্ণ হয়ে যায়।  এরপরও উদ্যম ইচ্ছা শক্তিতে প্রথমে ভর্তি হন স্থানীয় পশ্চিম গাংচিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। প্রাথমিকের গণ্ডি পেরিয়ে গাংচিল কবি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেন। বর্তমানে দেড় কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে প্রথমে স্থানীয় গাংচিল বাজারে যান। পরে সেখান থেকে গাড়ি করে বাড়ি থেকে সাড়ে ১৩ কিলোমিটার দূরে কলেজে ক্লাস করছেন নিয়মিত। আবার বাড়ি ফিরতেও তাকে হাঁটতে হয় দেড় কিলোমিটার পথ। এভাবে ব্যয়ে চলেছেন জীবনের ভার। বছরে ৫ হাজার টাকা প্রতিবন্ধী সরকারি ভাতা পান। কিন্তু সরকারের এ সহযোগিতা একেবারেই অপ্রতুল।  ইয়াছমিন আক্তার বলেন, অনেক কষ্ট করে আমি লেখা পড়া করছি। পড়া লেখা শেষ করে আমি শিক্ষক হতে চাই। সবার সহযোগিতায় একটি কৃত্রিম পা সংযোজন হলে আমার স্বপ্ন পূরণ সহজ হবে।  ইয়াছমিনের বাবা নুরনবী বলেন, আমি একজন দিনমজুর। তবে শত কষ্ট-যাতনা সহ্য করে হলে মেয়েকে লেখাপড়া করাব। তার একটি কৃত্রিম পা সংযোজনে সমাজের বিত্তবান মানুষ এগিয়ে আসবে বলে প্রত্যাশা।  ড. বশির আহমদ কলেজের প্রভাষক এ. এইচ তানিম বলেন, আমরা তার কষ্টকে মূল্যায়ন করি। একই সঙ্গে তার চেষ্টাকে সাধুবাদ জানাই। কেননা ইয়াছমিন যেটা সম্ভব করে চলেছেন তা সবার কাছেই অনুপ্রেরণা ও দৃষ্টান্ত।    ড. বশির আহমদ কলেজের অধ্যক্ষ আঞ্জুমান আরা মুক্তা বলেন, ইয়াছমিন প্রতিদিন তিন কিলোমিটার পথ এক পায়ে হেঁটে কলেজে আসে। সে একজন জীবন সংগ্রামী তরুণী। অদম্য প্রচেষ্টায় তার গল্পটি হয়ে উঠেছে প্রেরণার। দিনমজুর বাবা সব কিছু হারিয়ে মেয়েকে সারিয়ে তুললেও স্বাভাবিক ভাবে হাঁটতে পারে না সে। তাদের আকুতি যদি কৃত্রিম পা দিয়ে হাঁটত পারত ইয়াসমিন।  
৩০ মার্চ ২০২৪, ১৩:২৯

হেঁটে পদ্মাসেতুর রূপ উপভোগ করলেন ভুটানের রাজা
বাংলাদেশের সক্ষমতার প্রতীক পদ্মা সেতু ঘুরে দেখেছেন ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক। বুধবার (২৭ মার্চ) সকালে পদ্মা সেতু পার হওয়ার সময় তিনি সেতুর মাঝামাঝি গাড়ি থেকে নেমে পড়েন। এরপর পদ্মা সেতুতে কিছুসময় হাঁটেন ভুটানের রাজা। পদ্মা সেতু প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী রজব আলী জানান, বুধবার সকালে ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুকের গাড়িবহর মাওয়ায় সেতুর সার্ভিস এরিয়া-২ পৌঁছালে সেতু কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় প্রশাসন তাদের অভ্যর্থনা জানান। এরপর জাজিরার পথে রওনা হওয়ার পর সেতুর মাঝামাঝি ১৮ নম্বর পিয়ারের কাছে গাড়ি থামিয়ে নেমে পড়েন ভুটানের রাজা। এরপর ১০ মিনিট তিনি সেখানে অবস্থান করেন এবং বসন্তের রোদের মধ্যে হেঁটে পদ্মাসেতু ও প্রমত্তা পদ্মার রূপ উপভোগ করেন। এ সময় ভুটানের রাজা ও তার সঙ্গে আসা দেশটির প্রতিনিধি দলের সদস্যদের সঙ্গে ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত। ভুটানের রাজার আগমন উপলক্ষে এদিন পুরো সড়ক পথে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। চারদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে গত সোমবার ঢাকায় পৌঁছান ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক। সফরে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করেছেন। যেখানে তিনটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর এবং একটি চুক্তি নবায়ন হয়েছে। আগামী বৃহস্পতিবার বিকেলে ভুটানের রাজা বাংলাদেশ ত্যাগ করবেন।
২৭ মার্চ ২০২৪, ১৪:৩৬

হেঁটে হেঁটে নিজ শহরের স্মৃতিবিজড়িত স্থান দেখলেন রাষ্ট্রপতি
হেঁটে হেঁটে নিজ শহরের স্মৃতিবিজড়িত স্থান দেখলেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যার পর হেঁটে হেঁটে শহরের স্মৃতিবিজড়িত বিভিন্ন স্থানে ঘোরেন তিনি। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে পাবনা সার্কিট হাউস থেকে রাষ্ট্রপতি তার অন্যতম আড্ডাস্থল পাবনা ডায়াবেটিকস সমিতিতে প্রবেশ করেন। সেখানে কয়েক মিনিট অতিবাহিত করার পর হেঁটে আসেন আরেক আড্ডাস্থল লক্ষ্মী মিষ্টান্ন ভান্ডারে। সেখান থেকে প্যারাডাইস সুইটস ঘুরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে প্রবেশ করেন স্মৃতিবিজড়িত প্রিয় সংগঠন পাবনা প্রেসক্লাবে। বেশ কয়েক মিনিট সময় অতিবাহিত করে রাষ্ট্রপতির নির্ধারিত গাড়িতে করে ফেরেন সার্কিট হাউসে। এ সময় স্থানীয় বন্ধুবান্ধব ও নেতাকর্মীরা তার সঙ্গে ছিলেন। এর আগে বিকেল ৩টার দিকে চার দিনের সফরে পাবনায় এসে পৌঁছান রাষ্ট্রপতি। চার দিনের সফরে সোমবার আসার কথা থাকলেও বৈরী আবহাওয়ার কারণে সফর বাতিল করা হয়। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সফরের দ্বিতীয় দিন‌ মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুর‌ ২টা ১০ মিনিটে রাষ্ট্রপতিকে বহনকারী হেলিকপ্টার পাবনার ঈশ্বরদীর বিমানবন্দরে অবতরণ করে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুবির কুমার দাস। এরপর তাকে‌ বহনকারী গাড়িবহর সড়ক পথে পাবনা সার্কিট হাউসের উদ্দেশ্য রওনা দেয়। গাড়ি বহরটি বিকেলে ৩টায় সার্কিট হাউসে প্রবেশ করে। সেখানে রাষ্ট্রপতিকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। গার্ড অব অনার শেষে বিশ্রাম নেন তিনি। এরপর সন্ধ্যার দিকে প্রিয় স্মৃতিবিজড়িত স্থানগুলোতে ঘুরতে বের হন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
১৭ জানুয়ারি ২০২৪, ০৪:০৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়