• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ফেসবুকে হারানো বিজ্ঞপ্তি দিয়ে মাকে খুঁজছে মেয়ে, ফারাজ করিমের পোস্ট
ফেসবুকে হারানো বিজ্ঞপ্তি দিয়ে মাকে খুঁজে পেতে মেয়ের আবেদন সাড়া ফেলেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। মা মোসা. রোকেয়া খাতুন রুমিকে খুঁজে পেতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেছিলেন মেয়ে ফাবিহা জাহারা প্রিয়মি। প্রিয়মির করা সেই পোস্টে, এখন তার মাকে খুঁজে পেতে চেষ্টা করে যাচ্ছেন অনেকেই। এই মানবিক আবেদনটি আলোচিত তরুণ রাজনীতিবিদ ফারাজ করিম চৌধুরীর চোখে পড়লে, তিনিও আলাদাভাবে পোস্ট করেন। যা এরইমধ্যে শেয়ার করা হয়েছে ১৫ হাজারের বেশি। প্রিয়মি গণমাধ্যমকে জানান, তার মা পঞ্চাশোর্ধ মোসা. রোকেয়া খাতুন (রুমি) ঈদের পরদিন, শুক্রবার (১২ এপ্রিল) এলিফ্যান্ট রোডের বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন। এসময় তার পড়নে ছিল কমলা রঙের থ্রিপিস। রোকেয়া খাতুন স্মৃতিশক্তিতে ও শারীরিকভাবে দুর্বল ছিলেন। তাই পরিবারের আশংকা তিনি পথিমধ্যে হারিয়ে গেছেন। প্রিয়মি আরও বলেন, এ ব্যাপারে নিউমার্কেট থানায় শনিবার (১৩ এপ্রিল) একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। জিডি নং- ৫৯৩। পরবর্তীতে ফোন ট্র্যাকিং করার চেষ্টা করে পুলিশ। তিনি জানান, তার মার মোবাইল ফোনটি ঈদের আগেই হারিয়ে গেছে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সুজিত কুমার সরকার। তিনি বলেন, এখনও পুলিশের পক্ষ থেকে তাকে খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা চলমান রয়েছে। প্রিয়মির দাবি, পুলিশ রাজধানীর কিছু পয়েন্টের সিসি ক্যামেরা চেক করলে মাকে খুঁজে পাওয়া সম্ভব। ফারাজ করিমসহ অন্য সবাই শুধুই মানবিক দিক থেকে পোস্টটি শেয়ার করে মাকে খুঁজতে চেষ্টা করছেন।
২৩ এপ্রিল ২০২৪, ০০:৩১

ওমরাহ করতে গিয়ে ১১ বছর পর হারানো ছেলেকে খুঁজে পেলেন মা
২০১৩ সালে গৃহযুদ্ধে নিজেদের ছোট্ট সন্তানকে হারিয়ে ফেলেছিলেন এক সিরীয় মা। এরপর একে একে কেটে গেছে ১১টি বছর। এত বছরে আদরের সন্তানটিকে কোথাও না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত ওমরাহ পালন করতে গিয়ে নিজের যক্ষের ধনকে ফিরে পেলেন ওই মা।      গালফ নিউজ বলছে, ১১ বছর আগে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধের মধ্যে যখন ভয়াবহ বোমা হামলায় গ্রামের পর গ্রাম ধ্বংস হয়ে যাচ্ছিল তখন নিজেদের ছোট্ট সন্তানটিকে হারিয়ে ফেলেন এক দম্পতি। পরে বিভিন্ন জায়গায় খুঁজেও পাননি ছেলেটিকে। কিন্তু এ মাসে ওমরাহ করতে গিয়ে দেখা হয়ে যায় মা-ছেলের।  ১১ বছর পর মাকে দেখে ছেলের দৌঁড়ে এসে জড়িয়ে ধরার আবেগঘন দৃশ্যের একটি ভিডিও সম্প্রতি ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। দৃশ্যটি নেটিজেনদের হৃদয় ছুঁয়ে গেছে।  গত মে মাসে প্রকাশিত সৌদি সরকারের এক পরিসংখ্যান বলছে, দেশটিতে প্রায় সাড়ে চার লাখ সিরিয়ান রয়েছে। ২০১১ সালের মার্চ মাসে শুরু হওয়া গৃহযুদ্ধের কারণে সিরিয়ার হাজার হাজার মানুষ গৃহহীন হয়েছেন।
২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫:৪০

হারানো রাজত্ব ফিরে পেলেন অশ্বিন
স্বদেশি জাসপ্রিত বুমরাহকে সরিয়ে আইসিসি টেস্ট বোলিং র‌্যাঙ্কিংয়ে ফের শীর্ষে ফিরেছেন ভারতের স্পিনার রবীচন্দ্রন অশ্বিন। এই নিয়ে ষষ্ঠবার টেস্ট র‌্যাঙ্কিংয়ের তালিকায়  শীর্ষে উঠলেন তিনি। গত ফেব্রুয়ারিতে অশ্বিনকে সরিয়ে ভারতের প্রথম পেসার হিসেবে র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে উঠেছিলেন বুমরাহ। এক মাস পর সেই বুমরাহকে সরিয়ে হারানো রাজত্ব পুনরুদ্ধার করলেন অশ্বিন। ধর্মশালায় ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সদ্য সমাপ্ত পঞ্চম ও শেষ টেস্টে ৯ উইকেট নেন অশ্বিন। ক্যারিয়ারের শততম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৫১ রানে ৪ এবং দ্বিতীয় ইনিংসে ৭৭ রানে ৫ উইকেট নেন তিনি। এমন দুর্দান্ত পারফরমেন্সের সুবাদে ৮৭০ রেটিং নিয়ে র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে উঠেছেন এই স্পিনার। এর আগে, ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে প্রথমবার বোলিং র‌্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে উঠেছিলেন তিনি। শীর্ষস্থান হারিয়ে যৌথভাবে অস্ট্রেলিয়ার পেসার জশ হ্যাজেলউডের সঙ্গে সমান ৮৪৭ রেটিং নিয়ে দ্বিতীয়স্থানে আছেন বুমরাহ। অন্যদিকে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ টেস্টে ৭ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছিলেন ভারতের স্পিনার কুলদীপ যাদব। ১৫ ধাপ এগিয়ে ক্যারিয়ার সেরা ১৬তম স্থানে আছেন তিনি। ওই টেস্টের প্রথম ইনিংসে ১০৩ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেন ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা। র‌্যাঙ্কিংয়ে পাঁচ ধাপ এগিয়ে ষষ্ঠস্থানে উঠেছেন তিনি। রোহিতের সঙ্গে একই ইনিংসে সেঞ্চুরি করেছিলেন শুভমান গিল। ১১০ রানের সুবাদে ১১ ধাপ এগিয়ে ক্যারিয়ার সেরা ১৬তম স্থানে উঠেছেন গিল। দুই ধাপ এগিয়ে অষ্টম স্থানে উঠেছেন সিরিজে দুটি ডাবল-সেঞ্চুরিতে সর্বোচ্চ ৭১২ রান করা ভারতের ওপেনার যশস্বী জয়সওয়াল। ক্যারিয়ারের নবম টেস্টেই ৭৪০ রেটিং পেয়ে গেছেন তিনি। টেস্ট ইতিহাসে ৯ ম্যাচ খেলে জয়সওয়ালের চেয়ে বেশি রেটিং অর্জন করেছেন কিংবদন্তি স্যার ডন ব্র্যাডম্যান (৭৫২) ও মাইক হাসি (৭৪১)।
১৫ মার্চ ২০২৪, ০৮:২৭

হারানো ১০৯ মোবাইল উদ্ধার করে মালিককে বুঝিয়ে দিলো পুলিশ
রাজবাড়ীর পাঁচটি থানায় করা ডায়েরির ভিত্তিতে বিভিন্ন সময় হারিয়ে যাওয়া ১০৯টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে জেলা পুলিশ। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে মোবাইল ফোনগুলো উদ্ধার করা হয়। সেইসঙ্গে যাচাই-বাছাই করে প্রকৃত মালিকের কাছে ফোনগুলো হস্তান্তর করেন রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার জি এম আবুল কালাম আজাদ। বুধবার (৬ মার্চ) দুপুরে রাজবাড়ীর পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে মোবাইল ফোন হস্তান্তর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ওই সময় জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় পুলিশ সুপার জি এম আবুল কালাম আজাদ বলেন, রাজবাড়ী জেলা একটি ছোট্ট জেলা। এ জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যথেষ্ট ভালো। এ ছাড়াও প্রান্তিক মানুষের মোবাইলগুলো উদ্ধারের যে কাজটি আমরা করি, এটি খুব আবেগ দিয়ে করি। তিনি বলেন, আমরা অনেক কষ্ট করে মোবাইল উদ্ধার করে যখন মালিকের হাতে তুলে দিতে পারি, তখন তার মুখের হাসি ফোটে। সেটি আমাদেরকে সত্যিকার অর্থে কাজে আরও অনুপ্রাণিত করে। আমরা এই কাজটি সবসময় করে যাব।
০৬ মার্চ ২০২৪, ১৯:৪৩

৯৯৯-এ ফোন, সুন্দরবনে পথ হারানো ৩১ পর্যটককে উদ্ধার
সুন্দরবনে পথ হারিয়ে যাওয়ার প্রায় ৩ ঘণ্টা পর হটলাইন নম্বর ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে ৩১ পর্যটককে উদ্ধার করেছে পুলিশ। উদ্ধারকৃত পর্যটকদের বাড়ি বাগেরহাট জেলার চিতলমারী উপজেলায়। তারা বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী।   সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কে এম আজিজুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম তাদের উদ্ধার করে। মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম আজিজুল ইসলাম সোমবার সন্ধ্যায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বাগেরহাটের চিতলমারীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ ৩১ জনের একটি দল সোমবার সকালে সুন্দরবনের করমজলে ভ্রমণে যায়। সেখান থেকে বনে প্রবেশের কিছুক্ষণ পরেই তারা পথ হারায়। কিশোরদের মধ্যে ফেরদৌস তার মোবাইল থেকে ৯৯৯-এ খবর দেয়। সেখান থেকে তারা সরাসরি মোংলা থানায় যোগাযোগ করে। তিনি আরও জানান, ফেরদৌস জানান তার ফোনে চার্জ নাই তাই আমি আরও দুটি মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ করি। এরপর দফায় দফায় মোবাইলে যোগাযোগের মাধ্যমে বিকেলে তাদের সন্ধান মেলে। তারা লোকালয় থেকে গভীর বনে ঢুকে পড়েছিল। তাদের নিজ বাড়িতে পাঠানো হয়েছে। কিশোর ফেরদৌস জানান, তার মোবাইলে ব্যালেন্স ছিল না। কিন্তু সে জানতো ব্যালেন্স না থাকলেও ৯৯৯-এ ফোন করা যায়। তাই সে ফোন করে সহযোগিতা চায়।
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:০৫

৩৩ হারানো মোবাইল উদ্ধার, প্রকৃত মালিকের কাছে হস্তান্তর
জিডি ও অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিভিন্ন মডেলের ৩৩টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করে তা প্রকৃত মালিকের কাছে হস্তান্তর করেছে খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ। রোববার (১১ই ফেব্রুয়ারি) বিকেলে খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার কার্যালয়ে উদ্ধার হওয়া এসব মোবাইল ফোন প্রকৃত মালিকদের হাতে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। জানা যায়, খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ সুপার মুুক্তা ধরের তত্ত্বাবধানে থাকা ৯টি থানা থেকে মোবাইল ফোন সংক্রান্ত জিডি ও অভিযোগগুলো সংগ্রহ করে সাইবার ইনটেলিজেন্স অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ইউনিট তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার করে মাত্র ৭ দিনের প্রচেষ্টায় বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে বিভিন্ন মডেলের ৩৩টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করে খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ। হারিয়ে যাওয়া মোবাইল পিরে পেয়ে অত্যন্ত আনন্দিত মোবাইল ফোন মালিকেরা।  এ বিষয়ে পানছড়ি থানা থেকে আগত মো. হালিম (২৫) বলেন, আমি পেশায় একজন শ্রমিক। আমি পানছড়ি সীমান্তগামী মহাসড়কে নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করছি। গত ২ মাস আগে আমার মোবাইল ফোনটি চুরি হয়ে যায়। আমি অনেক কষ্ট করে টাকা জমিয়ে মোবাইল ফোনটি কিনেছিলাম। শখের মোবাইল ফোনটি হারিয়ে আমি মনে প্রচণ্ড কষ্ট পাই। কোন উপায় না পেয়ে আমি পানছড়ি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করি। আমি ভেবেছিলাম হারানো মোবাইল ফোনটি আর কখনোই ফিরে পাবো না। আজ যখন খাগড়াছড়ি জেলার পুলিশ সুপার স্যার আমার হাতে আমার হারানো মোবাইলটি তুলে দিলেন তখন আমার কাছে স্বপ্ন মনে হচ্ছিল। আমি পুলিশ সুপার মহোদয়ের দীর্ঘায়ু কামনা করি এবং বাংলাদেশ পুলিশকে ধন্যবাদ জানাই।  একইভাবে খাগড়াছড়ি জেলার দুর্গম এলাকা তাইন্দং থেকে আগত আব্দুল সবুর (৫৫) তার মেয়ের হারানো মোবাইল ফোনটি পুলিশ সুপার মহোদয়ের হাত থেকে গ্রহণ করে কান্নাবিজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমি একজন দিনমজুর। আমার মেয়ে কলেজে পড়াশোনা করে। কলেজের পড়াশোনার জন্য আমার মেয়েকে আমি অনেক কষ্ট করে ধার-দেনা করে একটি টাচ্ মোবাইল কিনে দেই। বাড়িতে চার্জ দেওয়ার সময় আমার মেয়ের মোবাইল ফোনটি চুরি হয়ে যায়। আমার মেয়ে মোবাইল ফোনটি হারিয়ে প্রচণ্ড কান্নাকাটি করে। আমি আল্লাহর নিকট বিচার দেই। আজ আল্লাহ আমার ডাক শুনেছেন। বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায় খাগড়াছড়ি জেলার পুলিশ সুপারের মত যদি স্যার থাকতো তাহলে আমার মত গরিব দুঃখি মানুষের অনেক উপকার হতো। আল্লাহ স্যারের মঙ্গল করুন। স্যার অনেক দিন বেঁচে থাকুক। খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মুক্তা ধর বলেন, হারানো মোবাইল ফোন উদ্ধারের আমাদের এ কার্যক্রম ও তৎপরতা অব্যাহত থাকবে। আমরা আপনাদের পাশে আছি এবং পাশে থাকব। আমাদের খাগড়াছড়ি সাইবার ইনটেলিজেন্স অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ইউনিট আপনাদের সার্বক্ষণিক সকল প্রকার সাইবার সংক্রান্ত সেবা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত।
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:৫৯

আরও ১০ সংসদীয় কমিটি, তিনটিতে সভাপতি মন্ত্রিত্ব হারানো ৩ এমপি
দ্বাদশ জাতীয় সংসদের আরও ১০টি সংসদীয় স্থায়ী কমিটি গঠন করা হয়েছে। ৫০টি কমিটির মধ্যে এ নিয়ে ৩৮টি কমিটি গঠিত হলো। মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) গঠিত ১০ কমিটির মধ্যে তিনটিতে সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন মন্ত্রিত্ব হারানো ৩ এমপি। তিন সভাপতি হলেন সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান ও সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। গত মেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকারের অর্থমন্ত্রী ছিলেন আ হ ম মুস্তফা কামাল। তাকে অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি করা হয়েছে। গত একাদশ সংসদে এই কমিটির সভাপতি ছিলেন আবুল হাসান মাহমুদ আলী। তাকে এবার অর্থমন্ত্রী করা হয়। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি হয়েছেন এম এ মান্নান। আওয়ামী লীগের গত মেয়াদে তিনি এই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ছিলেন। এবার পরিকল্পনা মন্ত্রী করা হয়েছে আব্দুস সালামকে। গত মেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকারের জাহিদ মালেক ছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এবার তিনি মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়েছেন। তাকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি করা হয়েছে। সংসদ নেতা শেখ হাসিনার অনুমতিক্রমে তার পক্ষে চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী এই কমিটিগুলো গঠনের প্রস্তাব সংসদে তোলেন। এরপরে কণ্ঠভোটে প্রস্তাবগুলো পাস হয়।
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:৪৫

ইজতেমায় হারানো পাসপোর্ট, ডলার ফিরে পেলেন কোরিয়ান নাগরিক
টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমায় অংশ নিতে আসা এক কোরিয়ান নাগরিকের হারিয়ে যাওয়া পাসপোর্ট, মোবাইল ও ডলার উদ্ধার করে তাকে পৌঁছে দিয়েছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টার দিকে কোরিয়ান নাগরিক সুলতান আহমেদ (৫৮) ওজু করতে গিয়ে পাসপোর্ট, নগদ টাকাসহ জরুরি কাগজপত্র রাখা একটি ব্যাগ হারিয়ে ফেলেন। তাৎক্ষণিকভাবে তিনি বিষয়টি পুলিশে জানান। পরে হারিয়ে যাওয়া ব্যাগটি উদ্ধার করে ওই নাগরিকের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন গাজীপুর মেট্রোপলিটনের টঙ্গী জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ ইব্রাহিম খান। কোরিয়ান নাগরিক সুলতান আহমেদ বলেন, বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় বিদেশি খিত্তা এলাকায় ওজুখানায় গিয়ে ওজু করে ভুলবশত সঙ্গে থাকা ব্যাগটি ফেলে চলে আসি। পরে গিয়ে খোঁজাখুঁজি করেও ব্যাগটি আর পাওয়া যাচ্ছিল না। তিনি আরও বলেন, ব্যাগটিতে আমার কোরিয়ান পাসপোর্ট, ইউএস ডলার, কোরিয়ান টাকাসহ মোট ৬০ হাজার টাকা, মোবাইলসহ গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র ছিল। তিনি বলেন, কোরিয়ান মোবাইল কোম্পানিতে চাকরিরত অবস্থা পরিবার নিয়ে কোরিয়ায় বসবাস করি। গত বুধবার কোরিয়া থেকে সরাসরি টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে বিদেশি খিত্তায় অংশগ্রহণ করি। এ বিষয়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটনের টঙ্গী জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ ইব্রাহিম খান গণমাধ্যমকে বলেন, উর্দু ভাষী এক বিদেশি নাগরিক ওজু করতে গিয়ে পাসপোর্ট, ডলার, মোবাইল ফোন ও নগদ টাকাসহ একটি ব্যাগ ওজু খানায় রেখে চলে যান। বিষয়টি আমাদের জানালে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে ব্যাগটি উদ্ধারের কাজ শুরু করা হয়। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অপর এক মুসল্লি ওজুখানা থেকে ওই ব্যাগটি তার হেফাজতে রাখেন। পরে ব্যাগটির প্রকৃত মালিক ওই বিদেশি নাগরিকের কাছে হস্তান্তর করা হয়। হারিয়ে যাওয়া ব্যাগ ফিরে পেয়ে পুলিশকে ধন্যবাদ জানান ওই বিদেশি নাগরিক।  
০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০২:৫৭

হাত হারানো নাঈমকে ৩০ লাখ টাকা ডিপোজিট করে দিতে হাইকোর্টের নির্দেশ
তিন বছর আগে ওয়ার্কশপে কাজ করতে গিয়ে হাত হারানো ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার ১৩ বছর বয়সী শিশু নাঈম হাসানকে ৩০ লাখ টাকা ফিক্সড ডিপোজিট করে দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।   বুধবার (৩১ জানুয়ারি) বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। চলতি বছরের এপ্রিল মাসের মধ্যে ১৫ লাখ টাকার ডিপোজিট এবং ডিসেম্বর মাসের মধ্যে বাকি ১৫ লাখ টাকার ডিপোজিট করতে হবে। ১০ পছর পর নাঈম হাসান ডিপোজিটের টাকা উত্তোলন করতে পারবে। একইসঙ্গে শিশুটি এইচএসসি পাস না করা পর্যন্ত তাকে প্রতি মাসে ৭ হাজার টাকা করে দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন আদালত। ভৈরবের নূর ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপের মালিককে এই আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। রায় শেষে শিশু নাঈমকে চকলেট উপহার দেন বিচারপতি। শিশুটিকে তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠিত হয়ে যেনো আবারও দেখা করেন তার সাথে। এ সময় এজলাসে তৈরি হয় এক আবেগঘন পরিবেশ।    আদালতে রিট আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার অনীক আর হক ও অ্যাডভোকেট মো. বাকির উদ্দিন ভূঁইয়া। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী তামজিদ হাসান।     রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশগুপ্ত। ওয়ার্কশপ মালিকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম ও আইনজীবী আবদুল বারেক। ২০২০ সালে করোনা মহামারিকালে নাঈম তার বাবা ও মার সঙ্গে ভৈরবে ইয়াকুব হোসেনের মালিকানাধীন নূর ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপে কাজ নেয়। একদিন নাঈমের ডান হাত একটি মেশিনের ভেতরে ঢুকে যায়। অস্ত্রোপচার করে তার ডান হাত কেটে ফেলতে হয়। এ ঘটনায় নাইমের বাবা পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ পেতে রিট করেন হাইকোর্টে।   
৩১ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:১৪

হারানো ও চুরি হওয়া ৭১ মোবাইল মালিকদের ফেরত দিলো পুলিশ
রাজবাড়ীতে বিভিন্ন সময় হারানো বা চুরি হয়ে যাওয়া ৭১ মোবাইল ফোন উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকের কাছে হস্তান্তর করেছে জেলা পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে মালিকদের কাছে মোবাইলগুলো হস্তান্তর করেন পুলিশ সুপার জি এম আবুল কালাম আজাদ। জানা গেছে, রাজবাড়ী জেলার পাঁচটি থানায় প্রতিদিন মোবাইল হারানোর জিডি হয়। এসব জিডির প্রেক্ষিতে রাজবাড়ী জেলা পুলিশের সাইবার ক্রাইম মনিটরিং সেল উক্ত হারানো অথবা চুরি যাওয়া ৭১ মোবাইল ফোন উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকের কাছে হস্তান্তর করেছে। এ সময় পুলিশ সুপার জি এম আবুল কালাম আজাদ বলেন, রাজবাড়ী একটি ছোট জেলা। এ জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যথেষ্ট ভালো। এ ছাড়া প্রান্তিক মানুষের মোবাইলগুলো উদ্ধারের যে কাজটি আমরা করি, এটি আমরা খুব আবেগ দিয়ে করি। মোবাইল উদ্ধার করে যখন মালিকের হাতে তুলে দিই, তখন তার মুখের হাসি আমাদের আরও অনুপ্রাণিত করে। আমরা এই কাজটি সব সময় করে যাব। হারিয়ে যাওয়া মোবাইল ফোন হাতে পেয়ে প্রকৃত মালিকরা আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। এ সময় তারা বলেন, পুলিশের প্রতি আমাদের যে আস্থা ছিল আজকের পর থেকে তা আরও বহুগুণে বেড়ে গেল। রাজবাড়ী জেলা পুলিশ প্রশাসনকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। এ সময় জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. রেজাউল করিম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মুকিত সরকারসহ জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
২৫ জানুয়ারি ২০২৪, ২৩:৪৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়