• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
চাঁদপুরে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে অভিযান
রমজানে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ স্বাভাবিক রাখা, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ এবং ভেজালমুক্ত পণ্য নিশ্চিতে বাজার পরিদর্শন করেছে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সরেজমিনে বাজার পরিদর্শন করেন তিনি।   পরিদর্শনকালে তিনি পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতা, বাজার কমিটি এবং ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলেন। অনুমোদিত মূল্যের চেয়ে অতিরিক্ত মূল্যে ক্রয়-বিক্রয় হচ্ছে কিনা এবং সকল দোকানে মূল্য তালিকা প্রদর্শন করা আছে কিনা সে বিষয়ে তদারকি করেন। পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, রমজানে যাতে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে থাকে, ক্রেতার কাছে অতিরিক্ত দাম না রাখা হয় এবং পণ্য ভেজালমুক্ত থাকে সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে এই তদারকি কার্যক্রম। আমাদের এই বাজার তদারকি প্রতিদিনই অব্যাহত থাকবে। আমরা সাদা পোশাকে গোয়েন্দা পুলিশ মোতায়ন করেছি। তারা প্রতিটি দোকানে ছদ্মবেশে ক্রেতা সেজে দাম সংগ্রহ করবে এবং সেটি যদি অনুমোদিত মূল্যের চেয়ে বেশি হয় সে সকল ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত সুদীপ্ত রায়, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) রাশেদুল হক চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল)  ইয়াসির আরাফাত, চাঁদপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ, ডিআইও-১, জেলা বিশেষ শাখার, অফিসার ইনচার্জ জেলা গোয়েন্দা শাখা, পুলিশ পরিদর্শক শহর ও যানবাহন শাখাসহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া সাংবাদিকবৃন্দ।
১৯ মার্চ ২০২৪, ২২:৫৮

রমজানে নিত্যপণ্যের দাম স্থিতিশীল রাখতে রিকশা মিছিল ও মানববন্ধন
পবিত্র মাহে রমজানে নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় রাখতে ও সিন্ডিকেট কারসাজি বন্ধের দাবিতে ‘কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম’র উদ্যোগে রিকশা মিছিল ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।  মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বহদ্দারহাট পুলিশ বক্সের সামনে ক্যাব চট্টগ্রামের উদ্যোগে এ মাবনবন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, পবিত্র মাহে রমজানে মধ্যপ্রাচ্যসহ অনেক দেশে মূল্যছাড় হলেও বাংলাদেশে তার বিপরীত। এক শ্রেণির ব্যবসায়ীর যুক্তি রমজানে একমাস ব্যবসা করবে, ১১ মাস বসে থাকবে। সে কারণে রমাজান মাসে মৌসুমির ব্যবসায়ীর ছাড়াছড়ি, আর হাত বদল হলেই লাভের অঙ্ক বাড়ে। কোনো প্রকার কাগজপত্র ছাড়া আমদানিকারকের কমিশন এজেন্ট ও আড়তদার পরিচয়ে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী আলু ও পেঁয়াজসহ ভোগ্যপণ্যের মুজত ও কৃত্রিম সংকট তৈরি করে বাজারে অস্থিরতা সৃষ্ঠি করছেন। অপকর্মের হোতাদের বিরুদ্ধে কঠিন শাস্তির পরিবর্তে জামাই আদরের কারণে তারা বারবার এ ধরনের অপকর্ম করে যাচ্ছে। নেতারা আরও বলেন, মানুষের জনদুর্ভোগ লাগবে কার্যকর ও বিকল্প ব্যবস্থা হিসাবে ভ্রাম্যমাণ আদালত, সমন্বিত বাজার তদারকি কার্যক্রম উদ্ভাবনী মডেল হলেও বর্তমানে সেটাকে অকার্যকর করতে নানান চক্রান্ত চলছে। প্রশাসন অভিযান চালালেই ব্যবসায়ীদের প্রতি হয়রানি বলে এটা বন্ধে নানান অপতৎপরতা চালান। গুটিকয়েক অসাধু ব্যবসায়ী খাদ্য সিন্ডিকেট করে মানুষের খাদ্য নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলে দিচ্ছেন। মানুষরূপী এই সন্ত্রাসীরা সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে পৃষ্টপোষকতায় রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় তাদের অংশগ্রহণ বারবার বাড়ছে।  টিসিবির পণ্য বিতরণে নানান অনিয়মের কথা উল্লেখ করে এ সময় বক্তারা আরও বলেন, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় টিসিবি ও খাদ্য বিভাগের ওএমএসের পণ্য সংগ্রহে লম্বা লাইনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে রীতিমতো যুদ্ধে লিপ্ত থাকলেও জনদরদী নেতাদের ও তথাকথিত ব্যবসায়ী রাজনীতিবিদদের তাদের কথা ভাববার সময় নেই। যার কারণে ব্যবসায়ীদের স্বার্থ সংরক্ষণের দায়িত্বে নিয়োজিত বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে ভোক্তা স্বার্থের বিষয়টি দেখভাল করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বিষয়গুলো অনেকটাই বিড়ালকে মাছ পাহারা দেওয়ার মতো।  ক্ষুব্ধ বক্তারা বলেন, ব্যবসায়ীরা একবার পেয়াঁজ, একবার আলু, একবার মসলা, আরেকবার স্যালাইন আবার ডাবের মতো পণ্য নিয়ে কারসাজি করে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রাকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে। আবার আইন প্রয়োগে চেহারা ও রাজনৈতিক পরিচয় দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার কারণে আইনের স্বাভাবিক গতি বারবার ব্যহত হচ্ছে। আর সংকট হলেই প্রশাসন বলেই বেড়ান সাঁড়াশি অভিযান হবে বলে হুংকার দিলেও শেষ পর্যন্ত খুচরা দোকানে লোক দেখানো কিছু অভিযান পরিচালনা করে বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের সদিচ্ছাকে কার্যত ব্যর্থ করে দিচ্ছেন। যে কারণে প্রধানমন্ত্রী স্থানীয় প্রশাসনকে বারবার বাজার তদারকিতে সম্পৃক্ততা বাড়ানোর নির্দেশনা দিলেও সেগুলো কাগজে কলমেই থেকে যাচ্ছে। মাঠপর্যায়ে তার কোনো সুফল আসছে না।  ক্যাব যুব গ্রুপ চট্টগ্রাম মহনগরের সভাপতি আবু হানিফ নোমানের সঞ্চালনায় রিকশা মিছিল ও মানববন্ধনে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন ক্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, শিক্ষাবিদ বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. ইদ্রিস আলী, ন্যাপ কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মিটুল দাস গুপ্ত, ক্যাব চট্টগ্রাম মহানগরের যুগ্ম সম্পাদক মোহাম্মদ সেলিম জাহাঙ্গীর, ক্যাব চান্দগাঁও থানা সভাপতি মোহাম্মদ জানে আলম, ক্যাব পাহাড়তলীর হারুন গফুর ভূঁইয়া, ক্যাব চকবাজারের আবদুল আলীম, ক্যাব বায়েজিদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ব ম হুমায়ুন কবির প্রমুখ।  
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:০২

বাজার স্থিতিশীল রাখতে ৫ কোম্পানির আধিপত্য রুখতে হবে (ভিডিও)
এবার রমজান শুরুর প্রায় দুই মাস আগেই বেড়ে গেছে সয়াবিন তেলের দাম। রাজধানীর খুচরা বাজারে লিটারে ৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৭৩ টাকায়। বিক্রেতারা বলছেন, রমজানের আগে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম আরেক দফা বাড়াতে পারেন মিল মালিকরা। তবে, আমদানিকারকদের দাবি, রমজানের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ তেলের সরবরাহ রয়েছে। সয়াবিন তেলের বাজার স্থিতিশীল রাখতে বড় পাঁচটি কোম্পানির আধিপত্য রুখতে হবে বলে মত বাজার বিশ্লেষকদের। প্রতি বছর রমজানকে ঘিরে ছোলা ও চিনির মতো সয়াবিন তেলের দাম বৃদ্ধির আশঙ্কায় থাকেন ভোক্তারা। এবারও তাই হয়েছে। প্রায় দেড় মাস বাকি থাকতেই লিটারে পাঁচ টাকা বাড়িয়েছেন মিল মালিকরা। বিক্রেতাদের শঙ্কা, পুরানো সেই স্টাইলে রমজানের আগে আরেক দফা দাম বাড়ানোর তৎপরতা চালাতে পারে প্রতিষ্ঠানগুলো। খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, রমজানকে সামনে রেখে ১৫ থেকে ২০ দিন আগেই ক্রাইসিস দেখানো হয়। এই সুযোগে তারা দাম বৃদ্ধি করেন। ভোক্তা অধিদপ্তর ও গণমাধ্যম আসতে কিছুদিন সময় লাগে। আর এই সময়ে তারা হাজার হাজার কোটি টাকা লাভ করে নিয়ে যায়।    পাইকারী ব্যবসায়ীরা জানান, দাম বাড়তি থাকলেও সরবরাহ লাইন ঠিকঠাক আছে। বাজার এখন স্বাভাবিক। সব মিলে ডেলিভারিও ক্লিয়ার আছে। একই দাবি আমদানিকারকদেরও। তারা বলেন, সবারই মাল স্টক আছে। সংকটের কোনো কারণ নেই।  সারাদেশে ভোজ্য তেলের চাহিদা ২১ লাখ টন। আর রোজায় চাহিদা ৪ লাখ টনের মতো। যার ৯০ শতাংশই আমদানি করে কয়েকটি শিল্প গ্রুপ। বিশ্লেষকরা বলছেন, ৮০ শতাংশ সয়াবিন তেল দুটি কোম্পানি এবং ২০ শতাংশ তিনটি কোম্পানির হাতে। বাজারে মনোপলি সিস্টেম চালু থাকলে কারসাজির দরকার হয় না। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এইচ এম শফিকুজ্জামান জানান, তেল আমদানি, মজুদ ও সরবরাহের তাৎক্ষণিক তথ্য পেতে ট্রেকিং সফটওয়্যারের ব্যবহার শুরু করা হয়েছে।
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:০৬

রোজায় নিত্যপণ্যের দাম স্থিতিশীল থাকবে : বাণিজ্য সচিব
রমজান মাসে নিত্যপণ্যের দাম স্থিতিশীল থাকবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ। তিনি বলেন, দেশে নিত্যপণ্যের আমদানি স্বাভাবিক রয়েছে। তাই রোজায় সমস্যা হবে না। বুধবার (৩ জানুয়ারি) সচিবালয়ে পবিত্র রমজান উপলক্ষে নিত্যপণ্যের আমদানি পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান। বাণিজ্য সচিব বলেন, ২০২৪ সালের ৯ মার্চ থেকে রমজান মাস শুরু হতে পারে। রমজান মাস সামনে রেখে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আমরা প্রস্তুতিমূলক সভা করেছি। এতে আমদানিকারক সমিতি, বাংলাদেশ ব্যাংক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট সবাই ছিলেন। আমদানি মোটামুটি স্বাভাবিক আছে। তিনি বলেন, তিনি বলেন, সাধারণত বছরে বা মাসিক যে চাহিদা থাকে, রমজানে সেটা দ্বিগুণ হয়ে যায়। এই বর্ধিত চাহিদা মেটাতে বৈঠক করা হয়েছে। রমজান সামনে রেখে ব্যবসায়ীরা একটু বেশিই আমদানি করেন, আমরা সেটাকে সহায়তা দেওয়ার জন্য, বন্দর থেকে খালাস কিংবা এনবিআরের শুল্ক নিয়ে যদি কোনো সমস্যা থাকে, সেগুলো নিয়ে আমরা কাজ করব। তপন কান্তি ঘোষ বলেন, ভোজ্য তেলের মধ্যে সয়াবিন ও পাম তেল আমদানি হচ্ছে। আগামী দু-মাসে আরও আমদানি হবে। আলোচনা করে দেখলাম, খেজুরের ক্ষেত্রেও একটা সমস্যা হচ্ছে। খেজুরের শুল্ক নিয়ে একটা দাবি আমদানিকারকদের আছে। তাদের অভিযোগ, এনবিআর থেকে অ্যাসেসম্যান্ট ভ্যালু অনেক বেশি রাখা হচ্ছে। এটির সমাধান করা হবে। যাতে আগামী দুই মাসের মধ্যে খেজুর চলে আসে। তিনি আরও বলেন, পেঁয়াজ ও আলুসহ যেসব পণ্য এসময়ে বাজারে উঠে, সেগুলোর দাম কমে এসেছে, আরও কমবে। এ ছাড়া ডিমের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। ডিমের দাম নিয়ে কোনো সমস্যা দেখছি না।
০৩ জানুয়ারি ২০২৪, ২১:১৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়