• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
সেন্টমার্টিন দ্বীপে নৌবাহিনীর মেডিক্যাল ক্যাম্পেইন ও পরিচ্ছন্নতা অভিযান
সেন্টমার্টিন দ্বীপে মেডিক্যাল ক্যাম্পেইন ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করেছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী জাহাজ সমুদ্র জয়। শনিবার (২০ এপ্রিল) দিনব্যাপী এ পরিচ্ছন্নতা অভিযানও মেডিক্যাল ক্যাম্পেইন পরিচালিত হয়। দ্বীপের প্রায় এক হাজার রোগীর মধ্যে ২৩,৭১৭ ইউনিট ঔষধ বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়। পাশাপাশি জাহাজের নৌসদস্যরা দ্বীপটিতে সুসজ্জিত দলে বিভক্ত হয়ে উত্তর-পূর্ব সৈকত থেকে এ পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম শুরু করে এবং সৈকত হতে আনুমানিক ৩০০ কেজি বর্জ্য পদার্থ সংগ্রহ করে। সেন্টমার্টিন দ্বীপে আগত ভ্রমণপ্রেমী পর্যটকদের কাছে পরিবেশ রক্ষায় করণীয় এবং দ্বীপবাসীর উদ্দেশ্যে ব্যানার, ফেষ্টুন ও প্ল্যাকার্ডের মাধ্যমে পরিবেশ সংরক্ষণ বিষয়ক বিভিন্ন বার্তা তুলে ধরা হয়। সেন্টমার্টিন দ্বীপের জীববৈচিত্র ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যে পরিপূর্ণ দ্বীপটি রক্ষা করতে এ উদ্যোগ নেয়া হয়। এ কার্যক্রমের মাধ্যমে সেন্টমার্টিন দ্বীপের সাধারণ জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং পরিবেশ ও জীববৈচিত্র সংরক্ষণে জনসচেতনতা বৃদ্ধি পাবে।
২০ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৪৪

বিকল্প পথে যাওয়া যাবে সেন্টমার্টিন
মিয়ানমার সীমান্তে চলমান উত্তেজনার কারণে নিরাপত্তার স্বার্থে সেন্টমার্টিন নৌরুটে জাহাজ চলাচল আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে, কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন ও চট্টগ্রাম-সেন্টমার্টিন রুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল করবে। পর্যটকরা শনিবার থেকে বিকল্প পথ ব্যবহার করে সেন্টমার্টিন ভ্রমণ করতে পারবেন। বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইয়ামিন হোসেন। সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানান তিনি। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইয়ামিন হোসেন বলেন, আগামী শনিবার থেকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে পর্যটকবাহী সকল জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে এটি সাময়িক সময়ের জন্য। যেহেতু মিয়ানমার সীমান্তে সংঘাতময় পরিস্থিতি চলমান রয়েছে। তবে কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন ও চট্টগ্রাম-সেন্টমার্টিন নৌরুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল অব্যাহত থাকবে। কেউ সেন্টমার্টিন ভ্রমণ করতে চাইলে কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম থেকে জাহাজে ভ্রমণ করতে পারবেন। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকবে। টেকনাফ ‍উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আদনান চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে উদ্ভূত অস্থির পরিস্থিতি নিয়ে জেলা প্রশাসনসহ সীমান্ত সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের নিয়ে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে অংশগ্রহণকারী সকলে সাধারণ মানুষসহ পর্যটকদের নিরাপত্তাজনিত কারণে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে পর্যটকবাহী সকল জাহাজ চলাচল পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। বুধবার বিজিবির মহাপরিচালক সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমের কর্মীদের সঙ্গে কথা বলার সময় সেন্টমার্টিনগামী জাহাজে চলাচলকারী পর্যটকদের নিরাপত্তা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে সীমান্ত পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছিলেন। উল্লেখ্য, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে গত কয়েকদিন থেকে আরাকান আর্মি ও দেশটির বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) সংঘর্ষ ভয়ংকর রূপ নিয়েছে। দু’পক্ষের ছোড়া গুলি ও মর্টার শেল এসে পড়ছে বাংলাদেশের ভেতরে। এ ঘটনায় গত ৫ ফেব্রুয়ারি দুপুরে বান্দরবানে মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টার শেলে এক বাংলাদেশি নারী ও এক রোহিঙ্গা নিহত হন। নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউপির ৪ নম্বর ওয়ার্ডের জলপাইতলি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত নারীর নাম হুসনে আরা (৫০)। তিনি জলপাইতলি এলাকার বাদশা মিয়ার স্ত্রী। এ ছাড়া নিহত রোহিঙ্গা তাদের বাড়ির কাজের লোক। জানা গেছে, মিয়ানমার জান্তার ছোড়া মর্টার শেল বাংলাদেশের ভূখণ্ডে বাদশা মিয়ার বসতবাড়িতে এসে পড়ে বিস্ফোরণ ঘটে। এতেই ওই নারীসহ তাদের বাড়ির কাজের লোক নিহত হন। বিষয়টি স্থানীয় ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলাম ও নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মান্নান নিশ্চিত করেন।
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:২৬

অনির্দিষ্টকালের জন্য সেন্টমার্টিন ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা খবরটি সত্যি নয়
মিয়ানমার সীমান্তে চলমান উত্তেজনার কারণে নিরাপত্তার স্বার্থে সেন্টমার্টিন নৌরুটে জাহাজ চলাচল আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। প্রকাশিত খবরটি সত্যি নয়। সেন্টমার্টিন রুটে জাহাজ চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে এবং কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন ও চট্টগ্রাম-সেন্টমার্টিন রুটে পর্যটকরা ভ্রমণ করতে পারবেন। বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) ইয়ামিন হোসেন।  এ বিষয়ে জানতে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো: ইয়ামিন হোসেন জানান, সেন্টমার্টিন পর্যটক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়নি। টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন রুটে জাহাজ চলাচল নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। বাকী রুটে পর্যটক ভ্রমণ করতে পারবেন। এদিকে, টেকনাফের উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: আদনান চৌধুরী বলেন, পর্যটক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়নি। টেকনাফ রুটে জাহাজ চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে এবং এই রুটে অন্য কোনো উপায়েও চলাচল করা যাবে না। তবে, কক্সবাজার বা চট্টগ্রাম থেকে জাহাজ চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। এই রুটে যেতে পারবে। নোট: উক্ত বিষয়ে ভুল তথ্যের কারণে ‘অনির্দিষ্টকালের জন্য সেন্টমার্টিন ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা’ হিসেবে সংবাদ প্রকাশ হয়। সঠিক তথ্য জানার পরে আরটিভি অনলাইন সংবাদটি সংশোধন করে। একই সঙ্গে ফ্যাক্ট চেকিং প্রতিষ্ঠান ‘ফ্যাক্ট-চেকিং সংস্থা রিউমার স্ক্যানার’ বিষয়টি শনাক্ত করে।
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:১৮

বন্ধ হচ্ছে সেন্টমার্টিন ভ্রমণ
মিয়ানমার সীমান্তে চলমান উত্তেজনার কারণে নিরাপত্তার স্বার্থে সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখার পরামর্শ দিয়েছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুল জামান সিদ্দিকী। তাই যেকোনো সময় বন্ধ হয়ে যাবে সেন্টমার্টিন ভ্রমণ। বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু ও ঘুমধুম সীমান্ত এবং তৎসংলগ্ন বিওপি পরিদর্শনকালে তিনি এ পরামর্শ দেন। এ সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, সীমান্ত পরিস্থিতি সম্পূর্ণ বিজিবির নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আমরা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মেনে ধৈর্য ধারণ করে, মানবিক থেকে এবং আন্তর্জাতিক সুসম্পর্ক বজায় রেখে পরিস্থিতি মোকাবিলার সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি। পরিস্থিতি যাইহোক না কেন, অবৈধভাবে আর একজনকেও বাংলাদেশে ঢুকতে দেওয়া হবে না। তিনি জানান, বিজিবি হেফাজতে মোট ২৬৪ জন মিয়ানমারের নাগরিক আছেন। এর মধ্যে বিজিপি, কর্মকর্তা, নারী এবং শিশু আছে। আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে, আমরা তাদের আশ্রয় দিয়েছি। চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি। দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সীমান্তে উদ্ভূত যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিজিবি সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত রয়েছে বলেও জানান বিজিবি মহাপরিচালক। উল্লেখ্য, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে গত কয়েক দিন থেকে আরাকান আর্মি ও দেশটির বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) সংঘর্ষ ভয়ংকর রূপ নিয়েছে। দু’পক্ষের ছোড়া গুলি ও মর্টারশেল এসে পড়ছে বাংলাদেশের ভেতরে। এ ঘটনায় গত ৫ ফেব্রুয়ারি দুপুরে বান্দরবানে মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টারশেলে এক বাংলাদেশি নারী ও এক রোহিঙ্গা নিহত হন। নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউপির ৪ নম্বর ওয়ার্ডের জলপাইতলি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত নারীর নাম হুসনে আরা (৫০)। তিনি জলপাইতলি এলাকার বাদশা মিয়ার স্ত্রী। এ ছাড়া নিহত রোহিঙ্গা তাদের বাড়ির কাজের লোক। জানা গেছে, মিয়ানমার জান্তার ছোড়া মর্টারশেল বাংলাদেশের ভূখণ্ডে বাদশা মিয়ার বসতবাড়িতে এসে পড়ে বিস্ফোরণ ঘটে। এতেই ওই নারীসহ তাদের বাড়ির কাজের লোক নিহত হন। বিষয়টি স্থানীয় ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলাম ও নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মান্নান নিশ্চিত করেন।
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২২:৩৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়