• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
আরটিভির মাধ্যমে সংগীত পরিচালনায় নাম লেখালেন জিকো
গীতিকার, সুরকার, সংগীত পরিচালক ও সংগীতশিল্পী পিন্টু ঘোষ। দীর্ঘ ১০ বছরের বেশি সময় কাজ করা দেশের অন্যতম জনপ্রিয় ব্যান্ড ‘চিরকুট’ ছেড়ে একক ক্যারিয়ার গড়েছেন তিনি। এবার তার পথেই হাঁটছেন তার ছোট ভাই জিকো। মূলত বড় ভাইয়ের অনুপ্রেরণায় সংগীত পরিচালনায় নিজের নাম লেখালেন তিনি। ছোট বেলা থেকেই গানের সঙ্গে যুক্ত জিকো। তিনি বাংলাদেশের যন্ত্রশিল্পীদের মাঝে অন্যতম একজন। তবে সংগীত পরিচালনা করেননি কখনো। এবার বড় ভাই পিন্টু ঘোষকে নিয়েই একসঙ্গে কাজ করলেন তিনি।  ইতোমধ্যে ৪টি গানের সংগীত পরিচালনা করেছেন জিকো। যেই চারটি গানের কণ্ঠ শিল্পী পিন্টু ঘোষ। ইতোমধ্যে আরটিভির জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ফোক স্টেশনের বড় আয়োজনের শুটিং সম্পন্ন হয়েছে। যা এই ঈদে প্রকাশ পাবে।  ফোক স্টেশনের সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন শুরুতেই বাজিমাত করবেন জিকো। 
২৮ মার্চ ২০২৪, ২২:০৮

যেভাবে গজলসম্রাট হয়ে উঠেছিলেন পঙ্কজ উদাস
সংগীত জগতে আবারও এক নক্ষত্রের পতন। সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) না ফেরার দেশে পাড়ি দেন বিখ্যাত গায়ক পঙ্কজ উদাস। মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিল ৭২। গুজরাটের এক কৃষক পরিবারে জন্ম নিয়েও নিজের গানের সুরে চারদিক আলো ছড়িয়েছেন তিনি। ক্যারিয়ারে উপহার দিয়েছেন অসংখ্য জনপ্রিয় গান। যা চিরকাল দাগ কেটে থাকবে গানপ্রেমীদের মনে। ১৯৫১ সালের ১৭ মে গুজরাটের জোতপুরে জন্মগ্রহণ করেন পঙ্কজ উদাস। তার শৈশব কাটে দুই ভাইয়ের গান শুনে। বলা যায়, পরিবারেই সংগীতের সঙ্গে বড় হতে থাকেন এই গায়ক। পঙ্কজ উদাসের দুই ভাই নির্মল উদাস ও মানহার উদাস গান করতেন। সে সময় গানের জগতে সফলতার খাতায় নাম লেখান তারাও। মাত্র পাঁচ বছর বয়সেই গানের প্রতি ভালোবাসা জন্ম নেয় এই গায়কের। সে থেকেই সংগীতই ধ্যানজ্ঞান হয়ে ওঠে তার। পঙ্কজ উদাসের ভাই নির্মল সিনেমায় নিয়মিত গান করতে থাকেন। সে সময় নির্মল ও মানহার একের পর এক গান করার সুযোগ পান। পাশাপাশি তাদের ভাই পঙ্কজ উদাসও যে গান করতে পছন্দ করেন, সেটাও অনেকের জানা ছিল। সেই ধারাবাহিকতায় মাত্র ১৩ বছর বয়সেই মঞ্চে গাওয়ার জন্য ডাক পড়ে পঙ্কজ উদাসের। একদিন মঞ্চে তার গাওয়া ‘অ্যায় মেরে ওয়াতান কে লোগো’ গানটি শুনে রীতিমতো মুগ্ধ হয়েছিলেন দর্শক-শ্রোতারা। একসময় এই গায়ককে নিয়ে ভিড় লেগে যায়। আর সেই ভিড়ের মধ্যেই তার গান শুনে মুগ্ধ হয়ে গায়কের পকেটে ৫১ রুপি বকশিশ দেন এক ভক্ত। সেটাই ছিল গান গেয়ে পঙ্কজ উদাসের প্রথম প্রাপ্তি। একটা সময় উদাস পরিবার গুজরাট থেকে মুম্বাইয়ে চলে আসে। সেখানে সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে ভর্তি হন পঙ্কজ উদাস। বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ডিগ্রি নিয়ে নিজের পড়াশোনা শেষ করেন। পরবর্তীতে ক্ল্যাসিক ভোকাল মিউজিকে মুম্বাইয়ের মাস্টার নাভরাং থেকে ট্রেনিং নেন তিনি। ভারতের শাস্ত্রীয় সংগীতে দক্ষতা অর্জনের সেই সময় প্রথম ‘কামনা’ নামের একটি সিনেমায় গান গাওয়ার সুযোগ হয় পঙ্কজ উদাসের। তবে সিনেমাটি ফ্লপ হলেও তার গাওয়া গানটি প্রশংসিত হয় দর্শক-শ্রোতা মহলে।  পরে গজলের প্রতি আগ্রহ বেড়ে যায় পঙ্কজ উদাসের। উর্দুতেও নিয়মিত গজল গাইতে থাকেন তিনি। যদিও তখন স্বল্প পরিসরে পাড়া–মহল্লায় গজল গেয়ে প্রশংসা কুড়ান এই গায়ক। এর পাশাপাশি গজলের অ্যালবাম করবেন বলে মনস্থির করেন পঙ্কজ উদাস। যেই কোথা সেই কাজ। অবশেষে ১৯৮০ সালের দিকে ‘আহাট’ নামে গজলের অ্যালবাম বের করার সুযোগ পান তিনি।  ‘মুকারার’, ‘তারান্নাম’, ‘ম্যাহফিল’সহ একাধিক অ্যালবাম দিয়ে রীতিমতো তারকা বনে যান তিনি। শ্রোতামহলে পৌঁছে যায় তার জাদুকরি কণ্ঠ। সব শ্রেণির ভক্তদের হৃদয় জয় করতে থাকেন পঙ্কজ উদাস। গজলশিল্পী হিসেবে দ্রুত পরিচিতি বাড়তে থাকে তার। পঙ্কজ উদাসের গাওয়া বেশ কিছু জনপ্রিয় গজল হলো— ‘চান্দি জ্যায়সা রং’, ‘না কাজরে কি ধার’, ‘দিওয়ারো সে মিলকার রোনা’, ‘আহিস্তা’, ‘থোড়ি থোড়ি পেয়ার করো’, ‘নিকলো না বেনাকাব’সহ আরও অনেক গান। থাকে। সে সময় গজলের গায়ক হিসেবে কানাডাসহ বিভিন্ন দেশের কনসার্টে ডাক পড়তে থাকে এই সংগীতশিল্পীর।  তবে প্রথম সিনেমায় গানের পর আর চলচ্চিত্রে গান করা নিয়ে খুব একটা আগ্রহ ছিল না পঙ্কজ উদাসের। এর মাঝেই হঠাৎ একদিন বলিউডের জনপ্রিয় নির্মাতা মহেশ ভাটের প্রডাকশন হাউস থেকে ‘নাম’ সিনেমায় গান গাওয়ার জন্য ডাক আসে পঙ্কজ উদাসের।  ১৯৮৬ সালে পুনরায় চলচ্চিত্রের গানে নাম লেখান পঙ্কজ উদাস। সেই গানটি ছিল—‘চিঠঠি আয়ি হ্যা, আয়ি হ্যা, চিঠঠি আয়ি হ্যায়’। এই গান সব মহলে তুমুল আলোচিত হয়। এরপরই মূলত একের পর এক সিনেমায় গান গাওয়ার জন্য ডাক পান তিনি। পরবর্তীকালে সিনেমায় গানই তাকে ভারতীয় উপমহাদেশে শ্রোতাদের কাছে পঙ্কজ উদাস হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেয়। গান নিয়ে যেমন ব্যস্ত থাকতেন, তেমনই ব্যক্তিজীবনে পরিবারকেও সময় দিতেন পঙ্কজ উদাস। শোনা যায় যে ব্যক্তিজীবন কিছুটা আড়ালে থাকতেই পছন্দ করতেন এই গায়ক। 
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:০৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়