• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ছেলের মুক্তির খবর শুনে আবেগাপ্লুত বাবা-মা
‘ছেলেকে ছাড়া ঈদের দিন আমরা আনন্দ করতে পারি নাই। ছেলে কখন খুশির সংবাদ দেবে সে অপেক্ষায় থাকতাম। আজ টিভিতে দেখতে পেলাম আমার ছেলেসহ সবাই মুক্তি পেয়েছে। এ কাথাটা টিভিতে শোনার পর আজ মনে হচ্ছে, আজকে আমাদের ঈদের দিন। তারপর ছেলে সকালের দিকে কল দিয়ে বলে বাবা ভালো আছি চিন্তা করো না। যেদিন আমার ছেলে আমার বুকে আসবে, সেদিন আরও বেশি আনন্দ হবো। মনটা ভরে যাবে আনন্দে।’  আবেগে আপ্লুত হয়ে এ কথাগুলো বলছিলেন নাবিক সাব্বিরের বাবা হারুন অর রশীদ।   নাবিক সাব্বিরের মুক্তির খবর শুনে তার পরিবারে খুশির বন্যা বইছে। সাব্বিরের বাসায় যেন আজ ঈদের আনন্দ লেগেছে।  পরিবার সূত্রে জানা যায়, সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পাওয়া নাবিক সাব্বির হোসনের টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার সহবতপুর ইউনিয়নের ডাঙা ধলাপাড়া গ্রামে। নাগরপুরের সহবতপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০১৪ সালে থেকে এসএসসি পাস করে। টাঙ্গাইল শহরের কাগমারি এম এম আলী কলেজ থেকে ২০১৬ সালে এইচএসসি পাস করে ভর্তি হন চট্টগ্রাম মেরিন একাডেমিতে। সেখান থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে পাস করে ২০২২ সালের জুন মাসে এমভি আব্দুল্লাহ নামের পণ্য বহনকারী একটি জাহাজে মার্চেন্ট কর্মকর্তা হিসেবে চাকরি নেন।  সাব্বিরের মা সালেহা বেগম বলেন, ‘সাব্বিবের সঙ্গে একটু কথা হয়েছে। বলেছে মা চিন্তা করো না আমরা মুক্তি পেয়েছি, সবাই ভালো আছি। এ কথা শোনার পর যেন মনটা ভরে গেল। ঈদের দিন আনন্দ করতে পারি নাই, ছেলের চিন্তায়। একটা মাস কিভাবে কেটেছে তা বলতে পারবো না। আজ যখন ছেলে কল দিয়ে বললো, মুক্তি পেয়েছি, ভালো আছি। কথাটা শোনার পর থেকে আজ যেন ঈদ মনে হচ্ছে। ছেলেকে কাছে পেলে আনন্দটা আরও বেশি বেড়ে যাবে, খুশি হবো।’  সাব্বিবের বোন মিতু আক্তার বলেন, ‘ভাইয়ের জন্য দুশ্চিন্তায় এক মাস আমাদের বিষাদের দিন কেটেছে। সকালে এক-দুই মিনিটের মতো আমার ভাইয়ের সঙ্গে আমি ও বাবা-মা কথা বলেছি। আমার ভাই বলেছে, আমরা সবাই ভালো আছি ও সুস্থ আছি। এ কথা শোনার পর আমাদের খুব ভালো লাগছে। খুব খুশি লাগছে। তবে আনন্দটা আরও বেড়ে যাবে আমার ভাই আমাদের কাছে আসলে। কবে দেশে আসবে তা এখনও বলতে পারছি না। আল্লাহর কাছে হাজার শুকরিয়া, সুস্থভাবে মুক্তি পেয়েছে। ঈদের দিন আমাদের আনন্দ ছিল না, আজ আমাদের ঈদের দিনের মতো লাগছে।’  নাগরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেজা মো. গোলাম মাসুম প্রধান বলেন, এখনও সাব্বিরের পরিবারের সঙ্গে কথা হয়নি।  উল্লেখ, এমভি আবদুল্লাহ জাহাজটি গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়ে। ওই জাহাজের ২৩ নাবিককে জিম্মি করা হয়। জাহাজটি কয়লা নিয়ে আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিকের মাপুতো বন্দর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হারামিয়া বন্দরের দিকে যাচ্ছিল। 
১৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৫৯

ছেলের মৃত্যুর খবর শুনে মারা গেলেন মা
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় নিখোঁজ সন্তানের মৃত্যুর খবর শুনে মারা গেছেন এক মা।  শনিবার (১৩ এপ্রিল) বিকেলে নিহত স্কুলছাত্র হাসিব মোল্যার (১৮) পরিবারের পক্ষ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়। জানা যায়, নিহত হাসিবের গ্রামের বাড়ি ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার পূর্ব সদরদীতে। নিখোঁজের একদিন পর খাল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ছেলের মরদেহ পাওয়া গেছে শুনে মারা যান তার মা হেলেনা বেগম (৪৫)। হাসিব মোল্যা পূর্ব সদরদীর বাস্তখোলা গ্রামের ফরহাদ হোসেন মোল্যার ছেলে। তবে হাসিবের পরিবার জীবিকার তাগিদে দীর্ঘ বছর ধরে ঢাকার ডেমরার সারুলিয়া নামক এলাকায় বসবাস করে আসছেন। বাবা ফরহাদ হোসেন ডেমরা এলাকার একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে সিকিউরিটি গার্ডের চাকরি করেন। হাসিব ডেমরা এলাকার একটি স্কুলে দশম শ্রেণির ছাত্র।  এ ঘটনায় শোকে স্তব্ধ ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার পৌরসভা এলাকার ছিলাধরচর বাস্তুখোলা গ্রামে নিহতদের স্বজনরা। এ ব্যাপারে হাসিবের চাচা মো. বিপ্লব মোল্যা বলেন, ঈদের নামাজ পড়তে বন্ধুদের নিয়ে বাসা থেকে বের হয় হাসিবুল। এরপর হাসিবুল মোল্যা আর বাসায় ফেরেনি। তার ব্যবহৃত মোবাইলটি বন্ধ ছিল। হাসিবকে তার বন্ধুরা ডেকে নিয়ে হত্যা করে খালে ফেলে দিয়েছে। আমরা এ হত্যার বিচার চাই।   এ বিষয়ে ডেমরা থানার ওসি মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকার ডেমরার একটি খাল থেকে হাসিবের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আমরা ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত কিছু সিসি ক্যামেরার ফুটেজ হাতে পেয়েছি। সেখানে দেখা গিয়েছে হাসিবসহ তিন বন্ধু মিলে মদ নিয়ে ঘুরছেন। পরে একটি বাড়িতে গিয়ে তিন বন্ধু মিলে মদ পান করেন। ওই রাতেই কাউকে না বলেই হাসিব বাড়ি থেকে বের হন। রাস্তা দিয়ে হেঁটে একটি ব্রিজে বসেন।  ওসি আরও বলেন, সেখান থেকে খালের পানিতে পড়ে হাসিবের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। আমরা মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল মর্গে পাঠিয়েছে। রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে। আপাতত থানাতে একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।
১৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৪৪

শিক্ষার্থীর কাছে ওএমআর শিট ছেঁড়ার অভিযোগ শুনে যা জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী
সদ্যসমাপ্ত মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় নকল সন্দেহে হুমাইরা ইসলাম ছোয়া নামে এক শিক্ষার্থীর উত্তরপত্র (ওএমআর শিট) ছেঁড়ার অভিযোগ ওঠে। এবার ওই শিক্ষার্থীকে পরিবারসহ সচিবালয়ে ডেকে অভিযোগ শুনলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় সচিবালয়ে আসেন হুমাইরাসহ তার পরিবারের সদস্যরা। এ সময় অভিযুক্ত ওই পরিদর্শক ডা. নাফিসা ইসলামও আসেন। জানা গেছে, এদিন অভিযোগ তোলা শিক্ষার্থী হুমাইরা ইসলাম ছোয়াসহ তার পরিবারের সদস্যদের সচিবালয়ে ডেকে পুরো ঘটনা শুনেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। অভিযুক্ত পরিদর্শক ডা. নাফিসা ইসলামের সঙ্গেও কথা বলেছেন তিনি। সবার কথা শোনার পর বিষয়টি খতিয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন মন্ত্রী। সাক্ষাৎ শেষে হুমাইরার বাবা বলেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী আমাদের কাছে ওএমআর শিট ছিঁড়ে ফেলা বিষয়ে সেই দিনের পুরো ঘটনা শুনেছেন। আমরা ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে বিচার চেয়েছি। স্বাস্থ্যমন্ত্রী শিগগিরই সার্বিক বিষয় খতিয়ে দেখে এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। তবে মন্ত্রীর কাছে অভিযুক্ত পরিদর্শক এ ঘটনায় তার সম্পৃক্ততা অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, আমরা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে সার্বিক তথ্য-প্রমাণাদি খতিয়ে দেখার অনুরোধ করেছি। তিনি সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে যে ব্যবস্থা নেবেন তার প্রতি আমার পরিবারের আস্থা রয়েছে।     অভিযোগকারী পরীক্ষার্থীর দাবি, নারী শিক্ষার্থীর কেন্দ্র ছিল রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্র (শেখ কামাল ভবন, অষ্টম তলা)। পরীক্ষায় অসৎ উপায় অবলম্বনের সন্দেহে একজন পর্যবেক্ষক ওই শিক্ষার্থীসহ তিনজনের ওএমআর শিট ছিঁড়ে ফেলেন। পরে পর্যবেক্ষক তার ভুল বুঝতে পারেন এবং নতুন ওএমআর শিট দেন। তবে তখন পরীক্ষা শেষ হতে আর মাত্র পাঁচ মিনিট বাকি ছিল। বারবার অনুরোধ করার পরও পরীক্ষা পর্যবেক্ষক তাদের জন্য পরীক্ষার সময় বাড়াননি। এদিকে অভিযুক্ত পরিদর্শক ডা. নাফিসা ইসলামের দাবি, ওই দিন ওএমআর ফরম ছিঁড়ে ফেলা কিংবা পরীক্ষার্থীর কাছে ইলেকট্রিক ডিভাইস পাওয়ার মতো কোনো ঘটনাই ঘটেনি। তাই অভিযোগকারী শিক্ষার্থীর চেহারা আমার মনে নেই। তবে তদন্ত কমিটির সঙ্গে আবারও সেই হল পরিদর্শনে গিয়ে নিশ্চিত হয় আমি হলের ওই প্রান্তেই যায়নি। ওই খাতায় আমার স্বাক্ষরও নেই। তিনি বলেন, ওই দিন একজন শিক্ষার্থীও ভুল করেননি, ফলে ওএমআর শিটও পরিবর্তন করে দেওয়া হয়নি। তার খাতায় আমার সাইন নেই; থাকারও কথা না। কারণ, ওই সাইডে অভিযোগকারীর রোলও পড়েনি। ডা. নাফিসা বলেন, নিজেকে আমি আড়াল করিনি। এটা আমার দুর্ভাগ্য। আমাকে তারা যে নম্বরে ফোন করেছেন, পরিদর্শকের তালিকায় আমার যে নম্বর ছিল, সেটা টাইপিং মিসটেকজনিত ভুল ছিল। পরে এ বিষয়ে হল সুপারের সঙ্গে কথা হয়েছে। এছাড়া আমি নিয়মিত হাসপাতালেও যাচ্ছি। কিন্তু হাসপাতালে আমাকে যে বিভাগে খোঁজা হয়, আমি সেই বিভাগে ছিলাম না। আমার প্লেসমেন্ট ছিল অন্য জায়গায়। আমার নামটা সরাসরি চলে আসায় আমার সন্দেহ হয়েছিল যে আমার নামে কিছু ছড়াতে পারে, সেজন্য বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আমি ফেসবুক ডিঅ্যাকটিভেট করি। মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় নকল সন্দেহে শিক্ষার্থীর উত্তরপত্র (ওএমআর শিট) ছেঁড়ার অভিযোগ তদন্ত করতে ৪ সদস্যের কমিটি করেছে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর। এরই মধ্যে তদন্ত কমিটি বেশ কয়েকবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সংশ্লিষ্ট সবাইকে। তারা জানিয়েছে এমন কোনো কোনো ঘটনাই ঘটেনি এই হলে। 
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:৫৭

ছেলের মৃত্যুর খবর শুনে বাবার মৃত্যু
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ছেলের মৃত্যুর সংবাদ শুনে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বাবাও মারা গেছেন।  মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে উপজেলার ছেঁউড়িয়া মণ্ডলপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। মৃতরা হলেন- উপজেলার ছেঁউড়িয়া মণ্ডলপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মৃত হারান মণ্ডলের ছেলে কাবিল (৭০) ও কাবিলের ছেলে আবিদুল (৪৫)। স্থানীয়রা জানান, সকালে নিজের বাসায় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন আবিদুল। প্রথমে তাকে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। কিছুক্ষণ পরে অবস্থার অবনতি হলে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তিনি মারা যান। এদিকে ছেলের মৃত্যুর সংবাদ বাড়িতে পৌঁছালে বাবা কাবিল মিয়া গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাৎক্ষণিক তাকে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে তিনিও হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান। মাত্র দুই ঘণ্টার ব্যবধানে বাবা-ছেলের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। কুমারখালী উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এনামুল হক মনজু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২২:০৯

কিয়ারার হাতঘড়ির দাম শুনে অবাক নেটিজেনরা
বলিউড অভিনেত্রী কিয়ারা আদভানি। ক্যারিয়ারে বেশ কিছু দর্শকপ্রিয় সিনেমা উপহার দিয়েছেন তিনি। ভালোবেসে অভিনেতা সিদ্ধার্থ মালহোত্রার সঙ্গে ঘর বেঁধেছেন এই অভিনেত্রী। বর্তমানে কাজ আর সংসার নিয়েই ব্যস্ত সময় পার করছেন কিয়ারা।  বলিউডের অন্য অভিনেত্রীদের মতো কিয়ারাও দারুণ ফ্যাশন সচেতন। ব্যক্তিগত জীবনে বিলাসবহুল জিনিসপত্র ব্যবহার করে থাকেন তিনি। এবার বিলাসবহুল ব্র্যান্ডের ঘড়ি পরে খবরের শিরোনামে উঠে এলেন কিয়ারা।   সম্প্রতি করণ জোহরের ‘কফি উইথ করণ’ অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন কিয়ারা।  এদিন কালো রঙের পোশাকের সঙ্গে একটি ব্রেসলেট ঘড়ি পরেন তিনি। পাশাপাশি হালকা মেকাপে লাস্যময়ী রুপেই ক্যামেরায় ধরা দেন কিয়ারা। কিন্তু সবকিছু ছাপিয়ে নেটিজেনদের নজর কেড়েছে এই ঘড়ি। শুধু তাই নয়, ঘড়ির মূল্য শুনেই অবাক হয়েছেন নেটিজেনরা। সেরপেন্তি স্পিগ ওয়াচটির মূল্য ৪৭ হাজার মার্কিন ডলার। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৫১ লাখ ৭২ হাজার টাকার বেশি। ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্র অনুযায়ী, কিয়ারার ঘড়িটি প্রস্তুত করেছে ইতালির বিলাসবহুল ব্র্যান্ড বুলগারি সেরপেন্তি। ব্র্যান্ডটির অফিশিয়াল ওয়েবসাইট ঘুরে দেখা যায়— বাজারে ঘড়িটি নতুন এনেছে প্রতিষ্ঠানটি।  জানা গেছে, কিয়ারার এই ঘড়িটি প্রস্তুত করতে ১৮ ক্যারেটের হোয়াইট গোল্ড এবং হীরা ব্যবহার করা হয়েছে। পানির ৩০ মিটার গভীর পর্যন্ত ঘড়িটি পানি প্রতিরোধী।  প্রসঙ্গত, কিয়ারা অভিনীত সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘সত্য প্রেম কি কথা’। এতে  তার বিপরীতে দেখা যায় কার্তিক আরিয়ানকে। সমীর বিদ্যানস পরিচালিত সিনেমাটি গেল বছরের ২৯ জুন মুক্তির পরই ব্যাপক সাড়া ফেলে বক্সঅফিসে। এছাড়া বর্তমানে ‘গেম চেঞ্জার’ ও ‘ওয়ার টু’ সিনেমার কাজ নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন কিয়ারা।   সূত্র : বলিউড শাদিস ডটকম   
৩০ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:৫০

শ্বশুরের মৃত্যু, সেই খবর শুনে মারা গেলেন পুত্রবধূ
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট এলাকায় শারীরিক নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে সাহেব আলী (৭১) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। শ্বশুরের মৃত্যু শোক সইতে না পেরে পুত্রবধূ ছমিরন বেগম (৪৩) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। চিকিৎসকদের ধারণা, হার্ট অ্যাটাকে ছমিরন বেগম মারা গেছেন। শনিবার (১৩ জানুয়ারি) বিকেলে উপজেলার কালিঞ্জিরা (ওহিউড়া) গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।  এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সাহেব আলী ওই গ্রামের মৃত কসর আলী ছেলে। ছমিরন বেগম সাহেব আলীর ছেলে ছানাউল মিয়ার স্ত্রী।  । নিহত সাহেব আলী ওই গ্রামের মৃত কসর আলীর ছেলে এবং ছমিরন বেগম ছানাউল মিয়ার স্ত্রী।  নিহত সাহেব আলী এবং ছমিরন বেগম শ্বশুর-পুত্রবধূর বাহিরে সম্পর্কে চাচা-ভাতিজিও ছিলেন। অর্থাৎ সাহেব আলী ভাইয়ের মেয়ের সঙ্গে নিজের ছেলের বিবাহ দিয়েছিলেন। পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে প্যারালাইসিসে আক্রান্ত ছিলেন সাহেব আলী। এছাড়া বয়সের কারণে শারীরিক নানা জটিলতায় ভুগছিলেন এই বৃদ্ধ। শনিবার বিকেলে নিজ বাড়িতেই মারা যান সাহেব আলী। এর কিছু সময় পরে শ্বশুরের মৃত্যুর শোক সইতে না পেরে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন পুত্রবধূ ছমিরন বেগম। পরে পরিবারের সদস্যরা তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলে চিকিৎসক তাকেও মৃত ঘোষণা করেন। নিহতদের প্রতিবেশী লিটন মিয়া জানান, নিহত ছমিরন বেগম ইতোপূর্বে একবার হার্ট অ্যাটাক করেছিলেন। আজ বিকেলে কিছু সময়ের ব্যবধানে শ্বশুর এবং ছেলের বউ মারা যান। রোববার সকাল ১১টায় দুজনের দাফন হবার কথা রয়েছে। ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. পার্থজ্বীময় সরকার জানান, সন্ধ্যার আগে পরিবারের লোকজন ছমিরন বেগমকে হাসপাতালে নিয়ে এসেছিল। তবে আমরা তাকে মৃত্যু অবস্থায় পেয়েছি। ধারণা করা হচ্ছে, হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তিনি মারা গেছেন।
১৩ জানুয়ারি ২০২৪, ২২:৫৩

স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়ী শুনে কমিশনারের কার্যালয়ে নৌকা প্রার্থী
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যাত্রাবাড়ী, ডেমরা ও কদমতলী থানার একাংশ নিয়ে গঠিত ঢাকা-৫ আসনে ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মশিউর রহমান মোল্লাকে বিজয়ী ঘোষণা করেছেন বিভাগীয় কমিশনার ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. সাবিরুল ইসলাম। এ খবর শুনতেই রোববার (৭ জানুয়ারি) দিবাগত  রাত ১টায় নেতাকর্মীদের নিয়ে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে হাজির নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হারুনর রশীদ (মুন্না)।   ভোট গণনায় ভুলের অভিযোগ এনে তিনি বলেন, টিভিসহ সব জায়গায় চলে এসেছে আমি জিতলাম, এখন দেখি হারলাম!  রিটার্নিং কর্মকর্তার সঙ্গে সাক্ষাতের পর হারুনর রশীদ (মুন্না) বলেন, কেন্দ্রে আমার যারা এজেন্ট ছিল, তারা রেজাল্ট শিট নিয়ে এসেছিল। রেজাল্ট শিট আমরা মিলিয়ে দেখেছি, আমরা ৬১৩ ভোটে এগিয়ে। এরপর সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আমি আওয়ামী লীগের প্রার্থী, আমি বিজয়ী হয়েছি। আমার দল আওয়ামী লীগ এটা দেখবে। ভোট কারচুপি হয়নি, তবে গণনায় ভুল হয়েছে। সহকারী রিটার্নিং অফিসার ভুল করেছে। আমি ৬১৩ ভোটে জিতেছি। কিন্তু ২৯৭ ভোটে হার দেখানো হয়েছে। ১৮৭টি কেন্দ্রের ভোট পুনঃগণনার দাবি জানাচ্ছি।'  রিটার্নিং কর্মকর্তা এ বিষয়ে  ট্রাইব্যুনালে আপিল করার পরামর্শ দিয়েছেন জানিয়ে নৌকার এ প্রার্থী বলেন, 'আমি অবশ্যই আপিল করব।’ এ সময় আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য অ্যাডভোকেট রিয়াজুল কবির কাওসার তার সঙ্গে  ছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমরা ইসিকে এ  বিষয়ে জানিয়েছি। আজ প্রয়োজনীয় কাগজ নিয়ে ইসিতে যাব।’ এর আগে, রোববার (৭ জানুয়ারি) রাত ১২টা ৪৫ মিনিটে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে বিভাগীয় কমিশনার ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. সাবিরুল ইসলাম বেসরকারিভাবে ভোটের ফল ঘোষণা করেন। ঘোষণা অনুযায়ী, ঢাকা-৫ আসনে ট্রাক প্রতীকের মশিউর রহমান মোল্লা ৫০ হাজার ৬৩১টি ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকার প্রার্থী হারুনর রশীদ (মুন্না) পেয়েছেন ৫০ হাজার ৩৩৪টি ভোট। অর্থাৎ, ট্রাক প্রতীকের মশিউর রহমান মোল্লার কাছে ২৯৭ ভোটে হেরে যান নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হারুনর রশীদ (মুন্না)। আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীকের কামরুল হাসান পেয়েছেন ১০ হাজার ৫৭০ ভোট।
০৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:৫০

মায়ের মারা যাওয়ার খবর শুনে চলে গেলেন ছেলেও
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় মায়ের মৃত্যুর খবর শুনে মারা গেছেন ছেলেও। বুধবার (৩ জানুয়ারি) রাতে মারা যান মা লায়লা বেগম (৭০)। এর আধঘণ্টা পরে মারা যান মো. রেজাউল করিম (৪৫)। চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার মরিয়মনগর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব সৈয়দবাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। জানা যায়, তিন মাস আগে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবি থেকে দেশে আসেন মো. রেজাউল করিম। দুই মেয়ে আছে। মরিয়াম নগর ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুল ইসলাম হিরু বলেন, রেজাউল করিমের মা লায়লা বেগম (৭০) বুধবার চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে রাত ৯টা ৩০ মিনিটে দিকে মারা যান। মায়ের মৃত্যুর খবর শুনে রাত ১০টার দিকে হৃদরোগে আক্রান্ত হন। পরে তাকে উপজেলার চন্দ্রঘোনা হেলথ কেয়ার হসপিটালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মরিয়মনগর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য মো. ইসমাইল গণমাধ্যমকে বলেন, মা-ছেলের মৃত্যুর খবরে এলাকার সবাই শোকাহত। রেজাউলের দুই মেয়ে আছে। বৃহস্পতিবার মা ও ছেলের জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
০৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮:০৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়