• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
রাষ্ট্রের সব স্তম্ভ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে : মির্জা ফখরুল
বিএনপির ওপর ভয়ংকর দানবের আক্রমণ চলছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফখরুল বলেন, সরকার ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। নেতাকর্মীদের গুম, পঙ্গু ও খুন করা হচ্ছে। বিচার বিভাগসহ রাষ্ট্রের সব স্তম্ভ আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। শনিবার (৬ এপ্রিল) রাজধানীর ইস্কাটন লেডিস ক্লাবে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত দোয়া ও ইফতার মাহফিলে এ কথা বলেন তিনি। খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা এবং সরকার বিরোধী আন্দোলনে নিহত ও নিখোঁজ হওয়া নেতাকর্মীদের পরিবারের সম্মানে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। মির্জা ফখরুল বলেন, এই মাস পবিত্র মাস। আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করছি,ক্ষমা করে দিন। দানব সরকার আমাদের বুকে চেপে বসেছে তা থেকে মুক্তি দিন। এ সরকারকে সরাতে না পারলে দেশ ধ্বংস হয়ে যাবে । এদের বিতাড়িত করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। ফখরুল আরও বলেন, নবীজীও একদিনে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করতে পারেননি। আমাদের অত্যাচারিত নিপীড়িত নেতাকর্মীরাও হতাশ নয়। তারা বলছে আপনারা যদি সঠিক দিকনির্দেশনা দেন, আন্দোলনের ডাক দেন, আমরা রাজপথে প্রাণ দিয়ে হলেও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করবো। প্রতিটি বড় বিজয়ের জন্য ত্যাগ স্বীকার করতে হয়। বিএনপি মহাসচিব বলেন, কারাগারের ভেতর ঢাকা মহানগরের হাজারো নেতাকর্মী আমি দেখেছি। পবিত্র রমজানেও তারা বিনাদোষে বন্দি জীবনযাপন করছে। প্রাণপ্রিয় নেত্রী খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে প্রতিনিয়ত মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। বিএনপির ৬০ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ২৮ ও ২৯ অক্টোবর দুইদিনেই ৩৭ হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি বলেন, কর্তৃত্ববাদী শাসক তাদের ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করতে চায়। এর আগে তারা এই চেষ্টা করেছিলো। সফল হয়নি, এবারও সফল হবে না। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে ও দক্ষিণের সদস্য রফিকুল আলম মজন এবং উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ঢাকা মহানগর উত্তরের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার প্রমুখ।  
০৬ এপ্রিল ২০২৪, ২০:২৯

ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিচ্ছে ইউরোপের ৪ দেশ
ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে সম্মত হয়েছে ইউরোপের চার দেশ স্পেন,  আয়ারল্যান্ড, মাল্টা ও স্লোভেনিয়া। এ বিষয়ে এরইমধ্যে দেশগুলো প্রাথমিক পদক্ষেপও নিয়েছে। আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়ে গত শুক্রবার ব্রাসেলসে ইউরোপিয়ান কাউন্সিলে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের পর আশা প্রকাশ করে স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ বলেন, গত বছর শুরু হওয়া তার সরকারের চার বছরের মেয়াদকালের মধ্যে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ফিলিস্তিনের স্বীকৃতি মিলবে। এদিকে আয়ারল্যান্ড এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছে, ‘আমরা সম্মত হয়েছি, দীর্ঘস্থায়ী শান্তি ও স্থিতিশীলতা অর্জনের একমাত্র উপায় হলো একটি দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধান বাস্তবায়ন করা। তাহলেই কেবল ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনিরা শান্তি ও নিরাপত্তার সঙ্গে পাশাপাশি বসবাস করতে পারবে।’ উল্লেখ্য, ১৯৮৮ সাল থেকে জাতিসংঘের ১৯৩টি সদস্যরাষ্ট্রের মধ্যে ১৩৯টি দেশ ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে আসছে।  প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই গাজায় পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। যা এখনও অব্যাহত রয়েছে। হামলায় এখন পর্যন্ত নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা ৩২ হাজারের কাছাকাছি পৌঁছেছে। এ ছাড়া আহতের সংখ্যা ৭৪ হাজার ছাড়িয়েছে। চলমান এই সংঘাত ঘিরে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের জোর দাবি উঠছে।
২৩ মার্চ ২০২৪, ২৩:১১

‘বঙ্গবন্ধুর দর্শন আছে বলেই নির্বাচনে শক্তিধর রাষ্ট্রের ষড়যন্ত্রও সফল হয়নি’
বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শন ও আদর্শ এদেশের সব মানুষের অন্তরে আছে বলেই বিগত নির্বাচনে শক্তিধর রাষ্ট্রের ষড়যন্ত্রও সফল হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল।  শনিবার (১৬ মার্চ) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে সম্প্রীতির বাংলাদেশ আয়োজিত ‘বাঙালি অস্তিত্বের উৎস বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি। উপাচার্য বলেন, যে দলের জন্ম দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু, যে দলের অস্তিত্বের মধ্যে আছে বঙ্গবন্ধু, যে দলের উৎস হলো বাঙালি জাতীয়তাবাদ আর অসাম্প্রদায়িকতা, সেই দলকে কখনও ধ্বংস করা যাবে না। বঙ্গবন্ধু, তার পরিবার এমনকি বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক অনুসারীদের হত্যা করলেও যে আদর্শ মানুষের অন্তরে আছে, সে আদর্শকে কখনই হত্যা করা যায় না। সেটির প্রমাণ হলো আজকে বারবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্র ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শন, অর্থনৈতিক দর্শন, সামাজিক দর্শন এবং বঙ্গবন্ধুর পররাষ্ট্রনীতি সেটি বাস্তবায়ন হতে চলেছে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শন টিকে আছে বলেই এখনও বাংলাদেশ টিকে আছে। এমনকি এ কারণে দেশে এখনও আওয়ামী লীগ টিকে আছে এবং অসাম্প্রদায়িকতা টিকে আছে। এরপর শিক্ষানীতির প্রসঙ্গ টেনে ড. মাকসুদ কামাল বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরপরই বাংলাদেশের শিক্ষানীতি করার জন্য ড. কুদরত-ই-খুদাকে প্রধান করে কমিশন করেন বঙ্গবন্ধু। ড. কুদরত-ই-খুদা সেদিন যে শিক্ষানীতি দিয়েছিলেন যদি বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকতেন এবং সেই শিক্ষানীতি যদি প্রয়োগ হতো তাহলে বাংলাদেশ আজকে যে অবস্থানে আছে তার বহু আগেই সিঙ্গাপুরের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক যে স্থিতিশীলতা সেটি বাংলাদেশ অর্জন করতো। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু যদি এখন পর্যন্ত বেঁচে থাকতেন, তাহলে শিক্ষাক্ষেত্রেও সিঙ্গাপুরের যে অগ্রগতি, সেটি বহু আগেই বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্র অর্জন করতো। কিন্তু ঘাতকরা সেটি হতে দেয়নি। ঘাতকরা চেয়েছে বাংলাদেশ হবে পাকিস্তানের মতো অনেকটা মৃত অকার্যকর রাষ্ট্রের মতো। সেই রাষ্ট্রের যে ধ্যান ধারণা ছিল সেই ধ্যান ধারণার মতো বাংলাদেশ চলবে। সেজন্যই ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুকে ও বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক সহকর্মীদের হত্যা করে এবং আওয়ামী লীগ নামক রাজনৈতিক দলকে হত্যা করার পাঁয়তারা করে। সম্প্রীতি বাংলাদেশের সদস্য সচিব অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীলের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পালি অ্যান্ড বুদ্ধিস্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. বিমান চন্দ্র বড়ুয়া, বঙ্গবন্ধু গবেষক মেজর (অব.) হাফিজুর রহমানসহ প্রমুখ।   
১৬ মার্চ ২০২৪, ১৯:১২

রাষ্ট্রের ৩ সর্বোচ্চ পদের প্রস্তাবক ছিলেন ওবায়দুল কাদের, জানালেন অনুভূতি
রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী- রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ এই তিনটি পদেরই প্রস্তাবক ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এ নিয়ে নিজের অনুভূতির কথা জানালেন তিনি।  মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন মুলতবির পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এমন কথা বলেন। সেতুমন্ত্রী বলেন, আমি চিন্তা করে দেখলাম তিনটি প্রধান পদের প্রস্তাবক ছিলাম আমি। সেটা হলো- রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও সবশেষে স্পিকার। এ সময় বিরোধী দলের ভূমিকা কী হবে, জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের এই সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদেরকে সমালোচনা করার জন্য বলেছেন। তারা প্রয়োজনে সরকারের সমালোচনা করবেন। এখানে বিভ্রান্তির কিছু নেই। বিরোধী দল মানে বিরোধী দল, তারা সমালোচনা করতে পারবেন। সবচেয়ে ছোট বিরোধী দল : দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে কম সংখ্যক মাত্র ১১ এমপি নিয়ে সংসদে বিরোধী দলের ভূমিকা রাখবে জাতীয় পার্টি। আসন বণ্টনের হিসেবে তারা আরও দুটি সংরক্ষিত নারী আসন পাবে। বাংলাদেশের সংসদীয় ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখা যায়, ১ম ও ৬ষ্ঠ সংসদে কোনো বিরোধী দল ছিল না। আর এতদিন বিরোধী দলের সবচেয়ে কম সদস্য থাকার নজির ছিল চতুর্থ সংসদে। সেবার আ স ম আবদুর রবের নেতৃত্বে সম্মিলিত বিরোধী দলের আসন ছিল ১৯টি। সর্বোচ্চ সংখ্যক স্বতন্ত্র এমপি : দ্বাদশ সংসদে সবচেয়ে আলোচিত হচ্ছেন স্বতন্ত্র এমপিরা। নতুন নজির বা প্রথমবারের মতো সর্বোচ্চ সংখ্যক মোট ৬২ জন স্বতন্ত্র এমপি সংসদে অবস্থান করবেন। দেশের সংসদীয় ইতিহাসে এবারই এমন অবস্থা দেখা যাবে। নির্বাচনে রাজনৈতিক দল হিসেবে দ্বিতীয় স্থানে থাকা জাতীয় পার্টির তুলনায় স্বতন্ত্রদের সংখ্যা প্রায় ছয় গুণ বেশি, এমন রেকর্ডও এবারই প্রথম।
৩০ জানুয়ারি ২০২৪, ২০:১৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়