• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
রাজবাড়ীর ২ আসনে জামানত হারালেন ৮ প্রার্থী
প্রাপ্ত ভোটের ফলাফলের ভিত্তিতে রাজবাড়ীর ২টি সংসদীয় আসনে জাতীয় পার্টির ২ প্রার্থীসহ মোট ৮ প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।  সোমবার (৮ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে রাজবাড়ী জেলা নির্বাচন অফিসার মো. অলিউল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, ভোট কাস্টিংয়ের ৮ ভাগের একভাগ ভোট না পেলে ওই প্রার্থী জামানত হারান। সে হিসাবে রাজবাড়ী-১ ও রাজবাড়ী-২ দুই সংসদীয় আসনে বিজয়ী ও নিকটতম প্রার্থী ছাড়া ৮ প্রার্থীই জামানত হারিয়েছে। জানা গেছে, রাজবাড়ী-১ (রাজবাড়ী সদর ও গোয়ালন্দ) আসনে আওয়ামী লীগসহ ৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এরমধ্যে আওয়ামী লীগের প্রার্থী কাজী কেরামত আলী (নৌকা) ৯৭ হাজার ৩৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। এ বিজয়ে তিনি ৬ষ্ঠ বারের মতো এমপি নির্বাচিত হলেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ইমদাদুল হক বিশ্বাস ট্রাক প্রতীকে পেয়েছেন ৫৩ হাজার ১৩২ ভোট। এ আসনে জামানত হারানো প্রার্থীরা হলের, জাতীয় পার্টির প্রার্থী অ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমান বাচ্চু, তিনি লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন ১ হাজার ৬১৮ ভোট। তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী ডিএম মজিবুর রহমান সোনালী আঁশ প্রতীকে পেয়েছেন ২ হাজার ৯১ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী স্বপন সরকার ঈগল প্রতীকে পেয়েছেন ৪৮৭ ভোট ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল মান্নান মুসল্লী ঢেঁকি প্রতীকে পেয়েছেন ২ হাজার ৫৫২ ভোট। রাজবাড়ী-১ আসনে ১ লাখ ৫৯ হাজার ৫৮৪ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। অপরদিকে রাজবাড়ী-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. জিল্লুল হাকিম নৌকা প্রতীক নিয়ে ২ লাখ ৩১ হাজার ৮৮৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। এ বিজয়ে তিনি পঞ্চমবারের মতো এমপি নির্বাচিত হলেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নূরে আলম সিদ্দিকী হক ঈগল প্রতীকে পেয়েছেন ৪৬ হাজার ৪৬৬ ভোট। এই আসনে জামানত হারানো প্রার্থীরা হলেন, জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. শফিউল আজম খান, তিনি লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২ হাজার ৫৩৪ ভোট। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) মনোনীত প্রার্থী মো. আব্দুল মতিন মিয়া মশাল প্রতীকে পেয়েছেন ২ হাজার ৬০২ ভোট, তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী এস এম ফজলুল হক সোনালী আঁশ প্রতীকে পেয়েছেন ৭৬৫ ভোট ও বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের মো. আব্দুল মালেক মণ্ডল ছড়ি প্রতীকে পেয়েছেন ৮৪৭ ভোট। রাজবাড়ী-২ আসনে মোট ২ লাখ ৯১ হাজার ২৩৮ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।
০৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১৩:৩৩

বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে থাকা রাজবাড়ীর তিনজন নিখোঁজ
রাজধানীর গোপীবাগে শুক্রবার রাতে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগু‌নের ঘটনায় এখনও নি‌খোঁজ র‌য়ে‌ছেন রাজবাড়ীর তিনজন। তা‌দের বাড়িতে চল‌ছে মাতম। নিখোঁজরা হলেন- রাজবাড়ী সদর উপজেলার সাজ্জাদ হোসেনে স্ত্রীর এলিনা ইয়াস‌মিন (৪০), একই উপজেলার বেলগাছি আলিমুজ্জামান স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক প্রয়াত চিত্ত রঞ্জনের মেয়ে চন্দ্রিমা চৌধুরী সৌমি (২৮) এবং কালুখালী উপজেলার মৃগী ইউনিয়নের গাংবথন্দিয়া গ্রামের আব্দুল হকের ছেলে আবু তালহা। তালহা সৈয়দপুরের বাংলাদেশ আর্মি ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। তিনি পরিবার নিয়ে ফরিদপুর শহরে থাকেন। জানা গে‌ছে, শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজবাড়ী রেলও‌য়ে স্টেশন থে‌কে ঢাকায় যাওয়ার জন্য বেনা‌পোল এক্স‌প্রেস ট্রেনে ওঠেন এলিনা, সৌমি ও আবু তালহাসহ ৬৫ জন যাত্রী। বাবার কুলখা‌নি শে‌ষে ৬ মা‌সের শিশু সন্তান, বোন ডেইজি আক্তার রত্না, বোন জামাই ইকবাল বাহার ও তা‌দের দুই সন্তানসহ বেনা‌পোল এক্স‌প্রেস ট্রেনে ‘চ’ ব‌গি‌তে ঢাকায় যা‌চ্ছিলেন এলিনা। অন্যদিকে সৌমি ঢাকায় তার ভাইয়ের বাড়িতে বেড়াতে যাচ্ছিলেন। আবু তালহাও যাচ্ছিলেন ঢাকায়। তবে কমলাপুর স্টেশনে পৌঁছা‌নোর আগে রাজধানীর গোপীবাগে বেনাপোল এক্সপ্রেসে ভয়ানক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে ট্রেনের ‘চ’ বগিসহ মোট চারটি বগি পুড়ে যায়। সেই সঙ্গে ঘটনাস্থলেই মারা যান ৪ যাত্রী। আর এরপর থেকেই নিখোঁজ এলিনা, সৌমি ও আবু তালহা। চন্দ্রিমার পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ট্রেনে আগুন লাগার আধাঘণ্টা আগেও চন্দ্রিমার সঙ্গে কথা হয় তার পরিবারের। তবে ট্রেনে আগুন লাগার পর থেকে তার খোঁজ পাচ্ছে না পরিবার। তার মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। চন্দ্রিমার চাচা অতনু বলেন, চন্দ্রিমার পড়ালেখা শেষ। তিনি ঢাকায় তার ভাইয়ের বাসায় থেকে চাকরির চেষ্টা করছিলেন। শুক্রবার তিনি রাজবাড়ী স্টেশন থেকে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে ঢাকার উদ্দেশ্য যান। কিন্তু অগ্নিকাণ্ডের পর থেকে তার কোনো সন্ধান পাচ্ছি না আমরা। আবু তালহার বাবা আব্দুল হক বলেন, আমাদের গ্রামের বাড়ি রাজবাড়ীর কালুখালীতে হলেও আমরা এখন ফরিদপুরে থাকি। আবু তালহা শুক্রবার সন্ধ্যায় ফরিদপুর স্টেশন থেকে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে ঢাকার উদ্দেশ্য যান। কিন্তু অগ্নিকাণ্ডের পর থেকে তার আর কোনো খোঁজ পাইনি। জানা গেছে, এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এলিনার সঙ্গে থাকা বোন, বোনের স্বামীসহ সবাই দগ্ধ হয়েছেন। বর্তমা‌নে সবাই ঢাকা মে‌ডি‌কে‌লে চি‌কিৎসাধীন র‌য়ে‌ছেন। তবে এ ঘটনার পর থেকে এলিনা ইয়াসমিনের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। একই সঙ্গে এ ঘটনার পর সৌমি ও আবু তালহার কোনো খোঁজ পাচ্ছে না তাদের পরিবার। তাদের খোঁজ পেতে সরকারসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সহ‌যো‌গিতা কামনা ক‌রে‌ন পরিবারের সদস্যরা।  রাজবাড়ী রেলস্টেশনের মাস্টার তন্ময় কুমার দত্ত বলেন, বেনাপোল থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে রাজবাড়ী জেলার জন্য আসন বরাদ্দ থাকে মোট ৫৫টি। কিন্তু শুক্রবার রাজবাড়ী থেকে আনুমানিক ৬৫ জন যাত্রী বেনাপোল এক্সপ্রেসে ঢাকার উদ্দেশ্যে যান।
০৬ জানুয়ারি ২০২৪, ২০:৩৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়