• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
বাংলা ভাষায় মুক্তি পাবে ‘পুষ্পা টু’, কণ্ঠ দিচ্ছেন যে বাঙালি গায়ক
আল্লু অর্জুন ও রাশমিকা মান্দানা অভিনীত সিনেমা ‘পুষ্পা’। ২০২১ সালে মুক্তির পর ব্যাপক সাড়া পেয়েছিল সিনেমাটি। রীতিমতো ঝড় তুলেছিল বক্স-অফিসে। শিগগিরই আবারও ধামাকা নিয়ে আসছেন দক্ষিণের জনপ্রিয় এই অভিনেতা। এবার জানা গেল, বাংলা ভাষায় মুক্তি পাবে ‘পুষ্পা টু’ সিনেমা। আর এতে কণ্ঠ দিচ্ছেন বাংলার জনপ্রিয় এক গায়ক। ‘পুষ্পা’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন আল্লু অর্জুন। শুধু তাই নয়, রাতারাতি আন্তর্জাতিক তারকা হিসেবে উত্তরণও ঘটেছে তার।   শোনা যাচ্ছে, ‘পুষ্পা টু’ সিনেমায় বাংলা ভাষায় মুক্তি পাওয়ার পাশাপাশি সেখানে কণ্ঠ দিতে যাচ্ছেন বাংলার জনপ্রিয় গায়ক তিমির বিশ্বাস। সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যমে এ প্রসঙ্গে গায়ক জানান, সবটাই প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। এখনই কোনো কিছু খোলসা করতে রাজি নন তিনি। গেল বছর এপ্রিলে ‘পুষ্পা টু’ সিনেমার প্রথম পোস্টার মুক্তি পেয়েছিল আল্লু অর্জুনের জন্মদিনে। সে সময় পোস্টারে আল্লু অর্জুনের ‘লুক’ দেখে রীতিমতো হইচই পড়ে গিয়েছিল নেটদুনিয়ায়। এর আগে অভিনেতাকে এই রূপে কখনও দেখা যায়নি। লাল টকটকে কপাল আর নীলাভ গাল। জোড়া ভ্রুর মাঝে জ্বলজ্বল করছে চন্দনের ফোঁটা। ওই পোস্টারে আল্লু অর্জুনের পরোনে ছিল শাড়ি, গলায় লেবুর মালা, মুখে দাড়ি-গোঁফ। হাতে ধরা বন্দুক। খানিকটা বৃহন্নলার সাজেই ধরা দিয়েছিলেন এই অভিনেতা। এর মাঝেই চলতি বছরের ৮ এপ্রিল মুক্তি পায় সিনেমাটির টিজার।   সেখানে একবারে নীল রঙের পট্টু শাড়িতে দেখা যায় আল্লুকে। তারপর থেকে যেন অনুরাগীদের মধ্যে উত্তেজনা আরও বেড়ে যায়। দ্বিতীয় বার ‘পুষ্পা’কে বড় পর্দায় দেখতে অপেক্ষা করছেন দর্শকেরা।  প্রসঙ্গত, আগামী ১৫ আগস্ট মুক্তি পাবে ও আল্লু অর্জুনের ‘পুষ্পা: দ্য রুল’। সিনেমায় তিনি ছাড়া আরও অভিনয় করেছেন— রাশমিকা মান্দানা এবং ফাহাদ ফাসিল। এটি নির্মাণ করেছেন সুকুমার। তামিল, তেলুগু, মালায়ালম, কন্নড়, হিন্দি ছাড়া বাংলাতেও মুক্তি পেতে যাচ্ছে সিনেমাটি।     সূত্র : আনন্দবাজার 
২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:০৭

১০০ হলে মুক্তি পাবে ‘ডেডবডি’
পরিকল্পনা ছিল পবিত্র ঈদুল ফিতরে মুক্তি দেওয়ার। ‘ডেডবডি’ সিনেমার পরিচালক মোহাম্মদ ইকবাল প্রচারণাও চালাচ্ছিলেন সেভাবে। এর মধ্যে তিনি জানতে পারেন, ঈদে মুক্তি পেতে যাচ্ছে ১১টি সিনেমা। সিদ্ধান্ত বদলে ফেললেন এ নির্মাতা।  মুক্তি দিলেন না ঈদে। এবার জানা গেল সেই ‘ডেডবডি’ সিনেমার মুক্তির তারিখ। সব ঠিক থাকলে আগামী ৩ মে দেশের ১০০ হলে সিনেমাটি মুক্তি পাবে।  এ প্রসঙ্গে নির্মাতা ইকবাল বলেন, ভেবেচিন্তে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ঈদে ছবিটি মুক্তি দিলে ফলাফল হতো খারাপ। এমনিতে ১১টি ছবি মুক্তি পেয়েছে। খোঁজ নিয়ে দেখেন কোনো ছবিই দর্শক পাচ্ছে না। আমাদের নির্দিষ্ট পরিমাণ দর্শক আছে। যারা বিভিন্ন উৎসবে হলে যায়। সেই দর্শক যখন ১১টি ছবিতে ভাগ হয়ে যায় তখন আর থাকে কী! একেকটি ছবির ভাগে কয়জন আর দর্শক থাকে? অনেক নির্মাতাকেই বলেছিলাম এভাবে ছবি মুক্তি না দিতে। তারা শোনেননি, এখন সেটার ফল ভোগ করছেন। তিনি আরও বলেন, ৩ মে সিনেমাটি মুক্তি দিলে কোরবানির ঈদও পাব। আশা করছি, দর্শক আমার এটি দেখবে। ‘ডেডবডি’ সিনেমায় শ্যামল মাওলা, জিয়াউল রোশান, ওমর সানী, অন্বেষা রায়, মিষ্টি জাহান প্রমুখ অভিনয় করেছেন।
১৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:৩৬

জামিনে মুক্তি পেলেন সেই খালেদা, অঝোরে কাঁদলেন মেয়েকে জড়িয়ে
এনজিওর ঋণের দায়ে তিন বছরের শিশুকে রেখে কারাগার যাওয়া সেই মা খালেদা পারভিন অবশেষে মুক্ত হয়েছেন। মুক্তি পেয়েই আদরের শিশুকন্যা ফাতেমাকে বুকে জড়িয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় সিরাজগঞ্জের কামারখন্দের আমলি আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পান খালেদা। এর আগে গত ১০ এপ্রিল ঋণের টাকা পরিশোধ করতে না পারায় এনজিওর করা মামলায় খালোদাকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়। তবে গ্রেপ্তারের সময় উল্লাপাড়া মডেল থানা চত্বরে তিন বছরের শিশুকন্যা ফাতেমাকে রেখে পুলিশ ভ্যানে ওঠার মুহূর্তে মা-মেয়ের কান্নায় এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের সৃষ্টি হয়। আর সেদিন সেই ছোট শিশুর কান্নাজড়িত মুখ হৃদয়ে দাগ কাটে সবার। প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর ওই দিন রাতেই বিষয়টি চট্টগ্রামের প্রতিষ্ঠিত বহুজাতিক এক শিল্পপ্রতিষ্ঠানের মালিকের নজরে আসে। চট্টগ্রামের ওই শিল্পপ্রতিষ্ঠান কারাগারে বন্দি খালেদা ঋণ পরিশোধসহ আইনি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেন। পরদিন খালেদার সুদসহ ঋণের সব অর্থ পরিশোধ করা হয় ও আইনজীবী নিয়োগ দেওয়া হয়। তবে ঈদের ছুটির কারণে আদালত বন্ধ থাকায় খালেদাকে জামিন করানো সম্ভব হয়নি। পরে মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) আদালত খুললে জামিনে মুক্ত হন খালেদা।   এ বিষয়ে খালেদার স্বামী ইব্রাহিম হোসেন বলেন, ‘উদ্দীপন’ নামের একটি সংস্থা থেকে দুই বছর আগে ৩০ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছিলেন তার স্ত্রী। সংসারের চরম দুর্দিন হওয়ায় খালেদাকে নিয়ে ৬ মাস হলো ঢাকায় পোশাক কারখানায় কাজ নিয়েছিলাম। ইব্রাহিম হোসেন জানান, এর আগে বেশ কয়েকটি কিস্তিতে তিনি ২০ হাজার টাকা পরিশোধ করেন। সুদ-আসল মিলে ১৮ হাজার ৩০০ টাকা পেত ওই ঋণদানকারী সংস্থা। ঈদের আগের দিন রাতে সপরিবারে বাড়িতে ফিরলে উদ্দীপনের করা ঋণের মামলায় উল্লাপাড়া থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করে খালেদাকে। এ সময় আমার ৩ বছরের মেয়ে ফাতেমার কান্না থামছিল না। মাকে না পেয়ে থানায় মধ্যে অঝোরে কাঁদছিলো ফাতেমা। পরে আদালত খালেদাকে কারাগারে পাঠান। তিনি আরও বলেন, এ ঘটনাটি প্রকাশ হওয়ার পর আমাদের সব ঋণ পরিশোধ করেন দিয়েছেন একজন। সেই সঙ্গে মামলাটি প্রত্যাহারে সব ব্যবস্থা করেছেন। এখন আর কোনো ঋণ নেই আমাদের। আমাদের এই বিপদে যারা পাশে দাঁড়িয়েছেন তাদের সবার জন্য আমার পরিবারে পক্ষ থেকে অনেক দোয়া রইলো বলেও জানান তিনি। উদ্দীপন এনজিওর লিগ্যাল এডভাইজার অ্যাডভোকেট সুমন জানান, সুদসহ ঋণের সব অর্থ পরিশোধ করা হয়েছে। এ জন্য আমাদের প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে মামলাটি প্রত্যাহারের সব ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
১৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:০৩

মুক্তি পাওয়ায় নাবিকদের বাড়িতে খুশির বন্যা
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে মুক্তিপণের মাধ্যমে ছাড়া পেয়েছেন সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবলে পড়া বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহর ২৩ নাবিক। যদিও ঈদের আগেই নাবিকদের মুক্তির অপেক্ষায় ছিল পরিবারগুলো। অবশেষে শনিবার রাতে অক্ষত অবস্থায় নাবিকরা মুক্তি পাওয়ায় তাদের পরিবারে বইছে খুশির বন্যা। এ বিষয়ে জাহাজটির প্রধান কর্মকর্তা আতিকুল্লাহ খানের মা শাহনুর আক্তার সাংবাদিকদের বলেন, ঈদের তিন দিন পরেই যেন ঈদ এসেছে আমাদের ঘরে। আমার ছেলেসহ সবাই অক্ষত অবস্থায় মুক্তি পেয়েছে, এ খবর শোনার পর ভালো লাগছে সব। তারা এখন নিরাপদে দেশে ফিরলে টেনশন থেকে মুক্তি পাব। নাবিক মোহাম্মদ নুর উদ্দিনের স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, এই দিনগুলো কীভাবে কেটেছে জানি না। আড়াই বছরের ছেলেকে নিয়ে ঈদের আনন্দের দিন ছিল বিষাদে ভরা। আজ যেন আমাদের খুশির ঈদ। কেএসআরএম গ্রুপের প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতার শেষ নেই। তারা তাদের অঙ্গীকার রক্ষা করেছে। আরেক নাবিক আইয়ুব খানের ভাই আওরঙ্গজেব রাব্বী দুশ্চিন্তামুক্ত হওয়ার কথা জানিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ভাইয়ের জন্য দুশ্চিন্তায় এক মাস আমাদের বিষাদের দিন কেটেছে। আজ মনে হচ্ছে সত্যিকারের ঈদ এসেছে। আমরা খুবই খুশি। কেএসআরএস কর্তৃপক্ষদের তথ্য অনুযায়ী, ২৩ নাবিকের মধ্যে চট্টগ্রামে যাদের বাড়ি তারা হলেন- মাস্টার রাশেদ মোহাম্মদ আব্দুর, চিফ অফিসারখান মোহাম্মদ আতিক উল্লাহ, সেকেন্ড অফিসার চৌধুরী মাজহারুল ইসলাম, ফোর্থ ইঞ্জিনিয়ার আহমেদ তানভীর, ফায়ারম্যান শাকিল মোশাররফ হোসেন, চিফ কুক ইসলাম মো. শফিকুল, জেনারেল স্টুয়ার্ড উদ্দিন মোহাম্মদ নূর, রহমান মো. আসিফুর, হোসাইন মো. সাজ্জাদ, ওয়লার হক আইনুল এবং শামসুদ্দিন মোহাম্মদ। লক্ষ্মীপুর ও ফেনীতে বাড়ি ইঞ্জিন ক্যাডেট খান আইয়ুব, ইলেকট্রিশিয়ান উল্লাহ ও ইব্রাহিম খলিল। নোয়াখালীর নাবিক হক মোহাম্মদ আনোয়ারুল ও ফাইটার আহমেদ মোহাম্মদ সালেহ। খুলনার সেকেন্ড ইঞ্জিনিয়ার ইসলাম মো. তৌফিকুল ফরিদপুরের থার্ড অফিসার ইসলাম মো. তারেকুল, টাঙ্গাইলের ডেক ক্যাডেট হোসাইন মো. সাব্বির। নওগাঁর চিফ ইঞ্জিনিয়ার শাহিদুজ্জামান এ এস এম। নেত্রকোণার থার্ড ইঞ্জিনিয়ার উদ্দিন মো. রোকন ও নাটোরের অর্ডিনারি সি-ম্যান মোহাম্মদ জয়। সিরাজগঞ্জের হক মো. নাজমুল ও বরিশালের হোসাইন মো. আলী। এর আগে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবল থেকে ৩১ দিন পর মুক্তি পান বাংলাদেশি ২৩ নাবিক। সঙ্গে ছাড়া পেয়েছে জাহাজ ‘এমভি আবদুল্লাহ’ও। শনিবার (১৩ এপ্রিল) বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টায় মুক্তিপণের ডলার ভর্তি তিনটি ব্যাগ জলদস্যুদের হাতে পৌঁছালে নাবিকসহ জাহাজটি ছেড়ে দেয় তারা। রোববার (১৪ এপ্রিল) মধ্যরাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন জিম্মি জাহাজটির মালিকপক্ষ কবির গ্রুপের মুখপাত্র মিজানুল ইসলাম। তিনি জানান, ঈদের আগেই নাবিকদের ফিরিয়ে আনার কথা ছিল। কিন্তু কিছু জটিলতায় সময় পরিবর্তন হয়। অতীতে জাহান মণির অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে দ্রুত সময়ে ২৩ নাবিককে মুক্ত করা সম্ভব হয়েছে। উল্লেখ্য, গত ১২ মার্চ ২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ জিম্মি করেছিল সোমালিয়ার জলদস্যুরা।
১৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৪৫

ঈদে কলকাতায় মুক্তি পাচ্ছে ‘মির্জা’
ঈদ উপলক্ষে মেতে উঠেছে দেশের প্রেক্ষাগৃহগুলো। ঈদ মানেই হলগুলোতে উপচেপড়া ভিড়। সারা বছর প্রিয় তারকার সিনেমা দেখার জন্য মুখিয়ে থাকেন দর্শকেরা। ঈদ উপলক্ষে দেশে ডজনখানেক সিনেমা মুক্তির দৌড়ে থাকলেও কলকাতায় মুক্তি পাচ্ছে মাত্র একটি সিনেমা। বলা যায়, ঈদে কলকাতায় সিনেমা মুক্তিতেও যেন অনীহা প্রযোজক-পরিচালকদের।  জানা গেছে, আসন্ন ঈদুল ফিতরে টালিউডের দর্শকদের জন্য মুক্তি পেতে যাচ্ছে সিনেমা ‘মির্জা’। সিনেমার প্রধান দুই চরিত্রে অভিনয় করেছেন অঙ্কুশ হাজরা-ঐন্দ্রিলা সেন। এটি নির্মাণ করেছেন সুমিত সাহিল। অ্যাকশন ধাঁচের গল্পে নির্মিত এই সিনেমাটি ১০ এপ্রিল মুক্তির কথা ছিল। তবে ঈদ আগামী ১১ এপ্রিল হওয়ায় সিনেমাটির মুক্তিও এক দিন পিছিয়ে নেওয়া হয়।  এ প্রসঙ্গে অভিনেতা ও প্রযোজক অঙ্কুশ বলেন, অনেক যত্নে নির্মাণ করা হয়েছে মির্জা। এতে আমি অভিনয়ের পাশাপাশি প্রযোজনায়ও রয়েছি। তাই সিনেমাটি নিয়ে আমরা বেশ আশাবাদী। সে আশা থেকেই এক দিন পিছিয়ে ঈদের দিন মুক্তির তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। এদিন উৎসব থাকায় আশা করছি দর্শকদের ভালো রেসপন্স পাব।   প্রসঙ্গত, সিনেমায় অঙ্কুশ-ঐন্দ্রিলা ছাড়া আরও অভিনয় করেছেন ঋষি কৌশিক, কৌশিক গাঙ্গুলি, শোয়েব কাবির, জিমি ব্যানার্জি, প্রিয়া মণ্ডল ও শঙ্কর দেবনাথ।   
১০ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৩৬

এমভি আবদুল্লাহর ২৩ নাবিকের মুক্তি নিয়ে সুখবর
ভারত মহাসাগর থেকে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর হাইজ্যাক হওয়ার ২৭তম দিন আজ। সোমালীয় জলদস্যুদের হাত থেকে এখনও মুক্তি মেলেনি জাহাজের ২৩ নাবিকের। সোমালিয়ার উপকূলে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্য দিয়ে জাহাজের ভেতর জিম্মি অবস্থায় প্রতিটা মূহুর্ত কাটছে তাদের। চরম উৎকণ্ঠায় একেকটা মূহুর্ত কাটছে জিম্মি নাবিকদের স্বজনদেরও। ঈদে প্রিয়জনকে ফিরে পেতে পথ চেয়ে আছেন পরিবারের প্রত্যেকটা সদস্য। স্বজনদের সেই ভরসা দিতে না পারলেও মুক্তির সুখবর দিয়েছে সরকার ও মালিকপক্ষ।  আশা করা হচ্ছে, ঈদের ১০-১৫ দিনের মধ্যেই হয়তো জিম্মি ২৩ নাবিককে উদ্ধার করা সম্ভব হবে। এ ব্যাপারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ গতকাল শনিবার (৬ এপ্রিল) সকালে চট্টগ্রামে সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাংলাদেশি জাহাজ ও ২৩ নাবিককে মুক্তি দিতে সোমালিয়ার জলদস্যুদের সঙ্গে আলোচনার পাশাপাশি নানামুখী চাপও অব্যাহত রাখা হয়েছে। জলদস্যুদের সঙ্গে যেহেতু আলোচনা অনেক দূর এগিয়েছে, আমরা আশা করছি, খুব শিগিগিরই জিম্মি নাবিকদেরকে মুক্ত করা সম্ভব হবে।’  সোমালীয় জলদস্যুদের হাত থেকে জিম্মি নাবিকদেরকে ঠিক কবে নাগাদ মুক্ত করা সম্ভব হবে, সে ব্যাপারে খানিকটা ইঙ্গিত মিলেছে বাংলাদেশ নৌ-বাণিজ্য অধিদপ্তরের প্রিন্সিপাল অফিসার ক্যাপ্টেন সাব্বির মাহমুদের কথায়। তিনি বলেছেন, ‘ঈদের পর ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যেই জিম্মি জাহাজ ও ২৩ নাবিককে উদ্ধার করা হবে।’ এদিকে হাইজ্যাক হওয়া জাহাজটির মালিকপক্ষ কেএসআরএমের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেরুল করিমও বলেছেন, খুব শিগগির সুখবর আসছে। দস্যুদের সঙ্গে চূড়ান্ত সমঝোতার ক্ষেত্রে আরও কিছু বিষয় বাকি আছে। তবে আলোচনা অনেক দূর এগিয়েছে। চূড়ান্ত ধাপের আলোচনা চলছে। এই মূহুর্তে এর বাইরে আর কিছু জানাতে চাননি তিনি।   নাবিকদের স্বার্থরক্ষাকারী সংগঠন বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা বলছেন, জলদস্যুদের সঙ্গে মালিকপক্ষের আলোচনা হয় দুই ধাপে। প্রথম ধাপে মুক্তিপণ ও তা নিয়ে দর-কষাকষি হয়। কখন, কোন মাধ্যমে মুক্তিপণ পরিশোধ করা হবে, তা নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয় এ ধাপে। দ্বিতীয় ধাপে উভয়পক্ষের বিশ্বাসযোগ্য জায়গায় ও নির্ধারিত পন্থায় মুক্তিপণ পরিশোধের মাধ্যমে জাহাজ ও জিম্মি নাবিকদের মুক্ত করে আনার কাজ হবে। ঈদের পরই জিম্মি নাবিকরা জন্মভূমিতে ফিরতে পারবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আনাম চৌধুরী। তিনি বলেছেন, ‘জিম্মি মুক্তির বিষয়টি চূড়ান্ত ধাপে রয়েছে বলে জানতে পেরেছি। তবে ঈদের পরই আসল কাজটা সম্পন্ন হবে; ঈদের আগে নয়।’ উল্লেখ্য, গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগর থেকে ২৩ নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহ জাহাজকে হাইজ্যাক করে সোমালীয় দস্যুরা। এরপর জলদস্যুরা জাহাজের মালিকপক্ষের সঙ্গে তৃতীয়পক্ষের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো যোগাযোগ করে ২০ মার্চ। এর আগে ১৬ মার্চ রাত ৮টায় ওই জাহাজের এক নাবিকের সঙ্গে মালিকপক্ষের আলাপ হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, জলদস্যুরা এখন নিয়মিত পরিবার ও মালিকপক্ষের সঙ্গে জিম্মি নাবিকদের আলাপ করতে দিচ্ছে। এর আগে ২০১০ সালে একই প্রতিষ্ঠানের জাহাজ এমভি জাহান মণি ২৬ নাবিকসহ সোমালীয় জলদস্যুদের কবলে পড়ে। সেবার প্রায় চার মিলিয়ন ডলার মুক্তিপণ দিয়ে  জাহাজ ও নাবিকদের উদ্ধার করা হয়েছিল। সেই এমভি জাহান মণির জিম্মি নাবিকদের মধ্যে ছিলেন মোহাম্মদ ইদ্রিসও। তিনি বলেন, তাদের ক্ষেত্রে আলোচনা চূড়ান্ত হওয়ার পর হেলিকপ্টার থেকে দুটি পানিরোধী কার্টনে মুক্তিপণের অর্থ সাগরে ফেলা হয়েছিল। দস্যুরা নৌযান নিয়ে গিয়ে প্যাকেট দুটি জাহাজে তুলে আনে। দাবিকৃত অর্থ বুঝে পেয়ে পরদিনই ভোরে জাহাজটি থেকে নেমে যায় দস্যুরা। এরপর জাহাজ আবার চলতে শুরু করে দেশের পথে।
০৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:২২

ঈদের আগে জিম্মি নাবিকদের মুক্তি নিয়ে সংশয়
সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়া বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ও ২৩ নাবিককে ঈদের আগে মুক্তি নিয়ে সংশয়ের কথা জানিয়েছে জাহাজটির মালিকপক্ষ কবির গ্রুপের (কেএসআরএম) অঙ্গপ্রতিষ্ঠান এসআর শিপিং কর্তৃপক্ষ। শনিবার (৩০ মার্চ) প্রতিষ্ঠানটি জানায়, বেশ কিছু গণমাধ্যমে জাহাজ ও নাকিবদের ফিরিয়ে আনা হবে বলে যে খবর প্রকাশিত হচ্ছে তা সঠিক নয়। কেএসআরএম মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুর ইসলাম বলেন, ঈদের আগে জিম্মিদের মুক্ত করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। দস্যুদের প্রতিনিধির সঙ্গে আমাদের নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে। আলোচনার অগ্রগতি হয়েছে, তবে ঈদের আগে মুক্ত হবে কি না তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। ঈদের আগে জিম্মিরা মুক্তি পেলেও তারা ঈদের আগে দেশে ফিরতে পারবেন না। তিনি বলেন, নাকিবদের দেশে ফিরিয়ে আনতে বেশ কিছু প্রসেস সম্পূর্ণ করতে হয়। যেসব করে তাদের দেশে আনতে ২৫-৩০ দিন সময় লাগবে। তবে প্রকৃত সত্য হচ্ছে, ঈদের আগে নাবিকদের মুক্ত করা কঠিন। গত ৪ মার্চ আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিকের মাপুটো বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে এমভি আবদুল্লাহ। জাহাজটি কয়লা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ১২ মার্চ দুপুরে ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়ে জাহাজটি। ২০১০ সালের ৫ ডিসেম্বর আরবসাগরে একই প্রতিষ্ঠানের জাহাজ ‘এমভি জাহান মণি’ জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল। পরে ওই জাহাজের ২৫ নাবিক ও প্রধান প্রকৌশলীর স্ত্রীকে জিম্মি করে দস্যুরা। পরে নানাভাবে দেনদরবার ও দরকষাকষি শেষে দস্যুদের সঙ্গে সমঝোতা করে ২০১১ সালের ১৪ মার্চ তাদের বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনা হয়।
৩১ মার্চ ২০২৪, ১৩:৩১

ঈদের আগে মামুনুল হককে মুক্তি না দিলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি
মাওলানা মামুনুল হককে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর খলিল আহমাদ কাসেমী। শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাজধানীর গুলশানে ‘পবিত্র মাহে রমজানের তাৎপর্য ও করণীয়’ শীর্ষক এক আলোচনাসভা ও ইফতার মাহফিলে তিনি এ দাবি জানান। খলিল আহমাদ কাসেমী বলেন, মামুনুল হককে ২০২১ সালের ১৮ এপ্রিল অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এখনো তিনি কারাবন্দি। আমরা ঈদের আগেই তাকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।  তিনি বলেন, জামিন পাওয়া দেশের প্রত্যেক নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার। মাওলানা মামুনুল হক দেশের একজন বিশিষ্ট আলেমেদ্বীন। তাকে জামিন না দিয়ে বছরের পর বছর জেলে আটকে রাখা দেশে বিচারহীনতার প্রমাণ বহন করে। বিচারহীনতার এ ধারাবাহিকতা আর চলতে দেওয়া যায় না। মামুনুল হককে অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে। আমরা সরকার পতন আন্দোলন করি না। কিন্তু আমাদের বাধ্য করলে কোনো উপায় থাকবে না। এ সময় হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নামে করা সব মামলা প্রত্যাহারেরও দাবি জানান সংগঠনটির সিনিয়র নায়েবে আমীর খলিল আহমাদ কাসেমী। ইফতার মাহফিলে আরও বক্তব্য রাখেন আবদুল হামিদ পীর সাহেব মধুপুর, মাওলানা আবদুল আউয়াল, মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা ওবায়দুল্লাহ ফারুক, মাওলানা ড. আহমদ আব্দুল কাদের প্রমুখ।
২৯ মার্চ ২০২৪, ২৩:০৮

১৫ দিনেও মুক্তি মেলেনি জিম্মি নাবিকদের
সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়া বাংলাদেশি জাহাজ ও জিম্মি ২৩ নাবিককে এখনও উদ্ধার করা সম্ভাব হয়নি। গত ১২ মার্চ জাহাজটি ছিনতাইয়ের পর বিভিন্নভাবে চেষ্টা ও দস্যুদের সঙ্গে যোগাযোগ করেও নাবিকদের মুক্তির বিষয়ে সমাধান আসেনি। যদিও জাহাজের মালিকপক্ষ বলছে, ঈদের আগেই নাবিকদের মুক্তির বিষয়ে তারা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এমভি আবদুল্লাহর মালিক প্রতিষ্ঠান এসআর শিপিংয়ের মুখপাত্র মো. মিজানুল ইসলাম বলেন, দস্যুদের সঙ্গে তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে আলোচনা শুরু হয়েছে। ঈদের আগেই নাবিকদের মুক্তির বিষয়ে বিভিন্নভাবে জোর চেষ্টা চলছে।  এদিকে, জিম্মি শামসুদ্দিনের ভগ্নিপতি বদরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, নাবিকরা সবাই সুস্থ আছে বলে আমার শ্যালক জানিয়েছেন। তবে গত কিছুদিন ধরে জাহাজে এক ইংরেজি জানা লোক যুক্ত হয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে, তার মাধ্যমে দস্যুরা জাহাজ মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। এর আগে, গত ৪ মার্চ আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিকের মাপুটো বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে এমভি আবদুল্লাহ। জাহাজটি কয়লা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ১২ মার্চ দুপুরে ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়ে জাহাজটি। উল্লেখ্য, ২০১০ সালের ৫ ডিসেম্বর আরবসাগরে একই প্রতিষ্ঠানের জাহাজ ‘এমভি জাহান মণি’ জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল। পরে ওই জাহাজের ২৫ নাবিক ও প্রধান প্রকৌশলীর স্ত্রীকে জিম্মি করে দস্যুরা। পরে নানাভাবে দেনদরবার ও দরকষাকষি শেষে দস্যুদের সঙ্গে সমঝোতা করে ২০১১ সালের ১৪ মার্চ তাদের বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনা হয়।  
২৭ মার্চ ২০২৪, ১৩:৩৪

১৪ মাস পর জামিনে মুক্তি পেলেন দানি আলভেজ
গত মাসে ধর্ষণের অভিযোগে দানি আলভেজকে চার বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন স্পেনের একটি আদালত। তবে এর অনেক আগে থেকেই কারাগারে ছিলেন এই ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার। ফলে দীর্ঘ ১৪ মাস জেল খাটার পর জামিনে মুক্তি পেয়েছেন তিনি।  বুধবার (২০ মার্চ) ১০ লাখ ইউরো (প্রায় ১২ কোটি টাকা) মুচলেকায় তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেছেন বার্সেলোনার একটি আদালত। জামিন পেলেও বেশ কয়েকটি শর্ত মেনে চলতে হবে বার্সেলোনার সাবেক ফুটবলারকে।  জামিনে থাকা অবস্থায় স্পেন ছাড়তে পারবেন না আলভেজ। নির্যাতিতা তরুণীর আবাস ও কর্মস্থলের এক হাজারের মিটারের মধ্যেও প্রবেশ নিষেধ তার। ব্রাজিল ও স্পেনের পাসপোর্ট জমা দিয়ে প্রতি সপ্তাহে আদালতে হাজিরা দিতে হবে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আলভেজের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল একটি নাইটক্লাবের ভিআইপি সেকশনের টয়লেটে যেতে ওই তরুণীকে প্রলুব্ধ করেন আলভেজ। তিনি ভুক্তভোগীকে বলেছিলেন, তুমি চাইলে চলে যেতে পারো। ওই নারী রাজি না হওয়ায় তাকে চড় মারে এবং ধর্ষণ করেন আলভেজ। ওই ঘটনার সত্যতার প্রমাণ পেয়েছে আদালত। ব্রাজিলিয়ান এই ফুটবলারের ক্যারিয়ার ছিল অনেকগুলো ট্রফিতে মোড়ানো, বিশেষ করে ক্লাব ফুটবলে। দেশের হয়ে দীর্ঘ দিন খেলেছেন তিনি। এ ছাড়াও স্প্যানিশ জায়ান্ট বার্সেলোনাতে সেরা ফুটবলারদের একজন ছিলেন তিনি। ক্যারিয়ারের একেবারে শেষদিকে এসে ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর তার বিরুদ্ধে স্পেনের এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। যদিও শুরু থেকে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে আসছিলেন আলভেজ। অবশেষে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর তাকে কঠিন শাস্তিই পেতে হয়েছে। 
২১ মার্চ ২০২৪, ১২:৩১
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়