• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
‘ভিত্তিহীন মামলা দিয়ে বিরোধী নেতাকর্মীদের নাজেহাল করা হচ্ছে’
বানোয়াট ও ভিত্তিহীন মামলা দায়ের করে বিরোধী নেতাকর্মীদের পর্যুদস্ত ও নাজেহাল করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, অব্যাহত গতিতে বানোয়াট ও ভিত্তিহীন মামলা দায়ের করে বিরোধী নেতাকর্মীদের পর্যুদস্ত ও নাজেহাল করা হচ্ছে। এ ধরনের অপকর্ম সাধনের একমাত্র উদ্দেশ্যই হচ্ছে, দেশের বিরোধীদলগুলো যেন দখলদার সরকারের স্বৈরাচারী আচরণের সমালোচনা করতে সক্ষম না হয়। তিনি আরও বলেন, ৭ জানুয়ারির ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলকারী আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী অবৈধ ক্ষমতা ধরে রাখতে দেশব্যাপী প্রতিদিনই বিএনপিসহ বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের ওপর নানা কায়দায় অবর্ণনীয় নির্যাতন-নিপীড়ন শুরু করেছে। মির্জা ফখরুল বলেন, মিথ্যা মামলায় বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠানো যেন ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের প্রাত্যহিক কর্মসূচিতে পরিণত হয়েছে। রাজিব আহসান এবং আব্দুল্লাহ আল মামুনের জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানো দখলদার আওয়ামী সরকারের নিরবচ্ছিন্ন অপকর্মেরই অংশ। তিনি বলেন, আদালত কর্তৃক তাদের জামিন বাতিল ও কারান্তরীণের ঘটনায় আমি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি। অবিলম্বে তাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা বানোয়াট ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক মামলা প্রত্যাহারসহ নিঃশর্ত মুক্তির জোর আহ্বান জানাচ্ছি। উল্লেখ্য, জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান এবং কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের দপ্তর সম্পাদক (যুগ্ম সম্পাদক পদমর্যাদা) আব্দুল্লাহ আল মামুন নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করলে আদালত কর্তৃক তাদের জামিন নামঞ্জুর ও কারাগারে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে এ বিবৃতি দেন বিএনপি মহাসচিব।
২১ মার্চ ২০২৪, ১৯:৫৭

সেনবাগে ভেজাল বিরোধী অভিযানে জরিমানা ৩৫ হাজার
খাদ্যে ভেজাল ও মূল্য তালিকা না থাকা, রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে নোয়াখালীর সেনবাগে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পৃথক দুটি স্থানে ভেজাল বিরোধী অভিযান চালিয়ে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) বিকেলে সহকারী কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে  উপজেলার রাস্তার মাথা ও কানকিরহাট বাজারে এ অভিযান চালানো হয়। এ সময় উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার তারেক মাহমুদ, সহকারী প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার সফিকুর রহমান, সেনবাগ প্রেস ক্লাবের সহসাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর পাটোয়ারী, সেনবাগ থানার এএসআই নুরুল হুদাসহ ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।   প্রতিষ্ঠানগুলো হলো কানকিরহাট বাজারে রাজ্জাক বাণিজ্য বিতান ৩ হাজার, হাবিবুর ওষুধ বিতান ৫ হাজার, দিদার পল্ট্রি ৩ হাজার, জাফরান সুইস ৬ হাজার, আল্লার দান ফল বিতান ৮ হাজার ও রাস্তার মাথায় রুপম পশু খাদ্যের ১০ হাজার টাকাসহ ৬টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে মোট ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, দোকানে মূল্য তালিকা না থাকা, অতিরিক্ত দামে পণ্য বিক্রি, মেয়াদোত্তীর্ণ জিনিস রাখা ও বিক্রির অপরাধে ৬টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে মোট ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে পচা, মেয়াদোত্তীর্ণ জিনিসপত্র জব্দ করে কানকির হাট খালে ফেলে দেওয়া হয়। এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাহিদুল ইসলাম জানান, পবিত্র মাহে রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে আমাদের এই রকম অভিযান অব্যাহত থাকবে। 
১৯ মার্চ ২০২৪, ২৩:১৪

জাবিতে নিপীড়নবিরোধী মঞ্চের মানববন্ধন
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ধর্ষণ, নিপীড়ন ও মাদকমুক্ত ক্যাম্পাসের দাবিতে নিপীড়নবিরোধী মঞ্চের ব্যানারে মানববন্ধন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ মিনার-সংলগ্ন সড়কে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে নিপীড়নবিরোধী মঞ্চের সদস্য সচিব মাহফুজুল ইসলাম মেঘ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সেই সম্মানের জায়গা আজ নেই। জাবিতে নিপীড়ক শিক্ষক জনি ও সাবেক প্রক্টর ফিরোজ যেভাবে নিপীড়কদের আশ্রয় দেয়, তাদের প্রতি শিক্ষক হিসাবে শ্রদ্ধার জায়গা কতটুকু থাকবে তা নিয়ে আমরা সংকিত। এরকম শিক্ষকরা কীভাবে শিক্ষক পদে নিয়োগ পায় তা নিয়ে আমাদের প্রশ্ন করা উচিত। আমরা অবন্তিকার আত্মহুতি ভুলবো না। ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক গোলাম রাব্বানী বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকা আত্মহত্যা করে নাই, তাকে কাঠামোগতভাবে হত্যা করা হয়েছে। একজন শিক্ষক যাকে নিরাপত্তার দায়িত্ব দেওয়া হয় তিনি কীভাবে একজন শিক্ষার্থীকে নির্যাতন ও অশ্লীলভাবে গালাগাল করে। সকল বিশ্ববিদ্যালয়কে মাদক, ধর্ষণ, নির্যাতন ও নিপীড়ন মুক্ত করতে হবে এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের এসব বিষয়ে প্রতিবাদ করতে হবে। শিক্ষক নিয়োগের সময় গুন্ডা মাস্তানকে নিয়োগ দেওয়া হয় এবং তাদেরকে আবার নিরাপত্তার দায়িত্ব দেওয়া হয়। তাহলে কীভাবে শিক্ষার্থীরা তাদের কাছে নিরাপত্তা পাবে? মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ফরিদ আহমেদ বক্তব্য রাখেন।
১৯ মার্চ ২০২৪, ১৮:৫৮

আখাউড়ায় ৩৪ কেজি গাঁজাসহ সিএনজি জব্দ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় পুলিশের মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযানে ৩৪ কেজি গাঁজা ও একটি সিএনজি অটোরিকশা জব্দ করা হয়েছে।  বুধবার (১৩ মার্চ) দুপুরের দিকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি নূরে আলম। এর আগে একই দিনে সকাল ৭টার দিকে পুলিশের মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযান চালিয়ে আখাউড়া পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের কুমারপাড়া এলাকার বাইপাস পাকা সড়কের ওপর থেকে ৩৪ কেজি গাঁজাসহ মাদক বহন কাজে ব্যবহৃত একটি সিএনজি জব্দ করা হয়। এ সময় পুলিশের সংকেত পেয়ে সিএনজি ফেলে দৌড়ে পালিয়ে যায় চালক ও মাদক ব্যবসায়ীরা। আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি নূরে আলম জানান, পুলিশ চেকপোষ্টে থামানোর সংকেত দিলে সিএনজি চালক সিএনজি ফেলে দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে সিএনজি তল্লাশী করে ২টি প্লাস্টিকের বস্তায় ৩৪ কেজি গাঁজা পাওয়া যায়। মাদক বিরোধী এ ধরনের বিশেষ অভিযান অব্যাহত থাকবে। 
১৩ মার্চ ২০২৪, ১৬:৫৮

‘প্রধানমন্ত্রী বিরোধী দল রাখবেন না এ প্রত্যয় নিয়ে কাজ করছেন’
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী বিরোধী দল রাখবেন না এ প্রত্যয় নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। আর এ জন্যই দেশের গণতন্ত্র বারবার তাদের কাছে অবরুদ্ধ হয়। সুতরাং এ সরকারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমাদের জিততেই হবে।  বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নসরুল হামিদ মিলনায়তনে উত্তরাঞ্চল ছাত্র ফোরাম ও বাংলাদেশ ছাত্র ফোরামের উদ্যোগে আয়োজিত ৭ মার্চ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ১৮তম কারাবন্দি দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। রিজভী বলেন, শেখ হাসিনা ৭ জানুয়ারি যে ডামি নির্বাচন করেছেন কয়েকটি দেশ তাতে প্রত্যক্ষভাবে সমর্থন দিয়েছে। গণতন্ত্রকামী বিশ্ব এই নির্বাচনকে ছি ছি করেছে, প্রত্যাখ্যান করেছে। উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা সবাই ছাত্র, আপনাদের সুক্ষভাবে দেখতে হবে। এর আগে তারা বলেছে মালয়েশিয়ায় তারেক রহমানের মিল কলকারখানা আছে, আরও কতকিছু বলেছে কোনো কিছুই প্রমাণিত হয়নি। তারা ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় তারেক রহমানের মালয়েশিয়ায় কারখানা আছে এ তথ্য তো দিতে পারলো না। ডামি নির্বাচন করে জনগণকে প্রতারিত করে ক্ষমতায় বসে আছে তারা। সোশ্যাল মিডিয়ায় দেশের জনগণ সব প্রমাণ দেখতে পাচ্ছে। বিএনপির এই নেতা বলেন, জিয়াউর রহমান আমাদের আত্মনির্ভরশীল জাতিতে পরিণত করেছিলেন। জিনিসপত্র বাজার থেকে কিনে খেতে হতো না, কিন্তু এখন অনেক জিনিসই আমদানি করা হয়। এ অর্থনীতির বিপণ্নতা এটা বর্তমান সরকারের আমলে, তাই আমাদের এ সংগ্রামে বিজয়ই হতে হবে।  বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মীর মো. হেলাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ রায়, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, বিএনপির সহ-তথ্য বিষয়ক সম্পাদক কাদের গণি চৌধুরী, ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব, সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসির, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসানসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
০৭ মার্চ ২০২৪, ১৭:১২

জাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো প্রশাসনিক ভবন অবরোধ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের হল থেকে বের করে গণরুম বিলুপ্তপূর্বক নিয়মিত শিক্ষার্থীদের আবাসন নিশ্চিত করা এবং র‌্যাগিং সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনার দাবিতে প্রশাসন ভবন অবরোধ করেছে ‘নিপীড়ন বিরোধী মঞ্চ’। মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে দ্বিতীয় দিনের মতো পাঁচ দফা দাবি নিয়ে এ অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এরপর বেলা ১১টার দিকে বুধবার পুনরায় প্রতীকি অবরোধের ঘোষণা দিয়ে আজকের অবরোধ তুলে নেন আন্দোলনকারীরা। অবরোধ কর্মসূচিতে হাসিব জামানের সঞ্চালনায় সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক শামসুল আলম সেলিম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট বলেছিল ৫ কর্মদিবসের মধ্যে অছাত্রদের বের করে দিবে কিন্তু প্রশাসন তা পারেনি। রাজনৈতিক যে রুমগুলো আছে সেখানে তারা যাচ্ছে না। রাষ্ট্রে যে বিচারহীনতার সংস্কৃতি চলছে তার ছোঁয়া এখানেও পড়েছে। হলের যারা প্রশাসন আছে তারা অনেকেই ক্যাম্পাসের বাইরে থাকেন তাহলে তো হলে অরাজকতা সৃষ্টি হবেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যে ৫ দফা দাবি করেছে সেই দাবি গুলো যৌক্তিক। যদি দাবি মানা না হয় এই আন্দোলন চলতেই থাকবে। ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের আহ্বায়ক আলিফ মাহমুদ বলেন, সন্ত্রাস ও মাদক কারবারের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। অছাত্রদের বের করে দেয়ার জন্য সিন্ডকেটে নেওয়া সিদ্ধান্তের পাঁচ কর্মদিবস পার হয়ে গেলেও আমরা কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ দেখিনি। অছাত্রদের বের না করে বরং প্রশাসন নিয়মিত শিক্ষার্থীদের হয়রানি করছে। নিপীড়ক শিক্ষক মাহমুদুর রহমান জনির বিচার নিশ্চিতসহ তাকে সহায়তাকারী প্রক্টরের পদত্যাগ নিশ্চিত করতে হবে। আমাদের দাবি না মানা হলে কঠোর আন্দোলনে যাবো। প্রশাসন দায় এড়িয়ে যেতে পারবেনা। নিপীড়ন বিরোধী মঞ্চের নাটক ও নাটকতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী কনোজ কান্তি রায় বলেন, একজন বৈধ শিক্ষার্থী হলে সিট পায়না, চেয়ার টেবিল পায় না, পড়াশোনার ভালো পরিবেশ পাচ্ছে না। অন্যদিকে কিছু অবৈধ শিক্ষার্থী ক্ষমতাসীন ছাত্রসংগঠনের ছত্রচ্ছায়ায় থেকে তাদের সঙ্গে লেজুড়বৃত্তি করে হলে থাকছে, যার ফলে বৈধ শিক্ষার্থীরা তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সোহেল আহমেদ বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ে মাদকের ব্যবসা, চোরাচালান, মাদক সেবন কীভাবে ছড়িয়ে গেছে তা সামনে এসেছে। র‌্যাবের ব্রিফিং থেকে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে দিনের পর দিন যে পাশবিক ঘটনাগুলো ঘটছিল, তা এই অছাত্ররা করছিল। প্রশাসন ব্যর্থ হয়েছে, তারা এসব ঘটনার দায় এড়াতে পারে না। এ সময় সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক জামাল উদ্দিন, ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক পারভীন জলী, সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আমেনা ইসলাম, প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক বোরহান উদ্দিন, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক নূরুল ইসলাম প্রমুখ।
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:০৫

৪ দাবিতে জাবি শিক্ষার্থীদের ধর্ষণ বিরোধী মিছিল
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) গণধর্ষণের প্রতিবাদে চার দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।  মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রান্সপোর্ট চত্ত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে শহীদ মিনার ও সকল ছাত্রী হল হয়ে পুনরায় ট্রান্সপোর্ট চত্ত্বরে এসে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়। এ সময় শিক্ষার্থীদের ‘ছাত্রলীগ ধর্ষণ করে, প্রশাসন কি করে’, ‘ধর্ষকদের পাহারাদার, হল প্রশাসন চমৎকার’,  ‘ধর্ষকদের পাহারাদার, ধিক্কার ধিক্কার’, ‘যে প্রশাসন ধর্ষকদের পাহারা দেয়, সেই প্রশাসন চাই না’, ‘আমাদের ক্যাম্পাসে আমরাই থাকবো, অছাত্ররা থাকবে না’, ‘জাহাঙ্গীরনগরের মাটিতে, ধর্ষকদের ঠাঁই নাই’, ‘হল থেকে দল থেকে, ধর্ষকদের বহিষ্কার করো’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।  মিছিল শেষে নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইজা মেহজাবিন প্রিয়ন্তীর সঞ্চালনায় সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী রাবেয়া বসরী তাপস্বী বলেন, ‘সেঞ্চুরি মানিক থেকে মোস্তাফিজ পর্যন্ত যে ঘটনা ঘটে গেছে সেটা বিচ্ছিন্ন হতে পারে না। একটা নির্দিষ্ট দল এই সব ঘটনার সাথে যুক্ত সে বিষয়ে আমরা সবাই অবগত আছি। কিন্তু প্রশাসন কখনো উল্লেখযোগ্য ব্যবস্থা করে না।জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সকলের জন্য নিরাপদ হোক। বহিরাগত বলে আমরা যাদের ট্যাগ দিয়েছি, যাদের টাকায় আমাদের ক্যাম্পাস চলে তাদের নিরাপত্তাও নিশ্চিত করা হোক।’ আইআইটি বিভাগের শিক্ষার্থী সোয়াতি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কিন্তু ইনজাস্টিসের কথা কখনো বলেন নি। আর ছাত্রলীগ যদি ন্যায়ের পক্ষে থাকে তবে ছাত্রত্ব শেষ হওয়ার সাথে সাথেই তাদের হল ছেড়ে দেয়া উচিত।  অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী অনামিকা নূরাইন বিত্ত বলেন, ‘ঘুরেফিরে কেন ছাত্রলীগের কর্মীরাই ক্যাম্পাসে ও ক্যাম্পাসের বাইরে অপকর্ম গুলো ঘটায়। আমি আপনাদের মনে করিয়ে দিতে চাই, ধর্ষণ একটি পাওয়ার প্র্যাকটিস। ছাত্রলীগ ক্যাম্পাসে সবচেয়ে বেশি পাওয়ার প্র্যাকটিস করে। ছাত্রলীগের কর্মীদের ক্যাম্পাসে শিখানো হয় কিভাবে বাপ মা ছেড়ে আসা একজন শিক্ষার্থীকে কিভাবে টর্চার করতে হয়। সেখান থেকে তারা ক্ষমতার স্বাদ পায়। এবার রেপ হয়েছে পরবর্তীতে হবে রেপ অ্যান্ড মার্ডার। আমাদের দাবিগুলো প্রশাসনের মানতে হবে, অভিযুক্তদের ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত করা, সার্টিফিকেট সাময়িক স্থগিত করার এই প্রহসন বন্ধ করতে হবে। সুস্পষ্ট পদক্ষেপ নিতে হবে।’ সংক্ষিপ্ত সমাবেশ থেকে শিক্ষার্থীরা চার দফা দাবি জানায়। দাবিগুলো হলো: ধর্ষণে অভিযুক্ত ও পলায়নে সহযোগিতাকারীদের রাষ্ট্রীয় আইনে বিচার দ্রুততম সময়ে নিশ্চিত করতে হবে, মীর মশাররফ হোসেন হল ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের প্রোভোস্ট এবং হল প্রশাসনের বিরুদ্ধে আসা পলায়নে সাহায্য করার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে, সকল আবাসিক হল থেকে অছাত্রদের তাড়াতে হবে, ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা শাখার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে এবং যৌন নিপীড়নবিরোধী সেল কার্যকর করতে হবে। বুধবার দুপুর ১ টায় শহীদ মিনারের পাদদেশে কালো পতাকা মিছিলের ঘোষণা দিয়ে সমাবেশের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।   
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২২:৪৩

বিরোধী দল হিসেবে জাতীয় পার্টি কী নিজেদের প্রমাণ করতে পারবে? 
সংসদীয় গণতন্ত্রের অন্যতম প্রধান শর্ত হচ্ছে শক্তিশালী বিরোধী দল। সংসদকে কার্যকর করতে, সরকারের গঠনমূলক সমালোচনা করতে এবং সরকারের যেকোনো অগণতান্ত্রিক কর্মকাণ্ডের বিশেষ করে উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের ক্ষেত্রে যেসব অনিয়ম ও দুর্নীতি হয় সেগুলোর বিরুদ্ধে সংসদের ভিতরে বাইরে জোরালো ভূমিকা রাখতে হয় বিরোধী দলকেই। সাধারণ মানুষের নানা বিষয়ে সংসদের বিরোধী দলকে শক্তিশালী ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে হয়। বিশেষ করে বিরোধ দলকে ছায়া সরকারের কাজটা করতে হয়।  কিন্তু বাংলাদেশের সংসদীয় গণতন্ত্রের ইতিহাসে শক্তিশালী বিরোধী দলে খুব একটা দেখেনি দেশবাসী। সব সময় সকল সংসদের বিরোধী দলই নিজেদেরকে নিয়ে ব্যস্ত থেকেছে বেশিরভাগ সময়। জনবান্ধব বিষয়ে সংসদের বিরোধী দলের ভূমিকা খুব একটা দেখা যায়নি নিকট অতীতে দুই একটি ব্যতিক্রম ছাড়া। বিশেষ করে গত দেড় দশকের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের রাজনীতিতে সংসদের বিরোধী দলের ভূমিকায় আছে জাতীয় পার্টি। সামরিক শাসক প্রয়াত জেনারেল এ এইচ এম এরশাদের নেতৃত্বে জন্ম নেওয়া জাতীয় পার্টি দীর্ঘদিন ধরে বিরোধী দলে থেকেও তারা সরকারের কোনো গঠনমূলক সমালোচনা করেনি বা করতেও দেখা যায়নি। সংসদে তাদের আসন সংখ্যা যথেষ্ট থাকার পরও দলটি কখনোই সরকারের কঠোর সমালোচনা তো দূরের কথা নূন্যতম সমালোচনা পর্যন্ত করেনি। এই অবস্থায় দ্বাদশ সংসদে মাত্র ১১ জন সংসদ সদস্য নিয়ে জাতীয় পার্টি কতোটা শক্তিশালী ভূমিকা রাখতে পারবে তা নিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা যথেষ্ট সন্দিহান।  এর কারণও আছে, দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় পার্টি সরকারের সঙ্গে প্রায় একিভূত হয়ে যাওয়ায় দলটি তাদের রাজনৈতিক স্বকীয়তা প্রায় হারিয়ে ফেলেছে। যার ফলে সাধারণ মানুষ জাতীয় পার্টি ও তাদের নেতৃত্বের উপর আস্থা রাখতে পারেননি।  দেশের গভীর সংসকটময় মুহুর্তেও জাতীয় পার্টি নিজেদের হাত-পা গুটিয়ে বসেছিল। এবার জাতীয় পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের নেতৃত্বে সেই খোলস থেকে বেরিয়ে আসতে চায় দলটি। কিন্তু সেটা কী আদৌও সম্ভব? না-কি আগের মতই একই বৃত্তের মধ্যে ঘুরপাক খাবে স্বৈরশাসক এরশাদের গড়া দলটি।  জাতীয় পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান জিএম কাদের শনিবার (৩ফেব্রুয়ারি) সাংবাদিকদের বলেছেন, জাতীয় পার্টির বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ উঠেছে তার কিছু কিছু আংশিক সত্য। নেতাকর্মীর উদ্দেশে তিনি বলেছেন, ‘সবার স্মরণ রাখা উচিত, আমাদের দলের ব্যাপারে মানুষের পারসেপশন খুব একটা ভালো নয়।’ প্রকৃত বিরোধী দলের ভূমিকায় থাকবেন দাবি করে বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, সংসদে সংখ্যা কোনো ব্যাপার না। ছয়জন কাঁপিয়ে দিয়েছিল গত সংসদ। দু-তিনজন থাকলেই কাঁপিয়ে দেওয়া যায়। তার এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে এটা পরিস্কার যে, জাপা নেতৃত্ব বুঝতে পেরেছে তাদের দলের প্রতি মানুষের আস্থা নেই। ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে তো এটি আরও স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে। একাদশ জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনসহ জাতীয় পার্টির মোট আসন সংখ্যা ছিলো ২৬টি। দ্বাদশ সংসদে এসে এই সংখ্যা অর্ধেকে নেমে এসেছে। তারা জিতেছে ১১টি আসনে। আর এখন আরও দুটি নারী আসন যুক্ত হলে হবে ১৩টি।  জাতীয় পার্টির এই বিপর্যয়ে প্রধান কারণ হচ্ছে সংসদের প্রধান বিরোধী দল হয়েও তারা বিগত দিনে রাজনৈতিক দূরদর্শিতার পরিচয় দিতে পারেনি। বরং সরকারের সব কাজে হ্যাঁ সূচক মাথা নেড়েছে।  জাতীয় পার্টির জিএম কাদের অংশের মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু শনিবার আরেক অনুষ্ঠানে বলেছেন, বিরোধী দল কাকে বলে এবার সংসদে তারা সেটি দেখিয়ে দেবেন। সত্যিকার বিরোধী দল হিসেবেই জাতীয় পার্টি ভূমিকা রাখবে।  যদিও সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা জিএম কাদের গত ৩০ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনের প্রথম দিনে সংসদে দেওয়া বক্তব্যে বলেছেন, বিরোধী দল হিসেবে তারা খুবই দুর্বল। সরকারি দলের অনুপাতে বিরোধী দলের সদস্য সংখ্যা খুবই কম। যা সংসদে ভারসাম্য রক্ষা করতে পারবে না। তিনি স্পিকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন, তাদেরকে যেন কথা বলতে দেওয়া হয়। মাইক যেন বন্ধ করে দেওয়া না হয়।  এটা সত্য যে, সংসদে বিরোধী দল হিসেবে সংখ্যানুপাতে জাতীয় পার্টি একেবারেই দুর্বল। কিন্তু যদি দলটির সংসদীয় নেতা এবং অন্য সদস্যরা সদিচ্ছা রাখেন যে, তারা সরকারের গঠনমূলক সমালোচনা করবেন। সরকারের ভুলগুলো ধরিয়ে দিবেন, সাধারণ মানুষের কথা বলবেন, দুর্নীতি, অনিয়ম, ব্যাংক লুটের বিরুদ্ধে কথা বলবেন তাহলে এটা নিশ্চিত করে বলা যায়, এসব ক্ষেত্রে তাদের প্রতি মানুষের আস্থা বাড়বে। সাধারণ মানুষের মধ্যে তাদের ভাবমূর্তী দিনে দিনে বাড়বে বৈ কমবে না।  সংসদে বিরোধী দলে কয়জন সদস্য আছেন সেটা বড় বিষয় নয়, যারা বা যে কয়জন আছেন, তারা কথা বলতে পারলেন কি-না সেটাই হচ্ছে বিষয়। আর সরকারি দলের সদস্যরা যদি বিরোধী দলকে কথা বলতে বাধা দেন বা স্পিকার মাইক বন্ধ করে দেন তাহলে সেটাও সাধারণ মানুষ দেখবে। তখন মানুষ বিচার করতে পারবে। কিন্তু জাতীয় পার্টির সদস্যরা যদি কথা না বলে, সরকারের গঠনমূলক সমালোচনা না করে শুধু এই করবো, সেই করবো বলে গর্জে যান, তাহলে সেটা শুধু দেশের জন্য তাদের দলের জন্যও কাল হয়ে দাঁড়াবে। ভবিষ্যতে জাতীয় পার্টি থাকবে কি না- সেটি নির্ভর করবে দ্বাদশ সংসদে দলটির কার্যক্রম ও ভূমিকার উপর। একাদশ সংসদে বিএনপির মাত্র সাত জন্য সদস্য ছিলেন। তারা কিন্তু সংসদকে কাঁপিয়ে দিয়েছেন। বিশেষ করে হারুন-উর রশীদ ও রুমিন ফারহানা তো সংসদে ঝড় তুলেছিলেন। বিএনপি যদি মাত্র সাত সদস্য নিয়ে সংসদে উত্তাপ ছড়াতে পারে, তাহলে জাতীয় পার্টি কেন ১৩ জন সদস্য নিয়ে কথা বলতে পারবে না? তাছাড়া বিরোধী দলীয় নেতা জিএম কাদের একজন ভালো বক্তা হিসেবে পরিচিত। দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশনে তিনি যে বক্তব্য দিয়েছেন সেটি দেশবাসীর মনোযোগ কেড়েছে। তার সঙ্গে রয়েছেন বিরোধী দলীয় উপনেতা ও প্রবীণ রাজনীতিক আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। আছেন প্রধান হুইপ মুজিবুল হক চুন্নু। তারা প্রত্যেকেই ভালো বক্তা। তারা চাইলে সংসদকে প্রাণবন্ত করতে পারেন। দ্বাদশ সংসদকে একটি কার্যকর সংসদে পরিণত করতে পারেন। সরকারের গঠনমূলক সমালোচনার মধ্য দিয়ে জাতীয় পার্টি দেশের মানুষের কাছে পৌঁছার পাশাপাশি নিজেদেরকেও সংসদীয় গণতন্ত্রে একটি শক্তিশালী বিরোধী দল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারেন। যার মধ্য দিয়ে দ্বাদশ সংসদ নিয়ে দেশি-বিদেশি যারা নানান প্রশ্ন তুলেছেন বা তোলার চেষ্টা করেছেন তাদের একটা মোক্ষম জবাবও দেওয়া যাবে।  পুরো দেশবাসী কিন্তু এখন জাতীয় পার্টির দিকেই তাকিয়ে। দ্বাদশ সংসদে তাদের ভূমিকা কি হয়, তারা কী প্রকৃত বিরোধী দল হিসেবে নিজেদেরকে প্রমাণ করতে পারবে সেটাই এখন দেখার বিষয়।    লেখক: সাংবাদিক ও লেখক
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:২৬

যে যতই গালি দিক জি এম কাদের এখন বিরোধী দলের নেতা : চুন্নু
জাতীয় সংসদের বিরোধী দলের চিফ হুইপ ও জাতীয় পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, যে যতই গালি দিক, জি এম কাদের এখন বিরোধীদলীয় নেতা। শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় পার্টির ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত দলটির বনানী কার্যালয়ে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এই কথা বলেন।  মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, আওয়ামী লীগের সঙ্গে মহাজোট করার কারণে অনেকেই জাপাকে গৃহপালিত বিরোধী দল বলে। রাজনীতি করতে গেলে সবার সঙ্গে সম্পর্ক থাকা লাগে। জাপা কখনও কারও পারপাস সাফ করে নাই। আমরা সবসময় সরকারের সমালোচনা করেছি। এই সংসদে বিরোধী দল কি তা দেখিয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়ে জাতীয় পার্টির মহাসচিব বলেন, সংসদে সরকারের ভুল-ত্রুটি ধরে দেওয়ার জন্য যা যা করার তাই করা হবে। সরকারের সমালোচনা সাহসের সঙ্গে করা হবে। সংসদে জনগণের পক্ষে কথা বলা হবে।  এ সময় তিনি বলেন, যারা নির্বাচন বর্জন করেছে, তারাই জাপার কিছু লোককে উসকানি দিচ্ছে। সংখ্যা বড় নয়, বড় হলো আন্তরিকতা।
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:৫৪

জাপার প্রধান বিরোধী দলের স্বীকৃতি বাতিল চেয়ে নোটিশ
জাতীয় পার্টিকে সংসদের প্রধান বিরোধী দল হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে যে প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে, তা বাতিল চেয়ে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. ইউনুছ আলী আকন্দ এই নোটিশ পাঠান। তিনি জানান,  গত ২৮ জানুয়ারি জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরকে জাতীয় সংসদের বিরোধী দলের নেতা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জাতীয় সংসদ সচিবালয়। দলটির কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদকে বানানো হয়েছে বিরোধী দলের উপনেতা। এবারের সংসদে জাতীয় পার্টির ১১ জন সংসদ সদস্য। কোন আইন ও কর্তৃত্বের বলে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদায় বেতন ভাতা দিয়ে বিরোধী দলীয় নেতা ও উপনেতা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, তা জানতে চাওয়া হয়েছে আইনি নোটিশে। একইসঙ্গে প্রজ্ঞাপনটি বাতিলের উদ্যোগ নিতে জাতীয় সংসদের স্পিকার ও মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে বলা হয়েছে নোটিশে। অন্যথায় এ বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হবে। নোটিশে আরও বলা হয়, এই নিয়োগের ফলে সরকারের গাড়ি-বাড়ি ও অর্থ অপচয় হয়। জাতীয় পার্টি ১০ শতাংশ আসনও লাভ করেনি। ৩০০ আসনের মধ্যে কমপক্ষে ৩০টি আসনে সংসদ সদস্য (এমপি) থাকলে বিরোধী দলের নেতা হবে. এমন আইন থাকা অতি জরুরি। ভারতের লোকসভায় ১০ শতাংশ সদস্যসহ দ্বিতীয় স্থানে না থাকলে বিরোধী দলের নেতার পদ খালি থাকে, এমন আইন আছে। কিন্তু, আমাদের দেশে নিয়োগেরও আইন নেই, কত সংখ্যক এমপি থাকলে বিরোধী দলের নেতা হতে পারবে তাও উল্লেখ নেই। আইনি নোটিশে অ্যাডভোকেট মো. ইউনুছ আলী আকন্দ আরও বলেন, কতজন সংসদ সদস্য থাকলে বিরোধী দলীয় নেতা হতে পারবে সে বিষয়ে সংসদে আইন করতে হবে। আইন না করা পর্যন্ত সংসদে বিরোধী দলীয় নেতার পদ ভারতের মতো খালি থাকবে।
৩০ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:১৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়