• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ইফতারে পাকিস্তানির জুস খেয়ে ফেলায় খুন হলেন বাংলাদেশি  
মালয়েশিয়ায় ইফতারের সময় পাকিস্তানি সহকর্মীর জুস খেয়ে ফেলায় খুন হয়েছেন এক বাংলাদেশি শ্রমিক। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) দেশটির সেলাঙ্গর রাজ্যে শাহ আলম জেলার সেকশন ৩৬-এর একটি কারখানার শ্রমিক হোস্টেলে এ ঘটনা ঘটে। ইতোমধ্যে হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত পাকিস্তানি শ্রমিককে গ্রেপ্তার করেছে মালয়েশিয়া পুলিশ। মালয়েশিয়ার সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, ইফতারে কমলার জুস পান করা নিয়ে নিজের পাকিস্তানি সহকর্মীর সঙ্গে বিরোধ দেখা দেয় বাংলাদেশি নাগরিকের। তদন্তে জানা গেছে, নিহত ওই বাংলাদেশি (৪৯) একজন সাধারণ শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। অভিযুক্ত পাকিস্তানি নাগরিক তার সঙ্গে ফ্যাক্টরির কন্টেইনারে তৈরি হোস্টেলে থাকতেন। মালয়েশিয়ার শাহ আলম জেলা পুলিশের প্রধান সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ ইকবাল ইব্রাহীম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটে পুলিশ ঘটনার খবর পায়।  বুধবার (২০ মার্চ) এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ইফতারের সময় তার জুস পান করলে বাংলাদেশির ওপর রেগে যান অভিযুক্ত পাকিস্তানি নাগরিক। পরে তিনি রান্নাঘর থেকে ছুরি এনে একাধিকবার ছুরিকাঘাত করেন ভুক্তভোগীকে। খবর পেয়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ঘটনাস্থল থেকে সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে আটক করা হয়। পুলিশ একটি ছুরিও জব্দ করেছে, ধারণা করা হচ্ছে ছুরিটি ওই পাকিস্তানি ব্যক্তি ভুক্তভোগীকে আঘাত করতে ব্যবহার করেছিলেন। ঘটনার তদন্ত চলছে।     
২০ মার্চ ২০২৪, ১৯:২৭

‘ছাগল চুরি দেখে ফেলায় রণজিৎকে হত্যা’
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দির চর আড়কান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ‌্যালয়ের ভোটকেন্দ্র পাহারা দেওয়া গ্রাম পুলিশ রণজিৎ কুমার দে’র (৪০) হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত মুক্তার হোসেন (২৮) নামে এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাজবাড়ী জেলা পুলিশ সুপার জি এম আবুল কালাম আজাদ। পুলিশ সুপার বলেন, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকায় মুক্তার নামের এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন মুক্তার। এ ছাড়া তাদের ব্যবহৃত একটি ইজিবাইক ও চুরি হওয়া দুটি ছাগলের মধ্যে একটি ছাগল উদ্ধার করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত আরও ২ আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এর আগে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগের দিন ৬ জানুয়ারি সকালে চর আড়কান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশের একটি মেহগনি বাগান থেকে রণজিতের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ৮ জানুয়ারি দুপুরে নিহতের স্ত্রী রিতা দে বাদী হয়ে বালিয়াকান্দি থানায় অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা দায়ের করেন। নিহত রণজিৎ কুমার দে বালিয়াকান্দি উপজেলার চর আড়কান্দি গ্রামের শিবেন্দ্র দে’র ছেলে। আর গ্রেপ্তার মুক্তার শেখ ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার ঝাউকাঠি গ্রামের আজিজ শেখের ছেলে। প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার বলেন, পুলিশ এ ক্লুলেস হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। পরবর্তীতে তদন্ত করতে গিয়ে আমরা হত্যাকাণ্ডের ক্লু পাই। মূলত ছাগল চুরি দেখে ফেলাকে কেন্দ্র করে রণজিৎকে হত্যা করা হয়। ঘটনার দিন রাতে তিনজনের একটি দল পার্শ্ববর্তী গ্রাম থেকে দুটি ছাগল চুরি করে ইজিবাইকে নিয়ে এসে চর আড়কান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পেছনে অবস্থান নেন। রণজিৎ দে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে যখন বাইরে বের হন তখন তিনি বিষয়টি দেখে ফেলেন। এ সময় চোর চক্রটি রণজিৎকে ডেকে টাকার লোভ দেখায়। কিন্তু রণজিৎ দে তাতে রাজি না হয়ে বিষয়টি পুলিশকে জানাতে চাইলে তখন রণজিৎকে গামছা দিয়ে পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে তারা। পরে তারা রনজিতের মরদেহটি পাশের এক মেহগনি বাগানে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) মুকিত সরকার, বালিয়াকান্দি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলমগীর হোসেন, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান খান, বালিয়াকান্দি থানা পুলিশের এসআই রাজিবুল ইসলামসহ জেলা পুলিশের অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:৪৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়