• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
প্রেমিকাকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে প্রেমিক গ্রেপ্তার
নরসিংদীর পলাশে ৭ম শ্রেণিতে পড়ুয়া মাদরাসার এক ছাত্রীকে (১৪) ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে মো. সাকিব মিয়া (২০) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।  রোববার (২১ এপ্রিল) রাতে উপজেলার ঘোড়াশাল পৌর এলাকার কুমারটেক গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।  গ্রেপ্তারকৃত সাকিব মিয়া কুমারটেক গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে।  তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকতিয়ার উদ্দিন। তিনি জানান, গ্রেপ্তারকৃত সাকিব মিয়া মাদরাসায় পড়ুয়া ওই কিশোরীকে বিভিন্ন সময় প্রেমের প্রস্তাব দেওয়াসহ উত্ত্যক্ত করতো। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই সুযোগে সম্প্রতি কথা বলার জন্য ওই কিশোরীকে একই গ্রামের কারিমা (৩৫) নামের এক নারীর ফাঁকা বাসায় ডেকে নিয়ে ধর্ষণচেষ্টা করে সাকিব মিয়া। পরে সেখান থেকে ওই কিশোরী দৌড়ে পালিয়ে যায়।  তিনি আরও জানান, লোকলজ্জার ভয়ে বিষয়টি কাউকে জানায়নি মেয়েটির পরিবার। তবে গত ১৬ এপ্রিল ফের ওই কিশোরীকে কুপ্রস্তাব দিলে বিষয়টি সামাজিকভাবে জানাজানি হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিলে ওই যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়।  গ্রেপ্তারকৃত সাকিব মিয়ার বিরুদ্ধে থানায় ধর্ষণ চেষ্টা মামলা হয়েছে বলেও জানান ওসি।
২২ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:২০

প্রেমিকাকে জীবনসঙ্গী হিসেবে পেতে পাগলা মসজিদের দান বাক্সে চিঠি
কিশোরগঞ্জ শহরের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদ। প্রেমিক তার প্রেমিকাকে জীবনসঙ্গী করে পেতে মসজিদের দান বাক্সে লিখেছেন চিঠি। চিঠিতে তিনি লিখেছেন, বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। আমি একটা মেয়েকে ভালবাসি কিন্তু মেয়েটা আমাকে ভালো বাসে না। আমি আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করি যে আল্লাহ্ তাকে যেন আমার জীবন সঙ্গী হিসাবে কবুল করেন। মেয়েটার নাম মোছা. সারভীন আক্তার, আমার নাম সাইফুল ইসলাম। আপনারা আমাদের জন্য দোয়া করবেন। আল্লাহ যেন আমাদেরকে কবুল করেন। এমন আরেকটি চিরকুটে লেখা, আল্লাহ আমি যেন একটা মানসম্মত নাম্বার পাই একটা ভালো কলেজে ভর্তি হতে পারি। আমার মাথার সব খারাপ চিনতা দুর রে হয়ে যায়, আল্লাহ আমার মা-বাবারে ভালো রাখে রেখ। আমি যেন রফিকুল ইসলাম কলেজে ভর্তি হতে পারি। কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখের উপস্থিতিতে দানবাক্সগুলো খোলা হয়। কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ জানান, ৪ মাস ১০ দিন পর আজ শনিবার (২০ এপ্রিল) সকালে পাগলা মসজিদে ৯টি দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছে। এই মসজিদে রয়েছে নয়টি লোহার দানবাক্স প্রতি ৩ মাস পর পর দানবাক্সগুলো খোলা হয়। এবার ৪ মাস ১০ দিন পর শনিবার (২০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৭টায় দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছে। এতে মিললো রেকর্ড ২৭ বস্তা টাকা ও বিপুল পরিমাণ স্বার্ণালংকা অলংকার। এছাড়া রয়েছে মনোবাসনা পূর্ণ করতে বিভিন্ন চিরকুট।তিন মাস পর পর দানবাক্সগুলো খোলা হলেও এবার রমজানের কারণে ৪ মাস ১০ পরে দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছে। টাকা গণনা কাজে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মহুয়া মমতাজ, মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি খলিলুর রহমান ও রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) রফিকুল ইসলাম, সিবিএ নেতা আনোয়ার পারভেজসহ মসজিদ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য এবং মসজিদ কমপ্লেক্সে অবস্থিত মাদরাসা ও এতিমখানার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরাসহ মোট ২২০ জনের একটি দল অংশ নিয়েছেন। এর আগে সর্বশেষ ২০২৩ সালের ৯ ডিসেম্বর খোলা হয়েছিল পাগলা মসজিদের ৯টি দানবাক্স। তখন রেকর্ড ৬ কোটি ৩২ লাখ ৫১ হাজার ৪২৩ টাকা পাওয়া গিয়েছিল। এছাড়া বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কারও পাওয়া যায়। ২০২৩ সালে চারবার খোলা হয়েছিল কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্স। চারবারে মোট ২১ কোটি ৮৭ লাখ ৮৫ হাজার ১৮১ টাকা পাওয়া গিয়েছিল। টাকার পাশাপাশি হীরা, বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালংকারও পাওয়া গেছে বিপুল পরিমাণ। মসজিদের দান থেকে পাওয়া এসব অর্থ সংশ্লিষ্ট মসজিদসহ জেলার বিভিন্ন মসজিদ, মাদরাসা ও এতিমখানার পাশাপাশি বিভিন্ন সমাজকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় হয়। এছাড়া করোনাকালে রোগীদের সেবায় নিয়োজিত শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৮০ জন স্বেচ্ছাসেবককেও অনুদান দেয়া হয়েছিল এ দানের টাকা থেকে। মসজিদটিতে এবার আন্তর্জাতিক মানের দৃষ্টিনন্দন ইসলামিক কমপ্লেক্স নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। দ্রুতই এর কাজ শুরু হবে। যার নামকরণ হবে ‘পাগলা মসজিদ ইসলামিক কমপ্লেক্স’। এটি নির্মাণে প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছে ১১৫ কোটি টাকা। সেখানে ৬০ হাজার মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারবেন।  
২০ এপ্রিল ২০২৪, ২২:৩৯

প্রেমিকাকে নিয়ে ভাড়া ফ্ল্যাটে উঠলেন ইমরান
বলিউড অভিনেতা ইমরান খান। ২০০৮ সালে ‘জানে তু ইয়া জানে না’ সিনেমার মাধ্যমে রুপালি পর্দায় পা রাখেন তিনি। এরপর ক্যারিয়ারে একাধিক সফল সিনেমা দর্শকদের উপহার দিয়েছেন এই অভিনেতা। তবে একটা সময় পর হারিয়ে যান তিনি। ব্যক্তিগত জীবনে অবন্তিকা মালিকের সঙ্গে ঘর বেঁধেছিলেন ইমরান। তবে খুব বেশি দিন টেকেনি সেই সংসার। কিছুদিন আগে এই সংসার ভাঙার ঘোষণা দিয়ে নতুন প্রেমের সম্পর্কের কথা জানান ইমরান।   জানা গেছে, অভিনেত্রী ও ফ্যাশন ডিজাইনার লেখা ওয়াশিংটনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছেন ইমরান। এবার প্রেমিকাকে নিয়ে ভাড়া ফ্ল্যাটে উঠেছেন তিনি।  ভারতীয় গণমাধ্যমের সূত্র অনুযায়ী, বলিউড নির্মাতা-প্রযোজক করন জোহরের মুম্বাইয়ের বান্দ্রার বাড়িতে আগামী ৩ বছরের জন্য চুক্তিতে ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়েছেন ইমরান। গত ২০ মার্চ বাড়ি ভাড়ার চুক্তিসই হয়।  প্রতি মাসে এই ফ্ল্যাটের জন্য ৯ লাখ রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১১ লাখ ৮৪ হাজার টাকা) ভাড়া গুণতে হবে ইমরানকে। আগে পালি হিলের নিজের বাসায় থাকতেন ইমরান। কিন্তু বর্তমানে প্রেমিকা লেখাকে নিয়ে এই ভাড়া বাসায় উঠেছেন তিনি।  বলিপাড়ায় ইমরান-অবন্তিকার বিবাহবিচ্ছেদ নিয়ে দীর্ঘদিন চর্চা হয়েছে। যদিও বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেননি সাবেক এই দম্পতি। কিছুদিন আগে ভোগ ম্যাগাজিনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ডিভোর্স ও লেখার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ানোর কথা স্বীকার করেন ইমরান। দীর্ঘ আট বছর প্রেম করার পর ২০১১ সালের জানুয়ারিতে অবন্তিকাকে বিয়ে করেন ইমরান। ২০১৪ সালে তাদের মেয়ে ইমারার জন্ম হয়। প্রসঙ্গত, ইমরান অভিনীত সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘কাট্টি বাট্টি’। এটি ২০১৫ সালে মুক্তি পায় সিনেমাটি। তবে নিখিল আদভানি পরিচালিত এই সিনেমাটি বক্স অফিসে খুব একটা সফলতা পায়নি। সিনেমায় কঙ্গনা রানওয়াতের সঙ্গে জুটি বেঁধেছিলেন ইমরান। ‘মিশন মার্স: কিপ ওয়াকিং ইন্ডিয়া’ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের মাধ্যমে পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন ইমরান। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া   
০২ এপ্রিল ২০২৪, ১০:০৪

প্রেমিককে বেঁধে প্রেমিকাকে দলবদ্ধ ধর্ষণ, আ.লীগ নেতা পলাতক
সুনামগঞ্জের প্রেমিককে বেঁধে ১৬ বছরের এক কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ করেছে আওয়ামী লীগ নেতা ও তার বন্ধুরা। শুক্রবার (৯ মার্চ) রাতে দোয়ারাবাজার উপজেলার মান্নারগাঁও ইউনিয়নের জালালপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতা ও তার বন্ধুরা ফেরারি রয়েছেন। ভুক্তভোগী প্রেমিক-প্রেমিকার বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, মেয়েটির বাড়ি হবিগঞ্জের মাধবপুরে আর ছেলেটির বাড়ি বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার পলাশ গ্রাম। কয়েকমাস আগে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। শুক্রবার তাড়া বাড়ি থেকে পালিয়ে কামারগাঁওয়ে ছেলেটির বন্ধু আফাজ উদ্দিনের বাড়িতে যাওয়ার জন্য রওনা হয়। সন্ধায় এক সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক আবদুল করিম তাদের আফাজ উদ্দিনের বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে গাড়িতে তোলে। রাতে জালালপুর গ্রামের ভেতর গিয়ে আবদুল করিম অটোরিকশায় গ্যাস নেই জানিয়ে তাদের নামিয়ে দেয় এবং মান্নারগাঁও ৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সম্পাদক আফছর উদ্দিনকে ডেকে আনে। এরপর ওই নেতা তাদের মারধর ও পুলিশে দেওয়ার ভয়ভীতি দেখায়। ভয়ে ওই তরুণ বন্ধুর বাবা মিয়াজান আলীকে ফোন দেয়। মিয়াজান আলী ঘটনাস্থলে এলে তাকেও ওই নেতা ভয় দেখিয়ে তাড়িয়ে দেয়। পরে রাত ১টার দিকে দু’জনকে একটি ঘরে নিয়ে আটকে রাখে। এক পর্যায়ে ছেলেটিকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে আফছর ও তার বন্ধু ফয়জুল বারী, কামারগাঁওয়ের আবদুল করিম ও জালালপুরের ছয়ফুল ইসলাম মিলে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে। শনিবার (৯ মার্চ) ভোরে অসুস্থ কিশোরী ও তার প্রেমিককে আবার করিমের অটোরিকশায় তুলে সুনামগঞ্জের উদ্দেশে পাঠায় আফসার। ভোর সাড়ে ৪টার দিকে কাটাখালী বাজারের কাছে এসে তাদেরকে অটোরিকশা থেকে নামিয়ে দেয় করিম। সকালে স্থানীয় অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য সিকান্দার আলীর সহযোগিতা চায় তারা। ওই পুলিশ সদস্য শনিবার দুপুরে ইউপি সদস্যকে বিষয়টি জানালে তারা পুলিশে খবর দেন। বিকেলে পুলিশ এসে নির্যাতিতা ও তার প্রেমিককে তাদের হেফাজতে নেয়। সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) রাজন কুমার দাস জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তারা নির্যাতিতা ও তার প্রেমিকের বক্তব্যও শুনছেন। রাতেই নির্যাতিতা কিশোরী আফসরসহ চারজনকে আসামি করে মামলা করেছে। এ বিষয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১০ মার্চ ২০২৪, ১৫:৫৯

‘বিয়ের জন্য চাপ দেওয়ায় প্রেমিকাকে খুন করেছে শিমুল’
সাভারের আশুলিয়ায় স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বাসা ভাড়া নেওয়ার তিন দিনের মাথায় এক নারী পোশাকশ্রমিককে খুনের দায়ে শিমুল আলী ওরফে শিমুল রেজা (২৬) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।  মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুর ১২টায় আশুলিয়া থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন সাভার সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার সাহিদুল ইসলাম।  আজ ভোরে আশুলিয়ার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার শিমুল রাজশাহীর দুর্গাপুর থানার জয়কৃষ্ণপুর গ্রামের আবদুল জলিলের ছেলে।  তিনি স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। নিহত ববিতা গাইবান্ধার ফুলছড়ি থানার পশ্চিম খাটিয়ামারি গ্রামের মৃত আজিজুল হকের মেয়ে।  মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আবুল মালেক বলেন, হত্যাকারী খুব চালাক প্রকৃতির। তিনি হত্যাকাণ্ডের পরে নিহতের ভোটার আইডি কার্ডসহ সমস্ত কাগজপত্র লোপাট করে নিয়ে যান। পরবর্তী সময়ে ববিতার পূর্বের স্বামীর সঙ্গে যোগাযোগ করে তথ্য সংগ্রহ করে আসামি শিমুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। ঘটনার বর্ণনা দিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সহকারী পুলিশ সুপার (সাভার সার্কেল) সাহিদুল ইসলাম বলেন, নিহত ববিতা গাজীপুরে থেকে একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। প্রায় ছয় মাস আগে তার আগের স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হলে তিনি আশুলিয়ার ইউনিক এলাকায় এসে ভাড়া থাকতে শুরু করেন। পরে শিমুলের সঙ্গে ববিতার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ববিতা শিমুলকে বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকে। তবে শিমুল বিয়েতে রাজি না থাকায় ববিতাকে হত্যার পরিকল্পনা করে।  তিনি আরও বলেন, পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই শিমুল স্বামী-স্ত্রীর পরিচয়ে আশুলিয়ার ইউনিক এলাকার দ্বীন মোহাম্মদের বাড়ির একটি কক্ষ ভাড়া নেয়। বাসা ভাড়া নেওয়ার দুই দিন পর ববিতাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে শিমুল। পরে কক্ষের বাইরে থেকে তালা দিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় নিহতের ভাই বাদশা মিয়া বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।  উল্লেখ্য, গত ২৮ জানুয়ারি আশুলিয়ার ইউনিক এলাকার দ্বীন মোহাম্মদের বাড়ি থেকে নিহত ববিতার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
৩০ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:৫৬

প্রেমিকাকে হত্যা, প্রেমিকের যাবজ্জীবন
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে প্রেমিকাকে হত্যার ঘটনায় ইউনুছ আলী (২৭) নামে এক যুবকের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক নাজমুল হক শ্যামল আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডপ্রাপ্ত ইউনুছ আলী আড়াইহাজারের বিষনন্দী এলাকার আবদুল ওহাবের ছেলে। মামলা সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী প্রেমিকা হলেন ফাতেমা (২৩)। তিনি তার নানি বাড়ি আড়াইহাজারে মানিকপুর বসবার করতেন। তার নানি বাড়ি থাকা অবস্থায় দণ্ডপ্রাপ্ত ইউনুছ আলীর সঙ্গে পরিচয়। ইউনুছ সম্পর্কে তার আত্মীয় হয়। এক পর্যায়ে তাদের মাঝে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই সঙ্গে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাদের মাঝে কয়েকবার শারীরিক সম্পর্ক হয়। কিন্তু তাদের সম্পর্ক মেনে নিচ্ছিলো না ইউনুছের পরিবার। যার কারণে ইউনুছ আলী ফাতেমার সঙ্গে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করেন। এদিকে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করায় ফাতেমা মামলা করার ভয় দেখিয়ে আসছিল। এমতাবস্থায় ২০২০ সালের ১০ আগস্ট বিকেলে ফাতেমাকে ফোন করে নিয়ে যায় ইউনুছ আলী। ইউনুছ ও ফাতেমা একসঙ্গে ঘুরাঘুরি করে রাত ১টায় মানিকপুর এলাকায় নিয়ে গলাটিপে হত্যা করেন। এরপর লাশটি গুম করার উদ্দেশ্য মাটি চাপা দিয়ে দেওয়া হয়। পরে চারদিন পর লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় আড়াইহাজার থানায় মামলা দায়ের করা হয়। আদালত ১২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে বিচার কার্যক্রম শেষে এ রায় ঘোষণা করেন। কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান গণমাধ্যমকে বলেন, ১২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে আদালত আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেছেন।
২৩ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:৩১

প্রেমিকাকে পাস করাতে নারী সেজে পরীক্ষার হলে যুবক, অতঃপর...
প্রেমিকার জন্য প্রেমিক পুরুষটি কত কিছুই-না করে! প্রেমিকার জন্য কোনো কোনো প্রেমিক জীবন বাজি রাখতেও দ্বিধাবোধ করে না। এবার অদ্ভুত এক কাণ্ড বাধালেন ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যের এক প্রেমিক।   একটি নিয়োগ পরীক্ষায় প্রেমিকা যেন ভালো নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ হতে পারে, সেজন্য তিনি চুড়ি পরে, কপালে টিপ ও ঠোঁটে লিপস্টিক দিয়ে নারী সেজে পরীক্ষা দিতে গিয়েছিলেন।  গত ৭ জানুয়ারি ফরিদকোট জেলার কটকাপুরার ডিএভি পাবলিক স্কুলে স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগের পরীক্ষায় এই কাণ্ড ঘটান ওই যুবক। প্রেমিকা পরমজিৎ কৌরের ছদ্মবেশে পরীক্ষা দিতে হাজির হয়েছিলেন প্রেমিক আংরেজ সিং। আর আইডি কার্ডসহ যাবতীয় কাগজপত্রও আগে থেকেই জোগাড় করে রেখেছিলেন। পরীক্ষার আগে মেয়েদের বেশে ছবি তুলে পরমজিতের নামে নকল পরিচয়পত্র তৈরি করিয়ে নেন আংরেজ। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তারা আংরেজের এই জালিয়াতি ধরে ফেলে পুলিশে অভিযোগ করেন। পুলিশ জানিয়েছে, আংরেজ সিং ভুয়া ভোটার ও আধার কার্ড নিয়ে পরমজিৎ কৌর সেজে পরীক্ষা দিতে যান। পরিকল্পনা মোটামুটি নিশ্ছিদ্রই ছিল। কিন্তু বাগড়া বাধল আঙুলের ছাপ নেওয়ার সময়। পরীক্ষা দেওয়ার আগে বায়োমেট্রিক যন্ত্রে আংরেজের আঙুলের ছাপ আসল পরীক্ষার্থীর আঙুলের ছাপের সঙ্গে মেলেনি। তাতেই ধরা পড়ে গেলেন তরুণ প্রেমিক। পরে মিথ্যা পরিচয় দিয়ে পরীক্ষা দেওয়ার অভিযোগে আংরেজকে গ্রেপ্তার করে পাঞ্জাব পুলিশ।
১৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১৬:৪৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়