• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
পাঁচ বিসিএস ক্যাডারের মা সুফিয়াকে রত্নগর্ভা পদক প্রদান 
পাঁচ বিসিএস ক্যাডারের মা মিসেস সুফিয়া আক্তার হককে রত্নগর্ভা পদক প্রদানের মাধ্যমে সম্মানিত করেছে কুমিল্লা যুব সমিতি। শুক্রবার (২৯ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবে আনুষ্ঠানিকভাবে এ পদক প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল মান্নান। মিসেস সুফিয়া আক্তার হক কুমিল্লা জেলা মুরাদনগর থানার বাইরা গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে ১৯৫৫ সালের ২ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করে। তার বাবা মৃত তারিফুল ইসলাম সরকার ছিলেন একজন স্কুল শিক্ষক। তখনকার দিনে মেয়েদের বিভিন্ন কারণে লেখাপড়ায় অনগ্রসরতা ছিল। বাবা এবং মা মৃত জোবেদা খাতুনের আন্তরিক প্রচেষ্টায় এবং শাসনে তিনি এইচএসসি পাস করেন। পরবর্তীতে সাংসারিক কাজে ব্যস্ত হয়ে যাওয়ায় আর লেখাপড়ায় এগোতে পারেননি। তার স্বামী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শহীদুল হক পেশায় একজন অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এবং সাংবাদিক। মুক্তিযুদ্ধের সময় তাদের এক ছেলে এবং এক মেয়ে ছিল। তার স্বামী বঙ্গবন্ধুর ডাকে যখন ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়ার জন্য বাড়ি থেকে পালিয়ে ভারতের মেলাঘরে প্রশিক্ষণ নেওয়ার জন্য চলে গিয়েছিল তখন তিনি দুই সন্তানকে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় আত্মগোপন করেছিলেন। কারণ, তখন রাজাকাররা মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের ওপর চরম নির্যাতন করত। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর তার স্বামী ফিরে আসলে নতুন করে তাদের জীবন শুরু হয়। একে একে তার চার ছেলে এবং তিন মেয়ে জন্মগ্রহণ করে। তার স্বামী শিক্ষকতা এবং সাংবাদিকতা নিয়ে ব্যস্ত থাকলেও তিনি একাই তার সাত সন্তানকে লেখাপড়ায় ব্যস্ত রেখেছিলেন।  মিসেস সুফিয়া আক্তার হকের প্রতিটি ছেলেমেয়ে সম্মানজনক পেশায় প্রতিষ্ঠিত। তার বড় ছেলে মো. নোমানুল হক সুপ্রিম কোর্টের একজন অ্যাডভোকেট। দ্বিতীয় ছেলে মো. নাজমুল হক বিসিএস পররাষ্ট্র ক্যাডারের একজন সদস্য। বর্তমানে তিনি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পরিচালক হিসেবে কর্মরত আছেন। তৃতীয় ছেলে মো. নাইমুল হক বিসিএস পুলিশ ক্যাডারের একজন সদস্য। বর্তমানে তিনি ট্যুরিস্ট পুলিশের ঢাকা রিজিয়নে পুলিশ সুপার হিসেবে কর্মরত আছেন। চতুর্থ ছেলে মো. নাদিমুল হক বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের একজন সদস্য। তিনি বর্তমানে তিতুমীর সরকারি কলেজে কর্মরত আছেন। বড় মেয়ে রায়হানা কলি বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের একজন সদস্য। তিনি বর্তমানে সবুজবাগ সরকারি কলেজে কর্মরত আছেন। দ্বিতীয় মেয়ে রুমানা কান্তা পেশায় একজন ডাক্তার। তিনি বর্তমানে নিউইয়র্কে একটি হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত আছেন। তৃতীয় মেয়ে রোখসানা কনা বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের একজন সদস্য। তিনি বর্তমানে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক অধিদপ্তরে (মাউশি) গবেষণা অফিসার হিসেবে কর্মরত আছেন।
৩০ মার্চ ২০২৪, ১৬:৩১

ভাইকে বলেছিলাম আমি একুশে পদক নেব না!
না ফেরার দেশে পাড়ি দিয়েছেন কিংবদন্তি রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী, শিক্ষক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন রবিরাগের পরিচালক সাদি মহম্মদ। বুধবার (১৪ মার্চ) সন্ধ্যা ৭টার মোহাম্মদপুরের নিজ বাসায় আত্মহত্যা করেন তিনি। গুণী এই শিল্পীর মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছেন তার ছোট ভাই প্রখ্যাত নৃত্যশিল্পী শিবলী মহম্মদ। শিবলী নিজেই প্রথমে ঘরের দরজা ভেঙে ভাইয়ের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান। যে মুহূর্ত কোনোভাবেই ভুলতে পারছেন না তিনি। বড় ভাই সাদি মহম্মদকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করে শিবলী মহম্মদ বলেন, আমার ভাই মনে কষ্ট নিয়ে চলে গেছে। সে মনে করত, তাকে মূল্যায়ন করা হয়নি। কত মানুষ কত পদক পাচ্ছে, এসব তাকে খুব ভাবাতো। সে বড্ড অভিমানী ছিল। আমরা তাকে বোঝাতাম, আমাদেরকে মানুষ ভালোবাসে। পদক দিয়ে কী হবে? কিন্তু তার মনে চাপা কষ্ট ছিল। সেই কষ্ট নিয়েই চলে গেল। ইফতার করে ভাই নিজের রুমে গিয়ে গানের রিহার্সেল করছিল। এরপর তার সহকারীকে বলেছে, তুমি বাইরে যাও আমি রিহার্সেল শেষ করে ফোন করলে এসো। তখন আমি তার রুমের সামনে গিয়ে দেখতে পাই ভেতর থেকে দরজা বন্ধ। যেটা আমার কাছে অস্বাভাবিক মনে হয়। কারণ, তিনি কখনোই রুমের দরজা বন্ধ করেন না রিহার্সেলের সময়। এরপর কড়া নাড়লেও ভেতর থেকে কোনো শব্দ মেলে না। পরে আমি বলি দরজা ভাঙো। দরজা ভেঙে ভেতরে যে দৃশ্য আমি দেখলাম....। আমার জীবনে কেন এই দৃশ্য দেখতে হলো! আমার ভাই রাষ্ট্রীয় কোনো স্বীকৃতি পেলে একটু তৃপ্তি পেত। সাদি মহম্মদ তো আমার বড়, তার সামনে যখন আমি একুশে পদক পাই সেটা ছিল আমার জন্য বিব্রতকর। আমি ভাইকে বলি, একুশে পদক নেব না। কিন্তু সে আমাকে বলে, কেন নিবি না? তুই তো নাচের জন্য বাংলাদেশে কম কিছু করিস নি। পরে তাকে যখন একুশে পদক অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য কার্ড দিলাম, সে বললো, না থাক রে। তুই যা। আমি সেখানে যাব না। গেলে অনেকেই প্রশ্ন করবে, আমি কেনো পদক পাই না। এগুলো আমাদেরকে বিব্রত করবে।
১৫ মার্চ ২০২৪, ১৩:৪৬

সন্দ্বীপ থানার ওসির পিপিএম পদক লাভ
চট্টগ্রাম জেলার সন্দ্বীপ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন পুলিশ পদক (পিপিএম) পদক পেয়েছেন। মামলার রহস্য উদঘাটন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, দক্ষতা, কর্তব্যনিষ্ঠা, সেবা, সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ সন্দ্বীপ থানার ওসিকে বাংলাদেশ পুলিশের সর্বোচ্চ পিপিএম পদক প্রদান করা হয়েছে। রাজারবাগ পুলিশ প্যারেড গ্রাউন্ডে মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) পুলিশ সপ্তাহের প্রথম দিন সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতি হিসেবে সর্বাধিক সংখ্যক ৪০০ পুলিশ সদস্যকে বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম) ও রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম) পরিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। সন্দ্বীপ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন পুলিশ পদক (পিপিএম) প্রাপ্ত হওয়ায় সন্দ্বীপবাসী সামাজিক  যোগাযোগ মাধ্যমে তাকে শুভেচ্ছা জানান।  ওসি কবির হোসেন আরটিভিকে বলেন, পিপিএম পদক সবার স্বপ্ন থাকে। এ অর্জনে আমি খুবই আনন্দিত। আমি সবসবয় সেবার মানসিকতায় কাজ করে যাচ্ছি। পুরস্কার প্রাপ্তি কাজের গতি আরও বাড়িয়ে দেয়। আইন শৃঙ্খলা রক্ষার এবং মানুষের সেবা করা আমার দায়িত্ব ও কর্তব্য। তিনি আরও বলেন, যতদিন পুলিশ বিভাগে থাকবেন এভাবেই মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখবেন। 
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:৩২

প্রেসিডেন্ট পুলিশ পদক পেলেন ওসি আকবর আলী খান
সাহসিকতা, বীরত্বপূর্ণ অবদান, গুরুত্বপূর্ণ মামলার রহস্য উদঘাটন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, দক্ষতা, কর্তব্যনিষ্ঠা, সততা ও শৃঙ্খলামূলক আচরণের মাধ্যমে প্রশংসনীয় অবদানের জন্য সাভার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আকবর আলী খান ভূষিত হয়েছেন রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম) উপাধিতে। মঙ্গলবার ( ২৭ ফেব্রুয়ারী) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে এ পদক গ্রহণ করেন ওসি আকবর আলী খান। বার্ষিক পুলিশ প্যারেডের মধ্য দিয়ে ২৭ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার থেকে পুলিশ সপ্তাহ-২০২৪ শুরু হয়েছে। সকালে রাজারবাগ পুলিশ লাইনস মাঠে পুলিশ সপ্তাহের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় তিনি সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ৪০০ জনকে বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম) ও রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম) পরিয়ে দেন।  এর আগেও কর্মক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘আইজিপি এক্সেমপ্ল্যারি গুড সার্ভিসেস ব্যাজ’ পেয়েছেন ওসি আকবর আলী। পেশাদার, সৎ, দক্ষ, সাহসী ও নিরপেক্ষ পুলিশ কর্মকর্তা আকবর আলী খান রাষ্ট্রীয় সম্মাননায় ভূষিত হওয়ায় দোয়া, ভালোবাসা ও শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন অনেকে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেবাপ্রাপ্তি, সহকর্মী ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা অজস্র শুভ কামনা ও প্রীতি জানিয়েছেন তাকে। ওসি আকবর আলী খান বেসিক ট্রেনিং গ্রহণের মাধ্যমে পুলিশ বাহিনীতে যোগদানের পর কর্মক্ষেত্র শুরু করেন। পুলিশের বিভিন্ন স্টেশনে সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে সর্বশেষ গাজীপুরের কালিয়াকৈর থানা হয়ে বর্তমানে সাভার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হিসেবে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে সরকারের লক্ষ্য অনুযায়ী পুলিশ বাহিনীর সুনাম অর্জনে কাজ করে যাচ্ছেন।  আকবর আলী খান ছোট বেলা থেকেই লেখাপড়ায় ও সামাজিক কাজে মনোযোগী ছিলেন। প্রাথমিক শিক্ষা জীবন থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত নিজেকে অগণিত সামাজিক ও দায়িত্বশীল কাজে নিয়োজিত করেছেন এবং পুলিশ বাহিনীর অর্পিত দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে সহকর্মী ও পুলিশি সেবা প্রার্থীদের কল্যাণে কাজ করে সাধারণ মানুষ এবং পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে নন্দিত হয়েছেন। এ ছাড়াও ঢাকা রেঞ্জ ও জেলা পুলিশে যোগদানের পর দায়িত্বপ্রাপ্ত স্টেশনের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা, অপরাধ দমন, অপরাধীদের গ্রেপ্তার, মামলা গ্রহণ, বিচারে সহায়তা, সড়ক শৃঙ্খলা ও ভিআইপি নিরাপত্তা-প্রটোকল, গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ ও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়াসহ অনেক দায়িত্ব পালন করে সার্বিক বিবেচনায় বিশেষ সম্মাননাসহ একাধিকবার পুলিশের শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার গৌরব অর্জন করেন আকবর আলী খান।
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:০১

রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক পেলেন নেত্রকোণা পুলিশ সুপার ফয়েজ আহমেদ 
বীরত্বপূর্ণ কাজ, সেবা ও সাহসিকতার জন্য সম্মানজনক রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক (পিপিএম) পেয়েছেন নেত্রকোণার পুলিশ সুপার ফয়েজ আহমেদ। মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) পুলিশ সপ্তাহের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ পুরস্কার ও পদক তুলে দিয়েছেন। দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্বপালনসহ মানুষের জানমালের নিরাপত্তায় লোভ-লালসার উর্ধে থেকে সত্যিকারার্থেই দায়িত্ব পালন করায় যে কয়েকজনকে পদক প্রদান করা হয়েছে তাদের মধ্যে ফয়েজ আহমেদ অন্যতম।  নেত্রকোণায় ফয়েজ আহমেদের যোগদানের সময় খুব বেশি নয় কিন্তু তার অর্জন অনেক। ময়মনসিংহ বিভাগের চার জেলার মধ্যে একটি হচ্ছে নেত্রকোণা। হাওরাঞ্চল খ্যাত ভারত সীমান্তবর্তী এলাকা শিল্প-সংস্কৃতির উর্বর ভূমি নেত্রকোণা জেলায় রয়েছে দশটি থানা। দশ থানা নিয়ে গঠিত নেত্রকোণা জেলা পুলিশের কর্ণধার পুলিশ সুপার (এসপি) ফয়েজ আহমেদ। জেলায় যোগদানের পর থেকে ফয়েজ আহমেদ পুলিশের প্রতিটি থানা ও পুলিশ সদস্যদের সঠিক দিকনির্দেশনা দিয়ে নেত্রকোণা পুলিশকে শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট এর আগেও পড়াতে পেরেছেন। অপরাধ দমনে বিশেষ ভূমিকা রাখায় শ্রেষ্ঠ পুলিশ সুপারও নির্বাচিত হয়েছেন ফয়েজ আহমেদ।
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:০৩

৪০০ পুলিশ সদস্যকে পদক পরিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী
সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতি হিসেবে এবার সর্বাধিক সংখ্যক ৪০০ পুলিশ সদস্যকে বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম) এবং রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম) পরিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় রাজারবাগ পুলিশ লাইনস মাঠে পুলিশ সপ্তাহের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। ‘স্মার্ট পুলিশ স্মার্ট দেশ, শান্তি প্রগতির বাংলাদেশ’- প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে শুরু হলো পুলিশ সপ্তাহ-২০২৪। এ সময় জীবন উৎসর্গকারী নয়জনের পরিবারের সদস্যদের হাতে মরণোত্তর বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম) তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অসীম সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ ৩৫ জন পুলিশ সদস্যকে ‘বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম)’, ৬০ জনকে ‘রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম)’ এবং গুরুত্বপূর্ণ মামলার রহস্য উদঘাটন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, দক্ষতা, কর্তব্যনিষ্ঠা, সততা ও শৃঙ্খলামলূক আচরণের মাধ্যমে প্রশংসনীয় অবদানের জন্য ৯৫ জন পুলিশ সদস্যকে ‘বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম)-সেবা’ এবং ২১০ জনকে ‘রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম)-সেবা’ পদকে ভূষিত করা হয়। বিপিএম সাহসিকতা ও সেবা এবং পিপিএম সাহসিকতা ও সেবা- এই চারটি ক্যাটাগরিতে প্রতিবছর এই পুরস্কার দেওয়া হয়। যারা এ পদকে ভূষিত হন তাদের নামের শেষে বিপিএম-পিপিএম উপাধি যুক্ত হয়। বর্তমান সরকার পুলিশ বাহিনীকে একটি আধুনিক, যুগোপযোগী, দক্ষ ও জনবান্ধব বাহিনীতে রূপান্তরিত করার লক্ষ্যে নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। ফলে পুলিশ সদস্যদের কার্যক্রমে এসেছে গতিশীলতা এবং কর্মচাঞ্চল্য। পুলিশের জনবল বৃদ্ধি, সক্ষমতা বৃদ্ধি, প্রযুক্তির সংযোজন, যুগোপযোগী প্রশিক্ষণ, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, বিশেষায়িত নতুন নতুন ইউনিট গঠনসহ বিদ্যমান বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। পুলিশ সপ্তাহের বিভিন্ন কর্মঅধিবেশনে গত এক বছরের কার্যক্রম পর্যালোচনা করে পরবর্তী বছরের কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ করা হবে।
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:২৪

পুলিশ সপ্তাহ শুরু আজ, পদক পাচ্ছেন ৪০০ জন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকাল সাড়ে ১০টায় রাজারবাগ পুলিশ লাইনস মাঠে পুলিশ সপ্তাহের উদ্বোধন করবেন। বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে শুরু হচ্ছে ৬ দিনব্যাপী পুলিশ সপ্তাহ ২০২৪। এবারের পুলিশ সপ্তাহ ২০২৪-এর মূল প্রতিপাদ্য ‘স্মার্ট পুলিশ, স্মার্ট দেশ; শান্তি প্রগতির বাংলাদেশ।’ বার্ষিক পুলিশ প্যারেডের মধ্য দিয়ে শুরু হবে কর্মসূচি।   পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে ২০২৩ সালে অসীম সাহসিকতা, বীরত্বপূর্ণ কাজ, মামলার রহস্য উদ্ঘাটন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, দক্ষতা প্রদর্শন, কর্তব্যনিষ্ঠা, সততা ও শৃঙ্খলামূলক আচরণের জন্য ৪০০ জন বিপিএম ও পিপিএম পদক পাচ্ছেন। পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের অসীম সাহসিকতা, বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ ৩৫ জন পুলিশ সদস্যকে ‘বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম)’ , ৬০ জনকে ‘রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম)’ এবং গুরুত্বপূর্ণ মামলার রহস্য উদঘাটন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, দক্ষতা প্রদর্শন, কর্তব্য নিষ্ঠা, সততা ও শৃঙ্খলামূলক আচরণের মাধ্যমে প্রশংসনীয় অবদানের জন্য ৯৫ জন পুলিশ সদস্যকে ‘বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম-সেবা)’ এবং ২১০ জনকে ‘রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম-সেবা)’ পদক প্রদান করা হবে। প্রধানমন্ত্রী পদকপ্রাপ্তদেরকে পদক প্রদান করবেন। প্রধানমন্ত্রী পদকপ্রাপ্তদেরকে পদক প্রদান করবেন। প্রধানমন্ত্রী সারাদেশের বিভিন্ন পুলিশ ইউনিটের সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত বিভিন্ন কন্টিনজেন্ট এবং পতাকাবাহীদলের মনোমুগ্ধকর প্যারেড পরিদর্শন ও অভিবাদন গ্রহণ করবেন। এরপরে তিনি প্যারেড পরিদর্শন ও অভিবাদন গ্রহণ শেষে পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি (পুনাক)-এর স্টল পরিদর্শন এবং পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে কল্যাণ প্যারেডে অংশগ্রহণ করবেন। বর্তমান সরকার পুলিশ বাহিনীকে একটি আধুনিক, যুগোপযোগী, দক্ষ ও জনবান্ধব বাহিনীতে রূপান্তরিত করার লক্ষ্যে নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। ফলে পুলিশ সদস্যদের কার্যক্রমে এসেছে গতিশীলতা এবং কর্মচাঞ্চল্য। পুলিশের জনবল বৃদ্ধি, সক্ষমতা বৃদ্ধি, প্রযুক্তির সংযোজন, যুগোপযোগী প্রশিক্ষণ, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, বিশেষায়িত নতুন নতুন ইউনিট গঠনসহ বিদ্যমান বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। পুলিশ সপ্তাহের বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ঊর্ধ্বতন পুলিশ অফিসারদের উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রপতির ভাষণ, ঊর্ধ্বতন পুলিশ অফিসারদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সম্মেলন, বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সম্মেলন, ঊর্ধ্বতন পুলিশ অফিসারদের সঙ্গে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীবর্গের সম্মেলন, আইজি’ব্যাজ, শিল্ড প্যারেড, অস্ত্র-মাদক উদ্ধার প্রভৃতি পুরস্কার বিতরণ, অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসারদের সঙ্গে কর্মরত পুলিশ অফিসারদের পুনর্মিলনী, পুলিশ নারীকল্যাণ সমিতির বার্ষিক সমাবেশ, ঊর্ধ্বতন পুলিশ অফিসারদের সঙ্গে আইজিপির সম্মেলন এবং বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের বার্ষিক সাধারণ সভা ইত্যাদি। পুলিশ সপ্তাহের বিভিন্ন কর্মঅধিবেশনে গত এক বছরের কার্যক্রম পর্যালোচনা করে পরবর্তী বছরের কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ করা হবে।
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:৩৯

ডিএমপির যেসব কর্মকর্তাকে পদক পরাবেন প্রধানমন্ত্রী
পেশাগত কাজে বিশেষ অবদান রাখায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে (ডিএমপি) কর্মরত বিভিন্ন পদমর্যাদার ৭৩ পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্য এবারের বিপিএম (বাংলাদেশ পুলিশ পদক) এবং পিপিএম (রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক) পাচ্ছেন। এবারেই সর্বোচ্চ সংখ্যক ডিএমপি সদস্য এ পদক পাচ্ছেন। এই তালিকায় দুইজনকে মরণোত্তর পদক দেওয়া হচ্ছে। মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুলিশ সদস্যদের এ পদক পরিয়ে দেবেন। বৃহস্পতিবার ৪০০ জন পদকপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্যের নামের তালিকা প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ২০২২ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে ২০২৪ সালের ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত সময়ের কার্যক্রম অনুযায়ী পুলিশ সদস্যদের এ পদক দেওয়া হচ্ছে।  প্রজ্ঞাপন থেকে জানা গেছে, চলতি বছর ৭৩ জন পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্য চার ক্যাটাগরিতে বিপিএম-পিপিএম পদক পেতে যাচ্ছেন। তাদের মধ্যে দুইজন মরণোত্তর পদক (বিপিএম, সাহসিকতা) পাচ্ছেন। কারা পদক পাচ্ছেন: ডিএমপিতে বিপিএম সাহসিকতা পদক পাচ্ছেন ১০ জন। তাদের মধ্যে দুজন কর্মক্ষেত্রে নিহত হওয়ায় মরণোত্তর পদক পাচ্ছেন। তারা হলেন- ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর রাজধানীর পল্টনে বিএনপি-জামায়াতের ডাকা মহাসমাবেশে বিএনপির নেতাকর্মীদের হামলায় প্রাণ হারানো ডিএমপির অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) জ্যোতির্ময় সরকার ও ডিএমপির সিটিটিসির কনস্টেবল আমিরুল ইসলাম। বাকি ৮ জন হলেন- রমনার ডিসি মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন, মতিঝিল বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) হায়াতুল ইসলাম খান, উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান, ডিএমপির প্রটেকশন বিভাগের নায়েক মো. আব্দুর রাজ্জাক, মতিঝিল থানার কনস্টেবল মো. মাহফুজুর রহমান, ডিএমপির পিওএম উত্তর বিভাগের কনস্টেবল জাহিদ হাসান হৃদয়, একই বিভাগের কনস্টেবল মো. আবু মোতালেব, কনস্টেবল মো. হাবিবুর রহমান নয়ন। বিপিএম–সেবা পদক পাচ্ছেন- অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান, ডিএমপির সিটিটিসির যুগ্ম কমিশনার ড. এ এইচ এম কামরুজ্জামান, যুগ্ম পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম, ডিএমপি সদর দপ্তরের ডিসি (ক্রাইম) আবু ইউসুফ, ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (উত্তর) বিভাগের ডিসি তারেক আহমদ, ডিবি তেজগাঁও বিভাগের ডিসি মোহাম্মদ আশরাফুল ইসলাম, ডিএমপির অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) মোহাম্মদ মাহবুব উন নবী, এডিসি মো. আসাদুজ্জামান ও এডিসি ইফতেখায়রুল ইসলাম। পিপিএম পদক পাচ্ছেন অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত জিয়াউল আহসান তালুকদার, সিটিটিসির ডিসি জসীম উদ্দিন, সিটিটিসির ডিসি মাহমুদুল হাসান, মতিঝিল বিভাগের এডিসি (ডিসি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) গোবিন্দ চন্দ্র পাল, ডিএমপির ডিবির মিরপুর বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) মোহাম্মদ নুরুল আমীন, এডিসি ইহসানুল ফিরদাউস, ডিবি তেজগাঁও বিভাগের এডিসি আনিচ উদ্দীন, ডিবি গুলশান বিভাগের এডিসি এস এম রেজাউল হক, ডিবি মতিঝিল বিভাগের এডিসি আফসার উদ্দিন খান, সিটিটিসির এডিসি সাইদ নাসিরুল্লাহ, মতিঝিল বিভাগের এডিসি রওশানুল হক সৈকত, এডিসি রাশেদ হাসান, ওয়ারী ডেমরা জোনের এসি মধুসূদন দাস, রমনা জোনের এসি মুহাম্মদ সালমান ফার্সী, ডিবি উত্তরা বিভাগের এসি ইমরান হোসেন মোল্লা, ডিবি তেজগাঁও বিভাগের এসি এম রফিকুল হাসান, মতিঝিল বিভাগের এসি গোলাম রুহানী, গুলশান বিভাগের এসি শফিকুল ইসলাম, সিটিটিসির এসি আরিফুল হোসাইন তুহিন, বিমানবন্দর থানার ওসি মোহাম্মদ ইয়াসিন আরাফাত খান, মোহাম্মদপুর থানার ওসি মাহফুজুল হক ভূঞা, শাহবাগ থানার ওসি নূর মোহাম্মদ (বর্তমানে হাজারীবাগ থানার ওসি), পল্টন থানার পরিদর্শক হিরন্ময় বারুরী, ডিবি ওয়ারী বিভাগের পরিদর্শক রোকনুজ্জামান খান ও সিটিটিসির এসআই ফিরোজ মোল্লা। পিপিএম-সেবা পদক পাচ্ছেন ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার হামিদা পারভীন, লালবাগ বিভাগের ডিসি (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) জাফর হোসেন, গুলশান বিভাগের ডিসি (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) রিফাত রহমান শামীম, ডিসি কাজী আশরাফুল আজীম, মিরপুর বিভাগের ডিসি জসীম উদ্দীন মোল্লা, ডিবি উত্তর বিভাগের ডিসি আকরামুল হোসেন, ডিবি তেজগাঁও বিভাগের এডিসি শফিকুল ইসলাম, ডিবি উত্তরা বিভাগের এডিসি আরিফুল ইসলাম, ডিবি সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (দক্ষিণ) বিভাগের এডিসি কাজী মাকসুদা লিমা, মতিঝিল বিভাগের এডিসি রাশেদুল ইসলাম, উত্তর বিভাগের (ট্রাফিক) এডিসি মো. কামরুজ্জামান, ডিবি লালবাগ বিভাগের এডিসি মোস্তফা কামাল, ডিএমপির প্রটেকশন বিভাগের এডিসি তাপস কুমার দাস, ডিবি রমনা বিভাগের এডিসি মিশু বিশ্বাস, ডিবি উত্তরা বিভাগের এডিসি সাইফুল আলম মুজাহিদ, ডিএমপির এডিসি এনায়েত করিম, সিটিটিসির এসি নাজমুল ইসলাম, ডিবি সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (দক্ষিণ) বিভাগের এসি জুয়েল রানা, মিরপুর বিভাগের এসি হাসান মুহাম্মদ মুহতারিম, সিটিটিসির এসি ওবাইন, সিটিটিসির এসি আরিফ মুহাম্মদ শাকুর, ওয়ারী বিভাগের এসি (ট্রাফিক) নীপা বিশ্বাস, মতিঝিল বিভাগের এসি আব্দুল্লাহ-আল-মামুন, ডিএমপির ওয়েলফেয়ার অ্যান্ড ফোর্সের পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া, ডিএমপির শেরেবাংলা নগর থানার ওসি উৎপল বড়ুয়া (রমনা থানা) এবং উত্তরা আজমপুর পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই নাজমুল হোসেন। ট্রাফিক গুলশান বিভাগের সার্জেন্ট মোর্শেদা, সার্জেন্ট বায়েজিদ হোসেন, সার্জেন্ট এমএম শরিফুল ইসলাম।
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২২:১১

পুলিশে পদক পেলেন যে ৪০০ জন
সাহসিকতা, বীরত্বপূর্ণ অবদান এবং সেবামূলক কাজের জন্য পুলিশে পদক দেওয়া হয়। এ পদকের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম), বাংলাদেশ পুলিশ (বিপিএম) সেবা পদক, রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম), রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম) সেবা পদক। প্রতিবছর পুলিশের সেরা কর্মকর্তা ও সদস্যদের বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম) এবং রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদকে (পিপিএম) ভূষিত করেন প্রধানমন্ত্রী। পুলিশ সপ্তাহের প্রথম দিনের কর্মসূচিতে প্যারেডে সালাম গ্রহণের পর নিজ হাতে কর্মকর্তাদের এই পদকে ভূষিত করেন প্রধানমন্ত্রী। এবারের পুলিশ সপ্তাহ শুরু হচ্ছে ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে। প্রথম দিনই পদকপ্রাপ্তদের পদক পরিয়ে দেওয়া হবে। এই পদক পুলিশের চাকরিতে খুবই সম্মানজনক হিসেবে বিবেচিত। কর্মকর্তারা এর জন্য আর্থিক সুবিধাও পান এবং নামের শেষে এই পদক উপাধি হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। এবার পুলিশ বাহিনীর ৪০০ জনকে এ পদক দেওয়া হচ্ছে। এরই মধ্যে এদের নাম প্রকাশ করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জন নিরাপত্তা বিভাগ। বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) প্রজ্ঞাপন আকারে এই তালিকা প্রকাশ করা হয়। প্রকাশিত তালিকা অনুসারে সাহসিকতা, বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতি হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম) পেয়েছেন ৩৫ জন, রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম) ৬০ জন। আর গুরুত্বপূর্ণ মামলার রহস্য উদঘাটন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, দক্ষতা, সততা, কর্মনিষ্ঠার জন্য বাংলাদেশ পুলিশ (বিপিএম) সেবা পদক ৯৫ জন এবং ২১০ জনকে রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম) সেবা পদক দেওয়া হচ্ছে। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, এই পদকের যোগ্য কর্মকর্তাদের বাছাই করতে পুলিশ সদর দপ্তরে একটি কমিটি করা হয়। বিভিন্ন পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যরা কমিটির কাছে তাদের বছরের সেরা কাজটির বিবরণ পাঠান। তার ভিত্তিতে যাচাই শেষে পুলিশ সদর দপ্তরের কমিটি পদক পাওয়ার মতো কর্মকর্তাদের একটি তালিকা তৈরি করে অনুমোদনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে পাঠায়। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর তা চূড়ান্ত করে থাকে। তালিকা দেখতে ক্লিক করুন...  
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:২৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়