• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
দিনাজপুরে দশ মাইলে পেট্রোল পাম্পে আগুন
দিনাজপুরে দশ মাইল মোড়ে পেট্রোল পাম্পে আগুনের ঘটনা ঘটেছে। একঘন্টার বেশি সময় কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিটের সদস্যরা। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে দিনাজপুর দশ মাইল মোড়ে আরিফ ফিলিং স্টেশন পেট্রোল পাম্পে এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। পাম্পের ট্যাংকিতে জ্বালানি তেল থাকায় আগুনের ভয়াবহতা বাড়ে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন দিনাজপুর কাহারোল উপজেলা ফায়ার সার্ভিস ইউনিটের টিম লিডার আব্দুল খালেক। তবে তিনি আগুনের সূত্রপাত ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানাতে পারেননি। খবর পেয়ে দিনাজপুর শহরের ফায়ার সার্ভিস, কাহারোল উপজেলা ফায়ার সার্ভিস ও বীরগঞ্জ উপজেলা ফায়ার সার্ভিসেসহ মোট ৩ টি ইউনিট একঘন্টারও বেশি সময় চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। পাম্পে থাকা দুটি ট্রাকেও আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এদিকে স্থানীয় ফায়ার সার্ভিস সদস্যদের ওপর হামলা করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। উত্তেজিত জনতার হামলায় ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের অফিসার ইনচার্জসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। আহতদের দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০০:৫৩

রাসুল (সা.) প্রথম দশ রোজায় যে দোয়া পড়তেন 
ক্ষমার মহান বার্তা নিয়ে সমহিমায় হাজির হয়েছে রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের মাস পবিত্র মাহে রমজান। দেশের আকাশে দেখা মিলেছে মুমিনের হৃদয়ে প্রহর গোনা রমজানের একফালি চাঁদ। এ মাসে প্রতিটি ইবাদতের প্রতিদান যেমন বহুগুণে বেড়ে যায়। রোজা পালনসহ জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সা.)-কে অনুসরণ করাই সব মুসলিমের কর্তব্য। রাসুল (সা.) প্রথম ১০ রমজানে দশটি দোয়া পড়তেন। ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ (সা.) রমজান মাসে এই দোয়াগুলো পড়তেন। ‘আলবালাদুল আমিন’ ও ‘মিসবাহুল কাফআামি’ নামক গ্রন্থে এই দোয়াগুলো রয়েছে। প্রথম রোজার দোয়া الیوم الاوّل : اَللّـهُمَّ اجْعَلْ صِیامی فیهِ صِیامَ الصّائِمینَ، وَقِیامی فیهِ قیامَ الْقائِمینَ، وَنَبِّهْنی فیهِ عَنْ نَوْمَةِ الْغافِلینَ، وَهَبْ لى جُرْمی فیهِ یا اِلـهَ الْعالَمینَ، وَاعْفُ عَنّی یا عافِیاً عَنْ الْمجْرِمینَ . অর্থ: হে আল্লাহ; আমার আজকের রোজাকে প্রকৃত রোজাদারদের রোজা হিসেবে গ্রহণ কর। আমার নামাজকে কবুল কর প্রকৃত নামাজীদের নামাজ হিসেবে। আমাকে জাগিয়ে তোলো গাফিলতির ঘুম থেকে। হে জগত সমূহের প্রতিপালক; এদিনে আমার সব গুনাহ মাফ করে দাও। ক্ষমা করে দাও আমার যাবতীয় অপরাধ। হে অপরাধীদের অপরাধ ক্ষমাকারী। দ্বিতীয় রোজার দোয়া الیوم الثّانی : اَللّـهُمَّ قَرِّبْنی فیهِ اِلى مَرْضاتِکَ، وَجَنِّبْنی فیهِ مِنْ سَخَطِکَ وَنَقِماتِکَ، وَوَفِّقْنی فیهِ لِقِرآءَةِ ایـاتِکَ بِرَحْمَتِکَ یا اَرْحَمَ الرّاحِمینَ . অর্থ: হে আল্লাহ; তোমার রহমতের উসিলায় আজ আমাকে তোমার সন্তুষ্টির কাছাকাছি নিয়ে যাও। দূরে সরিয়ে দাও তোমার ক্রোধ আর গজব থেকে । আমাকে তৌফিক দাও তোমার পবিত্র কোরআনের আয়াত তেলাওয়াত করার । হে দয়াবানদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ দয়াময়। তৃতীয় রোজার দোয়া الیوم الثّالث : اَللّـهُمَّ ارْزُقْنی فیهِ الذِّهْنَ وَالتَّنْبیهَ، وَباعِدْنی فیهِ مِنَ السَّفاهَةِ وَالَّتمْویهِ، وَاجْعَلْ لى نَصیباً مِنْ کُلِّ خَیْر تُنْزِلُ فیهِ، بِجُودِکَ یا اَجْوَدَ الاْجْوَدینَ. অর্থ: হে আল্লাহ; আজকের দিনে আমাকে সচেতনতা ও বিচক্ষণতা দান কর। আমাকে দূরে রাখ অজ্ঞতা, নির্বুদ্ধিতা ও ভ্রান্ত কাজ-কর্ম থেকে। এ দিনে যত ধরণের কল্যাণ দান করবে তার প্রত্যেকটি থেকে তোমার দয়ার উসিলায় আমাকে উপকৃত কর। হে দানশীলদের মধ্যে সর্বোত্তম দানশীল। চতুর্থ রোজার দোয়া الیوم الرّابع : اَللّـهُمَّ قَوِّنی فیهِ عَلى اِقامَةِ اَمْرِکَ، وَاَذِقْنی فیهِ حَلاوَةَ ذِکْرِکَ، وَاَوْزِعْنی فیهِ لاِداءِ شُکْرِکَ بِکَرَمِکَ، وَاحْفَظْنی فیهِ بِحِفْظِکَ وَسَتْرِکَ، یا اَبْصَرَ النّاظِرینَ . অর্থ: হে আল্লাহ; এ দিনে আমাকে তোমার নির্দেশ পালনের শক্তি দাও। তোমার জিকিরের মাধুর্য আমাকে আস্বাদন করাও। তোমার অপার করুণার মাধ্যমে আমাকে তোমার কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনের জন্য প্রস্তুত কর । হে দৃষ্টিমানদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ দৃষ্টিমান। আমাকে এ দিনে তোমারই আশ্রয় ও হেফাজতে রক্ষা কর। পঞ্চম রোজার দোয়া الیوم الخامس : اَللّـهُمَّ اجْعَلْنی فیهِ مِنْ الْمُسْتَغْفِرینَ، وَاجْعَلْنی فیهِ مِنْ عِبادِکَ الصّالِحینَ اْلقانِتینَ، وَاجْعَلنی فیهِ مِنْ اَوْلِیائِکَ الْمُقَرَّبینَ، بِرَأْفَتِکَ یا اَرْحَمَ الرّاحِمینَ . অর্থ: হে আল্লাহ; এই দিনে আমাকে ক্ষমা প্রার্থনাকারীদের অন্তর্ভুক্ত কর। আমাকে শামিল কর তোমার সৎ ও অনুগত বান্দাদের কাতারে । হে আল্লাহ ! মেহেরবানী করে আমাকে তোমার নৈকট্যলাভকারী বন্ধু হিসেবে গ্রহণ কর। হে দয়াবানদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ দয়াবান । ষষ্ঠ রোজার দোয়া الیوم السّادس : اَللّـهُمَّ لا تَخْذُلْنی فیهِ لِتَعَرُّضِ مَعْصِیَتِکَ، وَلاتَضْرِبْنی بِسِیاطِ نَقِمَتِکَ، وَزَحْزِحْنی فیهِ مِنْ مُوجِباتِ سَخَطِکَ، بِمَنِّکَ وَاَیادیکَ یا مُنْتَهى رَغْبَةِ الرّاغِبینَ . অর্থ: হে আল্লাহ; তোমার নির্দেশ অমান্য করার কারণে এ দিনে আমায় লাঞ্ছিত ও অপদস্থ করোনা। তোমার ক্রোধের চাবুক দিয়ে আমাকে শাস্তি দিও না। সৃষ্টির প্রতি তোমার অসীম অনুগ্রহ আর নিয়ামতের শপথ করে বলছি তোমার ক্রোধ সৃষ্টিকারী কাজ থেকে আমাকে দূরে রাখো। হে আবেদনকারীদের আবেদন কবুলের চূড়ান্ত উৎস। সপ্তম রোজার দোয়া الیوم السّابع : اَللّـهُمَّ اَعِنّی فِیهِ عَلى صِیامِهِ وَقِیامِهِ، وَجَنِّبْنی فیهِ مِنْ هَفَواتِهِ وَآثامِهِ، وَارْزُقْنی فیهِ ذِکْرَکَ بِدَوامِهِ، بِتَوْفیقِکَ یا هادِیَ الْمُضِلّینَ . অর্থ: হে আল্লাহ; এ দিনে আমাকে রোজা পালন ও নামাজ কায়েমে সাহায্য কর। আমাকে অন্যায় কাজ ও সব গুনাহ থেকে রক্ষা করো। তোমার তৌফিক ও শক্তিতে সবসময় আমাকে তোমার স্মরণে থাকার সুযোগ দাও। হে পথ হারাদের পথ প্রদর্শনকারী। অষ্টম রোজার দোয়া الیوم الثّامن : اَللّـهُمَّ ارْزُقْنی فیهِ رَحْمَةَ الاَْیْتامِ، وَاِطْعامَ اَلطَّعامِ، وَاِفْشاءَ السَّلامِ، وَصُحْبَةَ الْکِرامِ، بِطَولِکَ یا مَلْجَاَ الاْمِلینَ . অর্থ: হে আল্লাহ; তোমার উদারতার উসিলায় এ দিনে আমাকে এতিমদের প্রতি দয়া করার, ক্ষুধার্তদের খাদ্য দান করার, শান্তি প্রতিষ্ঠা করার ও সৎ ব্যক্তিদের সাহায্য লাভ করার তৌফিক দাও। হে আকাঙ্খাকারীদের আশ্রয়স্থল। নবম রোজার দোয়া الیوم التّاسع : اَللّـهُمَّ اجْعَلْ لی فیهِ نَصیباً مِنْ رَحْمَتِکَ الْواسِعَةِ، وَاهْدِنی فیهِ لِبَراهینِکَ السّاطِعَةِ، وَخُذْ بِناصِیَتی اِلى مَرْضاتِکَ الْجامِعَةِ، بِمَحَبَّتِکَ یا اَمَلَ الْمُشْتاقینَ . অর্থ: হে আল্লাহ; এদিনে আমাকে তোমার রহমতের অধিকারী কর। আমাকে পরিচালিত কর তোমার উজ্জ্বল প্রমাণের দিকে। হে আগ্রহীদের লক্ষ্যস্থল। তোমার ভালোবাসা ও মহব্বতের উসিলায় আমাকে তোমার পূর্ণাঙ্গ সন্তুষ্টির দিকে নিয়ে যাও। দশম রোজার দোয়া الیوم العاشر : اَللّـهُمَّ اجْعَلْنی فیهِ مِنَ الْمُتَوَکِّلینَ عَلَیْکَ، وَاجْعَلْنی فیهِ مِنَ الْفائِزینَ لَدَیْکَ، وَاجْعَلْنی فیهِ مِنَ الْمُقَرَّبینَ اِلَیْکَ، بِاِحْسانِکَ یا غایَةَ الطّالِبینَ . অর্থ: হে আল্লাহ; তোমার প্রতি যারা ভরসা করেছে আমাকে সেই ভরসাকারীদের অন্তর্ভুক্ত কর। তোমার অনুগ্রহের মাধ্যমে আমাকে শামিল করো সফলকামদের মধ্যে এবং আমাকে তোমার নৈকট্য লাভকারী বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত করে নাও হে অনুসন্ধানকারীদের শেষ গন্তব্য।
১২ মার্চ ২০২৪, ০৫:০২

দশ হাজার টাকা ভাতা সুবিধাসহ সেতু বিভাগে ইন্টার্নশিপের সুযোগ
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ইন্টার্নশিপ নীতিমালা, ২০২৩-এর আওতায় সেতু বিভাগের অধীন তিন মাস মেয়াদে পাঁচজন ইন্টার্ন নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীদের অনলাইনে আবেদন করতে হবে। যেসব বিষয়ের প্রার্থীদের জন্য ইন্টার্নশিপ- ১. প্রশাসন, অর্থ ও হিসাব এবং উন্নয়ন ও বাজেট কার্যক্রম স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অন্যূন দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএতে স্নাতকোত্তর বা সমমানের ডিগ্রি থাকতে হবে। ২. কারিগরি ও অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স বিষয়ক কার্যক্রম  স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি থাকতে হবে।   ৩. আইসিটিবিষয়ক কার্যক্রম যোগ্যতা : কম্পিউটার সায়েন্স/ কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং/ ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং/ ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি। আবেদনের যোগ্যতা স্নাতক/ স্নাতকোত্তর/ সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ অথবা অবতীর্ণ (অ্যাপিয়ার্ড) প্রার্থী হতে হবে। স্নাতক/ স্নাতকোত্তর/ সমমান ডিগ্রি অর্জনের দুই বছরের মধ্যে আবেদন করতে হবে। ইন্টার্নশিপ নীতিমালা, ২০২৩-এর অধীন একজন প্রার্থী শুধু একবার ইন্টার্নশিপ করতে পারবেন। ভাতা ইন্টার্নশিপ চলাকালীন মাসিক ১০ হাজার টাকা হারে ইন্টার্নশিপ ভাতা প্রদান করা হবে। ইন্টার্নশিপ ভাতা ছাড়া অন্য কোনো ভাতা/ সুবিধা প্রদান করা হবে না। যেভাবে আবেদন আগ্রহী প্রার্থীদের এই লিংকে ফরম পূরণ করে আবেদন করতে হবে। নির্ধারিত স্থানে রঙিন ছবি স্ক্যান করে আপলোড করতে হবে। বিস্তারিত তথ্য এই লিংকে জানা যাবে। আবেদনের শেষ সময়: ১৮ মার্চ, ২০২৪  
১০ মার্চ ২০২৪, ১২:৩২

দুর্দান্ত ঢাকাকে দশ উইকেটে উড়িয়ে দিলো খুলনা
বিপিএলের দশম আসরের শুরুটা দুর্দান্ত করেছে খুলনা টাইগার্স। টুর্নামেন্টে এখনও পর্যন্ত অপরাজিত রয়েছে এনামুল হক বিজয়ের দল। নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে দুর্দান্ত ঢাকাকে রীতিমতো বিধ্বস্ত করেছে খুলনা। রাজধানীর দলটিকে দশ উইকেটে উড়িয়ে দিয়েছে খুলনা। সোমবার (২৯ জানুয়ারি) টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে খুলনাকে ১৩১ রানের লক্ষ্য দেয় দুর্দান্ত ঢাকা। জবাব দিতে নেমে ৩২ বল এবং দশ উইকেট হাতে থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় খুলনা টাইগার্স। এতে টানা চার ম্যাচ জিতে আট পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে রয়েছে খুলনা। ঢাকার দেওয়া ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই ব্যাট চালাতে থাকেন খুলনার দুই ওপেনার এনামুল হক বিজয় ও ইভেন লুইস। তবে পেটের ডান পাশে টান লাগায় রি-টাইট হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়েন লুইস। ১৩ বলে ২৬ রান করেন এই ক্যারিবীয় ব্যাটার। এরপর আফিফকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন বিজয়। ৩৭ বলে নিজের ফিফটি তুলেন নেন এই ডান হাতি ব্যাটার। অন্যদিকে ব্যাট চালাতে থাকেন আফিফও। দুজনের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে জয়ের পথে ছুটতে থাকে খুলনা। শেষ পর্যন্ত আফিফ হোসেনের ২৭ বলের ৩৭ রান। এবং এনামুল হক বিজয়ের ৪৭ বলে অপরাজিত ৫৭ রানের ভর করে ৩২ বল এবং দশ উইকেট হাতে থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় খুলনা টাইগার্স। এতে টানা তিন ম্যাচে হারের স্বাদ পেল ঢাকা।
২৯ জানুয়ারি ২০২৪, ২২:২২

পারিশ্রমিকের দশ লাখ টাকা ফান্ডে দিলেন তারা
ছোটপর্দার শিল্পীদের সংগঠন অভিনয় শিল্পী সংঘ। ছোটপর্দার শিল্পীদের জন্য এই সংগঠনটি নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছে। এর আগে বিভিন্ন সময় প্রমাণ মিলেছে। এবার ফের বিষয়টি বলার মতো ঘটনা ঘটল। নিজেদের পারিশ্রমিক ১০ লাখ টাকা সংঘের ফান্ডে প্রদান করলেন সংগঠনটির চার নেতা।  তারা হলেন- অভিনয়শিল্পী সংঘের সভাপতি আহসান হাবীব নাসিম, সাধারণ সম্পাদক রওনক হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক সাজু খাদেম এবং আইন ও কল্যাণ সম্পাদক উর্মিলা শ্রাবন্তী কর।  একটি জাতীয় ইভেন্ট থেকে পারিশ্রমিক হিসেবে ওই অর্থ পেয়েছিলেন তারা। প্রত্যেকে তাদের আড়াই লাখ টাকা করে পারিশ্রমিক ফান্ডে জমা করেছেন। অভিনয়শিল্পী সংঘের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে তাদের ধন্যবাদ জানানো হয়। এ প্রসঙ্গের সভাপতি নাসিম বলেন, আমরা ফান্ড গঠন করার লক্ষ্যে এটা করেছি। সামনে অনেক পরিকল্পনা আছে। এগুলো বাস্তবায়ন করব।  অন্যদিকে এ প্রসঙ্গে সাজু খাদেম বলেন, আমাদের শিল্পীদের কল্যাণ ও সার্বিক সহযোগিতার জন্যই এই ফান্ড করা। আমাদের অ্যাক্টরস ইকুইটির ফান্ড যেন আরও সমৃদ্ধ হয়, সে কারণেই ফান্ডে টাকাটা জমা করা। আমরা চাই আমাদের ফান্ড সমৃদ্ধ থাকুক।
২৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮:৫১

ভৈরবে ব্রাক ব্যাংকের একাউন্ট থেকে প্রায় দশ লাখ টাকা উধাও
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ব্র্যাক ব্যাংকের একটি একাউন্ট থেকে এক গ্রাহকের প্রায় দশ লাখ টাকা উধাও হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গেল ৮ জানুয়ারি থেকে ১৪ জানুয়ারির মধ্যে ১৬টি লেনদেনের মাধ্যমে এই টাকা উধাও হয়েছে। মুঠোফোনে আর্থিক সেবাদানকারী ২টি প্রতিষ্ঠান বিকাশ ও রকেটের মাধ্যমে ১৫টি নম্বরে এই টাকা উত্তোলন করে নেওয়া হয়েছে। তবে এসব বিষয়ে একাউন্টের গ্রাহক কিছুই জানেন না। বুধবার (২৪ জানুয়ারি) ব্যাংকে গ্রাহক শাহিদা আক্তার লেনদেন করতে এসে দেখতে পান তার একাউন্ট থেকে প্রায় দশ লক্ষ টাকা সরিয়ে নেয়া হয়েছে। পরে ব্যাংক হিসাবের আর্থিক বিবরণী (ব্যাংক স্টেটমেন্ট) তুলে দেখেন তার জমানো টাকা প্রায় শেষ। বিকাশ রকেটের মাধ্যমে এ টাকা সরিয়ে নিয়েছে একটি চক্র। এ ঘটনায় তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে জুবায়ের নামে এক ব্যাংক কর্মকর্তা সাংবাদিকদের উপর চড়াও হোন। ভুক্তভোগী গ্রাহক শাহিদা আক্তার রিপা সাংবাদিকদের বলেন, ব্যাংকে টাকা তুলতে গেলে দেখি আমার একাউন্টে ৪৩ হাজার টাকা আছে। গেল ২ জানুয়ারি ৪ লক্ষ টাকা জমা দেয়ার পর আমার একাউন্টে ৯ লক্ষ ৩৩ হাজার ৮শত টাকা থাকার কথা ছিল। পরে আমি ব্যাংক কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে জানতে পারি আমার পুরনো একাউন্টে ৫ লক্ষ টাকা রয়েছে। আর ৩ লক্ষ ৯০ হাজার টকা বিভিন্ন বিকাশ ও রকেটের মাধ্যমে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। আট বছর যাবত আমি এই ব্যাংকে টাকা লেনদেন করি। এমনটা হলে গ্রাহকরা ব্র্যাক ব্যাংকের প্রতি আস্থা হারাবে। ভুক্তভোগীর স্বামী মো. জহির মিয়া জানান, আমি ব্যবসার কাজে দৌঁড়ঝাপ করি বলে আমার স্ত্রীকে দিয়ে লেনদেন করায়। আমার স্ত্রীর পুরনো একাউন্ট প্রায় দুই বছর যাবত বন্ধ। এই একাউন্টে লেনদেন ছাড়া কিভাবে ৫ লক্ষ টাকা ঢুকে, এতে আমি অবাক। তার দাবি নিশ্চয়ই এ ঘটনার সঙ্গে ব্যাংকের কোন এক কর্মকর্তা জড়িত রয়েছেন। এ বিষয়ে আমি থানায় অভিযোগ দায়ের প্রস্তুতি নিচ্ছি। এ বিষয়ে ব্রাকের ভৈরব শাখার ব্রাঞ্চ ম্যানেজার মো. শরীফ আল মাহমুদ সাংবাদিকদের জানান, অভিযোগ জানার পর আমরা জেনেছি ও দেখে বুঝতে পেরেছি, উনার একাউন্টটি হ্যাক হতে পারে। এক একাউন্ট থেকে আরেক একাউন্টে লেনদেন হয়েছে অনলাইন ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে। বাকী টাকা বিকাশ ও রকেটের মাধ্যমে উত্তোলন করা হয়েছে। গ্রাহক যেহেতু টাকা উত্তোলন করেনি। আমার হেড অফিসে বিষয়টি অবগত করেছি। তদন্ত শেষে ঘটনার আসল কারণ জানা যাবে।
২৫ জানুয়ারি ২০২৪, ০১:০৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়