• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
যেখান থেকে আসে গরমের তীব্রতা
গত কয়েক দিন ধরে দেশে গরমের তীব্রতা দেখা দিয়েছে। প্রচণ্ড গরমে মানুষ হাঁসফাঁস করছে এবং দুর্ভোগ নেমে এসেছে জনজীবনে। গরমে বাড়ছে জ্বর ও ডায়রিয়াসহ নানান রোগ। গরম প্রসঙ্গে হাদিসে কী বলা আছে, চলুন জেনে নেওয়া যাক। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, জাহান্নাম তার রবের কাছে অভিযোগ করে বলে হে রব, আমার এক অংশ অন্য অংশকে খেয়ে ফেলেছে। মহান আল্লাহ তখন তাকে দুটি নিশ্বাস ফেলার অনুমতি দেন। একটি নিশ্বাস শীতকালে, আরেকটি গ্রীষ্মকালে। কাজেই তোমরা গরমের তীব্রতা এবং শীতের তীব্রতা পেয়ে থাকো (বোখারি, হাদিস : ৩২৬০)। প্রচণ্ড গরমের সময় রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জোহরের নামাজ কিছুটা বিলম্বে আদায় করতেন। তাই বেশি গরম পড়লে জোহরের নামাজ দেরিতে আদায় করা সুন্নত। এ প্রসঙ্গে হজরত আবু জার রা. বলেন, এক সফরে আমরা আল্লাহর রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সঙ্গে ছিলাম। একসময় মুয়াজ্জিন জোহরের আজান দিতে চেয়েছিল। তখন নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, গরম কমতে দাও। কিছুক্ষণ পর আবার মুয়াজ্জিন আজান দিতে চাইলে নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (পুনরায়) বলেন, গরম কমতে দাও।   এভাবে তিনি (নামাজ আদায়ে) এত বিলম্ব করলেন যে আমরা টিলাগুলোর ছায়া দেখতে পেলাম। অতঃপর নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, গরমের প্রচণ্ডতা আসে জাহান্নামের উত্তাপ হতে। কাজেই গরম প্রচণ্ড হলে উত্তাপ কমার পর নামাজ আদায় কর (বুখারি ৫৩৯)। গরমের তীব্রতা মূলত জাহান্নামের তীব্রতার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। তাই প্রচণ্ড গরমে জাহান্নামের কথা স্মরণ করে মহান আল্লাহর কাছে জাহান্নাম থেকে মুক্তি চাওয়া উচিত।
১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৩৮

মোজা কারখানায় আগুনের তীব্রতা বাড়ছে, নিয়ন্ত্রণে ৭ ইউনিট
গাজীপুরে একটি মোজার কারখানায় লাগা আগুন তীব্রতা আরও বেড়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের সাতটি ইউনিট। শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টার দিকে শ্রীপুরের রাজাবাড়ি ইউনিয়নের গ্লোব গ্লোভস (বাংলাদেশ) ম্যানুফ্যাকচারিং লিমিটেডে কারখানায় এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক মো. আব্দুল্লাহ আল আরেফিন। এ বিষয়ে গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক মো. আব্দুল্লাহ আল আরেফিন জানান, গ্লোব গ্লোভস (বাংলাদেশ) ম্যানুফ্যাকচারিং লিমিটেড কারখানার ভবনের দুই তলা ও তিন তলায় আগুন লাগে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাপাসিয়া, জয়দেবপুর, রাজেন্দ্রপুর ও শ্রীপুর ফায়ার সার্ভিসের সাতটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার ও হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি বলেও জানান তিনি।
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:৩০

যেদিন থেকে শীতের তীব্রতা আরও বাড়বে
চলতি মাসের শুরু থেকে হাড় কাঁপানো শীতের পর গত দুদিন রোদ উঠে শীতের তীব্রতা কিছুটা কমেছিল। কুয়াশার দাপটও তেমন একটা দেখা যায়নি। কিন্তু রোববার (২১ জানুয়ারি) দিনগত রাত থেকে উত্তরের হিমেল বাতাসে ফের জেঁকে বসেছে শীত। ইতোমধ্যে দেশের ২২ জেলায় বইছে শৈত্যপ্রবাহ। এরমধ্যে চার বিভাগে দেওয়া হয়েছে বৃষ্টির পূর্বাভাস। সোমবার (২২ জানুয়ারি) সকাল আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, উপ-মহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এ অবস্থায় সোমবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা এক থেকে দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে যেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রাও সামান্য কমবে। ঘন কুয়াশার দাপটও দুপুর পর্যন্ত থাকতে পারে। অর্থাৎ সোমবার দিনগত রাত থেকে শীতের তীব্রতা আরও বাড়বে।  এ ছাড়া একই সময়ে যশোর, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, টাঙ্গাইল, মাদারীপুর ও কিশোরগঞ্জ জেলাসহ রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, সোমবার দিন-রাতে তাপমাত্রা প্রায় একইরকম থাকলেও মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) ঢাকা, বরিশাল, খুলনা ও চট্টগ্রাম বিভাগের ৪০ জেলায় বৃষ্টি হতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী অববাহিকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
২২ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:০৫

কুড়িগ্রামে তাপমাত্রা বাড়লেও কমেনি শীতের তীব্রতা
কুড়িগ্রামে গত দুদিন ধরে কিছুটা তাপমাত্রা বাড়লেও প্রচন্ড শীতে ঠান্ডার প্রকোপ কমেনি। হাড় কাঁপানো শীতে নাজেহাল জেলাবাসী।  শনিবার (২০ জানুয়ারি) সকালে স্থানীয় আবহাওয়া অফিস জানায়, জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে যা গত দুই দিনের চেয়ে আরও ২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়েছে।  তাপমাত্রা ৩ ডিগ্রি বাড়লেও শীতের ঠান্ডার তীব্রতা কমেনি। এরপর শুক্রবার রাত থেকে শনিবার সকালেও প্রচন্ড কুয়াশায় ছেয়ে গেছে গোটা জনপদ। এ অবস্থায় মাঘের শুরুতে হাড় কাঁপানো কনকনে ঠান্ডায় জেলার মানুষের মধ্যে নেমে এসেছে স্থবিরতা। গত এক সপ্তাহ পর শুক্রবার দুপুরের পর সূর্যের দেখা মিললেও উত্তাপ তেমন না থাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে স্বস্তি মেলেনি।  তাপমাত্রা মৃদু শৈত্য প্রবাহে গিয়ে গত বৃহস্পতিবার ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুল বন্ধ রাখা হয়েছে। এ তাপমাত্রা এভাবে বাড়তে থাকলে রোববার আবারও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হবে বলে জানায় শিক্ষা বিভাগ। এদিকে, ঠান্ডার প্রভাব না কমায় শ্রমজীবি নিম্ন আয়ের খেটেখাওয়া মানুষগুলো পড়েছেন চরম বিপাকে। অনেকেই পেটের দায়ে শীতকে উপেক্ষা করে কাজে যেতে বাধ্য হচ্ছেন।  শহরের গোড়স্থানপাড়ায় অপেক্ষারত শ্রমিক নবিদুল মিয়া ও জলিল মিয়া জানান, এত ঠান্ডার কারণে কাজে যেতে পারছি না। হাত পা টাটায় আর সর্দি কাশিতো লাগি আছে। তাও পেট চালাইতে হামারগুলাক কাজে যাওয়া নাগে।  এছাড়াও কেউ কেউ বাড়ির পাশে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীতের ঠান্ডা নিবারণে চেষ্টা করছে। আগুন পোহাতে গিয়ে দগ্ধের ঘটনা ঘটলেও শীতের ঠান্ডা থেকে রেহাই পেতে এ চেষ্টা। অন্যদিকে, গবাদি পশুগুলোর ঠান্ডায় মারাত্মক কষ্টে পড়তে হয়েছে। জেলার রাস্তার পাশে ফুটপাতে শীতের কাপড় কেনার হিড়িক পড়েছে সাধারণ নিম্ন আয়ের ও মধ্যবিত্তের। হাসপাতালে শিশু ও বৃদ্ধরা ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া ও অ্যাজমাসহ নানা শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে জেলার জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।  
২০ জানুয়ারি ২০২৪, ১১:৪২

শৈত্যপ্রবাহ বইতে পারে যেসব এলাকায়
বৃষ্টির পর সারাদেশে শীতের অনুভূতি বেড়েছে। শনিবার (২০ জানুয়ারি) রাজশাহী, যশোর ও চুয়াডাঙ্গা এবং রংপুর বিভাগের বেশ কিছু এলাকায় শৈত্যপ্রবাহ দেখা দিতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক সংবাদমাধ্যমকে জানান, যেসব অঞ্চলের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা দুই থেকে তিন দিন ১০–৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে নেমে আসে সেসব অঞ্চলে  মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায়। বর্তমানে দেশের বেশকিছু অঞ্চলের তাপমাত্রা এখন মৃদু শৈত্যপ্রবাহের কাছাকাছি রয়েছে। যা আরও কমবে। রাজশাহী, যশোর ও চুয়াডাঙ্গা এবং রংপুর বিভাগের বেশ কিছু এলাকায় আজ থেকে শৈত্যপ্রবাহ দেখা দিতে পারে। তিনি জানান, আর বৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা নেই। মেঘও কেটে গেছে। এখন তাপমাত্রা কমবে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। ফলে সারা দেশেই শীতের অনুভূতি বাড়বে। সরকারি সংস্থাটি আগেই পূর্বাভাস দিয়েছিল, বৃষ্টির পর শীতের তীব্রতা বাড়বে। পূর্বাভাস অনুয়ায়ি, গত দুদিন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি হয়ে মেঘ কেটে গেছে। ফলে তাপমাত্রা কমে আজ থেকে শীতের অনুভূতি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দেশের কিছু অঞ্চলে নতুন করে শৈত্যপ্রবাহ দেখা দিতে পারে। গতকাল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ১০ দশমিক ১ ডিগ্রি, নীলফামারীর ডিমলায় ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি, কিশোরগঞ্জের নিকলীতে ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি, মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি ও দিনাজপুরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা শৈত্যপ্রবাহের কাছাকাছি তাপমাত্রা।   শনিবার (২০ জানুয়ারি) অস্থায়ীভাবে দেশের আকাশ আংশিক মেঘলাসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। রাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং তা দুপুর পর্যন্ত কোথাও কোথাও অব্যাহত থাকতে পারে। রোববার (২১ জানুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, অস্থায়ীভাবে দেশের আকাশ আংশিক মেঘলাসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী অববাহিকায় মাঝারী থেকে ঘন কুয়াশা এবং অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারী ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। এ দুই দিন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগে সাময়িকভাবে বিঘ্ন ঘটতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় দেওয়া পরবর্তী পাঁচ দিনের বর্ধিত পূর্বাভাসে রাতের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। দেশের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলের কোথাও কোথাও দিনে ঠান্ডা পরিস্থিতি বিরাজ করতে পারে। এছাড়া মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত কুয়াশা পড়ারও তথ্য জানানো হয়েছে। গতকাল দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর বাইরে দেশের বেশির ভাগ এলাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা গতকাল ১১ থেকে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ছিল। আর রাজধানীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
২০ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:৫৯

কুড়িগ্রামে শীতের তীব্রতায় বিপর্যস্ত জনজীবন
কুড়িগ্রামে গত ৫ দিন ধরে সকাল থেকে দিনভর সূর্যের মুখ দেখা যাচ্ছে না। ঘন কুয়াশা কম থাকলেও আকাশ মেঘলা থাকায় ঠান্ডার মাত্রা কয়েকগুণ বেড়েছে। কদিন ধরে জেলার তাপমাত্রার ৯ থেকে ১২ ডিগ্রির মধ্যে ওঠা নামা করছে। তবে শীতের তীব্রতা মোটেও কমেনি। পৌষের ঠান্ডার দাপটে কাবু হয়ে পড়েছে উত্তর জনপদ কুড়িগ্রামের মানুষজন। এ অঞ্চলের দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষজন সবচেয়ে বিপাকে পড়েছে বেশি।  রোববার (১৪ জানুয়ারি) সকালে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ মাসের শেষে একটি মৃদু কিংবা মাঝারি শৈত্য প্রবাহ জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যেতে পারে বলে জানান স্থানীয় আবহাওয়া অফিস। শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় নদ-নদী তীরবর্তী চর ও দ্বীপ চরের শত শত মানুষ পড়েছেন শীতকষ্টে। অন্যদিকে, পাল্লা দিয়ে বাড়ছে হাসপাতালে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। এ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বয়স্করা।  জেনারেল হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় জেনারেল হাসপাতালে শুধুমাত্র ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছে ৩১ জন। এখন পর্যন্ত এ রোগে ভর্তি আছে ৬৩ জন। যাদের অধিকাংশই শিশু ও বৃদ্ধ। আর শ্বাসকষ্ট ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি রয়েছে ১৪ জন।  জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আতিকুর রহমান বলেন, প্রতিদিন ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ নানা রোগে হাসপাতালে রোগী আগের চেয়ে বেশি ভর্তি হচ্ছে। এ সংখ্যা ক্রমেই বাড়তে পারে। 
১৪ জানুয়ারি ২০২৪, ২২:৪৪

যেদিন থেকে শীতের তীব্রতা আরও বাড়বে
পৌষের শীতে কাঁপছে দেশ। জবুথবু অবস্থা বিভিন্ন জেলার নিম্ন আয়ের মানুষের। ঘন কুয়াশা, শিশির আর কনকনে ঠাণ্ডার সঙ্গে বইছে হিমেল হাওয়া। শীতের তীব্রতা বেশি হওয়া সূর্যের দেখা মেলেনি ঢাকাসহ অনেক জেলায়। অসুস্থ হয়ে হাসপাতালগুলোতে ভিড় করছেন শিশু ও বৃদ্ধরা। আরও পড়ুন : জেন্ডায়ার সঙ্গে বিচ্ছেদের গুঞ্জনে মুখ খুললেন হল্যান্ড   আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, কয়েক দিনের মধ্যে বৃষ্টিপাত শীতের তীব্রতাকে আরও বাড়িয়ে দেবে। বইবে মৃদু শৈতপ্রবাহ। আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক আরটিভিকে বলেন, ১৭ জানুয়ারি থেকে মেঘলা আবহাওয়া শুরু হতে পারে। তখন ১৮ ও ১৯ তারিখে দেশের কিছু কিছু এলাকায় বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টিপাতের পর তাপমাত্রা কমে মৃদৃ শৈতপ্রবাহ শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।  এমন অবস্থায় শীতজনিত রোগ থেকে রক্ষায় শীতবস্ত্র ব্যবহারের পাশাপাশি চলাফেরায় সকর্ত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞদের। আরও পড়ুন : কাঁদতে কাঁদতে ক্ষমা চাইলেন অঙ্কিতা   নিয়ম অনুযায়ী, তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামলে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ এবং ৪ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ ধরা হয়।  এ ছাড়া তাপমাত্রা চার ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলে অতি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ হয়।
১৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১১:৪৪

শীতের তীব্রতা বৃদ্ধির পাশাপাশি বৃষ্টির পূর্বাভাস
পৌষের শেষ সময়ে সারাদেশে জেঁকে বসেছে শীত। কনকনে ঠান্ডা আর ঘন কুয়াশার ফলে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, সপ্তাহের শেষের দিকে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং এটি কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগে সাময়িকভাবে বিঘ্ন ঘটতে পারে। এ সময়ে সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। দেশের কোথাও কোথাও দিনে ঠান্ডা পরিস্থিতি বিরাজ করতে পারে। শুক্রবার সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল কিশোরগঞ্জের নিকলি ও চুয়াডাঙ্গায়। এ ছাড়া সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ঈশ্বরদীতে ৯ দশমিক ৮ ও দিনাজপুরে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল। ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে কমে আজ হয়েছে ১৩ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ১৪ তারিখ পর্যন্ত সারাদেশে এমন পরিস্থিতি বিরাজ করবে। আগামী সপ্তাহে দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হতে পারে। শীতের প্রভাবে রাজধানীর তুলনায় দেশের উত্তরবঙ্গের জনজীবনে অনেকটাই স্থবির হয়ে পড়েছে। দিনের অধিকাংশ সময় সূর্যের দেখা না মেলায় কমে আসছে তাপমাত্রা। সেই সঙ্গে উত্তরের হিমেল হাওয়ায় কয়েক গুণ বাড়িয়েছে শীতের অনুভূতি। এ অবস্থায় বিকেল হলেই ঘন-কুয়াশায় ঢেকে যাচ্ছে প্রকৃতি। নিম্ন আয়ের মানুষের ভোগান্তি পৌঁছেছে চরমে। জেঁকে বসা শীতে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগের প্রকোপ। হাসপাতালগুলোতে বেড়েছে রোগীর চাপ।
১২ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:৫৯

শীতের তীব্রতা কবে থেকে কমবে, জানাল আবহাওয়া অফিস
টানা কয়েক দিন ধরে দেশের অধিকাংশ জায়গায় হাড় কাঁপানো শীত অনুভূত হচ্ছে। তবে আজ রাত থেকেই শীতের তীব্রতা কিছুটা কমতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, উপ-মহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, যার বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এ অবস্থায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে রাতে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। দিনাজপুর এবং পঞ্চগড় জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা প্রশমিত হতে পারে। তবে, ঘন কুয়শার কারণে দেশের কোথাও কোথাও দিনে ঠান্ডা পরিস্থিতি বিরাজ করতে পারে। শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং এটি দেশের কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। যশোর ও কুষ্টিয়া অঞ্চলসহ রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের দু-এক জায়গায় হালকা বৃষ্টি অথবা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। একই সময়ে সারাদেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারাদেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।
০৪ জানুয়ারি ২০২৪, ২০:০৯

কুড়িগ্রামে কমেছে তাপমাত্রা, বেড়েছে শীতের তীব্রতা
কুড়িগ্রামে ঘন কুয়াশা কনকনে ঠান্ডা ও উত্তরীয় হিমেল হাওয়ায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। গত ৩-৪ দিন ধরে তাপমাত্রা দ্রুত কমে ঠান্ডার মাত্রা অনেকগুণে বাড়িয়ে তুলেছে। ফলে এ অবস্থায় বিপাকে পড়েছে উত্তরের এ জনপদের মানুষজন। রাতভর বৃষ্টির মতো কুয়াশা টিপটিপ করে পড়তে থাকে। সকাল পেরিয়ে দুপুর হয়ে গেলেও সূর্যের দেখা যায় না। এ অবস্থায় যাতায়াতে মারাত্মক সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে দিনের বেলায়ও কুয়াশার কারণে হেডলাইট জ্বালিয়েও রাস্তায় অনেক যান চলাচল করছে। বুধবার (৩ জানুয়ারি) সকাল নয়টায় রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিস জানায়, আজ তাপমাত্রা ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে, যা এ বছরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এ তাপমাত্রা আরও কমবে এবং দ্রুত মৃদু শৈত্য প্রবাহ কিংবা মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা করা হচ্ছে বলে জানান এ অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার। তিনি বলেন, আকাশ মেঘলা থাকলেও বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। কিন্তু এখন জানুয়ারি মাসে শৈত্যপ্রবাহ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এদিকে এরূপ পরিস্থিতিতে এ অঞ্চলের জনজীবনে নেমে এসেছে স্থবিরতা। বিশেষ করে তীব্র শীতে শিশু ও বৃদ্ধরা কাহিল হয়ে পড়েছে। ঘর থেকে বের হতে পারছেন না কেউই।কাজে যেতে সাহস পাচ্ছেন না দিনমজুর ও শ্রমিক শ্রেণিপেশার মানুষজন।  ধরলা নদীপাড়ের কচাকাটা এলাকার দিনমজুর কায়ছার আলী জানায়, গতকাল থেকে কাজে যেতে পারছি না। যেরকম ঠান্ডা পড়েছে এতে কাজ করা খুবই কষ্টকর হয়ে গেছে। তবুও পেট বাঁচাতে কাজে যেতেই হবে।  শহরের পৌর বাজার এলাকার ভ্যানচালক ছকমল মিয়া জানান, ‘গাড়ি আনি ফেলে থুছি ফায়ার সার্ভিসের সামনত। এ্যালা কাইও মাল টানতে বলেও না হামারও তাগদ কুলায় না এত ঠান্ডাত। তাও বাচ্চা-কাচ্চা পরিবারের জন্য গাড়ি বের করচি।’ এদিকে, জেলা প্রশাসন থেকে এ বছরের শীতে এখন পর্যন্ত ৩০ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।
০৩ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:০৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়