• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
বান্দরবানের বিচ্ছিন্ন ঘটনায় টুরিস্ট খাতে প্রভাব পড়বে না : ডিআইজি টুরিস্ট
বান্দরবানের বিচ্ছিন্ন ঘটনায় বাংলাদেশের টুরিস্ট খাতে কোনো ধরনের প্রভাব পরবে না বলে মন্তব্য করেছেন টুরিস্ট পুলিশের ডিআইজি মো. আবু কালাম সিদ্দিক।  শনিবার (৬ এপ্রিল) সাভারের আশুলিয়ার জামগড়া এলাকায় টুরিস্ট পুলিশের একটি জোনের কার্যক্রমের উদ্বোধন ঘোষণা করে তিনি এসব কথা বলেন।  ডিআইজি টুরিস্ট পুলিশ বলেন, পার্বত্য এলাকায় আমাদের যৌথ বাহিনী অপারেশন করছেন। এছাড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। এই বিচ্ছিন্ন ঘটনার কোনো ধরনের প্রভাব বাংলাদেশের টুরিস্ট খাতে কোনো ধরনের প্রভাব পড়বে না। আগামী পহেলা বৈশাখে আমাদের সব পুলিশ সুপারকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পহেলা বৈশাখেও আমাদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এ সময় সাভার-আশুলিয়া টুরিস্ট পুলিশ জোনের ইনচার্জ মো. মনিরুল হক ডাবলু বলেন, সাভার-আশুলিয়া ও ধামরাই এই টুরিস্ট পুলিশ জোনের আওতায় থাকবে। আমরা পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য বদ্ধপরিকর। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা-সিলেট-ময়মনসিংহ ডিভিশনের অতিরিক্ত ডিআইজি আবু সুফিয়ান, ঢাকা রিজিয়নের পুলিশ সুপার মো. নাইমুল হক পিপিএম, ঢাকা জেলা টুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (লিগ্যাল ও মিডিয়া) মো. বদরুল আলম মোল্লা, পিএসসি, ঢাকা রিজিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মামেনা আক্তার ও আশুলিয়া জোনের ইনচার্জ মো. মনিরুল হক ডাবলু।  
০৬ এপ্রিল ২০২৪, ২২:০১

এক জনমে আর কত কষ্ট বাকি তোমার, লামিশার বাবাকে ডিআইজি
রাজধানীর বেইলি রোডের ভয়াবহ আগুনে পুলিশ সদরদপ্তরে কর্মরত অতিরিক্ত ডিআইজি মো. নাসিরুল ইসলামের মেয়ে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) কেমিকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী লামিশা ইসলাম মারা গেছেন।  ‘বাবা আমি আটকা পড়েছি, আমাকে বাঁচাও’- মৃত্যুর আগে লামিশা তার বাবাকে ফোন করে এই শেষ কথা বলেছিলেন। লামিশার চাচা রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, মেয়ের আকুতির সামনে অসহায় বাবা মেয়েকে হারিয়ে স্তব্ধ হয়ে গেছেন। জানা গেছে, ২০১৮ সালে লামিশার মা আফরিনা মাহমুদ মিতু মারা গেলেও মেয়ের দিকে তাকিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করেননি নাসিরুল। তার বাঁচার অবলম্বন দুই মেয়েকে নিয়ে থাকতেন ঢাকার অফিসার্স ক্লাবে। তার যে শোক তাতে একইভাবে মর্মাহত তার সহকর্মীরাও। এমনই একজন নাসিরুলের জ্যেষ্ঠ সহকর্মী পুলিশের ডিআইজি রুহুল আমিন শিপার। যিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নাসিরুলকে নিয়ে আবেগঘন একটি স্ট্যাটাস পোস্ট করেছেন। ‘অগ্নিপরীক্ষা’ শিরোনামে দেওয়া ওই পোস্টে নাসিরুলের জীবনের কঠিন পথের নানা দিক তুলে ধরেছেন তিনি। পাঠকদের জন্য ডিআইজি রুহুল আমিন শিপারের পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো- #অগ্নি_পরীক্ষা প্রায় বছর ছয়েক আগের কথা। নাসির পাথরের মতো মুখ করে দাঁড়িয়ে আছে। বিএসএমএমইউ (পিজি) হাসপাতালের ডি ব্লক-এর সামনে একটা ফ্রিজার ভ্যানে ওর স্ত্রীর মরদেহ রাখা। বিয়ের আগে ওরা মামাতো ফুপাতো ভাই-বোন ছিল। নাসিরের জিম্মায় ছোট্ট দুটি মেয়ে রেখে ভাবি একা চলে গেলেন। একটু পরে তখনকার আইজিপি জাবেদ পাটোয়ারী স্যার এলেন। এরপর দাফনের জন্য নারায়ণগঞ্জে নেওয়া হলো মরদেহ। ২২তম বিসিএস ব্যাচের অফিসার অতিরিক্ত ডিআইজি নাসির পদার্থবিদ্যা নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছে। আমার পাশের ফজলুল হক হলে থাকতো। এখনো আমরা একই কম্পাউন্ডে থাকি এবং একই অফিসে কাজ করি। কয়েক বছর আগের কথা। তখন বেনজীর আহমেদ স্যার র‌্যাবের মহাপরিচালক। পুলিশ সদরদপ্তরে নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে নাসিরের একটা প্রেজেন্টেশন দেখে প্রকাশ্যে বলে ফেললেন, ইউ আর সো ইন্টেলিজেন্ট। কিন্তু আমি তোমাকে চিনি না কেন? এরপর বেনজীর স্যার আইজিপি হয়ে পুলিশের নিয়োগ প্রক্রিয়া সংস্কারে হাত দিলেন। এআইজি রিক্রুটমেন্ট হিসেবে মেধাবী নাসির একটা অসাধারণ নিয়োগ কাঠামো তৈরি করে দেয়। যেখানে চাইলেও দুর্নীতি কিংবা পক্ষপাতিত্ব করা প্রায় অসম্ভব। বর্তমানে সেই কাঠামোতেই নিয়োগ চলছে। দুই মেয়ে নিয়ে নাসিরের একার সংসার। একদিন শুধু বলেছিলাম, আর বিয়েশাদি করলে না? একটু হেসে মাথা নেড়ে ও বললো, না, স্যার। ওর মেয়েরা খুবই মেধাবী। বড় মেয়ে সম্ভবত ভিকারুননিসা নূন স্কুলে ফার্স্ট গার্ল ছিল। কলেজ শেষ করে সে বুয়েটে ভর্তি হয়েছিল। নাসিরের জীবনে ছয় বছর আগের সেই রাত আবার ফিরে এলো। গতরাতে (২৯ ফেব্রুয়ারি) আগুন লাগার সময় বেইলি রোডের সেই রেস্তোরাঁয় ওর বুয়েট পড়ুয়া মেয়েটা ছিল। সে আর ফেরেনি, চলে গেছে জীবনের ওপারে। বছর ছয়েক আগে স্ত্রী মরে যাওয়ার রাতে নাসিরের সেই চেহারার কথা স্পষ্ট মনে আছে আমার। এবার অবশ্য ওর সাথে দেখা হয়নি। মেয়ের মরদেহ নিয়ে ফরিদপুরের পথে আছে সে। ওকে ফোন দিতে মন চাইছে না। তাই হোয়াটসঅ্যাপে শুধু নিচের মেসেজটা দিয়েছি- ‘নাসির, আমার অন্তরটা ছিঁড়ে যাচ্ছে। বাসায় বসে এখন কাঁদছি। এক জনমে আর কত কষ্ট বাকি তোমার?’
০২ মার্চ ২০২৪, ০৪:১৭

ডিআইজি মিজানের ১৪ বছরের সাজা বহাল
অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় বরখাস্ত হওয়া পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানের ১৪ বছরের কারাদণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। এর আগে, গত বছরের ২১ জুন মিজানকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬-এর বিচারক মঞ্জুরুল ইমাম। এ ছাড়া এই মামলায় মিজানের স্ত্রী, ভাই ও ভাগনেকে সাত বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পরে এ রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন ডিআইজি মিজান। মিজানুর রহমান ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বিয়ে গোপন করতে ক্ষমতার অপব্যবহার করে স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করানোর অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে।  এছাড়া এক সংবাদ পাঠককে হত্যার হুমকি ও উত্ত্যক্ত করার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় জিডি করা হয়। নারী নির্যাতনের অভিযোগে ২০২০ সালে তাকে প্রত্যাহার করে পুলিশ সদরদপ্তরে সংযুক্ত করা হয়। এরপর দুদক কর্মকর্তার সঙ্গে ঘুস লেনদেনের বিষয়টি সামনে আসলে ডিআইজি মিজানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। একইসঙ্গে ২০১৯ সালে মিজানসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদুক।  মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে তিন কোটি ২৮ লাখ ৬৮ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং তিন কোটি সাত লাখ পাঁচ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়। পরে ২০২০ সালের ৩০ জানুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদুক। দুদকের এই মামলায় ২০২০ সালের ১ জুলাই আগাম জামিন আবেদন করলে মিজানকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। মিজানকে তাৎক্ষণিক পুলিশের হাতে তুলে দেন আদালত।  
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:২৪

চাঁদপুরে ‘চেতনার বাতিঘর’ উদ্বোধন করলেন চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি
চাঁদপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে চেতনার বাতিঘর নামে বঙ্গবন্ধু কর্নারের উদ্বোধন করা হয়েছে। সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ফিতা কেটে ও ফলক উম্মোচন করে এই কর্নারের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি নুরে আলম মিনা। চেতনার বাতিঘর নামে বঙ্গবন্ধু কর্নারে শেখ মুজিবুর রহমানের সংক্ষিপ্ত জীবনী ও পুলিশ বাহিনীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিভিন্ন অবদানের তথ্য চিত্র তুলে ধরা হয়। এ সময় চাঁদপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) সুদীপ্ত রায়সহ জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:২৮

স্ত্রীর পক্ষে প্রচারণা, অতিরিক্ত ডিআইজি বরখাস্ত
বগুড়া-১ (সারিয়াকান্দি ও সোনাতলা উপজেলা) আসনে স্ত্রী শাহাজাদী আলম লিপির নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেওয়ার অভিযোগে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি হামিদুল আলমকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাকে পুলিশ অধিদপ্তরে সংযুক্ত করার বিষয়ে অনাপত্তি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বুধবার (৩ জানুয়ারি) নির্বাচন কমিশনের উপসচিব মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত চিঠিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবকে এ বিষয়ে জানানো হয়।  বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) ইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। ইসি জানায়, সরকারি গাড়ি ব্যবহার করে স্ত্রীর নির্বাচনি প্রচারে অংশ নেওয়ার অভিযোগে বরিশাল মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার হামিদুল আলমকে তলব করেছে নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটি। হামিদুল আলমের স্ত্রী শাহাজাদী আলম ওরফে লিপি বগুড়া-১ (সারিয়াকান্দি-সোনাতলা) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। বুধবার বগুড়া-১ আসনের নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান এবং বগুড়ার যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মোসা. শাহনাজ পারভীন এ নোটিশ দেন। নোটিশে বৃহস্পতিবার বেলা ৩টার মধ্যে অনুসন্ধান কমিটির অস্থায়ী কার্যালয়ে সশরীর হাজির হয়ে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়। এতে স্ত্রীর পক্ষে ভোট প্রচারে সত্যতা পাওয়া যায়। যদিও অতিরিক্ত কমিশনার হামিদুল বলেন, আমি হৃদরোগ-ডায়াবেটিসসহ নানা রোগে ভুগছি। এ কারণে ১২ ডিসেম্বর থেকে ২৮ দিনের মেডিকেল ছুটিতে বগুড়া শহরের বাসায় বিশ্রামে আছি। তিনি দাবি করেন, তার স্ত্রী বগুড়া-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও প্রচার শুরুর পর তিনি নির্বাচনী এলাকায় যাননি। নির্বাচনী কাজে সরকারি গাড়ি ব্যবহারের অভিযোগ ভিত্তিহীন। একটি পক্ষ ভোটারদের বিভ্রান্ত করতে এমন অভিযোগ করছে।
০৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১৬:১৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়