• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
চাঁদপুর জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি গ্রেপ্তার 
সাজাপ্রাপ্ত মামলার আসামি হিসেবে চাঁদপুর জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি এডভোকেট মাসুদুল ইসলামকে (৩৭) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কচুয়া থানা পুলিশ একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে তাকে নিজ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেন।  মাসুদুল ইসলাম কচুয়া উপজেলার বিতারা গ্রামের মৃত সরাফত আলীর ছেলে। রাতে চাঁদপুর জেলা পুলিশের মিডিয়া সেল থেকে এসব তথ্য জানানো হয়।  কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, গ্রেপ্তার আসামি মাসুদুল ইসলামের বিরুদ্ধে মতিঝিল থানার জিআর মামলায় ঢাকা সিএমএম আদালতের বিচারক ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর ২ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন। গ্রেপ্তার আসামিকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
৯ ঘণ্টা আগে

তীব্র গরমে সালাতুল ইসতিসকা আদায়ের কর্মসূচি জামায়াতের
রাজধানীসহ সারাদেশেই চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। এর ফলে ইতোমধ্যে হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এমন পরিস্থিতিতে আল্লাহর রহমতের বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায়ের কর্মসূচি দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন দলের আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, সম্প্রতি প্রচণ্ড দাবদাহ ও অনাবৃষ্টিতে দেশের আবহাওয়া অত্যন্ত উষ্ণ হয়ে পড়েছে। উচ্চ তাপমাত্রার কারণে সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা অত্যন্ত কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। একদিকে উচ্চ তাপমাত্রার কারণে প্রচণ্ড গরম, অন্যদিকে অনাবৃষ্টিতে মানুষ, পশু-পাখি ও জীব-জন্তুর জীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে। একমাত্র মহান রাব্বুল আলামিনই আমাদেরকে এহেন পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ দিতে পারেন।  তিনি আরও বলেন, সারাদেশের মানুষ গরমে কষ্ট পাচ্ছে। বিশেষ করে কৃষক-শ্রমিকসহ নানা শ্রেণি-পেশার শ্রমজীবী মানুষ কর্মক্ষেত্রে প্রচণ্ড গরমে কষ্ট পাচ্ছে। গত ২২ এপ্রিল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে একজন রিকশাওয়ালা অসহনীয় গরমে মারা গেছেন। দেশে বিরাজমান এই পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য মহান আল্লাহ তাআলার অবারিত রহমত তথা বৃষ্টি কামনা করে সালাতুল ইসতিসকার নামাজ করার জন্য ওলামায়ে কেরাম, জামায়াতের সর্বস্তরের নেতাকর্মী ও দেশবাসী সবার প্রতি আমরা উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।  ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আগামীকাল বুধবার ও বৃহস্পতিবার (২৪ ও ২৫ এপ্রিল) জামায়াতে ইসলামীর সকল সাংগঠনিক শাখার উদ্যোগে জনসাধারণকে সঙ্গে নিয়ে সালাতুল ইসতিসকার আদায়ের কর্মসূচি সফল করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।
২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:০৫

চাঁদপুরে জামায়াতের পিছুটান
উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলা জামায়াতে ইসলামির আমির আবদুর রশিদ পাটোয়ারী। বুধবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ে এসে সাংবাদিকদের তিনি এই তথ্য জানিয়েছেন। দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিলের এক দিন পর নিজের সিদ্ধান্তের কথা জানান আবদুর রশিদ পাটোয়ারী।  তিনি বলেন, দলের হাইকমান্ড থেকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। দলীয় সিদ্ধান্ত মান্য করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াচ্ছি। আগামী ২২ এপ্রিল পর্যন্ত সময় আছে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের। এরমধ্যে যেকোনো দিন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেবো। এদিকে বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। ঘোষণার পরও মতলব দক্ষিণ উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিএনপি নেতা আসলাম মিয়াজী এখনও নির্বাচনের মাঠে রয়েছেন। আগামী ৮ মে উপজেলা নির্বাচনে ভোটগ্রহণ করা হবে। এবারের নির্বাচনে কোনো প্রার্থীকে দলীয় প্রতীক দেবে না আওয়ামী লীগ। চেয়ারম্যান পদে মতলব দক্ষিণ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান চেয়ারম্যান বি এইচ এম কবির আহম্মেদ, উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও ছাত্রলীগের সাবেক নেতা সিরাজুল মোস্তফা তালুকদার, খাদেরগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ মঞ্জুর হোসেন রিপন মীর; ভাইস চেয়ারম্যান পদে মতলব দক্ষিণ উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান দেওয়ান শওকত আলী বাদল, উপাদী উত্তর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. শাহ আলম খান এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজমা আক্তার আঁখি, উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিকবিষয়ক সম্পাদিকা ও জেলা মহিলা লীগের সদস্য শিলা মনি ও ইউপি সাবেক সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেত্রী ফাতেমা বেগম নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন।
১৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:০৩

১৫ মাস পর কারামুক্ত জামায়াতের আমির
১৫ মাস কারাভোগের পর মুক্তি পেয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. মো. শফিকুর রহমান। সোমবার (১১ মার্চ) দুপুর ২টার দিকে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি। এ সময় জামায়াতের আমিরকে শুভেচ্ছা জানাতে দলের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরোয়ারসহ দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন। শফিকুর রহমানের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মুজাহিদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে, ২০২২ সালের ১২ ডিসেম্বর রাতে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে জামায়াতের এই নেতাকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ। পরদিন তাকে যাত্রাবাড়ী থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের করা এইটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে তদন্তকারী কর্মকর্তা আবেদন করলে আদালত শুনানি শেষে সাত দিনের মঞ্জুর করেন। এরপর একাধিক মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।  
১১ মার্চ ২০২৪, ১৬:৩৪

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে জামায়াতের বিবৃতি
রমজান মাস শুরু হওয়ার আগেই চাল, ডাল এবং তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বেড়ে যাওয়ায় বিবৃতি দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। রোববার (১০ মার্চ) সংগঠনটির ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুল এবং সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ এ বিবৃতি দিয়েছেন। এতে বলা হয়, রমজান মাস শুরুর আগেই চাল, ডাল, তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির ফলে সাধারণ মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছে। একইসঙ্গে সরকারের ভুল নীতি ও দলীয় লোকদের সিন্ডিকেটের কারণে তারা বাজার নিয়ন্ত্রণেও সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। এই সরকার ইসলামে নিষিদ্ধ মদের ওপর শুল্ক ফ্রি করে খেজুরের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করেছে। এর ফলে ইফতারের সবচেয়ে প্রচলিত খাদ্য খেজুরের মূল্য ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশের মানুষ যেন স্বাচ্ছন্দ্যে সাহরি ও ইফতার করে রোজা পালন করতে পারে এর জন্য আমরা সিন্ডিকেট ও মজুতদারি বন্ধের দাবি জানাই। বিবৃতিতে পবিত্র মাহে রমজানের পবিত্রতা রক্ষায় দিনের বেলায় হোটেল-রেস্তোরাঁ বন্ধ, অশ্লীলতা ও বেহায়াপনা বন্ধ করে নগরীর বিভিন্ন স্থান থেকে অশ্লীল পোস্টার ও বিলবোর্ড অপসারণ, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ, গ্যাস ও বিশুদ্ধ পানির সরবরাহ নিশ্চিত, যানজট দূরীকরণ, ঈদের এক সপ্তাহ আগেই শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা পরিশোধ এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণ রাখতে আহ্বান জানানো হয়। একইসঙ্গে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে বিরত থেকে অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার আমিরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানসহ সকল বন্দি ও আলেম-ওলামাকে মুক্তি দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
১১ মার্চ ২০২৪, ১২:১৮

জামায়াতের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ এবং প্রহসনের নির্বাচন বাতিল করে কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার দাবিতে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে জামায়াতে ইসলামী। নতুন কর্মসূচি অনুযায়ী আগামীকাল মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) সারাদেশে বিক্ষোভ মিছিল করবে দলটি। সোমবার (২৯ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে এ কর্মসূচির কথা জানান জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মাছুম। তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে দেশের মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রতিটি জিনিসের দাম ৩ থেকে ৪ গুণ পর্যন্ত বেড়েছে। দরিদ্র জনগণ দিনে এক বেলাও পেট ভরে খেতে পারছে না। সরকারের ট্রাক সেলে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়েও চাহিদামতো দ্রব্যসামগ্রী পাওয়া যাচ্ছে না।  তিনি আরও বলেন, গ্যাস ও বিদ্যুতের চরম সংকটে দেশের নাগরিক ও শিল্প-কারখানা বিপাকে পড়েছে। গৃহিণীরা ঠিকমতো রান্না করতে পারছেন না। গার্মেন্টসহ কল-কারখানার উৎপাদন কমে যাওয়ায় যথাসময়ে শিপমেন্ট করা যাচ্ছে না। ফলে রপ্তানি বাণিজ্যে বিরূপ প্রভাব পড়েছে। দেশের অর্থনীতি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।   এটিএম মাছুম বলেন, জনগণের ভোটাধিকার হরণ করে একদলীয় প্রহসনের ডামি নির্বাচন করে সরকার জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে এবং আন্তর্জাতিকভাবে একঘরে হওয়ার মুখে পড়েছে। সরকারের ডামি নির্বাচন দেশে-বিদেশে কোথাও গ্রহণযোগ্যতা পায়নি এবং কোথাও স্বীকৃতি পাচ্ছে না। দেশে বর্তমান রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক, কূটনৈতিক মহাসংকট চলছে। তামাশার ডামি নির্বাচন বাতিল করে নির্দলীয়-নিরপেক্ষ কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন ছাড়া বর্তমান মহাসংকট থেকে দেশকে উদ্ধার করা সম্ভব নয়।   তিনি বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ ও গ্যাস-বিদ্যুৎ সংকটের সমাধান করার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ এবং অবিলম্বে প্রহসনের ডামি নির্বাচন বাতিল করে কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার দাবিতে আমি দেশের সব জেলা সদরে মঙ্গলবার শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করছি। ঘোষিত এ কর্মসূচি সর্বাত্মকভাবে সফল করার জন্য আমি জামায়াতের সব জেলা সংগঠন এবং জেলাবাসীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
২৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:৫৬

ভোটের পরদিন নতুন কর্মসূচি ঘোষণা জামায়াতের
প্রহসনের নির্বাচন প্রত্যাখান করে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। সোমবার (৮ জানুয়ারি) দলটির ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এ টি এম মা’ছুম এক বিবৃতিতে জানান, ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে জনগণ ভোট না দিয়ে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। এই সরকারের ক্ষমতায় থাকার আর কোনো নৈতিক অধিকার নেই। তিনি আরও বলেন, জামায়াতের পক্ষ থেকে দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে প্রহসনের নির্বাচন বাতিল করে অবিলম্বে কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার দাবিতে ৯ ও ১০ জানুয়ারি দেশব্যাপী গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি ঘোষণা করছি। ঘোষিত কর্মসূচি বাস্তবায়নের মাধ্যমে নিজ নিজ অবস্থান থেকে স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র গণ-আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য সংগঠনের সর্বস্তরের জনশক্তি ও দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান এ টি এম মা’ছুম। এদিকে সোমবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন বাতিল ও অবিলম্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের নতুন তারিখ ঘোষণার দাবি জানিয়েছে দলটি। উল্লেখ্য, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। ২৯৯টি আসনের মধ্যে এখন পর্যন্ত ২৯৮টি আসনের বেসরকারি ফলাফল পাওয়া গেছে। এরমধ্যে আওয়ামী লীগ ২২৫টি, স্বতন্ত্র ৬১টি, জাতীয় পার্টি ১১টি আসনে জয় পেয়েছে। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের অধিকাংশই আওয়ামী লীগের নেতা।
০৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:৫৫

অভিনন্দন জানিয়ে জামায়াতের বিবৃতি
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করায় দেশবাসীকে অভিনন্দন জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। শনিবার (৭ জানুয়ারি) দলটির ভারপ্রাপ্ত আমির ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান এ অভিনন্দন জানান। বিবৃতিতে বলা হয়, ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশের জনগণ ও বিশ্ববাসী বাংলাদেশে আরও একটি প্রহসনের ডামি নির্বাচন প্রত্যক্ষ করল। বাংলাদেশের ইতিহাসে এটি একটি কালো দিবস হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। বাংলাদেশের প্রায় সব রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ, বুদ্ধিজীবী ও বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য আন্দোলন করে আসছেন। গণতান্ত্রিক বিশ্ব ও বাংলাদেশের বন্ধু রাষ্ট্রসমূহ বাংলাদেশে অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করার ব্যাপারে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছে। সরকার সবার মতামত অগ্রাহ্য করে ৭ জানুয়ারি একটি প্রহসনের নির্বাচনের আয়োজন করে। ‘প্রহসনের এ নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য করে তোলার লক্ষ্যে সরকার নিজেদের দলীয় লোকদের স্বতন্ত্র, বিদ্রোহী ও ডামি প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করিয়ে ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আনার অপচেষ্টা চালায়। আওয়ামী লীগ ও প্রশাসনের মাধ্যমে ভোটারদের ভোট দেওয়ার জন্য ভয়ভীতি প্রদর্শন করতে থাকে। অনেককে প্রাণ নাশের হুমকি দেওয়া হয়। আওয়ামী লীগ সরকারের সকল অপকৌশলকে ব্যর্থতায় পর্যবসিত করে জনগণ ভোট দেওয়ার জন্য ভোটকেন্দ্রে যায়নি। প্রহসনের নির্বাচনের প্রতি শুরু থেকেই ভোটারদের কোনো আগ্রহ ছিল না। ফলশ্রুতিতে এই নির্বাচনে ভোটারদের কোনো উপস্থিতিই লক্ষ্য করা যায়নি। বাংলাদেশের প্রায় শতভাগ মানুষ এই ডামি নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করায় গণতন্ত্রকামী মানুষের বিজয় অর্জিত হয়েছে এবং অগণতান্ত্রিক সরকারের নৈতিক পরাজয় হয়েছে।’ অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, প্রহসনের নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করে জনগণ প্রমাণ করেছে, এই নির্বাচনের সাথে বাংলাদেশের জনগণের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। ভয়-ভীতি, হুমকি-ধমকি উপেক্ষা করে ভোটদানে বিরত থেকে বাংলাদেশের জনগণ কেয়ারটেকার সরকারের পক্ষে তাদের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছে। ভোটকেন্দ্রে না গিয়ে জনগণ বুঝিয়ে দিয়েছে, কেয়ারটেকার সরকার ব্যতীত দলীয় সরকারের অধীনে প্রহসনের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে তারা রাজি নয়। জনগণ সাহসিকতা ও দৃঢ়তার সঙ্গে ভোট বর্জন করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনকে সফল করে তোলার জন্য তারা যে প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন, এই জন্য আমি বাংলাদেশের জনগণকে আমাদের দলের ও আমার পক্ষ থেকে আন্তরিক অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। সেই সাথে সরকারকে প্রহসনের নির্বাচন বাতিল করে অবিলম্বে কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ব্যবস্থা করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। আশা করি সরকার জনমতের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে শুভ বুদ্ধির পরিচয় দেবে।
০৭ জানুয়ারি ২০২৪, ২১:৪০

টানা ৩ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা জামায়াতের
প্রহসনের নির্বাচন বর্জন ও ভোটদান থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে টানা ৩ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) দলটির ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এ টি এম মা’ছুম এক বিবৃতিতে এ কর্মসূচি ঘোষণা করে। এতে বলা হয়, ২০২৪ সালের শুরুতেই আওয়ামী লীগ সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় রায় ঘোষণার মাধ্যমে যাত্রা শুরু করেছে। ৭ জানুয়ারি প্রহসনের নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটারদের মধ্যে ভয়ভীতি, হুমকি-ধমকি, গ্রেপ্তার ও হয়রানি চালিয়ে যাচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ২৫ জন নেতাকর্মীকে অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমি এই গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং তাদের দ্রুত মুক্তি দাবি করছি। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আওয়ামী লীগের রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের তাণ্ডবতায় অনেক স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রহসনের নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। সরকার তার সাজানো নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশকে গণতান্ত্রিক বিশ্ব থেকে আলাদা করার প্রক্রিয়া চূড়ান্তভাবে সম্পন্ন করেছে। এ টি এম মা’ছুম বলেন, দেশের বুদ্ধিজীবী, সুশীল সমাজ ও রাজনৈতিক দলসমূহ প্রহসনের নির্বাচন বয়কট করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ কেয়ারটেকার সরকারের নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের প্রতিনিধিত্বমূলক সরকারের প্রতি গুরুত্বারোপ করে আসছেন। কিন্তু সেদিকে সরকারের কোনো ভ্রক্ষেপ নেই। প্রত্যেক নাগরিকেরই ভোট দেওয়া বা না দেওয়ার অধিকার আছে। আওয়ামী লীগ প্রশাসনের সহযোগিতায় ভোটারদেরকে ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে ও ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। ভোটের দিন সরকার পরিকল্পিতভাবে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে পারে মর্মে পত্র-পত্রিকায় সংবাদ প্রচারিত হচ্ছে। এ অবস্থায় সরকারের সকল ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে প্রহসনের নির্বাচন বর্জনে আগামী ৫ জানুয়ারি দেশব্যাপী মিছিল ও গণসংযোগ করা হবে। এ ছাড়া ৬ জানুয়ারি ভোর ৬টা থেকে ৮ জানুয়ারি ভোর ৬টা পর্যন্ত টানা ৪৮ ঘণ্টা দেশব্যাপী সর্বাত্মক হরতাল পালন করা হবে বলেও বিবৃতিতে বলা হয়।
০৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:৪০

লিফলেট বিতরণের সময় জামায়াতের ২ কর্মী গ্রেপ্তার
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচালের জন্য লিফলেট বিতরণের সময় দুই জামায়াত কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে ২ শতাধিক লিফলেট উদ্ধার করা হয়েছে।  বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) সকালে তাদেরকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে বুধবার (৩ জানুয়ারি) রাতে উপজেলার ৩নং সিংড়া ইউনিয়নের ভর্ণাপাড়া বাজার থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা বাজারে জামায়াতের লিফলেট বিতরণ করছিলেন। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, মুগলিশপুর গ্রামের মৃত তালেব আলীর ছেলে ইউসূফ আলী (৪৫) এবং একই গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে আজগর আলী (৫১), তারা দুজন ইউনিয়ন জামায়াতের কর্মী। ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, তাদের কাছে আগে থেকেই গোয়েন্দা তথ্য ছিল যে ভর্ণাপাড়া বাজারে জামায়াতের লোকজন লিফলেট বিতরণ করবে। এমন তথ্য বিকেল থেকেই সাদা পোশাকের পুলিশ বাজারটিতে অবস্থান করছিল। মাগরিবের নামাজের কিছু সময় পর জাতীয় নির্বাচন বানচাল এবং ভোটারদেরকে ভোটদান থেকে বিরত থাকা-সংক্রান্ত লিফলেট বিতরণ শুরু করে জামায়াত-শিবিরের ৫ থেকে ৭ জন নেতাকর্মী। সেখান থেকে পুলিশ দুজনকে আটক করে। বাকিরা পুলিশের উপস্থিতি বুঝতে পেরে পালিয়ে যায়। তিনি আরও বলেন, নাশকতার একটি মামলার তদন্তে আমরা আটক দুজনের সংশ্লিষ্টতা পেয়েছিলাম। দীর্ঘদিন থেকেই আমরা তাদেরকে খুঁজছিলাম। আটক ব্যক্তিদেরকে নাশকতার ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। 
০৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১৩:১৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়