• ঢাকা শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
চকচকে চাল খাওয়া বন্ধ করলে দাম কমবে: খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার ভোক্তাদের উদ্দেশে বলেছেন, আপনারা চকচকে চাল খাওয়া বন্ধ করুন। তাহলে যেমন চালের দাম কমবে এবং আমরা চাল রপ্তানি করতেও সফল হবো। বৃহস্পতিবার (৯ মে) রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) খাদ্য, কৃষি যন্ত্রপাতি, চিকিৎসা সরঞ্জাম ও স্বাস্থ্য পর্যটন নিয়ে শুরু হওয়া তিন দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী মেডিটেক্স, হেলথ ট্যুরিজম, ফুড অ্যান্ড অ্যাগ্রো বাংলাদেশ-২০২৪ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।   উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের শুধু পালিশ করে যে চাল নষ্ট হচ্ছে সেটা অর্ধেক রপ্তানি করলেই হবে। কারণ উৎপাদিত প্রায় চার কোটি টনের মধ্যে তিন শতাংশ হারে প্রায় ১২ লাখ টন চাল পালিশ করার কারণে অপচয় হচ্ছে। আমাদের চাল পাঁচ দফা পালিশ করে চকচকে করা হচ্ছে। দুবার পালিশ করলেও ৫-৭ লাখ টন চাল বাড়বে। খাদ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা নতুন আইন করে এ পালিশ বন্ধ করছি, মিনিকেট বা বিভিন্ন নামে চাল বাজারজাত করাও বন্ধ করেছি। ভোক্তাদের আমি বলব, আপনারা চকচকে চাল খাওয়া বন্ধ করুন। তাহলে যেমন চালের দাম কমবে, আমরা চাল রপ্তানি করতেও সফল হব। এ আইন কার্যকর হওয়ার পর আগামী আমন মৌসুম থেকে চাল পালিশ করলে মিল মালিকরা জরিমানার শিকার হবে। আসুন সবার প্রচেষ্টায় আমরা চাল রপ্তানির প্রস্তুতি নিই। সেমস-গ্লোবাল ইউএসএ অ্যান্ড এশিয়া প্যাসিফিক এর প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড গ্রুপ ম্যানেজিং ডিরেক্টর মেহেরুন এন. ইসলামের স্বাগত বক্তব্যে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনস্ত রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান ও সিইও এ. এইচ, এম. আহসান। আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের (বিএফএসএ) চেয়ারম্যান মো. জাকারিয়া, কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মোহাম্মদ হাসান আরিফ, বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশনের (বিসিক) পরিচালক (বিপণন, নকশা ও কারুশিল্প) আব্দুন নাসের খান।  
০৯ মে ২০২৪, ১৭:৩২

বাজারে পলিশ ছাড়া চাল বাজারজাত করা হবে : খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, চাল সরু ও চকচকে করতে পুষ্টির অংশ ছাঁটাই করে ফেলা হয়। এতে চাল চকচকে হলেও কার্বোহাইড্রেট ছাড়া কিছুই থাকেনা। এছাড়া পরিমানেও চাল কমে যায়। আগামী আমন মৌসুম থেকে পালিশ (ছাঁটাই) বিহীন চাল বাজারজাত করার আইন কার্যকর হবে। সেই লক্ষে মিলারদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।  বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুরে নওগাঁ সার্কিট হাউস সম্মেলন কক্ষে বোরো সংগ্রহ অভিযান ২০২৪ সফল করার লক্ষে নওগাঁ খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। মন্ত্রী আরও বলেন, সরকারিভাবে সে সকল চাল বিতরন করা হবে আর মিলাররা যে সকল চাল বাজারজাত করবে সকল চালই পলিশ ছাড়া বাজারজাত করা হবে। কোম্পানি, অটোমিল, হাস্কিং রাইস মিল যারাই চাল বাজারজাত করবে সকল চাল হবে পলিশ ছাড়া। পলিশ ছাড়া চাল বাজারজাত হলে ভোক্তা পর্যায়ে চালের যে পুষ্টি ও গুনগতমান সেটা ঠিক থাকবে। আর এমনটাই চায় সরকার। এ বছরের আমন মৌসুম থেকে পলিশ ছাড়া চাল ভোক্তা পর্যায়ের বাজারজাত করা হবে বলে সাংবাদিকদের জানান মন্ত্রী। নওগাঁ জেলা প্রশাসক গোলাম মওলা'র সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় জেলা পুলিশ সুপার রাশিদুল হক, আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক জহিরুল ইসলাম খান, জেলা কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক আবুল কালাম আজাদ, মিল-মালিকসহ জেলা খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
০২ মে ২০২৪, ১৬:২০

চাল আমদানি না করায় সাশ্রয়ী হয়েছে ডলার 
ডলার সংকট মোকাবিলায় চাল আমদানির বিপরীতে জোর দেওয়া হচ্ছে কৃষকের কাছ থেকে বেশি হারে ধান সংগ্রহকে। এরই মধ্যে চাল আমদানি খাত থেকে ১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা বরাদ্দ কমানো হয়েছে। এতে সাশ্রয় হবে কমপক্ষে ১৫ কোটি মার্কিন ডলার। ২০২২-২৩ অর্থবছরে বিগত মৌসুমগুলোয় উৎপাদন ভালো হওয়ায় এই আমন মৌসুমের সংগ্রহ পর্যন্ত চাল আমদানির প্রয়োজন নেই। এর পাশাপাশি ডলার সংকটের কারণেও চাল আমদানি না করে খাদ্য পরিস্থিতি কীভাবে সামাল দেওয়া যায়, সেদিকেই গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। ২০২১-২২ অর্থবছরে সাড়ে ১০ লাখ টন চাল আমদানি করা হলেও এরপর গত ২১ এপ্রিল পর্যন্ত কোনো চাল আমদানি করা হয়নি। কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) হিসাবে চলতি অর্থবছরে মোট ৪ কোটি ১২ লাখ টন চাল উৎপাদন হতে পারে। এর মধ্যে বোরো ২ কোটি ৯ লাখ টন, আউশ ৩০ লাখ টন ও আমন ১ কোটি ৭০ লাখ টন। আর দেশে চালের চাহিদা ৩ কোটি ৫০ লাখ টনের কাছাকাছি। সেই হিসেবে দেশে ৫০ থেকে ৬০ লাখ টন চাল উদ্বৃত্ত আছে।  জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) হিসেবে বিশ্ববাজারে চালের বাড়তি দামের কারণে গত এক বছরে বাংলাদেশে কোনো সেদ্ধ চাল আমদানি হয়নি। যেখানে ২০২১ ও ২০২২ সালে দেশে ৮ থেকে ১০ লাখ টন চাল আমদানি করা হয়েছিল। আর তাতে সাশ্রয়ী হয়েছে বিপুল পরিমাণ ডলার।  গত বছর বাংলাদেশে চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩ কোটি ৭৭ লাখ মেট্রিক টন। এর বিপরীতে চালের উৎপাদন ছিল ৪ কোটি ১৩ লাখ মেট্রিক টন। কৃষি বিভাগ বলছে, এভাবে ২০১৮ সাল থেকেই বাংলাদেশে চাহিদার চেয়ে বেশি পরিমাণ চাল উৎপাদন হচ্ছে। চলতি বছরেও উৎপাদনের এই ধারাহিকতা রক্ষা হয়েছে। খাদ্য মন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার জানিয়েছেন, বিগত বছরেও চাল আমদানির প্রয়োজন হয়নি। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের আমদানির তথ্য বলছে গত বছরের জুলাই থেকে এই বছরের ৭ মার্চ পর্যন্ত কোন চাল আমদানি করা হয়নি।  বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসাব অনুসারে মাথাপিছু ১৫২ কেজি চালের প্রয়োজনীয়তা ধরে নিয়ে আমাদের বার্ষিক চালের চাহিদা নিরূপণ করা যায়। বর্তমানে দেশে প্রায় ১৭ কোটি মানুষ আছে। তাতে বার্ষিক খাদ্যচাহিদা দাঁড়ায় ২ কোটি ৫৮ লাখ মেট্রিক টন চাল। এর সঙ্গে বীজ ও অপচয় এবং পশুখাদ্য বাবদ ১৫ শতাংশ যোগ করে মোট চালের প্রয়োজন দাঁড়ায় ২ কোটি ৯৬ লাখ টন বা প্রায় ৩ কোটি টন। দৈনিক চালের চাহিদা আরও বেশি বিবেচনায় নিয়ে মাথাপিছু দৈনিক আধা কেজি বা বার্ষিক জনপ্রতি ১৮২ দশমিক ৫ কেজি হিসেবে চালের চাহিদা দাঁড়ায় ৩ কোটি ১০ লাখ ২৫ হাজার মেট্রিক টন। বীজ, অপচয় ও পশুখাদ্য হিসেবে আরো ১৫ শতাংশ যোগ করা হলে মোট চাহিদা দাঁড়ায় ৩ কোটি ৫৬ লাখ ৭৮ হাজার মেট্রিক টন। এর বিপরীতে চালের উৎপাদন ছিল ৪ কোটি ১৩ লাখ মেট্রিক টন। বর্তমানে মজুত আছে ১৩ লাখ ১৪ হাজার ৬০৯ মেট্রিক টন।   বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিস্টিটিউটের (বিআরআরআই) পলিসি গবেষণার প্রজেকশন অনুযায়ী, ২০৩০ সালে বাংলাদেশে ৪ কোটি ৬৯ লাখ টন, ২০৪১ সালে ৫ কোটি ৪১ লাখ টন এবং ২০৫০ সালে ৬ কোটি ৯ লাখ টন চালের প্রযোজন হবে। বিআরআরআই -এর মহাপরিচালক ড. শাহজাহান কবীর জানিয়েছেন, ২০৩০ সালে ৪২ লাখ টন, ২০৪০ সালে ৫৩ লাখ টন এবং ২০৫০ সালে ৬৫ লাখ টন চালে উদ্বৃত্ত থাকবে। এই বাড়তি উৎপাদন আমাদের যে কোনো ঝুঁকি মোকাবিলায় বাফার স্টক হিসেবে কাজ করবে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য অনুযায়ী, দেশে মাথাপিছু দৈনিক চাল গ্রহণের পরিমাণ ৩২৮ দশমিক ৯ গ্রাম হয়েছে। শহরাঞ্চলে মাথাপিছু চাল গ্রহণের পরিমাণ ২৮৪ দশমিক ৭ গ্রাম, যা জাতীয় গড় থেকে ১৩ দশমিক ৪৪ শতাংশ কম। ১৭ কোটির মানুষের প্রতিদিনের হিসাব ধরে বছরে প্রয়োজন হয় প্রায় ২ কোটি ৬০ লাখ টন চাল। শুধু ভাত হিসেবে এ চাল মানুষ গ্রহণ করে। এর বাইরে বিভিন্ন পোলট্রি ফিড, বীজসহ অন্যান্য প্রয়োজনে চাল ব্যবহার হয় ১ কোটি টন। সবমিলে প্রয়োজন ৩ কোটি ৬০ লাখ টন। কিন্তু গত বছরে উৎপাদন হয়েছে ৪ কোটি ১৩ লাখ টন।   বিআরআরআই -এর কর্মকর্তারা বলেছেন, বিআরআরআই ইতিমধ্যে রাইস ভিশন ২০৫০ প্রণয়ন করেছে, যাতে ২০৩০, ২০৪১ এবং ২০৫০ সালে ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার বিপরীতে চালের উৎপাদন প্রক্ষেপণ করা হয়েছে এবং তা অর্জনে ব্রি স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে। ২০৩০ সালের মধ্যে উৎপাদনশীলতা দ্বিগুণ করার লক্ষ্যে কৌশলপত্র প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করছে। বাংলাদেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির প্রায় দ্বিগুণেরও বেশি হারে আমাদের ধান উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে যা নিশ্চিত করে যে আমরা খাদ্যে উদ্বৃত্ত।          তাহলে এত চাল কোথায় যায়, আমদানি কেন করতে হয় তাহলে প্রশ্ন উঠেছে এরপরও কেন সরকারকে চাল আমদানি করতে হয়। এ বিষয়ে ধান বিজ্ঞানীরা বলছেন, দেশে ১২ লাখ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী রয়েছে। তাদের তথ্য আদমশুমারিতে যুক্ত হয়নি। এরা যে ভাত খায়, সে চাল আমাদের দেশেই উৎপাদিত হয়। আবার চালের একটি অংশ বীজের জন্য রাখতে হয়। নানা কারণে চালের অপচয় হয়। ব্যক্তিগতভাবে অনেক কৃষক নিরাপত্তার জন্য বাড়িতে চাল মজুত করেন, যেটি হিসাবেও নেই। ব্যবসায়ীদের কাছেও মজুত থাকে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চালের হিউম্যান কনজাম্পশন (সরাসরি ভাত) ছাড়াও নন-হিউম্যান কনজাম্পশন (অন্যান্য কাজে) আছে। হিউম্যান কনজাম্পশন হিসাবে উদ্বৃত্ত ঠিকই আছে। তবে নন-হিউম্যান কনজাম্পশনও বাড়ছে। ১৫ থেকে ২০ শতাংশ চাল নন-হিউম্যান কনজাম্পশনে ব্যয় হয়ে যায়। অর্থাৎ মানুষের ভাত গ্রহণ ছাড়াও অন্যান্য কাজে চালের ব্যবহার আছে।কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউটের তথ্য অনুযায়ী, প্রতিনিয়ত গবেষণার মাধ্যমে নতুন নতুন জাত উদ্ভাবন করা হচ্ছে। এ পর্যন্ত ১১৫টি জাত উদ্ভাবন করা হয়েছে। এতে আগের চেয়ে ফলন ও উৎপাদন বাড়ছে। অনাবাদি জমি আবাদের আওতায় আনা হচ্ছে। মো. শাহজাহান কবীর বলেন, মাথাপিছু দৈনিক চাল গ্রহণের হিসাব বিবেচনায় নিলে ১৭ কোটির মানুষের প্রয়োজন হয় প্রায় দুই কোটি ৬০ লাখ টন চাল। শুধু ভাত হিসেবে এ চাল মানুষ গ্রহণ করে। এর বাইরে বিভিন্ন পোলট্রি ফিড, বীজসহ অন্যান্য প্রয়োজনে চাল ব্যবহার হয় এক কোটি টন। কিন্তু গত বছর উৎপাদন হয়েছে চার কোটি ১৩ লাখ টন। ফলে চাল আমদানির প্রয়োজন নেই। তবে কিছু ক্ষেত্রে চাল আমদানি করতে হয় পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে। বিশেষ করে যেকোনো ঝুঁকি মোকাবেলা ও বাজার নিয়ন্ত্রণ করার জন্য সরকার চাল আমদানি করে থাকে।  
২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:৫১

খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির চাল উদ্ধার, গ্রেপ্তার ১
হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাটে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির সরকারি চাউলসহ জুয়েল মিয়া জাবেদ (২৬) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এসময় তার গোডাউন থেকে ২৯ বস্তা সরকারি চাল উদ্ধার করা হয়।  ১৫ এপ্রিল (সোমবার) সন্ধ্যায় চুনারুঘাট থানা পুলিশ শাকির মোহাম্মদপুর মধ্য বাজার থেকে এ চাল উদ্ধার করে। গ্রেপ্তারকৃত জুয়েল মিয়া জাবেদপাইকুড়া গ্রামের মো. লাল মিয়ার ছেলে।  পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার শানখলা ইউনিয়নের শাকির মোহাম্মদপুর মধ্য বাজারে অভিযান করা হয়। এসময় জুয়েল মিয়া জাবেদের মা বাবার দোয়া ভেরাইটিজ স্টোরের চালের গোডাউনে তল্লাশি করা হয়। তল্লাশি কালে ‘শেখ হাসিনার বাংলাদেশ, ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ’ সম্বলিত লেখা খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির পাটের সেলাই করা ২৯ বস্তা সরকারি চাউল উদ্ধার করা হয়। পরে দোকান মালিক জাবেদকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ব্যাপারে মামলা দায়ের করে মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকালে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিল্লোল রায় ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, অবৈধভাবে সরকারি চাল মওজুদ করার অপরাধে নিয়মিত মামলা দায়ের করে আসামিকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।      
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:০০

চাল আমদানির অনুমতি পেল আরও ৫০ প্রতিষ্ঠান
দেশের চালের বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বাড়ানোর পাঁয়তারা করছে চালকল মালিক ও মজুতদাররা। এ পরিস্থিতিতে মূল্য নিয়ন্ত্রণের পদক্ষেপ হিসেবে বেসরকারি পর্যায়ে আরও ৫০টি প্রতিষ্ঠানকে প্রায় ১ লাখ ২৪ হাজার মেট্রিক টন সিদ্ধ ও আতপ চাল আমদানির অনুমতি দিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।   মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বেসরকারিভাবে আরও ৫০ জন আমদানিকারককে ৯১ হাজার মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল ও ৩৩ হাজার মেট্রিক টন আতপ চাল আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। দ্রুত চালের বাজারের সংকট কাটিয়ে উঠতে আমদানি করা এ চাল ১৫ মে এর মধ্যে বাজারজাত করতে হবে।   বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বরাদ্দের অতিরিক্ত আইপি (ইমপোর্ট পারমিট) জারি করতে পারবে প্রতিষ্ঠানগুলো। আমদানি করা চাল স্বত্বাধিকারী প্রতিষ্ঠানের নামে পুনঃপ্যাকেটজাত করতেও নিষেধ করেছে মন্ত্রণালয়। বাইরে থেকে যে বস্তায় চাল আসবে, তাতে করেই বিক্রি করতে হবে।   তাছাড়া আমদানিকৃত চালের পরিমাণ, গুদামজাত ও বাজারজাতকরণের তথ্য জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কাছে দেওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।   এর আগে গত ২১ মার্চ বেসরকারিভাবে ৪৯ হাজার মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল এবং ৩৪ হাজার মেট্রিক টন আতপ চালের আমদানির অনুমতি দিয়েছিল সরকার।
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৪৪

চাল বিক্রিতে নতুন নির্দেশনা, না মানলে শাস্তি
চাল বিক্রিতে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। নির্দেশনা অনুযায়ী, চালের বস্তায় ধানের জাত ও মিলগেটের মূল্য লিখতে হবে। সেই সঙ্গে লিখতে হবে উৎপাদনের তারিখ ও প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের নাম। এমনকি প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের অবস্থান (জেলা ও উপজেলা) উল্লেখসহ থাকবে ওজনের তথ্যও; যা রোববার (১৪ এপ্রিল) পহেলা বৈশাখ থেকে কার্যকর হবে। এর ব্যত্যয় ঘটলে রয়েছে প্রয়োজনীয় শাস্তির ব্যবস্থা।  শনিবার (১৩ এপ্রিল) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। এতে বলা হয়, সম্প্রতি দেশের চাল উৎপাদনকারী কয়েকটি জেলায় পরিদর্শন করে নিশ্চিত হওয়া গেছে বাজারে একই জাতের ধান থেকে উৎপাদিত চাল ভিন্ন ভিন্ন নামে ও দামে বিক্রি হচ্ছে। চালের দাম অযৌক্তিক পর্যায়ে গেলে বা হঠাৎ বৃদ্ধি পেলে মিলার, পাইকারি বিক্রেতা, খুচরা বিক্রেতা একে অপরকে দোষারোপ করছেন। এতে ভোক্তারা ন্যায্যমূল্যে পছন্দমতো জাতের ধানের চাল কিনতে অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন এবং অনেক ক্ষেত্রে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এ অবস্থার উত্তরণের লক্ষ্যে চালের বাজার মূল্য সহনশীল ও যৌক্তিক পর্যায়ে রাখতে ধানের নামেই যাতে চাল বাজারজাতকরণ করা হয় তা নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে এবং এ-সংক্রান্ত কার্যক্রম মনিটরিংয়ের সুবিধার্থে নির্দেশনায় কয়েকটি বিষয় নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।   এর মধ্যে রয়েছে, চালের উৎপাদনকারী মিলমালিকদের গুদাম থেকে বাণিজ্যিক কাজে চাল সরবরাহের প্রাক্কালে চালের বস্তার ওপর উৎপাদনকারী মিলের নাম, জেলা ও উপজেলার নাম, উৎপাদনের তারিখ, মিল গেট মূল্য এবং ধান বা চালের জাত উল্লেখ করতে হবে। বস্তার ওপর এসব তথ্য কালি দিয়ে লিখতে হবে, যা আগামী পহেলা বৈশাখ থেকে কার্যকর হবে।   খাদ্য মন্ত্রণালয় জানায়, চাল উৎপাদনকারী মিল মালিকের সরবরাহ করা সকল প্রকার চালের বস্তা ও প্যাকেটে ওজন উল্লেখ থাকতে হবে। করপোরেট প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেও একই নির্দেশনা প্রতিপালন করতে হবে। এক্ষেত্রে মিলগেট দামের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠান চাইলে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য উল্লেখ করতে পারবে।    এর ব্যত্যয় ঘটলে খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, মজুত, স্থানান্তর, পরিবহন, সরবরাহ, বিতরণ, বিপণন (ক্ষতিকর কার্যক্রম প্রতিরোধ) আইন, ২০২৩-এর ধারা ৬ ও ধারা ৭ মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড অথবা সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার সুযোগ রয়েছে। আর ধারা-৭-এর শাস্তি হিসেবে রয়েছে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড অথবা ১৫ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডের বিধান।
১৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:১০

মোংলায় ডুবে যাওয়া বাল্কহেড থেকে চাল উত্তোলন শুরু
বাগেরহাটের মোংলা পশুর চ্যানেলে ঈদ উপলক্ষে গরিব ও অসহায়দের জন্য আনা ডুবে যাওয়া সরকারি চাল উত্তোলন শুরু হয়েছে।  সোমবার (১ এপ্রিল) সকাল থেকে থেকে ৫০ জন শ্রমিক ও ৭ জন ডুবুরি চাল উত্তোলনের কাজ শুরু করেন।  তবে ডুবে যাওয়া বাল্কহেড জাহাজটি উদ্ধার করতে দুই থেকে তিন দিন সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন মেসার্স আব্দুর রশিদ এন্টারপ্রাইজের প্রতিনিধি মো. আরাফাত। তিনি জানান, ডুবে যাওয়া এমভি সাফিয়া নামের বাল্কহেডটির মাধ্যমে আমরা সরকারি এ চাল মোংলা খাদ্য গুদামে পৌঁছানোর দায়িত্বে ছিলাম। সকাল থেকে আমরা চাল উত্তোলনের কাজ শুরু করেছি। চাল উত্তোলনের পর ডুবে যাওয়া বাল্কহেডটি উদ্ধার করা হবে। রোববার (৩১ মার্চ) দুপুরে মোংলা পশুর নদীর ত্রিমোহনায় এমভি শাহজাদা নামের লাইটার জাহাজের ধাক্কায় ১৭৫ টন (৬ হাজার বস্তা) চাল নিয়ে এমভি সাফিয়া নামের বাল্কহেডটি ডুবে যায়।এসময় বাল্কহেডটিতে থাকা নাবিকসহ ৫ কর্মীকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।   খবর পেয়ে মোরেলগঞ্জ সন্ন্যাসী নৌপুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা ঘষিয়াখালী এলাকা হতে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যাওয়া লাইটারেজ জাহাজটি (এমভি শাহজাদা-৬) আটক করে। এর আগে রোববার সকালে খুলনা মহেশ্বরপাশা সরকারি খাদ্য গুদাম থেকে মোংলা খাদ্য গুদামের ৬ হাজার বস্তা (১৭৫ টন) চাল নিয়ে মোংলার উদ্দেশ্যে রওনা হয় এমভি সাফিয়া।
০১ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:২০

১৯ হাজার কেজি চাল উদ্ধার, আটক ১০
সরকারি চাল কালোবাজারি চক্রের ১০ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে বাড্ডা থানা পুলিশ।  রোববার (৩১ মার্চ) বাড্ডা থানাধীন মেরুল কাঁচাবাজার সংলগ্ন ইখতিয়ারের সেমি পাকা ঘরে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ১৯ হাজার কেজি সরকারি চাল উদ্ধার করা হয়।  পুলিশ বলছে, খাদ্য অধিদপ্তরের লোগো সংযুক্ত বস্তা থেকে খুলে নুরজাহান ব্র্যান্ড নামক কোম্পানির প্লাস্টিকের বস্তায় চাল ভরা হচ্ছিলো। এ সময় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে হাতেনাতে ১০ জনকে আটক করা হয়। আমিনুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি সরকারি চাল কালোবাজারির মাধ্যমে কিনে বস্তা পরিবর্তন করে অন্য লোগো লাগিয়ে বাজারে বিক্রয় করে আসছিলেন।  বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান বিভাগের বাড্ডা জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) রাজন কুমার সাহা।  তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বাড্ডা পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ এসআই নাদিম মাহমুদ জানতে পারেন যে, ঘটনাস্থলে কিছু ব্যক্তি সরকারি চালের বস্তা পরিবর্তন করে ব্যক্তি মালিকানাধীন লোগো যুক্ত বস্তায় চাল ভর্তি করে কালোবাজারির  মাধ্যমে বিক্রির প্রক্রিয়া করছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে অভিযান চালালে যার সত্যতা পাওয়া যায়।   তিনি বলেন, খাদ্য অধিদপ্তরের লোগোওয়ালা বস্তাগুলো খুলে সেখানে থাকা চাল নুরজাহান ব্র্যান্ড নামক কোম্পানির প্লাস্টিকের বস্তায় ঢুকিয়ে বাজারজাতের প্রক্রিয়াকরণ করা হচ্ছে। এ সময় ১৮ হাজার ৯৮০ কেজি সরকারি চাল উদ্ধার করা হয়। যার মধ্যে সরকারি খাদ্য অধিদপ্তরের লোগো যুক্ত ৩০ কেজি ওজনের বস্তার সংখ্যা- ৯৬টি, সরকারি বস্তা পরিবর্তনকৃত নুরজাহান ব্র্যান্ডের বস্তায় ৫০ কেজি ওজনের চালের বস্তার সংখ্যা- ৩০৬টি এবং অভিযান স্থলের ঘরের মেঝেতে খোলা অবস্থায় প্রায় ৮০০ কেজি চাল রয়েছে। এসব ঘটনার হোতা আমিনুল ইসলামের ম্যানেজারসহ সর্বমোট ১০ জনকে আটক করা হয়েছে। পরিচয় যাচাই শেষ তাদের নাম জানানো হবে।
০১ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৩৫

সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে ৮৩ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানির অনুমতি
বাজার সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে এবার বেসরকারিভাবে ৮৩ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার। এর মধ্যে ৪৯ হাজার মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল ও ৩৪ হাজার মেট্রিক টন আতপ চাল আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) এ তথ্য জানিয়েছেন খাদ্য সচিব মো: ইসমাইল হোসেন।  প্রথম পর্যায়ে ৩০টি প্রতিষ্ঠানকে এই আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকেও এমন অনুমোদন দেওয়া হবে। খাদ্য সচিব জানান, দেশে প্রতিদিন চালের চাহিদা এক লাখ মেট্রিক টন। মূলত বাজার সিন্ডিকেটকে নিয়ন্ত্রণের জন্য চাল আমদানির এই কৌশল নেওয়া হয়েছে। ৩০টি প্রতিষ্ঠানকে হঠাৎ করে চাল আমদানির অনুমোদন দেওয়ার কারণ জিজ্ঞাসা করা হলে ইসমাইল হোসেন বলেন, আমনের মৌসুম শেষ এবং বোরো চাষ শুরু হবে। মাঝে এক থেকে দেড় মাসের একটি গ্যাপে চালের দাম বাড়ানোর পাঁয়তারা করতে পারে চালকল মালিক ও মজুতদাররা। তাই আমদানির এই অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এদিকে চাল আমদানির বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. হাবিবুর রহমান হোছাইনী স্বাক্ষরিত একটি বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, অনুমোদন পাওয়া আমদানিকারকদের ২৫ এপ্রিলের মধ্যে চাল দেশে বাজারজাত করতে হবে। আমদানি করা চাল পুনরায় প্যাকেটজাত না করে বিক্রি করতে হবে মূল বস্তাতে করেই।   
২১ মার্চ ২০২৪, ১৪:২৮

রমজানে এবার চাল নিয়ে চালবাজি
রমজান ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বাজার। আগুন লেগেছে সব ধরনের নিত্যপণ্যের দামে। সিন্ডিকেটে লাগাম টানতে গলদঘর্ম সরকার। দফায় দফায় দাম বেঁধে দিয়েও নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না চড়তে থাকা বাজারদর। এরই মধ্যে বাড়তি মুনাফা কামিয়ে নিতে চালবাজিতে মেতে উঠেছে মিলাররা। কারসাজি করে বাড়িয়ে দিয়েছে চালের দাম। যার প্রভাব গিয়ে পড়েছে পাইকারি ও খুচরা বাজারেও। পেটে এক মুঠো ভাত জুটাতে গিয়ে চোখে সরষে ফুল দেখছেন নিম্ন আয়ের মানুষ।  গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে হুট করে গরিবের সব ধরনের চালের দাম বস্তাপ্রতি ১০০-২০০ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছে মিলাররা। ফলে পাইকারি ও খুচরা বাজারেও হু হু করে বাড়ছে দাম। এক কেজি মোটা চাল কিনতেও ৫২-৫৪ টাকা খরচ করতে হচ্ছে এখন। সব ধরনের নিত্যপণ্যের বাড়তি দামের ভীড়ে এবার চালের দামেরও এমন উচ্চলাফে ভোগান্তিতে পড়ে গেছেন স্বল্প আয়ের মানুষ।  শুক্রবার (১৫ মার্চ) নওগাঁ ও দিনাজপুরে মিলপর্যায়ে ৫০ কেজির প্রতি বস্তা মোটা চালের মধ্যে স্বর্ণা জাতের চাল বিক্রি হতে দেখা গেছে ২৪০০ টাকায়। সপ্তাহখানেক আগেও ২২০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে এই চাল। পাশাপাশি প্রতি বস্তা মাঝারি আকারের বিআর-২৮ জাতের চাল বিক্রি হচ্ছে ২৪০০ টাকায়। ৭ দিন আগেও যার দাম ছিল ২৩০০ টাকা। প্রতি বস্তা মিনিকেট চালের দামও ১০০ টাকা বাড়িয়ে বিক্রি করা হচ্ছে ৩২০০ টাকায়।  অটোরাইস মিল মালিক সমিতি সূত্র বলছে, ধান থেকে চাল তৈরিতে ব্যাঘাত হওয়ায় সরবরাহে ঘাটতি দেখা দিয়েছে একটু। এছাড়া সরকার চাল কিনে ভর্তুকি মূল্যে বিক্রি করছে ও সহায়তা কর্মসূচির আওতায় সাধারণ মানুষকে দিচ্ছে। এ কারণে দাম তুলনামূলক বাড়ছে। মিল মালিক সমিতির এই খোঁড়া যুক্তির ব্যাখ্যা খুঁজে পাচ্ছেন না খোদ পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ের চাল ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, যৌক্তিক কোনও কারণ ছাড়াই মিল পর্যায়ে সব ধরনের চালের দাম বাড়ানো হয়েছে। এখন রোজার মাস। এ মাসে মানুষ চাল একটু কম কেনে। বেচাকেনা কম হয়। দামও কম থাকে। কিন্তু এবার উলটো চিত্র। মিলাররা রোজা ঘিরে কারসাজি করছে। বস্তা প্রতি ১০০-২০০ টাকা দাম বাড়িয়ে চাল মিল পর্যায় থেকে বিক্রি করছে। কিনে আনতে বেশি দাম পড়ায় বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের।  রাজধানীর কাওরান বাজারের আল্লাহ দান রাইস এজেন্সির মালিক ও পাইকারি চাল ব্যবসায়ী সিদ্দিকুর রহমান বলেন, কয়েকদিন ধরে মিল পর্যায় থেকে চাল সরবরাহ করা হচ্ছে না। যে পরিমাণ চাল অর্ডার করা হচ্ছে, দিচ্ছে তার কম। এক ধরনের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বাড়াচ্ছে মিল মালিকরা। চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় বাজার খাতুনগঞ্জের এস কে ট্রেডার্সের সত্ত্বাধিকারী শামসুল হক বলেন, মিল মালিকরা আমাদেরকে চাল দিচ্ছে না। আবার দিলেও আগের চেয়ে বাড়িয়ে নিচ্ছে দাম। তাই আমরাও বাজারে দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছি। এভাবে চক্রাকারে চট্টগ্রামে চালের সংকট তৈরি হচ্ছে এবং দাম বেড়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, মিলাররা সব সময় সুযোগের অপেক্ষায় থাকে। যে কোনও অজুহাতে চালের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বাড়ায়। এবারও সেটাই হয়েছে। তাই মূল্য নিয়ন্ত্রণে এখনই পদক্ষেপ নিতে হবে।  এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে বাজার তদারকি সংস্থা জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, চালের দাম কেন বেড়েছে, তা তদারকি করে বের করা হবে। মিল থেকে শুরু করে পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে তদারকি করা হবে। অনিয়ম পেলে সঙ্গে সঙ্গে আইনের আওতায় আনা হবে।
১৬ মার্চ ২০২৪, ১০:১৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়