• ঢাকা মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
logo

ভাঙা পা নিয়ে হাবিপ্রবি কেন্দ্রে পরীক্ষা দিলেন মাহাবুব 

হাবিপ্রবি প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

  ১০ মে ২০২৪, ১৬:৩২
ভাঙা পা নিয়ে হাবিপ্রবি কেন্দ্রে পরীক্ষা দিলেন মাহাবুব 
ছবি : আরটিভি

গুচ্ছের ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি) কেন্দ্রে দুই পা ভাঙা অবস্থায় পরীক্ষা দিয়েছেন এক শিক্ষার্থী।

মো. রিয়াদ মাহাবুব নামের ওই শিক্ষার্থী অসুস্থ অবস্থায় পরীক্ষা দেওয়ার জন্য অটোতে করে আসেন।

এ সময় উপস্থিত রেড ক্রিসেন্ট, বিএনসিসি ও রোভার স্কাউটের সদস্যরা তাকে স্ট্রেচারে করে পরীক্ষা কক্ষে পৌঁছে দেন।

এ বিষয়ে রেড ক্রিসেন্ট দলনেতা আবির চন্দ্র অপু বলেন, আমরা দেখতে পাই অটোতে করে দুই পা ভাঙা এক শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিতে এসেছেন। এরপর অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে আমরা তাকে পরীক্ষার রুমে পৌঁছে দেই। অসুস্থ ওই শিক্ষার্থী আমাদের জানিয়েছেন, ট্রেনের দরজায় বসে থাকা অবস্থায় এক দুর্ঘটনায় তার দুই পা ভেঙে গেছে। এরপর থেকে তিনি তার বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আজকে পরীক্ষা থাকায় অসুস্থ অবস্থায়ও আমাদের ক্যাম্পাসে পরীক্ষা দিতে এসেছেন। আমাদের তরফ থেকে যথাসাধ্য সাহায্য করা হয়েছে।

এ দিকে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী মাহাবুব বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সহযোগিতামূলক আচরণে মুগ্ধতা প্রকাশ করেছেন।

শুক্রবার (১০ মে) সারাদেশে একযোগে গুচ্ছ ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই পরীক্ষার মাধ্যমে শেষ হলো গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা—২০২৪। হাবিপ্রবি কেন্দ্রে উক্ত ইউনিটে মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন ৯৮৬ জন এবং উপস্থিতি হার ৯৩ শতাংশ।

পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম কামরুজ্জামান বলেন, বিগত দুটি ইউনিটের মতো আজকেও সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। হাবিপ্রবি কেন্দ্রের আজকের পরীক্ষায় উপস্থিতির হার ছিল শতকরা প্রায় ৯৩ ভাগ। ‘গুচ্ছ’ পদ্ধতির কারণে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা অবর্ণনীয় দুর্ভোগ থেকে রেহাই পেয়েছেন। এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সকলেই আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করেছেন। পাশাপাশি জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, মেডিকেল কলেজ, ফায়ার সার্ভিসসহ স্থানীয় প্রশাসন আমাদের সার্বিকভাবে সহযোগিতা করেছে।

তিনি বলেন, ভর্তি পরীক্ষার্থী ও তাদের সঙ্গে আগত অভিভাবকদের যেন কোনো প্রকার ভোগান্তি না হয় সেদিকে আমরা গুরুত্ব দিয়েছি। তাপপ্রবাহসহ যেকোনো জরুরি স্বাস্থ্যগত পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রতিটি পরীক্ষায় হাবিপ্রবি মেডিকেল সেন্টার ও অ্যাম্বুলেন্স সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রাখা হয়েছিল এবং প্রতিটি কেন্দ্রে একজন ডাক্তারসহ ফাস্ট এইড মেডিসিনের ব্যবস্থা এবং আগত পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের বিশ্রাম নেওয়ার জন্য প্রতিটি একাডেমিক ভবনের সামনে বসার ও সুপেয় পানির ব্যবস্থাও ছিল। এ ছাড়াও পরীক্ষার্থীদের যাতায়াতের ব্যবস্থা, ওয়াশরুম, অসুস্থ, পঙ্গু, প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন সেবামূলক উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। সামনে ‘গুচ্ছ’ ভর্তি পরীক্ষাকে আরও কত সহজ করা যায় সে বিষয়ে আমরা কাজ করছি।

মন্তব্য করুন

daraz
  • শিক্ষা এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
একাদশে ভর্তি ১৫ থেকে ২৫ জুলাই, ক্লাস শুরু ৩০ জুলাই 
স্বাস্থ্য সহকারী পরীক্ষায় প্রক্সি দিতে এসে ধরা
পলাশে হোম ভিজিটের নামে এইচএসসির ফরম পূরণে অতিরিক্ত অর্থ আদায়
সুধা রানী হাদিসের শিক্ষক পদে: যে ব্যাখ্যা দিলো এনটিআরসিএ
X
Fresh