• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
খুনের ঘটনায় সাবেক ও বর্তমান চেয়ারম্যানসহ আটক ১২
কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রামে একতার মিয়া (৫৫) খুনের ঘটনায় খয়েরপুর-আব্দুল্লাহপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান আনোয়ার খাঁ ও সাবেক চেয়ারম্যান মুক্তার খাঁসহ (দুই চাচাতো ভাই) ১২ জনকে আটক করা হয়েছে। একতার মিয়া উত্তর আব্দুল্লাহপুর (বাইন্না বাড়ি) গ্রামের সামেদ মিয়ার ছেলে। শুক্রবার (৫ এপ্রিল) বিকেলে অষ্টগ্রাম উপজেলার খয়েরপুর-আব্দুল্লাহপুর ইউনিয়নের বর্তমান আনোয়ার খাঁ ও সাবেক চেয়ারম্যান মুক্তার খাঁর গ্রুপের মধ্যে ইতালিতে  ঝগড়া হয়। পরে এ ঝগড়াকে কেন্দ্র করে আব্দুল্লাহপুর গ্রামে দুই পক্ষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ সময় একতার মিয়া (৫৫) নামে একব্যক্তি ঘটনাস্থলে নিহত হন। অষ্টগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বলেন, পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। বর্তমান ও সাবেক এ দুই চেয়ারম্যানসহ ১২ জনকে আটক করা হয়েছে।  তিনি বলেন, এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। অভিযোগ সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
০৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:১৫

চুয়াডাঙ্গায় দম্পতিকে খুনের দায়ে ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় স্বামী-স্ত্রীকে হত্যার দায়ে ৩ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। একই মামলায় একজনকে ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মো. মাসুদ আলী আসামিদের উপস্থিতিতে চাঞ্চল্যকর এই মামলার রায় ঘোষণা করেন। মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন আলমডাঙ্গা উপজেলার আসাননগর গ্রামের বজলুর রহমানের ছেলে সাহাবুল হক (২৬), একই গ্রামের পিন্টু রহমানের ছেলে রাজিব হোসেন (২৭) ও মাসুদ আলীর ছেলে বিদ্যুৎ আলী (২৫)। দুই বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি হলেন একই উপজেলার আসাননগর গ্রামেরতাহাজ উদ্দিনের ছেলে শাকিল হোসেন (২৫)। মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে আলমডাঙ্গা শহরের পুরাতন বাজার এলাকার নজির মিয়া (৭০) ও তার স্ত্রী ফরিদা খাতুনকে (৬০) শ্বাসরোধ করে গলাকেটে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। পরদিন বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে আলমডাঙ্গা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহত দম্পতির মেয়ে ডালিয়ারা পারভীন শিলা। চাঞ্চল্যকর ওই মামলার তদন্তকালে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার করে একই বছর ২৮ সেপ্টেম্বর চারজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তদন্ত শেষে ২০২৩ সালের ৩১ জানুয়ারি আদালতে চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আলমডাঙ্গা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) একরামুল হক। সাতজন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আজ ওই রায় দেন বিচারক।
০২ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৪১

জেলখানার গল্পে বেরিয়ে এলো খুনের রহস্য
দুই বছর আগে নিখোঁজ হয় ছেলে। মা-বাবা ধরেই নিয়েছিলেন তাদের সন্তান হারিয়ে গেছে। অনেকটা ভুলেই গিয়েছিলেন সন্তান হারানোর বেদনা। তবে দুই বছর পর জানতে পারলেন তাদের সন্তানকে খুন করা হয়েছে। পুতে রাখা হয়েছে একটি মাদ্রাসার সেপটিক ট্যাঙ্কের পাশে। আর জেলখানার গল্প থেকে ওই খুনের রহস্য জানতে পেরেছে তারা। শুক্রবার (১ মার্চ) নাটোরের গুরুদাসপুর পৌরসভার খলিফাপাড়া মাফিজুল ইসলামের খুনের কথা জানতে পারে তার পরিবার।  শনিবার (২ মার্চ) সকাল থেকে ঘটনাস্থল ঘিরে রেখেছে পুলিশ। জানা গেছে, ২০২২ সালের ১৭ এপ্রিল থেকে নিখোঁজ ছিলেন পৌরসভার খলিফাপাড়া মাফিজুল ইসলাম। প্রায় দুই বছর পর পরিবারটি জানতে পারে, তাকে খুন করা হয়েছে। পুঁতে রাখা লাশ রয়েছে চাঁচকৈড় পুরানপাড়ার একটি বালিকা মাদ্রাসার সেপটিক ট্যাঙ্কের পাশে। আসামিদের বরাত দিয়ে  র‌্যাব জানিয়েছে, বিস্কুট ফ্যাক্টরিতে চাকরির সময় নিহত মাফিজুল ইসলামের সঙ্গে মাদ্রাসার নৈশপ্রহরীর মেয়ের পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিষয়টি নিয়ে আবু তাহের খলিফার কাছে অভিযোগ করে জামাতা আল হাবিব সরকার। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আবু তাহের কৌশলে মাফিজুলকে ২০২২ সালের ১৭ এপ্রিল তার বাসায় ডেকে নেয়। রাতে তাকে নিজের কর্মস্থল চাঁচকৈড় বালিকা দাখিল মাদ্রাসায় নিয়ে যায়। সেখানে মাফিজুলকে হাত-পা বেঁধে ও মুখে স্কচটেপ দিয়ে হত্যা করে তারা।  হত্যাকাণ্ডের পর লাশ প্লাস্টিকের বস্তায় ভরে মাটিতে পুঁতে রাখে। ছেলে নিখোঁজের ঘটনায় মাফিজুলের মা গুরুদাসপুর থানায় একই বছরের ৭মে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছিলেন। এ হত্যাকাণ্ডের পর দম্পতির পারিবারিক কলহ বেড়ে যায়। এক পর্যায়ে স্বামীর বিরুদ্ধে যৌতুক ও নারী নির্যাতনের মামলা করে মেয়েটি। এ মামলায় জেলহাজতে রয়েছে আল হাবিব। এরপর হাবিব কারাগারে থাকা অবস্থায় গুরুদাসপুরের খলিফাপাড়ার জাকির মুন্সির (৪০) সঙ্গে তার বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি তাকে জানায় সে। জাকির জামিনে মুক্তি পেয়ে মাফিজুলের পরিবারকে ঘটনাটি খুলে বলে। পরে পুলিশকে জানান পরিবারের সদস্যরা। পুলিশ বিষয়টি আমলে নিয়ে অভিযুক্ত মেয়ে ও তার বাবা আবু তাহেরকে আটক করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা পুলিশের কাছে স্বীকার করে তারা। এ ঘটনায় র‌্যাব গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি ও ছায়াতদন্ত শুরু করে। র‌্যাব-৫ নাটোর ক্যাম্পের সদস্যরা আসামি আশরাফুলকে শনিবার সিরাগঞ্জের গোলচত্বর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। গুরুদাসপুর থানার ওসি উজ্জ্বল হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, লাশ উত্তোলনের জন্য আদালতের অনুমতির অপেক্ষায় রয়েছেন। এ ঘটনায় মাদ্রাসার নৈশপ্রহরী আবু তাহের খলিফা (৫৫), তার মেয়ে (২৮), মেয়ের স্বামী আল হাবিব সরকার (৩৫) ও স্বজন আশরাফুল ইসলামকে (৪২) গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে শুক্রবার রাতে নিহত মাফিজুলের মা মাইনুর বেগম বাদী হয়ে গুরুদাসপুর থানায় হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় গ্রেপ্তার চারজনসহ আরও তিন থেকে চারজনকে সন্দেহভাজন আসামি করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের শাস্তি দাবি করেছেন নিহত মাফিজুলের মা মাইনুর বেগম।  শনিবার (২ মার্চ) আদালতের অনুমতি না মেলায় মরদেহ উত্তোলন করতে পারেনি পুলিশ। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মাজাহারুল ইসলাম বলেন, রোববার মরদেহ উত্তোলন করা হবে।  
০৩ মার্চ ২০২৪, ০৯:৩১

নড়াইলে খুনের বিচার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন
নড়াইলে ক্ষেতমজুর ইসরাফিল মোল্যার খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে কালিয়া উপজেলার চাঁচুড়ি এলাকাবাসী ও নিহতের স্বজনরা চাঁচুড়ি বাজারে এই কর্মসূচি পালন করে। কর্মসূচিতে যোগ দিতে এ দিন নিহতের নিজ গ্রাম কৃষ্ণপুর, চাঁচুড়িসহ আশপাশের কয়েক গ্রামের নারীপুরুষ নির্বিশেষে নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসী চাঁচুড়ি বাজারে সমবেত হয়। পরে সবার অংশ গ্রহনে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলকারিরা শ্লোগানে শ্লোগানে, খুনিদের ফাঁসির দাবি তোলে। মিছিলটি চাঁচুড়ি বাজার ঘুরে চাঁচুড়ি ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়। সবাই সেখানে সড়কে হাতেহাত ধরে সামিল হন মানববন্ধনে। সর্বস্তরের গ্রামবাসীর অংশ গ্রহণে ঘন্টাব্যাপি মানববন্ধনে বক্তারা, নিরিহ ক্ষেতমজুর ইসরাফিল মোল্যার খুনের সাথে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারসহ দৃষ্টান্তমূলক বিচার নিশ্চিতের দাবি জানান। বক্তরা এ সময় আরো বলেন, হত্যারকান্ডে জড়িতরা বাদীকে নানাভাবে মামলা তুলে নিতে ও সাক্ষী না দিতে হুমকি দিচ্ছে। এ বিষয়ে প্রশাসনের কাছে তারা নিরাপত্তা চেয়েছেন। প্রসঙ্গত, এলাকার দুই পক্ষের মধ্য বিরোধ পূর্ণ একটি মাছের ঘেরে শ্রম বিক্রি করতে গেলে প্রতিপক্ষের রোষানলে পড়ে  ৪ ফেব্রুয়ারি হত্যাকান্ডের শিকার হন ক্ষেতমজুর ইসরাফিল মোল্যা। এ হত্যাকান্ডে নিহতের স্ত্রী রোজিনা বেগম বাদি হয়ে ২১ জনের নামে কালিয়া থানায় হত্যা মালা দায়ের করেন। এদের মধ্যে দুই আসামিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে, ৬ জন উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়েছে, অন্যরা পলাতক রেয়েছে।
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০২:৩০

গত বছরের ২৫ খুনের সঙ্গে কিশোর গ্যাং জড়িত : চুন্নু
জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, ২০২৩ সালে ২৫টি খুনের সঙ্গে কিশোর গ্যাং জড়িত ছিল। কিশোর গ্যাং বেশি মিরপুর, ডেমরা ও সূত্রাপুরে। তারা ছিনতাই, চাঁদাবাজি, মাদক কারবার, জমি দখলে ভাড়া খাটা, উত্যক্ত করা এবং খুনে সম্পৃক্ত হচ্ছে।  মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে কিশোর গ্যাং নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন তুলে ধরে তিনি এসব কথা বলেন। মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, পুলিশের নিজস্ব প্রতিবেদন সূত্রে ঢাকায় অন্তত ৮০টি বাহিনীর খোঁজ পাওয়া গেছে, যেগুলোর বেশির ভাগ ‘কিশোর গ্যাং’ নামে পরিচিত। নামে কিশোর গ্যাং হলেও এসব বাহিনীর বেশির ভাগ সদস্যের বয়স ১৮ বছরের বেশি। তারাই এসব অপরাধ করছে। তিনি বলেন, এসব বাহিনী এক দিনে গড়ে ওঠেনি। রাজনীতিবিদদের প্রশ্রয় ও পুলিশের নিষ্ক্রিয়তায় এসব বাহিনী এখন ভয়ংকর রূপ নিয়েছে। রাজধানীতে, বড় শহরে মানুষের নিরাপদ বসবাসের ক্ষেত্রে বড় হুমকি হয়ে উঠেছে এসব বাহিনী। ঢাকায় ২১ জন কাউন্সিলরের নাম এসেছে, যাদের আশ্রয়ে কিশোর গ্যাং গড়ে উঠেছে। তবে তাদের নামগুলো বলছি না, যেহেতু তাদের ডিফাইন করার সুযোগ নেই। তিনি আরও বলেন, এসব বাহিনীর কারণে ঢাকা শহরে সাধারণ মানুষের বসবাস করা কঠিন হয়ে পড়েছে। তারা চাঁদাবাজি ও লুটপাট করছে, মানুষকে কষ্ট দিচ্ছে। পুলিশ ও ক্ষমতাসীন দলের রাজনৈতিক ব্যক্তিদের এবং কমিশনারদের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে তারা অপকর্মগুলো করছে। নতুনভাবে সরকার গঠন করা হয়েছে। ঢাকা শহরের মানুষকে শান্তিতে বসবাসের সুযোগ করে দেওয়ার ক্ষেত্রে তাদের ধরপাকড়ের মাধ্যমে আইনের আশ্রয়ে আনতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:৫৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়