• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
‘নারীদের এগিয়ে নিতে কার্যকর পরিকল্পনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারীদের এগিয়ে নিতে কার্যকর পরিকল্পনা করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।  শনিবার (২০ এপ্রিল) রাজধানী ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অপরাজিতা নেটওয়ার্কের উদ্যোগে আয়োজিত ‌‘জাতীয় অপরাজিতা সম্মেলন’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। স্পিকার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারীদের এগিয়ে নিতে কার্যকর আইনগত মডেল ও পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে নারীদের প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে যেন ডিজিটাল সুযোগ প্রাপ্তিতে কোনো ধরনের বৈষম্য তৈরি না হয়। তিনি বলেন, দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠী নারী। এ দেশে নারী ভোটারের সংখ্যাও বেশি। নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে যা ইতিবাচক প্রভাব রাখতে পারে। তিনি আরও বলেন, অপরাজিতা নেটওয়ার্ক ৯ হাজার নারীর একটি সমন্বিত প্ল্যাটফর্ম। এক সঙ্গে কাজ করে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ, সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি ও ঐক্য বজায় রেখে এই নেটওয়ার্ককে এগিয়ে যেতে হবে। বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দিয়ে এই নেটওয়ার্ক নারীদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে কাজ করছে- যা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। অনুষ্ঠানে বাগেরহাট জেলা মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান ও বাগেরহাট জেলা অপরাজিতা নেটওয়ার্কের সভাপতি শরীফা খানমের সভাপতিত্বে খান ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক অ্যাডভোকেট রোকসানা খন্দকারের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য দেন দিনাজপুর জেলা অপরাজিতা নেটওয়ার্কের সদস্য জেসমিন আক্তার রিভা এবং হেলভেটাস বাংলাদেশের প্রকল্প পরিচালক প্রশান্ত ত্রিপুরা। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আসাদুজ্জামান নূর, আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী, আরমা দত্ত, নাছিমা জামান ববি এবং সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত রেটো রেঙ্গলি।  অনুষ্ঠানে ঝালকাঠির উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও বরিশাল বিভাগীয় অপরাজিতা নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক  ইসরাত জাহান সোনালী সবার প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
২০ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:০৮

যুক্তরাষ্ট্রে কার্যকর হচ্ছে গর্ভপাত নিষেধাজ্ঞা
যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনায় কার্যকর হতে যাচ্ছে ১৯ শতকের গর্ভপাত নিষেধাজ্ঞা৷ ১৮৬৪ সালের এক আইনে গর্ভপাতে সহায়তা করা চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ রয়েছে৷ মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) অ্যারিজোনা রাজ্যের সুপ্রিম কোর্ট এক রায়ে জানিয়েছে, রাজ্যটি গর্ভপাত নিষিদ্ধ করার জন্য ১৮৬৪ সালের এই আইন পুনরায় কার্যকর করতে পারে৷ আইনটি কার্যকর হলে গর্ভপাতে সহায়তাকারী চিকিৎসকদের বিচারের মুখোমুখি করার আশঙ্কা বেড়ে যাবে৷ অ্যারিজোনার ১৮৬৪ সালের গর্ভপাত নিষেধাজ্ঞা অ্যারিজোনা রাজ্যের বিদ্যমান আইন অনুসারে ধর্ষণ অথবা অনিচ্ছাকৃত ঘটনায়ও গর্ভপাত করা নিষেধ৷ শুধুমাত্র মায়ের জীবনের আশঙ্কা থাকলে গর্ভপাতের অনুমতি দেয়া হবে৷ আইনটিতে গর্ভপাতের ক্ষেত্রে সহায়তা করার জন্য দুই থেকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে৷ গর্ভাবস্থার প্রথম ১৫ সপ্তাহে গর্ভপাত করার জন্য চিকিৎসকদের অভিযুক্ত করা যাবে না বলে ২০২২ সালের একটি আবেদন পর্যালোচনা করেছে রাজ্যটির সুপ্রিম কোর্ট৷ ২০২২ সালের জুনে কেন্দ্রীয় সুপ্রিম কোর্টের ১৯৭৩ সালে দেয়া রো ভি ওয়েডের গর্ভপাতের সাংবিধানিক অধিকারের নিশ্চয়তার সিদ্ধান্তকে বাতিল করে দেয়ার পর থেকেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অনেক রাজ্য পুরানো গর্ভপাত নিষেধাজ্ঞা আইন কার্যকর করতে শুরু করেছে৷ বর্তমানে ১৪টি রাজ্য কিছু ব্যতিক্রম পরিস্থিতি ছাড়া, গর্ভাবস্থার সকল পর্যায়ে গর্ভপাতের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করছে৷ নিষেধাজ্ঞার প্রতি বাইডেন ও ডেমোক্রেটদের নিন্দা প্রকাশ প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এক বিবৃতিতে গর্ভপাত নিষেধাজ্ঞার নিন্দা করেছেন৷ তিনি বলেন, লাখ লাখ অ্যারিজোনাবাসী শীঘ্রই আরও কট্টর ও বিপজ্জনক গর্ভপাত নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হবে৷ যে আইন নারীদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি অথবা ধর্ষণ এর মতো মর্মান্তিক পরিস্থিতিতেও তাদের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ হবে৷ তিনি আরও বলেন, ভাইস প্রেসিডেন্ট হ্যারিস ও আমি সেই সংখ্যাগরিষ্ঠ আমেরিকানদের পাশে আছি৷ যারা একজন নারীর পছন্দের অধিকারকে সমর্থন করে৷ আমরা প্রজনন অধিকার রক্ষার জন্য লড়াই চালিয়ে যাবো ও রো ভি ওয়েডের সিদ্ধান্ত পুনরুদ্ধার করার জন্য কংগ্রেসের প্রতি আহ্বান জানাবো৷ নভেম্বরে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে মুখোমুখি হওয়ার আগে বাইডেন তার নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসেবে গর্ভপাত ইস্যুকে গুরুত্ব দিচ্ছেন৷  অ্যারিজোনার অ্যাটর্নি জেনারেল সুপ্রিম কোর্টের রায়ের সমালোচনা করে বলেন, অ্যারিজোনা যখন একটি রাজ্য ছিল না, যখন এখানে গৃহযুদ্ধ চলছিল ও নারীরা ভোটও দিতে পারতো না, সে সময়কার একটি আইনকে নতুন করে আরোপ করার আজকের এই সিদ্ধান্ত আমাদের রাজ্যের ইতিহাসে একটি কলঙ্ক হিসেবে অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে৷
১২ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:২৪

ডিজেল ও কেরোসিনের নতুন দাম কার্যকর
ডিজেল ও কেরোসিনের নতুন দাম কার্যকর হয়েছে। দুই টাকা ২৫ পয়সা কমে প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিন মিলছে ১০৬ টাকায়। সোমবার (১ এপ্রিল) রাজধানীর বিভিন্ন ফুয়েল স্টেশন ঘুরে এই দামে ডিজেল ও কেরোসিন বিক্রি করতে দেখা যায়। এদিকে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম কমায় বাস ও পণ্য পরিবহনের ভাড়া কমানোর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। সংগঠনটি বলছে, ইতোমধ্যে দুই দফা জ্বালানি তেলের দাম কমানো হয়েছে। অথচ, বাস ও পণ্যবাহী পরিবহনের ভাড়া কমানোর কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। তাই অবিলম্বে জ্বালানি তেলের মূল্য কমানোর হিস্যা অনুযায়ী বাস, লঞ্চ ও পণ্য পরিবহনের ভাড়া কমানোর দাবি জানানো হয়। তবে চালকরা দাবি করছেন, তারা আগে থেকেই ভাড়া কম নিচ্ছেন। তাই ভাড়া কমালে তাদের লোকসান গুনতে হবে। বাস ভাড়া পুনর্নির্ধারণে সোমবার দুপুর ১২টায় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) সদর দপ্তরে সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন বিআরটিএ চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার। এর আগে, রোববার দুপুরে আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে মিল রেখে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম দুই টাকা ২৫ পয়সা কমিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিন বিক্রি হবে ১০৬ টাকায়। তবে অকটেন ও পেট্রোলের দাম আগের দামেই যথাক্রমে ১২৬ টাকা ও ১২২ টাকায় বিক্রি হবে।
০১ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৫৪

‘স্লিপ ডিভোর্স’ দাম্পত্য জীবনে কার্যকর কি না, জানালেন মনোবিদরা
বেঁচে থাকার জন্য খাওয়া এবং নিশ্বাস নেওয়ার মত ঘুম আমাদের জীবনে অতীব গুরুত্বপূর্ণ। তবে নানা কারণে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। এই ব্যাঘাত যেন না ঘটে সেজন্য অনেক দম্পতি বিয়ের পর আলাদা ঘুমান। এটাই ‘স্লিপ ডিভোর্স’। কিন্তু কেন জরুরি এই ঘুম-বিচ্ছেদ, এর ফলে কী কোনো উপকার আছে কি না জেনে নেওয়া যাক।   ঘুমের ‘মান’ বাড়ায়: জাপানিদের দেখা যায় ছোট ছোট বিছানায় ঘুমায়। বলা চলে একা ঘুমানো তাদের ঐতিহ্য। ঐতিহাসিক আর সাংস্কৃতিকভাবেই জাপানিরা সাধারণত একা ঘুমান। কোনো কিছুর জন্যই তারা ঘুমের মান বিসর্জন দিতে প্রস্তুত নন। কেননা সুস্বাস্থ্যের জন্য ঘুম খুবই জরুরি। কাস্টমাইজড স্পেস: একেকজনের ঘুমের অভ্যাস একেক রকম। কেউ আলো জ্বালিয়ে ঘুমান, কেউ আলো মোটেই সহ্য করতে পারে না। কেউ এসি ছেড়ে ঠান্ডায় কম্বল গায়ে দিয়ে ঘুমায়, কারও কারও আবার এসি ‘সহ্য’ হয় না। কারও কারও ঘুম খুবই পাতলা। ফলে নিজের মতো করে ঘুমের একটা পরিবেশ তৈরি করেন। সন্তানের জন্য: শিশুর জন্য অন্তত দুই বছর পর্যন্ত মায়ের কাছে ঘুমানো খুবই জরুরি। বুকের দুধ খাওয়ার পাশাপাশি মায়ের কোল, মায়ের পাশে ঘুমানো, মায়ের ‘ওম’-এ থাকা খুবই জরুরি। নানা কারণে বারবার বাবু ঘুম থেকে উঠে যাওয়ায় জীবনসঙ্গীর ঘুমের অসুবিধার কারণেও অনেক সময় স্লিপ ডিভোর্স হয়। জীবনসঙ্গী আলাদা ঘুমান। তবে নতুন মায়ের এমন সংকটের সময় শিশুর বাবার উচিত দায়িত্ব যতটা সম্ভব ভাগাভাগি করে নেওয়া। ন্যাপি, কাঁথা বদলে দেয়া। কোলে নিয়ে ঘুরে ঘুরে ঘুম পাড়ানো। তবে একেবারেই যদি তিনি কোনো সাহায্য না করতে পারেন, তাহলে আলাদা ঘুমানোই সমীচীন। সার্বিক সুস্থতা, স্বস্তি : অনেক সময় স্বামী-স্ত্রী আলাদা ঘুমানোর ফলে তাদের ঘুম ভালো হওয়া, নিজেদের স্বাস্থ্য ভালো থাকা, সারা দিন এনার্জি নিয়ে পার করা থেকে শুরু করে নিজেদের সম্পর্কে ভারসাম্য রাখাও সহজ হয়। তবে দাম্পত্ব জীবন সুখী করতে হলে জীবনসঙ্গীকে নিয়ে একসঙ্গে আরামে ঘুমানো সবচেয়ে ভালো। সম্পর্কের গভীরতার জন্য শারীরিকভাবে কাছাকাছি থাকার কোনো বিকল্প নেই। ঘুমবিশেষজ্ঞ ও মনোবিদ ডা. ওয়েন্ডি ট্রক্সেল একই বিষয়ে সিএনএনের একটা প্রতিবেদনে বলেন, ‘জীবনসঙ্গীর সঙ্গে ঘুমানো দুজনকেই সম্পর্কে গভীর নিরাপত্তার অনুভূতি দেয়। এ ছাড়া ঘুমের আগে আলিঙ্গন করা, যৌন সম্পর্ক বা হালকা গল্প করা, চুমু খাওয়া-এসবের ফলে হ্যাপি হরমোনের নিঃসরণ হয়। আর তা অনেকক্ষণ পর্যন্ত শরীরে থাকে। ফলে ঘুমের মানও ভালো হয়।’ এই মনোবিদ আরও জানিয়েছেন, আলাদা ঘুমানোর ফলে সম্পর্কে ছন্দপতন ঘটে। ভুল-বোঝাবুঝির আশঙ্কা তৈরি হয় বেশি। এমনকি একে অপরকে অকারণে সন্দেহ করার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয় সহজেই। তাই কী কারণে আলাদা ঘুমানোর প্রয়োজন, সেটা আগে সমাধানের পরামর্শ দিয়েছেন এই চিকিৎসক। আলাদা ঘুমানোটা এরপরের ধাপের বিকল্প।
২৩ মার্চ ২০২৪, ১৪:০০

বেঁধে দেওয়া পণ্যের দাম ৭ দিনেও কার্যকর হয়নি (ভিডিও)
লাগামহীন নিত্যপণ্যের বাজারে স্বস্তির খবর নেই। সরকারের বেঁধে দেওয়া নিত্যপণ্যের দাম সপ্তম দিনেও কার্যকর হয়নি। বাজার নিয়ন্ত্রণে অভিযান, জরিমানা ও দাম নির্ধারণ কোনো কিছুই যেন কাজে আসছে না। প্রতিদিনই বাড়ছে কোনো না কোনো পণ্যের দাম। বাজারে নতুন করে চাল, মুরগি ও পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। একদিনের ব্যবধানে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়ে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭৫ থেকে ৮০ টাকায়। কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৩০ টাকায়। হঠাৎ করেই বস্তাপ্রতি ১৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে চালের দাম। রমজানের এই সময়ে চালের চাহিদা কম থাকলেও বেড়েছে চালের দাম।  সাড়ে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে গরুর মাংস। খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি এক হাজার ১০০ টাকায়। মাছের বাজারও ঊর্ধ্বমুখী। ভরা মৌসুমে দাম বেশি থাকলেও মওসুমে শেষে নিম্নমুখী সবজির দর। তবে লেবু, বেগুণ ও শসা বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হলেও তাতে পাত্তা দিচ্ছে না বিক্রেতারা।  এমন বাস্তবতায় নিম্ন ও মধ্যবিত্তের সংসার চালানোই দায়। তারা জানান, ১০ টাকা আয় করে ২০ টাকা খরচ হচ্ছে। আগে লেবুর হালি ২৫ টাকা থাকলেও এখন একটা লেবুর দামই ২৫ টাকা। মানুষ জিম্মি হয়ে গেছে।
২৩ মার্চ ২০২৪, ০৬:৫৯

সয়াবিন তেলের নতুন দাম কার্যকর
প্রতি লিটারে ১০ টাকা কমিয়ে বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ১৬৩ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেলের দাম ১৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা বিষয়ক টাস্কফোর্স। ঘোষিত সময়ের তিন দিন পর রোববার (৩ মার্চ) থেকে সয়াবিন তেলের নতুন দাম কার্যকর করলো সরকার।  এর আগে সাধারণ ক্রেতারা বলেছেন, কোনো পণ্যের শুল্ক বা বিশ্ববাজারে দাম বাড়লে রাতারাতি সেটার প্রভাব পড়ে দেশের বাজারে। কিন্তু কমার সময় চলে টালবাহানা। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বসে আলোচনা করে ১ মার্চ থেকে সয়াবিন তেলের দাম ১০ টাকা কমানোর ঘোষণা দেওয়া হলেও সেটি এখনও কার্যকর হয়নি।  এক বিক্রেতা বলেন, সরকার ঘোষণা দিয়েছে ১ তারিখ থেকে সয়াবিন তেলের নতুন দর কার্যকর হবে। কিন্তু কোম্পানি বলছে, ৩ থেকে ৪ দিন লাগবে তেল আসতে।  গত শনিবার (২ মার্চ) সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক কনফারেন্স সেন্টারে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, আগামীকাল (রোববার) থেকে সরকার নির্ধারিত ১৬৩ টাকা লিটার দামে ভোজ্য তেল পাওয়া যাবে। ইতোমধ্যে মিলগুলোতে তেলের মূল্য তদারকিতে মন্ত্রণালয়ের টিম যাচ্ছে। এছাড়া রমজান মাসকে সামনে রেখে নিত্যপণ্যের দাম ভোক্তার নাগালে রাখতে বাজার মনিটরিং অব্যাহত থাকবে বলে যোগ করেন। এ সময় চলতি সপ্তাহে ভারত থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির কথাও জানান বাণিজ্যমন্ত্রী। এর আগে গত ২০ ফেব্রুয়ারি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনাবিষয়ক টাস্কফোর্সের সভায় সয়াবিন তেলের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত হয়। নতুন দাম অনুযায়ী, বোতলজাত প্রতি লিটারে দাম ১৬৩ এবং পাঁচ লিটারের দাম ৮০০ টাকা হওয়ার কথা। আর খোলা প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম হওয়ার কথা ১৪৯ টাকা। সেদিন সভায় জানানো হয়েছিল, নতুন দাম কার্যকর হবে ১ মার্চ থেকে। গত ২৯ জানুয়ারি মন্ত্রিসভার বৈঠকে চার নিত্যপণ্যের শুল্ক কমানোর নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসব পণ্য হলো চাল, ভোজ্যতেল, চিনি ও খেজুর। এরপর জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) শুল্ক কমানোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়।  
০৩ মার্চ ২০২৪, ১২:২৩

সয়াবিন তেলের নতুন দাম কার্যকর ১ মার্চ 
ভোক্তা সাধারণ আগামীকাল ১ মার্চ থেকে নতুন দামে সয়াবিন তেল কিনতে পারবেন। আন্তর্জাতিক বাজারদরের সঙ্গে সমন্বয় করে দেশের খুচরা বাজারে সয়াবিন তেলের এ নতুন দাম নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন। সংস্থাটির নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নুরুল ইসলাম মোল্লা স্বাক্ষরিত একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, আগামীকাল ১ মার্চ থেকে বোতলজাত ১ লিটার তেল ভোক্তা সাধারণ পাবেন ১৬৩ টাকায়। আর ৫ লিটার বোতলজাত তেল খুচরা পর্যায়ে মিলবে ৮০০ টাকায়। তাছাড়া কাল থেকে ১৪৯ টাকায় ১ লিটার খোলা সয়াবিন তেল কিনতে পারবেন ভোক্তারা। এর আগে গত ২০ ফেব্রুয়ারি বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছিলেন, আগামীতে প্রতি মাসেই সমন্বয় হবে সয়াবিন তেলের দাম। মার্চের পর এপ্রিল থেকে প্রতি মাসের ১৫ তারিখে তেলের দর সমন্বয় করা হবে।  
২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:১৪

ফের বাড়ছে বিদ্যুতের দাম, কার্যকর যেদিন থেকে 
রমজানের আগেই বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, মার্চের প্রথম সপ্তাহ থেকেই বিদ্যুতের দাম ইউনিট প্রতি সর্বোচ্চ ৭৫ পয়সা এবং সর্বনিম্ন ৩৪ পয়সা কার্যকর হবে। দাম বাড়ানোর গেজেট আজই (মঙ্গলবার) জারি হতে পারে। নসরুল হামিদ বলেন, ভর্তুকি তুলে নেওয়ার অংশ হিসেবে আগামী ৩ বছর বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করা হবে। এ ছাড়া গ্যাসের দাম বাড়ছে জানিয়ে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী বলেন, তবে সেটি বাসাবাড়ির গ্রাহক ও শিল্প পর্যায়ে নয়। শুধুমাত্র যে গ্যাস ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয় সেই গ্যাসের দাম বাড়তে পারে। এর আগে, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি একটি বেসরকারি গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নসরুল হামিদ বলেন, আগামী ১ মার্চ থেকে গড়ে ৭ শতাংশ হারে বিদ্যুতের দাম বাড়বে। তিনি আরও বলেছিলেন, আমি কিন্তু বারবার একটা কথা বলে আসছি, আমরা দাম বাড়াচ্ছি না। আমরা সমন্বয় করছি। পাইকারি পর্যায়েও বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করা হবে। তবে ভোক্তাদের ওপর যাতে খুব বেশি প্রভাব না পড়ে, সেভাবেই বাড়ানো হবে দাম। প্রসঙ্গত, বর্তমান সরকারের ১৫ বছরের মেয়াদে গ্রাহক পর্যায়ে এ পর্যন্ত ১৩ বার বাড়ানো হয়েছে বিদ্যুতের দাম। এ ছাড়া পাইকারি পর্যায়ে বাড়ানো হয়েছে ১২ বার। গত বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম পাঁচ শতাংশ হারে বাড়ানো হয়, যা ওই বছরের মার্চ থেকে কার্যকর হয়।
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:৫১

৭ শতাংশ হারে বাড়ছে বিদ্যুতের দাম, যেদিন থেকে কার্যকর
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানিয়েছেন, আগামী ১ মার্চ থেকে গড়ে ৭ শতাংশ হারে দাম বাড়বে।  রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) এক বেসরকারি গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাতকারে তিনি একথা বলেন। এ বিষয়ে বিদ্যুৎ বিভাগ শিগগিরই প্রজ্ঞাপন জারি করবে বলে জানান তিনি।  এবারের বিদ্যুতের দাম বাড়ানোকে মূল্যবৃদ্ধি না বলে ডলারের মূল্যের সঙ্গে সমন্বয় হিসেবে উল্লেখ করেছেন নসরুল হামিদ বলেন, ডলারের সঙ্গে টাকার যে ডিফারেন্স হয়ে গেছে, এতে আমাদের প্রাইসিংয়ের ক্ষেত্রে একটা বড় পরিমাণ ডিফারেন্স হয়ে গেছে। বিশেষ করে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দামে।  তিনি বলেন, আমি কিন্তু বারবার একটা কথা বলে আসছি, আমরা দাম বাড়াচ্ছি না। আমরা সমন্বয় করছি। পাইকারি পর্যায়েও বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করা হবে। তবে ভোক্তাদের ওপর যাতে খুব বেশি প্রভাব না পড়ে, সেভাবেই বাড়ানো হবে দাম।  জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী বলেন, তিনটি স্তরে বিদ্যুতের দাম নির্ধারণ হবে। যেখানে মাসে ২০০ ইউনিটের কম ব্যবহার করলে ইউনিট প্রতি ৩০ পয়সা, ৬০০ ইউনিটের বেশি ব্যবহারকারীদের ইউনিট প্রতি ৭০ থেকে ৮০ পয়সা বাড়বে। জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত প্রতি মাসে ভোক্তা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম ৫ শতাংশ করে বাড়ানো হয়। আগামী ৩ বছর ভর্তুকির চাপ সামলাতে বিদ্যুতের দাম এভাবে সমন্বয় করা হবে। প্রসঙ্গত, বর্তমান সরকারের ১৫ বছরের মেয়াদে গ্রাহক পর্যায়ে এ পর্যন্ত ১৩ বার বাড়ানো হয়েছে বিদ্যুতের দাম। এছাড়া পাইকারি পর্যায়ে বাড়ানো হয়েছে ১২ বার। গত বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম পাঁচ শতাংশ হারে বাড়ানো হয়, যা ওই বছরের মার্চ থেকে কার্যকর হয়। 
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০১:৪৩

নাইট্রোজেন গ্যাস দিয়ে প্রথম মৃত্যুদণ্ড কার্যকর
মাত্র এক হাজার ডলারের বিনিময়ে নারীকে হত্যায় নাইট্রোজেন গ্যাস প্রয়োগের মাধ্যমে এক ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বিশ্বে প্রথমবারের মতো কোনো ব্যক্তির এ পদ্ধতিতে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হলো। শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বিবিসি। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) এই পদ্ধতিতে মৃত্যুদণ্ডটি কার্যকর করা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বের প্রথম ব্যক্তি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের আলাবামা অঙ্গরাজ্যের হত্যা মামলার দোষী সাব্যস্ত আসামি কেনেথ ইউজিন স্মিথকে নাইট্রোজেন গ্যাস প্রয়োগ করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। নাইট্রোজেন গ্যাসের মাধ্যমে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর আটকাতে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট এবং নিম্ন আপিল আদালতে আপিল করেন কেনেথ স্মিথের আইনজীবীরা, কিন্তু তা খারিজ হয়ে যায়। খারিজের পর কেনেথের আইনজীবীরা বলেছিলেন,  নাইট্রোজেন গ্যাস প্রয়োগে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের বিষয়টি নিষ্ঠুরতা এবং অস্বাভাবিক শাস্তির সমান। মাস্কের মাধ্যমে তাকে যখন নাইট্রোজেন গ্যাস শুষে নিতে বলা হবে, স্মিথ নিজের বমির গন্ধেই দমবন্ধ হয়ে মারা যাবে। এদিকে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পদ্ধতিটি নিয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার সংগঠনও দণ্ড কার্যকর স্থগিত করার দাবি জানায়। তবে দেশটির শীর্ষ আদালত মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট তা খারিজ করে দিয়ে বৃহস্পতিবার কেনেথ স্মিথের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে। প্রসঙ্গত, ১৯৮৮ সালে স্মিথ এবং তার সঙ্গী মাত্র এক হাজার ডলারের বিনিময়ে এক নারীকে হত্যা করেন। ১৯৮৯ সালে তাদের দুজনকে এ হত্যা মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
২৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:২২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়