• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
রোহিঙ্গাদের কারণে কক্সবাজারে দীর্ঘস্থায়ী খাদ্যনিরাপত্তাহীনতা: এফএসআইএন
মিয়ানমারের সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী পালিয়ে আশ্রয় নেওয়ার কারণে নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশ বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলা ২০১৭ সাল থেকে একটি বড় খাদ্য সংকট হিসেবে জিআরএফসি প্রতিবেদনে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। গত বছর জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোর পাশাপাশি জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী এবং কক্সবাজারের স্থানীয় মানুষের মধ্যে প্রায় ৩০ শতাংশ খাদ্য সহায়তা বাড়ানো হয়েছে।   বৈশ্বিক খাদ্যসংকট নিয়ে ফুড সিকিউরিটি ইনফরমেশন নেটওয়ার্কের (এফএসআইএন) প্রকাশিত প্রতিবেদন ২০২৪-এ বলা হয়েছে, গত বছর বাংলাদেশে নিষ্ফলা মৌসুমে প্রায় ১ কোটি ১৯ লাখ মানুষতীব্র খাদ্যনিরাপত্তাহীনতার উচ্চমাত্রার সম্মুখীন হয়ে থাকতে পারে, যার ৬৫ শতাংশ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীও ।  সংস্থাটির মতে, এসব মানুষের তীব্র খাদ্যনিরাপত্তাহীনতায় বিশেষভাবে প্রভাব রেখেছে প্রতিকূল আবহাওয়া, বৈশ্বিক যুদ্ধ-সংঘাত ও উচ্চমাত্রায় দেশের অভ্যন্তরীণ খাদ্য মূল্যস্ফীতি। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) এবং বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচিসহ ১৬টি আন্তর্জাতিক সংস্থা এ নেটওয়ার্কের সদস্য। এটির অর্থায়নে রয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বিশ্বজুড়েই গত বছর খাদ্যনিরাপত্তাহীনতা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়। ওই বছর ২৮ কোটি ২০ লাখের মতো মানুষ সংঘাত, বিশেষ করে গাজা ও সুদানে লড়াই চলার কারণে তীব্র ক্ষুধার সম্মুখীন হয়। বাংলাদেশের খাদ্যনিরাপত্তাহীনতা পরিস্থিতি সম্পর্কে প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২২ সালে রেকর্ড খাদ্যশস্য উৎপাদন ও ২০২৩ সালে খাদ্যের সহজলভ্যতার উন্নতি হলেও বাংলাদেশে অর্থনৈতিক ধাক্কায় খাদ্যপণ্যের দাম বাড়তিই রয়েছে। ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে দেশে খাদ্য মূল্যস্ফীতি পৌঁছায় ৭ দশমিক ৮ শতাংশে। অক্টোবরের শেষ নাগাদ তা এসে দাঁড়ায় ১২ দশমিক ৬ শতাংশে। রাশিয়া ও ইউক্রেন থেকে জ্বালানি, গমের মতো অত্যাবশ্যকীয় খাদ্যশস্য, সার ও গবাদিপশুর খাবার আমদানিতে বাংলাদেশের নির্ভরশীলতা মূল্যস্ফীতিতে ভূমিকা রাখে। রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে এসব পণ্যের আমদানি ব্যাহত হয়েছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয় টাকার ব্যাপক অবমূল্যায়ন ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাওয়া। ফলে একদিকে খাদ্যশস্যের আমদানি কমার পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ খাদ্যশস্যের উৎপাদন খরচ বাড়ে।   প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, অব্যাহত উচ্চ খাদ্য মূল্যস্ফীতি ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর খাদ্যসুবিধা মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত করেছে। এসব মানুষের আয় ক্রমেই কমেছে ও তাঁদের খাদ্যপণ্য কেনার খরচ বেড়েছে।   ২০২২ সালে ৭০ লাখের বেশি মানুষ অস্বাভাবিক মৌসুমি বন্যার শিকার হন এবং প্রধানত উত্তর-পূর্বাঞ্চলে গৃহহীন হন ২০ লাখের বেশি মানুষ। এতে তাঁদের সম্পদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এ কারণে ২০২৩ সালের অর্থনৈতিক ধাক্কা মোকাবিলা করার সক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়ে তাঁদের। আগস্টে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে ভারী মৌসুমি বৃষ্টিতে আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধস সৃষ্টি হয়। এর শিকার হন ১৩ লাখ মানুষ।   ক্ষতিগ্রস্ত এসব মানুষের মধ্যে ছয় লাখের খাবার, সুপেয় পানি, ওষুধ ও বিদ্যুতের মতো মৌলিক সেবার বিশেষ প্রয়োজন দেখা দেয়। একই সময় রাজশাহীতে প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ দেখা দেয় এবং দেশে ঘূর্ণিঝড় ও ভূমিধসের মতো ঘটনা ঘটে। মৌসুমভিত্তিক কর্মসংস্থানের প্রভাব এবং খাদ্যসুবিধা ও প্রাপ্যতার ওপর পুনঃপুন বিপর্যয় মানুষের মধ্যে বড় ধরনের পুষ্টির ফারাক তৈরি করেছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।  প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৩ সালে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য দুটি রেশন কাটছাঁট খাদ্য গ্রহণের উপর ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলেছিল। রেশন কাটছাঁটের কারণে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত মাত্র ৩০ শতাংশ রোহিঙ্গা শরণার্থী পরিবারের গ্রহণযোগ্য খাদ্য গ্রহণের স্কোর ছিল, যা ২০২২ সালে ছিল ৫৬ শতাংশ।  ২০২২ ও ২০২৩ সালে মিয়ানমারে দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতের কারণে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মিয়ানমারে ফেরার কোনো প্রত্যাশিত সম্ভাবনা নেই। বাইরে কাজ করার সুযোগ সুযোগ, আয়, জমি এবং পানীয় জলের উৎসগুলোর ওপর চাপের কারণে রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং স্থানীয় সম্প্রদায়ের সদস্যদের মধ্যে উত্তেজনা আরও বাড়ছে। 
২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:২৩

কক্সবাজারে ঈদ স্পেশাল ট্রেন লাইনচ্যুত
কক্সবাজার ডুলাহাজারা স্টেশনে কক্সবাজারগামী ঈদ স্পেশাল ট্রেনের ইঞ্জিনসহ দুটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। এতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।  বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে ঈদগাঁও ডুলাহাজারা স্টেশনে এ ঘটনা ঘটে।  ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার আইকনিক রেল স্টেশন মাস্টার গোলাম রাব্বানী।  তিনি বলেন, চট্টগ্রাম থেকে সকাল ৭টায় কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া ঈদ স্পেশাল ট্রেনটি ডুলাহাজারা স্টেশনে প্রবেশের সময় ইঞ্জিন লাইনচ্যুত হয়। এতে ইঞ্জিন ও দুটি বগি লাইনচ্যুত হয়।  তিনি আরও বলেন, ইঞ্জিনসহ দুটি বগি লাইনচ্যুতির ঘটনায় হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। উদ্ধার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। চট্টগ্রামে উদ্ধারকারী ট্রেনকে খবর দেওয়া হয়েছে। উদ্ধারকারী ট্রেনটি ঘটনাস্থলে পৌঁছে মেরামতের কাজ শেষ করলেই ওই রুটে রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হবে বলে জানান স্টেশন মাস্টার মো. গোলাম রব্বানী।
২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৫০

ঈদের ছুটিতে কক্সবাজারে পর্যটকের ঢল, নিরাপত্তা জোরদার
ঈদের টানা ছুটিতে কক্সবাজারে পর্যটকের ঢল নেমেছে। সমুদ্র সৈকতের কলাতলী, সুগন্ধা ও লাবণী পয়েন্টে সকাল থেকে পর্যটকের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে। পর্যটকরা সৈকতের কিটকটে বসে, ওয়াটার বাইক, বিচ বাইক ও ঘোড়ায় চড়ে মনের আনন্দে ঘুরছেন। জেলার ইনানী, পাটুয়ারটেক, মহেশখালী, রামুর বৌদ্ধ মন্দিরসহ অন্যান্য স্পটেও পর্যটকদের পদচারণা লক্ষ্য করা গেছে। পর্যটকদের নিরাপত্তা দিচ্ছে ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিয়ন। এ ছাড়া জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে মোবাইল টিম টহল জোরদার করেছেন। ইতোমধ্যে কক্সবাজারের আবাসিক হোটেলগুলোর ৮০ থেকে ১০০ ভাগ কক্ষ বুকিং হয়ে গেছে।  এ বিষয়ে কলাতলী আবাসিক হোটেল ও রিসোর্ট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুকিম খান জানান, আগামী সোমবার পর্যন্ত পর্যটকদের পর্যটকদের চাপ থাকবে।  রমজান মাসের পর পর্যটন ব্যবসায় ফের চাঙ্গাভাব ফিরে এসেছে বলে মনে করছেন তিনি। এদিকে শুক্রবার সকাল থেকে দেখা গেছে, তীব্র গরমের মাঝেও সমুদ্রের নীলজলরাশি অস্বস্তি ভুলিয়ে দিয়েছে পর্যটকদের। এর আগে বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখর ছিল পর্যটন নগরী কক্সবাজার। ফলে হাসি ফুটেছে হোটেল-মোটেল ব্যবসায়ীদের মুখে। পর্যটন ব্যবসায়ীরা বলছেন, পুরো রমজান মাসজুড়ে প্রায় পর্যটকশূন্য ছিল কক্সবাজার। ঈদের আগমনে দর্শনার্থীদের সেই খরা কেটেছে। ঈদের দিনই পর্যটন নগরীতে ঢল নেমেছে পর্যটকদের। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সকাল থেকেই সমুদ্র সৈকতের কলাতলী, সুগন্ধা ও লাবণী পয়েন্টে পর্যটকরা আসতে শুরু করে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সমুদ্র সৈকতে তিল ধারনের ঠাঁই ছিল না। বিভিন্ন বয়সের মানুষ সাগরের লোনাজলে গোসল করতে নামে। কেউ সৈকতে ঘোড়ায় চড়ে সমুদ্র দর্শন করছেন। কেউ আবার ওয়াটার বাইক ও বিচ বাইকে সৈকত দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। সকাল থেকেই কলাতলী থেকে লাবণী পয়েন্ট পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার সমুদ্র সৈকতে লক্ষাধিক দর্শনার্থী নামেন বলে জানিয়েছেন সৈকতে দায়িত্বরত কর্মীরা। সৈকতে দায়িত্বরত এক বিচকর্মী বলেন, স্থানীয়দের পাশাপাশি আজ সকাল থেকে পর্যটকরা কক্সবাজারমুখী হয়েছেন। শুধু ঈদের দিনেই অন্তত ৪০ হাজার পর্যটক সৈকতে নেমেছেন বলে আমরা ধারণা করছি। শুক্রবারে এ সংখ্যা দ্বিগুণেরও বেশি হয়েছে। এ বিষয়ে কক্সবাজার রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মোহাম্মদ আলী বলেন, সৈকত ভ্রমণে আসা পর্যটকদের কাছ থেকে খাবারের অতিরিক্ত মূল্য আদায় হলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমরা তৎপর রয়েছি। খাবার টেবিলে মূল্যতালিকা রাখার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। পর্যটকরা তালিকা দেখেই খাবারের চাহিদা জানাতে পারবেন। জেলা প্রশাসক শাহীন ইমরান বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে হোটেলের কক্ষ ভাড়ার তালিকা টাঙানোর নির্দেশ অনেক আগেই দেওয়া আছে। অতিরিক্ত ভাড়া যেন কেউ আদায় করতে না পারে সে ব্যাপারে জেলা প্রশাসনের পৃথক কয়েকটি ভ্রাম্যমাণ আদালত কাজ করছেন। হোটেলে কক্ষ ভাড়ার বিপরীতে অতিরিক্ত টাকা আদায় করলে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান জেলা প্রশাসক।
১২ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:২২

কক্সবাজারে পর্যটকের ঢল, তিলধারণের ঠাঁই নেই
সমুদ্র সৈকতের টানে কক্সবাজার পর্যটকের ঢল নেমেছে। তীব্র গরমের মাঝেও সমুদ্রের নীলজলরাশি অস্বস্তি ভুলিয়ে দিয়েছে তাদের।  বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখর ছিল পর্যটন নগরী কক্সবাজার। ফলে হাসি ফুটেছে হোটেল-মোটেল ব্যবসায়ীদের মুখে। পর্যটন ব্যবসায়ীরা বলছেন, পুরো রমজান মাসজুড়ে প্রায় পর্যটকশূন্য ছিল কক্সবাজার। ঈদের আগমনে দর্শনার্থীদের সেই খরা কেটেছে। ঈদের দিনই পর্যটন নগরীতে ঢল নেমেছে পর্যটকদের।  সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সকাল থেকেই সমুদ্রসৈকতের কলাতলী, সুগন্ধা ও লাবণি পয়েন্টে পর্যটকরা আসতে শুরু করেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভিড় চরম আকার ধারণ করে। বিভিন্ন বয়সের মানুষ সাগরের নোনাজলে গোসল করতে নেমেছেন। কেউ সৈকতে ঘোড়ায় চড়ে সমুদ্র দর্শন করছেন। কেউ আবার ওয়াটার বাইক ও বিচ বাইকে সৈকত দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। সকাল থেকেই কলাতলী থেকে লাবনী পয়েন্ট পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার সমুদ্রসৈকতে অন্তত ৪০ হাজার দর্শনার্থী নামেন বলে জানিয়েছেন সৈকতে দায়িত্বরত কর্মীরা। সৈকতে দায়িত্বরত এক বিচকর্মী বলেন, স্থানীয়দের পাশাপাশি আজ সকাল থেকে পর্যটকরা কক্সবাজারমুখী হয়েছেন। শুধু ঈদের দিনেই অন্তত ৪০ হাজার পর্যটক সৈকতে নেমেছেন বলে আমরা ধারণা করছি। শুক্রবার থেকে এ সংখ্যা দ্বিগুণ হতে পারে।  এ বিষয়ে কক্সবাজার রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মোহাম্মদ আলী বলেন, সৈকত ভ্রমণে আসা পর্যটকদের কাছ থেকে খাবারের অতিরিক্ত মূল্য আদায় হলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমরা তৎপর রয়েছি। খাবার টেবিলে মূল্যতালিকা রাখার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। পর্যটকরা তালিকা দেখেই খাবারের চাহিদা জানাতে পারবেন। এ প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসক শাহীন ইমরান বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে হোটেলের কক্ষ ভাড়ার তালিকা টাঙানোর নির্দেশ অনেক আগেই দেওয়া আছে। অতিরিক্ত ভাড়া যেন কেউ আদায় করতে না পারে সে ব্যাপারে জেলা প্রশাসনের পৃথক কয়েকটি ভ্রাম্যমাণ আদালত কাজ করছেন।  হোটেলে কক্ষ ভাড়ার বিপরীতে অতিরিক্ত টাকা আদায় করলে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান জেলা প্রশাসক।
১১ এপ্রিল ২০২৪, ২১:২৪

কক্সবাজারে তালাশ টিমের ওপর হামলায় ক্র্যাবের নিন্দা 
পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে হামলার শিকার হয়েছেন ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার নাজমুল সাঈদ ও সিনিয়র চিত্র সাংবাদিক কাজী মোহাম্মদ ইসমাইলসহ স্থানীয় টিভির সাংবাদিক বোরহান উদ্দিন রাব্বানী। রোববার (১০ মার্চ) সন্ধ্যায় কক্সবাজারের রাজভীর রিসোর্টে সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে তাদের ওপর হামলা করেন রিসোর্টের মালিক নোমানুল হক সাজিমসহ তাদের বাহিনী। এ ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব)। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) ক্র্যাবের দপ্তর সম্পাদক কামাল হোসেন তালুকদারের স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ প্রতিবাদ জানানো হয়। সংগঠনটির সভাপতি কামরুজ্জামান খান ও সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। বিবৃতিতে বলা হয়, কক্সবাজারের পর্যটক এলাকায় হাত বাড়ালেই মাদক পাওয়া যায় তার একটি বাস্তব দৃশ্য ধারণ করার জন্য নাজমুল সাঈদ ও তার টিম তালাশ কক্সবাজারের রাজভীর রিসোর্টে অনুসন্ধানে যায়। সংবাদ সংগ্রহের স্বার্থে নগদ টাকা দিয়ে রুম বুক করেন। ইয়াবা বিক্রি ও অসামাজিক কার্যাকলাপ গোপন ক্যামেরায় ধারণও করেন। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, পরে তালাশ টিমের পরিচয় দিয়ে সংশ্লিষ্ট রিসোর্ট মালিকের বক্তব্য নিতে গেলে উত্তেজিত হয়ে পড়েন মালিক নোমানুল হক সাজিম। একপর্যায়ে হামলা ও ক্যামেরা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চালান। এ সময় সাজিম বাহিনীর সদস্যরা তালাশ টিমকে চারদিক থেকে ঘিরে রাখে। ঘটনার একপর্যায়ে টিম তালাশকে ভুয়া প্রমাণ করার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠেন সাজিম বাহিনী। তার মাসোহারাভুক্ত ভুয়া সাংবাদিকদের দিয়ে শুরু করেন অপপ্রচার। বাগবিতণ্ডার একটি খণ্ডিত অংশ দিয়ে তার অপকর্ম ঢাকার মিশনে নেমে পড়েন সাজিম বাহিনী। ইয়াবা ব্যবসায়ী সাজিমের মদদপুষ্ট স্থানীয় একটি পত্রিকাসহ বেশ কিছু ভুঁইফোড় অনলাইনে মিথ্যা খবর প্রকাশ করতে থাকে একেরপর এক। অথচ পুরো ঘটনা উল্টো। তালাশ টিমের ওপর হামলার ঘটনায় কক্সবাজার সদর থানায় তালাশ টিমের পক্ষ থেকে সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে কক্সবাজার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাইছার হামিদ জানান, কক্সবাজারে তালাশ টিমের ওপর হামলার বিষয়ে আপাতত কোনো তথ্য দিতে পারছি না। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তালাশ টিমের পক্ষ থেকে একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। ইতোমধ্যে বিষয়টি তদন্ত করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছি। তদন্ত শেষ হলে বিস্তারিত জানাতে পারব। উল্লেখ্য, রিসোর্ট মালিক সাজিম ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে ইয়াবা ব্যবসা ছিনতাই, চুরি, দখলসহ নানা অপরাধে ১৮টিরও বেশি মামলা রয়েছে। সাজিম এর আগেও বিভিন্ন অপরাধের কারণে গণমাধ্যমের শিরোনাম হয়েছেন। কক্সবাজারের চিহ্নিত অপরাধীর তালিকায় রয়েছে তার নাম।
১৪ মার্চ ২০২৪, ২১:১৭

কক্সবাজারে অ্যান্টি-এয়ারক্রাফট গান সিস্টেমের ফায়ারিং অনুষ্ঠিত
দেশে প্রথমবারের মতো ১২ কিলোমিটার রেঞ্জ ক্ষমতাসম্পন্ন ৩৫ মিলিমিটার টুইন ব্যারেল অ্যান্টি-এয়ারক্রাফট গান সিস্টেমের ফায়ারিং অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো কক্সবাজারে। এ গান সিস্টেম ৪ কিলোমিটার দূরত্বে নিখুঁতভাবে স্থল ও আকাশ লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। সোমবার (১১ মার্চ) দুপুরে কক্সবাজারে অবস্থিত এডি ফায়ারিং রেঞ্জে এ ফায়ারিং অনুষ্ঠিত হয়।  এতে প্রধান অতিথি হিসেবে ফায়ারিং কার্যক্রম পরিদর্শন করেন সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ। জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন বলেন, জাতির পিতার অসমাপ্ত স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকনির্দেশনায় প্রণীত ফোর্সেস গোল-২০৩০ এর আলোকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়ন একটি যুগোপযোগী পদক্ষেপ। এরই ধারাবাহিকতায় আজ প্রথমবারের মতো ১২ কিলোমিটার রেঞ্জ ক্ষমতাসম্পন্ন ৩৫ মিলিমিটার টুইন ব্যারেল অ্যান্টি-এয়ারক্রাফট গান সিস্টেমের ফায়ারিং অনুষ্ঠিত হলো। যা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইতিহাসে একটি স্মরণীয় ঘটনা। এ গান সিস্টেম চার কিলোমিটার দূরত্বে নিখুঁতভাবে স্থল ও আকাশ লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সেনাপ্রধানের সঙ্গে সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ, অ্যাডজুট্যান্ট জেনারেল, সামরিক সচিব, চিফ কনসালট্যান্ট জেনারেল, অ্যাডহক কনস্ট্রাকশন সুপারভিশন কনসালট্যান্ট, জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) ১০ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার কক্সবাজার এরিয়াসহ সেনাসদর এবং কক্সবাজার এরিয়ার ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তারা।
১১ মার্চ ২০২৪, ১৬:৩৮

কক্সবাজারে ট্রাক-অটোরিকশার সংঘর্ষ, নিহত ১
কক্সবাজার সদর উপজেলার খুরুশকুল এলাকায় লবণবোঝাই ট্রাক ও অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে মনির আহমদ (৬৫) নামে একজন নিহত হয়েছেন। সোমবার (৪ মার্চ) কক্সবাজার সদর উপজেলার খুরুশকুল-চৌফলদন্ডী সড়কের বায়ু-বিদ্যুৎ প্রকল্প-সংলগ্ন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।  এ সময় অটোরিকশার চালক ও এক যাত্রী আহত হয়েছেন। পরে স্থানীয়রা ধাওয়া করে ওই ট্রাকচালককে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেন। নিহত ব্যক্তি ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের উত্তর খান ঘোনা এলাকার মৃত আবু শামার ছেলে।  তবে আহত অটোরিকশাচালক ও যাত্রীর তাৎক্ষণিক পরিচয় শনাক্ত করতে পারেননি বলে জানান পুলিশ। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার সদর থানার ওসি মো. রকিবুজ্জামান। ওসি রকিবুজ্জামান বলেন, সোমবার সন্ধ্যায় কক্সবাজার সদর উপজেলার খুরুশকুলের বায়ু-বিদ্যুৎ-সংলগ্ন এলাকায় চৌফলদন্ডীমুখী অটোরিকশার সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা লবণবোঝাই ট্রাকের সংঘর্ষ হয়। এতে অটোরিকশাটি দুমড়েমুচড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই একজন নিহত ও দুজন আহত হন। এ সময় ট্রাকচালক পালিয়ে যেতে চাইলে স্থানীয়রা ধাওয়া করে ধরে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন। আহতদের উদ্ধার করে  কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। ওসি বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দুর্ঘটনাকবলিত ট্রাক ও অটোরিকশা জব্দ করেছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
০৫ মার্চ ২০২৪, ০৮:২২

কক্সবাজারে ৪ প্রার্থীর ভোট বর্জন 
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজারের চারটি সংসদীয় আসনে এমপি জাফর আলমসহ ৪ জন প্রার্থী ভোট বর্জন করেছেন। কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য জাফর আলম নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লাইভে এসে তিনি ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন। রোববার (৭ জানুয়ারি) দুপুর ২টা ৫৫ মিনিটে ফেসবুকে দেওয়া স্ট্যাটাসে ভোট বর্জনের পাশাপাশি কেন্দ্র দখল করে নেওয়ার অভিযোগ করেন জাফর আলম।  ফেসবুক পোস্টে বলা হয়, ‘বিজিবি ও গোয়েন্দা সংস্থার নেতৃত্বে অধিকাংশ কেন্দ্র দখল করে ভোট ডাকাতি এবং আমার এজেন্টদের মারধর করে কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়ার প্রতিবাদে আমি ভোট বর্জন করলাম। চকরিয়া-পেকুয়া আসনে ভোটের মাঠে মূল প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন জাফর আলম ও আওয়ামী লীগের সমর্থন পাওয়া কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম। এরমধ্যে জাফর আলম ভোট বর্জন করায় পথ খুলে গেল ইবরাহিমের। এর আগে ২০১৮ সালে একাদশ সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে নির্বাচিত হন জাফর আলম। এবার তিনি নৌকার মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। এই আসনে নৌকা পান কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সালাহ উদ্দিন আহমেদ। ঋণখেলাপির দায়ে তার মনোনয়ন বাতিল হয়। এরপর স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা কল্যাণ পার্টির পক্ষে কাজ করেন। নির্বাচন কার্যালয়ের তথ্য বলছে, চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলা নিয়ে গঠিত কক্সবাজার ১ আসনের বর্তমান ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৮৬ হাজার ২৫২ জন। যেখানে চকরিয়া উপজেলায় ৩ লাখ ৫৩ হাজার ২৫২ জন এবং পেকুয়া উপজেলায় ১ লাখ ৩৩ হাজার ভোটার রয়েছে। এই ২ উপজেলায় ভোট গ্রহণের ১৫৮ টি কেন্দ্র।  এ আসনের অন্য প্রার্থীরা হলেন বাংলাদেশের ওয়ার্কাস পার্টির আবু মোহাম্মদ বশিরুল আলম (হাতুড়ী), জাতীয় পার্টির হোসনে আরা (লাঙ্গল), বাংলাদেশ ইসলামিক ফ্রন্টের মোহাম্মদ বেলাল উদ্দিন (মোমবাতি), স্বতন্ত্র প্রার্থী জাফর আলমের ছেলে ও স্বতন্ত্র প্রার্থী তানভীর আহমেদ সিদ্দিকী তুহিন (ঈগল) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুদ্দিন আরমান (কলারছড়ি)। কক্সবাজার-৪ আসনে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোট বর্জন করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী নুরুল বশর। রোববার ভোট চলাকালে বিকেল ৩টার দিকে তিনি এই ঘোষনা দেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি নুরুল বশর অভিযোগ করেন, কেন্দ্র দখল ভোট ডাকাতি, জালভোট, এজেন্ট বের করে দেওয়া ও নজিরবিহীন অনিয়ম  প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ পাতিত্ব করে আমার নিশ্চিত বিজয় ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে।  তাই আমি এই ভোট বর্জন করলাম। বিষয়টি নির্বাচনে দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের জানানো পরও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এই বিষয়ে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আদনান চৌধুরী জানান, বিষয়টি আমিও শুনেছি। এটা তার ব্যক্তিগত অভিযোগ। নির্বাচন অবাধ নিরপেক্ষ ও সুষ্টুভাবে চলছে। টেকনাফের বিভিন্ন ইউনিয়নে সরেজমিন পরিদর্শনকালে সাবরাং ইউনিয়নে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, তার স্ত্রী ও আত্মীয় স্বজন ও অনুসারীদের প্রভাব বিস্তার করতে দেখা গেছে। এই আসনে প্রার্থী হয়েছেন, শাহীন আক্তার (নৌকা), স্বতন্ত্র প্রার্থী নুরুল বশর (ঈগল), জাতীয় পার্টি (জাপা) প্রার্থী- নুরুল আমিন সিকদার ভূট্টো (লাঙ্গল), ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি) প্রার্থী ফরিদ আলম (আম), তৃণমূল বিএনপি প্রার্থী মুজিবুল হক মুজিব (সোনালী আঁশ),ক ইসলামী ঐক্য জোট প্রার্থী মোহাম্মদ ওসমান গণি (মিনার), বাংলাদেশ কংগ্রেস প্রার্থী মোহাম্মদ ইসমাঈল (ডাব)। এই আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৩লাখ ২৬ হাজার। কেন্দ্র সংখ্যা- ১০৪টি। কক্সবাজার ৪ আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী লাঙ্গল প্রতীকের নুরুল আমিন সিকদার ভূট্টো ভোট বর্জন করেছেন। আজ রবিববার (৭ জানুয়ারি) দুপুর ১ টায় এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন প্রার্থী নিজেই। জাতীয় পার্টির প্রার্থী নাঙ্গল প্রতীকের নুরুল আমিন সিকদার ভূট্টো বলেন, সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়। কিন্তু যেসব কেন্দ্রে আমি ভোট পাব সেসব কেন্দ্র থেকে আমার এজেন্টদের বের করে দেয়া হয়েছে। বিশেষ করে, উখিয়ার জালিয়াপালং, রত্মপালং ও রাজাপালং ইউনিয়ন থেকে আমার সব এজেন্টকে বের করে দেয়া হয়। বিষয়টি নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জানানো পরও কোনো ব্যবস্থা না নেয়া হয়নি। একই সঙ্গে ব্যাপক অনিয়ম, জাল ভোট প্রদান, কেন্দ্র দখল করা হয়েছে। তাই ভোট বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে কোন প্রার্থীর পক্ষে এমন ঘটনা তা তিনি নিশ্চিত করেননি। কক্সবাজার-৪ উখিয়া-টেকনাফ আসনের প্রার্থীরা হলেন, আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য শাহীন আক্তার (নৌকা), স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামীলীগ নেতা মো. নুরুল বশর (ঈগল), জাতীয় পার্টির নুরুল আমিন ভুট্টো (লাঙ্গল), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) ফরিদুল আলম (আম), তৃণমূল বিএনপির মুজিবুল হক মুজিব (সোনালী আঁশ), ইসলামী ঐক্যজোটের মোহাম্মদ ওসমান গনি চৌধুরী (মিনার), বাংলাদেশ কংগ্রেসের মোহাম্মদ ইসমাইল (ডাব)। এই আসনে মোট ভোটার সংখ্যা মোট ভোটার ৩২৬,৯৭১ জন, পুরুষ ভোটার ১৬৭,১৪০ জন ও নারী ভোটার ১৫৯,৮২৯ জন। আর মোট কেন্দ্র ১০৪টি। ভোট বর্জন করেছেন কক্সবাজার-৩ আসনের (সদর-রামু-ঈদগাঁও) স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যারিস্টার মিজান সাঈদ। তিনি ওই আসন থেকে ঈগল প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। রোববার (৭ জানুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন। তিনি অভিযোগ করে বলেন, তার নির্বাচনি এলাকার নৌকা মনোনীত প্রার্থী সাইমুম সরওয়ার কমল তার নেতাকর্মীদেরকে দিয়ে প্রতিটি কেন্দ্রে জাল ভোট দিচ্ছেন। এমনকি প্রতিটি কেন্দ্রে ঈগল প্রতীকের এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে। সেজন্য তিনি ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন। বিশেষ করে রামু উপজেলায় একটা পোস্টার তো দুরের কথা এজেন্ট পর্যন্ত দিতে দেয়নি। তিনি জানান, সুষ্ঠু ও উৎসবমূখর নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও প্রতিটি কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি একবারেই নগন্য। যাকে প্রহসনের নির্বাচন বলা চলে। নৌকার প্রার্থীর কমলের কর্মী-সমর্থকরা তার কর্মীদেরকে ভোট কেন্দ্রে যেতে বাধা দিচ্ছেন এবং ভয়ভীতি প্রদর্শন করছেন।  তিনি এ বিষয়ে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তাকে মৌখিকভাবে অবহিত করেও কোনো সাড়া পাননি। যার জন্য তিনি ভোট বর্জনের সিদ্ধান্ত নেন। তিনি আরও বলেন, কেউ কথা রাখেনি। প্রশাসনসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট্ সবাই ভোট সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে বলে আশ্বাস দিয়ে ভোটে নামিয়েছিলেন। কিন্তু তার সম্পূর্ণ উল্টো এটা তো ভোট হতে পারে না। তাই ভোট স্থগিত করে পুন:র্নিবাচনের দাবীও জানাচ্ছি। সেই সাথে তার সমস্ত কর্মী-সমর্থকদের মাঠ থেকে চলে আসার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।  কক্সবাজারের জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহিন ইমরান জানিয়েছেন, কক্সবাজার -১ চকরিয়া-পেকুয়া আসনে এ পর্যন্ত কেউ লিখিত ও মৌখিকভাবে জানাননি। ওই আসনে ভোট বর্জনের তথ্য জানা নেই।  কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. মাহাফুজুল ইসলাম জানান, জেলার কোথাও কেন্দ্র দখলের তথ্য পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি। 
০৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮:০৫

কক্সবাজারে জাতীয় পার্টির প্রার্থীর ভোট বর্জন
নির্বাচনে কারচুপি, এজেন্ট বের করে দেওয়া ও বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ এনে কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী নুরুল আমিন সিকদার ভুট্টো ভোট বর্জন করেছেন। রোববার (৭ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে তিনি ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন। নুরুল আমিন সিকদার ভুট্টো বলেন, কেন্দ্র থেকে এজেন্ট বের করে দেওয়া হয়েছে। অনেক কেন্দ্রে এজেন্ট ঢুকতে দেওয়া হয়নি। ক্ষমতাসীন দলের লোকজন সকাল থেকে কেন্দ্রে অবস্থান করে জাল ভোট দিয়েছেন অবাধে। তিনি আরও বলেন, আমি সকাল থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৩৫টি কেন্দ্র পরিদর্শন করেছি। অধিকাংশ কেন্দ্র থেকে আমার এজেন্ট বের করে দেওয়া হয়েছে। অনেক কেন্দ্রে এজেন্ট ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এসব বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে অভিযোগ করে কোনো প্রতিকার না পাওয়ায় নির্বাচন বর্জন করেছি। ইসির দেওয়া তথ্যমতে, নির্বাচন ঘিরে সারাদেশে পাঁচ লাখ ১৬ হাজার আনসার, এক লাখ ৮২ হাজার ৯১ পুলিশ, ৪৬ হাজার ৮৭৬ বিজিবি, দুই হাজার ৩৫০ কোস্টগার্ড এবং ৭০০ এর বেশি র‌্যাব টহলে থাকবে। তাদের সঙ্গে ভোটের মাঠে থাকবে সশস্ত্র বাহিনী। এ ছাড়া আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সদস্যরাও মাঠে থাকবে। প্রতিকেন্দ্রে থাকবেন ১৫ থেকে ১৭ জন নিরাপত্তা সদস্য। এবার নির্বাচনে মোট ভোটার ১১ কোটি ৯৭ লাখ। এর মধ্যে ৬ কোটি ৭ লাখ ৭১ হাজার ৫৭৯ জন পুরুষ, ৫ কোটি ৮৯ লাখ ১৯ হাজার ২০২ জন নারী এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটারের সংখ্যা ৮৫২। মোট ভোটকেন্দ্র ৪২ হাজার ১০৩টি। ভোটকক্ষ ২ লাখ ৬১ হাজার ৯১২টি। ভোট হচ্ছে ব্যালট পেপারে। এবারের নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ভোট হবে ২৯৯ আসনে। স্বতন্ত্র প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে নওগাঁ-২ আসনের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়। নির্বাচনে ২৮টি দল অংশগ্রহণ করেছে। এর মধ্যে দলীয় প্রার্থী ১ হাজার ৫৩৪ জন এবং স্বতন্ত্র ৪৩৬ জন। নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি ২৬৬ জন প্রার্থী দিয়েছে আওয়ামী লীগ। এ ছাড়া দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৬৫ জন প্রার্থী দিয়েছে জাতীয় পার্টি এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ ১৩৫ জন প্রার্থী রয়েছেন ‘সোনালী আঁশ’ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে আসা তৃণমূল বিএনপি। এদিকে বিএনপিসহ ৬০টি দল নির্বাচন বর্জন করেছে। দলটি সরকার পতনের এক দফা দাবিতে দীর্ঘদিন আন্দোলন করে সফলতা না পেয়ে নির্বাচনের দুই মাস আগ থেকে হরতাল-অবরোধের পথ বেছে নেয়। এতে সরকারকে চাপে ফেলতে না পেরে ভোট বর্জনের আহ্বান জানিয়ে গত ২০ ডিসেম্বর ‘অসহযোগ আন্দোলনের’ ডাক দেয় দলটি। পাশাপাশি সরকারকে সকল প্রকার কর, খাজনা, পানি, গ্যাস এবং বিদ্যুৎ বিল দেওয়া স্থগিত রাখার অনুরোধ জানায় দলটি।  
০৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:৫১

কক্সবাজারে মোতায়েন করা সেনাবাহিনীর কার্যক্রম পরিদর্শন করলেন সেনাপ্রধান
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে ‘ইন এইড টু দি সিভিল পাওয়ার’ এর আওতায় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তার জন্য কক্সবাজার এরিয়ায় মোতায়েন করা সেনাবাহিনীর কার্যক্রম পরিদর্শন করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।  শনিবার (৬ জানুয়ারি) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, পরিদর্শনকালে তিনি মোতায়েন করা সেনাসদস্যদের কার্যক্রম সরেজমিনে প্রত্যক্ষ করার পাশাপাশি কর্তব্যরত সেনাসদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন ও প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেন। এসময় জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) ১০ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার কক্সবাজার এরিয়া ছাড়াও সেনাসদরের ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘ইন এইড টু দি সিভিল পাওয়ার’ এর আওতায় ৩ জানুয়ারি থেকে বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তার জন্য দেশব্যাপী সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
০৬ জানুয়ারি ২০২৪, ২০:৩৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়