• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
শিল্পী সমিতিকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম সাংবাদিকদের
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত কমিটির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান ছিল মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল)। এদিন এফডিসিতে অনুষ্ঠানটি সুষ্ঠুভাবে শেষ হওয়ার পরেই সাংবাদিকদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় শিল্পীরা। এতে বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরি হয় এফডিসিতে।   এদিকে সহকর্মীদের মারধরের ঘটনায় শিল্পী সমিতিকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন সাংবাদিকরা। এই সময়ের ভেতরে কোনো সমাধান না এলে শিল্পী সমিতির সব ধরনের সংবাদ প্রচার থেকে সাংবাদিকরা বিরত থাকবেন বলেও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন।  এর আগে মঙ্গলবার রাতে শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর জানান, সংবাদকর্মীরা যে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন, সেটা মেনে নিয়েছেন তারা। বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকাল থেকে এই আল্টিমেটামটি কার্যকর হয়েছে। একইসঙ্গে আগামী ২৫ এপ্রিল থেকে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করবে শিল্পী সমিতি।      পাশাপাশি হামলার শিকার সাংবাদিকদের চিকিৎসার সব দায়িত্ব নিয়েছে শিল্পী সমিতি। হামলার ঘটনায় যে কর্মীদের যন্ত্রাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তারও ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে জানান মিশা।   জানা গেছে, নবনির্বাচিত কমিটির শপথগ্রহণ শেষে শিল্পী সমিতির সদস্য শিবা সানুর সঙ্গে ইউটিউবারদের কথা-কাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে সাংবাদিকেরা হাজির হলে তাদের সঙ্গেও বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। মূলত চিত্রনায়িকা ময়ূরীর মেয়ের সাক্ষাৎকার চাওয়াতেই মারামারির সূত্রপাত ঘটেছে। ইতোমধ্যে বিষয়টি নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করে শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর ও সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন ডিপজলের পক্ষ থেকে একটি চিঠিও পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি যত দ্রুত সম্ভব এই ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার অঙ্গীকারও করেছে সংগঠনটি। প্রত্যক্ষদর্শীদের অনেকেই জানান, এই হামলার মূল হোতা খল অভিনেতা শিবা শানু। এরপর জয় চৌধুরী ও আলেকজান্ডার বো হামলা চালান। হামলার একপর্যায়ে পুরো এফডিসির ফাইট ডিরেক্টরেরাও হামলায় অংশ নেন। এ ঘটনায় দৈনিক খবরের কাগজের বিনোদন প্রতিবেদক মিঠুন আল মামুন ও তার ক্যামেরাম্যানসহ বেশ কয়েকজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। আহতদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।  
২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:২২

টাঙ্গুয়ার হাওরে গ্রেপ্তার বুয়েট শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম 
সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওরে গত বছরের জুলাইয়ে গ্রেপ্তার বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ৩৪ শিক্ষার্থীকে স্থায়ী বহিষ্কার করার দাবি জানিয়েছে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। এই দাবি আদায়ে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে সংগঠনটি। রোববার (৩১ মার্চ) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে এক মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে এই দাবি জানানো হয়।  সমাবেশে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন বলেন, বুয়েটে সাম্প্রদায়িক অপশক্তি যেভাবে মাথাচাড়া দিয়েছে, সেখানে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের নামে সাম্প্রদায়িক অপশক্তি, মৌলবাদী গোষ্ঠী একের পর এক রাষ্ট্রবিরোধী দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হচ্ছে। আজকে বুয়েটে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তির কণ্ঠ বন্ধ করে সেখানে তারা স্বাধীনতাবিরোধী মৌলবাদী অপশক্তির এজেন্ডা বাস্তবায়নের চেষ্টা করা হয়েছে। আজকে বুয়েটে রাজনীতি নিষিদ্ধের নামে সেই ১৯৭১ সালের পরাজিত অপশক্তি জামায়াত-শিবির অন্ধকারে কার্যক্রম পরিচালিত করে জঙ্গীদের অভয়ারণ্যে পরিণত করার চেষ্টা করছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। তিনি আরও বলেন, গত বছরের ৩১ জুলাই সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওরে বুয়েটের ৩৪ জন শিবির ক্যাডার রাষ্ট্রবিরোধী গোপন বৈঠক করে ষড়যন্ত্রের অপরাধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিল। বুয়েট প্রশাসন এখনো সেই ৩৪ জন শিবির ক্যাডারকে বুয়েট থেকে বহিষ্কার করেনি। আমরা সুস্পষ্টভাবে বুয়েট প্রশাসনকে বলতে চাই, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই ৩৪ জন শিবির ক্যাডারকে বুয়েট থেকে স্থায়ীভাবে বহিস্কার করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে। অবিলম্বে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের নামে যে কালো আইন বুয়েট প্রশাসন তৈরি করেছে সেটি প্রত্যাহার করতে হবে। বুয়েট প্রশাসন দাবি না মানলে আগামীতে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে বলেও জানান তারা।  কর্মসূচি থেকে সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেন, সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওরে রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র করার অপরাধে যে ৩৪ জন শিক্ষার্থী গ্রেপ্তার হয়েছিল এদের রাজনৈতিক ব্যাকগ্রাউন্ড খুঁজলে দেখা যাবে এরা জামায়াতের প্রত্যক্ষ মদদে ষড়যন্ত্র করতেই সেখানে গিয়েছিল। তারা শিবিরের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা এবং শিবিরের ক্যাডার। সেই সময় আমরা প্রতিবাদ করেছিলাম, এই ৩৪ জন শিবির ক্যাডারকে স্বাধীনতার পক্ষের এই সরকারকে উৎখাত করার জন্য একত্রিত করা হয়েছিল। এই ৩৪ জনকে অবিলম্বে বুয়েট থেকে বহিষ্কার করতে হবে। সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের উপদেষ্টা ভাস্কর রাশা, অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট নেটওয়ার্কের আহ্বায়ক কবীর চৌধুরী তন্ময়সহ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের অন্যান্য নেতারা।
৩১ মার্চ ২০২৪, ১৯:৪৭

বুয়েট প্রশাসনকে এবার ছাত্রলীগের আল্টিমেটাম
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অসাংবিধানিক, মৌলিক অধিকার পরিপন্থি ও শিক্ষাবিরোধী সিদ্ধান্ত বলে আখ্যা দিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। এতে বুয়েটের ২১ ব্যাচের পুরকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ হোসেন রাহিম রাব্বির আবাসিক হলের বরাদ্দকৃত সিট বাতিল ঘোষণার প্রতিবাদ জানিয়েছে ছাত্রলীগ। সেই সঙ্গে রাব্বির সিট ফেরত দিতে বুয়েট প্রশাসনকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে ছাত্র সংগঠনটি।   রোববার (৩১ মার্চ) দুপুরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাদদেশে প্রতিবাদ সমাবেশে ছাত্রলীগের পক্ষে এ আল্টিমেটাম দেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতি রাজিবুল ইসলাম বাপ্পি। তিনি বলেন, আমাদের এক ভাই ৭ মার্চের ভাষণে অনুপ্রাণিত হয়ে স্বাধীনতা দিবসের প্রোগ্রামে অংশ নেওয়ায় তার হলের সিট কেঁড়ে নেওয়া হয়েছে। আমরা বুয়েট প্রশাসনকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আমাদের ভাই রাব্বির সিট ফেরত দেওয়ার দাবি জানাই। অন্যথায়, যারা স্বাধীনতার বিপক্ষে কথা বলে তাদের বিরুদ্ধে কথা বলা হবে, তাদেরকে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।  তিনি আরও বলেন, জামিনে মুক্ত সিলেটের টাঙ্গুয়ার হাওরে শিবির ও জঙ্গি সদস্যরা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছেন, তাদেরকে বাধা দেওয়া হচ্ছে না। কিন্তু বুয়েট শিবিরসহ অন্যান্য নিষিদ্ধ সংগঠনের কমিটি থাকলেও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের কোনো প্রোগ্রামে অংশ নিলেই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। আমাদের দাবি, বুয়েট ক্যাম্পাসে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতি চালু করতে হবে। প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতিত্ব করছেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সঞ্চলনা করছেন সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, সরকারি তিতুমীর কলেজ, বাঙলা কলেজ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ইউনিট ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সমাবেশে সমবেত হয়েছেন।  
৩১ মার্চ ২০২৪, ১৪:১১

ডিআইইউতে ১০ শিক্ষার্থী বহিস্কারে ডিইউজের আল্টিমেটাম
ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে (ডিআইইউ) সাংবাদিক সমিতির কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ এবং সাংবাদিকতা পেশায় যুক্ত ১০ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)। রোববার ( ১৭ মার্চ) সংগঠনের সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন এক বিবৃতিতে এই প্রতিবাদ জানান।  বিবৃতিতে অবিলম্বে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে ক্যাম্পাসে বস্তুনিষ্ঠ ও স্বাধীন সাংবাদিকতা চর্চার অনুকূল পরিবেশ নিশ্চিতের আহ্বান জানানো হয়।  সাংবাদিক নেতারা বলেন, অভ্যন্তরীণ অনিয়ম, দুর্নীতি ও শিক্ষার্থী হয়রানির মতো জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সংগঠনের সদস্যরা বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশের কারণে এর আগেও বেশ কয়েকবার সমিতি বন্ধের পাঁয়তারা করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৩ মার্চ সমিতির নতুন কমিটি গঠনের পর এর কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ ও সংশ্লিষ্ট ১০ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করে ডিআইইউ প্রশাসন। সাংবাদিক সমিতির মতো একটি পেশাজীবী সংগঠন তৈরির কারণে শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারের ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয় ও নজিরবিহীন।  তারা আরও বলেন, দেশের অন্য সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলোতে প্রশাসন কর্তৃক সাংবাদিক সংগঠনগুলোকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করা হলেও ডিআইইউ কর্তৃপক্ষের ধৃষ্টতাপূর্ণ এমন আচরণ অত্যন্ত আপত্তিকর এবং অনভিপ্রেত। বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রশাসনের কাছে দাবি, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তারা ১০ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে নেওয়া অন্যায় বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করবেন এবং সংবিধানকে সম্মান জানিয়ে ক্যাম্পাসে সাংবাদিকবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করবেন। অন্যথায় কঠোরতম কর্মসূচি দেওয়া ছাড়া আর কোনো পথ থাকবে না ডিইউজের।    
১৭ মার্চ ২০২৪, ২৩:১৮

অবন্তিকার আত্মহত্যা / জবি শিক্ষার্থীদের ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম
ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় উত্তাল হয়ে উঠেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি)। শিক্ষার্থীদের দাবি, অবন্তিকাকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করা হয়েছে। এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। এ অবস্থায় পাঁচ দফা দাবি জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।  শনিবার (১৬ মার্চ) সকাল থেকেই বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠে ক্যাম্পাস।  এ সময় প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে সুষ্ঠু বিচার দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা গেছে। দাবি পূরণ না হলে সোমবার (১৮ মার্চ) সকালে উপাচার্যের কার্যালয় ঘেরাও করার হুঁশিয়ারি দেন তারা।   পাঁচ দফা দাবি হলো-  ১. অবন্তিকার হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত করতে হবে।  ২. অভিযুক্ত দ্বীন ইসলাম ও আম্মানকে গ্রেপ্তার করে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।  ৩. অভিযুক্ত দুইজনকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করতে হবে এবং ভিক্টিম ব্লেমিং যারা করছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।  ৪. অবন্তিকার পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।  ৫. বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বাদী হয়ে মামলা করতে হবে এবং নারী নিপীড়ন সেলকে আরও সক্রিয় করতে হবে।   এর আগে, জবির সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও আইন বিভাগের শিক্ষার্থী রায়হান সিদ্দিকী আম্মানকে (আম্মান সিদ্দিকী) দায়ী করে শুক্রবার (১৫ মার্চ) রাতে ফেসবুকে পোস্ট দেন ফাইরুজ অবন্তিকা। এরপর ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের আইন বিভাগের এই শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার ঘটনায় ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।  এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের নির্দেশে অভিযুক্ত শিক্ষককে প্রক্টরিয়াল বডি থেকে অব্যাহতি এবং অভিযুক্ত শিক্ষার্থী আম্মান সিদ্দিকীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
১৬ মার্চ ২০২৪, ১৯:১৬

ট্রেইনি চিকিৎসকদের বকেয়া ভাতার দাবি, ২ দিনের আল্টিমেটাম
পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি চিকিৎসকরা গত ৯ মাস যাবৎ কোনো ধরনের ভাতা না পাওয়ায় বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ান অ্যান্ড সার্জন্সের (বিসিপিএস) সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। এ সময় আগামী দুই দিনের মধ্যে বকেয়া ভাতা পরিশোধ না হলে বৃহৎ আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা। শনিবার (১৬ মার্চ) বেলা ১১টা থেকে বিসিপিএস ভবনে এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। জানা গেছে, বিসিপিএস ভবনের ৯ তলায় সমবেত হন পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি চিকিৎসকরা। পরে বিসিপিএসের সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লাসহ প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলেন তারা। এ সময় বিসিপিএস থেকে এক মাসের সময় চাইলেও তা মানতে আপত্তি জানায় আন্দোলনকারীরা। ‘টাকা নেই ডিউটি নেই’ এমন স্লোগান তুলে ভাতা দিতে না পারলে ব্যর্থতার দায় নিয়ে কর্মকর্তাদের পদত্যাগের দাবি জানান তারা। চিকিৎসকদের অভিযোগ, প্রতিমাসে ২৫ হাজার টাকা করে ছয় মাসে দেড় লাখ টাকা ভাতা দেওয়ার কথা। এর আগে ২০ হাজার করে যখন ভাতা ছিল তখন ছয় মাস পর পর এক লাখ ২০ হাজার টাকা করে দেওয়া হত। এ হিসfবে জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ছয় মাসের টাকা জানুয়ারির শুরুতে দেওয়ার কথা। কিন্তু মার্চের অর্ধেক পেরিয়ে গেলেও ভাতা দিতে নানাভাবে তালবাহানা করা হচ্ছে। নিয়মিত যদি ভাতা না পাই তাহলে আমরা কীভাবে চলব, আর পরিবার কীভাবে চলবে?  এ সময় আগামী দুদিনের মধ্যে ভাতা পরিশোধ না হলে বৃহৎ আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন চিকিৎসকরা। এ বিষয়ে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জাবির হোসাইন বলেন, এফসিপিএস করতে প্রতিদিন বহু রোগী আমাদের দেখতে হয়। চিকিৎসক হিসেবে এটা আমাদের দায়িত্ব, তাই আমরা করব সমস্যা নেই। কিন্তু ভাতাটা আমাদের ঠিকঠাক দিতে হবে।  তিনি বলেন, ছয় মাস পরপর ভাতা দেওয়ার কথা। কিন্তু এবার সেটা ৯ মাস হয়ে গেছে। এটা দিয়েই আমাদের চলতে হয়, পরিবারকে চালাতে হয়। জানুয়ারির শুরুতে ভাতা দেওয়ার কথা থাকলেও এখন বলা হচ্ছে আরও এক মাস সময় লাগবে। আমরা এটি চাই না। দুদিনের মধ্যে না দিতে পারলে আমরা চূড়ান্ত আন্দোলনে যাব। তিনি আরও বলেন, আমরা মানুষের সেবা দিই, কিন্তু আমাদের ভাতা পেতে আন্দোলন করতে হচ্ছে। এটা খুবই দুঃখজনক। কর্মকর্তাদের ঈদ আছে, পরিবার আছে। আমাদের কিছু নেই? বিসিপিএস সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ শহিদুল্লা ট্রেইনি ডাক্তারদের বলেন, ভাতা প্রদানের বিষয়টির ব্যাপারে ইতিমধ্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী উদ্যোগ নিয়েছেন। ভাতার টাকা তিন ভাগে আসে। দুইভাগ চলে এসেছে, বাকিটা পরে আসবে।  তিনি বলেন, বর্তমানে ভাতার যে টাকাটা আছে তা একহাজার জনকে দেওয়া যাবে। সবাইকে দিতে হলে এক মাস সময় দরকার। একইসঙ্গে ভাতার পরিমাণ বাড়ায় তা সমন্বয় করতে সময় লাগছে।
১৬ মার্চ ২০২৪, ১৪:৪০

৫ দফা দাবির সুষ্ঠু বাস্তবায়ন না হলে ভর্তি পরীক্ষা বন্ধের আল্টিমেটাম 
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) সংঘটিত ধর্ষণকাণ্ডে চলমান আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে নিপীড়ন বিরোধী মঞ্চ। আসন্ন ২০ ফেব্রুয়ারির সিন্ডিকেট সভায় ৫ দফা দাবির সুষ্ঠু বাস্তবায়ন না হলে আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য ভর্তি পরীক্ষা বন্ধের হুঁশিয়ারি দিয়েছে নিপীড়ন বিরোধী মঞ্চ। শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কলা ভবনের শিক্ষক লাউঞ্জে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।  লিখিত বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ জানান, বিদ্যমান পরিস্থিতিতে আসন্ন ২২ তারিখে অনুষ্ঠিতব্য ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনের পূর্বেই আমাদের দাবি বাস্তবায়নের স্বার্থে সিন্ডিকেট আয়োজন সংক্রান্ত অফিস কার্যক্রম পরিচালনা প্রয়োজনীয় বিধায় নিপীড়নবিরোধী মঞ্চ অবিলম্বে সিন্ডিকেট সভার সুষ্ঠু আয়োজনের লক্ষ্যে রেজিস্ট্রার ভবনে চলমান প্রতীকী অবরোধ কর্মসূচি আপাতত স্থগিত করছে।  বিবৃতিতে আরও বলা হয়,  মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের হল থেকে বের করাসহ মাদক সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়ার দাবি বাস্তবায়নে প্রশাসন কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপসমূহকে অপর্যাপ্ত, অদক্ষ ও অগ্রহণযোগ্য।  যৌন নিপীড়ক মাহমুদুর রহমান জনির বিচার ও ধর্ষনকাণ্ডে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর এবং মীর মোশাররফ হোসেন হলের প্রভোস্টের সম্পৃক্ততা তদন্তের দাবিতেও প্রশাসনের আশ্বাসকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। প্রশাসনের এই রহস্যজনক নির্লিপ্ততা ও অবহেলার প্রেক্ষিতে নিপীড়নবিরোধী মঞ্চ চলমান ঘটনাবলীর উপরে সার্বক্ষণিক নজর রাখছে এবং কঠোরতর আন্দোলন গড়ে তোলার পূর্ণ প্রস্তুতি গ্রহণ করছে। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সোহেল আহমেদ বলেন, ২০ তারিখের সিন্ডিকেট মিটিংয়ে যদি আশানুরূপ কোন সিদ্ধান্ত না আসে তাহলে আমরা আমাদের আন্দোলন জারি রাখবো এবং আন্দোলনের ফলে যদি ভর্তি পরীক্ষা ব্যাহত হয় তাহলে এর দায় প্রশাসনকে নিতে হবে। সিন্ডিকেটের অন্যতম সিদ্ধান্ত ছিল পাঁচ কর্ম দিবসের মধ্যে অছাত্রদের বের করার কথা ছিল এবং তাদের তালিকা প্রকাশের কথা ছিল কিন্তু তারা আমাদেরকে তালিকা দিতে পারেনি। এখানে প্রশাসনের গড়িমসি ও শৈথল্য প্রকাশ পেয়েছে।  তিনি আরও বলেন, আমরা এর আগেও বলেছি ধর্ষণকাণ্ডে সহায়তাকারীদের পলায়নের দায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর এড়াতে পারে না। যেখানে র‍্যাব এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন প্রশাসনকে দায়ী করেছেন সেখানে এই বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালযয়ের উপাচার্যকে বোঝা উচিত। এই ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তের জন্য প্রক্টর এবং প্রভোস্টকে সাময়িক অব্যাহতি দেয়ার কোনো সদিচ্ছা আমরা দেখতে পাইনি।  বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসী বিভাগের অধ্যাপক মাফরুহী সাত্তার বলেন, আমরা সুস্পষ্ট বার্তার মাধ্যমে জানিয়ে দিতে চাই, বিশ্ববিদ্যালয় চলমান পরিস্থিতির সুষ্ঠু বিচার না হয়ে এভাবে চলতে থাকলে আমরা আসন্ন ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে দিতে পারি না। কারণ আমাদের যে পাঁচ দফা দাবি ছিল তার কোনোটারই দৃশ্যমান ফলাফল আমরা দেখতে পাইনি। যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট বলা হয়েছে পাঁচ কর্ম দিবসের মধ্যে অছাত্রদের বের করতে হবে, সেটি তারা বাস্তবায়ন করতে পারেনি।  এ ছাড়াও সংবাদ সম্মেলনে পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক জামাল উদ্দিন, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী আরিফ সোহেল বক্তব্য রাখেন। সংবাদ সম্মেলন থেকে রোববার বেলা একটায় বিক্ষোভ সমাবেশ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অমর একুশের সামনে নিপীড়কের কুশপুত্তলিকা দাহ করার ঘোষণা দেওয়া হয়। 
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৭:০১

জি এম কাদের ও চুন্নুর পদত্যাগ দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের ও মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুকে পদত্যাগের জন্য ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সাইদুর রহমান টেপা।  বুধবার (১০ জানুয়ারি) চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে নির্বাচনে হেরে যাওয়া প্রার্থীরা বিক্ষোভ করেন। তাদের বিক্ষোভে দেখা গেছে দলের কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবুল হোসেন বাবলা ও সাইদুর রহমান টেপাকে। বিক্ষুব্ধ টেপা লিখিত বক্তব্যে বলেন, আপনারা দেখেছেন এই নির্বাচনে জাতীয় পার্টির চরম ভরাডুবি হয়েছে। দলের যিনি চেয়ারম্যান তার সঙ্গে প্রার্থী মনোনয়ন প্রশ্নে মতানৈক্য সৃষ্টি হওয়ায় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক বেগম রওশন এরশাদ নির্বাচন থেকে বিরত ছিলেন। কিন্তু তিনি পার্টির মধ্যে বিভক্তি করতে দেননি। অথচ পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের গত ৪ বছরে তার সাংগঠনিক দুর্বলতা, রাজনৈতিক অদূরদর্শিতা এবং অদক্ষতার কারণে পার্টিকে ধ্বংসের শেষ প্রান্তে নিয়ে গেছেন। তারই প্রতিফলন ঘটেছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে।  তিনি দাবি করেন, পার্টির প্রার্থীদের সঙ্গে চরম বিশ্বাসাঘাতকতা, প্রতারণা করা এবং তাদের একপ্রকার পথে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। পার্টির দুই শতাধিক প্রার্থী নির্বাচন বর্জন করেছেন। সরকারের কাছে ধর্ণা দিয়ে ২৬টি আসনে সমঝোতা করে সেখানেও ভরাডুবি হয়েছে। আমরা আশা করেছিলাম জাতীয় পার্টিকে এতটা বিপর্যয়ের মধ্যে ফেলে দেওয়া এবং নির্বাচনে ভরাডুবির কারণে চেয়ারম্যান ও মহাসচিব পদত্যাগ করে তাদের সম্মান রক্ষা করবেন। কিন্তু সে বোধোদয়ও তাদের হয়নি।  টেপা আরও বলেন, আমরা পার্টির সর্বস্তরের নেতা কর্মীদের মনোভাব জানতে পেরেছি। তারা পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের ও মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুকে তাদের পদ থেকে অপসারণ দেখতে চান। এ অবস্থায় জাতীয় পার্টিকে রক্ষা করা এবং পার্টির ঐক্য বজায় রাখার জন্য আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জিএম কাদের ও মুজিবুল হক চুন্নুকে তাদের পদ থেকে পদত্যাগ করতে হবে।  কো-চেয়ারম্যান আবুল হোসেন বাবলা বলেন, নির্বাচনে জাতীয় পার্টি অনেক জায়গা থেকে টাকা পেয়েছে শুনেছি। সেটা চেয়ারম্যান জি এম কাদের ও চুন্নু সাহেব মেরে দিয়েছেন। আমরা এটা নিয়ে দলীয়ভাবে তদন্ত করব। তারপর তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিকে, বনানীস্থ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান কার্যালয় ঘিরে রেখে আন্দোলন করা নির্বাচনে জাতীয় পার্টি থেকে অংশ নেওয়া পরাজিত প্রার্থীরদের দাবি, পরাজয়ের পর থেকে শীর্ষনেতারা ফোন ধরছেন না। তারা কোনো যোগাযোগ করছেন না তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে। তাদের দাবি, বর্তমান কমিটি এরশাদের হাতে গঠিত জাতীয় পার্টিকে ধুলোয় মিশিয়ে দিয়েছে।  
১০ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:১৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়