• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১
logo

৫ দফা দাবির সুষ্ঠু বাস্তবায়ন না হলে ভর্তি পরীক্ষা বন্ধের আল্টিমেটাম 

জাবি প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

  ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৭:০১
৫ দফা দাবির সুষ্ঠু বাস্তবায়ন না হলে ভর্তি পরীক্ষা বন্ধের আল্টিমেটাম 
ছবি : আরটিভি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) সংঘটিত ধর্ষণকাণ্ডে চলমান আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে নিপীড়ন বিরোধী মঞ্চ। আসন্ন ২০ ফেব্রুয়ারির সিন্ডিকেট সভায় ৫ দফা দাবির সুষ্ঠু বাস্তবায়ন না হলে আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য ভর্তি পরীক্ষা বন্ধের হুঁশিয়ারি দিয়েছে নিপীড়ন বিরোধী মঞ্চ।

শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কলা ভবনের শিক্ষক লাউঞ্জে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

লিখিত বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ জানান, বিদ্যমান পরিস্থিতিতে আসন্ন ২২ তারিখে অনুষ্ঠিতব্য ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনের পূর্বেই আমাদের দাবি বাস্তবায়নের স্বার্থে সিন্ডিকেট আয়োজন সংক্রান্ত অফিস কার্যক্রম পরিচালনা প্রয়োজনীয় বিধায় নিপীড়নবিরোধী মঞ্চ অবিলম্বে সিন্ডিকেট সভার সুষ্ঠু আয়োজনের লক্ষ্যে রেজিস্ট্রার ভবনে চলমান প্রতীকী অবরোধ কর্মসূচি আপাতত স্থগিত করছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের হল থেকে বের করাসহ মাদক সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়ার দাবি বাস্তবায়নে প্রশাসন কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপসমূহকে অপর্যাপ্ত, অদক্ষ ও অগ্রহণযোগ্য।

যৌন নিপীড়ক মাহমুদুর রহমান জনির বিচার ও ধর্ষনকাণ্ডে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর এবং মীর মোশাররফ হোসেন হলের প্রভোস্টের সম্পৃক্ততা তদন্তের দাবিতেও প্রশাসনের আশ্বাসকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। প্রশাসনের এই রহস্যজনক নির্লিপ্ততা ও অবহেলার প্রেক্ষিতে নিপীড়নবিরোধী মঞ্চ চলমান ঘটনাবলীর উপরে সার্বক্ষণিক নজর রাখছে এবং কঠোরতর আন্দোলন গড়ে তোলার পূর্ণ প্রস্তুতি গ্রহণ করছে।

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সোহেল আহমেদ বলেন, ২০ তারিখের সিন্ডিকেট মিটিংয়ে যদি আশানুরূপ কোন সিদ্ধান্ত না আসে তাহলে আমরা আমাদের আন্দোলন জারি রাখবো এবং আন্দোলনের ফলে যদি ভর্তি পরীক্ষা ব্যাহত হয় তাহলে এর দায় প্রশাসনকে নিতে হবে। সিন্ডিকেটের অন্যতম সিদ্ধান্ত ছিল পাঁচ কর্ম দিবসের মধ্যে অছাত্রদের বের করার কথা ছিল এবং তাদের তালিকা প্রকাশের কথা ছিল কিন্তু তারা আমাদেরকে তালিকা দিতে পারেনি। এখানে প্রশাসনের গড়িমসি ও শৈথল্য প্রকাশ পেয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা এর আগেও বলেছি ধর্ষণকাণ্ডে সহায়তাকারীদের পলায়নের দায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর এড়াতে পারে না। যেখানে র‍্যাব এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন প্রশাসনকে দায়ী করেছেন সেখানে এই বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালযয়ের উপাচার্যকে বোঝা উচিত। এই ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তের জন্য প্রক্টর এবং প্রভোস্টকে সাময়িক অব্যাহতি দেয়ার কোনো সদিচ্ছা আমরা দেখতে পাইনি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসী বিভাগের অধ্যাপক মাফরুহী সাত্তার বলেন, আমরা সুস্পষ্ট বার্তার মাধ্যমে জানিয়ে দিতে চাই, বিশ্ববিদ্যালয় চলমান পরিস্থিতির সুষ্ঠু বিচার না হয়ে এভাবে চলতে থাকলে আমরা আসন্ন ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে দিতে পারি না। কারণ আমাদের যে পাঁচ দফা দাবি ছিল তার কোনোটারই দৃশ্যমান ফলাফল আমরা দেখতে পাইনি। যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট বলা হয়েছে পাঁচ কর্ম দিবসের মধ্যে অছাত্রদের বের করতে হবে, সেটি তারা বাস্তবায়ন করতে পারেনি।

এ ছাড়াও সংবাদ সম্মেলনে পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক জামাল উদ্দিন, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী আরিফ সোহেল বক্তব্য রাখেন।

সংবাদ সম্মেলন থেকে রোববার বেলা একটায় বিক্ষোভ সমাবেশ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অমর একুশের সামনে নিপীড়কের কুশপুত্তলিকা দাহ করার ঘোষণা দেওয়া হয়।

মন্তব্য করুন

daraz
  • শিক্ষা এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা কাল, ১ ঘণ্টা আগে কেন্দ্রে পৌঁছানোর নির্দেশ
‘সাপোর্ট করার মতো কেউ থাকলে আজকে এই মৃত্যুটা হইত না’
গুচ্ছের ‘এ’ ইউনিটের ফল প্রকাশ
গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার্থীদের সেবায় ববি ছাত্রলীগ 
X
Fresh