• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
রেলকে ক্ষতিগ্রস্ত করে গেছে আগের সরকার : রেলমন্ত্রী
রেলমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জিল্লুল হাকিম বলেছেন, রেলপথ মন্ত্রণালয়কে ক্ষতিগ্রস্ত করে গেছে আগের সরকার। গোল্ডেন হ্যান্ডশেখের কারণে এখন আমাদের ভালো চালক, ফোরম্যান নেই, সব ক্ষেত্রেই একটা সমস্যা। এ সমস্যাগুলো দূর করতে প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতা গ্রহণের পর রেলেকে ঢেলে সাজানোর চেষ্টা করছেন। শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে রাজবাড়ী পুলিশ লাইনসে পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির (পুনাক) আয়োজনে পিঠা উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। রেলমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে রেলপথ মন্ত্রণালয় একটি চ্যালেঞ্জিং মন্ত্রণালয়। বিভিন্ন রেলপথ বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরও সেগুলো পুনরায় চালু করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে রেলের ব্যাপক সম্প্রসারণ হচ্ছে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমার ওপর আস্থা রেখে, বিশ্বাস রেখে রেল মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিয়েছেন। আমি রেলকে সুন্দর প্রতিষ্ঠান হিসেবে জনগণের কল্যাণে নিয়োজিত করব। এজন্য সবার সহযোগিতা চাই। রেলমন্ত্রী আরও বলেন, আমি যখন রেলমন্ত্রী হয়েছি তখন রেল মন্ত্রণালয় বিট করা অনেক সাংবাদিক আমার কাছে এসেছিল। আমি তাদের বলেছি আমার অভিজ্ঞতা তেমন খুব একটা ভালো না। কারণ, সাংবাদিকরা আমাকে কোনো সময় ভালোভাবে উপস্থাপন করতে পারে না। সাংবাদিকরা সমাজের সবচেয়ে এলিট শ্রেণির লোক। সাংবাদিকরা সমাজের অংশ। সাংবাদিকরা দেশকে গঠন করার জন্য ভালো কাজ করতে পারেন। গঠনমূলক সমালোচনা করবেন, সেগুলো অবশ্যই আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে কাজ করতে সহায়ক হবে। কিন্তু সমালোচনার জন্য সমালোচনা করলে সেটা দেশের জন্য ভালো না, জনগণের জন্য ভালো হবে না। আমরা যদি নিজেরা পরস্পরের মূল্যায়ন করতে পারি তাহলে আমরা নিজেরাও এগিয়ে যাব, দেশটাও এগিয়ে যাবে। পুনাক রাজবাড়ীর সভানেত্রী হালিমা আখতার শিরিনের সভাপতিত্বে এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক আবু কায়সার খান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম শফিকুল মোরশেদ আরুজ, পুলিশ সুপার জি এম আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ। এ সময় জেলা প্রশাসকের সহধর্মিণী লেডিস ক্লাবের সভানেত্রী জিনাত আফরিন, জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, পুনাক রাজবাড়ীর সদস্যবৃন্দসহ প্রশাসনের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম পিঠা উৎসবের বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।
০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:৩০

‘অর্থবছরের শেষে রিজার্ভ আগের অবস্থানে ফিরে আসবে’
অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেছেন, মূল্যস্ফীতির চলমান চাপ চলতি অর্থবছরের শেষ নাগাদ সহনীয় পর্যায়ে নেমে আসবে। এ সময় প্রবাসী আয়ও বাড়বে এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দ্রুত আগের শক্ত অবস্থানে ফিরে আসবে।  বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি)  জাতীয় সংসদে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই–সেপ্টেম্বর) বাজেট বাস্তবায়ন অগ্রগতির প্রতিবেদন তুলে ধরতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।  অর্থমন্ত্রী বলেন, সরকার ইতোমধ্যে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়াতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। তাই বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ খুব দ্রুতই আগের শক্ত অবস্থানে ফিরে আসবে। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানিসহ বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি এবং বৈদেশিক মুদ্রার হারের দ্রুত পরিবর্তনের পরিপ্রেক্ষিতে দেশে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে মূল্যস্ফীতির চাপ অনুভূত হচ্ছে। তবে মূল্যস্ফীতির বর্তমান চাপ চলতি অর্থবছরের শেষ নাগাদ সহনীয় পর্যায়ে নেমে আসবে বলে আশা করা যায়। তিনি আরও বলেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করে এসেছে। আরও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক মনিটরি টার্গেটভিত্তিক মুদ্রানীতি থেকে সরে এসে সুদহার লক্ষ্যভিত্তিক মুদ্রানীতি বাস্তবায়নে এগিয়ে যাচ্ছে। নীতি সুদহার বেশ কয়েক দফায় বাড়ানো হয়েছে এবং ঋণের সুদহারের ঊর্ধ্বসীমা তুলে দেওয়া হয়েছে।  অর্থমন্ত্রী বলেন, চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিক (জুলাই–সেপ্টেম্বর) শেষে রপ্তানি বৃদ্ধি, আমদানি ব্যয় হ্রাস এবং প্রবাসী আয় বৃদ্ধি পাওয়ায় চলতি হিসাব ভারসাম্য ধনাত্মক ছিল। তবে ফাইন্যান্সিয়াল একাউন্টে ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধির কারণে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২০২৩ সালের ৩০ জুনের তুলনায় কমেছে।
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:৫৫

দেশে আগের মতো ডলার সংকট নেই : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, দেশে এখন আগের মতো ডলার সংকট নেই। রপ্তানি আয়ও খুব একটা কমেনি। সরকার সার্বিক পরিস্থিতির বিষয়ে সতর্ক রয়েছে। বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে দ্বাদশ সংসদের চলতি অধিবেশনে নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের কিছু খরচের ব্যাপারে মিতব্যয়ী হতে হয়েছে, কিছুটা সংকুচিত করতে হয়েছে। ডলারের সংকট যথেষ্ট ছিল, এখন ঠিক সেরকম সংকট নেই। তিনি বলেন, উন্নয়নের জন্য জনগণ আমাদের যে দায়িত্ব দিয়েছে, তা যথাযথভাবে পালন করব। পর্যালোচনা করে এলসি খোলার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। আগে যেভাবে যখন-তখন এলসি খোলা হতো। এখন ইচ্ছেমতো হচ্ছে না, সেটাতে নিয়ন্ত্রণ আনা হয়েছে। সরকারপ্রধান বলেন, আমাদের রপ্তানি আয় খুব একটা কমেনি। যেসব দেশে আমরা রপ্তানি করি, তাদের ক্রয়ক্ষমতা কমেছে। ফলে বাজার সংকুচিত হয়ে অর্ডার কমেছে। অর্থনৈতিকভাবে তারা খুব চাপে আছে, তাদের মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। তারই ফলে হয়তো কিছুটা কমেছে। তিনি বলেন, রপ্তানি আয় বাড়াতে সরকারের পক্ষ থেকে বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। বিকল্প বাজার খুঁজে বেড়ানো, রপ্তানি পণ্য বহুমুখীকরণে ব্যবস্থা নিয়েছি।  শেখ হাসিনা বলেন, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার কারণে পণ্যের দাম বেড়েছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সরকারের পক্ষ থেকে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।  তিনি বলেন, ব্যাংকিং খাতের সমস্যা সমাধানে দক্ষতা বাড়ানোসহ একীভূত করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৩:১৫

বাংলাদেশের ওপর ভিসা নীতি আগের মতোই : যুক্তরাষ্ট্র 
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বড় এক আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছিল মার্কিন ভিসা নীতি। নির্বাচনের পরও থেমে নেই সেই আলোচনা। এবার বাংলাদেশের ওপর ভিসা নীতি নিয়ে নিজেদের অবস্থান খোলাসা করল যুক্তরাষ্ট্র। সেখানে নতুন করে বাংলাদেশের ওপর কোনো নিষেধাজ্ঞা বা তার পরিকল্পনা নেই বলেই জানিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তর।  স্থানীয় সময় সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ের পর বাংলাদেশ ইস্যুতে প্রশ্ন করা হলে এভাবেই নিজেদের অবস্থান জানান দেন স্টেট ডিপার্টমেন্টের উপমুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল।  বেদান্ত বলেন, বাংলাদেশ ইস্যুতে ভিসানীতি এবং তা পরিবর্তনের বিষয়ে নতুন কোনো খবর আমার কাছে নেই। এতে কোনো পরিবর্তন হয়নি। ভিসানীতির বিষয়টি এমন নয় যে, নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে আর তাই সূর্য ডুবে গেছে। এরপরও সাংবাদিকরা সুনির্দিষ্টভাবে জানতে চান, ভিসা নিষেধাজ্ঞা এখনো চলমান কি না। জবাবে বেদান্ত বলেন, 'হ্যাঁ, ভিসানীতি বহাল আছে। তবে, প্রয়োগে কোনো পরিবর্তন হয়নি।' এর আগে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের ব্রিফিংয়ে গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ও শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে চলমান আইনি প্রক্রিয়ার প্রসঙ্গটিও উঠেছে। সেখানে ড. ইউনূসের মামলা পরিচালনায় স্বচ্ছ আইনি প্রক্রিয়া নিশ্চিত করার আহ্বান জানায় যুক্তরাষ্ট্র।    
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:০০

৬০ বছর আগের প্রেমিকার চিঠি দেখে স্বামীকে হত্যার চেষ্টা
৬০ বছর আগে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার এক ব্যক্তি। সেই সময় প্রেমিকা তাকে একটি চিঠি (পোস্টকার্ড) পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু বিপত্তি ঘটে ৬০ বছর পর, যখন তার বৃদ্ধা স্ত্রী তা দেখতে পান। প্রেমিকার পাঠানো সেই পোস্টকার্ড দেখতে পেয়ে তার ৭১ বছর বয়সী স্ত্রী ইয়ালটার তাকে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছেন। এমন খবর দিয়েছে সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট। দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, ওই পোস্টকার্ড দেখার পর ওই বৃদ্ধা এতটাই ক্ষিপ্ত হন যে তিনি স্বামীকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছেন। ইয়ালটার নামের ওই বৃদ্ধা ফ্লোরিডার বাসিন্দা। দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট আরও জানায়, বৃদ্ধার স্বামীই পুলিশ ডেকে অভিযোগ করেন তাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে বৃদ্ধকে ‘খুবই খারাপ’ অবস্থায় দেখতে পান। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে কাঁটাছেড়া ও কামড়ের চিহ্ন দেখতে পান। ওই সময় বৃদ্ধের শরীরের বিভিন্ন জায়গা থেকে রক্ত বের হচ্ছিল বলেও প্রতিবেদনে বলা হয়। এদিকে ফ্লোরিডার নর্থ মিয়ামি বিচ পুলিশ বিভাগ জানায়, সাবেক প্রেমিকার সঙ্গে সম্পর্ক শেষ হয়ে গেলে ষাটের দশকে তিনি ইয়ালটারকে বিয়ে করেন। ইয়াল্টার সঙ্গে তার বিবাহ হয়েছিল ৫২ বছর আগে। হামলার কথা স্বীকার করে ওই বৃদ্ধার স্বামী জানিয়েছেন, তিনি তার ৬০ বছর আগের প্রেমিকার কাছ থেকে একটি পোস্টকার্ড পান। যা দেখতে পেয়ে তার স্ত্রী ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। মোবাইল ফোনে ওই হামলার কিছু অংশ ধরা পড়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। আদালতে এই নারীর বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা, বৃদ্ধের ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগ আনা হয়েছে। এছাড়া স্বামীর সঙ্গে কোনো ধরনের যোগাযোগ না করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া প্রসিকিউটররা জানিয়েছেন, ৭১ ব্ছর বয়সী বৃদ্ধা ইয়ালটার স্বীকার করেছেন, তিনি তার স্বামীর ফোন কেড়ে নিয়েছিলেন ও হামলা চালিয়েছিলেন। ইয়ালটারের আইনজীবী জানিয়েছেন, তার মক্কেলের বিরুদ্ধে পুলিশ হত্যা চেষ্টার মামলা করেছে। যার মাধ্যমে অতিরিক্ত করা হয়েছে। কারণ হামলায় তার স্বামী খুব বেশি আহত হননি। তাকে অনেকটা জোর করেই হাসপাতালে নিয়ে গেছে পুলিশ।
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:০৪

বিয়ের আগের দিন মদ্যপান, পরদিন বরের মৃত্যু
ঢাকার কেরানীগঞ্জে বিয়ের অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত মদ্যপানে সৌরভ সাহা (৩০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। তিনি গতকাল (বুধবার) বিয়ে করেছিলেন। বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় অসুস্থ অবস্থায় সৌরভ সাহাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন বন্ধু ও স্বজনেরা। কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। সৌরভ সাহা ফরিদপুর জেলার আলফাডাঙ্গা থানার শিরগ্রামের গৌরাঙ্গ সাহার ছেলে। তিনি রাজধানীর জিনজিরা এলাকায় কাপড়ের ব্যবসা করতেন বলে জানা গেছে। সৌরভ সাহার বন্ধু অমিত সাহা বলেন, গতকাল আমার বন্ধু সৌরভ বিয়ে করেছে। বিয়ে উপলক্ষে মঙ্গলবার রাতে সে বন্ধুদের সঙ্গে মদ্যপান করে। এরপর সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। রাতে তাকে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এরপর গতকাল তার বিয়ে হয়। বিয়ের পরপর আবার সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। আজ সন্ধ্যায় তার অবস্থা খারাপ হলে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসি। পরীক্ষার পর চিকিৎসক জানান মারা গেছেন। আগামীকাল শুক্রবার সৌরভ সাহার বৌভাতের অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল। এর আগেই তিনি মারা গেলেন। সৌরভ সাহার কাকাতো ভাই অমরেশ সাহা বলেন, তার স্ত্রীর নাম তিথি। তারা আমাদের পূর্বপরিচিত। পরিবারিকভাবেই বিয়ে হয়েছে তাদের।  তিনি বলেন, ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী বিয়ের আগের দিন বর-কনেকে উপোষ থাকতে হয়। ধারণা করা হচ্ছে, সৌরভ উপোষ থেকে গায়েহলুদের দিন বন্ধুদের সঙ্গে মদ্যপান করে অসুস্থ হয়ে পড়েন। অসুস্থ শরীর নিয়েই গতকাল গোপালগঞ্জ জেলার মোকসেদপুর থানার লখেরচর গ্রামে তার বিয়ে হয়। আজ বউ নিয়ে কেরানীগঞ্জের জিনজিরায় আসার পর তার অবস্থা বেশি খারাপ হয়ে যায়। পরে হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, সৌরভ সাহার মরদেহ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রয়েছে। আমরা বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে জানিয়েছি।
০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২২:৪৮

বাসায় হাঁটছেন খালেদা জিয়া, আগের চেয়ে সুস্থ
হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরে শারীরিকভাবে অনেকটা সুস্থ আছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ১৫৬ দিন হাসপাতালে থাকার পর গত ১১ জানুয়ারি সন্ধ্যায়  গুলশানের ভাড়া বাসা ‘ফিরোজা’য় ফেরেন তিনি। মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বাসাতেই তার চিকিৎসা চলছে। এভারকেয়ার থেকে ফেরার পর সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর কোনও রোগের নতুন উপসর্গ দেখা দেয়নি। চিকিৎসকদের পরামর্শে বাসাতেই হালকা হাঁটাচলা করছেন তিনি। খালেদা জিয়ার চিকিৎসক, মেডিকেল টিমের সহকারী ও চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের একাধিক সূত্র থেকে জানা যায়, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে ভাল। বিদায়ী বছরের ২৬ অক্টোবর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স হাসপাতালের তিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক তার চিকিৎসা করেন। তাদের চিকিৎসার পরই  বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হতে শুরু করে বলে জানান তার চিকিৎসক দলের এক সদস্য। গত বছরের ৯ আগস্ট এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন খালেদা জিয়া। চলতি বছরের ১১ জানুয়ারি রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে অনেকটাই হাস্যোজ্জ্বল অবস্থায় বাসায় ফেরেন বিএনপির চেয়ারপারসন। সেদিন হুইল চেয়ারে নেমে আসেন গাড়ির সামনে। এরপর দাঁড়িয়ে উঠে গাড়িতে প্রবেশ করেন তিনবারের এই সাবেক প্রধানমন্ত্রী। দীর্ঘদিন পর খালেদা জিয়াকে সচকিত পেয়ে নেতাকর্মীরাও উৎফুল্ল। প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন জানান, বাসায় ফেরার পর বেগম জিয়াকে উৎফুল্ল দেখা গেছে। গাড়ি থেকে নেমেই ভাগ্নে অভীক ইস্কান্দারের মেয়েকে জড়িয়ে ধরেন তিনি। পরিবারের ঘনিষ্ঠ স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য বলেন, ম্যাডামের শরীর আগের চেয়ে অনেক ভালো। বিশেষ করে আমেরিকার তিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসা করার পরই দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন তিনি। সেই চিকিৎসকরাই তাকে হাঁটার পরামর্শ দিয়েছেন। চিকিৎসকের উদ্ধৃতি দিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং সদস্য শায়রুল কবির খান গণমাধ্যমকে বলেন, আলহামদুলিল্লাহ, ম্যাডামের শারীরিক অবস্থা একটু উন্নত রয়েছে। ২৬ অক্টোবর বাসায় ফেরার পর থেকে নতুন কোনও উপসর্গ দেখা দেয়নি। পরিবারের ঘনিষ্ঠ সূত্র জানায়, খালেদা জিয়া বর্তমানে বাসায় থাকলেও পরিবারের বেশিরভাগ সদস্য দেশের বাইরে রয়েছেন। বর্তমানে শামীম ইস্কান্দারের পরিবার রয়েছে তার দেখাশোনায়।
৩০ জানুয়ারি ২০২৪, ০২:২৪

আগের মন্ত্রণালয়ে বহাল যারা
বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ৫ম বার সরকার গঠন করল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। নতুন সরকারের জন্য ৩৬ সদস্যের মন্ত্রিসভা গঠন করা হয়েছে। মন্ত্রিসভার ৩৬ সদস্যের মধ্যে আগের মন্ত্রিসভা থেকে ১৭ জনকে নেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে একই মন্ত্রণালয় ও বিভাগে রাখা হয়েছে ১৫ জনকে। আর দুইজন পেয়েছেন নতুন মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের দায়িত্ব বণ্টন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। আগের মন্ত্রণালয়ে বহাল যারা : মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে আ ক ম মোজাম্মেল হক, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে ওবায়দুল কাদের, আইন মন্ত্রণালয়ে আনিসুল হক, শিল্প মন্ত্রণালয়ে নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আসাদুজ্জামান খান, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে মো. তাজুল ইসলাম, খাদ্য মন্ত্রণালয়ে সাধন চন্দ্র মজুমদার, ধর্ম মন্ত্রণালয় ফরিদুল হক খান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে ইয়াফেস ওসমান (টেকনোক্র্যাট), জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে ফরহাদ হোসেন ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মহিবুল হাসান চৌধুরীকে। এছাড়া প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে- বিদ্যুৎ বিভাগে নসরুল হামিদ, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে জুনাইদ আহমেদ পলক এবং জাহিদ ফারুককে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়েই রাখা হয়েছে। নতুন মন্ত্রণালয় পেলেন যারা: তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী মোহাম্মদ হাছান মাহমুদকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনিকে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী করা হয়েছে।   দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২২২ আসনে জয়লাভ করে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। গতকাল ১০ জানুয়ারি শপথ নেন নতুন সংসদ সদস্যরা। শপথ নেওয়ার পর আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যরা সর্বসম্মতিক্রমে দলীয় সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তাদের সংসদীয় দলের নেতা নির্বাচিত করেন। সংসদ নেতা হওয়ার পর বুধবার( ১০ জানুয়ারি) বিকেলে সংসদ সদস্যদের আস্থাভাজন ব্যক্তি হিসেবে শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। শেখ হাসিনাকে নতুন সরকার গঠনের আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। এরপর প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রিসভা গঠন এবং বুধবার সন্ধ্যায় মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের তালিকা নিয়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করেন। প্রধানমন্ত্রী গঠিত মন্ত্রিসভায় সম্মতি জ্ঞাপন করেন রাষ্ট্রপতি। পরে মন্ত্রিসভার ওই তালিকা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হয়। বুধবার রাতে সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত এক ব্রিফিংয়ে তালিকায় থাকা ২৫ মন্ত্রী ও ১১ প্রতিমন্ত্রীর নাম প্রকাশ করেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেন। ওই তালিকার কপি তিনি সাংবাদিকদের কাছে হস্তান্তর করেন। বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) বিকেলে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ৩৬ জন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীকে নিয়োগ দিয়েছেন মর্মে প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। প্রসঙ্গত, গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিসহ ২৮টি রাজনৈতিক দল অংশ নেয়। দেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি ও তাদের জোটসঙ্গীরা নির্বাচনে অংশ নেয়নি। তারা শেখ হাসিনার পদত্যাগ এবং নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ২৯৯টি আসনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে একটি আসনের ফল স্থগিত রাখা হয়েছে। বাকি ২৯৮টি আসনের ফলাফল প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। এর মধ্যে ২২২ আসনে জয় পায় আওয়ামী লীগ। জাতীয় পার্টি পায় ১১টি আসন। বাকি ৬৫ আসনের মধ্যে ৬২টিতে জয় পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।  আর একটি করে আসন পেয়েছে জাসদ, ওয়ার্কার্স পার্টি ও কল্যাণ পার্টি।
১২ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:২৬

২ হাজার ৯৬৪ কেন্দ্রে ভোটের আগের দিন যাবে ব্যালট পেপার
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২ হাজার ৯৬৪ কেন্দ্রে ভোটের আগের দিন ব্যালট পেপার পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) নির্বাচন কমিশনের উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত এক নির্দেশনায় এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অধিকতর নিরাপত্তার জন্য ভোটগ্রহণের দিন সকালে ভোটকেন্দ্রে ব্যালট পেপার পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছিল। সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারের চাহিদার প্রেক্ষিতে পার্বত্য জেলা, উপকূলীয় এলাকা, দ্বীপ, চর অঞ্চল, নদী পরিবেষ্টিত দুর্গম এলাকা বিবেচনায় পরিশিষ্ট-ক তালিকায় বর্ণিত ২ হাজার ৯৬৪টি ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণের পূর্বের দিন নির্বাচনী মালামালসহ ব্যালট পেপার প্রেরণের বিষয়ে নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত প্রদান করেছেন। এ ছাড়াও ভোটগ্রহণের দিন সকালে ব্যালট পেপার বিতরণের সময় যতদূর সম্ভব পর্যাপ্ত প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার কর্মীদের উপস্থিতিতে ব্যালট পেপার হস্তান্তরের ব্যবস্থা করতে হবে বলে নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়। এবার সংসদ নির্বাচনে মোট কেন্দ্র ৪২ হাজার ২৫টি। এর মধ্যে ৩৯ হাজার ৬১ কেন্দ্রে ভোটের দিন সকালে ব্যালট পেপার যাবে। উল্লেখ্য, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সারাদেশে ভোটারের সংখ্যা মোট ভোটার ১১ কোটি ৯৬ লাখ। এর মধ্যে নতুন ভোটার ১ কোটি ৫৪ লাখ ৫২ হাজার। মোট ভোটারের মধ্যে পুরুষ ৬ কোটি ৭৬ লাখ ও নারী ৫ কোটি ৮৯ লাখ। আর ট্রান্সজেন্ডার ভোটার ৮৪৯ জন।
০৫ জানুয়ারি ২০২৪, ০৭:১৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়