‘অর্থবছরের শেষে রিজার্ভ আগের অবস্থানে ফিরে আসবে’
অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেছেন, মূল্যস্ফীতির চলমান চাপ চলতি অর্থবছরের শেষ নাগাদ সহনীয় পর্যায়ে নেমে আসবে। এ সময় প্রবাসী আয়ও বাড়বে এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দ্রুত আগের শক্ত অবস্থানে ফিরে আসবে।
বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই–সেপ্টেম্বর) বাজেট বাস্তবায়ন অগ্রগতির প্রতিবেদন তুলে ধরতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, সরকার ইতোমধ্যে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়াতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। তাই বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ খুব দ্রুতই আগের শক্ত অবস্থানে ফিরে আসবে।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানিসহ বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি এবং বৈদেশিক মুদ্রার হারের দ্রুত পরিবর্তনের পরিপ্রেক্ষিতে দেশে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে মূল্যস্ফীতির চাপ অনুভূত হচ্ছে। তবে মূল্যস্ফীতির বর্তমান চাপ চলতি অর্থবছরের শেষ নাগাদ সহনীয় পর্যায়ে নেমে আসবে বলে আশা করা যায়।
তিনি আরও বলেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করে এসেছে। আরও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক মনিটরি টার্গেটভিত্তিক মুদ্রানীতি থেকে সরে এসে সুদহার লক্ষ্যভিত্তিক মুদ্রানীতি বাস্তবায়নে এগিয়ে যাচ্ছে। নীতি সুদহার বেশ কয়েক দফায় বাড়ানো হয়েছে এবং ঋণের সুদহারের ঊর্ধ্বসীমা তুলে দেওয়া হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিক (জুলাই–সেপ্টেম্বর) শেষে রপ্তানি বৃদ্ধি, আমদানি ব্যয় হ্রাস এবং প্রবাসী আয় বৃদ্ধি পাওয়ায় চলতি হিসাব ভারসাম্য ধনাত্মক ছিল। তবে ফাইন্যান্সিয়াল একাউন্টে ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধির কারণে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২০২৩ সালের ৩০ জুনের তুলনায় কমেছে।
মন্তব্য করুন