• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
বাজার ও রাস্তার স্বস্তি নিয়ে স্বজনদের কাছে ছুটছে মানুষ
আর কয়েকদিন পরেই পবিত্র ঈদ উল ফিতর। দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পর মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পালন করবে গোটা বিশ্ব।  ঈদকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে শহর ছেড়ে বাড়ির পথে মানুষ। ঊর্ধ্বমুখী বাজার থেকে কিছুটা স্বস্তি নিয়েই অনেকটা আরামেই এবারের ঈদযাত্রা। একদিকে সরকারের নানা উদ্যোগে কমেছে নিত্যপণ্যের দাম আবার অন্যদিকে সড়ক মহাসড়কে নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরছেন সাধারন মানুষ। তাই এখন কারই তেমন কোন অভিযোগ নেই।  এবার ঈদের পরপরই পহেলা বৈশাখ। সব মিলিয়ে ৫-৬ দিনের ছুটি পাবে দেশবাসী। ছুটি শুরুর এক সপ্তাহ আগে থেকেই গ্রামে ফিরতে শুরু করবে ঢাকাবাসী। তাছাড়া ছুটি শেষে স্কুল-কলেজ খুলবে ঈদের ১০-১২ দিন পর। ফলে ঈদের পর ঢাকার স্বাভাবিক চিত্র ফিরে আসতে কিছুটা সময় লাগবে। ঈদের ছুটিতে বাড়ি যাওয়ার আগেই কম দামে নিত্য পণ্য মিলছে বাজারে। কমেছে সবজি এবং মসলার দাম।  রাজধানীর বিভিন্ন  কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, শাকসবজি, পেঁয়াজ ও ফলমূলসহ স্থানীয় মৌসুমি ফলের দাম নিম্নমুখী। প্রায় সব সবজির দাম কমলেও ঢেঁড়স, সজিনা, মটরশুঁটি ও করলার মতো নতুন সবজি কেজিপ্রতি ৬০ থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এগুলোর দামের কোনো পরিবর্তন দেখা যায়নি। তবে বেগুনসহ অন্যান্য সবজি ৩০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। লাউ, চালকুমড়া ও ফুলকপি প্রতি পিস ৪০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।   মানভেদে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৩০ থেকে ৬০ টাকা, রসুন ১৮০ থেকে ২৫০ টাকা, আদা ২০০ থেকে ২৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ডিমের দাম কিছুটা কমিয়ে প্রতি ডজন বাদামি ডিম ১৩০ টাকা, হাঁসের ডিম প্রতি হালি ৭০ টাকা এবং গৃহপালিত মুরগির ডিম প্রতি হালি ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে ব্যাপকভাবে কমে গেছে তরমুজের দাম। সবচেয়ে ভালো মানের তরমুজ প্রতি কেজি ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আকার এবং মানের ভিত্তিতে প্রতি পিস আনারস ২০ থেকে ৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।  পেয়ারা ৫০ থেকে ৭০ টাকা, পাকা পেঁপে যা রমজানের প্রথম সপ্তাহে ২০০ টাকা বা তার বেশি দরে বিক্রি হচ্ছিল, তা ১০০ থেকে ১৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আপেল, মাল্টা, কমলা ও নাশপাতি ২৬০ থেকে ৩৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। চলতি রমজানের প্রথম ২ সপ্তাহে এই ফলগুলো ৩৬০ থেকে ৩৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতো।    কাঁচাবাজারে চাল, ভোজ্যতেল, চিনি, গম ও আটার দাম অপরিবর্তিত থাকলেও গরু ও মুরগির মাংস এবং মাছের দামে কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে।  বিক্রেতারা জানান, রমজান মাসের শুরুর দিকে লেবু যেখানে ১০০ টাকা পর্যন্ত হালি বিক্রি হয়েছে সেই লেবু এখন বিক্রি হচ্ছে ২০-৩০ টাকা হালি। এছাড়া আলুর দাম সামান্য বেড়েছে। বর্তমানে আলু প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০-৪৫ টাকায়। তবে কিছুটা স্বস্তি এসেছে পেঁয়াজের বাজারে। কেনা যাচ্ছে ৫৫-৬০ টাকা কেজিতে। অথচ রোজার আগেও পেয়াজের কেজি বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ১৩০ টাকা। এছাড়া আটা, ময়দা, চিনি, সয়াবিন তেল ও চালের দাম অপরিবর্তিত আছে।   অতীতের রেকর্ড ভেঙে গত ছয় থেকে সাত মাস আগে জিরার দাম ওঠে কেজিপ্রতি এক হাজার ২০০ টাকায়। তবে বর্তমানে দেশের বাজারে পণ্যটির দাম নেমে এসেছে কেজিপ্রতি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকার ঘরে।জিরার পাশাপাশি দেশি পেঁয়াজ, দেশি রসুন, শুকনা মরিচ, হলুদসহ কয়েকটি মসলার দামও কমেছে। লবঙ্গের দাম মাঝে বেড়ে গেলেও এখন আবার কমে গেছে। এলাচ ও দারচিনির বাজারে কোনো পরিবর্তন নেই। আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। নিত্যপণ্যের বাজারের পর স্বস্তির দেখা মিলছে ঈদ যাত্রায়ও। দেশের বিভিন্ন মহাসড়কে নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরছেন ঈদে ঘরমুখো মানুষ। এ নিয়ে স্বস্তি এবং সন্তোষ প্রকাশ করেছেন অনেকেই। ঈদযাত্রার এই সময়ে আগে উত্তরের পথে যানজট লেগে থাকতো। কিন্তু এবার ঈদযাত্রায় এখনও কোথাও যানজটের সৃষ্টি হয়নি। তবে ক্রমেই গাড়ির চাপ বাড়ছে। স্বাভাবিক গতিতে যানবাহন চলাচল করছে। যানজট নিরসনে মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে প্রায় সাত শতাধিক পুলিশ কাজ করছে।  বগুড়াগামী হানিফ পরিবহনের যাত্রী সিদ্দিক বলেন, পরিবারের সঙ্গে একত্রে ঈদ উদযাপন করতে বাড়িতে যাচ্ছি। এবার অল্প সময়েই ঢাকা থেকে টাঙ্গাইল পর্যন্ত এসেছি। সড়কে কোথাও যানজট পাইনি।  লিটন নামে এক বাসযাত্রী বলেন, গাবতলী থেকে বাসে রওনা হয়েছি। সড়কের কোথাও যানজটে আটকে থাকতে হয়নি। আশা করছি রংপুরে যানজট ছাড়াই পৌঁছাতে পারবো। এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মীর মোহাম্মদ সাজেদুর রহমান বলেন, রাতে গাড়ির কিছুটা চাপ ছিল। সে তুলনায় বর্তমানে চাপ কমই রয়েছে। স্বাভাবিক গতিতে যানবাহন চলাচল করছে। আশা করছি, ঘরমুখো মানুষ নির্বিঘ্নে তাদের গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবে। অন্যদিকে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমবঙ্গের প্রবেশদ্বার পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তের টোল প্লাজায় বাড়তি গাড়ি দেখা গেলেও নেই অতিরিক্ত চাপ। পথে যানজট বা গাড়ি চলাচলে ধীরগতি নেই। নির্বিঘ্নে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক্সপ্রেসওয়ে হয়ে পদ্মা সেতু পাড়ি দিচ্ছে যানবাহনগুলো। তবে দূরপাল্লার গণপরিবহনের চেয়ে ব্যক্তিগত গাড়ি বেশি দেখা গেছে। পদ্মা সেতুর সাইট অফিসের অতিরিক্ত পরিচালক মো. আমিরুল হায়দার চৌধুরী জানান, তেমন চাপ নেই। কোথাও কোনও বিড়ম্বনা নেই। মানুষ সহজেই পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়ে বাড়ি ফিরছেন।  এদিকে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কে বেশ চাপ দেখা গেছে। কুমিল্লা বাস মালিক সমিতির কার্যকরী সভাপতি মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, মহাসড়কে যানজট নেই। তবে কয়েকগুণ চাপ বেড়েছে। এই চাপ ঈদ পর্যন্ত হয়তো আরও বাড়বে। আমরা হাইওয়ে পুলিশ ও সড়ক বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করছি৷ আশা করি এ বছরও মানুষের যাত্রা নির্বিঘ্ন হবে। হাইওয়ে কুমিল্লা রিজিয়নের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. খাইরুল আলম বলেন, আমাদের এআই ক্যামেরা আছে। পুলিশ মাঠে কাজ করছে। আমরা সার্বক্ষণিকভাবে মহাসড়কে নজর রাখছি। এখনও কোথাও যানজটের কোনও সম্ভাবনা নেই। দুর্ঘটনা ঘটলে আমাদের তাৎক্ষণিক রেসপন্স টিম আছে, রেকার আছে, অ্যাম্বুরেন্স আছে সর্বোপরি আমাদের হাইওয়ে পুলিশ ২৪ ঘণ্টা মাঠে আছে। সবাই নিয়ম মেনে চললে এবং সবার সহযোগিতা থাকলে ভালো একটা ঈদযাত্রা উপহার দিতে পারবো আমরা। এছাড়া ঈদ যাত্রায় স্বস্তির কোথা জানিয়েছেন ট্রেন যাত্রীরাও। গত ৩ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে ট্রেনে ঈদের বাড়ি ফেরার চাপ। সেসময় দেখা গেছে ভোগান্তিহীনভাবেই যাত্রা শুরু হয়েছে ঘরমুখো মানুষের। অন্যান্য বারের মতো স্টেশনে উপচে পড়া ভিড় বা সিডিউল বিপর্যয় নেই। কমলাপুর থেকে নির্ধারিত সময়েই ছেড়ে যাচ্ছে ট্রেন।    কমলাপুরে যাত্রীদের নিরাপত্তায়ও নেওয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। পজ মেশিন দিয়ে টিকিট ভেরিফাই করে তারপর প্ল্যাটফর্মে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে। প্ল্যাটফর্মে বিনা টিকিটের যাত্রী প্রবেশ রোধ করতে স্কাউট এবং রেড ক্রিসেন্টের সদস্যরাও কাজ করছেন। যাত্রীরা বলছেন, শেষ পর্যন্ত এই প্রক্রিয়া অনুসরণ করলে ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন হবে।  একতা এক্সপ্রেসের যাত্রী ফারহান জনি বলেন, অনলাইনে টিকিট পেতে একটু ঝামেলা হলেও স্টেশনে এসে কোনও ভোগান্তিতে পড়তে হয়নি। যথা সময়েই প্ল্যাটফর্মে ট্রেন এসেছে। এছাড়া টিকিটবিহীন যাত্রীরা স্টেশনে প্রবেশ করতে না পারায় ভিড়ও কম।  বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) সরদার সাহাদাত আলী বলছেন, ঈদযাত্রায় ট্রেনের বিলম্ব সহনীয় পর্যায়ে রাখার চেষ্টা করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। যেসব ট্রেনের সময়সূচিতে বিলম্ব আছে, সেগুলোকে প্রতি ঘণ্টায় মনিটরিং করা হচ্ছে। বিশেষ কোনও ঘটনা না ঘটলে আমাদের যে ব্যবস্থাপনা আছে, তাতে সব ট্রেন সঠিক সময়ে চালানোর ব্যবস্থা করতে পারবো।
০৬ এপ্রিল ২০২৪, ২১:১১

ভুল চিকিৎসায় প্রসূতির মৃত্যু, রোগীর স্বজনদের মারধরের অভিযোগ
কোটালীপাড়ায় ভুল চিকিৎসায় আফরোজা বেগম (২০) নামে এক প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় রোগীর স্বজনরা প্রতিবাদ করলে ক্লিনিক মালিকের লোকজন রোগীর স্বজনদের মারধর করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) শুয়াগ্রাম ইউনিয়নের নারায়ণ খানা বাজারের ইউনাইটেড হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে। প্রসূতি আফরোজা বেগম উপজেলার শুয়াগ্রাম ইউনিয়নের কালারবাড়ি গ্রামের জাহিদুল ইসলাম খানের স্ত্রী। নিহতের মা মনিকা বেগম বলেন, ওইদিন সকালে তিনি মেয়েকে নিয়ে ওই ক্লিনিকে ভর্তি করেন। দুপুরে ডাক্তাররা অপারেশন রুমে নিয়ে যায়। প্রায় দুই ঘণ্টা পরে তারা জানায় তার মেয়ে ও তার গর্ভের সন্তান মারা গেছে। তিনি বলেন, আমার মেয়ে মারা যায়নি; তাকে ও তার সন্তানকে ডাক্তাররা মেরে ফেলেছে।  তিনি আরও বলেন, এ ঘটনার প্রতিবাদ জানালে ক্লিনিকের লোকজন আমাদেরকে মারধর করেছে। আমরা এর বিচার চাই।  ইউনাইটেড হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক ডাক্তার জাহিদ হোসেন রিন্টু বলেন, সকালে ওই প্রসূতি নারী ভর্তির পর আমরা তাকে স্যালাইন দিই। দুপুরে কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ডাক্তার প্রভাষ মণ্ডল ও আমি তাকে অস্ত্রোপচার কক্ষে নিয়ে যাই। এরপর রোগীটি হার্ট অ্যাটাক করে মারা যান। নাম প্রকাশ না করার শর্তে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের এক চিকিৎসক বলেন, প্রভাষ মণ্ডল অ্যানেসথেশিয়ার ডাক্তার না। তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের একজন মেডিকেল অফিসার। তার ভুলের কারণে ওই রোগীর মৃত্যু হতে পারে। ডাক্তার প্রভাষ মণ্ডল বলেন, অস্ত্রোপচার কক্ষে নিয়ে আমরা চিকিৎসা শুরু করার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। সঠিক তদন্ত করলে প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে। কোটালীপাড়া থানার ওসি মুহাম্মদ ফিরোজ আলম বলেন, এ ঘটনায় মৃত আফরোজা বেগমের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ দিলে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 
১৫ মার্চ ২০২৪, ১৫:১০

উদ্বিগ্ন স্বজনদের যা বলছেন জিম্মি জাহাজের মালিকপক্ষ
ভারত মহাসাগরে জলদস্যুদের হাতে জিম্মি ‘এমভি আবদুল্লাহ’ জাহাজের চতুর্থ প্রকৌশলী তানভীর তাকে উদ্ধারের জন্য মা জোছনা বেগমের কাছে আকুতি জানিয়েছেন। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) রাত ৮টায় সর্বশেষ মোবাইলে তানভীর মাকে বলেন, ‘আম্মু, ওরা মোবাইল নিয়ে নিচ্ছে। এখনও ইফতার করি নাই। তারা খাবার দিলে ইফতার করব। কবির গ্রুপের চাচার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। যেভাবেই হোক, আমাদের ছাড়ানোর ব্যবস্থা করেন, আম্মু।’ ছেলের চিন্তায় জোছনা বেগম বুধবার (১৩ মার্চ) সকালে ছুটে আসেন চট্টগ্রামের আগ্রাবাদে কবির গ্রুপের কার্যালয়ে। জাহাজটির মালিকপক্ষ কেএসআরএম কর্তৃপক্ষের কাছে জোৎস্না বেগম কাঁদছেন আর বলছেন, ‘আমার মানিক কোথায়? তারে আমার সামনে আনেন। আমি আমার মানিকরে বুকে নেব।’  এ সময় কেএসআরএমের অফিসে তার পাশেই ছিলেন জিম্মি হওয়া নাবিকদের আরও অন্তত এক ডজন স্বজন।  কেএসআরএম গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছি। জলদস্যুদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছি। তারা এখনও কোনো যোগাযোগ করেনি। সাধারণত দু-তিন সপ্তাহ সময় নিয়ে যোগাযোগ করে তারা। আমরা ২৩ নাবিকের সবাইকে নিরাপদে ফিরিয়ে আনতে যা যা করার দরকার সব করব।’ প্রিন্সিপাল অফিসার ক্যাপ্টেন সাব্বির মাহমুদ বলেন, ‘জাহাজের ডেক ক্যাডেটের কাছ থেকেই জলদস্যু আক্রমণ হওয়ার কথা প্রথম জানতে পারি আমরা। পরে তার সঙ্গে কথা হয়েছে জাহাজটির মালিকপক্ষেরও।’ বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘জাহাজের ডেক ক্যাডেট হোয়াটসআপে মেসেজটি পাঠান আমাদের সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক ইফতেখারুল আলমের কাছে। তিনি জাহাজ নিয়ে দক্ষিণ চায়নাতে রয়েছেন। মেসেজটি তিনি আমাদের সভাপতির কাছে ফরোয়ার্ড করেছেন। এর পরে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে চিফ ইঞ্জিনিয়ার আরেকটি মেসেজ দিয়েছেন মালিকপক্ষের প্রধান নিবার্হীর কাছে। সেখানে তারা নিরাপদে আছেন বলে জানিয়েছেন। জাহাজটি জলদস্যুরা সোমালিয়া উপকূলের দিকে নিয়ে যাচ্ছিল। আজ সকালে সোমালিয়ার উপকূল থেকে এটি প্রায় ৩০০ নটিক্যাল মাইল দূরে ছিল।’
১৩ মার্চ ২০২৪, ১৬:৩২

আসিফের মৃত্যুতে বাড়িতে চলছে স্বজনদের আহাজারি
রাজধানীর বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহত আরিফুর রহমান আসিফের বাড়ির নোয়াখালীর সেনবাগে ডমুরুয়া ইউনিয়নের মইশায় পশ্চিম পাড়া কালাম মেম্বার বাড়ি। তিনি ওই বাড়ির মৃত আবুল খায়েরের ছেলে। তারা ৫ ভাই এর মধ্যে তিনি ছিলেন সবার ছোট। ঢাকার শান্তিনগরে একটি গ্রিল ওয়ার্কশপে শ্রমিক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ঘটনার দিন তিনি হোটেলে কাজ করার জন্য গিয়েছিলেন।  নিহত আসিফের ফুফাতো ভাই মো. নুরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, নিহতের মরদেহ বাড়ি আসার পথে আমরা দাফনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। খবর পাওয়ার পর থেকে বাড়িতে চলছে স্বজনদের আহাজারি। তিনি জানান, নিহতের লাশ ঢাকা থেকে অ্যাম্বুলেন্সে বাড়ি আসতাছে। আমরা দাফনের জন্য বাড়ির সামনে তাকিয়া জামে মসজিদের পাশে কবর করা হয়েছে। শতশত নারী পুরুষ আরিফুর রহমান আসিফকে শেষবারের মতো এক নজর দেখার জন্য ওই বাড়িতে ভিড় করেছেন। নিহত আসিফের পিতা-মাতা না থাকলেও বাড়ির ও প্রতিবেশীদের আহজারিতে চলছে শোকের মাতম।
০১ মার্চ ২০২৪, ১৯:০৫

স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর শুরু
রাজধানীর বেইলি রোডের লাগা আগুনে মৃতদের মরদেহ একে একে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হচ্ছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) মর্গে রাখা এসব মরদেহ স্বজনদের বুঝি দেওয়া হচ্ছে। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যাচাই-বাছাই শেষে মরদেহ হস্তান্তর করছে পুলিশ। স্বজনদের কাছে মরদেহ বুঝিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে রক্তের সম্পর্ক আছে এমন ব্যক্তি বা নিকটাত্মীয়দের ডাকা হচ্ছে। জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাই করে মরদেহ বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সরেজমিনে দেখা যায়, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গ ও জরুরি বিভাগের সামনে মরদেহ বুঝে নিতে অপেক্ষায় রয়েছেন স্বজনরা । অনেকেই মরদেহ নিতে অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে রেখেছেন। শুক্রবার (১ মার্চ) ভোর ৫টা ৪০ মিনিটের দিকে প্রথমে একটি মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর অ্যাম্বুলেন্সে মরদেহ নিয়ে স্বজনরা ঢামেক হাসপাতাল ত্যাগ করেন। এর কয়েক মিনিট পর আরেকটি মরদেহ বুঝে নেন স্বজনরা। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টা ৫০ মিনিটে বেইলি রোডের কেএফসি ভবনের পাশে কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টের ভবনে আগুন লাগে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে ফায়ার সার্ভিসের মোট ১৩টি ইউনিট। আগুনের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
০১ মার্চ ২০২৪, ১২:০৩

স্বজনদের আহাজারিতে ভারী ঢাকা মেডিকেল এলাকা
রাজধানীর বেইলি রোডে আগুনে আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হচ্ছে। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের পর্যবেক্ষণ কক্ষে আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা চলছে। কক্ষের বাইরে দগ্ধদের স্বজনদের আহাজারি করতে দেখা গেছে। এ এক হৃদয় বিদারক দৃশ্য। দ্রুতবেগে ছুটছে একের পর এক অ্যাম্বুলেন্স৷ আহতদের নিয়ে ফিরছে হাসপাতালে। সবাই চিন্তিত, সবার চোখে পানি। চারদিকে মানুষের কান্নার শব্দ ভেসে আসছে। শুক্রবার (১ মার্চ) ভোর ৫টা ২০ মিনিটে সরেজমিনে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গ ও জরুরি বিভাগের সামনে দেখা যায়,  রদেহ নিতে স্বজনরা অপেক্ষা করছেন। এসময় অনেকেই কান্নায় ভেঙে পড়ছেন। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের পাশেই অস্থায়ী তথ্য ও সেবাকেন্দ্র খোলা হয়েছে।স্বজনরা পূর্ণ ঠিকানাসহ অন্যান্য কাগজপত্র জমা দিয়ে মরদেহ বুঝে নেওয়ার অপেক্ষা করছেন। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে বেইলি রোডের একটি বহুতল ভবনের দ্বিতীয় তলায় আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। সর্বশেষ রাজধানীর বেইলি রোডের কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে লাগা আগুনে নারী, পুরুষ ও শিশুসহ ৪৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। গণমাধ্যমকে ৪৩ জনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। তিনি বলেন আগুনের ঘটনা পর্যবেক্ষণ করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ২টার দিকে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। আর পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল ফারুক সাংবাদিকদের জানান, এই অগ্নিকাণ্ডে রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে আরও একজন মারা গেছেন।
০১ মার্চ ২০২৪, ১২:০৫

বেইলি রোডে মানুষের ভিড়, স্বজনদের খুঁজছেন অনেকে
‘বাপরে তুই কেন আইলি, আমারে জানাইলি না কেন, আমিও তোর সঙ্গে আইতাম’ এভাবেই বিলাপ করছিলেন মধ্য বয়সী এক নারী। অঝোরে কাঁদতে কাঁদতে সামনে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন তিনি। কারো সঙ্গে কথা না বলে একা একা কেঁদে কেঁদে বলছিলেন এসব কথা। জানা গেছে, আজ কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টের ভবনে কাজ করেন তার ছেলে সোহাগ। আগুন লাগার পর থেকে স্ত্রীর ফোন বন্ধ পাচ্ছেন তারেক আহমেদ। তাই উদ্বিগ্ন হয়ে খোঁজ নিতে বেইলি রোডে এসেছেন তিনি। বান্ধবীদের নিয়ে বেইলি রোড কাচ্চি ভাই রেস্তোরাঁয় খেতে এসেছিলেন তার স্ত্রী। তিনি বলেন, আমাদের বাসা মতিঝিল এজিবি কলোনিতে। আমার স্ত্রী তার বান্ধবীর সঙ্গে খেতে এসেছিলেন। আগুন লাগার পর থেকে তার বন্ধ পাচ্ছি। তারেক আহমেদের স্বজনের খোঁজে বেইলে রোডে আসছেন অনেকেই। কান্নাকাটি করতেও দেখা গেছে অনেককে। ঘটনাস্থলে ছিল অতিরিক্ত উৎসুক মানুষের ভিড়। মানুষের উপস্থিতিতে উদ্ধার কাজ বিঘ্নিত হওয়ায় ভবনটির সামনে থেকে সবাইকে সড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে পুলিশ। তবে বারবার চেষ্টা করেও তারা ব্যর্থ হয়।  উৎসুক মানুষের ভিড় দেখা যায় পুরো বেইলি রোডে। ঘটনার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিট। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টা ৫০ মিনিটে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি কাজ করছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি), বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্য, র‌্যাব, বিজিবি, স্বেচ্ছাসেবক ও স্থানীয়রা। এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গেছেন এলাকার সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। সর্বশেষ রাত সাড়ে তিন টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ৪৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে ৭৫ জনকে।
০১ মার্চ ২০২৪, ০৩:৫০

প্রসূতির মৃত্যু, স্বজনদের মানববন্ধনে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের হামলা
পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার আলো জেনারেল হাসপাতালের বিরুদ্ধে ভুল চিকিৎসায় প্রসূতি রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। প্রতিবাদে স্বজনদের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ চলাকালে হামলা ও মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে হাসপাতালটি সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করেছে পাবনার সিভিল সার্জন। বুধবার (১০ জানুয়ারি) ঈশ্বরদী হাসপাতাল রোডে আলো জেনারেল হাসপাতালের সামনে এই মানববন্ধন ও বিক্ষোভের ঘটনা ঘটে। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ জানুয়ারি ঈশ্বরদী পৌর এলাকার ফজলে রাব্বির গর্ভবতী স্ত্রী অন্তরা খাতুনকে আলো জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। একই দিন সন্ধ্যায় হাসপাতালের স্বতাধিকারী ডা. মাসুমা আঞ্জুমা ডানা এবং তার স্বামী ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শফিকুল ইসলাম শামীমের তত্ত্বাবধানে সিজারিয়ান অপারেশন করা হয়। অপারেশনের পরপরই রোগীর অবস্থা আশঙ্কজনক হওয়ার হাসপাতালের গাড়িতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পথে তার মৃত্যু হয়। স্বজনদের অভিযোগ, অ্যানেস্থেসিয়া ভালোভাবে করা হয়নি। ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেন নিহতের স্বজনেরা। এ সময় হাসপাতালের এক কর্মচারীর নেতৃত্বে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের লোকজন মানবন্ধনে স্বজনদের ওপর হামলা ও মারধর করেন। পরে ঈশ্বরদী থানা ও ঈশ্বরদী প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেন তারা। রোগীর স্বামী ফজলে রাব্বী ও শাশুড়ি জান্নাতুল ফেরদৌস রুনু বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাদের ওষুধ কিনতে বাইরে যেতে বলেন। এসে দেখি রোগীকে অপারেশন থিয়েটারে (ওটি) নেওয়া হয়েছে। আমাদের ওষুধ না নিয়ে, তাদের ওষুধ দিয়েই রোগীকে অপারেশন করা হয়। অপারেশনেরে পরপরই রোগী বাঁচাও বাঁচাও বলে দুবার চিৎকার দিয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাড়াহুড়ো করে অপারেশন করে অন্যত্র নেওয়ার কথা বলে হাসপাতাল থেকে বের করে দিয়েছে। আমরা রাজশাহীতে নেওয়ার পথে রোগী মারা যায়। এ বিষয়ে অভিযুক্ত ডা. মাসুমা আঞ্জুমা ডানা এবং ডা. শফিকুল ইসলাম শামীমের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের চেম্বারে পাওয়া যায়নি। আলো জেনারেল হাসপাতালের সার্বিক দায়িত্ব থাকার পরিচয় দিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন আব্দুল্লাহ আল মামুন নামে এক কর্মচারী। তিনি বলেন, অভিযোগকারীদের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। তাদের মানববন্ধনে কোনো হামলা করা হয়নি। এ ব্যাপারে ঈশ্বরদী থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিকে অভিযোগের পরপরই হাসপাতালটি সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানান পাবনা সিভিল সার্জন ডা. শহীদুল্লাহ দেওয়ান। তিনি বলেন, মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে হাসপাতালটি সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করতে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছি। এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
১০ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:৪৮

বনানীতে স্বজনদের কবরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শ্রদ্ধা
টানা চতুর্থ মেয়াদে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয় উপলক্ষে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে ’৭৫-এর ১৫ আগস্টে নিহত স্বজনদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন দলটির সভাপতি শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৭টার পর স্বজনদের কবর জিয়ারত ও মোনাজাত করেন তিনি। এরপর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবন পরিদর্শন করার কথা রয়েছে শেখ হাসিনার।   এদিকে, বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস এবং নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় উপলক্ষে বুধবার (১০ জানুয়ারি) সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করবে আওয়ামী লীগ। এতে সভাপতিত্ব করবেন শেখ হাসিনা। উল্লেখ্য, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। নির্বাচনে ২৯৯টি আসনের মধ্যে এখন পর্যন্ত ২৯৮টি আসনের বেসরকারি ফলাফল পাওয়া গেছে। এরমধ্যে আওয়ামী লীগ জয় পেয়েছে ২২৫টি আসনে। এ ছাড়া স্বতন্ত্র ৬১টি এবং জাতীয় পার্টি ১১টি আসনে জয় পেয়েছে। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের অধিকাংশই আওয়ামী লীগের নেতা।
০৯ জানুয়ারি ২০২৪, ০৯:২৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়