• ঢাকা বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১
logo
স্টার সিনেপ্লেক্সের বিরুদ্ধে নির্মাতাদের অভিযোগ
একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে গিয়ে নানা চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয় নির্মাতা ও প্রযোজকদের। সিনেমা নির্মাণের শেষে সেই চ্যালেঞ্জ আরও বড় আকারে দেখা দেয় কেননা সিনেমা প্রদর্শন নিয়ে নানা সময়ই নানা বাধা-বিপত্তিতে পড়তে হয় তাদের। প্রদর্শনের জন্য সঠিক হল বা শো না পেলে অকালমৃত্যু ঘটে অনেক নতুন চলচ্চিত্রের। মহান মে দিবসে (১ মে) ছবি প্রদর্শন নিয়ে স্টার সিনেপ্লেক্সের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন ঈদে মুক্তি পাওয়া তিন ছবির নির্মাতা ।   গত ঈদে ১১টি ছবির মধ্যে ৫ ছবির ফলাফল বেশ ভালো।  ঈদের তিন সপ্তাহ পরেও নির্মাতদের মুখে সেই শান্তির হাসি লক্ষনীয়। এমন সময়ে গত ঈদের অন্যতম সফল তিন সিনেমার (রাজকুমার, দেয়ালের দেশ ও কাজলরেখা) নির্মাতার পক্ষ থেকে উঠেছে কারণ ছাড়াই ‘হাউজফুল’ ছবি নামিয়ে দেয়া হয়েছে। তাদের আলাদা আলাদা প্রতিক্রিয়ায় একটাই অভিযোগ- ৩ মে থেকে দেশের সবচেয়ে বড় মাল্টিপ্লেক্স চেইন স্টার সিনেপ্লেক্স ঈদের সবগুলো সিনেমা নামিয়ে দিচ্ছে তাদের শো-সিডিউল থেকে। বিনিময়ে তুলছে বিদেশি ছবি। প্রমাণপত্র হিসেবে প্রত্যেকেই দিয়েছেন ১ মে’র অনলাইন টিকিটের প্রায় ‘হাউজফুল’ স্ক্রিনশট। ‘রাজকুমার’ নির্মাতা হিমেল আশরাফ বুধবার (১ মে)  দুপুরে এ প্রসঙ্গে বলেন, ঠিক গত সপ্তাহে টিকিট বিক্রিতে ১ নাম্বারে ছিল যেই সিনেমা, সেই সিনেমার কোনও শো পরের সপ্তাহে নেই, ১টা শো-ও না!  ঈদের সবগুলো বাংলা সিনেমা উধাও হয়ে গেল! প্রতিদিন ৫০টার ওপরে শো স্টার সিনেপ্লেক্সের। এর মধ্যে ১টা শো পাওয়ার যোগ্যতা নেই ঈদের কোনও সিনেমার? অথচ আজকে সন্ধ্যার ‘রাজকুমার’ ও ‘কাজলরেখা’র শোর টিকিট অনলাইনে চেক করে দেখেন, ৬০% অলরেডি সোল্ড আউট। এখনও ৪ ঘণ্টা বাকী! আমি আজকে সন্ধ্যার শো স্ক্রিনশট দিলাম যেখানে রাজকুমারের ৮৫% টিকিট সোল্ড আউট।  আগামী শুক্রবার (৩ মে) থেকে বসুন্ধরা স্টার সিনেপ্লেক্সে ৬টা বিদেশি সিনেমা চলবে, যেখানে বাংলা সিনেমা চলবে ১টা। ১৬টা শো বিদেশী সিনেমার, ৪টা শো বাংলা সিনেমার! বাংলাদেশের সিনেমা হল, বাংলাদেশের মানুষই দর্শক, বাংলা সিনেমার দর্শক থাকার পরেও বাংলা সিনেমা নাই! এই দেশের সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি ঘুরে দাঁড়াতে অনেক পথ বাকি, অনেক...। একইভাবে নিজ নিজ ছবির আজকের (১ মে) টিকিট বিক্রির উদাহরণ টেনে কাছাকাছি প্রতিক্রিয়া বা হতাশা ব্যক্ত করেছেন ‘কাজলরেখা’র নির্মাতা গিয়াস উদ্দিন সেলিম এবং ‘দেয়ালের দেশ’ নির্মাতা মিশুক মনি। নির্মাতা গিয়াস উদ্দিন সেলিম  তার ফেসবুকে লিখেন, বসুন্ধরায় আজকের ৪ ৩০ এর  শো। তারপর ও আগামী শুক্রবার থেকে বিদেশি ছবির জন্য কাজলরেখা র কোন শো নাই। কেন? ঈদের অন্য সিনেমা গুলো ও নামিয়ে দেয়া হচ্ছে। অন্তত ৪০% শো বরাদ্দ দেশি সিনেমার জন্য রাখার অনুরোধ করছি। ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করে  ‘দেয়ালের দেশ’ নির্মাতা মিশুক মনি বলেন, বাংলা সিনেমার বিপ্লব ঘটানো নিয়ে অনেক বড় বড় বুলি আওড়াতে দেখি অনেক হল ব্যবসায়ীদের। সেই বিপ্লব ঘটাতে বিদেশী সিনেমার আমদানী শুরু হয়। ব্যবসাও ভাল চলে কিন্তু হলের আর উন্নতি হয়না। ভাঙ্গা সীট বদলে ভাল সীট, ফ্যান, পর্দা ও সাউন্ড সিস্টেমের কিছুরই পরিবর্তন হয়না। আর সিনেপ্লেক্স থেকে একটা টিকেটের কয় ভাগের কত টাকা প্রযোজক পান সেই হিসাব করে কেন কখনও কেউ কথা বলেনি আমি সেটা ভেবেই অবাক হই। যে হারে ভাগ হয় তাতে খুব ভাল চললেও একশো সিনেমার মধ্যে ১/২ টা ছাড়া বাকি সিনেমার টাকা হল থেকে ওঠা সম্ভব না। আজকের সীমান্ত সম্ভার ০৪:৪০ এর Deyaler Desh- দেয়ালের দেশ এর শো'র অগ্রিম টিকিট সেল। রিলিজের পর থেকে দেয়ালের দেশ নিয়ে মানুষের আগ্রহ ও প্রশংসা পুরোটাই অর্গানিক ছিল। সাধারণত বসুন্ধরা শাখায় সবচেয়ে বেশী সেল হয় তবুও গত সপ্তাহে বসুন্ধরা শাখা থেকে কোন অজানা কারণে দেয়ালের দেশ এর শো বন্ধ করা হয়। অদ্ভুত মজার ব্যাপার হচ্ছে সিনেপ্লেক্সের ওয়েব সাইটে সেল রিপোর্ট দেখা যায়, এবং সেখানে রোজ দেখা যাচ্ছিল গত সপ্তাহে দেয়ালের দেশ একাধিক সিনেমার চেয়ে শো কম নিয়েও সেল বেশী। তবুও কি জাদুবলে উইকলি সেল রিপোর্ট তারা পাবলিসড করে সেখানে দেয়ালের দেশকে সেই সকল সিনেমার পেছনে ফেলে যে সিনেমার সেল দেয়ালের দেশ এর চেয়ে কম।  তিনি আরও বলেন, আজকে বসুন্ধরা শাখায় কাজলরেখার শো হাউজফুল তবুও পরবর্তী সপ্তাহ থেকে রাজকুমার, দেয়ালের দেশ, কাজলরেখা, ওমর সহ অন্য সিনেমার শো বন্ধ করে দেন স্টার সিনেপ্লেক্সে। অবস্থাটা এখন এরকম, আমার গরু আমি ঘাস খাওয়াবো নাকি লাঠি চার্জ করবো আমার মর্জি! সিনেমা নিয়ে এত বড় বড় বক্তব্য আপনারা যারা দেন তা স্রেফ ভন্ডামী। ব্যবসাটাই এখানে মুখ্য। বিশ্বকাপ নিয়ে নির্মিত যে চলচ্চিত্র আমদানী করে আনা হলো এবং প্রথম দিনের পরে তার সেল রিপোর্ট দেখেন এবং তৃতীয় সপ্তাহে এসে বাংলা সিনেমার সেল রিপোর্ট দেখেন তাহলে দেখবেন তৃতীয় সপ্তাহে এসেও বাংলা সিনেমা শো সংখ্যা কম নিয়েও নতুন সিনেমার চেয়ে সেল রিপোর্ট বেশী আছে। ঈদের সিনেমা হিসেবে সেল রিপোর্ট এতটাও খারাপ ছিল না যে সবগুলো শো বন্ধ করে দিতে হবে। মিনিমাম শো রাখার যৌক্তিকতা ছিল।  এই মুল্লুকে বাংলা সিনেমার কখনও জয় হয়নি আর আপনারা কথা বলতে না শিখলে কখনও জয় হবেও না। বাংলা সিনেমার কফিনের লাস্ট পেরেক মারতে বাকি। শ্রমিক দিবসের শুভেচ্ছা।  এমন প্রশ্ন কিংবা অভিযোগের জবাবে প্রতিষ্ঠানটির মিডিয়া ও মার্কেটিং বিভাগের সিনিয়র ম্যানেজার মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, প্রথমত আমরাও বাংলাদেশী। এই প্রতিষ্ঠান বিদেশি নয়। এই প্রতিষ্ঠান নিজেরাও বাংলা সিনেমা প্রযোজনা করে। দেশের প্রতিটি সিনেমার প্রতি আমাদের আন্তরিকতা ও সততা রয়েছে সবসময়। দেশের প্রতিটি নির্মাতা-প্রযোজকের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা ও আগ্রহ বরাবরই বেশি। অথচ আজ মে দিবসে যে অভিযোগটি উঠলো স্টার সিনেপ্লেক্সের বিরুদ্ধে, সেটি তুলতে আমরা কেউ একটিবারও ভাবিনি। এটাই আসলে খারাপ লাগার বিষয়।  টানা তিন সপ্তাহ কেন, ছয় সপ্তাহ চালানোর পরেও যদি কোনও সিনেমার দর্শক থাকে, সেটি নামিয়ে দিলে আপত্তি বা অভিযোগ উঠবেই। সেই অভিযোগটাই তুলেছেন নির্মাতারা। কেন নামাতে হচ্ছে ছবিগুলো? এমন প্রশ্নের জবাবে মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, প্রথমে আমি একটু কারেকশন করছি। নতুন সপ্তাহে (৩ মে) আমাদের দুটি নতুন বাংলা সিনেমা উঠছে। একটি ‘শ্যামাকাব্য’ অন্যটি ‘ডেড বডি’। তারমানে বিষয়টি এমন নয়, বাংলা সব ছবি নামিয়ে দিয়ে আমরা সব বিদেশি ছবি তুলছি। আবার এটাও সত্যি, গ্লোবাল সিনেমা চালাতে গেলে বাইরের ছবিগুলোকেও আমাদের নির্দিষ্ট শো দিতে হয়। খেয়াল করবেন, ঈদের তিন/চারদিন আগে আমরা বলিউডের ‘ক্রু’ এনেছি। সেটি ঈদের বাংলা সিনেমার স্বার্থে কিন্তু নামিয়ে ফেলেছি চাঁদরাতেই। এগুলো আসলে এভাবে বলার কথা না আমার। কিন্তু আমাদের পরিস্থিতিটাও তো আপনাদের বুঝতে হবে। সব বাদ দিন, ‘রাজকুমার’, ‘ওমর’, ‘কাজল রেখা’, ‘দেয়ালের দেশ’, ‘লিপস্টিক’ সিনেমাগুলো যদি দর্শক দেখে, সেগুলো নামিয়ে দিলে আমাদের লাভটা কোথায়? হল খালি রাখলে আমাদের কেউ টাকা দেয়? আমরা তো ভাই, দর্শকদের জন্য একটা ছবি চালাই, শো বাড়াই আবার কমাই। ফলে ওনারা কেন মনে করছেন, সিনেমা চলার পরেও আমরা নামিয়ে দিচ্ছি জোর করে? এটা কোনও যুক্তির মধ্যে পড়ে! আমাদের প্রতি তাদের এমন ঠুনকো বিশ্বাস! এই প্রতিদান? বাংলা সিনেমায় স্টার সিনেপ্লেক্সের কোনও অবদান নাই? আমরা এর আগে ‘দেবী’, ‘আয়নাবাজি’, ‘প্রিয়তমা’, ‘পরাণ’, ‘সুড়ঙ্গ’ মাসের পর মাস চালাইনি? শো চালানো মানেই তো আমাদের লাভ।
০১ মে ২০২৪, ১৯:০৯

আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ের গল্প এবার স্টার সিনেপ্লেক্সে!
৩৬ বছরের আক্ষেপ ঘুচিয়ে ২০২২ সালে কাতারে বিশ্বকাপ জিতেছে আর্জেন্টিনা। লিওনেল মেসির সম্ভাব্য শেষ বিশ্বকাপ, প্রথম ম্যাচে হারের পর ঘুরে দাঁড়ানো এবং দীর্ঘ অপেক্ষা এই বিশ্বকাপ জয়কে করেছে বেশ নাটকীয় । বিশ্বকাপ জিতে সর্বকালের সেরাদের কাতারে নাম লিখিয়েছেন মেসি নিজেও। এই বিশ্বকাপকে অনেকেই ফুটবল বিশ্বকাপের সেরা আসর হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। একের পর এক অঘটন আর শেষমেশ মেসির হাতে বিশ্বকাপ, এমন বিশ্ব আসরকে সেরা বলতে বাধ্য যে কেউ। অবিস্মরণীয় এই বিশ্বকাপ নিয়ে এরইমধ্যে নির্মিত হয়েছে বেশ কিছু প্রামাণ্যচিত্র এবং ডকুফিল্ম। যার মধ্যে আলোচিত একটি স্প্যানিশ ভাষায় নির্মিত ডকুফিল্ম ‘মুচাচোস’।  গত ডিসেম্বরে আর্জেন্টিনায় মুক্তি পাওয়া এই ছবি সেখানকার দর্শকদের দারুণ সাড়া পেয়েছে। আর্জেন্টিনার হলগুলোতে ইতিহাসের সবচাইতে বেশি দর্শক এটি দেখেছে বলে জানা গেছে।  ছবিটি এবার বাংলাদেশের দর্শকদের জন্য নিয়ে আসছে স্টার সিনেপ্লেক্স । স্প্যানিশ পরিচালক জেসাস ব্র্যাসেরাস নির্মাণ করেছেন ১০০ মিনিট দৈর্ঘ্যর এই ডকুফিল্ম। আগামী শুক্রবার থেকে চলবে ঢাকা, রাজশাহী ও চট্টগ্রামের স্টার সিনেপ্লেক্সের শাখাসমূহে।
২২ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:৪১

প্রীতি উরাংয়ের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনার দ্রুত তদন্ত দাবি
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে গত ৬ ফেব্রুয়ারি  আদিবাসী শিশু প্রীতি উরাংয়ের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দেশের ১১৭ জন নাগরিক। এ ঘটনায় পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা এবং কয়েকটি গণমাধ্যমের পক্ষপাতমূলক আচরণের বিষয়ে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন তারা। ডেইলি স্টার কর্তৃপক্ষের কাছে একাধিক গুরুতর অপরাধ বিশেষত কন্যা শিশুকে কাজে নিয়োগ করা এবং নির্যাতনের অভিযোগে অভিযুক্ত তাদের নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল হকের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি জানিয়েছেন তারা। সেইসাথে সরকারের কাছে বিষয়টিকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে ঘটনার নিরপেক্ষ, দ্রুত ও সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীদের বিচার সম্পন্ন  করার দাবি জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো ১১৭ বিশিষ্ট নাগরিকের বিবৃতিতে বলা হয়- বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে আমরা জানতে পারি, গত ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ তারিখ ঢাকার মোহম্মদপুরে ইংরেজি দৈনিক ‘দ্যা ডেইলি স্টার’-এর নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল হকের বাসায় ১৩ বছর বয়সী শিশু (সাত বছরে স্কুল ছাড়ার বিবেচনায়) প্রীতি উরাং কর্মরত ছিল। অভিযোগ রয়েছে আশফাকুল হকের স্ত্রী তানিয়া হক প্রায়ই তার বাসায় কর্মরত গৃহকর্মীদের মারধর করতেন। সর্বশেষ প্রীতিকে আট তলা থেকে ফেলে দিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে। প্রীতির বাবা অভিযোগ করেছেন, ওই গৃহে কাজ করার সময় সৈয়দ আশফাকুল হকের পরিবার প্রীতিকে মা-বাবার সঙ্গে কথা বলতে দিত না। শিশুটি পড়ে যাবার আগে প্রাায় ১৩ মিনিট ঝুলে ছিল এবং বাঁচার আকুতি জানিয়েছিল। কিন্তু আশফাকুল হকের বাসা থেকে কেউ তাকে সাহায্য করেনি। আশ-পাশের মানুষজন সাহায্যের জন্য এগিয়ে যেতে চাইলেও ওই বাড়ির নিরাপত্তারক্ষীরা তাদেরকে ভেতরে ঢুকতে দেয়নি। শিশুটি পড়ে যাওয়ার পরে ওই বাড়ির কেয়ারকেটার তাকে হাসপাতালে ফেলে চলে আসে। পরে সে মারা যায়। লক্ষ্যণীয় হলো, প্রীতির প্রাক-স্কুলের নথি এবং ওই ফ্ল্যাটের ওই সময়ের সিসি টিভি ফুটেজ দুটোই গায়েব হয়ে গেছে। এটাও লক্ষ্যণীয়, এজাহারে প্রীতির বয়স ১৩ বছরের বদলে ১৫ বছর বলে উল্লেখ করা হয়েছে এবং সেই সঙ্গে একে অবহেলাজনিত মৃত্যু বলে উল্লেখ করা হয়েছে। সৈয়দ আশফাকুল হকের ওই ফ্ল্যাট থেকে ২০২৩ তারিখের ৬ আগস্ট ৭ বছরের আরো একজন গৃহকর্মী পড়ে গিয়েছিল বা লাফ দিয়েছিল। সে বেঁচে আছে। তার মেডিকেল রিপোর্টে উল্লেখ আছে, তার জননাঙ্গের গভীর থেকে পায়ুপথ পর্যন্ত ৩-৩-৩ সেন্টিমিটার দীর্ঘ-চওড়া-গভীর ক্ষত রয়েছে। তার জননাঙ্গে অপারেশন করা হয়েছে। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, পড়ে যাবার আগেই সে দু’পায়ের মাঝে আঘাত পেয়েছিল। সেকারণে সে মরে যেতে চেয়েছিল। পরবর্তীতে ওই শিশুটির পরিবারের সঙ্গে ২ লাখ টাকায় বিষয়টির আপসরফা হয়েছে। যদিও টাকা মধ্যস্বত্বভোগীর কাছে চলে গেছে।  প্রীতির মৃত্যুর ১০ দিন পর ডেইলি স্টারের সম্পাদক এক বিবৃতি দিয়ে বলেন, ‘প্রীতির ঘটনায় তারা দুঃখ প্রকাশ করছে এবং ডেইলি স্টার সবসময় শিশু অধিকার সমুন্নত রাখার নীতিতে অটল আছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিচার প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার অপেক্ষায় আছি।’ তার এ বক্তব্য বিস্ময়কর ও দুর্ভাগ্যজনক। ডেইলি ষ্টারের উচিত ছিল ঘটনার পর পরই তাকে সুরক্ষা দেয়ার স্থলে অব্যাহতি দেয়া, তাহলে সম্পাদকের বক্তব্য কিছুটা হলেও অর্থবহ হতো।  এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় সংশ্লিষ্ট কৃর্তপক্ষের উদাসীনতা এবং তদন্ত প্রক্রিয়ায় দৃশ্যমান অবহেলায় আমরা তীব্র ক্ষোভ এবং নিন্দা জানাচ্ছি। প্রীতি উরাংয়ের মৃত্যুকে হত্যাকাণ্ডের নামান্তর বলে আমরা মনে করি।  কোন প্রভাবশালী মহলের চাপে তদন্তকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করা হলে আমরা তা মেনে নেব না। দেশের সকল সংবাদমাধ্যমের সম্মানিত সম্পাদকদের কাছে, এই মহান পেশার নিরপেক্ষতা ও ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়াবার ঐতিহ্য অক্ষুন্ন রাখার আহবান জানাচ্ছি। আমরা বলিষ্ঠ কণ্ঠে এ ঘটনার নিরপেক্ষ স্বাধীন ও সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করছি। সেই সঙ্গে সরকার ও সংশ্লিষ্টদের কাছে নিম্নোক্ত দাবিগুলো তুলে ধরছি- ক) প্রীতি উরাংসহ পূর্বের সকল ঘটনার পুনঃতদন্ত করে দ্রুত দোষী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। খ) প্রীতি উরাংয়ের মৃত্যুকে অবহেলাজনিত হত্যাকাণ্ড বিবেচনা না করে এ মামলা অবিলম্বে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের আওতায় এনে বিচার করতে হবে।  গ) প্রীতির পরিবারকে যথোপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান করতে হবে। সেইসাথে তার পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। ঘ) মৃতবৎ অবস্থায় যে শিশুটি বেঁচে আছে তার যথোপযুক্ত চিকিৎসা ও শিক্ষার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।  ঙ) শিশুটির শরীরের বিশেষ ক্ষতটি পরীক্ষা করে প্রকৃত ঘটনা প্রকাশ করতে হবে। চ) সৈয়দ আশফাকুল হকের বাসায় ৩ জন শিশু গৃহসহকারী ছিল। তারা ৭, ৮ এবং ১১ বছর বয়সে কাজে যোগ দেয়। বাংলাদেশের শ্রম আইন অনুযায়ী ১৪ বছর পূর্ণ হয়নি এমন ব্যক্তি শিশু। শ্রম আইনের ৩৪ ধারা অনুয়ায়ী, কোন শিশুকে কোন পেশায় বা প্রতিষ্ঠানে শ্রমিক হিসেবে নিয়োগ করা যাবে না। সৈয়দ আশফাকুল হক কিংবা তার পরিবারের কোন সদস্য শিশু যৌন নিপীড়ক কিনা সে বিষয়ে বস্তুনিষ্ঠ তদন্তের দাবি জানাচ্ছি আমরা। ছ) যে দারোয়ানরা প্রীতিকে ঝুলন্ত অবস্থা থেকে উদ্ধার করতে দেয়নি, তাদেরকে বিচারের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। জ) ডেইলি স্টার কর্তৃপক্ষের কাছে তাদের নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল হকের বিরুদ্ধে একাধিক গুরুতর অপরাধ বিশেষত কন্যা শিশুকে কাজে নিয়োগ করা এবং নির্যাতন করার অভিযোগে তাকে অবিলম্বে অব্যাহতি দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।  বিবৃতিতে যারা স্বাক্ষর করেছেন- ১. সুলতানা কামাল, মানবাধিকার কর্মী ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা  ২. খুশী কবির, সমন্বয়কারী, নিজেরা করি ৩. ড. হামিদা হোসাইন, মানবাধিকার কর্মী ৪. ড. মেঘনা গুহঠাকুরতা, নির্বাহী পরিচালক, রিব ও প্রাক্তন অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৫. আনু মুহাম্মদ, প্রাক্তন অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ৬. ড. ইফতেখারুজ্জামান, নির্বাহী পরিচালক, টিআইবি ৭. রাণী য়েন্ য়েন, চাকমা রানী, রাঙামাটি ৮. অ্যাড. জেড আই খান পান্না, আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ৯. অ্যাডভোকেট রাণা দাশগুপ্ত, সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ  ১০. ফারহা তানজীম তিতিল, সহযোগী অধ্যাপক, অর্থনীতি বিভাগ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ১১. প্রিসিলা রাজ, লেখক-গবেষক ১২. সামিনা লুৎফা নিত্রা, অধ্যাপক, সমাজবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ১৩. বীনা ডি’ কস্টা, অধ্যাপক, অস্ট্রেলিয়া ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ১৪. অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস,  গনযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ১৫. সুব্রত চৌধুরী, সিনিয়র আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ১৬. কাজল দেবনাথ, সাবেক সভাপতি, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ  ১৭. শামসুল হুদা, নির্বাহী পরিচালক, এসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম এ্যান্ড ডেভলপমেন্ট (এএলআরডি) ১৮. পল্লব চাকমা, নির্বাহী পরিচালক, কাপেং ফাউন্ডেশন ১৯. পারভেজ হাসেম, আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ২০. গীতি আরা নাসরিন, অধ্যাপক গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ২১. অ্যাড. তবারক হোসেইন, সহ-সভাপতি, সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন ও আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ২২. অ্যাড. মিনহাজুল হক চৌধুরী, আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ২৩. রেহনুমা আহমেদ, লেখক। ২৪. শহিদুল আলম, আলোকচিত্রী। ২৫. মানস চৌধুরী, অধ্যাপক, নৃৃবিজ্ঞান বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ২৬. ফিরোজ আহমেদ, রাজনীতিবিদ  ২৭. অমল আকাশ, শিল্পী ও সংগঠক ২৮. মনিন্দ্র কুমার নাথ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ ২৯. সুমাইয়া খায়ের, অধ্যাপক, আইন বিভাগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৩০. মির্জা তাসলিমা সুলতানা, অধ্যাপক, নৃৃবিজ্ঞান বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ৩১. সাঈদ ফেরদৌস, অধ্যাপক, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ৩২. সাঈদিয়া গুলরুখ, সাংবাদিক ৩৩.  ড. সীমা জামান, অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৩৪. জাকির হোসেন, নির্বাহী পরিচালক, নাগরিক উদ্যোগ ৩৫. জোবাইদা নাসরীন কণা, অধ্যাপক, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়  ৩৬. নুর খান, মানবাধিকারকর্মী ৩৭. অ্যাড. সাইদুর রহমান, প্রধান নির্বাহী, মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন ৩৮. ব্যারিস্টার আশরাফ আলী, আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ৩৯. ব্যারিস্টার শুভ্র চক্রবর্তী, আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ৪০. ব্যারিস্টার শাহাদাত আলম, আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট  ৪১.  স্নিগ্ধা রেজওয়ানা, সহযোগী অধ্যাপক, নৃবিজ্ঞান জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ৪২.  নাসরিন খন্দকার, নৃবিজ্ঞানী এবং পোস্টডক্টরাল গবেষক, ইউনিভার্সিটি কলেজ কর্ক, আয়ারল্যন্ড ৪৩.  ড. সাদাফ নূর, ল্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়, ইংল্যান্ড ৪৪.  ড. রোহিনী কামাল, শিক্ষক ও গবেষক ৪৫. দীপায়ন খীসা, কেন্দ্রীয় সদস্য, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম ৪৬. হানা শামস আহমেদ, আদিবাসী অধিকার কর্মী ও ডেইলি স্টারের প্রাক্তন সাংবাদিক ৪৭.   রোজীনা বেগম, এম এ শিক্ষার্থী, মাহিডন বিশ্ববিদ্যালয়,ব্যাংকক, থাইল্যান্ড  ৪৮.  মাইদুল ইসলাম, ডক্টরাল গবেষক, সমাজতত্ত্ব বিভাগ, পিটসবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়, ৪৯.   দিপ্তী দত্ত, শিক্ষক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৫০.  জান্নাতুল মাওয়া, আলোকচিত্রী।  ৫১.  সায়েমা খাতুন, লেখক ও নৃবিজ্ঞানী, উইসকনসিন, যুক্তরাষ্ট্র।  ৫২.  আতিকা রোমা, সমাজকর্মী।  ৫৩.  রুহী নাজ, আইনজীবী ও অধিকার কর্মী ৫৪.  বর্ণালী সাহা, কথাসাহিত্যিক ৫৫.  মঞ্জিলা ঝুমা, আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ৫৬.  সাধনা মহল, গবেষক ও অধিকার কর্মী  ৫৭.   সোহেল রহমান, বাংলাদেশি-পর্তুগীজ চলচ্চিত্রকার ৫৮.  বীথি সপ্তর্ষি, সাংবাদিক ও লেখক ৫৯.  তাসমিয়াহ্ আফরিন মৌ, চলচ্চিত্র নির্মাতা ও লেখক ৬০.  মীর মুশফিক মাহমুদ, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ও মানবাধিকার কর্মী। ৬১.  মোহাম্মদ রোমেল, ফিল্মমেকার এবং সংগঠক ৬২. মানস চৌধুরী, অধ্যাপক, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ৬৩.  মোস্তফা হোসেন, সহকারী অধ্যাপক, আইন বিভাগ, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়  ৬৪.  সাদিয়া রহমান সাথী, শিশুদের জননী  ৬৫. মোশরেকা অদিতি হক, সহযোগী অধ্যাপক নৃবিজ্ঞান বিভাগ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ৬৬. জায়েদ সিদ্দিকী, স্বাধীন চলচ্চিত্র নির্মাতা ও উন্নয়নকর্মী। ৬৭.  শরৎ চৌধুরী, লেখক, শিক্ষক নৃবিজ্ঞানী, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়  ৬৮. রুশাদ ফরিদী, অর্থনৈতিক বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (অর্থনৈতিক বিভাগ বলে কিছু আছে কি?) ৬৯. শর্মি হোসেন, ইংরেজি বিভাগ, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় ৭০. সানজিদা ইসলাম, সমন্বয়ক, মায়ের ডাক ৭১. আফরিন লায়লা শাপলা, সহকারী অধ্যাপক, আইন বিভাগ, স্টাম্পফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ৭২. মাহবুব মোর্শেদ, কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক ৭৩. রেজাউর রহমান লেনিন, গবেষক ও মানবাধিকার কর্মী ৭৪.  লায়লা পারভীন, সভাপতি, নারী অধিকার জোট, নোয়াখালী।  ৭৫. নাসরিন সিরাজ, নৃবিজ্ঞানী, ফিল্ম নির্মাতা।  ৭৬. আব্দুল্লাহ আল মামুন, অধ্যাপক, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।  ৭৭.  মাহফুজা হক নীলা,  সংস্কৃতি ও মানবাধিকার কর্মী ৭৮.  ৠতু সাত্তার, শিল্পী ৭৯.  সালমা আবেদীন পৃথি, আলোকচিত্রী ৮০.  মুনেম ওয়াসিফ, শিল্পী ৮১.  খন্দকার তানভীর মুরাদ, আলোকচিত্রী ৮২.  তানজিম ওযাহাব, কিউরেটার, শিক্ষক, পাঠশালা ৮৩. মাসউদ ইমরান মান্নু, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ৮৪.  ওমর তারেক চৌধুরী, লেখক, অনুবাদক ৮৫.  তন্বী নওশীন, পরিবেশ অ্যাক্টিভিস্ট, বার্লিন ৮৬.  সতেজ চাকমা উপ-সম্পাদক, আইপি নিউজ ৮৭.   অলিক মৃ, সভাপতি, বাংলাদেশ আদিবাসী ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ ৮৮.  ফারজানা ওয়াহিদ সায়ান, সংগীত শিল্পী ৮৯.  সাঈদা গুলরুখ, সাংবাদিক ৯০.  ড. খায়রুল ইসলাম চৌধুরী, অধ্যাপক, সমাজবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৯১.  অ্যান্টনি রেমা, সভাপতি, বাংলাদেশ আদিবাসী যুব ফোরাম ৯২.  কৃষ্ণপদ মুন্ডা, নির্বাহী পরিচালক, সুন্দরবন আদিবাসী মুন্ডা সংস্থা (সামস্), শ্যামনগর, সাতক্ষীরা ৯৩. ফাল্গুনী ত্রিপুরা, সমন্বয়ক, বাংলাদেশ আদিবাসী নারী নেটওয়ার্ক ৯৪. জন জেত্রা, সভাপতি, বাংলাদেশ গারো ছাত্র সংগঠন (বাগাছাস) ৯৫. শ্যাম সাগর মানকিন, গানের দল মাদলের গায়ক ৯৬. চ্যংয়ুং ম্রো, সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ আদিবাসী ছাত্র পরিষদ ৯৭.  অনন্যা দ্রং, খু.সাল প্রান্তিক নারী সংগঠন ৯৮. ফ্লোরা বাবলী তালাং, সাধারণ সম্পাদক, কুবরাজ ৯৯. বিচিত্রা তির্কী, সভাপতি, জাতীয় আদিবাসী পরিষদ ১০০. বাসন্তী মুরমু, সভাপতি, আদিবাসী নারী পরিষদ ১০১. হরেন্দ্রনাথ সিং, সভাপতি, আদিবাসী যুব পরিষদ ১০২. অনিল গজাড়, সভাপতি, আদিবাসী ছাত্র পরিষদ ১০৩. ধনঞ্জয় চাকমা, দপ্তর সম্পাদক, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম, কেন্দ্রীয় কমিটি ১০৪. রেং ইয়ং ম্রো, সহ সভাপতি, পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ ১০৫. নিপণ ত্রিপুরা, সভাপতি, পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ ১০৬. ডা. মুশতাক হোসেন, আহ্বায়ক, জনউদ্যোগ, জাতীয় কমিটি ১০৭. তারিক হোসেন, সদস্য সচিব, জনউদ্যোগ, জাতীয় কমিটি ১০৮. বীথি ঘোষ, সাংস্কৃতিক কর্মী, সমগীত ১০৯. শান্তিদেবী তঞ্চঙ্গ্যা, সভাপতি, হিল উইমেন্স ফেডারেশন ১১০. জনি মানখিন, শিক্ষক ১১১. মিলন চিসিম, নারী উদ্যোক্তা ১১২. মিঠুন রাকসাম, কবি ১১৩. পরাগ রিছিল, গবেষক ১১৪. মোশরেফা মিশু, সাধারণ সম্পাদক, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টি ও সভাপতি, গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য ফোরাম ১১৫. শহীদুল ইসলাম সবুজ, রাজনৈতিক সংগঠক, সাধারণ সম্পাদক, গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য ফোরাম ১১৬. ড. বুলবুল আশরাফ, সহযোগী অধ্যাপক, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় ১১৭. এহসান মাহমুদ, কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক।
০২ এপ্রিল ২০২৪, ২০:০৮

এবার হিন্দি ছবি আমদানিতে স্টার সিনেপ্লেক্স
বছরে ১০টি হিন্দি ছবি আমদানির অনুমতি দিয়েছে বাণিজ্য ও তথ্য মন্ত্রণালয়। গত বছর শাহরুখ খান অভিনীত ‘পাঠান’ দিয়ে শুরু হয়েছিল এই যাত্রা। এরপর ‘কিসি কা ভাই কিসি কি জান’, ‘জওয়ান’, ‘অ্যানিম্যাল’ ও ‘ডানকি’ মুক্তি পেয়েছিল বাংলাদেশে। ছবিগুলো কমবেশি দর্শক হলে টেনেছে। ছবিগুলো আমদানি করেছে অনন্য মামুনের অ্যাকশন কাট এন্টারটেইনমেন্ট ও কিবরিয়া ফিল্মস। ‘ডানকি’র পর দীর্ঘদিন হিন্দি ছবি আমদানি বন্ধ ছিল, বিরতির পর এবার হিন্দি ছবি আমদানিতে এগিয়ে এসেছে স্টার সিনেপ্লেক্স।  শুক্রবার (২৯ মার্চ) ভারতে মুক্তি পাবে টাবু, কারিনা কাপুর খান ও কৃতি শ্যানন অভিনীত ‘ক্রু’। একই দিনে বাংলাদেশে স্টার সিনেপ্লেক্সের শাখাগুলোতেও মুক্তি পাবে ছবিটি। ভারতীয় কোনো ছবি আমদানির বিপরীতে একটি দেশীয় ছবি ভারতে পাঠাতে হয়। প্রসূন রহমানের ‘ঢাকা ড্রিম’-এর বিনিময়ে ‘ক্রু’ আনছে স্টার সিনেপ্লেক্স। এরই মধ্যে সরকারের দুই মন্ত্রণালয় (বাণিজ্য ও তথ্য) থেকে অনুমতি পেয়েছে সিনেপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ। দীর্ঘদিন ধরে হলিউডসহ বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রির ছবি আমদানি করে বিশ্বের সঙ্গে একই দিনে বাংলাদেশে প্রদর্শন করে আসছে স্টার সিনেপ্লেক্স। স্টার সিনেপ্লেক্সের মিডিয়া ও বিপণন বিভাগের জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক মেজবাহ আহমেদ জানান, সরকারের অনুমতিক্রমে যাবতীয় প্রক্রিয়া মেনে একই দিনে ‘ক্রু’ মুক্তি দেবেন তাঁরা। মেজবাহ আহমেদ বলেন, ‘আমরা তো হলিউড, কোরিয়ান, জাপানি, টার্কিশ ছবি এনে প্রদর্শন করি নিয়মিত। হিন্দি ছবি আনার অনুমতি যেহেতু আছে, কেন আনব না? এই দেশে হিন্দি ছবির দর্শক আছে। সামনেই রোজার ঈদ। যেহেতু উৎসবে হিন্দি ছবি আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা আছে, তাই সিনেপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ ঈদের আগের সপ্তাহে ‘ক্রু’ চালাবে। ঈদে বাংলাদেশি ছবির প্রদর্শনী শেষে ফের ছবিটি দেখাবে তারা।  হাস্যরসাত্মক ছবি ‘ক্রু’র পরিচালক রাজেশ কৃষ্ণান। টাবু, কারিনা কাপুর ও কৃতি শ্যানন ছাড়াও ছবিতে আছেন পাঞ্জাবি অভিনেতা-গায়ক দিলজিৎ দোসাঞ্জ ও স্ট্যান্ডআপ কমেডিয়ান কপিল শর্মা। তিন বিমানবালাকে নিয়ে গল্প। কীভাবে তারা স্বর্ণের বার চুরি করে তা নিয়েই কাহিনি।
২৩ মার্চ ২০২৪, ১৭:২৫

নিয়োগ দিচ্ছে ড্যানিশ, সপ্তাহে কাজ ৫ দিন
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে পারটেক্স স্টার গ্রুপ (ড্যানিশ)। প্রতিষ্ঠানটির এইচআর বিভাগ অফিসার/সিনিয়র অফিসার পদে একাধিক জনবল নিয়োগ দেবে। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।  যা যা প্রয়োজন- প্রতিষ্ঠানের নাম: পারটেক্স স্টার গ্রুপ (ড্যানিশ) পদের নাম: অফিসার/সিনিয়র অফিসার বিভাগ: এইচআর পদসংখ্যা: নির্ধারিত নয়  শিক্ষাগত যোগ্যতা : মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনায় এমবিএ, পিজিডি এইচআরএম অন্যান্য যোগ্যতা : নিয়োগ ও বাছাই প্রক্রিয়া, চাকরির বিজ্ঞাপন, সিভি স্ক্রিনিং, চাকরির সাক্ষাৎকারের সময়সূচি, পরীক্ষার প্রক্রিয়া বিষয়ে দক্ষতা থাকতে হবে।  অভিজ্ঞতা : কমপক্ষে ২ থেকে ৫ বছর  চাকরির ধরন : ফুলটাইম  কর্মক্ষেত্র : অফিসে  প্রার্থীর ধরন : নারী-পুরুষ (উভয়) কর্মস্থল : ঢাকা  বেতন: আলোচনা সাপেক্ষে  অন্যান্য সুবিধা: মোবাইল বিল, বীমা, গ্র্যাচুইটি, সপ্তাহে ২ দিন ছুটি, প্রভিডেন্ট ফান্ড, বছরে ২টি উৎসব বোনাস।  আবেদন যেভাবে: আগ্রহী প্রার্থীরা আবেদন করতে ও বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তিটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন। আবেদনের শেষ সময়: ১৮ মার্চ ২০২৪ পর্যন্ত।
০৭ মার্চ ২০২৪, ০৯:০৯

প্রীতি উরাংয়ের মৃত্যু : ডেইলি স্টার সম্পাদককে খোলা চিঠি
ডেইলি স্টারের নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল হকের বাসায় প্রীতি উরাং নামে একজন শিশু গৃহকর্মীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে দেওয়া সম্পাদক মাহফুজ আনামের বিবৃতিতে হতাশা জানিয়েছে নিপীড়নের বিরুদ্ধে শাহবাগ। ঘটনার দশদিন পর হলেও এই বিবৃতি প্রশংসনীয় উল্লেখ করে তারা বেশকিছু প্রশ্ন তুলেছেন এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় পত্রিকাটি ভূমিকা রাখবে সেই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছে।   রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তারা এ কথা জানায়। খোলা চিঠিতে বলা হয়েছে, আপনার প্রতিষ্ঠান কি শিশু শ্রমিক রাখার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে? হত্যার মতো গুরুতর অভিযোগ এবং জেলখানায় বন্দি আসামিকে সাময়িক বরখাস্ত না করা কি গণমাধ্যমের নৈতিকতা ও মূল্যবোধগত বিষয়? ব্যক্তির অপরাধের দায় কি দ্য ডেইলি স্টার-এর? শিশু প্রীতি ও ফেরদৌসীর সাথে কি ন্যায়বিচার হয়েছে? কেন বারবার একই বাড়িতে এমন ঘটনা ঘটছে, বিষয়টি কি একটি দায়িত্বশীল গণমাধ্যম হিসেবে আপনি বিবেচনায় নিয়েছেন?   নিপীড়নের বিরুদ্ধে শাহবাগ আমরা বিশ্বাস করে দ্য ডেইলি স্টারও একই প্রশ্নের মধ্যেই ঘুরপাক খাচ্ছে। কিন্তু উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবেই সেগুলোকে আলোচনায় তুলতে চাইছে না। তারা খোলা চিঠিতে জানিয়েছে, উন্নত জীবন পেতে শিশু প্রীতিদের গৃহকর্মীর কাজে ঢাকায় আসাকে তারা সমর্থন করে না। পাশাপাশি তারা আহ্বান জানায়, অবিলম্বে পত্রিকাটি আশফাকুল হককে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদান এবং প্রীতি উরাং ও ফেরদৌসির বেগমের পরিবারকে ন্যায়বিচার প্রাপ্তিতে সহায়তা করবে। ডেইলি স্টারের নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল হকের ‘বাসভবন থেকে পড়ে’ কিশোরী গৃহকর্মীর মৃত্যুর ঘটনার ১০দিন পরে পত্রিকাটির অবস্থান জানান সম্পাদক মাহফুজ আনাম। বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ১২টায় তিনি এক বিবৃতিতে ১৫ বছর বয়সী প্রীতি উরাংয়ের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি দাবি করেছেন ঘটনার সঙ্গে কে জড়িত তা বিবেচনায় না নিয়ে দ্য ডেইলি স্টার এ মামলার বিষয়ে বস্তুনিষ্ঠভাবে এবং সতর্কতা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে প্রতিবেদন তৈরি ও প্রকাশ করবে; যেমনটি অন্য সব ক্ষেত্রে করে থাকে। এরপর নিপীড়নের বিরুদ্ধে শাহবাগ থেকে খোলা চিঠিতে লেখা হয়, প্রদত্ত বিবৃতিটি অভিযুক্তের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করা ছাড়া আর কিছুই নয়। এটি একটি প্রভাবশালী পত্রিকার প্রভাব বিস্তারের দুরভিসন্ধি বটে। দ্বিতীয়বার একই ধরনের ঘটনার অবতারণা হলেও একই অভিযুক্ত আশফাকুল হককে দ্য ডেইলি স্টারের নির্বাহী সম্পাদকের পদে বহাল রাখা’ প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা নয় কি? একটি নিরপেক্ষ ও নির্মোহ তদন্তের স্বার্থে আশফাকুল হককে নির্বাহী সম্পাদকের পদ থেকে অপসারণ করে বিবৃতি প্রকাশ করা হলে, সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বশীলতা প্রমাণিত হতো।   সম্পাদকের দেওয়া নোটের সমালোচনা করতে গিয়ে নিপীড়নের বিরুদ্ধে শাহবাগ তাদের যুক্তি তুলে ধরে। তারা তাদের প্রতিক্রিয়ায় বলেন, আপনি প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিচারিক প্রক্রিয়া শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষায় আছেন, উল্লেখ করেছেন। অথচ একই ব্যক্তির বিরুদ্ধে পরপর একই ধরনের দুটি অভিযোগ উঠে এসেছে, যা আপনি অনুধাবনে ব্যর্থ হয়েছেন। অভিযোগটি বিচারাধীন থাকার পরও আপনি তা বিবৃতিতে উল্লেখ করেননি। এমনকি আপনার পত্রিকার পক্ষ থেকে অন্যান্য ঘটনার মতো এই দুটি ঘটনায়       সরেজমিন অনুসন্ধান করে বিশ্লেষণধর্মী ও তুলনামূলক আলোচনার প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়নি, যা পত্রিকার পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ।
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:৫৬

বাবার কাছ থেকেই শেষ বিদায় নিয়েছিলেন রুবেল
শোবিজের সদ্যপ্রয়াত অভিনেতা আহমেদ রুবেল। আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পেতে যাচ্ছে তার অভিনীত  সিনেমা ‘পেয়ারার সুবাস’। কিন্তু সিনেমাটি আর দেখা হলো না রুবেলের। তার আগেই পাড়ি জমালেন না ফেরার দেশে।  চিকিৎসকরা ধারণা করছেন, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন রুবেল।     বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বসুন্ধরা স্টার সিনেপ্লেক্সে জয়া-রুবেল অভিনীত ‘পেয়ারার সুবাস’ সিনেমার প্রিমিয়ার শো ছিল। সেই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন রুবেল। কিন্তু অনুষ্ঠান স্থলে যাওয়ার আগেই মারা যান দাপুটে এই অভিনেতা।  এই সিনেমার প্রিমিয়ার শোতে যোগ দিতেই বাবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে বের হয়েছিলেন রুবেল। কিন্তু এটাই যে বাবা-ছেলের শেষ দেখা।  রুবেলের পরিবার জানায়, আহমেদ রুবেলের বাবা ৮১ বছর বয়সী আয়েশ উদ্দীন কীভাবে সন্তানের শোক সামলাবেন, সেটার কোনো কূলকিনারা খুঁজে পাচ্ছেন না। বাবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে বের হয়েছিলেন রুবেল। বাবার সঙ্গে ছেলের সেই বিদায়ই যে চিরবিদায় হবে, সেটা কে জানত।   জানা গেছে, দুই ভাই ও চার বোনের মধ্যে এক ভাই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। এবার রুবেলও চলে গেলেন। চার বোনের মধ্যে দুই বোন ঢাকায় এবং দুই বোন থাকেন যুক্তরাষ্ট্রে। আহমেদ রুবেলের স্ত্রীর নাম মনোয়ারা বেগম। তবে রুবেল-মনোয়ারা দম্পতির কোনো সন্তান নেই।  প্রিমিয়ার শো শুরু হওয়ার আগেই রুবেলের মৃত্যুর খবরে শোকের ছায়া নেমে আসে প্রেক্ষাগৃহে। সহশিল্পীর মৃত্যুতে সবাই হতবাক হয়ে পড়েন। কাঁদতে শুরু করেন অনেকে। কেউ যেন মানতেই পারছেন না রুবেল আর সবার মাঝে নেই।  
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:১৯

গ্লোবাল স্টার অ্যাওয়ার্ড পেলেন কামরুজ্জামান মিল্লাত
শিল্প-সংস্কৃতির বিভিন্ন শাখায় অবদান রাখা কৃতি ব্যক্তিদের অ্যাওয়ার্ড প্রদানের মাধ্যমে সম্মানিত করেছে গ্লোবাল স্টার কমিউনিকেশন।  মঞ্চনাটকে অভিনয়ের জন্য এ পুরস্কার পেয়েছেন থিয়েটার আর্টের কামরুজ্জামান মিল্লাত। গত শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ঢাকা ধানমন্ডি ক্লাব মেট্রো শপিং মলে গ্লোবাল স্টার কমিউনিকেশন আয়োজিত ‘বাংলাদেশ বিনির্মাণে চলচ্চিত্র ও পর্যটন শিল্পের ভুমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে এ অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে আজীবন সম্মাননা জানানো হয় বর্ষিয়ান অভিনেত্রী দিলারা জামানকে। থিয়েটার আর্টের সাড়া জাগানো নাটক ‘কোর্ট মার্শাল’-এ অভিনয়ের জন্য কামরুজ্জামান মিল্লাত পান শ্রেষ্ঠ মঞ্চ অভিনেতার পুরস্কার। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মোঃনিজামুল হক নাসিম।  বিশেষ অতিথি ছিলেন সাবেক সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) এম এ হারুন। তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে নাট্যচর্চায় সম্পৃক্ত রয়েছেন কামরুজ্জামান মিল্লাত। থিয়েটার আর্ট ইউনিটের হয়ে অভিনয় করেছেন  কোর্ট মার্শাল, গোলাপজান, আমিনা সুন্দরী, স্বপ্ন দেখো মানুষ, ছায়া চক্রসহ আরও বেশ কিছু নাটকে। দলের হয়ে দেশ-বিদেশে পাঁচ শতাধিক নাটকের প্রদর্শনীতে অভিনয় করেছেন তিনি। কামরুজ্জামান মিল্লাত বর্তমানে থিয়েটারের আর্ট ইউনিটের সমন্বয়ক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বিটিভির একজন তালিকাভুক্ত অভিনয়শিল্পী।
৩১ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:১৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়