• ঢাকা সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
তাপদাহে স্থগিত বিএনপির সমাবেশ শুক্রবার
তীব্র তাপদাহের কারণে স্থগিত সমাবেশ আগামী শুক্রবার (১০ মে) রাজধানীর নয়াপল্টনে আয়োজন করার ঘোষণা দিয়েছে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি।  সোমবার (৬ মে) বিএনপির পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।   এতে বলা হয়েছে, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসাসহ নিঃশর্ত মুক্তি, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নবী উল্লাহ নবীসহ সব রাজবন্দির মুক্তির দাবিতে আগামী ১০ মে নয়াপল্টনে অবস্থিত বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে সমাবেশ ও মিছিলের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। সভাপতিত্ব করবেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম এবং সঞ্চালনায় থাকবেন সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু।
২৮ মিনিট আগে

সেনবাগে স্কাউটস সমাবেশ উদ্বোধন
নোয়াখালীর সেনবাগে অষ্টম উপজেলা স্কাউটস সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (৫ মে) বিকেলে সেনবাগ সরকারি ডিগ্রি কলেজ মাঠে এর উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধন করেন নোয়াখালী-২ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ মোরশেদ আলম।  উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও স্কাউটস সভাপতি জিসান বিন মাজেদের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন সেনবাগ পৌরসভার মেয়র আবু নাছের ভিপি দুলাল, সদয় যুক্ত স্কাউটস সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. গোলাম কবির, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জাহিদুল ইসলাম, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও স্কাউটস সহসভাপতি মোস্তফা হোসেন, জেলা পরিষদের সদস্য সাইফুল ইসলাম বাবু।  শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সেনবাগ উপজেলা স্কাউটস সম্পাদক সফিকুজ্জামান সীমু। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্কাউটস কমিশনার এ এন এম শহীদ উল্যাহ, অধ্যক্ষ আমিরুজ্জামান, স্কাউটস সহসভাপতি রোকেয়া বেগম, যুগ্ম সম্পাদক আবুল বাশার,সহকারী কমিশনার নূর হোসাইন সুমন, স্কাউটস লিডার মনোয়ার হোসেন, কাব লিডার জিয়াউর রহমানসহ বিভিন্ন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, সহকারী শিক্ষক ও শিক্ষার্থী বৃন্দ। আগামী ৭ মে মহা তাবু জলসার মধ্য দিয়ে সমাবেশটি সমাপ্ত হবে।
২১ ঘণ্টা আগে

বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ
আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে রাজধানীতে শ্রমিক সমাবেশ করবে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল। সমাবেশ শেষে আয়োজন হবে বর্ণাঢ্য শ্রমিক শোভাযাত্রার।   বুধবার (১ মে) বিকেল তিনটায় রাজধানীর নয়াপল্টনে এ সমাবেশ করবে দলটি। সমাবেশ ঘিরে গরম উপেক্ষা করে নয়াপল্টনে ব্যাপক জনসমাগম হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। সমাবেশে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ শীর্ষ নেতারা ও শ্রমিক নেতারা উপস্থিত থাকবেন। ইতোমধ্যেই কর্মসূচির জন্য ঢাকার পুলিশ কমিশনারকে অবগত করা হয়েছে। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সমাবেশ ঘিরে ঢাকার দুই মহানগর থেকে অন্তত ২০ হাজার নেতাকর্মীর উপস্থিতির টার্গেট নেওয়া হয়েছে। এজন্য গত দুই সপ্তাহ ঢাকার দুই মহানগর ও ঢাকা বিভাগের জেলাগুলোকে নিয়ে দফায় দফায় প্রস্তুতি বৈঠক করেছে দলটি।  সমাবেশ শেষে বর্ণাঢ্য একটি শ্রমিক শোভাযাত্রা আয়োজন করা হবে, যা নয়াপল্টন থেকে শুরু হয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে শেষ হবে। তীব্র গরমের কারণে দুই থেকে আড়াই ঘণ্টার মধ্যেই সমাবেশের সব আয়োজন শেষ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।  
০১ মে ২০২৪, ১২:০৬

বিএনপির সমাবেশ স্থগিত
গ্রীষ্মের চলমান তাপপ্রবাহের কারণে বিএনপির পূর্ব ঘোষিত আগামী ২৬ এপ্রিলের (শুক্রবার) সমাবেশ স্থগিত করা হয়েছে। সোমবার (২২ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির দপ্তর সম্পাদক সাইদুর রহমান মিন্টু গণমাধ্যমকে এই তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নবীউল্লাহ নবীসহ নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে এই সমাবেশ হওয়ার কথা ছিল।। কিন্তু তীব্র গরমের কারণে সমাবেশটি স্থগিত করা হয়েছে।  সমাবেশের নতুন তারিখ নিয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, এ বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। নতুন তারিখ নির্ধারিত হলে জানানো হবে। এর আগে, বিকেল ৫টায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে বৈঠকে বসে নেতারা। বৈঠক শেষে সমাবেশ স্থগিতের বিষয়ে জানানো হয়। বিএনপির একটি সূত্র জানিয়েছে, আগামী পহেলা মে শ্রমিক দিবস উপলক্ষে নয়াপল্টনে র‍্যালি ও সমাবেশ করবে বিএনপি। এরপর সুবিধমতো একটি দিন ঠিক করা হবে সমাবেশের জন্য। উল্লেখ্য, আগামী শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছিল বিএনপি। গত ২০ এপ্রিল এ বিষয়ে ডিএমপি কমিশনারকে অবহিত করে চিঠি দেয় দলটি। এরই মধ্যে বিএনপির ২৬ এপ্রিলের সমাবেশের ঘোষণায় রাজনৈতিক অঙ্গনেও উত্তাপ ছড়ায়। বিএনপির এই ঘোষণার পর একই দিন রাজধানীতে সমাবেশের ডাক দেয় আওয়ামী লীগও। তবে তীব্র গরমের কারণে গত ১৯ এপ্রিল সারাদেশে ৩ দিনের জন্য সতর্কতামূলক হিট অ্যালার্ট জারি করে আবহাওয়া অফিস, যা আজ আরও তিন দিন বাড়ানো হয়।
২২ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:২৬

রাজধানীতে সমাবেশ করার ঘোষণা বিএনপির
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নবী উল্লাহ নবী ও যুগ্ম আহ্বায়ক হারুন উর রশীদ হারুনসহ নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে ২৬ এপ্রিল (শুক্রবার) সমাবেশ ও মিছিল করবে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি।  রাজধানীর নয়াপল্টনে ওইদিন দুপুর আড়াইটায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।  শনিবার (২০ এপ্রিল) মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য (ভারপ্রাপ্ত দপ্তর) সাইদুর রহমান মিন্টু স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।  এতে বলা হয়, সমাবেশে সভাপতিত্ব করবেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম এবং সঞ্চালনায় থাকবেন সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু। বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীকে যথাসময়ে কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের জন্য বিজ্ঞপ্তিতে আহ্বান জানানো হয়।
২০ এপ্রিল ২০২৪, ২১:০০

বুয়েটে ছাত্ররাজনীতির দাবিতে রোববার ছাত্রলীগের সমাবেশ
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতির দাবিতে সমাবেশ করবে ছাত্রলীগ। রোববার (৩১ মার্চ) বেলা ১১টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। শনিবার (৩০ মার্চ) সন্ধ্যায় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।  বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৯ মার্চ বুয়েট কর্তৃক বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১ ব্যাচের পুরকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ হোসেন রাহিমের আবাসিক হলের বরাদ্দ করা সিট বাতিল ঘোষণা করার সিদ্ধান্তকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা-গণতন্ত্রকামী মানুষ ও ছাত্রসমাজ চূড়ান্তভাবে প্রত্যাখ্যান করছে। বাংলাদেশের ছাত্রসমাজ বুয়েট প্রশাসনের এ সিদ্ধান্তকে একটি অন্যায্য, অসাংবিধানিক, মৌলিক অধিকার পরিপন্থী ও সর্বোচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃক নৈতিক স্খলন-জনিত শিক্ষাবিরোধী কর্মকাণ্ড হিসেবে আখ্যায়িত করে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। বুয়েট প্রশাসন ইমতিয়াজ হোসেন রাহিমের বরাদ্দ করা সিট বাতিলের মাধ্যমে তার সংগঠন করার সাংবিধানিক অধিকার প্রয়োগ করতে বাধা সৃষ্টি করেছে। এতে আরও বলা হয়, সাম্প্রতিককালে সংবিধানসম্মত ছাত্র রাজনীতি নিয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয়টিতে এমন কিছু কর্মকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছে, আশ্রয়-প্রশ্রয় পাচ্ছে, যা বাংলাদেশের মহান সংবিধানের চূড়ান্ত লঙ্ঘন। আইনের কোথাও ছাত্র-রাজনীতি নিষিদ্ধ করার ক্ষমতা প্রদান করা না হলেও বুয়েট প্রশাসন বেআইনি ও অসাংবিধানিকভাবে তা বাস্তবায়ন করছে। মূলধারার প্রকাশ্য ছাত্র-রাজনীতি নিষিদ্ধের এই প্রচেষ্টার মাধ্যমে বুয়েটকে দেশ ও বিশ্ব মানবতাবিরোধী নিষিদ্ধ, অন্ধকার জগতের বিভিন্ন সংগঠনের কর্মকাণ্ড পরিচালনার তীর্থস্থানে পরিণত করা হয়েছে। মৌলবাদী গোষ্ঠীর কালোছায়া থেকে মুক্ত করে বুয়েটে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতির দাবি এবং বুয়েট কর্তৃক গৃহীত অসাংবিধানিক, মৌলিক অধিকার পরিপন্থী, শিক্ষাবিরোধী সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রোববার (৩১ মার্চ) কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বেলা ১১টায় ছাত্রলীগ প্রতিবাদ সমাবেশ করবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
৩০ মার্চ ২০২৪, ২১:২৮

২৫ মার্চ রাজধানীতে সমাবেশ করবে আ.লীগ
আগামী ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসে রাজধানীতে সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে আওয়ামী লীগ।  মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের আয়োজনে সমাবেশটি রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে অনুষ্ঠিত হবে।  বিষয়টি নিশ্চিত করে শুক্রবার (২২ মার্চ) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, সমাবেশে একাত্তরের জেনোসাইডের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির জন্য দাবি আরও জোরদার করব। সে জন্য প্রোগ্রামটি বাইরে করব। এ সময় ভারতীয় পণ্য বর্জন নিয়ে তিনি বলেন, ভারতীয় পণ্য বর্জন করা পাগলামি। আমাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের একটি বড় অংশ আসে ভারত থেকে। ভারতীয় পণ্য বয়কটের নামে বিএনপি আমাদের বাজার ব্যবস্থা অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে।  আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার পর একুশ বছর ভারতের সঙ্গে বৈরী সম্পর্ক আমাদের ক্ষতি করেছে বেশি। সম্পর্ক ভালো থাকলে সব সমস্যার সমাধান সম্ভব। তিস্তা, ফেনী নদীসহ যেগুলো এখনও সমাধান হয়নি...কিন্তু সম্পর্ক ভালো থাকায় ইতিবাচক অগ্রগতি আছে। সম্পর্ক ভালো থাকলে সমাধান সম্ভব। রুহুল কবির রিজভীর গায়ের চাদর ছুড়ে ফেলা প্রসঙ্গে কাদের বলেন, একজন নেতা ভারতীয় পণ্য বয়কটের নিদর্শন তুলে ধরেছে। এটা কতটা অবাস্তব? এটা কী করে সম্ভব? আমাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের একটা বড় অংশ ভারত থেকে আসে। এর সুবিধাও আছে। এতে পরিবহন খরচ অনেক কম হয়। সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, উপ-দপ্তর সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য আনোয়ার হোসেন, যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
২২ মার্চ ২০২৪, ১৭:১৪

জাবিতে নিপীড়নবিরোধী মঞ্চের বিক্ষোভ সমাবেশ ও কুশপুত্তলিকা দাহ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) মাদকের সিন্ডিকেট চিহ্নিত, ধর্ষক ও তার সহায়তাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করাসহ পাঁচ দফা দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও কুশপুত্তলিকা দাহ করেছে নিপীড়নবিরোধী মঞ্চ। রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুর দেড়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অমর একুশ ভাস্কর্যের সামনে এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় নিপীড়নের ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক মাহমুদুর রহমান জনি ও সম্প্রতি ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত মোস্তাফিজুর রহমানের কুশপুত্তলিকা দাহ করেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। সমাবেশ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও মীর মশাররফ হোসেন হলের প্রভোস্টের পদত্যাগ দাবি করেন আন্দোলনকারীরা। দাবিসমূহ বাস্তবায়ন না হলে আসন্ন ভর্তি পরীক্ষা বন্ধ করার হুমকি দেন তারা। বিক্ষোভ সমাবেশে নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী সোহাগি সামিয়া বলেন, একদিকে যেমন শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলছে অন্যদিকে ক্যাম্পাসে প্রহসন চলছে। প্রশাসন আমাদের কাছে সময় চেয়েছিল পাঁচ কার্য দিবসের মধ্যে সকল অছাত্রদের বের করে দেবে কিন্তু তারা এখনো বের করতে পারেনি। প্রশাসন গুটি কয়েক অছাত্রদের বের করে দিয়ে দেখাচ্ছেন যে, আমরা তো অছাত্রকে বের করে দিচ্ছি কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। প্রশাসন যদি দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয় তাহলে যেন ক্ষমতা ছেড়ে দেয়। অধ্যাপক সোহেল আহমেদ বলেন, আমরা ইতোপূর্বে নিরপেক্ষ তদন্ত ও বিচারের স্বার্থে প্রক্টর ও প্রভোস্টের পদত্যাগ দাবি করেছি। কিন্তু প্রশাসন সে দাবি মেনে নেয়নি। সারাদেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় যেমন ঢাবি, চবিতে নিপীড়কদের বিচার হচ্ছে। অথচ আমাদের এখানে হচ্ছে না। বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন নিরাপদ পরিবেশ নেই। ভর্তি পরীক্ষা নিতে চাইলে, সবার জন্য নিরাপদ ক্যাম্পাস নিশ্চিত করতে চাইলে এই প্রক্টর ও প্রভোস্টের পদত্যাগ অত্যন্ত জরুরি। অধ্যাপক মাফরুহী সাত্তার বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটে যে সিদ্ধান্তগুলো এসেছে তার কোনোটাই পূর্ণ বাস্তবায়ন হয়নি। শিক্ষক সমিতির সভায়ও এ বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়েছে। সেখানে কোনো শিক্ষকেরই মতের ভিন্নতা ছিল না। আমরা স্পষ্টত বলতে চাই, যদি সিন্ডিকেটে দৃশ্যমান অগ্রগতি না দেখি, তাহলে ভর্তি পরীক্ষা কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হলে তার সম্পর্ণ দায়ভার প্রশাসনকেই নিতে হবে। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও নিপীড়ন বিরোধী মঞ্চের কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:৩৭

ধর্ষণ, নিপীড়ন ও মাদকমুক্ত ক্যাম্পাসের দাবিতে জাবিতে সংহতি সমাবেশ
ধর্ষণ, নিপীড়ন ও মাদকমুক্ত ক্যাম্পাসসহ পাঁচ দফা দাবিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) সংহতি সমাবেশ করেছে নিপীড়ন বিরোধী মঞ্চ।  শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকেল তিনটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন চত্বরে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে সমাবেশ থেকে এসব দাবি জানানো হয়।  এ সময় পাঁচ দফা দাবি উত্থাপন করেন আন্দোলনকারীরা। দাবিগুলো হলো- ধর্ষক ও তার সহায়তাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে; মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের হল থেকে বের করে গণরুম বিলুপ্তপূর্বক নিয়মিত শিক্ষার্থীদের আবাসন নিশ্চিত করতে হবে এবং র‌্যাগিং সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনতে হবে; নিপীড়ক শিক্ষক মাহমুদুর রহমান জনিসহ ক্যাম্পাসে বিভিন্ন সময়ে অভিযুক্তদের বিচারের আওতায় আনতে হবে; নিপীড়কদের সহায়তাকারী প্রক্টর ও মীর মশাররফ হোসেন হলের প্রভোস্টের অপরাধ তদন্ত করতে হবে এবং সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তদন্ত চলাকালে প্রশাসনিক পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান করতে হবে; মাদকের সিন্ডিকেট চিহ্নিত করে জড়িতদের ক্যাম্পাসে অবাঞ্চিত ঘোষণাপূর্বক তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সমাবেশ থেকে রোববার সন্ধ্যায় মশাল মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।  সমাবেশে সিনেট সদস্য ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন খান বলেন, এত সব ঘটনার পরও প্রশাসন কতটা নির্লিপ্ত ভূমিকা পালন করছে। অংশীজনদের সঙ্গে নিয়ে মাদকের ব্যবহার পুরোপুরি কমিয়ে আনার ব্যবস্থা করতে হবে। শুধু সেল গঠন করে বসে থাকলেই চলবে না। এর সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ জড়িত। এখনো বিভিন্ন হলে যাদের ছাত্রত্ব অনেক আগেই সম্পন্ন হয়েছে তারা বহাল তবিয়তে আছেন। যারা রাজনৈতিকভাবে কোনো দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়, যাদের খুঁটির জোর কম তাদেরই কেবলমাত্র হলছাড়া করার মাধ্যমে আইওয়াশ করা হচ্ছে।  পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মো. জামাল উদ্দিন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট-সিন্ডিকেট একেবারে অকার্যকর প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বোচ্চ শিক্ষা অর্জনের জন্য আসা শিক্ষার্থীদের আচরণ আমাদের ব্যথিত করে। এটা আমাদের সিস্টেমের সমস্যা। হলে হলে গণরুম শুধু শিক্ষার পরবেশ নষ্ট করেনি, বিকৃত মানুষ তৈরি করেছে। সাম্প্রতিক ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রশাসনের উদ্যোগ যথেষ্ট নয়। অধ্যাপক শামসুল আলম সেলিম বলেন, বঙ্গবন্ধুর ছবির ওপর গ্রাফিতি অঙ্কন করে এ আন্দোলনকে ডাইভার্ট করার নানা চেষ্টা চলছে। এই গ্রাফিতি মুছে দেওয়ার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। ইউজিসি তদন্ত কমিটি গঠন করার পরও প্রশাসনের বোধদয় হয় নাই। তারা ভাবছে কিছুদিন পর ভর্তি পরীক্ষার কারণে আন্দোলন স্তিমিত হয়ে যাবে। আপাতত তারা রুমগুলোতে যাচ্ছে আর ফিরে আসছে। হল খালি করার নামে আমাদের আইওয়াশ করছে। ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক পারভীন জলি বলেন, এ সাধারণ আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ কখনো তাদের স্বপক্ষে একবারও দাঁড়ায়নি। এ যাবতকালে ধর্ষক মানিক থেকে মোস্তাফিজ পর্যন্ত সব জায়গায় ছাত্রলীগের নাম এসেছে। যতই বলেন, মোস্তাফিজ আমাদের দলের কেউ না তাতে ছাত্রলীগ এ ধর্ষণের দায় এড়াতে পারে না। যারা ছাত্রজীবনে নিপীড়নের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তারাই হলগুলোতে প্রভোস্টের দায়িত্ব পাচ্ছেন। তারা কিভাবে হলের নির্যাতন বন্ধ করবেন? অছাত্রদের হল থেকে বের করার নামে তারা সাধারণ শিক্ষার্থীদের হয়রানি করছেন। প্রভোস্টদেরকেও এ ঘটনায় জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে। ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক গোলাম রব্বানী বলেন, ‘৭ তারিখে সিন্ডিকেটে আমরা দাবি জানিয়েছিলাম, নিপীড়ক শিক্ষককে শাস্তি দিতে হবে। ভিসি বলেছিলেন, স্ট্রাকচারাল কমিটির তদন্ত শেষ হয়নি, পরবর্তী সিন্ডিকেটে করতে হবে। একজন নিপীড়ক শিক্ষককে বাঁচিয়ে রাখবার যে পাঁয়তারা চলছে, আমরা সেটার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছি—তাকে বাঁচানো যাবে না। প্রশাসনের প্রত্যক্ষ মদদে শিক্ষাঙ্গনে মাদক এবং ধর্ষণের নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা হয়েছে। প্রশাসনকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ৪২তম ব্যাচকে বগলদাবা করে ৪৫, ৪৬, ৪৭ ব্যাচকে বের করে দেওয়ার এ নাটক কি আমরা বুঝি না? আমাদের উদ্দেশ্য পরিষ্কার, এ ক্যাম্পাসকে আমরা অবৈধ ছাত্রমুক্ত, ধর্ষকমুক্ত ও মাদকমুক্ত করতে চাই। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আলিফ মাহমুদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন হল থেকে অছাত্রদের বের করার জন্য ৫ কর্মদিবসের সময় নিয়েছিল। সেই সময়ের ৪ কর্মদিবস অতিবাহিত হয়ে গেছে। তাদের কাজ দেখে আমাদের মনে হচ্ছে, তারা সেসব শিক্ষার্থীদেরকে আন্দোলনকারীদের মুখোমুখি করতে চান। আমরা আরও এক কর্মদিবস দেখব, আমাদের দাবি না মানা হলে কঠোর আন্দোলনে যাবো। এ সময় অধ্যাপক সোহেল আহমেদসহ সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। 
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:৪৭

জাবিতে সাংস্কৃতিক জোটের আয়োজনে প্রতিবাদী সাংস্কৃতিক সমাবেশ
ধর্ষণের বিচারসহ ৫ দফা দাবিতে প্রতিবাদী সাংস্কৃতিক সমাবেশ করেছে জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোট। শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রান্সপোর্ট চত্বরে ধ্বনির দপ্তর সম্পাদক ফাইজা মেহজাবিন প্রিয়ন্তির সঞ্চালনায় এ প্রতিবাদী  সাংস্কৃতিক সমাবেশ পালন করা হয়। প্রতিবাদী সমাবেশে জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক প্রাপ্তি তাপসী বলেন, এ ধর্ষণ কোনো বিচ্ছিন্ন কর্মকাণ্ড নয়। আমরা দেখেছি এ ধরনের অভিযোগ বারংবার আসার পরেও সে অভিযোগের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠিত হয় কিন্তু তদন্তের রিপোর্ট পেশ করা হয় না। সাংস্কৃতিক জোট বলতে চায় যৌন নিপীড়ন বিরোধী সেল কার্যকর করে বিদ্যমান সকল অভিযোগ নিষ্পত্তি করতে হবে ও আশু সুরাহা করতে হবে। তিনি আরও বলেন, যে প্রশাসন চাঁদাবাজি, ছিনতাইয়ের অভিযোগ আসার পরেও চুপ করে বসে থাকে, শিক্ষার্থীরা সেই প্রশাসনকে মান্য করে না। ধর্ষণকাণ্ডের পর থেকে প্রশাসন তাদের দায়িত্ব থেকে যে পিছনগুটিয়ে চলে এসেছে তার দায় এই প্রশাসনকে নিতে হবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়কে সকল জনসাধারণের জন্য নিরাপদ করতে হবে। প্রশাসন যদি ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠনের দৌরাত্ম্যের নিরসনে কাজ না করে তবে আমরা আরও কঠোর ভূমিকা নিতে বাধ্য হবো। জাহাঙ্গীরনগর থিয়েটারের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল ইসলাম মেঘ বলেন, যারা ধর্ষক তারা একদিনে ধর্ষক হয়ে উঠেনি। তাদের পেছনে আছে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের মদদ, তার পাশাপাশি  রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আস্থার ছায়াতল। এই আন্দোলন শুধু ধর্ষকের বিরুদ্ধে নয়, এই আন্দোলন সেসব অছাত্র, মাদক চোরাচালানকারী ও ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে যারা মাদকের সিন্ডিকেট গড়ে তুলছে এ ক্যাম্পাসে। এ আন্দোলন সেই প্রশাসনের বিরুদ্ধে যে প্রশাসন যৌন নিপীড়নে অভিযুক্ত মাহমুদুর রহমান জনিকে তাদের ছায়তলে রেখে সুরক্ষা দেয়। জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের সহ-সম্পাদক ওমর ফারুক বান্না বলেন, আমরা জানতাম এ ক্যাম্পাসে রাতে-দিনে নারীরা সবসময় নিরাপদ। এই যে মোস্তাফিজ ও মুরাদ তারা একদিনে গড়ে ওঠেনি। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে র‍্যাগিং ও গণরুম বন্ধ হয়নি এখনো। যে গণরুম বিশ্ববিদ্যালয়ে একেকটি মোস্তাফিজ ও মুরাদ তৈরি করছে সেই গণরুমকে বন্ধ করতে হবে। তিনি তার বক্তব্যে আরও বলেন, এ বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন নিপীড়নে অভিযুক্ত শিক্ষক মাহমুদুর রহমান জনির বিচার হয়নি। যদি মোস্তাফিজ জানতো এই জনির বিচার হয়েছে তাহলে সে ধর্ষণের মতো এরকম কাজ করার সাহস পেত না। ধর্ষণকাণ্ডে শুধু মোস্তাফিজ ও মুরাদরা জড়িত নয়। এর পেছনে জড়িত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক সুমাইয়া জাহান বলেন, ধর্ষণবিরোধী আন্দোলনের মধ্য দিয়েই মূলত জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের উৎপত্তি। আমরা সবসময়ই আন্দোলন করার চেষ্টা করেছি অন্যায়ের বিরুদ্ধে। দেশের প্রচলিত আইনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বাদী হয়ে একটি মামলা করেছে সেই মামলাটি যেন দ্রুত কার্যকর হয়। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসন সংকট নিরসনের মূল যে পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন তা হচ্ছে হলগুলো থেকে অছাত্রদের বিতাড়িত করা। এবং ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের যারা হলে অনেকগুলো সিট একসঙ্গে দখলে রেখেছেন এবং পলিটিকাল ব্লক তৈরি করে থাকেন তাদের ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি শরন এহসান বলেন, আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে ধর্ষণের ঘটনার পর উদ্ভূত পরিস্থিতিতে এবং তার প্রেক্ষিতে মুহূর্মুহু যেসব তথ্য উঠে আসছে ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা প্রসঙ্গে, মাদক, চোরাকারবারি এবং অভারল ক্যাম্পাসের শিক্ষাব্যবস্থা কিংবা প্রশাসনিক কার্যক্রম নিয়ে সেগুলোর সমাধান করতে হবে। এই উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আমরা যারা সংস্কৃতি কর্মী, আমরা জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের সংস্কৃতি কর্মী রয়েছি, আমরা শিল্পের মাধ্যমেই আমাদের প্রতিবাদের ভাষা তুলে ধরতে সর্বদা চেষ্টা করি। এর আগে, ৪ ফেব্রুয়ারি জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোট তাদের পক্ষ থেকে ৫ দফা দাবি উত্থাপন করে। দফাগুলো হলো - চলমান ধর্ষণের ঘটনার সুষ্ঠু সুরাহা এবং জড়িত সকলকে দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে, যৌন নিপীড়ন বিরোধী সেল কার্যকর করে পূর্বের সকল অভিযোগ নিষ্পত্তির বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে, বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার পূর্বক দায়িত্ব অবহেলাকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে, হল থেকে অছাত্রদের বের করে সিট সংকট নিরসন করতে হবে, ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠনের দৌরাত্ম্য নিরসনে পদক্ষেপ নিতে হবে।
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৩:২৭
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়