• ঢাকা সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
নির্বাচন প্রভাবমুক্ত রাখতে পরিষ্কার বার্তা রয়েছে : ইসি হাবিব
নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহসান হাবিব খান (অব.) বলেছেন, এবারের নির্বাচন প্রভাবমুক্ত রাখতে সরকার এবং রাজনৈতিক দল থেকে পরিষ্কার বার্তা রয়েছে। তবুও দলীয় লোকজন ও স্থানীয় এমপি-মন্ত্রীর কেউ কেউ সে নির্দেশনা কি মানছে! কেমন করে একটি দলের সভানেত্রী ও সরকারের প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অমান্য করছেন তা আমার বোধগম্য নয়।  সোমবার (২৯ এপ্রিল) দুপুর ১টায় চার জেলার সমন্বয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে নির্বাচনী আচরণবিধি ও মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন তিনি। স্থানীয় নির্বাচনে এমপি-মন্ত্রীদের প্রভাবমুক্ত করতে নির্বাচন কমিশনার কি ব্যবস্থা নিতে পারে— এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, নিজেদের সম্মান নিজেদের রক্ষা করতে হবে। দলের গঠনতন্ত্র অনুসরণ করা উচিত। তবে ভোটাররা প্রভাবিত না হলে কোনো প্রভাবই কাজে লাগবে না। এবারের নির্বাচনে ভোটারদের ভোট দিতে বাধাগ্রস্ত করলে সর্বোচ্চ ৭ বছরের জেল হবে। প্রার্থীদের ব্যাপারে ইসি আহসান হাবিব খান বলেন, আমাদের কাছে প্রার্থীর মধ্যে কোনো হাইভোল্টেজ কিংবা লোভোল্টেজ নেই। ভোটের দিন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার চেষ্টা করা হলেই তা নির্মূল করা হবে। কোনো ভোল্টেজ দিয়ে কাজ হবে না। জনগণকে ভালোবাসতে হবে তাদের কাছে ভোট চাইতে হবে, তবেই ভোট পাওয়া যাবে। এ সময় সাংবাদিকরা বিনা বাধায় ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন, সংবাদ সংগ্রহ করতে পারবেন। এতে কেউ বাধা দিলে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন ইসি হাবিব। নির্বাচনী আচরণবিধি ও মতবিনিময়সভায় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা, পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান, মেহেরপুর জেলা প্রশাসক শামীম হোসেন, পুলিশ সুপার এস এম নাজমুল হক, ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক এস এম রফিকুল ইসলাম, পুলিশ সুপার আজীম উল আহসান, কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক এহেতেশাম রেজা ও পুলিশ সুপার এ এইচ এম আব্দুর রকিবসহ চার জেলার নির্বাচন গ্রহণকারী কর্মকর্তা ও প্রার্থীরা।
২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:৩৩

স্কুল-মাদরাসা বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধ রাখতে হাইকোর্টের নির্দেশ
দেশের বেশির ভাগ এলাকার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহ। উল্টো বাতাসে আর্দ্রতা বেড়ে গরমের অনুভূতি আরও বাড়িয়েছে। কোথাও দমকা হাওয়া বয়ে গেলে তাতেও উষ্ণতা ভর করেছে। এ কারণে চলমান তাপপ্রবাহের মধ্যে প্রাথমিক, মাধ্যমিক স্কুল ও মাদরাসার ক্লাস বৃহস্পতিবার (২ মে) পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ স্ব-প্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেন। তবে যেসব স্কুলে এসির ব্যবস্থা আছে, পরীক্ষা চলমান আছে, ও লেভেল, এ লেভেল পরীক্ষা ও কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য এই আদেশ প্রযোজ্য হবে না বলে আদেশে বলা হয়েছে। আদালতে চলমান তাপপ্রবাহে ১৮ জনের মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনেন আইনজীবী মনির উদ্দিন। এ সময় রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মো. সাইফুজ্জামান, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল রেহেনা সুলতানা, মো. সামিউল সরকার ও আশিক রুবায়েত। তীব্র তাপপ্রবাহে জারি হওয়া হিট অ্যালার্টের মধ্যেই রোববার খুলেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। প্রথম দিনই বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তীব্র গরমে শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়ে। এরপরই প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা রেখে মাধ্যমিক স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:৫৮

গরমে পেট ঠান্ডা রাখতে দই খাবেন নাকি তরমুজ
গরমে পেট ঠান্ডা রাখতে অনেকেই লাচ্ছি খান। এই লাচ্ছি দই দিয়ে তৈরি হয়। অন্যদিকে খাবারের শেষ পাতে অনেকে টক দই খান‌। পেট ঠান্ডা রাখতে ও খাবার হজম করতে দই খান তারা। কিন্তু গরমকালে টক দই খাওয়া কতটা স্বাস্থ্যকর, এতে শরীরের উপকার হয় না ক্ষতি। চলুন জেনে নেওয়া যাক। টক দইয়ের উপকারিতা- খাবার হজম করায়- খাবার দ্রুত হজম করতে সাহায্য করে টক দই। এর মধ্যে রয়েছে প্রচুর প্রোবায়োটিক‌‌। এগুলো পেটের মধ্যে থাকা ভালো ব্যাকটেরিয়াগুলোর মতোই পুষ্টিগুণে ভরপুর। এর ফলে খাবার দ্রুত হজম হয়।  মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টে সমৃদ্ধ- দইয়ের মধ্যে বেশ কয়েকটি মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট পাওয়া যায়। এই তালিকায় রয়েছে প্রোটিন, ফ্যাট, কার্বোহাইড্রেট ও বেশ কয়েকটি ভিটামিন। এগুলো শরীরে পুষ্টি জোগায়‌। রাতে ভালো ঘুম- দই খেলে রাতে ভালো ঘুম হয় কারণ এর মধ্যে রয়েছে ক্যালসিয়াম ভিটামিন বি৫ ভিটামিন বি১২ ম্যাগনেসিয়াম‌। এই উপাদানগুলো অনিদ্রার সমস্যা দূর করে।  ত্বকের উপকার- দই ত্বকের জন্য উপকারী। কারণ এর মধ্যে ভিটামিনের পরিমাণ বেশি। এ ছাড়াও দইয়ের ল্যাকটিক অ্যাসিড ত্বককে এক্সফোলিয়েট করে। যা ত্বকের সমস্যা দূর করে।  গরমে দই খেতে হবে বুঝেশুনে- দই শরীরের একাধিক উপকারে লাগলেও এটি পেট ঠান্ডা করে না বরং গরম করে দেয়। কারণ পেটের মধ্যে একেই উষ্ণতা শরীরের বাইরের দিকের থেকে বেশি থাকে‌। এই অবস্থায় পেটের মধ্যে দই পড়লে সন্ধান অর্থাৎ ফার্মেন্টেশন প্রক্রিয়া শুরু হয়। এর ফলে পেট আরও গরম হয়ে যায়। তাই গরমকালে দই খেলেও বুঝেশুনে খাওয়াই ভালো। নয়তো অতিরিক্ত পেট গরম থেকে শরীর খারাপ লাগতে পারে।  দইয়ের বদলে পেট ঠান্ডা রাখে যে খাবার- তরমুজ- পেট ঠান্ডা রাখার জন্য দইয়ের বদলে বেছে নিতে পারেন তরমুজ। খাওয়ার পরেই এটি পাতে রাখুন। তরমুজ পেট ঠান্ডা রাখার পাশাপাশি হাইড্রেট করে।  শশা- শশাও একইভাবে পেট ঠান্ডা করে। শশার মধ্যে প্রচুর পরিমাণে পানিও রয়েছে। এটি ডিহাইড্রেশনের ভয়ও দূর করে।
২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১১:২৪

দ্রব্যমূল্যের দাম ঠিক রাখতে সারাবছর পণ্য আমদানির ঘোষণা
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেছেন, কোনো পণ্যের আমদানি বন্ধের ঘোষণা দিলেই বাজারে তার দাম বেড়ে যায়। তাই এখন থেকে বাজারে যখনই কোনো পণ্যের দাম বেড়ে যাবে সঙ্গে সঙ্গে তা আমদানি করা হবে।  মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাজধানীর ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) ভবনের সামনে ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বাণিজ্য সচিব। তিনি বলেন, চাহিদা ও জোগানের সঙ্গে বাজারে দ্রব্যমূল্যের দাম সম্পর্কিত। কিন্তু বাংলাদেশের বাজার বেশিরভাগ সময়ে এই সমীকরণ মানে না। গোডাউনে পণ্য মজুত থাকার পরেও বাজারে দাম বেড়ে যায়। বাজার যে ধাচে চলছে তাতে করে এটিকে কোনো ছকে ফেলা আচ্ছে না। মার্কেটের আচারণের কোনো যৌক্তিকতা নেই। এই যৌক্তিকতা ফিরিয়ে আনতে সরকার নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। বাণিজ্য সচিব তপন বলেন, দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বাজারে পণ্যের দাম কমিয়ে আনা ও সিন্ডিকেটের কারসাজি রুখে দেওয়াকে নিজের জিহাদ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। সেটির অংশ হিসেবেই বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ এসেছে। নিষেধাজ্ঞা চলমান থাকা অবস্থায়ই এই পেঁয়াজ আনতে পারা বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর কূটনৈতিক সাফল্য। তিনি আরও বলেন, ভারত কাউকে পেঁয়াজ দিচ্ছে না, এমন সময়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আবুধাবিতে ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে টানা বৈঠক করেন দেশের বাজারে পেঁয়াজ আনতে। অনেক সংশয় ও চ্যালেঞ্জ থাকলেও অবেশেষে আমরা সাফল্য পেয়েছি। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন টিবিসির চেয়ারম্যান মো. আরিফুল হাসান, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহারিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান প্রমুখ।
০২ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৫৩

‘দেশি-বিদেশি কোনো শক্তি সরকারকে ক্ষমতায় রাখতে পারবে না’
বিএনপির চলমান সংগ্রাম অব্যাহত আছে, অব্যাহত থাকবে উল্লেখ করে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন,  দেশি-বিদেশি কোনো শক্তি জনগণের বিরুদ্ধে গিয়ে এ অবৈধ সরকারকে আর ক্ষমতায় রাখতে পারবে না। তাদের বিদায় নিতে হবে।   শুক্রবার (২২ মার্চ) বিকেলে নগরীর কর্ণফুলী শাহ আমানত সেতু সংলগ্ন রাজবাড়ী কমিউনিটি সেন্টারে এক ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।  আমীর খসরু বলেন, বাংলাদেশের মানুষ নির্বাচনের মাধ্যমে এমন সরকার গঠন করবে, যারা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে, যাদের জনগণের কাছে জবাবদিহি থাকবে। বাংলাদেশের মানুষ সেই সরকারের অপেক্ষায় আছে। তিনি বলেন, বিএনপির সংগ্রাম বাংলাদেশের মানুষের মুক্তির সংগ্রাম। দেশের মালিকানা ফিরে পাওয়ার সংগ্রাম। বাংলাদেশের গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার সংগ্রাম। বাংলাদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক, রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক অধিকার ফিরিয়ে আনার সংগ্রাম। যতদিন স্বৈরাচার পদত্যাগ না করবে, ততদিন এ সংগ্রাম চলবে। জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘৭ জানুয়ারিতে কি হয়েছিল? ডামি প্রধানমন্ত্রী, ডামি এমপি, ডামি নির্বাচন। আরও একটা গুরুত্বপূর্ণ কাজ হয়েছে, বাংলাদেশের ৯৫ শতাংশ মানুষ বিএনপির পক্ষে রায় দিয়েছে।’  আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, দক্ষিণ জেলা বিএনপির ঘাঁটি। সুতরাং চলমান আন্দোলনে দক্ষিণ জেলাকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে। আমরা সবাই মিলে, আজ যে জাতীয় ঐক্য হয়েছে, যে ৯৫ শতাংশ মানুষ এ সরকারকে প্রত্যাখ্যান করেছে, তাদের নিয়ে হাতে হাত মিলিয়ে এ আন্দোলনকে সফল করবো। বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করবো। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এড. নাজিম উদ্দীন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক এড. আশরাফ হোসেন চৌং রাজ্জাক, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার ওসমান চৌধুরী, মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ আজিজ প্রমুখ।
২২ মার্চ ২০২৪, ২১:৪৫

‘দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে রাখতে চেষ্টা করছে সরকার’
বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনের জন্য প্রধানমন্ত্রী অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন উল্লেখ করে ঢাকা-৬ আসনের সংসদ সদস্য ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেছেন, দ্রব্যমূল্যের দাম এখন কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে আমাদের কষ্ট হচ্ছে। জিনিসপত্রের দাম সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে রাখতে চেষ্টা করে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা। শুক্রবার (২২ মার্চ) পুরান ঢাকার নারিন্দার মশুরীখোলা দরবার শরীফের সামনে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ কর্মসূচিতে তিনি এ কথা বলেন। সাঈদ খোকন বলেন, জিনিসপত্রের দাম যাতে নাগালের মধ্যে থাকে সেজন্য নেত্রী চেষ্টা করে যাচ্ছেন। সেজন্য প্রত্যেক এলাকার মতো এই ওয়ার্ডেও টিসিবির কার্ড দেওয়া হয়েছে, যাতে স্বল্প আয়ের মানুষ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য অল্প মূল্যে পেতে পারেন। তিনি বলেন, উন্নয়নের স্রোতধারায় সমগ্র বাংলাদেশে অনেক পরিবর্তন হয়েছে। এই বদলে যাওয়া বাংলাদেশের মূল কারিগর শেখ হাসিনা।  তিনি আরও বলেন, বিশ বছর পূর্বের ঢাকা শহর এবং বর্তমান ঢাকার মধ্যে অনেক পরিবর্তন হয়েছে। জীবনমানের অনেক উন্নয়ন হয়েছে। ঢাকা শহরের সর্বত্র উন্নয়ন-অগ্রগতি দেখতে পাবেন। পদ্মা সেতু, নতুন এয়ারপোর্ট, আধুনিক ফ্লাইওভার, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েসহ অনেক উন্নয়ন দেখতে পাবেন। সরকারের সহায়তা সবসময় আপনাদের সঙ্গে আছে উল্লেখ করে ঢাকা দক্ষিণের সাবেক এই মেয়র বলেন, প্রধানমন্ত্রী পুরান ঢাকার মানুষকে ভালোবাসেন। আমি মেয়রের দায়িত্ব পালনকালে যখনই কোনো কাজের জন্য যেতাম নেত্রী সঙ্গে সঙ্গে করে দিতেন। এই শহরে আগে রাস্তাঘাটে নিভু নিভু আলো ছিল, অনেক সময় তা জ্বলতো না। নেত্রী এই শহরের মানুষকে এলইডি লাইটের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। রাস্তাঘাটের জন্য যখনই গিয়েছি নেত্রী তা করে দিয়েছেন। 
২২ মার্চ ২০২৪, ১৯:৩৯

‘নৌপথ-নদীবন্দরগুলো ঠিক আছে কি না, লক্ষ্য রাখতে হবে’
কর্মকর্তাদের উদ্দেশে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, নৌপথ ও নদীবন্দরগুলো ঠিক আছে কিনা, মানুষ এগুলো ব্যবহার করে উপকৃত হচ্ছে কি না, সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে। বুধবার (২০ মার্চ) বিআইডব্লিউটিএ অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের নবনির্বাচিত নেতারা ঢাকায় মিন্টু রোডস্থ বাসভবনে সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এসব কথা বলেন। নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) এর সার্বিক উন্নয়ন এবং চারিত্রিক কাঠামো অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তাদের ওপর নির্ভর করে। যেখানে উন্নয়ন কাজ হয়, সেখানে কিছু প্রশ্ন থাকতেই পারে। তবে কাজটি সঠিকভাবে করছি কি না, সেটা হলো বড় বিষয়। সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে পথ দেখানো। সে পথেই সবাই হাঁটবে। তিনি বলেন, এগিয়ে যাওয়ার জন্য সাপোর্ট লাগে। আর সেই সাপোর্ট হলো বঙ্গবন্ধু। তিনি যেভাবে দেশ নিয়ে ভেবেছেন। সে বিষয়টি ধারণ করতে হবে। আমাদের মূল জায়গাটি হল মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ। সেই আদর্শকে ধারণ করে কাজ করতে হবে। বিআইডব্লিউটিএ অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের নবনির্বাচিত সভাপতি রকিবুল ইসলাম তালুকদার এবং সাধারণ সম্পাদক এ কে এম আরিফ উদ্দিনের নেতৃত্বে সংগঠনের ২৫ সদস্য প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
২০ মার্চ ২০২৪, ১৬:৪১

চাঁদপুরে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে অভিযান
রমজানে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ স্বাভাবিক রাখা, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ এবং ভেজালমুক্ত পণ্য নিশ্চিতে বাজার পরিদর্শন করেছে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সরেজমিনে বাজার পরিদর্শন করেন তিনি।   পরিদর্শনকালে তিনি পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতা, বাজার কমিটি এবং ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলেন। অনুমোদিত মূল্যের চেয়ে অতিরিক্ত মূল্যে ক্রয়-বিক্রয় হচ্ছে কিনা এবং সকল দোকানে মূল্য তালিকা প্রদর্শন করা আছে কিনা সে বিষয়ে তদারকি করেন। পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, রমজানে যাতে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে থাকে, ক্রেতার কাছে অতিরিক্ত দাম না রাখা হয় এবং পণ্য ভেজালমুক্ত থাকে সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে এই তদারকি কার্যক্রম। আমাদের এই বাজার তদারকি প্রতিদিনই অব্যাহত থাকবে। আমরা সাদা পোশাকে গোয়েন্দা পুলিশ মোতায়ন করেছি। তারা প্রতিটি দোকানে ছদ্মবেশে ক্রেতা সেজে দাম সংগ্রহ করবে এবং সেটি যদি অনুমোদিত মূল্যের চেয়ে বেশি হয় সে সকল ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত সুদীপ্ত রায়, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) রাশেদুল হক চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল)  ইয়াসির আরাফাত, চাঁদপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ, ডিআইও-১, জেলা বিশেষ শাখার, অফিসার ইনচার্জ জেলা গোয়েন্দা শাখা, পুলিশ পরিদর্শক শহর ও যানবাহন শাখাসহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া সাংবাদিকবৃন্দ।
১৯ মার্চ ২০২৪, ২২:৫৮

‘দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখতে সর্বাত্মক চেষ্টা করছি’
‘দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখতে সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছি’ বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) সচিবালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরির সঙ্গে বাংলাদেশ-জাপান অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তি (ইপিএ) সম্পাদনের বিষয়ে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। বাণিজ্যপ্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন, দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখতে সর্বাত্মক চেষ্টা করার। সেই চেষ্টা করে যাচ্ছি। পাইকারি বাজার, খুচরা বাজারে যাচ্ছি। সামাজিক মাধ্যমে ট্রল হচ্ছে, আগে কী সাপ্লাই চেইন ছিল না? আমি কখনও বলিনি, সাপ্লাই চেইন ছিল না, ভ্যালু চেইন ছিল না। এই ভেল্যু চেইনের উপকরণগুলোকে শক্তিশালী করতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘বাজারে চালের দাম স্বস্তিতে আছে বলে আমি মনে করি। এক্ষেত্রে আমি কোনো অস্থিরতা পাইনি, আপনাদের (সাংবাদিক) কাছ থেকে কোনো অভিযোগও পাইনি। তেলের মূল্য ১৭৩ টাকা থেকে ১৬৩ টাকা আমরা নির্ধারণ করে দিয়েছি। খোলা বাজারে ১৪৯ টাকায় তেল বিক্রি হচ্ছে। বাজারে যাতে সরবরাহ ঠিক থাকে, সেটা আমরা নিশ্চিত করছি।’ তিনি আরও বলেন, ‌‌‘বাজারে চিনি, ডালসহ কোনো নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের কোনো স্বল্পতা কিংবা সংকট নেই। কাজেই এটিকে আমি অবশ্যই স্বস্তি বলব। কৃষি বিপণন অধিদপ্তর নিয়ে আমি আজও কথা বলেছি। কৃষিমন্ত্রী, কৃষি সচিব ও জনপ্রশাসনের সঙ্গে আজও কথা বলেছি, যাতে তারা সক্রিয় ভূমিকা পালন করে।’ আহসানুল ইসলাম বলেন, ‘কৃষি উৎপাদিত পণ্য কৃষি বিপণন বিভাগ দেখে। আমরা বাজার তদারকি করি। বাজার তদারকি করে আমরা যেটা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি, অনেকেই আমাদের বাজারে যাওয়াটা লম্ফঝম্ফ মনে করছেন। কেউ মনে করছেন, নতুন আসছেন শিখতে, শিক্ষানবিস হিসেবে দেখছেন। আমরা এই সমালোচনাকে গুরুত্ব দিই না, আমরা নিজেদের চেষ্টার বিষয়টি দেখি।’ তিনি বলেন, ‘উৎপাদক পর্যায়ে যারা উৎপাদন করছেন, সেখানে পরিবহন ব্যবস্থা আছে। সেই পরিবহন ব্যবস্থা থেকে পাইকারি বাজার আছে। এগুলো আরও ভালো করার সুযোগ আছে। আপনারা বলছেন, লেবুর দামের কথা। আমার এলাকায়ও লেবু হয়, দেলদুয়ারে প্রচুর লেবুর বাগান আছে। সেখানে অনেক জায়গায় কেবল লেবুর ফুল উঠছে। কিছু কিছু উৎপাদন হচ্ছে। সেখানে ছয় থেকে সাত টাকায় লেবু বিক্রি হচ্ছে। ছয়-সাত টাকার লেবু, ঢাকায় এসে ২০ টাকা হয় কেন? এটাই ভ্যালু চেইন, সাপ্লাই চেইনে আরও উন্নত করার জায়গা। এটা কী পরিবহনের কারণে বাড়ছে, নাকি আরও কোনো বাধা বিপত্তি আছে? আর কোনো প্রতিবন্ধকতা আছে? আজও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে এসেছি, পরিবহনের জায়গাটা যাতে স্বচ্ছ থাকে।’
১২ মার্চ ২০২৪, ১৭:১৬

ব্যক্তিগত জীবন সবসময় আড়ালে রাখতে পছন্দ করি : জয়া আহসান
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত ও দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। ইতোমধ্যে ঢালিউড-টালিউড মাতিয়ে অভিনয়ের দ্যুতি ছড়িয়েছেন বলিউডেও। পর্দায় ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে নিজেকে ফুটিয়ে তোলেন এই নায়িকা। সাবলীল অঙ্গভঙ্গি আর অভিনয় দক্ষতায় বরাবরই দর্শকদের হৃদয় ছুঁয়ে যান তিনি। সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যমে নিজের কাজ ও ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কথা বলেছেন জয়া। এ সময় অভিনেত্রী জানান, ব্যক্তিগত জীবন সবসময় আড়ালে রাখতেই পছন্দ করেন তিনি।  ক্যারিয়ারে একাধিক সাফল্যের পালক যুক্ত হয়েছে জয়ার মুকুটে। তবে কাজের জায়গায় সফলতা পেলেও ব্যক্তিজীবনে সিঙ্গেলই রয়ে গেছেন তিনি। যদিও একসময় ভালোবেসে মডেল ফয়সালের সঙ্গে ঘর বেঁধেছিলেন জয়া।  তবে বিয়ের ১৩ বছরের মাথায় জয়া-ফয়সালের সংসারে বেজে ওঠে বিচ্ছেদের সুর।  ২০১১ সালে দাম্পত্য জীবনের ইতি টানেন এই তারকা দম্পতি। বিবাহবিচ্ছেদের পর পুরোদমে ক্যারিয়ারেই ফোকাস করেন জয়া। মনোযোগী হন অভিনয়ে। বাংলাদেশ-ভারত দুই জায়গাতেই সমানতালে কাজ করে যাচ্ছে তিনি। তবে ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে একেবারেই কথা বলতে পছন্দ করেন না জয়া। এ প্রসঙ্গে জয়া বলেন, জয়া আহসান বলেন, সাধারণত এই সময়ে নারীরা নিজের মূল ফোকাস থেকে সরে যায়। কিন্তু আমি কাজেই মনোযোগ দিয়েছিলাম। আমার কাজ আমাকে সান্ত্বনা দেয়। যার ফলে আমি কাজকে এতটা ভালোবাসি। অভিনেত্রী আরও বলেন, সেলিব্রিটিদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে সাধারণ মানুষের কৌতূহল অনেক বেশি। মানুষ সবসময়ই আমার সম্পর্কের বিষয়ে জানতে চান। কিন্তু এ বিষয়-ব্যক্তিগত জীবন আমি সবসময়ই আড়ালে রাখতেই পছন্দ করি। 
০৫ মার্চ ২০২৪, ১১:২০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়