• ঢাকা রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
logo

যেসব কারণে সুন্দরবনে আগুন

আরটিভি নিউজ

  ০৬ মে ২০২৪, ০২:১৩
ছবি : আরটিভি

প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী বলেছেন, মৌয়ালের কারণেও আগুন লাগতে পারে। যারা মাছ ধরে... তারা ইচ্ছা করে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে— এটিও আমরা উড়িয়ে দিচ্ছি না। আবার দুর্ঘটনাবশত কারো হাত থেকে আগুন পড়ে গিয়েও লাগতে পারে, সেটিও আমরা উড়িয়ে দিচ্ছি না। সবগুলো হাতে রেখেই আমরা কাজ করছি।

রোববার (৫ মে) রাত সাড়ে ১০টায় খুলনায় সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তার কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী বলেন, আমরা এখন সবাই ব্যস্ত আগুন নেভানোর জন্য। আমি নিজেও আগুন নেভানো ও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। সুতরাং যেসব কারণে আগুন লাগতে পারে... কোনও কারণকেই আমরা উড়িয়ে দিচ্ছি না।

তিনি বলেন, এই অঞ্চলটি শুকনো। বর্ষা মৌসুমে ছাড়া এখানে পানি পাওয়া যায় না। এই সময় প্রতি বছর পাতা পড়ে জৈব পদার্থে পরিণত হয়। এখানে আগুন লাগা সহজ হয়। যে কারণে প্রায় প্রতি বছর এই অঞ্চলের বনে আগুন লাগে। গত দুই যুগে জায়গাটিতে অন্তত ২৫ বার আগুন লেগেছে। ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিস, কোস্ট গার্ড, বন বিভাগ ও বিমান বাহিনীসহ বিভিন্ন দপ্তরের সদস্য সোমবারও নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখবে।

প্রধান বন সংরক্ষক বলেন, আগুন লাগার ঘটনায় সোমবার (৬ মে) একটি বিশেষজ্ঞ টিম গঠন করা হবে। তারা আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে তারা একটি সুপারিশসহ প্রতিবেদন দাখিল করবে।

কতটুকু ক্ষতি হয়েছে? প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ঘটনাস্থলের চারিদিকে প্রায় পাঁচ একর জায়গা আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকতে পারে। ওই পাঁচ একর জায়গা পানি দিয়ে ভিজিয়ে দেওয়া হয়েছে। চারপাশে নালা কেটে পানি উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, কোথাও কোনও আগুন রয়েছে কি না তা দেখতে সোমবার সকাল থেকে ড্রোন দিয়ে জায়গাটি মনিটরিং করা হবে।

তিনি বলেন, সুন্দরবনে অগ্নিকাণ্ডের স্থানটিতে বর্তমানে আর আগুন নেই। এরপরও সেখানে পর্যবেক্ষণের জন্য টিম রাখা হয়েছে। তারা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবে। একই সঙ্গে আগুনের স্থানটিতে কোনও জীববৈচিত্রের কোনও ক্ষতি হয়নি বলেও দাবি করেন তিনি।

প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক (সিএফ) মিহির কুমার দো, সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের বিভাগীয় (ডিএফও) বন কর্মকর্তা ড. আবু নাসের মো. মোহসিন হোসেনসহ অন্যান্য বন কর্মকর্তারা।

উল্লেখ্য, শনিবার (৪ মে) দুপুরের দিকে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনা জানার সঙ্গে সঙ্গে বন বিভাগের পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিস এবং সংশ্লিষ্ট সরকারি অন্য প্রতিষ্ঠানের লোকজন ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। বন বিভাগের কর্মীরা স্থানীয় কমিউনিটি পেট্রোলিং গ্রুপ, ভিলেজ টাইগার রেসপন্স টিম এবং স্থানীয় জনগণের সহায়তায় চারপাশ থেকে ফায়ার লাইন কাটার কাজ শুরু করেন। কিন্তু ওই সময় ভাটার কারণে খালে পানি না থাকায় আগুনে পানি দেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে রাতেই বন বিভাগের নিজস্ব ফায়ার ফাইটিং ইকুইপমেন্ট এবং পানি দেওয়ার মেশিন এনে সেটি রেডি করে পাইপ লাগিয়ে সেট করে রাখা হয়।

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
আফগানিস্তানে ভারি বৃষ্টি ও বন্যায় নিহত ৫০
‘জাল ভোট পড়লেই কেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়া হবে’
সমালোচনার কড়া জবাব দিলেন জেফার
চলন্ত বাসে আগুন, ৮ জনের মৃত্যু
X
Fresh