• ঢাকা মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
বজ্রপাত থেকে রক্ষা পাওয়ার ২০ উপায়
চলছে বৈশাখ মাস। এ সময় ঝড় বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত অনেক বেড়ে যায়। আর বজ্রপাতের কারণে প্রাণহানিসহ জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। বৈশাখের তীব্র গরমে স্বস্তির বৃষ্টি বিপর্যয়ের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বজ্রপাতে মৃত্যু বেড়েই চলেছে। বজ্রপাতের নির্দিষ্ট সময় না থাকলেও ঝড়-বৃষ্টির সময় এর সম্ভাবনা থাকে শতভাগ। তাই কিছু নিয়ম-কানুন মেনে চললে বজ্রপাতে প্রাণহানি থেকে রক্ষা পেতে পারেন।  চলুন জেনে নেওয়া যাক বজ্রপাত থেকে রক্ষা পাওয়ার ২০টি উপায়- ১. বিদ্যুতের খুঁটি, লাইন এবং উঁচু জায়গা থেকে দূরে থাকুন। ২. পানি থেকে সরে আসুন। নৌকায় থাকলে ছাউনির নিচে প্রবেশ করুন। ৩. আপনার ভবনে যদি বজ্রপাত নিরোধক ব্যবস্থা না থাকে তাহলে বজ্রঝড়ের সময় সবাই আলাদা আলাদা কক্ষে বিচ্ছিন্নভাবে অবস্থান করুন। ৪. মেঘের আওয়াজ শুনলেই নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যান। ৪. গাছের নিচে, টেলিফোন বা কোনো ধরনের সংযোগের খুঁটির পাশে দাঁড়াবেন না। ৫. গাড়ি থেকে বের না হয়ে ভেতরে আশ্রয় নিতে পারেন। ৬. ফাঁকা জায়গা, মাঠ, খেত ও যাত্রী ছাউনিতে থাকবেন না। ৭. পাহাড়ের চূড়া বা সমুদ্রসৈকতে অবস্থান করা ঠিক নয়। ৮. মুঠোফোন, কম্পিউটার, টিভি, ফ্রিজ ও বিদ্যুতের সুইচ বন্ধ রাখুন। ৯. টিনশেড বাড়ি থেকে সরে গিয়ে পাঁকা বাড়িতে অবস্থান নিতে পারেন। ১০. বাড়ির জানালা বন্ধ রাখুন। বজ্রপাতের সময় জানালা স্পর্শ করা যাবে না। ১১. বাড়ি নিরাপদ রাখতে আর্থিং সংযুক্ত রড মাটিতে স্থাপন করতে হবে। ১২. বাড়ির ধাতব কল, সিঁড়ির রেলিং, পাইপ ইত্যাদি স্পর্শ করা যাবে না। ১৩. বজ্রপাতের সময় শুয়ে পড়তে হবে। ১৪. বজ্রপাতে আহত ব্যক্তিকে স্পর্শ না করাই ভালো। ১৫. বৃষ্টি ও মেঘের গর্জন না থামা পর্যন্ত নিরাপদে থাকা বাঞ্ছনীয়। ১৬. গভীর ও উলম্ব আকৃতির মেঘ দেখলেই বুঝবেন বজ্রঝড় হতে পারে। যদি জরুরি প্রয়োজন থাকেই তাহলে রাবারের জুতো পরে বাইরে যাবেন। ১৭. গ্রামীণ অঞ্চলে মাঠে অবস্থান করলে পায়ের আঙুলে ভর দিয়ে দাঁড়ান। তারপর কানে আঙুল দিয়ে মাথা নিচু করে বসুন। বজ্রপাতের সময় এভাবে নিজেকে নিরাপদ রাখার চেষ্টা অনেক আগে থেকেই প্রচলিত। ১৮. উঁচু গাছপালা বা বিদ্যুতের খুঁটিতে বজ্রপাতের সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই এসব স্থানে আশ্রয় নেবেন না। খোলা স্থানে বিচ্ছিন্ন একটি যাত্রী ছাউনি, তালগাছ বা বড় গাছ ইত্যাদিতে বজ্রপাত হওয়ার সম্ভাবনা অত্যন্ত বেশি থাকে। ১৯. বজ্রপাতের সময় আপনি যদি ছোট কোনো পুকুরে সাঁতার কাটেন বা জলাবদ্ধ স্থানে থাকেন তাহলে সেখান থেকে সরে পড়ুন। পানি খুব বেশি বিদ্যুৎ পরিবাহী। ২০. বজ্রপাতে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে যদি আক্রান্ত হন তাহলে দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। বজ্রপাতে আক্রান্ত হলেই সবাই তাৎক্ষণিকভাবে মারা যান এমন না। তাই দ্রুত নিকটস্থ চিকিৎসাকেন্দ্রে নিয়ে যান। বজ্রপাতে আহত হলে না ভেবেই ওই ব্যক্তির শ্বাস-প্রশ্বাস ও হৃৎস্পন্দন ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চালান। 
০৫ মে ২০২৪, ১৩:৪০

দুই ট্রেন একই লাইনে, অল্পের জন্য রক্ষা 
সিরাজগঞ্জের বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম রেলওয়ে স্টেশনে স্টেশন মাস্টার ও পয়েনন্টম্যানের ভুলে একই লাইনে দুই ট্রেন প্রবেশের ঘটনা ঘটেছে। এতে অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন দুটি ট্রেনের অন্তত সহস্রাধিক যাত্রী।  শনিবার (৪ মে) দুপুরে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম রেলওয়ে স্টেশনে এ ঘটনা ঘটে।  বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম রেলওয়ে স্টেশনের দায়িত্বরত স্টেশন মাস্টার মনিরুজ্জামান জানান, বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতু প্রকল্পের নিয়োগপ্রাপ্ত ৭ জন অবসরপ্রাপ্ত স্টেশন মাস্টার ও বেশ কয়েকজন পয়েন্টম্যান গতকাল (শুক্রবার) বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতু পশ্চিম স্টেশনে যোগদান করেন। তারাই মূলত আমাদের সঙ্গে সমন্বয় করে এনালগ পদ্ধতিতে লাইন নিয়ন্ত্রণ করে থাকেন। তারই ধারাবাহিকতায় দুপুর ২টা ১৫ মিনিটে কলকাতা থেকে ঢাকাগামী মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেন নতুন নির্মিত ৫ নম্বর লাইনে প্রবেশ করে অপেক্ষমাণ অবস্থায় দাঁড়িয়ে রাখা হয়। এ সময় ঢাকা থেকে রাজশাহী গামী ধুমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেন ৪ নম্বর লাইনে প্রবেশ করানোর নির্দেশনা প্রদান করা হয়।  কিন্তু দায়িত্বে থাকা প্রকল্পে নিয়োগপ্রাপ্ত স্টেশন মাস্টার খায়রুল আলম ও পয়েন্টম্যান ভুল করে ৫ নম্বর লাইনে প্রবেশ করান। এ সময় চালক একই লাইনে আরেকটি ট্রেন দেখতে পেয়ে কন্ট্রোল এবং আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে ট্রেন থামিয়ে ফেলেন। এ সময় আগে থেকে ৫ নম্বর লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা মৈত্রী এক্সপ্রেস ও ধুমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেন মুখোমুখি সংঘর্ষের হাত থেকে অল্পের জন্য রক্ষা পায়। এতে দুটি ট্রেনের সহস্রাধিক যাত্রী প্রাণে রক্ষা পান। দায়িত্বে থাকা বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতু প্রকল্পে নিয়োগপ্রাপ্ত স্টেশন মাস্টার খায়রুল আলম জানান, প্রকল্পের সিনিয়র পয়েন্টম্যান আলমগীরকে ৪ নম্বর লাইনে ধূমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেন প্রবেশ করানোর নির্দেশনা দিলে সে ভুলবশত ৫ নম্বর লাইনে ট্রেন প্রবেশ করান। তবে একই লাইনে আরেকটি ট্রেন দেখতে পাওয়ায় চালক ট্রেন থামিয়ে ফেলেন। তাই কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি।  পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক শাহ সুফী নুর মোহাম্মদ জানান, একই লাইনে দুটি ট্রেন প্রবেশের ঘটনায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। তারা সরেজমিনে পরিদর্শন করে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের পাশাপাশি যাতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।  
০৪ মে ২০২৪, ২৩:০০

পুলিশের ভয়ে ৬ রাজ্যে পালিয়ে শেষ রক্ষা হয়নি অভিনেতার
‘অনলাইন গেমিং অ্যাপে’ জুয়া কাণ্ডে একের পর এক বলিউড তারকাদের জড়ানোর অভিযোগ উঠছে। অনেকেই ‘ব্র্যান্ড প্রোমোটার’ হিসেবে কাজ করছে সেসব ‘অনলাইন বেটিং গেমিং অ্যাপে’র। এবার জুয়া কাণ্ডে গ্রেপ্তার বলিউড তারকা সাহিল খান। ভারতের ছত্তিশগড় থেকে অভিনেতাকে গ্রেপ্তার করেছে মুম্বাই পুলিশের স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম। এবার প্রকাশ্যে অভিনেতার গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে চাঞ্চল্যকর এক রিপোর্ট। ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম অনুসারে, গ্রেপ্তারি এড়াতে ৪ দিনে ৬ রাজ্যে পালিয়ে বেড়িয়েছেন সাহিল। প্রথমে সাহিল খান গোয়ায় পালিয়ে যান, তারপর সেখান থেকে তিনি কর্ণাটকে যান এবং সেখান থেকে পৌঁছান হুব্বাল্লি শহরে। অবশেষে তিনি ব্যক্তিগত গাড়িতে করে হায়দরাবাদ পৌঁছান। সেখানে থাকাকালীন পুলিশ সাহিল খানের লোকেশন ট্র্যাক করে ফেলে, যার ফলে তিনি সঙ্গে সঙ্গে ছত্তিশগড় পালিয়ে যান। ছত্তিশগড়ের জগদলপুরের হোটেল আরাধ্যা ইন্টারন্যাশনালে থাকার সময় খবর পেয়ে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। টানা ৭২ ঘণ্টা ধরে অভিনেতার খোঁজ চালাচ্ছিল মুম্বাই পুলিশ। সাহিল খানকে গ্রেপ্তার করার সময় তার থেকে দুটি মোবাইল ও কিছু নগদ অর্থ বাজেয়াপ্ত করা হয়। মহাদেব বেটিং অ্যাপ মামলা মূলত অনলাইন জুয়ার একটি মামলা। ওই অ্যাপের মাধ্যমে তাস, কার্ড, ব্যাডমিন্টন, টেনিস, ফুটবল এবং ক্রিকেট ম্যাচ নির্ভর জুয়া খেলা হতো বলে অভিযোগ রয়েছে। দেশের একাধিক বড় বড় রিয়েল এস্টেট সংস্থাও এর সঙ্গে যুক্ত আছে বলেই দাবি তদন্তকারীদের। সবমিলিয়ে প্রায় ১৫০০০ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ। বেআইনিভাবে মহাদেব অ্যাপের মাধ্যমে আইপিএল ম্যাচ সম্প্রচারের অভিযোগও রয়েছে। এই অ্যাপের বিজ্ঞাপনে কাজ করার জন্য সম্প্রতি অভিনেত্রী তামান্না ভাটিয়াকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে মহারাষ্ট্র পুলিশের সাইবার শাখা। দীর্ঘদিন ধরেই তদন্ত চলছে মহাদেব বেটিং অ্যাপ কেলেঙ্কারির। অ্যাপের দুই মাথা সৌরভ চন্দ্রকার ও রবি উপ্পল, দুজনেই এই কর্মকাণ্ড দুবাই থেকে চালাতেন বলে জানা গিয়েছিল। নতুন আইডি তৈরি করে এই অনলাইন বেটিং অ্যাপে যারা রেজিস্ট্রার করতেন, তাদের টাকা এক বেনামি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা পড়ত। মূল কাজটা সংযুক্ত আরব আমিরশাহী থেকেই চলত বলেই দাবি তদন্তকারীদের। ইতোমধ্যেই এই ঘটনায় রণবীর কাপুর, সানি লিওনি, টাইগার শ্রফ, নেহা কাক্কারসহ একাধিক তারকার নাম জড়িয়েছে।
০২ মে ২০২৪, ২১:২৩

নদী দখলদারদের তালিকা যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে: সারোয়ার মাহমুদ
নদী দখলদারদের তালিকা হচ্ছে, পূর্বেও হয়েছে। সেগুলো এখন যাচাই বাছাই হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান সারোয়ার মাহমুদ। সেই সঙ্গে পাম নদীর গতিপথ পরিবর্তন অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।  বৃহস্পতিবার (২ মে) সকালে পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার বেংহাড়ি বনগ্রাম ইউনিয়নের পামেরপাড় এলাকায় পাম নদী পরিদর্শনকালে এই কথা জানান তিনি।  সারোয়ার মাহমুদ বলেন, নদী দখলমুক্ত থাক এটা একটি রাষ্ট্রের অঙ্গীকার। নদী জনসাধারণের জন্য নদী দেশের জন্য প্রকৃতির একটি অনুসঙ্গ। শুধু দখল উচ্ছেদ করলেই হয় না। এগুলো মেইনটেন করতে হয়। দখল মুক্ত করার পর এটিকে সংরক্ষণ করা যেন এটি পুনরায় অপদখল হয়ে না যায়। সেই ধরণের কিছু উদ্যোগ নেওয়া দরকার। এখন নদীগুলো যে অবস্থায় আছে সেগুলোকে দখলমুক্ত, দূষণ মুক্ত করা দরকার। ফ্লোগুলো যেন স্বাভাবিক থাকে সেই ব্যবস্থা নেয়া দরকার। জীববৈচিত্রের প্রতিকূল বিষয়ে মানুষকে সচেতন করা এবং আজকে যে উষ্ণতা দেখা দিয়েছে, পানির স্তর নিচে নেমে গেছে সেসব বিষয়ে মানুষকে সতর্ক করা। একজনের কাজের জন্যে যেন অনেক মানুষের কার্যক্রম ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেটিকে সজাগ থাকা।  তিনি বলেন, নদী সংরক্ষণের সঙ্গে যারা জড়িত প্রশাসন, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে আমরা পাম নদী পরিদর্শন করেছি। এখানে নদীর গতি পরিবর্তন করা হয়েছে। এটি আমরা কাগজপত্র ও রেকর্ড দেখে মূল্যায়ন করবো। তারপর আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে অনুরোধ করবো। তবে আমি জনগণকে সম্পৃক্ত করে এখানে যেন নদীর গতিপ্রবাহ ঠিক থাকে, জীববৈচিত্র ঠিক থাকে সে ব্যাপারে সবাই যেন উদ্যোগী হয়। স্থানীয়রাও যেন তাদের যার যার অবস্থান থেকে নদী রক্ষায় ভূমিকা রাখে। তাহলেই নদীগুলো স্বাভাবিক অবস্থায় থাকবে এবং এর দ্বারা জীববৈচিত্র ও মানুষ উপকৃত হবে। উল্লেখ্য, পাম নদী দখল করে পাড়বাঁধা পুকুর খননের ঘটনা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে বৃহস্পতিবার সকালে পাম নদী পরিদর্শনে আসেন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান সারোয়ার মাহমুদ। তিনি দখল হওয়া পাম নদীর বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করেন। এ সময় দখলকারীদের সঙ্গেও কথা বলেন তিনি। ম্যাপ মিলিয়ে দেখতে পান নদীটি আগে ছিলো দখলকারী জিয়াউর রহমানের বাড়ির পাশ দিয়েই। পরে গতি পরিবর্তন করে দেওয়া হয়েছে। তিনি এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় প্রদক্ষেপ নিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন। এদিকে নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যানের উপস্থিতির খবর পেয়ে প্রভাবশালী জিয়াউর পরিবারের হুমকিতে কোন ভুক্তভোগিকেই বাড়িতে পাওয়া যায় নি। এ সময় পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আব্দুল কাদের, বোদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহরিয়ার নজির, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আশুতোষ বর্মন, বেংহারী বনগ্রাম ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান সাহেব আলী উপস্থিত ছিলেন। গত ২০ এপ্রিল পঞ্চগড়ে পাম নদী দখল করে মাছ চাষ করছে প্রভাবশালীরা মর্মে আরটিভিতে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।    
০২ মে ২০২৪, ২০:৪৭

জ্যোতির ফিফটিতেও রক্ষা পেল না টাইগ্রেসরা, এগিয়ে গেল ভারত
আসন্ন বিশ্বকাপের প্রস্তুতি নিতে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে বাংলাদেশ সফরে এসেছে ভারতীয় নারী ক্রিকেট দল। সিরিজে প্রথম ম্যাচেই বাংলাদেশের মেয়েদের ৪৪ রানে হারিয়েছে হারমানপ্রিত কৌরের দল। এতে ১-০ ব্যবধানে সিরিজে এগিয়ে গেল সফরকারীরা। রোববার (২৮ এপ্রিল) আগে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশকে ১৪৬ রানের লক্ষ্য দেয় ভারত। জবাবে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১০১ রান তুলতে পারে বাংলাদেশ। এতে ৪৪ রানের জয় পায় ভারত। বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় টাইগ্রেসরা। দলীয় ৩০ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। ইনিংসের তৃতীয় বলে সাজঘরে ফেরেন দিলারা আক্তার (৪)। এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি সোবহানাও। ৮ বলে ৬ রান করেন তিনি। ১৮ বলে ১৩ রান করে আউট হন আরেক ওপেনার মুর্শিদা। এরপর উইকেটের মিছিলে যোগ দেন ফাহিমা খাতুন (১), স্বর্ণা আক্তার (১১) এবং রাবেয়া খাতুন (২)। কিন্তু একপ্রান্ত আগলে রেখে লড়াই করতে থাকেন দলপতি নিগার সুলতানা জ্যোতি। তাকে সঙ্গ দেওয়ার চেষ্টা করেন নাহিদা। ১৮ বলে ১১ রান করে নাহিদা আউট হলেও ৪৫ বলে হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নেন টাইগ্রেস অধিনায়ক। ৪৮ বলে ৫১ রান করে সাজঘরে ফেরেন ডানহাতি এই ব্যাটার। শেষ পর্যন্ত মারুফা আক্তার (১) এবং সুলতানা খাতুন (০) অপরাজিত থাকলেও নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১০১ রান তুলতে পারে বাংলাদেশ। এতে ৪৪ রানের জয় পায় ভারত। ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট শিকার করেন রেণুকা সিং। এ ছাড়াও পূজা ভাস্ত্রকার দুটি এবং দীপ্তি শর্মা, শ্রেয়াঙ্কা পাতিল ও রাধা যাদব একটি করে উইকেট নেন। এর আগে, টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি ভারতের। ৯ বলে ৯ রান করে সাজঘরে ফেরেন স্মৃতি মান্ধানা। এরপর ইয়াস্তিকা ভাটিয়াকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন শেফালি ভার্মা। তবে ২২ বলে ৩১ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন শেফালি। এরপর ক্রিজে এসে ব্যাট চালাতে শুরু করে হারমনপ্রিত। ২২ বলে ৩০ রান করে সাজঘরে ফেরেন ভারতীয় এই অধিনায়ক। ২৯ বলে ৩৬ রান করে তাকে সঙ্গ দেন ইয়াস্তিকা। শেষ দিকে রিচা ঘোষ (২৩), সজানা সজীবন (১১) এবং পূজা ভাস্ত্রকার ৪ রানে আউট হলে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৪৫ রানের বড় পুঁজি পায় ভারত। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট শিকার করেন রাবেয়া খাতুন। এ ছাড়া মারুফা আক্তার দুটি এবং ফারিহা তৃষা ও ফাহিমা খাতুন একটি করে উইকেট নেন।
২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১১:০১

বিশ্ব ধরিত্রী দিবস আজ
বিশ্ব ধরিত্রী দিবস আজ। পরিবেশ রক্ষায় সচেতনতা তৈরিতে প্রতিবছর ২২ এপ্রিল বিশ্ব ধরিত্রী দিবস উৎযাপন করা হয়। এবারের প্রতিপাদ্য ‘পৃথিবী বনাম প্লাস্টিক’। অর্থাৎ যেকোনো একটিকে আমাদের বেছে নিতে হবে। দিবসটি উপলক্ষে ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) ও ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশের উদ্যোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বোপার্জিত স্বাধীনতা চত্বরে পলিথিন ও প্লাস্টিক দূষণ বন্ধের দাবিতে মূকাভিনয় ‍ও অবস্থান কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। এটি জাতিসংঘ কর্তৃক নির্ধারিত একটি দিবস। সর্বপ্রথম ১৯৭০ সালে দিবসটি পালিত হয় এবং বর্তমানে আর্থ ডে নেটওয়ার্ক কর্তৃক বিশ্বব্যাপি এ দিবসটি পালন করা হয়। বর্তমানে ১৯৩টি দেশে প্রতি বছর ধরিত্রী দিবস পালিত হয়। বিশ্বের প্রাকৃতিক পরিবেশ ক্রমে ক্রমে বসবাসের অযোগ্য হয়ে উঠছে। ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দের শুরুর দিকে এই বিষয়টি নিয়ে চিন্তা করেন মার্কিন সিনেটর গেলর্ড নেলসন। তিনি ১৯৬২ খ্রিস্টাব্দের শেষের দিকে অ্যাটর্নি জেনারেল রবার্ট কেনেডির কাছে এই বিষয়টি আলাপ করার জন্য ওয়াশিংটন যান। এই বিষয়টি বেশ পছন্দ করেন কেনেডি। ১৯৬৩ খ্রিস্টাব্দের সেপ্টেম্বর মাসে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্টর একাদশ-রাষ্ট্র সংলাপে বিষয়টি নিয়ে আলোচনার কথা ছিল। কিন্তু এ নিয়ে ফলপ্রসু কোনো আলোচনা হয় নি। কিন্তু প্রচারণা অব্যাহত রাখেন নেলসন। যা পরবর্তীতে বহু মানুষকে সচেতন করে তোলে। অবশেষে ১৯৭০ খ্রিস্টাব্দে ‘ধরিত্রী দিবস’ পালনের দিন হিসাবে ২২ এপ্রিল নির্ধারণ করা হয়। পরের বছর ২২ এপ্রিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আনুষ্ঠানিক ভাবে ১ম ধরিত্রী দিবস পালিত হয়েছে। তখন এর নাম ছিলো এনভায়রনমেন্টাল টিচ-ইন। বর্তমানে পৃথিবীর অনেক দেশেই সরকারি ভাবে এই দিবস পালন করা হচ্ছে। উত্তর গোলার্ধের দেশগুলিতে এই দিবস পালিত হয় বসন্তকালে আর দক্ষিণ গোলার্ধের দেশগুলিতে পালিত হয় শরৎকালে। ১৯৯০ খ্রিস্টাব্দে বাৎসরিক পঞ্জিকায় দিবসটিকে স্থান দেয় জাতিসংঘ। জাতিসংঘের অন্তর্ভুক্ত দেশসমূহকে তা পালনের জন্য উৎসাহ দেওয়া হয়। এরপর দিবসটি ‘বিশ্ব ধরিত্রী দিবস’ নামে আন্তর্জাতিক ভাবে পালিত হচ্ছে। বিশ্বব্যাংকের পর্যবেক্ষণ অনুসারে বাংলাদেশে প্রতি বছর ৯ লাখ ৭৭ হাজার টন প্লাস্টিক বর্জ্য তৈরি হয়। আর এসব বর্জ্যের ৭০ শতাংশই ফেলা হয় রাস্তার ধারে, নদীর তীরে, উন্মুক্ত ভাগাড়ে কিংবা যত্রতত্র। কোথাও কোথাও আবার উন্মুক্ত স্থানে রেখে পুড়িয়ে ফেলা হয়। তাই সচেতনতা তৈরির পাশাপাশি পরিবেশ রক্ষায় সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান সংশ্লিষ্টদের।
২২ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:১৪

হাসপাতালের কার্ডিয়াক আইসিইউ পুড়ে ছাই, রক্ষা পেল ৭ শিশু
এসি বিস্ফোরণে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে রাজধানীর শ্যামলীতে অবস্থিত শিশু হাসপাতালের কার্ডিয়াক ইউনিটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ)। পুড়ে গেছে বেড, ওষুধপত্র, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অসংখ্য যন্ত্রপাতি। অল্পের জন্য রক্ষা পেল কার্ডিয়াক আইসিইউতে থাকা ৭ শিশু রোগী। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) দুপুর দেড়টার পর এ আগুন লাগে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পাঁচটি ইউনিটের এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। জানা গেছে, শিশু হাসপাতালের পঞ্চম তলায় কার্ডিয়াক আইসিইউ ইউনিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। আগুনের ধোঁয়ায় নিমজ্জিত হয়ে যায় পুরো হাসপাতাল। হাসপাতাল ভবনজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে বিস্ফোরিত গ্যাসের গন্ধ। কার্ডিয়াক আইসিইউতে ৭ শিশু রোগী ছিল, তাদেরকে দ্রুত সরিয়ে নেওয়া হয়। এছাড়া অন্যান্য আইসিইউ ও ওয়ার্ড থেকে সব রোগীদেরও সরিয়ে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়। মোহাম্মদপুর ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মোহাম্মদ ফখরুদ্দিন বলেন, ‘আগুন নিয়ন্ত্রণের পর আমাদের ফায়ার সার্ভিস টিম ঘটনাস্থলে অনুসন্ধান চালায়। তবে আমরা কোনো ভুক্তভোগীকে পাইনি। আগুন লাগার পরপরই আইসিইউতে থাকা সবাইকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।’ আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা ধারণা করছি আইসিইউর ভেতরে এসি ছিল। সেটা থেকে হয় তো আগুন লেগেছে। তবে তদন্তের পর সঠিক কারণ জানা যাবে।’ ঢাকা শিশু হাসপাতালের পরিচালক ডা. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, 'আগুনের ঘটনায় পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটিতে কার্ডিয়াক আইসিইউ বিভাগের প্রধানকে আহ্বায়ক করা হয়েছে। কমিটিকে তিন দিনের মধ্যে তদন্ত শেষ করে প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।   আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. রোকেয়া সুলতানা।    
১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৪৯

মুখোমুখি সংঘর্ষ থেকে রক্ষা পেল দুই ট্রেন
মুখোমুখি সংঘর্ষ হওয়া থেকে রক্ষা পেয়েছে কক্সবাজার এক্সপ্রেস ও পর্যটক এক্সপ্রেস।  শুক্রবার (৫ এপ্রিল) দুপুরে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটের লোহাগাড়া থেকে চকরিয়া অংশে এ দুর্ঘটনা ঘটতে যাচ্ছিল। দুই চালকের উপস্থিত বুদ্ধিতে মুখোমুখি সংঘর্ষ হওয়া থেকে রক্ষা পায় ট্রেন দুটি। কক্সবাজার থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাচ্ছিল কক্সবাজার এক্সপ্রেস। আর ঢাকা থেকে কক্সবাজারগামী ছিল পর্যটক এক্সপ্রেস। ট্রেনে দুটিতে প্রায় ৮০০ করে যাত্রী ছিল। রেলওয়ে সূত্রে জানায়, কক্সবাজার থেকে ঢাকাগামী কক্সবাজার এক্সপ্রেস চকরিয়া স্টেশনে এসে পৌঁছায় শুক্রবার বেলা ১টা ২২ মিনিটে। এসময় চকরিয়া স্টেশনমাস্টার আজিম উদ্দিন কক্সবাজার এক্সপ্রেসকে চকরিয়া থেকে লোহাগাড়া যাওয়ার জন্য সংকেত দেন। অপরদিকে, লোহাগাড়া স্টেশনমাস্টার লোহাগাড়া থেকে হারবাং স্টেশন পর্যন্ত যাওয়ার জন্য পর্যটক এক্সপ্রেসকে সংকেত দেন। পাহাড়তলী নিয়ন্ত্রণকক্ষ থেকেও দুই ট্রেনকে নির্ধারিত স্টেশনে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। সংকেত পেয়ে দুই লোকমাস্টার (ট্রেনচালক) ট্রেন চালাতে শুরু করেন। তবে পর্যটক এক্সপ্রেসের লোকোমাস্টার মোহাম্মদ গোলাম রসুল কক্সবাজার এক্সপ্রেসের লোকোমাস্টার মো. জাহেদুল ইসলামকে ফোন করে ট্রেন কোথায় আছে জানতে চান।  জাহেদুল ইসলাম তাকে জানান, ট্রেন নিয়ে তিনি চকরিয়া থেকে লোহাগাড়ার দিকে রওনা দিয়েছেন। মোহাম্মদ গোলাম রসুলও জানান তিনিও ট্রেন নিয়ে লোহাগাড়া থেকে হারবাং স্টেশনে যাচ্ছেন। ট্রেনের অবস্থান জেনে দুই লোকোমাস্টারই বুঝতে পারেন, বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে যাচ্ছে। দুই ট্রেনের গতি ছিল তখন ৫০ কিলোমিটার। যদি তাৎক্ষণিকভাবে ট্রেন থামানো না হলে মাঝপথে দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটবে। তারা দ্রুত পাহাড়তলীর নিয়ন্ত্রণকক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করলে নিয়ন্ত্রণকক্ষ থেকে দুই ট্রেনকেই থামার নির্দেশ দেওয়া হয়।  দুই চালকই ট্রেন থামিয়ে দেন। অল্পের জন্য বড় ধরণের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পায় ট্রেন দুটি। পর্যটক এক্সপ্রেসের লোকোমাস্টার মোহাম্মদ গোলাম রসুল গণমাধ্যমকে জানান, সাধারণত নিয়ন্ত্রণকক্ষ ও স্টেশনমাস্টারদের সংকেত ও নির্দেশনা অনুযায়ী ট্রেন চালিয়ে থাকি। ওই দিন কী মনে করে কক্সবাজার এক্সপ্রেসের লোকোমাস্টার মো. জাহেদুল ইসলামকে ফোন দিই। জানতে চাই, কোন স্টেশনে আছে, কোথায় ক্রসিং হবে। জাহেদ জানান, লোহাগাড়ার দিকে আসছে। আমিও আমার অবস্থান জানাই। এই খবর শুনে টেনশনে পড়ে যাই। সঙ্গে সঙ্গে নিয়ন্ত্রণকক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে ট্রেন থামিয়ে দিই। জাহেদও ট্রেন থামিয়ে দেন। যদি ফোন না করতাম তাহলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারতো। বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যাবস্থাপক সাইফুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, স্টেশনমাস্টার ভুল সংকেতে এ দুর্ঘটনা ঘটতে যাচ্ছিল। তবে চালকদের উপস্থিত বুদ্ধিতে ট্রেন দুটি দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছে। এ ঘটনায় চকরিয়া স্টেশনমাষ্টার আজিম উদ্দিনকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
০৭ এপ্রিল ২০২৪, ২২:১১

নদী রক্ষা কমিশনের নতুন চেয়ারম্যান সারওয়ার মাহমুদ
জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সরকারের সাবেক গ্রেড-১ কর্মকর্তা সারওয়ার মাহমুদ। তাকে তিন বছরের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। রোববার (২৪ মার্চ) থেকে এ বিষয় প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় । ‘জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন আইন, ২০১৩’এর ৫(২) ও ৫(৩) অনুযায়ী অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সঙ্গে কর্মসম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে তাকে এ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। যোগদানের তারিখ থেকে এ নিয়োগ কার্যকর হবে বলে  প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে। এর আগে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য (অতিরিক্ত সচিব) শেখ মো. শরীফ উদ্দিন চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছিলেন। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে দুর্নীতি দমন কমিশনের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) সারওয়ার মাহমুদকে খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক করা হয়। ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে তিনি গ্রেড-১ পদে পদোন্নতি পান। ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর তিনি অবসরে যান।
২৪ মার্চ ২০২৪, ২৩:৪০

রাহুল ও পুরান ঝড়েও রক্ষা পেলো না লখনৌ, শুভসূচনা রাজস্থানের
চলমান আইপিএলের চতুর্থ ম্যাচে লখনৌ সুপার জায়ান্টসের মুখোমুখি হয়েছিল রাজস্থান রয়্যালস। এই ম্যাচে লখনৌকে ২০ রানে হারিয়ে আসরে শুভসূচনা করেছে রাজস্থান। রোববার (২৪ মার্চ) টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে লখনৌকে ১৯৪ রানের লক্ষ্য দেয় রাজস্থান। জবাব দিতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ছয় উইকেট হারিয়ে ১৭৩ রান তুলতে পারে রাহুল-পুরানরা। এতে ২০ রানের জয় পায় রাজস্থান। এদিন টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ভালো শুরু করে রাজস্থান র‌য়্যালসের দুই ওপেনার যশস্বী জয়সওয়াল ও জশ বাটলার। তবে ইনিংস বড় করতে পারেনি দুজনের কেউই। ৯ বলে ১১ রান করে বাটলার আউট হলে ১২ বলে ২৪ রান করে তাকে সঙ্গে দেন জয়সওয়াল। তৃতীয় উইকেটে ব্যাটিংয়ে এসে রান তুলতে থাকেন সঞ্জু স্যামসন। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন রিয়ান পরাগ। ২৯ বলে ৪৩ রান করে পরাগ আউট হলেও ৩৩ বলে ফিফটি তুলে নেন স্যামসন। ৭ বলে ৫ রান করে আউট হন শিমরন হেটমাইয়ার। শেষ দিকে ১২ বলে ২০ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন ধ্রুব জুড়েল। অপর প্রান্তে ৫২ বলে ৮২ রানে অপরাজিত থাকেন রাজস্থান দলপতি। এতে নির্ধারিত ২০ ওভারে চার উইকেট হারিয়ে ১৯৩ রানের বড় পুঁজি পায় রাজস্থান র‌য়্যালস। বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় লখনৌ সুপার জায়ান্টস। ৫ বলে ৪ রান করে ফেরেন প্রোটিয়া ব্যাটার কুইনটন ডি কক। ৩ বলে শূন্য রান করে আউট হন দেবদুত পাডিক্কেল। এরপর ৫ বলে ১ রান করে আয়ুশ বাদোনি আউট হলে দলীয় ১১ রানে তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে লখনৌ। তবে ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় কোটায় ব্যাট করতে নামেন দীপক হুদা। তাকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন আরেক ওপেনার লোকেশ রাহুল। ১৩ বলে ২৬ রান করে দীপক আউট হলেও ৩৫ বলে ফিফটি তুলে নেন রাহুল। ব্যাটিংয়ে এসে তাণ্ডব শুরু করেন ক্যারিবিয়ান তারকা নিকোলাস পুরানও। দুজনের ব্যাটে ভর করে জয়ে পথে হাঁটতে থাকে লখনৌ সুপার জায়ান্টস। ৪৪ বলে ৫৮ রান করে রাহুল আউট হলে ছন্দ হারায় তারা। ৩ বলে ৪ রান করে মাকার্স স্টোইনিস আউট হলে একাই লড়াই করতে থাকে পুরান। শেষ পর্যন্ত ৪১ বলে ৬৪ রানের অপরাজিত ইনিংস খেললেও ২০ রানের হার নিয়ে মাঠ ছাড়ে লখনৌ সুপার জায়ান্টস। নির্ধারিত ওভারে ছয় উইকেট হারিয়ে ১৭৩ রান তুলতে পারে রাহুল-পুরানরা। রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে দুই উইকেট শিকার করেন ট্রেন্ট বোল্ট। এ ছাড়াও নানড্রে বুরগার, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, যুবেন্দ্রা চাহাল ও সানদীপ শর্মা একটি করে উইকেট নেন।
২৪ মার্চ ২০২৪, ২০:১১
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়